এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১ জুন, ২০২৪

আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার রেসিপি,,,,,,,

 🍏 আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার রেসিপি 


 উপকরণঃ 


১. আপেল, 

২. লাল চিনি, 

৩. পানি

৪. কাচের জার

৫.  কাঠের চামচ


প্রস্তুত প্রণালিঃ 


>>১ কেজি আপেল একটি বড় পাত্রে পানিতে ডুবিয়ে রাখুন ২ ঘন্টা, এতে করে আপেলে থাকা ফরমালিন পানিতে দ্রবীভূত হয়ে আপেল ফরমালিন মুক্ত হবে।


>>এরপর আপেল গুলোকে টুকরা করে কেটে নিন। একটি কাচের জারে আপেল গুলো ঢেলে, তাতে পানি এবং ৪ টেবিল চামচ লাল চিনি দিয়ে ১টি কাঠের চামচ দিয়ে নেড়ে দিন। কাচের জারে এমন পরিমান পানি দিবেন যাতে জারের উপর থেকে ১ ইঞ্চি খালি থাকে। 


>>এর পর ১টি পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে জারের মুখ ডেকে বেঁধে দিন, এতে করে জারের ভিতর কিছুটা বাতাস চলাচল করবে, যা ভিনেগার তৈরীতে বাধ্যতামূলক। এভাবে জারটি স্বাভাবিক তাপমাত্রার স্থানে (যেখানে কিছুটা কম আলো আছে) রেখে দিন, খেয়াল রাখবেন স্থানটি যেন বদ্ধ কোন স্থান না হয়। বদ্ধ স্থানে রাখলে জারের ভিতর ফাঙ্গাস হতে পারে।


>>প্রতিদিন একবার করে জারের কাপড়ের ঢাকনা খুলে কাঠের চামচ দিয়ে ভিতরে ভালো করে নেড়েচেড়ে দিবেন, প্রতিদিন না পারলেও অন্তত দুই দিন পরপর এভাবে নাড়বেন। 


>>১৫ দিন পর জারে আবার চার টেবিল চামচ লাল চিনি দিয়ে নেড়ে দিবেন। আপনি হয়তো ভাবছেন চিনি খাওয়া তো নিষেধ তাহলে চিনি দিব কেন!! আসলে এই চিনি তো আপনার খাওয়ার জন্য না এটা আপনার উপকারী বন্ধু লক্ষ কোটি ব্যাকটেরিয়ার খাবার, ওরা এসব খেয়ে রিষ্টপুষ্ট হয়ে আপনার পাকস্থলীতে আপনার বন্ধু হয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত হবে। 


>>পুরো ৪৫ দিন কিন্তু কাঠের চামচ দিয়ে নাড়তে হবে। এভাবে মোট ৪৫ দিন পর পাতলা কাপড়ে বয়ামের পুরোটা ঢেলে ছেকে নিবেন, অবশ্যই মনে রাখবেন ছাকার সময় যে পাত্রে ঢালবেন সেটি যেন কাচের পাত্র হয়। 


>> ছেঁকে নিয়ে পুনরায় কাচের বোতলে বা জারে নিবেন, এই অবস্থায় অন্তত আরও পনেরো দিন রেখে দিবেন তাতে প্রতিদিনই আপনি দেখবেন আস্তে আস্তে ভিনেগার অনেকটা পরিস্কার হয়ে বোতলের নিচে মাদার (অর্থাৎ উপকারী ব্যাকটেরিয়া) জমবে। 


>>অতঃপর এটি খাওয়ার উপযোগী হবে। এই পর্যায়ে যদি আপনার কাছে লিটমাস পেপার থাকে তাহলে এসিডিটির মাত্রা চেক করে নিতে পারেন। আমরা সবাই জানি আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার এ ৫% এসিডিটি থাকে।


👉বিঃ দ্রঃ পুরো প্রক্রিয়ায় কোনভাবেই কোন ধাতব পাত্র, চামচ বা ঢাকনা ব্যবহার করা যাবে না। যদি ব্যবহার করেন তাহলে গাজন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হবে না আর পারফেক্ট ভিনেগারও হবে না।



একা  একা কিভাবে কম খরচে দেশ-বিদেশ ঘুরবেন?

 একা একা কিভাবে কম খরচে দেশ-বিদেশ ঘুরবেন?


উত্তর খুব সিম্পল - আপনার ট্রাভেল টেষ্ট বদলান।


যদি খরচ কমাতে চান তাহলে সাধারণ একটা কনসেপ্ট মাথায় রাখেন, যে আপনি ঘুরতে আসছেন আরাম-আয়েস করতে নয়।


নিচে কয়টা পয়েন্ট উল্লেখ করেছি যেগুলো ফলো করলে আপনি কম বাজেটের মধ্যেই আপনার জার্নী শেষ করতে পারবেন।


*****এয়ার টিকিট 


টিকিটের দাম নির্ভর করে সময়ের উপরে। ধরেন আপনি যখন চায়না যাবেন ঠিক তখন চায়নাতে নিউ ইয়ার হবে।আর এই সময়ে খুব স্বাভাবীক ভাবেই আপনার মত আরো অনেকেই চায়না যাওয়ার প্লান করতেছে।এখন কথা হচ্ছে চাহিদা যেখানে হবে দামও সেখানেই হবে।এমতাবস্থায় আপনার উচিত সেই টিকিটটি ২-৩ মাস আগে কেটে রাখা।


এছাড়া শনিবার-রবিবার প্রায় সকল দেশেই সাপ্তাহিক ছুটি থাকে।ট্রাভেল ডেট সামনে থাকা অবস্থায় শনিবার-রবিবার মিলায়ে টিকিট কাটলে দাম একটু বেশী পরবেই।

এখানেও উচিৎ ২-৩ মাস আগে টিকিট কেটে রাখা।


টিকিট কাটার জন্য অনেক এপ্স আছে -কিছু বিশ্বস্ত ota হচ্ছে trip.com / kiwi.com /Expedia.com/ ইত্যাদি।টিকিট কাটার সময় ভিন্ন ভিন্ন সাইটে যাচাই করে দেখবেন, দাম কিছুটা হলেও তারতম্য থাকে।এছাড়া আপনি ওয়ান ওয়ে রুট দিয়েও ট্রাই করতে পারেন।দাম যাচাই এর জন্য বেষ্ট ota হচ্ছে kayak/sky scanner (এরা থার্ড পার্টি হিসবে কাজ করে)


এছাড়া আপনি এয়ারলাইন্সের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও কাটতে পারেন,যেখানে আপনি মেম্বার হয়ে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন।যে পয়েন্ট দিয়ে আপনি ভবিষ্যতে টাকা ছাড়াই টিকিট কাটতে পারেন।এটা অবশ্য যারা ফ্রিকুয়েন্ট ট্রাভেল করে তারাই ব্যবহার করে।


একটা জরুরি কথা - ভিসার জন্য যে টিকিট লাগে সেটা আপনি অনলাইন থেকে বিনা পয়সায় পাবেন না।অনেক এয়ারলাইন আছে যারা টিকিট হোল্ড করে রাখে ২৪/৪৮ ঘন্টা তবে সেটাও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।


আর হ্যা চেকিং ব্যাগেজ দিলে নরমালি এয়ার ফেয়ার বেশী আসে তাই বাজেট নিয়ে ঘুরতে চাইলে ব্যাকপ্যাক ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে।লাগেজ নিয়ে বাজেট ট্রাভেল করা যায়না।


আমি ২০১৯ সালের দিকে - সিউল-জাকার্তা-মালাং-সিয়াপ রিয়েপ- ব্যাংকক-ইয়াংগুন-হ্যানয়-সিউল রুটের টিকিট কেটেছিলাম মাত্র ৭২০০০০ উওন দিয়ে যেটা বাংলা টাকায় ৬০০০০ এর মত আসে।২/৩ দিন ঘাটাঘাটি করে ভিন্ন ভিন্ন এপ্স দিয়ে এই রেট মিলাইছিলাম।


*****বাসস্থান


আপনি যেকোন দেশেই ডরমিটরি অথবা হোষ্টেল পাবেন।এইসবে থাকার খরচ খুবই কম।উদাহরণ সরুপ ধরুন আপনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ৩ রাত থাকবেন, এখন ব্যাংককে অনেক ধরনের থাকার অপশন আছে।তিন তারকা হোটেলে থাকলে আপনার ৩০-৪০ ডলার খরচ হবে নরমালি সেখানে হোষ্টেল অথবা ডরমিটরিতে থাকলে আপনার ৫-৮ ডলার খরচ হবে।


আমাদের আসলে হোষ্টেলে থাকার অভিজ্ঞতা নাই এজন্য হয়তো ভাবি যে যদি মাল-সামান চুরি হয়ে যায়।আসলে ডরমিটরিগুলোতে ১/২ টা পারসোনাল লকার থাকে, একটাতে আপনি আপনার ব্যাগ রাখতে পারবেন আর আরেকটা তে আপনি আপনার মূল্যবান জিনিস রাখতে পারবেন।


এছাড়া আপনি নতুন নতুন মানুষের সাথে কমিউনিকেশন করার বড় একটা সুযোগ পাবেন,যেটা হোটেলের বদ্ধ রুমে পাবেন না।


প্রায় ডরমিটরিতে খাবার জন্য হালকা-পাতলা স্ন্যাকস ও থাকে।তাছাড়া ট্যুর বাস/গ্রুপ ট্যুর লন্ড্রি সার্ভিস ইত্যাদি সুবিধাও এগুলোতে পাবেন।


আসলে  থাকবেন কই এটা ডিপেন্ড করে কই যাইতাছেন তার উপর।যদি স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে "বালি" যান তাহলে আমি কখনোই সাজেষ্ট করবো না হোষ্টেলে থাকতে।একা গেলে মেইন ট্যুরিস্ট এড়িয়া বাদ দিয়ে থাকার ট্রাই করেন, ভাড়া কম পাবেন।


***** খাবার-দাবার


আমরা যে কোন দেশে গেলেই বাংলা খাবার খুজি, এখন বাংলা খাবার খুজলে খরচ বেশি হবেই।বিদেশে এক বেলার বাংলা খাবারের খরচ দিয়ে আপনি লোকাড ফুড কম হলেও দুই বেলা ট্রাই করতে পারবেন।লোকাল ফুড ট্রাই করেন, স্ট্রিট ফুড ট্রাই করেন তাইলেই খরচ কমে যাবে।যেসব দেশে বাংলাদেশী বেশী যেমন সিঙ্গাপুর, মিডলইস্ট, মালয়েশিয়া এসব দেশে আবার বাংলা খাবারের দাম কম।


লোকাল ফুড ট্রাই করাটাও এক ধরনের অভিজ্ঞতা, আর ভ্রমণ করতে গিয়ে যদি অভিজ্ঞতাই না নিতে পারেন তাহলে সেই ভ্রমণের সার্থকতাই নাই আমার মতে।রুচিতে প্রবলেম হলে ভেজিটেবল/এগ ফ্রাইড রাইস খান, যেটা কিনা প্রায় সব দেশেই পাবেন।যাওয়ার আগে অনলাইনে একটু ঘাটলেই ওই দেশের খাবারের নাম পাবেন।আগেই ঠিক করে রাখেন কোনটা আপনার জন্য ভাল হবে।


আর হ্যা - বিদেশে গিয়া নাইট ক্লাবে ঢুকবেন তাইলে তো ভাই খরচ হবেই।


***** যাতায়াত


যাতায়াতের ক্ষেত্রে টেক্সি এড়িয়ে চলুন।টেক্সি মানেই অতিরিক্ত খরচ।লোকাল ট্রান্সপোর্ট ইউজ করলে খরচ কমে যায়।প্রায় সকল দেশেই ট্যুরিস্ট পাস পাওয়া যায় যেটা কিনা ১/৩/৭ বিভিন্ন মেয়াদে পাবেন।উন্নত অনেক দেশে আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়েও ভাড়া দিতে পারবেন।আর এইসব কার্ড এয়ারপোর্ট থেকে কিনবেন না, এয়ারপোর্টে নরমালি এসব কার্ডের দাম বেশী রাখে।


ট্যুরিস্ট সেন্টার অথবা কনভিনিয়েন্স স্টোর থেকে কিনলে দাম একটু কম পরে।যেসব দেশে লোকাল ট্রান্সপোর্ট কম সেখানে আপনি বাইক ভাড়া করে ঘুরতে পারেন যদি আপনার কাছে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে।অনেক জায়গায় আবার লাইসেন্স ছাড়াও বাইক ভাড়া নেয়া যায়।বাইক ভাড়া করার ক্ষেত্রে আপনার ডিপোজিট রাখতে হয় অথবা পাসপোর্ট জমা দিতে হয়।আর হ্যা বাইক ভায়ারা নেয়ার আগে অবশ্যই সেই বাইকের একটা ভিডিও করে রাখবেন, ঝামেলা থেকে বাচার জন্য।


আর যদি ট্যাক্সি নিতেই হয় তবে এপ্স ইউজ করার ট্রাই করেন।বিভিন্ন দেশে Uber,grab, Go-Jek ইইত্যাদি আছে যা আপনি মোবাইল এপ্স দিয়েই ইউজ করতে পারবেন।


আরো একটা পয়েন্ট, আর সেটা হচ্ছে - ধরুন আপনি একা একা ফিলিপাইন গেলেন এখন আপনি দুই দিনের জন্য শহরের বাহিরে যাবেন সেক্ষেত্রে একা একা গেলে অনেক খরচ হয়ে যাবে।আপনি ওই দেশে লোকাল কোন গ্রুপের সাথে যাওয়ার চেষ্টা করলে খরচ একটু হলেও কমে যাবে।ফেসবুকে ওই দেশের উক্ত স্থানের জন্য অনেক ইভেন্ট পাবেন, আপনি যাওয়ার আগেই সেই ইভেন্টের সাথে যোগাযোগ করে রাখলে কম খরচে শহরের বাহিরে গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন।


এগুলো আপনি যাওয়ার আগে অনলাইন থেকে রিসার্চ করে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।


***** ইন্টারনেট 


ইন্টারনেট সাথে থাকলে আপনার সময় বেচে যাবে।এই ইন্টারনেট সিম এয়ারপোর্ট থেকে না নিয়ে অফিসিয়াল স্টোর থেকে নেয়ার ট্রাই করুন।একটু কষ্ট হবে, তবে ভ্রমনে গিয়ে কষ্ট না করলে মজা নাই।এয়ারপোর্টে সিমের দাম ২/৩ গুন বেশী থাকে,আর কম মেয়াদের প্যাকেজ পাওয়া যায় না নরমালি।সেখানে অফিসিয়াল স্টোর থেকে আপনি ১ দিনের ও প্যাকেজ পাবেন তাও সাশ্রয়ী মূল্যে।


ইন্টারনেট থাকলে আপনার চলাফেরা করা সহজ হবে।খুব সহজেই আপনি আপনার ডেস্টিনেশন খুজে পাবেন।আপনি যাষ্ট গুগল ম্যাপে গিয়ে লিখবেন tourist attraction near me আর গুগল সাথে সাথেই আপনাকে আপনার আশেপাশে ঘোরার মত জায়গা সাজেষ্ট করে দেবে।


***** কারেন্সি


এয়ারপোর্ট থেকে কিছুই করবেন না।আর যে দেশ থেকে যাবেন সেখান থেকে কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করলে রেট সবসময়ই কম পাবেন।যে দেশে যাবেন তাদের দরকার ডলার তাই তাদের চেয়ে বেশী রেট কেউ দিতে পারবে না।

আর এক্সচেঞ্জ করার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট স্পটগুলো হচ্ছে বেষ্ট তাও যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। একেক দোকানে একেক রেট থাকে, ঘুরে ঘুরে রেট যাচাই করার ক্ষেত্রে সরমের কিছুই নাই।


***** ভাষা


অন্য দেশে ট্রাভেলিং করা ক্ষেত্রে এডভান্টেজ পাওয়ার জন্য লোকাল কিছু বেসিক সেনটেন্স শিখে রাখা ভাল।লোকাল ভাষায় সালাম, গুড মর্নিং ইত্যাদি বললে সেদেশের মানুষ এমতেই খুশী হয়ে যায়।এতে করে হতেও পারে বিভিন্ন জায়গায় আপনি ডিসকাউন্ট পেয়ে গেলেন।


বা দ্যা ভাষা উম,এ,আহা এগুলা না বইলা গুগল ট্রান্সলেট ইউজ করার ট্রাই কইরেন।


***** আরো কিছু কথা  


১. যে দেশে যাবেন তাদের চার্জিং সিস্টেম জেনে যাবেন। যেমন জাপানে আপনি তিন- পিনওয়ালা চার্জার ছাড়া ফোন চার্জ দিতে পারবেন না।  


২.লোকাল মার্কেট কোথায় আছে সেগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে পারেন,যেখান থেকে আপনি কম দামে মার্কেটিং করতে পারবেন।  


৩.বিদেশে যাওয়ার আগে ইভিসা কপি ২ টা সাথে করে নিয়ে যাওয়ার ট্রাই কইরেন।  


৪.নরমালি হোটেল বুকিং এর হার্ড কপি লাগে না তাও এক কপি সাথে রাখতে পারেন।  


৫.হোটেল বুকিং এর জন্য 𝗯𝗼𝗼𝗸𝗶𝗻𝗴/𝗮𝗴𝗼𝗱𝗮 ইত্যাদি থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই হোটেল বুকিং দিতে পারবেন।  


৬.খালি পানির বোতল রাখার চেষ্টা করুন - জীবন মানেই পানি তবে এই পানির বোতলের দাম সব দেশেই বেশী।  


৭.পাওয়ার ব্যাংক খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা জিনিস।  


৮.ভিসা/অন্যান্য সবকিছু নিজে করার চেষ্টা করুন, যদি সম্ভব হয়।এতে খরচ যেমন কমে যাবে তেমন অভিজ্ঞতাও বাড়বে।  


৯.নাইট-ক্লাবে যাওয়া বাদ দিতে হবে।অনেক অনেক মানুষ দেখি যারা লুকায়ে লুকায়ে হলেও নাইট ক্লাবে যায়, এসবে গেলে খরচ তো হবেই।  


১০.দূর যাত্রার ক্ষেত্রে নাইট বাস/ট্রেন ব্যবহার করতে পারেন।এক্ষেত্রে এক রাতের হোটেল ভাড়া বেচে যাবে।  


১১.গুগল/𝗰𝗵𝗮𝗽 𝗴𝗽𝘁 ব্যবহার করা শিখুন।আপনি যাষ্ট প্রশ্ন করবেন আর এরা আপনাকে সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর দিয়ে দেবে।  


১২. 𝗾𝘂𝗼𝗿𝗮,𝗿𝗲𝗲𝗱𝗶𝘁 কমিউনিটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুব সহজেই নিতে পারেন।  


১৩.𝗰𝗼𝘂𝗰𝗵𝘀𝘂𝗿𝗳𝗶𝗻𝗴 এপ্স ইউজ করতে পারেন, যদিও এখন এই এপ্স পে মডেল ইউজ করে।আমি ইন্দোনেশিয়াতে ফ্রিতে একজনের বাসায় ছিলাম ২০১৯ এর দিকে।  


আরো অনেক কিছু আছে যেটা আপনি সাহস করে একা ঘুরতে বের হলে আস্তে আস্তে শিখে যাবেন।আসলে অভিজ্ঞতা কাউকে শিখেয়ে দেয়া যায়না।এখানে যত কথা বলেছি তা শুধুই আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, হয়তো সব কথা এত অল্প লেখায় বলা সম্ভব হয়নি।আপনার যদি আরো কিছু জানার আগ্রহ থাকে তাহলে কমেন্ট করে বলতে পারেন আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো উত্তর দেয়ার।  


ছবিটি ২০১৯ এর শেষের দিকে - ২৪ দিনের জন্য একটা সোলো ট্যুরে গিয়েছিলাম তখনকার।জায়গাটা হচ্ছে থাইল্যান্ডের উত্তর দিকের চিয়াং মাই শহরের গোল্ডেন ট্রায়াংগেল, যেটা কিনা তিন দেশের বর্ডার।


srabontrails


অনেক প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যবর্তী কোণ  বের করতে বলা হয়,,,

 অনেক প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যবর্তী কোণ  বের করতে বলা হয়। এই ধরণের অংক এই সর্টকাট নিয়মে আমরা মাত্র ১৫-২০ সেকেন্ডে উত্তর বের করতে পারি।


শুধু মাত্র ১টি সুত্র মনে রাখলেই, মাত্র ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘড়ির, ঘন্টা ও মিনিট এর কাটার মধ্যেবর্তী কোণের দূরত্বের নির্নয়ের নিচের অংক গুলোর উত্তর করতে পারবেন


টেকনিকঃ (11×M – 6O×H)÷2

এখানে, M=মিনিট

H=ঘন্টা

উদাহরনঃ যদি ঘড়িতে ২ টা ৪০ মিনিট হয়, তবে ঘণ্টার কাটা ও মিনিটের কাটা কত ডিগ্রি কোন উৎপন্ন করে।

সূত্র: (11 × M – 6O × H)÷2, (এখানে M এর স্থানে মিনিট ও H এর স্থানে ঘন্টা বসাতে হবে)


সমাধানঃ

(11 × 4O–6O×2)÷2

= 160(উঃ)

[বিঃদ্রঃযদি কোনের মান 180° অতিক্রম করে(অর্থাৎ 180 ° চেয়ে বেশি হয়)তবে প্রাপ্ত মানকে ৩৬০ থেকে বিয়োগ করে কোন এর মান নির্নয় করতে হবে]


ঘড়ি বৃত্তান্ত ঃ

ঘড়িসংক্রান্ত সমস্যাতে ঘড়ি বলতে আপনাকে তিনটি কাটা (ঘন্টা, মিনিট ও সেকেন্ড) যুক্ত ১২ ঘন্টার ঘড়ি (এনালগ) বুঝতে হবে।


আমরা জানি,

১ ঘন্টা = ৬০ মিনিট

১ মিনিট = ৬০ সেকেন্ড


ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা ৬০ সেকেন্ডে ঘুরে আসে = ৩৬০ ডিগ্রী

এ হারে, সেকেন্ডের কাটা প্রতি সেকেন্ডে ঘোরে = ৩৬০/৬০ = ৬ ডিগ্রী


ঘড়ির মিনিটের কাটা ৬০ মিনিটে ঘুরে আসে = ৩৬০ ডিগ্রী

এ হারে, মিনিটের কাটা ১ মিনিটে ঘোরে = ৩৬০/৬০ = ৬ ডিগ্রী


ঘড়ির ঘন্টার কাটা ১২ ঘন্টায় ঘুরে আসে = ৩৬০ ডিগ্রী

এ হারে, ঘন্টার কাটা ১ ঘন্টায় ঘোরে = ৩৬০/১২ = ৩০ ডিগ্রী


সংখ্যায় সংখ্যায়ঃ

১ দিন বা ২৪ ঘন্টায়,

ঘন্টা ও মিনিটের কাটা একে অপরের সাথে সমকোণ উৎপন্ন করে = ৪৪ বার [নোট-১]

ঘন্টা ও মিনিটের কাটা একটি অপরটির ওপরে অবস্থান করে = ২২ বার [নোট-২]

ঘন্টা ও মিনিটের কাটা একটি অপরটির ঠিক বিপরীতে অবস্থান করে = ২২ বার [নোট-৩]


গুরুত্বপূর্ণ সূত্রঃ

একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘড়ির মিনিট ও ঘন্টার কাটা একে অপরের সাথে কত ডিগ্রী কোণ উৎপন্ন করে তার একটা সূত্র রয়েছে। সূত্রটি নিম্নরূপ:

ক টা খ মিনিটে ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাটার মধ্যকার কোণের পরিমাপ = |(৬০ক – ১১খ)|/২ ।

যেমন, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঘড়ির ঘন্টা ও মিনিটের কাটার মধ্যকার কোণের পরিমাপ = |(৬০*২ – ১১*৩০)|/২ = |(১২০ – ৩৩০)|/২ = |(১২০ – ৩৩০)|/২ = ২১০/২ = ১০৫ ডিগ্রী

.

ভাষাগত জটিলতাঃ

20 minutes past 10 মানে হলো ১০টা বেজে ২০ মিনিট বা ১০:২০টা।

20 minutes to 10 মানে হলো ১০টা বাজতে ২০ মিনিট বাকি, বা ৯:৪০টা।

——- ‘past’ লেখা নাকি ‘to’ লেখা সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে ।


আরও:

reflex angle কথাটার মানে হলো প্রবৃদ্ধ কোণ। কোনো কোণের পরিমাপ ১৮০ ডিগ্রী অপেক্ষা বড় এবং ৩৬০ ডিগ্রী অপেক্ষা ছোট হলে, তাকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলা হয়। একটি কোণের পরিমাপ যদি ৩০ ডিগ্রী হয়, তবে ঐ কোণটির প্রবৃদ্ধ কোণটি হবে = ৩৬০ – ৩০ = ৩৩০ ডিগ্রী।


নোট ১ঃ প্রতি ঘন্টায় ২বার করে ২৪ ঘন্টায় ৪৮ বার করার কথা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দুপুর ও রাত ২:০০টা থেকে ২:৫৯ এবং ৮:০০টা থেকে ৮:৫৯ এই ৪ ঘন্টায় ১বার করে সমকোণ উৎপন্ন হয়।

নোট ২: প্রতি ঘন্টায় ১বার করে ২৪ ঘন্টায় ২৪ বার করার কথা, কিন্তু সকাল ও রাত ১১:০০ থেকে ১১:৫৯ এই সময়ে কাটা দুটি একটি অপরটির ওপরে অবস্থান করে না।

নোট ৩: প্রতি ঘন্টায় ১ বার করে ২৪ ঘন্টায় ২৪ বার করার কথা, কিন্তু ভোর ও সন্ধ্যে ৫:০০টা থেকে ৫:৫৯ এই দুই ঘন্টায় কাটা দুটি একটি অপরটির বিপরীতে অবস্থান করে না।

সান্তাক্রুজ দেল ইসলোটে, কলম্বিয়া,,,,,,,,

 "  সবকিছু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্বেও এই দ্বীপ আজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ "


***********************************************


পৃথিবীর বিভিন্ন মহাসাগরের মধ্যে রয়েছে নানারকম অজানা দ্বীপপুঞ্জ। কতগুলি রয়েছে নিজস্ব স্বাধীনতা নিয়ে আবার কতগুলি রয়েছে স্বাধীন রাষ্ট্রের অধীনে। এরকমই একটি অজানা দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে কিছু তথ্য রইল আজ আমাদের এই পর্বে।


সান্তাক্রুজ দেল ইসলোটে, কলম্বিয়া::-- 


কলম্বিয়ার উত্তরে ক্যারিবিয়ান সাগরের মধ্যে অবস্থিত ছোট্ট একটি দ্বীপ সান্তাক্রুজ দেল ইসলোটে। বিভিন্ন ইন্টারনেটের তথ্য থেকে একথা বলা হয় যে এটিই বিশ্বের সবথেকে ঘিঞ্জি দ্বীপ।


বিশ্বের সবচেয়ে ঘিঞ্জি দ্বীপে নেই পর্যাপ্ত পানীয় জল, টয়লেট, হাসপাতাল, নেই কোনও পুলিশ, অসুখ হলে হাসপাতালও নেই। চারধারে সমুদ্র। তবু এ ঘিঞ্জি দ্বীপে দিব্যিই থাকেন কয়েকশো মানুষজন।


শহরে বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে অনেকেই হয়তো বলবেন বিনা পয়সায় থাকতে দিলেও এখানে থাকব না। কারণ এখানে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুরই অভাব রয়েছে। তবুও এইসব নেইয়ের দ্বীপে কিন্তু মানুষের বাস সারা পৃথিবীকেই অবাক করে। এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দ্বীপ।


চারধারে নীল জলরাশির সমুদ্র। তার মাঝে প্রায় ২ একর জমি নিয়ে কোনরকমে টিকে রয়েছে একটা দ্বীপ। সেই দ্বীপেই কমসেকম ১২০০ মানুষের বাস।এই দ্বীপে গায়েগায়ে লেগে আছে বসতবাড়ি। অন্যান্য ঘরবাড়ির সামান্য ফাঁক গলে তবেই নিজের বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়।


এই দ্বীপের বসবাসকারী সাধারণ মানুষের শরীর খারাপ হলে ছোট্ট একটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। সেখানে যেটুকু চিকিৎসা ব্যবস্থা তাতে বড় ধরনের কোন অসুখ করলে  মানুষের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। পানীয় জল সরবরাহের জন্য কোনও জলের পাইপ নেই। দিতে বসবাসকারী মানুষদের সমুদ্রপথে পানীয় জল আনতে হয় দূরবর্তী কলম্বিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে।


দ্বীপটিতে নেই কোন স্থায়ী বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। তবে বর্তমানে কিছু সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে। তাই দিয়ে যেটুকু বিদ্যুৎ জোটে। কোনও রকম প্রশাসনিক বিভাগ নেই এই দ্বীপে। বলা হয় এখানে নাকি চুরি, ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটেই না। এই সব কিছু নেইয়ের দ্বীপেই কিন্তু ঠাসাঠাসি করে বাস করেন মানুষজন।


কিন্তু একথা একবার ভেবে দেখুন তো যেখানে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের অভাব রয়েছে সেখানে এভাবে মানুষের বসবাস সত্যি বিশ্ববাসীকে অবাক করে তোলে। প্রতিদিনের জীবনযাপন





ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল 

 ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে নির্মিত হয়েছিল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। গড়ের মাঠের জেলখানা সরিয়ে তৈরি হয় এই স্মৃতিসৌধ। একটু জোরে হাওয়া দিলেই বিভিন্ন দিকে ঘুরে যায় ভিক্টোরিয়া পরী। জর্জ অরওয়েলের ১৯৩৯ সালে লেখা ‘1984’ উপন্যাসের সেই বিখ্যাত ‘বিগ ব্রাদার ইস ওয়াচিং ইউ’ স্লোগানটার কথা মনে পড়ে? ওই উপন্যাস লেখারও অন্তত আঠারো বছর আগে প্রায় সেই রকমই একটা স্লোগান উঠেছিল গত শতকের বিশের দশকের গোড়ায় কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির পর। কিন্তু কেন? কারণ হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ভবনের মূল গম্বুজের উপরে বসানো সেই বিখ্যাত ‘পরী’!

বিশাল আকার সৌধের প্রধান হলের ঠিক মাথায় রয়েছে একটা গম্বুজ আর গম্বুজের বাইরের দিকে একটা পারা বা মার্কারি দিয়ে ভরা ব্রোঞ্জের গ্লোব। গ্লোবের উপর দাঁড়িয়ে আছে প্রায় সাড়ে ছয় টন ওজনের ব্রোঞ্জের তৈরি এক নারীমূর্তি, বাঁ হাতে একটি লম্বা শিঙা ফুঁকছে। ডান হাতে একগুচ্ছ ফুল, পেছনে দুটো পাখা। মূর্তির বৈশিষ্ট হল, একটু জোরে হাওয়া দিলেই সে ঘুরে যায় বিভিন্ন দিকে। আর তাই নিয়েই সে যুগে তৈরি হয়েছিল নানা গুজব। শোনা যায়, কেউ কেউ রটিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এঞ্জেল ইস ওয়াচিং ইউ’। অর্থাৎ ওই পরী নাকি ব্রিটিশদের চর। ২০০ ফুট উঁচু থেকে চারিদিক ঘুরে কলকাতাবাসীদের উপর নজর রাখছে।

১৯০১ সাধারণাব্দের জানুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু হয়। লন্ডন থেকে মৃত্যু সংবাদের টেলিগ্রাম তৎকালীন ভারতের রাজধানী কলকাতার লাটভবনের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল। পরের দিন থেকেই দেশের অভিজাত সম্প্রদায় রানির মৃত্যুতে শোক পালনের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ল। বাঙালিও অংশ নিল সেই শোক পালনের প্রতিযোগিতায়। পাথুরিয়াঘাটার যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের উদ্যোগে হিন্দু পারলৌকিক বিধি অনুসারে মৃত্যুর তারিখ থেকে বারো দিনের দিন সঙ্গীত সমাজের ব্যবস্থাপনায় অসংখ্য মানুষ মাতৃবিয়োগের সমান শোকচিহ্ন অর্থাৎ সাদা ধুতি ও সাদা উত্তরীয় পরে খালিপায়ে গড়ের মাঠে কীর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করল। পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট অর্থাৎ, বর্তমান বিধান সরণির উপর বিডন স্ট্রিটের সংযোগস্থল থেকে মেছুয়াবাজার স্ট্রিট অর্থাৎ, বর্তমান কেশব চন্দ্র সেন স্ট্রিট পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার উপর ফুটপাথ ধরে চারটি সারিতে কাঙালি ভোজন বা দরিদ্রনারায়ণ সেবা করানো হল। মেনু ছিল— খিচুড়ি, কপির তরকারি, দই, বোঁদে এবং ভীমনাগের দেওয়া সন্দেশ। খিচুড়ি তৈরি করতে লেগেছিল, সাড়ে চার টাকা মণ দামের দেড় শো মণ বালাম চাল, সেই পরীমাণ ডাল, ১২ মণ ঘি, হলুদ, লঙ্কা প্রভৃতি মশলা। সেই সময়ে ভারতের গর্ভনর জেনারেল ছিলেন লর্ড কার্জন। তাঁর প্রস্তাব অনুসারে ভিক্টোরিয়ান যুগের নানা শিল্পবস্তু দিয়ে সাজানো এক স্মৃতিসৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, নাম হবে ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল’। ময়দানের দক্ষিণ অংশে ক্যাথিড্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর যেখানে আগে একটা জেলখানা ছিল, সেই জায়গা পছন্দ হল কার্জন সাহেবের। সৌধ তৈরির জন্য সেই জেলখানাকে সরিয়ে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হল আলিপুরে। সেটাই এখন আলিপুর সেন্ট্রাল জেল নামে পরীচিত, যা আবার এখন স্বদেশি মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়েছে। ৫৪ একর জমির উপর সেই সৌধ তৈরির কাজ শুরু হল। ১৯০৬-এর ৪ জানুয়ারি, রানির নাতি জর্জ প্রিন্স অফ ওয়েল্‌স, বা পরবর্তীকালের রাজা পঞ্চম জর্জ, কলকাতায় এসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গেলেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের। স্যর উইলিয়ম এমারসনের নকশায় বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে সাদা মার্বেলের এই সৌধ তৈরি হতে সময় লেগেছিল প্রায় পনেরো বছর। খরচ হয়েছিল এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা, যার সবটাই এসেছিল রাজা-মহারাজা ও সাধারণ মানুষের দেওয়া দান থেকে। মাটি থেকে ৮ ফুট উঁচু, ৩৯৬ ফুট লম্বা এবং ২২৮ ফুট চওড়া মূল সৌধের চারদিকে চারটে টাওয়ার। ভিতরের দুটো তলা মিলিয়ে অনেকগুলো ঘর সাজানো হল বিভিন্ন শিল্পবস্তু দিয়ে। ১৯২১ সাধারণাব্দের ২৮ ডিসেম্বর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দ্বার উদ্ঘাটন করেন প্রিন্স ওফ ওয়েলস এডোয়ার্ড অ্যালবার্ট।



চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজ করছেন তিনি 

 চাকরি ছেড়ে কৃষিকাজ করছেন তিনি 


মে ৩০, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের একজন উচ্চশিক্ষিত তরুণ, শহরের চাকরি ছেড়ে নিজের হোমটাউনে ফিরে বেছে নিলেন কৃষকের পেশা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি এখন দারুণ সফল। কিভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাফল্য পেলেন এই তরুণ কৃষক, চলুন শোনা যাক সেই গল্প। 


ফসলের ক্ষেত। এখানে ড্রোনের মাধ্যমে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে বাড়ছে উৎপাদন। ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন তরুণ কৃষক। নাম তার থাং সিনছেন। 


থাং সিনছেন বলেন, ‘শুরুতে আমি শুধু চেয়েছিলাম নতুন ব্যক্তিগত মূল্য ও নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার করতে। সেইসময় আমি স্থানীয় কিউয়ি শিল্পকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ফিরে আসি। বেশ গভীরভাবে গবেষণা করে বুঝতে পারি যে, সমস্যাগুলো শুধু যে পণ্য বিক্রির সময় হয় তা নয়, চাষের কাজ চলার সময়ও নানা রকম সমস্যা হয়। এখানে যে ফলগুলো উৎপন্ন করা হতো সেগুলো আকার আকৃতিতে স্টান্ডার্ড এর চেয়ে ছোট।’ 


দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু সিটির ছিয়ংলাই কাউন্টির বাসিন্দা থাং একজন উচ্চশিক্ষিত তরুণ। দুই বছর আগে ২৮ বছর বয়সী থাং সিনছেন ছেংতু সিটির একটি ইন্টারনেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি সেই চাকরি ছেড়ে তার হোমটাউন ছিয়ংলাই কাউন্টিতে চলে আসেন। তিনি ১৩ হেকটর এলাকার একটি ফলের বাগান এবং ৬৬ হেকটর জমিতে ধানক্ষেত গড়ে তোলেন। 


তিনি তার খামার সাজিয়ে তোলেন ড্রোন, সেন্সর এবং অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি দিয়ে। তিনি তার উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করেন। তিনি চার হেকটর জমিতে কিউয়ির পরিবর্তে কমলার চাষ শুরু করেন। তিনি ৯.৩ হেকটর জমিতে  পুরনোর বদলে নতুনভাবে কিউয়ি গাছ লাগান। মাটির গুণগতমান উন্নত করেন। গতানুগতিক চাষপদ্ধতির সমস্যাগুলো মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন করেন।

থাং সিনছেন আরও বলেন,  আমরা যখন নতুনভাবে ফলের বাগান সাজাই তখন যন্ত্রপাতি , স্বয়ংক্রীয় যান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু জায়গা ছেড়ে রাখি।’ 

তিনি উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে উৎপাদিত ফল বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি এআই সরটার প্রয়োগ করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানসম্পন্ন ফল বেছে নেয়া হয়। তিনি ইন্টারনেটে শর্ট ভিডিও তৈরি করে প্রেচার করতে থাকেন। তার শর্ট ভিডিওগুলো লাখ লাখ ভিউ হয়। গত বছর ৫০ হাজার কিলোগ্রাম কমলা এবং ৫০ হাজার কিলোগ্রাম কিউয়ি বিক্রি করেন। 

থাং সিনছেন বলেন, ‘ আমাদের লক্ষ্য হলো উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনে সমস্যা দূর করা। বাজারের রুচির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, বিশাল পরিমাণে উৎপাদন এবং হাজার হাজার কৃষক যেন গ্রহণ করে সেটি দেখতে হয়।’


তিনি বেশ কিছু নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন এবং ফল উৎপাদনে সাফল্যও পেয়েছেন। কৃষিখামারে তার এই সাফল্য চীনের বর্তমান গ্রাম পুনরুজ্জীবনের ধারায় ইতিবাচক অবদান রাখছে। 


শান্তা/মিম 

তথ্য: সিসিটিভি 

China_Agriculture

আজকের দিনে, ৩০শে মে  জোয়ান অব আর্ককে নির্মম ভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।

 আজকের দিনে, ৩০শে মে  জোয়ান অব আর্ককে নির্মম ভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।


১৪১২(৬ জুলাই) থেকে ১৪৩১(৩০ মে)মাত্র উনিশ বছরের জীবন। দুনিয়া কাঁপানো যুদ্ধ করে বিদায় নিয়েছিলেন এই বীরকন্যা। তাঁর মৃত্যুকে নিয়ে রচিত হয়েছে গান,কবিতা, উপন্যাস, চলচ্চিত্র। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্মৃতির মণিকোঠায় তিনি বেঁচে থাকবেন তার দেশভক্তি ও অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে।


ফ্রান্সের মিউজ নদীর তীরে দঁরেমি গ্রামে জোয়ানের জন্ম হয়েছিল এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। লেখাপড়া জানতেন না।জোয়ান যখন জন্মেছিলেন ফ্রানস তখন পরাধীন। ইংরেজদের দখলে। ১৩ বছর বয়েসে একদিন ভেড়ার  পাল চড়াতে গিয়ে হঠাৎ দৈববাণী শুনলেন, তুমিই  ফ্রানসকে মুক্তি দিতে পারবে। ফ্রানসের হয়ে যুদ্ধ কর। জোয়ান বিস্মিত হয়ে গেলেন! ফ্রানসের সম্রাট  তখন ৭ম চার্লস  লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন। বহু চেষ্টায় এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির সহায়তায় জোয়ান দেখা করলেন সম্রাট চার্লসের সঙ্গে।প্রথমে চার্লস নারী বলে তাঁকে গুরুত্ব দেননি। পরে ধর্ম যাজকদের পরামর্শে তাঁকে সেনাবাহিনীতে নিলেন। জোয়ান নাইটদের মত  পুরুষের ছদ্মবেশে যোদ্ধার সাজে সজ্জিত হলেন। এরপর জোয়ান সাদা পোশাক,  সাদা ঘোড়া, পঞ্চক্রুশধারী তরবারি হাতে ৪০০০হাজার সৈন্য নিয়ে ফ্রানসের অবরুদ্ধ নগরী অরলেয়াঁরে ১৪২৯, ২৮ এপ্রিল প্রবেশ করলেন। এবং প্রবল বীরত্ত্বে অরলেয়াঁরকে মুক্ত করলেন। এরপর  একের পর এক নগরীকে তিনি ইংরেজদের হাত থেকে দুর্দান্ত প্রতাপে সেনাবাহিনীর সাহায্যে মুক্ত করে ফ্রানসকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে দিলেন। সম্রাট চার্লসকে তার সিংহাসনে ফিরিয়ে আনলেন।

এই সময় প্যারিসের কাছে এক যুদ্ধে বার্গেডিয়ানরা তাঁকে আটক করে ইংরেজদের হাতে তুলে দিল। বার্গেনডিয়া হল ফ্রানসের  একটি জায়গার নাম। সেখানকার শাসনকর্তা ডিউক ছিলেন ইংরেজের বন্ধু।সে বিশ্বাসঘাতকতা করে জোয়ানকে ইংরেজের হাতে  তুলে দেয়। ইংরেজ এ সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। তাদের মূল শত্রু জোয়ানকে হাতে পেয়ে এবার বিচারের নামে প্রহসন শুরু করল। (ভারতবর্ষও এই বিচার প্রহসনের সাক্ষী আছে যখন সেই সময়ের অতি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিগনের বিশ্বাসঘাতকতায় লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ ফৌজের যুদ্ধোপরাধী হিসেবে লোক দেখানো বিচার শুরু হয়)। এই কাজে ইন্ধন দিলেন দেশের ধর্ম যাজকরা। তাঁরা বলল, জোয়ান যা করেছে তা ধর্ম বিরোধী। পুরুষ সেজে যুদ্ধ করে ধর্মের অবমাননা করেছে। ও ডাইনি। বিচারে রায় দেওয়া হল জোয়ানকে পুড়িয়ে মারার। এরপর জোয়ানকে একটি পিলারের সঙ্গে বাঁধা হল। এইসময় জোয়ান একটা ক্রুশ চাইলেন। একজন এসে জোয়ানের গলায় একটি ক্রুশ ঝুলিয়ে দিল। অবশেষে জোয়ানকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হল। এরপরই জোয়ানের সেই পুড়ে যাওয়া দেহের ছাই ফ্রান্সের শ্যেন নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু তিনি শতশত নারীর প্রেরণাদায়ী হয়ে মানুষের

মনে এখনও অমর হয়ে আছেন।


সৌজন্যে  --- বাংলা উইকিপিডিয়া।


ছবিটি গুগল থেকে সংগৃহীত।



লিওনার্দো ভিঞ্চি এর মোনালিসা রহস্যে ঘেরা এক সৃষ্টিকর্ম।

 🎨 ভিঞ্চি তার জীবনের ১৬ বছর মোনালিসা আঁকতে কাটিয়ে দিলেন (The Louvre says 1503 – 1519.. 16 years)। 


লিওনার্দো ভিঞ্চি এর মোনালিসা রহস্যে ঘেরা এক সৃষ্টিকর্ম।

তুলিতে এই ছবি আকতে গিয়ে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি রেখে গেছেন অসংখ্য রহস্য! 


সালটা ১৫০৩,যখন ভিঞ্চি মোনালিসা আকা শুরু করেন এবং আঁকার সময় তিনি রহস্যজনকভাবে মৃত্যবরণ করেন। ১২ বছর,  মতান্তরে ১৬ বছর সময় নিয়ে আঁকা মোনালিসা এর ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান! অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি তা অসম্পূর্ণ ছিলো।


ভিঞ্চি মোনালিসাকে এঁকেছিলেন পাতলা কাঠের উপর, কোন কাগজে নয়।  অবাক করার বিষয় হলো মোনালিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসার হাসি পরিবর্তীত হয়!


এ যেন এক রহস্যময়ী নারীর হাসি!


১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে। কিন্তু ছবিটা

মিউজিয়ামে কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা! কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখিনি!!


রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি ১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়! রাতের আধারে চোরকে দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সে বলেছিল সে চোরকে দেখেছে। সেই চোর আর কেউ নয়, প্রায় ৩৫০ বছর আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি! 


১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া যায়। লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ

কক্ষ তৈরী করে। হয়ত ভাবছেন একটা ছবির জন্য


এতো টাকা খরচ!! এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা কিছুই নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০ মিলিয়ন ডলার।


টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা!! মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও দিয়ে যাননি। ২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে


অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা শুরু করেন।


২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার করেন যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার স্তর ৪০ মাইক্রোমিটার। অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা! পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়।সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই আঁকছিলেন। কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে দিয়েছে!


সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়। মোনালিসাকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে হাসছে। কিন্তু কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে মনে হয় সে গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে। মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে হাসিখুশি মনে হয়। কিন্তু তার ঠোটের দিকে তাকালেই সে হাসি গায়েব!


সান্দারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার ছবির বামপাশ থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি ব্যাবহার করে ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার করে। বার্তাটি ছিল " লারিস্পোস্তা শ্রী

তোভাকি"। যার অর্থ "উত্তরটা এখানেই আছে।" যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন?" প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।


অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে দেয়ার মত! ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"। সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে দেখেছিলেন!

ছবিটা একটা এলিয়েনের...ভিনগ্রহের এলিয়েন!!



সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ০১-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ০১-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


আজ সারাদেশে পালিত হচ্ছে ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন। 


বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার - নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। 


দুর্নীতিবাজদের তালিকা করলে সবার আগে আসবে বিএনপি নেতাদের নাম - মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের। 


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে, আর কোন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না - দৃঢ়ভাবে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 


গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নতুন ইসরাইলি প্রস্তাব মেনে নিতে হামাসের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বান।


দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এএনসি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর জোট সরকার হচ্ছে দেশটিতে।


নিউইয়র্কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে আজ বাংলাদেশ।

বই পড়লেই কেউ জ্ঞানি হয়ে যাবে ব্যাপারটা আসলে তা না। বই পড়লে অনেক কিছু বদলে যায় এবং সুবিধা পাওয়া যায়।

 বই পড়লেই কেউ জ্ঞানি হয়ে যাবে ব্যাপারটা আসলে তা না। বই পড়লে অনেক কিছু বদলে যায় এবং সুবিধা পাওয়া যায়। নিচের দশটি কারণে প্রতিটি মানুষেরই সময় পেলেই নিয়মিত বই পড়া দরকার- 


১) মানসিক উদ্দীপনা বাড়াতে: স্থবির মনের উদ্দীপনা বাড়াতে বইয়ের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।


২) স্ট্রেস কমানো : খুবই মানসিক চিন্তায় আছেন। সুন্দর একটি বই পড়া শুরু করুন। দেখবেন অবসাদ কমে যাচ্ছে।


৩) জ্ঞান বাড়াতে : কথা একটাই বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার।


৪) শব্দভাণ্ডার বিস্তার : একমাত্র বই পড়ার মাধ্যমেই আপনি নতুন শব্দভাণ্ডারে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।


৫) স্মৃতি উন্নয়ন : বই আপনার স্মরণশক্তি বাড়াতে দারুণ এক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।


৬) বিশ্লেষণাত্মক চিন্তার দক্ষতা : বই পড়ার মাধ্যমে আপনার যেকোনো একটা বিষয়ে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অথবা দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।


৭) চিন্তার উৎকর্ষতা : শুধু যে আপনি ভালো বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অর্জন করবেন তা না। ভালো বই পাঠ চিন্তার উৎকর্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।


৮) ভালো লেখার ক্ষমতা : বই পড়লে শুদ্ধ করে, সুন্দর শব্দ চয়নে লিখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


৯)প্রশান্তি : মানসিক প্রশান্তি বাড়াতে বইয়ের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।


১০) বিনোদন : নির্জনতায় নিজের মতো করে শব্দহীন বিনোদন চান। নিজের মাঝে নির্মল পরিবেশের সুন্দর একটি আবহ তৈরি করতে চান। 

তবে বই, বই আর বই।


তাই বই পড়ুন জীবনের জন্য।

(বিঃদ্রঃ  এছাড়াও আরো একাধিক কারণ আছে, আপনাদের কাছে থাকা কারণগুলো লিখুন আমি এড করে নিব।)


সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...