এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

 প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

১। একজন কয়েদীর কথা জানি। কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪, ২৭ বছর জেলে থাকার পরেও তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন।

- তিনি নেলসন মেন্ডেলা


২। আরেক পিতৃপরিচয়হীন যুবকের কথা জানি। তার থাকার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের মেঝেতে ঘুমাতেন। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতেন, যেটা দিয়ে খাবার কিনতেন। প্রতি রোববার রাতে তিনি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।

- তিনি অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও স্টিভ জবস


৩। আরেক যুবকের নাম জানি, মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।

- তিনি বিল গেটস


৪। আরেক এতিমের কথা জানি। ১১ বছর বয়সে এতিম হন। ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

অনেক বিখ্যাত বইয়ের লেখন তিনি তার মধ্যে “আমার বিশ্ববিদ্যালয়” একটি, যদিও তিনি কোনদিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সুযোগ পান নাই।

- তিনি বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার আর রাজনীতিবিদ

-মাক্সিম গোর্কি


৫। আরেকজন, বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারে এতই অভাব ছিলো যে, স্কুল নাগাদ পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিলো। সেই ব্যক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিরাট বিপ্লবী নেতা।

- তিনি চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং


৬। এমন একজনকে জানি যিনি অভাবের তাড়নায় কুলিগিরি করতো। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের

কাজের জন্য গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি অংকে পারদর্শী নয় বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। নাম

- জন মেজর


৭। আরেক ছেলের বাবা-মা এতটাই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দু’দিন দেরি হয়। কে জানেন? সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী! নাম

- রোনাল্ডো


৮। বাবা ছিলো জেলে। ছেলেকে সাথে করে বাবা মাছ ধরতো কারন অন্য স্বাভাবিক আর ১০ জন থেকে তিনি পানির নিচে মাছকে খুব ভালোভাবে দেখতে পেতেন। সেই জেলের ছেলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার। নাম

-জয়সুরিয়া


৯। পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন তিনি। কোনো কিছু মনে থাকত না। ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে থাকতেন। ফেল করেছেন বারবার। ক্লার্ক এর চাকরিও করেছেন তিনি। পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার থিউরি অফ রিলিটিভিটি দিয়ে। নোবেলও পেয়েছেন তিনি। তার নাম

- আলবার্ট আইনস্টাইন


১০। ক্লাসের সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছিলো তাকে। তিনি পৃথিবী আলোকিত করেছেন তাঁর আবিষ্কার দিয়ে। তাঁর নাম

-টমাস আলভা এডিসন


১১। শব্দগুলোকে তিনি উল্টা লিখতেন। পড়ালেখায় একদম শুন্য। উড়োজাহাজ আবিস্কারের ৪০০ বছর আগে তিনি উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন। তিনি

- লিওনার্ড ডা ভিঞ্চি


১২। পরীক্ষায় তিনি সবসময় ফেল। ২২টা একাডেমিক পুরষ্কার জিতেছেন জীবদ্দশায়। তিনি মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক এর জন্মদাতা। মিকি মউসের গলার স্বর তার নিজের দেওয়া। তিনি

-ওয়াল্ট ডিসনি


১৩। শব্দের খেলা তিনি বুজতেন না। 7 নাম্বারকে তিনি বলতেন উল্টা নাক!! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন কবি, লেখক, পেইন্টার, কেমিস্ট, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর। তিনি

- পাবলো পিকাসো।


পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষই ইউনিক, তার ভাবনাগুলি তার মতই। সবাই যা পারে, আমাকেও তা-ই পারতে হবে, এমন কিছুতো নয়! শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে কেন? আমাদের সমস্যাটা ওইখানেই।


আমাদের প্রত্যেক ঘরে ঘরে Toppers আর Rankers চাই। জিপিএ ৫, গোল্ডেন পেতে হবে! সবাইকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, ম্যাজিস্ট্রেট.... হতেই হবে!! আঙ্গুলকে টেনে লম্বা করতেই হবে, যেভাবেই হোক...! দরকার হলে আঙ্গুল ভেঙ্গে যাক!!


একটা কথা মনে রাখতে হবে, "পৃথিবীতে সবাই

জিনিয়াস, কিন্তু আপনি যদি একটি মাছকে তালগাছ বেয়ে ওঠার ক্ষমতা দিয়ে বিচার করেন, তবে সে সারাজীবন নিজেকে অপদার্থই ভেবে যাবে"

.... আলবার্ট আইনস্টাইন।

Copied from one of my friend'd timeline.

নূরজাহান : ইতিহাসের অলিখিত এক সম্রাজ্ঞী!

 নূরজাহান :

ইতিহাসের অলিখিত এক সম্রাজ্ঞী!


সম্রাটদের সবাই চেনেন। তবে, সম্রাটদের পেছনে রাজ্যপরিচালনায় যুগে যুগে এমন অনেক সম্রাজ্ঞী কাজ করেছেন, যাদের নাম মানুষ জানে না। আর যদি জেনেও থাকে, সেটাও শুধু একজন রানি বা সম্রাটের প্রেমিকা হিসেবে। কিন্তু শুধু নামে সম্রাজ্ঞী ছিলেন না ইতিহাসের সমস্ত সম্রাটের রানিরা। আর তেমনই এক সম্রাজ্ঞীর কথাই আজ বলব আপনাদের। বলছিলাম নূরজাহানের কথা।


নূরজাহান নিয়ে গান আছে, বই আছে। মানুষ নূরজাহান নামের একজন নারীর কথা জানে। নিশ্চয় আপনিও শুনেছেন এই নাম। কিন্তু কে ছিলেন নূরজাহান? একজন কাঠপুতুলের মতো সম্রাজ্ঞী? একদম নয়! নূরজাহান ছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মানুষ। সম্রাট অন্য কাউকে দেখে এতো বেশি খুশি হননি, যতটা নূরজাহানকে দেখে হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হতে সময় লেগেছিল যদিও।


নূরজাহান শব্দের অর্থ জগতের আলো। এই নারী জন্ম নেন ১৫৭৭ সালে। মেহেরের বাবা ছিলেন গিয়াস বেগ। তার বাবা গিয়াস বেগ ও মা যখন তেহেরান থেকে ভাগ্যের সন্ধানে হিন্দুস্তান আসছিলেন তখন পথের মধ্যেই নির্জন মরু প্রান্তে এক বাবলা গাছের তলায় জন্ম হয় মেহের উন নিসার।


গল্প শোনা যায় যে, এই সময় গিয়াস বেগ ও তার পত্নী এমন দুর্দশায় পড়েছিলেন যে মেয়েকে বাঁচাবার কোনো উপায় না পেয়ে তারা পথের মাঝেই মেয়েকে শুইয়ে রেখে রওনা হন। আশা ছিল কোনো সহৃদয় ব্যক্তি যদি তাকে পায় নিয়ে আশ্রয় দেবে। কিন্তু কিছুদূর যাবার পরই শিশু কন্যার কান্না শুনে তারা আর থাকতে পারলেন না। ফিরে এসে মেয়েকে বুকে চেপে নিঃসহায়, নিঃসম্বল গিয়াস বেগ এসে পৌঁছালেন লাহোরে। এবার তার ভাগ্য পরিবর্তন হল। আকবর বাদশার সুনজরে পড়েন তিনি, আর ছোট মেয়ে মেহেরের স্থান হলো মুঘল হেরেমে।


জাহাঙ্গীর তখনও সম্রাট হননি। তিনি খুব পছন্দ করে ফেলেন মেহের উন নিসাকে। কিন্তু মেহের উন নিসার বিয়ে হয়ে যায় শের আফগানের সাথে। জাহাঙ্গীর প্রচণ্ড চেষ্টা করেন শের আফগানকে মেরে ফেলার। কয়েকবার চেষ্টা করেও অবশ্য সফল হননি তিনি। শের আফগান ছিলেন অসম্ভব শক্তিশালী। ফলে শের আফগানের কাছের মানুষদের সাহায্য নেন জাহাঙ্গীর এ সময়। আর এভাবে তিনি সফলও হন।


পরবর্তী সময়ে শের মারা গেলে জাহাঙ্গীরের সাথে বিয়ে হয় নূরজাহানের। মেহেরের নাম এ সময় বদলে ফেলেন সম্রাট। নূরজাহান ঘরে বসে থাকার পাত্রী ছিলেন না। জানা যায়, অন্যান্য সম্রাজ্ঞীদের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী ছিলেন তিনি। প্রায়ই সম্রাটের সাথে বাঘ শিকারে যেতেন নূরজাহান। শক্তিশালী বাঘ শিকারি হিসেবে তার খ্যতি ছিল। কথিত আছে তিনি ৬টি গুলি দিয়ে ৪টি বাঘ শিকার করেছিলেন। তার বীরত্বের কবিতাও লিখেছেন অনেক কবি। একসময় সম্রাটের বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন এই নারী।


ইংরেজ দূত টমাস রো সে সময় খুব কাছ থেকে দেখেন নূরজাহান ও সম্রাট জাহাঙ্গীরকে। তিনি লিখে গেছেন যে, সে সময় নূরজাহানই আসলে দেশ শাসন করতেন। জাহাঙ্গীর ছিলেন নামকে ওয়াস্তে সম্রাট। সেই সময়কার মুদ্রাতে জাহাঙ্গীর এর সঙ্গে নূরজাহানের ছবিও ছাপা হতো।


নূরজাহান নিজে ছিলেন কবি। তার কবরের গাঁয়ে তার রচিত দুটি লাইন দেখতে পাওয়া যায়। ফরাসিতে লেখা। কবি সত্ত্যন্দ্রনাথ দত্ত বাংলায় অনুবাদ করেন লাইনগুলো :


“গরিব গোরে দ্বীপ জেলো না,


ফুল দিও না কেউ ভুলে,


শ্যামা পোকার না পোড়ে পাখ,


দাগা না পায় বুলবুলে।"


নূরজাহান শেষ জীবনে খুব একটা ভালো ছিলেন না। সিংহাসন দখল আর এই সংক্রান্ত চক্রান্তই ছিল এর পেছনের মূল কারণ। নূরজাহান নিজের প্রথম পক্ষের মেয়ের স্বামীকে সিংহাসনে দেখতে চেয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের সন্তান শাহজাহান এতে করে ক্ষেপে যান। তিনি জাহাঙ্গীরকে বন্দি করেন। সেখান থেকে সম্রাটকে বের করে আনেন নুরজাহান। পালিয়ে যান দূরে। ১৬৪৫ সালে ১৭ ই ডিসেম্বর ৬৮ বছর বয়সে মারা যান এই নারী।

কলমে Utpal Kanti Dhar 

সূত্র : ডন, হিস্টোরিফররয়ালউইম্যান ; Odhikar news

ি

ভাটিয়ালি """"""""""""""" "কে যাস রে ঐ ভাটির গাঙ বাইয়া..."

 ভাটিয়ালি

"""""""""""""""

"কে যাস রে ঐ ভাটির গাঙ বাইয়া..."


   মাটির সুরে বাংলার লোকায়ত গানের কথা বলতে গেলে যে গানের কথা সর্বাগ্রে মাথায় আসে তা হল 'ভাটিয়ালি' গান। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলের একটি  অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত ধারা। ভাটি অঞ্চল মূলত মেঘনা নদীর অববাহিকা এবং ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর-পূর্ব দিকের হাওড়, বাওড়, খাল বেষ্টিত এক বিশাল ভূভাগ।বাংলাদেশের নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিবগঞ্জ, ব্রাহ্মণবেড়িয়াসহ এদেশের আসামের শিলচর, করিমগঞ্জ মিলিয়ে সাতটি জেলার প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এই ভাটি অঞ্চলের অন্তর্গত। এই বিস্তীর্ণ জনপদ ঘিরেই ভাটিয়ালি গানের সৃষ্টি, চর্চা ও প্রসার। আনুমানিক ১৩৫০ খ্রীষ্টাব্দে বাংলা সাহিত্যর অন্ধকার যুগ শেষ হয়ে মধ্যযুগ শুরু হওয়ার সাথে সাথে পূর্ববঙ্গে বাংলার আদি লোকসঙ্গীতে ভাটিয়ালি গানের বিকাশ ঘটতে থাকে।


     ভাটি অঞ্চলের ঋতু দুটি - বর্ষা আর হেমন্ত। হেমন্তে নতুন ধান উঠলে গ্রামের মেয়ে বউরা দল বেঁধে মেতে উঠতো "ধামাইল" গানে। তাই বর্ষাতেই ভাটিয়ালি বেশি গাওয়া হতো। সাধারনত বৈশাখের শেষে বা জৈষ্ঠ্যের শুরুতেই ভাটি অঞ্চলে বর্ষা শুরু হয়, উজানের জলে নদ, নদী, খাল, বাওড় প্লাবিত হয়।ভাটির জনপদ কর্মহীন হয়ে পড়ে। জল একটু নামতেই ভাটির টানে  ফিরে আসে উৎসবের মেজাজ, ঘর থেকে বের হয় নৌকা। মাঝি মল্লার ভাটি গাঙে নাও ভাসিয়ে  আপন মনে গাইতে থাকে ভাটির সেই মন কাড়া সুরে,-

   মন মাঝি তোর বৈঠা নে রে,

  আমি আর বাইতে পারলামনা।

আবার কখনও 

তুমি কার বা বুকের মানিক ওগো, কার বা ঝিয়ারী।                                                                                                             কাঁন্দো কেন নদীর ঘাটে, তোমার নেই কি ঘরবাড়ি।


    ভাটির দিকে পাল তোলা নৌকার ক্ষেত্রে যেহেতু শুধু হাল ধরলেই নৌকা চলে, তাই দীর্ঘ নদীপথের অলসতা কাটাতে সবাই নৌকার ছইয়ের উপরে বসে একজন হাল ধরে বাকীরা মজে যেত ভাটিয়ালি গানে।মাসের পর মাস বাড়ি ছাড়া মাঝিদের আকূল পরানের কষ্ট দূর হতো নানা বিরহ বিচ্ছেদের ভাটি সুরে। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে শোনা গ্রাম্য যুবক যবতীদের প্রাণে তুলতো প্রেমের ঢেউ।কেউবা স্বজন বিয়োগের অতীত রোমন্থনে একাত্ম হতো মাঝির সুরের সাথে। তাই বোধহয় গবেষক নির্মলেন্দু ভৌমিক যথার্থ বলেছেন,"ভাটিয়ালি গান যত না নদী-প্রান্তরের গান, ঢের বেশি কোনো একটি বিশেষ অঞ্চলের(পূর্ববঙ্গের ভাটি অঞ্চল) গান।" আবার কতিপয় গবেষকগন ভাটিয়ালি গানের উদ্ভাবক হিসেবে দূর পথের বাণিজ্য নৌকায় সওয়ার হওয়া মাঝি মল্লারদেরকেই মনে করেন। ফিরতি বাণিজ্য পথে নদীর দু'ধারের অনেক দৃশ্য মাঝিদের মনে গানের জন্ম দিত। নৌকার পালের সঙ্গে মন পালকেও ভাসিয়ে দিয়ে তারা গাইতো -

কলসী কাঁখে যায়গো কইন্যা

নদীর প্রান্ত দিয়া।                                                                           ফিইরা ফিইরা চায় কেন সে

কাঁইপে যে মোর হিয়া রে..।।


     বাউল সাধকরা মনে করেন, ভাটিয়ালী কখনই দেহতত্ত্বের গান নয়, এ গানে প্রকৃতি তত্ত্বই প্রাধান্য পায়। অনেকে বলেন - এ গান মূলত গ্রামীন মানুষের প্রেম বিরহ হতাশা নৈরাশ্য নিয়ে তৈরী হলেও পরবর্তীকালে এর সাথে ধীরে ধীরে বাউল দর্শন ও আধ্যাত্মিক রস মিশেছে। ভাটিয়ালি গান মূলত রচনা হয় - মাঝি, নৌকা, দাঁড়, পাল, গুন এগুলিকে নিয়ে। তবে এর মধ্যদিয়ে নদী পাড়ের গ্রামীণ জনজীবন, নর-নারীর প্রেম, বিরহ, ভালোবাসা, নৈরাশ্য, আকূলতা ব্যক্ত হয়। মাঝি নৌকার সাথে সম্পর্কিত হওয়ায় এ গানকে অনেক সারি গানের কাছাকাছি ভাবেন। সুরের প্রাধান্য ভাটিয়ালি গানের একটি বিশেষ গুণ।


     আসলে ভাটিয়ালি কোনো কাব্য বা ছন্দ নয়, এটা একটা সুর। উদ্ভবকালে এ সুর নৌকা মাঝির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও কালক্রমে তা সাধারন মানুষ, রাখাল, কৃষক, বাড়ির গৃহিনীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, এমন কি বাউল, মুর্শিদি গানেও এ সুর প্রভাব বিস্তার করে। বিশিষ্ট গবেষক আশুতোষ ভট্টাচার্য বাংলার লোকসাহিত্য গ্রন্থে যথার্থ বলেছেন,-"অন্তরের সুগভীর ভাব ও সুক্ষ্মতম অনুভূতি প্রকাশ করিবার ভাটিয়ালির যে শক্তি, তাহা বাংলার আর কোনো সঙ্গীতে নাই।"


     ভাটিয়ালি গানের লয় বিলম্বিত,সুর করুন, উদাসীন ও বিবাগী। রচনার দিক থেকে নিতান্ত সহজ সরল হলেও এর মাহাত্ম্য এটাই যে মুহূর্তের মধ্যে এ গানের গভীর বেদনার্ত ও অতলাশ্রয়ী সুর মনকে আন্দোলিত করে মধুর আবেদন তৈরী করে দেয়। হৃদয় বিগলিত হয় গায়কীর সকরুণ আবেশে। কিন্তু যান্ত্রিকতার গ্রাসে বাংলার নদী, খাল, বাওড় কমছে। এখন আর সেই পালতোলা সওদাগরী নৌকার দেখা মেলেনা, ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার জনপ্রিয় লোকধারার এই ভাটিয়ালি গান।


--- নির্মল সরকার।  বৈঠা, বগুলা নদীয়া,,,,



সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ০৩-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ০৩-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে যেসব দেশ সহযোগিতা করবে তাদের সঙ্গেই কাজ করবে সরকার - বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউট নেতৃবৃন্দের প্রতি  রাষ্ট্রপতির আহ্বান।


পঁচাত্তর-পরবর্তী কোনও শাসক ও সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি, যা করে দেখিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার  - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 


ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে - জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী । 


পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু - পাওয়া যাবে অনলাইনে।


গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে মালদ্বীপ।


ঢাকায় বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আজ নেপালের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ০২-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ০২-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


আজ অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক (ত্রৈবার্ষিক) সাধারণ সভা - উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। 


রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ও তাদের উন্নয়নে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও  অংশীদারদের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে জোরালো আহ্বান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 


বাংলাদেশের জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা।


পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে আজ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে - শতভাগ টিকেট বিক্রি অনলাইনে।


টিসিবির জুন মাসের পণ্য বিক্রি শুরু আজ থেকে।গাজার রাফা ক্রসিং পুনরায় খুলে দিতে আজ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে বৈঠকে বসছে মিশর।


যুক্তরাষ্ট্রে পর্দা উঠলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের নবম আসরের -উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।

রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

ইউরোস, সম্পূর্ণ নলখাগড়ার তৈরী বিষ্ময়কর এক গ্রাম

 " ইউরোস, সম্পূর্ণ নলখাগড়ার তৈরী বিষ্ময়কর এক গ্রাম "


**********************************************


বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশ এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে রয়েছে একাধিক গ্রাম। সেই সমস্ত গ্রামগুলির মধ্যে কিছু গ্রাম রয়েছে সত্যিই আশ্চর্যের। সেরকমই একটি আজব গ্রামের সম্পূর্ণ তথ্য রইল আজকের পর্বে।


ইউরোস , দক্ষিণ আমেরিকা ::--


দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম আকর্ষণীয় গ্রাম এই ইউরোস। ইউরোস গ্রামটি একটি বিস্ময়কর গ্রাম বললেও ভুল বলা হবে না। শুনলে অবাক হবেন এই গ্রামের পুরোটাই নলখাগড়াতে তৈরি।


এটি পেরু এবং বলিভিয়ার সীমানায় টিটিকাকা লেকে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। এখানকার প্রতিটি ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা শুধুমাত্র নলখাগড়া দিয়ে তৈরি। এ ছাড়াও এই গ্রামটি বালি এবং পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।  


ভাসমান এক প্রকার বাঁশের পাতলা ছড়ি বা পাটের খড়ি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দ্বীপ এই ইউরোস। দূর থেকে এই গ্রাম দেখতে দুর্গের মতো মনে হয়। কারণ এখানকার স্থাপনাগুলো অনেকটাই মিনারের মতো করে তৈরি করা হয়েছে। এই গ্রাম স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারাই তৈরি হয়েছে। 


এখানকার প্রতিটি বাসিন্দা নান্দনিক ও শৈল্পিক কারুকার্যে অত্যন্ত দক্ষ। তারা এই নলখাগড়া দিয়ে শুধুমাত্র তাদের ঘরবাড়িই বানাননি। বানিয়েছেন সেই দ্বীপটিও যেটিতে তারা বর্তমানে এখন বাস করছে। তারা নৌকা বানাতেও এই নলখাগড়া ব্যবহার করে। 


এক কথায় বলতে গেলে এই নলখাগড়া কে ব্যবহার করে তারা তাদের নিজেদের প্রয়োজনের সমস্ত কিছুই তৈরি করেছে। এসব পাটের খড়ি ও নলখাগড়াকে পুঁজি করেই তাদের দৈনন্দিন ও ব্যবসায়িক কাজকর্ম সম্পাদিত হয়।







২  মিনিট সময় নিয়ে লেখাটা পড়লে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন।

 #২ মিনিট সময় নিয়ে লেখাটা পড়লে বদলে যেতে পারে আপনার জীবন।


এক ডিভোর্সি বোনের খোলাচিঠি।


জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।


আমি তেত্রিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের সম্মতিতে। সংসারও টিকে ছিল অনেকগুলো বছর। আমাদের একটা মেয়েও আছে, ওর বয়স ৮ বছর।


আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু বদমেজাজি। অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ রাগের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।


সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার মেজো বোন তো রীতিমত অপমান করত!


আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”


নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।


ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।


একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!


এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।


আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।


আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।


ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।


ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?


আমার ভাইবোন আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।


কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।


কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।


এর পরের কয়েক বছর ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!


আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।


এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো। ভাই মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।


প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তু

,,,,,,,,

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাসঃ

 ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের ইতিহাসঃ


★ ভুতের গলিঃ

এখানে বৃটিশ একজন লোক থাকতেন নাম ছিল Mr. boot, তার নাম থেকে বুটের গলি, পরবর্তীকালে ভুতের গলি নাম হয়েছে। 


★ এলিফ্যানট রোডঃ

পিলখানা হতে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হতো "হাতির ঝিল" এ গোসল করাতে, তারপর "রমনা পার্ক"এ রোঁদ পোহাতো। 

সন্ধ্যের আগেই হাতির দল পিলখানায় চলে আসতো। যাতায়াতের রাস্তাটির নামকরণ সেই কারণে এলিফ্যান্ট রোড। পথের মাঝে ছোট্ট একটি কাঠের পুল ছিলো, যার নামকরণ হোলো "হাতির পুল"


★ ধানমন্ডিঃ

এখানে এককালে বড় একটি হাট বোসতো। হাটটি ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল।


★ গেন্ডারিয়া 

 ইংরেজি শব্দ Grand Area  থেকে এসেছে, এখানে আগের দিনের অভিজাত ধনী ব্যাক্তিগন থাকত। 


★ মহাখালিঃ

মহা কালী নামের এক মন্দীরের নাম থেকে হয়েছে বর্তমানের মহাখালী।


★ ইন্দিরা রোডঃ

এককালে এ এলাকায় "দ্বিজদাস বাবু" নামে  এক বিত্তশালী ব্যক্তির বাসাস্থান, অট্টলিকার পাশের সড়কটি নিজেই নির্মাণ করে বড় কন্যা "ইন্দিরা" নামেই নামকরণ।


★ পিলখানাঃ

ইংরেজ শাসনামলে প্রচুর হাতি ব্যবহার করা হোতো। বন্য হাতিকে পোষ মানানো হোতো যেসব জায়গায়, তাকে বলা হোতো পিলখানা। বর্তমান "পিলখানা" ছিলো সর্ববৃহৎ।


★ কাকরাইলঃ

ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মিঃ ককরেল। নতুন শহর তৈরী করে নামকরণ হোলো "কাকরাইল"।


★ রমনা পার্কঃ 

অত্র এলাকায় বিশাল ধনী রম নাথ বাবু মন্দির তৈরী করেছিলো "রমনা কালী মন্দির"। মন্দির সংলগ্ন ছিলো ফুলের বাগান আর খেলাধুলার পার্ক। 

পরবর্তীতে সৃষ্টি হয় "রমনা পার্ক"।


★ গোপীবাগঃ

গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। নিজ খরচে "গোপীনাথ জিউর মন্দির" তৈরী করেন। পাশেই ছিলো হাজারো ফুলের বাগান "গোপীবাগ"।


★ টিকাটুলিঃ

হুক্কার প্রচলন ছিলো। হুক্কার টিকার কারখানা ছিলো যেথায় সেটাই "টিকাটুলি"।


★ তোপখানাঃ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গোলন্দাজ বাহিনীর অবস্থান ছিল এখানে।


★ পুরানা পল্টন, নয়া পল্টনঃ

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঢাকাস্থ সেনানিবাসে এক প্ল্যাটুন সেনাবাহিনী ছিল, প্ল্যাটুন থেকে নামকরন হয় পল্টন। পরবর্তীতে আগাখানিরা এই পল্টনকে দুইভাগে ভাগ করেন, নয়া পল্টন ছিল আবাসিক এলাকা আর পুরানো পল্টন ছিল বানিজ্যিক এলাকা।


★ বায়তুল মোকারম নামঃ 

১৯৫০-৬০ দিকে প্রেসিডেন্ট আয়ুবের সরকারের পরিকল্পনা পুরানো ঢাকা-

নতুন ঢাকার যোগাযোগ রাস্তার। তাতে আগাখানীদের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বাড়িঘর চলে যায়।

আগাখানীদের নেতা আব্দুল লতিফ বাওয়ানী (বাওয়ানী জুট মিলের মালিক) সরকারকে প্রস্তাব দিলো, তারা নিজ খরচে এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মসজিদ তৈরী করবে। 

এটা একটা বিরাট পুকুর ছিল "পল্টন পুকুর", 

এই পুকুরে একসময় ব্রিটিশ সৈন্যরা গোসল কোরতো। ১৯৬৮ সনে মসজিদ ও মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হয়।


★ পরীবাগঃ

পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর এক মেয়ে ছিল। সম্ভবত পরীবানুর নামে এখানে একটি বড় বাগান করেছিলেন আহসানউল্লাহ।


★ পাগলাপুলঃ ১৭ শতকে এখানে একটি নদী ছিল, 

নাম-পাগলা। 

মীর জুমলা নদীর উপর সুন্দর একটি পুল তৈরি করেছিলেন।

অনেকেই সেই দৃষ্টিনন্দন পুল দেখতে আসত। সেখান থেকেই জায়গার নাম "পাগলাপুল"।


★ ফার্মগেটঃ

কৃষি উন্নয়ন, কৃষি ও পশুপালন গবেষণার জন্য বৃটিশ সরকার এখানে একটি ফার্ম বা খামার তৈরি করেছিল। সেই ফার্মের প্রধান ফটক বা গেট থেকে এলাকার নাম হোলো ফার্মগেট।


★ শ্যামলীঃ

১৯৫৭ সালে সমাজকর্মী আব্দুল গণি হায়দারসহ বেশ কিছু ব্যক্তি এ এলাকায় বাড়ি করেন। এখানে যেহেতু প্রচুর গাছপালা ছিল তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এলাকার নাম রাখেন শ্যামলী।


★ সূত্রাপুরঃ

কাঠের কাজ যারা করতেন তাদের বলা হত সূত্রধর। এ এলাকায় এককালে অনেক শূত্রধর পরিবারের বসবাস ছিলো । সেই থেকেই জায়গার নাম হোলো সূত্রাপুর।

(সংগৃহীত)



দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বার্লি হীরক খনি, , মানব নির্মিত সব থেকে গভীরতম ও বৃহত্তম গর্ত

 " দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলি হীরক খনি, মানব নির্মিত সব থেকে গভীরতম ও বৃহত্তম গর্ত "





************************************************


" কিম্বারলি হীরক খনি " দক্ষিণ আফ্রিকা::--


আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় অন্তরীপের কিম্বারলিতে অবস্থিত কিম্বারলি হীরক খনিকে বলা হয় পৃথিবীতে মানুষের হাতে খোঁড়া গভীরতম এবং বৃহত্তম গর্ত। 


এই হিরের খনির ইতিহাস থেকে জানতে পারা যায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক প্রাথমিকভাবে ২৪০ মিটার পর্যন্ত খনন করে কেবল গাইতি আর বেলচার সাহায্যে এবং এসময় তারা সেখান থেকে ৩ লাখ টনেরও অধিক মাটি অপসারণ করে। পরে অবশ্য জায়গাটি মাটি ও পাথরের ধ্বংসাবশেষ দ্বারা প্রায় ২৫ মিটার অংশ পুরোপুরি ভরাট হয়ে যায়। 


অবশিষ্ট ২১৫ মিটারের ৪০ মিটার জলে ভরে যাওয়ায় বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে মাত্র ১৭৫ মিটার অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা একে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।


দক্ষিণ আফ্রিকার কিম্বারলি ডায়মন্ড মাইন ‘দ্য বিগ হোল’ নামেও অধিক পরিচিত। ১৮৬৬ সালে এখানে প্রথমবারের মতো খনন কাজ শুরু হয় শেষ হয় ১৯১৪ সালে। একে মানুষের হাতে খোঁড়া বৃহত্তম গর্ত বলা হলেও এতে রয়েছে একাধিক বিতর্ক। ‘জ্যাগারসফন্টেইন’ নামে দক্ষিণ আফ্রিকারই অপর একটি খনি কে এই রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন অনেক গবেষক। 


এই খনি থেকে প্রায় তিন হাজার কেজি হীরা উত্তোলন করার পর এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিম্বারলি, জ্যাগারসফন্টেইন কিংবা ব্লুমফন্টেইন বৃহত্তম হীরার খনি যেটিই হোক না কেন, প্রতিটি খনিই স্থানীয় মানুষের অবিশ্বাস্য পরিশ্রম এবং সাহসী পদক্ষেপের নিদর্শন হয়ে আছে।


কক্সবাজার আগমন ইচ্ছুক সম্মানিত পর্যটকগনের প্রতি কিছু পরামর্শ ।

 কক্সবাজার আগমন ইচ্ছুক সম্মানিত পর্যটকগনের প্রতি কিছু পরামর্শ ।

১. বাস থেকে নামার পর নিজেদের ইচ্ছামত অটোতে উঠবেন, অবশ্যই গন্তব্যস্থল উল্লেখ করে ভাড়া ঠিক করে উঠবেন।

২. সম্ভব হলে আগেই হোটেল বুকিং দিয়ে যাবেন। তবে বুকিং দেবার আগে ভাড়া ঠিক করে নেবেন। যারা কক্সবাজার এসে হোটেল ঠিক করতে চান তারা অবশ্যই অটো চালকের কথায় কোন হোটেলে যাবেন না। নিজেরা যাচাই করে, রুম দেখে ভাড়া ঠিক করে হোটেলে উঠবেন।

৩. হোটেলে উঠার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড সাথে আনবেন এবং হোটেলে কপি জমা দেবেন।

৪. বিচে নামার সময় মূল্যবান জিনিসপত্র হোটেলে রেখে আসাই উত্তম। 

৫. কিটকটে বসে কোন ম্যাসেজ বয় কে দিয়ে ম্যাসেজ করাবেন না, ম্যাসেজ বয় দেখলে কিটকটের দায়িত্বে থাকা কর্মিকে সরিয়ে দিতে বলবেন অথবা ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানাবেন। ( ম্যাসেজের আড়ালে তারা আপনার মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে যেতে পারে), ট্যুরিস্ট পুলিশ ম্যাসেজ বয়দের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

৬. কোন ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বিরক্ত করলে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করুন। 

৭. বিচ থেকে ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমাণ হকার মুক্ত করা হবে। আপনারা ভ্রাম্যমাণ হকার থেকে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকুন। 

৮. ফটোগ্রাফার থেকে ছবি তোলার ক্ষেত্রে আগে থেকেই দরদাম ঠিক করে নিতে হবে। সম্ভব হলে তার লাইসেন্স আছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন এবং মোবাইল নাম্বার ও ফটোগ্রাফারের ছবি তুলে রাখবেন।

৯. বিচবাইক, ওয়াটার বাইকে চড়ার ক্ষেত্রে তাদের রেইট নির্ধারণ করে দেয়া আছে, যাচাই করে, দাম ঠিক করে উঠবেন। 

১০. পানিতে নামার ক্ষেত্রে যেখানে লাইফ গার্ড রয়েছে তার আশেপাশে নামার চেষ্টা করবেন।

১১. কোন ধরনের হয়রানি হবার সম্ভাবনা হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিবেন। 

১২. হোটেলে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে মূল্য তালিকা দেখে নিবেন।

১৩. স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

১৪. কক্সবাজার বীচ এলাকা ও এর আশপাশ নিরাপদ তবে সন্ধ্যার পর ঝাউবন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় না যাওয়ায় উত্তম।

১৫. জোয়ার-ভাটার সময় দেখে নিন। ভাটার সময় পানিতে নামবেন না। লাল পতাকা দেখলে বীচে গোসল পরিহার করুন।

১৬. যে কোন আইনী সহায়তা ও হয়রানি প্রতিরোধে যোগাযোগ করুন ডিউটি অফিসার ০১৩২০১৫৯০৮৭, এএসপি ০১৩২০১৫৯২০৯, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ০১৩২০১৫৯০৩৫

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন ২৪/৭ পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় একান্তই কাম্য। 


Collected




সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...