এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪

জমি পরিমাপের পদ্ধতিঃ ইংরেজ বিজ্ঞানী গ্যান্টার জরিপ কাজে ব্যবহৃত চেইন আবিস্কার করেন

 জমি পরিমাপের পদ্ধতিঃ ইংরেজ বিজ্ঞানী গ্যান্টার জরিপ কাজে ব্যবহৃত চেইন আবিস্কার করেন। তাই তার নামানুসারে এ চেইনের নামকরন করা হয়েছে“গ্যান্টর্র্স চেইন”। এ চেইনের দের্ঘ্য ২২ গজ বা ৬৬ ফুট। এতে ১০০টি লিংক আছে। প্রতি লিংকের দৈর্ঘ্য ৭.৯২ ইঞ্চি এর দু মাথায় দুটো হাতল এবং দশম লিংক একটি করে “পেন্ডিল” বা পুলি আছে।

ইদানিং ফিতা/টেপ ব্যবহার করেও জমি পরিমাপ করা হয়। সার্ভেয়ার বা আমিন সব সময় পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত হিসাব ও পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আপনি নিজেই জমি পরিমাপ করতে পারবেন।

হিসাবটি হলোঃ ১০০০ বর্গ লিংক (৩১.৬২x৩১.৬২ লিংক) ১ শতাংশ। 

১৯৪.৬ বর্গ হাত (১৩.৯৫x১৩.৯৫ হাত) = ১ শতাংশ। ১০.০০০ বর্গ লিংক(১x১ চেইন) = ১০ শতাংশ। ৩৩.৩ শতাংশ কার্যত ৩৩ শতাংশ = ১ বিঘা। (ষ্টান্ডার্ড বিঘা) ১০০ শতাংশ বা ৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর। ৪৮৪০x৯ (৯ বর্গফুট = ১ বর্গ গজ বলে = ৪৩৫৬০ বর্গফুট। ৪৩৫৬০ ১০০ (১০০ শতাংশ ১ একর বলে)= ৪৩৫.৬ বর্গফুট। অতএব ১ শতাংশ = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট বা ৪০.৪৬ বর্গমিটার (প্রায়)

আমাদের দেশে কোথাও ৩৫ শতাংশে ১ বিঘা, কোথাও ৩৩ শতাংশে ১ বিঘা আবার ইদানিং ৩০ শতাংশে ১ বিঘা বলা হচ্ছে। যদিও সরকারী বিঘা ৩৩ শতাংশেই গুনা করা হয়। অপরদিকে কাঠার পরিমাণ শতাংশের পরিমাণে স্থান বিশেষ পার্থক্য হলেও ২০ কাঠায় ১ বিঘার হিসেবে সর্বত্র প্রচলিত ও স্বীকৃত আছে।

বিঘা থেকে কাঠা ও শতাংশ বের করার পদ্ধতিঃ 

৩৫ শতাংশ ১ বিঘা ধরে হিসেব করলে ১ কাঠা = ১.৭৫ শতাংশ বের করার পদ্ধতি হলো: 

১ কাঠা = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট x৩৫ (৩৫ শতাংশে বিঘা হিসাবে) ২০ (২০ কাঠায় বিঘা বলে) 

১ কাঠা = ১৫২৪৬২০ = ৭৬২.৩ বর্গ ফুট, 

১ কাঠা ৭৬২.৩ ৪৩৫.৬ = ১.৭৫ শতাংশ। 

অনুরুপ ভাবে ৩৩ শতাংশে ১ বিঘা ধরলে ১ কাঠা সমান = ৪৩৫.৬x৩৩ ২০ = ৭১৮.৭৪ বর্গফুট, 

১ কাঠা সমান ৭১৮.৭৪ ৪৩৫.৬ = ১.৬৫ শতাংশ। অনুরুপ ভাবে ৩০ শতাংশে ১ বিঘা ধরলে ১ কাঠা সমান = ১.৫০ শতাংশ।

বিভিন্ন পরিমানে জমির হিসেব: 

১ শতক = ৪৩৫.৬০ বর্গফুট ১ শতক = ৪৮.৪০ বর্গগজ ১ মতক ৪০.৪৬ বর্গমিটার ১ শতক = ১৯৪.৬০ বর্গহাত ১ মতক ১০০০ বর্গলিংক ১ কাঠা = ১.৭৫ শতক (৩৫ এর মাপে) 

১ কাঠা = ১.৬৫ শতক (৩৩ এর মাপে

) ১ কাঠা = ১.৫০ শতক (৩০ এর মাপে) 

১ একর = ৬০.৬০ কাঠা ১ একর = ৩.০৩ ১ হেক্টর = ২.৪৭ একর ১ একর = ৪৩৫৬০ বর্গফুট ১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ ১ একর = ৪০৪৬ বর্গমিটার

 ১ একর = ১৯৪৬০ বর্গহাত ১ একর = ১০০০০০ বর্গলিংক।


উদাহরণঃ 

একটি জমির দৈর্ঘ্য উত্তর আইল ৫০ ফুট, দক্ষিণ আইল ৫৪ ফুট, প্রস্থ পশ্চিম আইল ৩০ ফুট, ভিতরে এক অংশে ৩৪ পুট, এক অংশে ৩৮ ফুট এবং পূর্ব আইল ৪০ ফুট জমিটির পরিমাণ কত ?


জমিটির দৈর্ঘ্য ৫০+৫৪ = ১০৪ (দুই দিকের দৈর্ঘ্য যোগ করা হলে) তাই ২ দিয়ে ভাগ করলে দৈর্ঘ্য পাওয়া যায় (১০৪ ভাগ ২) = ৫২ ফুট। 

জমিটি প্রস্থে অসম হওয়ায় এর ২ দিকের বাউন্ডারীর প্রস্থ ছাড়াও ভিতরের দিকে অন্তত ২াট প্রস্থ পরিমাপ এবং তা গড় করে মূল প্রস্থ বের করা যায় ৩০+৪০+৩৪+৩৮ = ১৪২ (ফুট) এর গড় (১২৪ ভাগ ৪) ৩৫.৫ ফুট। 


ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য x প্রস্থ = ৫২ x ৩৫.৫ = ১৮৪৬ বর্গফুট (জমিটির ক্ষেত্রফল) সূত্র মরত ৪৩৫.৬০ বর্গফুট = ১ শতাংশ। অতএব উপরের জমিটির পরিমাণ (১৮৪৬ ভাগ ৪৩৫.৬০) = ৪.২৪ শতাংশ।



কুরবানীর জরুরি ৬৬ টি মাসয়ালা!

 কুরবানীর জরুরি ৬৬ টি মাসয়ালা!

_____________=============


১.কার উপর কুরবানী ওয়াজিব? 

উঃ জিলহজ্জ মাসের ১০ সুবহে সাদিক থেকে১২ তারিখ 

সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারো কাছে যদি নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে ৭ঃ৫ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা থাকে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। 


২.নিছাবের মেয়াদ কত দিন?

উঃ ৩ দিন, জিলহজ্জ মাসের ১০,১১ এবং ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। 


৩. তিন দিনের মধ্যে কোন দিন কুরবানী করা উত্তম? 

উঃ ১০ তারিখে প্রথম দিন।


৪.যদি নাবালক এর নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে  তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ? 

উঃ না। 


৫.বালেক সুস্থ মস্তিষ্ক না নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ? 

উঃ- না 


৬.যদি নাবালেক এর  নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এর পক্ষে থেকে কুরবানী দেওয়া কি? 

উঃ মুস্তাহাব, ওয়াজিব না। 


৭.দরিদ্র লোকের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব? 

উঃ- না, তবে যদি কুরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করে 

তখন সে পশু কুরবানী করা ওয়াজিব।


৮.কেউ যদি কুরবানির দিন গুলোতে কুরবানির দিতে না পারে তাহলে কি করবে, যদি সে নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে, কোন সমস্যায় দিতে পারে নি তাহলে কি করবে? 


উঃ-একটা ছাগল যে কুরবানী উপযুক্ত সে ছাগলের সমপরিমাণ টাকা সদকা করে দিবে ন এটা হলো যারা পশু ক্রয় করতে পারেনি তাদের জন্য। 

কিন্তু যারা পশু কিনেছেন কিন্তু তিন দিনের মাঝে কুরবানী দিতে পারেন নি  তাহলে তার জন্য করণীয় হলো সে পশু সদকা করে দেওয়া। 


আবার যদি কেউ তিন দিন পর জবাই করে ফেলে তাহলে সে ঐ পশুর গোশত ওজন করবে তারপর যদি ঐ পশুর ক্রয়ের  টাকা থেকে কম হয় তাহলে গোশত সহ 

যতো টাকার গোশত  কম হয়েছে  পুরো টাই সদকা করতে হবে। ধরনে আপনি ২০ হাজার দিয়ে কিনেছেন ওজন দিয়ে দেখলেন ১৮ হাজার টাকার গোশত হয়েছে 

গোশতের আরও ২ হাজার টাকা সদকা করতে হবে।  


৯.প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে?

উঃ যে এলাকায় জুমার নামাজ,এবং ঈদের নামাজ ওয়াজিব সে এলাকায় ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করা জায়েজ নেই। তবে কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে গেলে 

যদি ঈদের নামাজ না পড়া যায় তাহলে করনীয় হলো সূর্য মধ্যে আকাশ অতিক্রম করার পর কুরবানী করা জায়েজ হবে।


১০.রাতে কুরবানী দিলে কি হবে?

উঃ ১০,১১ তারিখে রাতে দিলে হবে ১২ তারিখ রাতে দিলে হবে না।  


১১.কোন কোন পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া জায়েজ?

উঃ- গরু,উট,মহিষ,দুম্বা, ছাগল এবং ভেড়া। 


১২.পশু দের লিঙ্গ ভেদ করতে হবে কি?

উঃ- না, পুরুষও  মহিলা উভয় দিয়ে হবে।  


১৩.পশুর বয়স সীমা কত?

উঃ উট কম পক্ষে ৫ বছর,গরু মহিষ ২ বছর 

ভেড়া, দুম্বা  ছাগল ১ বছর। 

ভেড়া এবং দুম্বা ১ বছর হয়নি তবে বলিষ্ঠ মনে হয় 

যে এক বছর হয়েছে তাহলে এটা দিয়ে কুরবানী হবে। 

তবে ছাগল ১ বছরের নিচে কোন ভাবে হবে না।  


১৪.শরীক সর্বোচ্চ কত জন হওয়া যাবে?

উঃ উট,গরু,মহিষে  সর্বোচ্চ ৭ জন কমে হলে সমস্যা নেই তবে একা দেওয়া উত্তম  । ছাগল, দুম্বা, ভেড়া  তে একজন। 


১৫.গোশত ভাগে কম বেশি হলে? 

উঃ- কারো কুরবানী সহীহ হবে না। 


১৬. শরীকের মাঝে কেউ যদি গোশত খাওয়ার নিয়তে দেয় তাহলে? 


উঃ- কারো কুরবানী হবে না। 


১৭.কুরবানীর পশুতে আকিকা দেওয়া যাবে? 

উঃ- হ্যাঁ, তবে উট, গরু,এবং মহিষে। 


১৮. শরীক দার দের মাঝে যদি কারো অধিকাংশ বা পুরা টাকা হারাম হয় তাহলে কি কুরবানী হবে?


উঃ- না না না! কারো কুরবানী হবে না। 


১৯. গরু, মহিষ উট একা কুরবানী নিয়তে কিনার অন্য কাউকে কি শরীক করা যাবে?


উঃ- ধনী হলে পারবে অর্থাৎ যার উপর ওয়াজিব  , তবে গরিব ওয়াজিব না কুরবানী তার উপর। পশু কিনে ফেলছে কুরবানীর নিয়তে তাহলে শরীক করা যাবে না একাই দিতে হবে।  


২০.কোন ধরনের  পশু নির্বাচন করা উত্তম? 

উঃ- রিষ্ট পুষ্ট, তাজা পশু নির্বাচন করা সুন্নত।


২১.যে পশু তিন পায়ে ভর করে চলে এমন পশু ধারা কি কুরবানী হবে? 


উঃ- না


২২.রোগ্ন পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?

উঃ- না 


২৩.দাঁত ছাড়া পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?

উঃ একটা দাত  নেই এটা কোন ভাবেই হবে না ,অথবা কিছু আছে তবে ঘাস খেতে পারে না এমন পশু ধারা কুরবানী হবে না। 


২৪. শিং ছাড়া পশু দিয়ে কুরবানী হবে কি ?

উঃ জন্মগত যে পশুর শিং নেই সেটা ধারা হবে। 

তবে পরবর্তীতে যেটা ভেঙ্গে যায় আর তার ফলে মস্তিষ্কে ক্ষতি হয় এমন পশু ধারা হবে না। তবে অর্ধে হলেও হবে।  


২৫.লেজ কাটা, কান কাটা পশু দিয়ে কুরবানি হবে কি?

উঃ যদি পশুর লেজ বা কান অর্ধেক বা তার বেশি কাটা হয় তাহলে সে পশু ধারা কুরবানী হবে না। 

তবে অর্ধেকের কম হলে হবে।  


২৬.অন্ধ পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?

উঃ- না তবে যে পশুর এক চোখ ও অন্ধ সেটা দিয়েও হবে না।  


 


২৭.কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করার পর  হারিয়ে গেলে দাতা কি করবে?


উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন।

এবং গরিব ওয়াজিব নয় এমন ব্যক্তি ক্রয় করতে হবে না

তবে কিনার পরে যদি আবার প্রথম পশু ফিরে পাওয়া যায় তাহলে ধনী ব্যক্তি যেকোন একটা কুরবানী করলে হবে, তবে দুটা করা উত্তম একটা করলেও হবে। 


** আর গরিব ব্যক্তি যদি হয় তাহলে দুটাই দিতে হবে। 

দুটাই দেওয়া তখন ওয়াজিব।  


২৮.গর্ভবতী পশু  কুরবানী করা কি জায়েজ আছে?

উঃ- হ্যা জায়েজ। 


২৯.পশু জবাইয়ের পরে যদি বাচ্চা কে জীবিত পাওয়া যায় তাহলে কি করবে?

উঃ- বাচ্চা ও জবাই দিতে হবে। 


৩০.জবাইয়ের আগ মুহূর্তে যদি পশু প্রসব অবস্থায় উপনীত হয় তখন করনীয় কি?


উঃ- সে পশু জবাই করা জায়েজ আছে, তবে মাকরূহ!


৩১.পশু ক্রয় করার পর যদি এমন কোন দোষ দেখা যায় যে দোষ গুলো থাকিলে কুরবানী হয়  না তখন করনীয় কি?

উঃ-  এই পশু ধারা কুরবানী হবে না। 

তবে এখানে গরিব ব্যক্তির  জন্য জায়েজ আছে 

ধনী ব্যক্তির জন্য জায়েজ নয়।  


৩২.আপনি কোন পশু ক্রয় করার সময় জিজ্ঞেস করলেন বয়স কত সে বললো ২ বছর যদি সেটার আসলে বয়স ২ বছর না হয় তখন কি করনীয় বা কুরবানী কি হবে? 


উঃ- হ্যা হবে তবে যে বিক্রেতা মিথ্যা বলেছে তার গুনা হবে।  


৩৩.পশু কোথায় জবাই করা উত্তম? 

উঃ- যেখানে পরিবেশ দূষিত  হওয়ার আশংকা কম থাকে।


৩৪. পশু কে জবাই করা উত্তম? 

উত্তমঃ- নিজের পশু নিজে কুরবানী করা উত্তম। 


৩৫.বন্ধা পশু ধারা কুরবানী হবে কি?

উঃ- হ্যা হবে । 


৩৬.অনেক সময় হুজুর জবাই করার পর দেখা যায় সম্পূর্ণ হয় নি আবার অন্য জন তরবারি হাতে নিয়ে 

রগ বা শিরা কাটতে যায় এটা কি জায়েজ হবে?


উত্তরঃ- হ্যা জায়েজ আছে তবে উভয় ব্যক্তি বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবার না বললে কুরবানী হবে না।

একজন যদি না বলে সেক্ষেত্রে ও কুরবানী বাতিল হয়ে যাবে। 


৩৭. কুরবানীর পশু ধারা উপকৃত হওয়া যাবে কি? 

উঃ না এটা কোন ভাবে জায়েজ নেই।  


৩৮.কুরবানীর পশু ধারা যদি আপনি হাল চাষ করে ফেলেন সেক্ষেত্রে করনীয় কি?

উঃ অন্য পশু ধারা করলে যে পারিশ্রমিক আসত সে পরিমান টাকা সদকা করে দেওয়া।


৩৯.কুরবানির পশুর,দুধ পান করা  যাবে কি? 

উঃ- না 


৪০. যদি পশুর জবাইর আগে মন হয় দুধ দহন না করলে পশুর কষ্ট হবে  তাহলে করনীয় কি?


উঃ- সে দুধ দহন করে সদকা করে দিতে হবে. 

ভুলে খেয়ে ফেললেন তখন যে পরিমাণ পান করেছেন সে পরিমাণ অর্থ সদকা করতে হবে।  


৪১.পশু ক্রয় করার পর শরীক মারা গেল তখন কি করবে?


উঃ- তার ওয়ারিশ রা যদি বলে কুরবানী করেন তাহলে 

করতে পারবেন, আর যদি বলে না করতে পারবেন না তাহলে টাকা দিয়ে দিতে হবে। 

তবে চাইলে পরবর্তী আরেক জন শরীক করতে পারবেন।


৪২.জবাইয়ের আগে পশু বাচ্চা দিলে কি করবেন?


উঃ- ঐ বাচ্চা জীবিত  সদকা করে দিতে হবে।

সদকা না করলে পশুর সাথে জবাই করতে হবে।

এখানে জবাই করা  বাচ্চার গোশত সদকা করে দিতে হবে, আপনে খেতে পারবেন না।  


৪৩.মৃত্যু ব্যক্তির পক্ষ থেকে কি কুরবানী করা যাবে?


উঃ- হ্যা করা যাবে, তবে উসিয়ত করে গেলে গোশত সদকা করে দিতে হবে।  উছিয়ত না করলে আপনে খেতে পারবেন। 


৪৪.তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত রাখা যাবে?

উঃ- হ্যা রাখা যাবে  যতো দিন ইচ্ছে!


৪৫.অনুমান করে বন্টন করা কি জায়েজ আছে?

উঃ- না, পূর্ণ ওজন করে ভাগ করতে হবে। 


৪৬. তিনের এক অংশ গরীব কে দেওয়া, যদি সেটা না দেই তাহলে কি কুরবানী হবে? (আমরা যেটা কে সমাজের গোশত বলি)

উঃ- হ্যা হবে তবে সেটা বড় কৃপ্রনতার পরিচয়।


৪৭.গোশত চর্বি বিক্রি করা যাবে কি?

উঃ- না। 


৪৮.জবাইকারী বা কসাই কে গোশত দিয়ে পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে কি?


উঃ না টাকা দিতে হবে, তবে পরে হাদিয়া হিসেবে গোশত দিতে পারবেন আগে পারিশ্রমিক দিতে হবে।  


৪৯. জবাই করার অস্র কেমন হতে হবে?

উঃ দাড়ালো উত্তম। 


৫০. জবাইয়ের কত সময় পর চামড়া আলাদা করা যাবে?

উঃ- নিসতেজ হওয়ার পর পশু। 


৫১.এক পশু কে অন্য পশুর সামনে জবাই করা যাবে কি?


উঃ- যাবে তবে ঠিক না নবী কারীম সাঃ নিষেধ করেছেন?


৫২.কুরবানীর গোশত অন্য র্ধমের ব্যক্তি কে দেওয়া যাবে কি ?

উঃ- হ্যা তাতে কোন সমস্যা নেই।  


৫৩.পশু মারা গেলে অথবা ছিনতাই হয়ে গেলে কি করনীয়?

উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন। 

গরিব হলে লাগবে না। 


৫৪.মুসাফির এর উপর কুরবানী করা কি ওয়াজিব?

উঃ না। 


৫৫.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করলে কি করনীয়? 


উঃ- ঐ ব্যক্তি থেকে অনুমতি নিতে হবে।  


৫৬.কুরবানী গোশত খাওয়া কি?

উঃ- মুস্তাহব, না খেলেও গুনা হবে না। তবে খাওয়া উত্তম। 


৫৭.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি যদি ঋণ নিয়ে কুরবানী করে কুরবানী হবে কি?

উঃ হবে তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে করলে হবে না। 


৫৮.হাজীরা যদি মুসাফির থাকে তখন তাদের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব?

উঃ- না। 


৫৯.পাগল পশু ধারা কুরবানী কি হবে?

উঃ- না। 


৬০.নবী কারীম সাঃ এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা কি?

উঃ- উত্তম সামার্থ্যবান দের জন্য। 

এটার গোশত সবায় খেতে পারবে। 


৬১.খাসি কৃত পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?

উঃ- হ্যা 


৬২.বিদেশে অবস্থানে  ব্যক্তির করনীয় কি?

উঃ- উনার পক্ষ থেকে দেশে কুরবানী দিলেও হবে


৬৩.পশুর চামড়া কি নিজে ব্যবহার করা যাবে?

উঃ- হ্যা,তবে বিক্রি করলে  টাকা সদকা করতে হবে। 


৬৪.জবাই কারী কে পারিশ্রমিক দিতে হবে কি?

উঃ  উত্তম হাদিয়া দেওয়া।  


৬৫.কুরবানীর দিনে মুরগী হাঁস জবাই করা যাবে কি?

উঃ- যাবে, তবে কুরবানী নিয়তে করা যাবে না। 


৬৬. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে কুরবানী করা যাবে কি?

উঃ- হ্যা যাবে।


আলহামদুলিল্লাহ এই হলো ৬৬ টি মাসায়ালা,

আল্লাহ্ তায়ালা সকলকে সঠিক নিয়ম মেনে কুরবানী করার তাওফীক দান করুন, আমিন। 🤲


[সংগৃহীত]

রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

বাবার স্মৃতি দেখতে বৃটিশ থেকে স্মলার ভ্রাতৃদ্বয় কুষ্টিয়ার গড়াই রেল ব্রীজে।

 বাবার স্মৃতি দেখতে বৃটিশ থেকে স্মলার ভ্রাতৃদ্বয় কুষ্টিয়ার গড়াই রেল ব্রীজে।


 তাদের বাবা ‘অল্ডউইন স্মলার’ ছিলেন তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানীর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ার। ১৯৩৭ সালে কুমারখালিতে গড়াই নদীর ওপর রেলওয়ে ব্রীজের কাজ শুরু হলে তিনি ছিলেন সার্বিক দায়িত্বে। ব্রীজটি নির্মন কাজ ১৯৩৭ সালে শুরু হয়ে সম্পন্ন হয় ১৯৩৯ সালে। বৃটিশ নাগরিক অল্ডউইন ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ের প্রকৌশলীর চাকরি নিয়ে ভারতে আসেন ত্রিশের দশকে প্রথম দিকে। তাঁর কর্মস্থল নির্ধারন হয় কুষ্টিয়াতে। 


১৯৫১ সালে অল্ডউইন ইংল্যান্ডে ফিরে যান। ১৯৭৮ সালের ১৯ অক্টোবর তিনি মারা যান। মারা যাবার পূর্বে তিনি বড় ছেলে নাইজেল স্মলারকে অনেক গড়াই ব্রিজের ছবি দেখান ও গড়াই ব্রীজ তৈরির গল্প বলেন। বলেন বাংলাদেশ তথা কুষ্টিয়া-কুমারখালির অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা। বাবার মৃত্যুর ২ বছর পর হঠাৎই যেন নাইজেল আক্রন্ত হন নষ্টালজিয়ায়। বাবার সৃষ্টি গড়াই ব্রীজ দেখতে হবে। 


এর পর গত ২০১০ সালের ২৮ মার্চ নাইজেল স্মলার ও তার ছোট ভাই অড্রিন স্মলার এবং ভিয়েতনামী বন্ধু হুয়াং লি বাংলাদেশে আসেন। এদেশে তারা দি বেঙ্গল টুরিস্ট লিমিটেডের তত্বাবধানে ওঠেন। এর পরে তারা ট্যুর ম্যানেজার মহিউদ্দিন জিয়ার নেতৃত্বে আসেন কুমারখালি। অবশেষে স্বপ্নের গড়াই ব্রীজ। স্পন্দিত বুকের স্পর্শ নিয়ে স্বপ্ন নেমে আসে ধরা তলে। আবেগে আপ্লুত, বাকরুদ্ধ স্মলার দুই ভাই। 


বাবার সৃষ্টি তারা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেন। এ এক অন্য অনুভুতি। ব্রীজ তৈরির সময়ের তোলা স্মৃতিময় ছবি দেখিয়ে তারা বলেন, এই হচ্ছে গড়াই ব্রীজ, আর এই আমাদের বাবা। 

নাইজেল বলেন, আমরা চার ভাই, মা আছেন। তাঁর বয়স ৭৪ বছর। আমরা এ ব্রীজের ছবি ও ভিডিও চিত্র দেশে গিয়ে আমাদের মা ও অন্য দু’ ভাইকে দেখাবো। আমাদের বন্ধুদের দেখাবো বাবার সৃষ্টি। তাঁরা  আবার গড়াই ব্রীজের কাছে আসবেন। কুমারখালি থেকে তাঁরা বিদায় নেন পড়ন্ত বিকালে ট্রেনের ইঞ্জিনে চড়ে। উদ্দেশ্যে, চলন্ত ট্রেন থেকে ব্রীজের ভিডিও চিত্র ধারন করা।

Courtesy:-কুষ্টিয়ার আলোচিত সংবাদ।



সৌদি ফ্যামিলি ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি,,,,,

 আপনি যদি সৌদি আরবে কাজ করেন এবং আপনার স্ত্রী এবং সন্তানদের সাথে আপনি থাকতে চান, তাহলে আপনাকে সৌদি ফ্যামিলি ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জানতে হবে। যদিও প্রয়োজনীয়তা এবং প্রক্রিয়া জটিল বলে মনে হতে পারে, সঠিক পরিকল্পনা এবং নিয়ম বোঝার সাথে, আপনি সফলভাবে  আপনার প্রিয়জনদের সাথে পুনরায় মিলিত হতে পারবেন । আপনার যা জানা দরকার তা এখানে.


সৌদির ফ্যামিলি ভিসার জন্য কারা যোগ্য?

বৈধ সৌদি রেসিডেন্স পারমিট (ইকামা) ধারণকারী বিদেশী কর্মীরা তাদের জন্য ফ্যামিলি ভিসার  আবেদন করতে পারেন :

১. স্বামী স্ত্রী (একটি বৈধ বিবাহের কাবিননামা প্রদান করতে হবে)

২. কর্মী যাদেরকে ফ্যামিলি ভিসায় সৌদি আরব নিতে পারবে।

 ১.স্বামী /স্ত্রী ২. ভাই, বোন ৩. শশুর, শাশুড়ি 

 ৪. পিতা, মাতা ৫. সন্তান 

    


কর্মীর ইকামার বৈধতা অবশ্যই ফ্যামিলি ভিসার জন্য কমপক্ষে 3 মাস থাকতে হবে।


একটি পারিবারিক ভিসার জন্য আবেদন করতে, আপনাকে নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে:


১.পারিবারিক ভিসার আবেদনপত্র পূরণ করা।


২.পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আসল পাসপোর্ট (অন্তত 6 মাসের জন্য বৈধ।)


৩.কর্মীর ইকামার কপি।


৪.কর্মীর পাসপোর্টের কপি।


৫.বিবাহের কাবিননামা (স্ত্রীর জন্য।)


৬.জন্ম সনদ (শিশুদের জন্য।)


৭.16 বছরের বেশি পরিবারের সদস্যদের জন্য মেডিকেল রিপোর্ট এবং টিকা দেওয়ার রেকর্ড।


৮.সম্পর্কের প্রমাণ, যেমন বিবাহ বা জন্ম সনদ , 

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রত্যয়িত।


সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ভিসার জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াকে নিরবিচ্ছিন্ন করে একটি পরিবর্তিত ওয়েবসাইট চালু করেছে। আপনি এটি এখানে অ্যাক্সেস করতে পারেন: KSA ভিসা


প্রক্রিয়াকরণের সময় এবং ফি:

সৌদি পারিবারিক ভিসার জন্য প্রক্রিয়াকরণের সময় পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এটি সাধারণত আবেদনের তারিখ থেকে 2 থেকে 4 কর্ম দিবসের মধ্যে হয়ে যাবে । কিছু ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন প্রয়োজন হলে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।


ভিসা ফি আবেদনকারীর জাতীয়তা এবং ভিসার সময়কালের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। 


সৌদি পারিবারিক ভিসা নীতির সাম্প্রতিক পরিবর্তন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সৌদি আরব তার পারিবারিক ভিসা নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করার জন্য:


2019 সালে, সৌদি আরব পারিবারিক ভিসা আবেদনের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছিল, যা কর্মীদের ইলেকট্রনিকভাবে নথি জমা দেওয়ার অনুমতি দেয়।


2020 সালে, অবিবাহিত কন্যাদের পারিবারিক ভিসার জন্য যোগ্য হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স সীমা অপসারণ করা হয়েছিল। আগে, 25 বছরের বেশি মেয়েরা যোগ্য ছিল না।


2021 সালে, পারিবারিক ভিসার মেয়াদ 6 মাস থেকে 1 বছরে বাড়ানো হয়েছিল, ঘন ঘন রিনিউ প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে।


পারিবারিক ভিসা প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা

যদিও সৌদি পারিবারিক ভিসার জন্য কোনো সরকারী দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ নেই, তবে একটি মসৃণ এবং সময়মত আবেদন নিশ্চিত করার জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:


সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিগুলি সম্পূর্ণ, নির্ভুল এবং সঠিকভাবে প্রত্যয়িত কিনা তা দুবার-চেক করুন।

আপনার উদ্দেশ্য ভ্রমণের তারিখের আগে আপনার আবেদন জমা দিন।

যদি সম্ভব হয়, আবেদন প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করার 


ফামিলি ভিসার ভ্যালিডিটি :

সৌদি আরবে একবার আপনার পরিবারের সদস্যরা তাদের ভিসা পেয়ে গেলে তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন। 


আগমনের পরে, তাদের প্রয়োজন হবে:

১.90 দিনের মধ্যে একটি রেসিডেন্স পার্মিট (ইকামা)।

২.মেডিকেল পরীক্ষা করুন এবং স্বাস্থ্য বীমা পান।

৩.শিশুদের স্কুলে ভর্তি করান (যদি প্রযোজ্য হয়)

আপনার পরিবারকে সৌদি আরবে আপনার সাথে বসবাসের জন্য নিয়ে আসা  একজন প্রবাসী হিসাবে আপনার অভিজ্ঞতাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

আপনার ফ্যামিলি ৯০ দিন ভিসার রিনিউ করে 

মোট ১ বছর থাকতে পারবে।


ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আপনি আমাদের 

সাহায্য নিতে পারেন।

 

লিনেটহোম" ডেনমার্কের আগামী কৃত্রিম একটি দ্বীপ ...

 "লিনেটহোম"

ডেনমার্কের আগামী কৃত্রিম একটি দ্বীপ ...


রাজধানী  কোপেনহেগেন এর  উপকূল  

অঞ্চলে  সম্প্রতি  বিশালাকৃতির  একটি 

কৃত্রিম দ্বীপ  তৈরির  পরিকল্পনা নেওয়া 

হয়েছে, যা ৪০০টি ফুটবল স্টেডিয়ামের 

আয়তনের সমান  আকারের তৈরি হবে,

আর থাকতে  পারবে ৩৫ হাজার মানুষ!


ডেনমার্কের রাজধানীতে কৃত্রিম এই দ্বীপের আয়তন হবে ৪০০টি ফুটবল মাঠের সমান। জানা গেছে, ৩৫ হাজার মানুষের বসবাসের জন্য কৃত্রিম ওই দ্বীপটি তৈরি করা হচ্ছে।  সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ঝুঁকিতে থাকা কোপেনহেগেন বন্দরকে সুরক্ষা দেয়াও দ্বীপটি তৈরির অন্যতম উদ্দেশ্য। বিশাল এই দ্বীপের নাম হবে লিনেটহোম।পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি রিং রোড, সুড়ঙ্গপথ ও মেট্রো লাইন দিয়ে মূল ভূখন্ডের সঙ্গে দ্বীপটিকে যুক্ত করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে।


স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুধু বদ্বীপ এলাকাটি গড়ে তুলতেই আট কোটি টন মাটি প্রয়োজন হবে। লিনেটহোম দ্বীপকে ঘিরে একটি বেড়িবাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটি বন্দরকে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচাবে।


নির্মাণকাজ পরিকল্পনা মাফিক এগোলে উপকূলে এই দ্বীপ তৈরির জন্য ভিত্তি বসানোর অধিকাংশ কাজই ২০৩৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পুরো দ্বীপটি তৈরির কাজ সম্পন্ন হতে পারে ২০৭০ সালে।


সংসদে বিল পাশ হলেও পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার মুখে পড়েছে এই প্রকল্প। নির্মাণকাজের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে পরিবেশবাদী দলগুলো ইউরোপিয়ান বিচার আদালতে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।


পরিবেশবাদীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সমুদ্রের তলদেশে যে পলি জমা হয়ে আছে এই নির্মাণ কাজের ফলে তা ব্যাপকভাবে নাড়া খাবে। এর ফলে সাগরের পানিতে এই তলানি মিশে গিয়ে জলের মান দূষিত হতে পারে। এতে সামুদ্রিক জীবন ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র...বিবিসি




চীনের ছোট্ট এই গ্রামের সবাই কোটিপতি..

 চীনের ছোট্ট এই গ্রামের সবাই কোটিপতি..


পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল রাষ্ট্র চীন।চীনের বিভিন্ন প্রদেশে অবস্থিত গ্রামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ধনী গ্রাম হুয়াক্সি। সারা বিশ্ব জুড়েই এই গ্রাম ‘সুপার ভিলেজ’ নামে পরিচিত।গ্রামটি চীনের জিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত। এই গ্রামে প্রায় দুই হাজার জন মানুষ বসবাস করেন। প্রতিটি বাসিন্দার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কমপক্ষে প্রায় এক কোটি টাকা।গ্রামটির বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এছাড়াও এখানকার লোকদের কাছে রয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধাযুক্ত বিলাসবহুল বাড়ি আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রান্ডেড গাড়ি। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী কম করে হলেও দুটি করে গাড়ি রয়েছে। শুধু তাই নয় একথা শুনলে অবাক হবেন এখানকার মানুষরা দূরবর্তী কোনো জায়গায় যেতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন।গ্রামটিতে রয়েছে সবসমেত সাতটি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার শেয়ার হোল্ডার বা অংশীদার এই গ্রামের গ্রামবাসীরাই। বিশাল বিশাল শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে তারা বছরে প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার উপার্জন করেন। হুয়াক্সিতে সবাই ধনী হলেও সেখানকার সবকিছুই অনেক রহস্যময়। গ্রামের অবস্থিত প্রতিটি ঘরের আকার এবং নকশা একই রকমের। বাড়িগুলো দেখতে অনেকটাই জমিদার বাড়ির মতো।এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই নামিদামি ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র ব্যবহার করেন। সব বাসিন্দা একসঙ্গে সমবেত হওয়া ও খাওয়ার জন্য বিশাল জায়গা থাকলেও গ্রামের জুয়া খেলা ও মাদক সেবন পুরোপুরি নিষিদ্ধ। আধুনিক সভ্য সমাজের মতো সুযোগ সুবিধা থাকলেও সেখানে নেই কোনো ক্লাব, মদের দোকান, নাইট ক্লাব এমনকি পার্টি করার জন্য কোনো রেস্তরাও নেই। ২০১১ সালে এই গ্রামটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩২৮ মিটার লম্বা একটি হোটেল তৈরি করা হয়। যা আইফেল টাওয়ারের  থেকে অনেকটাই বড়। এই ভবনের চূড়ায় সম্পূর্ণ স্বর্ণের তৈরি একটি ষাঁড়ের ভাস্কর্যও রয়েছে। একটন ওজনের এই ভাস্কর্যের বর্তমানে মূল্য ৪৩  মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই গ্রামে আগত পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই হোটেলটিকে বলা হয় হুয়াক্সির ঝুলন্ত গ্রাম। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই গ্রামের কর্মরত শ্রমিকদের কোনো ছুটির দিন নেই। তাদেরকে সপ্তাহের সাতদিনই কাজ করতে হয়। গ্রামে বসবাসকারী কোনো সদস্যের গণমাধ্যমের সামনে কথা বলার অনুমতিও নেই।


সংগৃহীত



আম তিনটি দেশের জাতীয় ফল এটি

১.তিনটি দেশের জাতীয় ফল এটি। পাকিস্তান, ভারত আর ফিলিপাইনের জাতীয় ফল আম। আর বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ হলো আম গাছ।

২.  আমের রয়েছে শত শত জাত। বহু বৈচিত্র্যময় জাতের আম রয়েছে অঞ্চল ভেদে এমনকি রয়েছে স্বতন্ত্র জাত। কোনটা রসালো আর মিষ্টি, কোনটা টক, কোনটা আনারসের মতো স্বাদের, আবার সুপারমার্কেট প্রায়শই এমন আমও কিনতে পাওয়া যায় যেগুলো মিশ্র স্বাদের।

৩. ম্যাঙ্গো শব্দটির উৎপত্তি ভারতে। ইংরেজিতে ম্যাঙ্গো শব্দটি সম্ভবত তামিল 'ম্যানকেই' কিংবা তামিল 'মানগা' শব্দ থেকে এসেছে। যখন পর্তুগিজ ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ ভারতে বসতি স্থাপন করে, তারা নাম হিসেবে 'ম্যাংগা' শব্দটি গ্রহণ করে।

৪. সারাবিশ্বে প্রায় ৪ কোটি ৬০ মিলিয়ন টন আম উৎপন্ন হয়। প্রায় সবই টমি এটকিন্স জাতের আম। এগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়, আকারে বড় এবং রঙও সুন্দর, অনেক ধরনের ছত্রাক প্রতিরোধী আর সহজে নষ্টও হয় না এবং দীর্ঘ সময় সুপারমার্কেটে সাজিয়ে রাখা যায়। আর এইসব বৈশিষ্ট্যের জন্যেই এগুলো সারা পৃথিবীজুড়ে রপ্তানি হয়।

৫. পৃথিবী জুড়েই আম পাওয়া যায়। সুপারমার্কেটগুলো বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চল থেকেই আম সংগ্রহ করে থাকে। বছরের শুরুর দিকে আম আসে পেরু থেকে, এরপর পশ্চিম আফ্রিকা আর তারপর আসে ইসরায়েল থেকে। মিশর থেকে আম আসে বছরের তৃতীয় ভাগে আর তারপর আমের উৎস হলো ব্রাজিল।

৬. বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আম উৎপন্ন হয় ভারতে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ টন আম উৎপন্ন হয়- যা কিনা বিশ্বের মোট আম উৎপাদনের ৪০%। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্যে এক শতাংশেরও কম আম তারা যোগান দেয়, বেশিরভাগ দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদাতেই লেগে যায়।

৭. ভারতে প্রথম আম জন্মে পাঁচ হাজার বছর আগে। হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে ভারত এবং মিয়ানমারে প্রথম বন্য আম উৎপন্ন হয় বলে মনে করা হয়। আর প্রথম পাঁচ হাজার বছর আগে আমের চাষ করা হয় ভারতের দক্ষিণ অংশ, মিয়ানমার এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে (বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপপুঞ্জ)।

৮. আমের বিশ্ব ভ্রমণ। আমের উদ্ভব এশিয়ায়, কিন্তু এখন পুরো পৃথিবী জুড়েই আম দেখা যায়।

বলা হয় যে, ১০ম শতাব্দীর শুরুর দিকে আফ্রিকাতে আমের চাষ হয়। ১৪শ শতাব্দীর উত্তর আফ্রিকার মহান পর্যটক ও পণ্ডিত ইবনে বতুতার লেখাতে আমের বিবরণ পাওয়া যায়, তিনি মোগাদিসুতে আম দেখেছেন বলে উল্লেখ করেন। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে আম জন্মে ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, ব্রাজিল এমনকি আন্দিজের উষ্ণতম অঞ্চল যেমন পেরুতে। স্পেন হলো একমাত্র ইউরোপীয় দেশ যেখান আম জন্মে- মালাগার তুষারপাত মুক্ত এলাকায়।

৯. সবচেয়ে প্রাচীন আম গাছটি বেঁচে আছে শতাব্দী পর শতাব্দী জুড়ে। বয়স প্রায় ৩০০ বছর। মধ্য ভারতের পূর্ব কান্দেশে আছে গাছটি, আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে প্রাচীনতম গাছটিতে ফল দিচ্ছে!

১০. কাজু বাদাম এবং পেস্তা বাদামের সাথে আমের মিল রয়েছে। আম ড্রুপ জাতীয় ফল: এ ধরনের ফল রসালো এবং পাতলা আবরণ যুক্ত হয়, এর মধ্যভাগে থাকে শক্ত যাকে বলে এন্ডোক্রাপ যেখানে ফলটির বীজ থাকে।

জলপাই, খেজুর এবং চেরিও ড্রুপ জাতীয়। এমনকি যতই বাদাম বলা হোক- কাজু এবং পেস্তাও এই ড্রুপ জাতীয়ই, তাদের কে আমের দু:সম্পর্কের আত্মীয় বলা যায়।

১১. বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্যে আম গাছ খুব পবিত্র। বলা হয়, বুদ্ধ তাঁর সঙ্গী সন্ন্যাসীদের নিয়ে এক শান্তিময় আম বাগানে বসে ধ্যানরত ছিলেন এবং সেখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন।

এরপর থেকে বৌদ্ধদের কাছে আম গাছ পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে বিবেচিত হয়।

১২. আম আপনার জন্যে খুবই উপকারী। এক কাপ আমে থাকে ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এর প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯ থেকে ৬৪ বছরের পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খাদ্যতালিকায় যা ৬০ মিলিগ্রাম।

আমে রয়েছে ২০ টি ভিন্ন ভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ, যার মধ্যে অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি এর একটি উপাদান ফোলাইট থাকে। আর আছে প্রচুর আঁশ।

১৩. গিনেস বুক এর বিশ্ব রেকর্ড বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমটির ওজন ৩.৪৩৫ কেজি আর দৈর্ঘ্য ৩০.৪৮ সেন্টি মিটার, পরিধি ৪৯.৫৩ সেমি এবং প্রস্থ ছিল ১৭.১৮ সেমি। ২০০৯ সালে ফিলিপাইনের সার্জিও ও মারিয়া সিকোরো বোডিওনগানের বাগানে আমটি হয়েছিল,,,


সকাল ৭ টার  সংবাদ।  তারিখ: ০৯-০৬-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭ টার  সংবাদ। 

তারিখ: ০৯-০৬-২০২৪ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আজ যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।


উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পাশাপাশি লায়ন সদস্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির।


এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পূর্ববর্তী উচ্চ গতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে নেয়া - বাজেটোত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়ায় জানালেন দলের সাধারণ সম্পাদক।


‘স্মার্ট ভূমি সেবা, স্মার্ট নাগরিক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে চলছে ভূমি সেবা সপ্তাহ - এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে পহেলা জুলাই থেকে ৩০ শে জুন - জানালেন ভূমিমন্ত্রী।


দেশে আজ ভোট গ্রহণ করা হবে ১৯টি উপজেলা পরিষদের।


গাজা থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধারের সময় এক অভিযানে দুইশোর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত।


আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার নিজ নিজ ম্যাচে জয়লাভ - আজ রাতে পরষ্পরের মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।

শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

যশোর জেলার  ইতিহাস,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 🌿♥️যশোর জেলার  ইতিহাস♥️ 🌿


১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দের ৭ জুন। তখনও প্রকৃতি বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানায়নি। আবহাওয়া শুষ্ক, বাতাসে গুমোট ভাব। তাপমাত্রাও অসহনীয়। এই নরকযন্ত্রনা সহ্য করার ক্ষমতা সাদা চামড়ার ইউরোপীয় সাহেবদের থাকার কথা নয়। তবুও এই ধরনের পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করেই টিলম্যান হেঙ্কেল ওই দিন সকালে মুড়লীতে তাঁর অফিসের প্রথম কর্মদিবস শুরু করলেন। কলকাতায় দীর্ঘদিন থাকা হেঙ্কেল মুড়লীতে আসতে উৎসাহী হয়েছিলেন লোভনীয় বেতন এবং অন্যান্য সুবিধার জন্য। পদমর্যাদাও কম নয় একাধারে জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট। তাছাড়া স্বয়ং গবর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেষ্টিংস তাঁকে পছন্দ করে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন পরীক্ষামূলকভাবে একটি নতুন প্রশাসনিক পদ্ধতি চালুর জন্য। এটি হেঙ্কেলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জও। আর তিনি নিজের জীবনের শূন্য থেকে অনেক উপরে উঠে এসেছেন চ্যালেঞ্জকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পেরেছেন বলেই। নতুন কর্মস্থলে হেঙ্কেল সহকারী হিসাবে পছন্দ করে নিয়ে এসেছেন রিচার্ড রোককে। রোকও কাজে যোগদান করেছেন একই দিন। যশোরের জেলা জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে টিলম্যান হেঙ্কেলের কাজে যোগদানের মধ্য দিয়ে এভাবে ইতিহাসে একটি নতুন প্রশাসনিক কাঠামোর শুরু। এ কারণে এদেশের জেলা প্রশাসনের ইতিহাসে ১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দের ৭ জুন একটি মাইলফলক।

টিলম্যান হেঙ্কেল যশোরের প্রথম জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে তার কার্যালয় স্থাপন করেছিলেন মুড়লীতে। সেটি ছিল অতীত ইতিহাস সমৃদ্ধ।  দ্বিতীয় চন্ডগুপ্তের আমলে(খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতক) চীনা পর্যটক ফা-হিয়েন ও মহারাজ হর্ষবর্ধনের শাসনকালে (৬ষ্ঠ শতক) ইউয়ান চোয়েন ভারতবর্ষ সফর করেন। তাঁদের বর্ণনায় প্রমান মেলে মুড়লীতে ছিল বৌদ্ধ মঠ। প্রাচীন সমস্ত মানচিত্রে অবস্থান থাকা মুড়লীকে ঐতিহাসিক ক্যানিংহাম বলেছেন, সমতট রাজ্যের রাজধানী ছিল স্থানটি। পাঠান এবং মুঘল আমলেও মুড়লী বিখ্যাত ছিল দানবীর হাজী মুহসীনের স্মৃতিধন্যও। বির্তক যাই থাক না কেন ভৈরব নদীর তীরে যশোর শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে পৌরসভাভুক্ত মুড়লী সেদিন ছিল জেলা কার্যালয় স্থাপনের উপযুক্ত স্থান। হেঙ্কেল ১৭৮১ খ্রীষ্টাব্দের ৭ জুন মুড়লীতে তাঁর কার্যালয় বসান। ১৭৮৯ তে তিনি বদলী হয়ে গেলে তাঁর সহকারী রিচার্ড রোক যশোরের দ্বিতীয় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জজের দায়িত্ব পান। ১৭৯৩ খ্রীষ্টাব্দে বদলীর আগে তিনি মুড়লীতে কার্যালয় সরিয়ে আনেন সাহেবগঞ্জ এলাকায়।বর্তমান জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কাছে। যশোর জেলার জন্য প্রথম কালেক্টরেট ভবন তৈরি হয় ১৮০১ খ্রীষ্টাব্দে। সাহেবগঞ্জ নামটিও এখন আর উচ্চারিত হয়, এর পাশেই ছিল কসবা। এটি এখন পুরাতন কসবা নামে পরিচিত। ৮৫ বছর ওই কালেক্টরেটটি দায়িত্ব পালন করে। এরপর ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে বর্তমান কালেক্টরেট ভবনটি একতলা হিসাবে নির্মিত হয়েছিল তখনকার ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬শ’ ৭৯ টাকা ব্যয়ে। বাংলায় দীর্ঘতম এই ভবনটি ছিল সেই সময়ে দর্শনীয় এবং তা ৩৬০ দরজা’র ঘর নামে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ছিল দীর্ঘকাল। মুলকাঠামো ও সৌষ্ঠব বজায় রেখে ১৯৮২ খ্রীষ্টাব্দে এটিকে দোতলায় পরিণত করা হয়। সেটি এখনও বাংলাদেশের  অত্যতম দর্শনীয় ভবন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় যশোরের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন। ১৮৬০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বঙ্কিম চন্দ্র যশোরে ছিলেন। তিনি অফিস করতেন যশোরের পুরাতন যে রেজিষ্ট্রি অফিস আছে সেখানে।

যশোরকে কেন নতুন জেলার কেন্দ্রস্থল হিসাবে বেছে নেয়া হয়েছিল ? প্রশ্নটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আসলে বর্তমান যশোর শহরেকে জেলা কেন্দ্র হিসাবে মনোনীত করার পিছরে ছিল অনেক কারণ এবং এটি কিছুটা মুঘল শাসনের ধারাবারিকতার ফলও বলা যায়। যশোর যে প্রাচীন জনপদ, তার স্বীকৃতি আছে ইতিহাসে। তবে রাজা প্রতাপাদিত্য ১৫৮৪ খ্রীষ্টাব্দে ক্ষমতা গ্রহনের পর যে যশোর রাজ্যের আনুষ্ঠানিক জন্ম দেন, তার কেন্দ্র বিন্দু ছিল বা রাজধানী ছিল বর্তমান সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ‘ধুমঘাট’ নামক স্থানে। প্রতাপের মুঘল বাহিনীর হাতে পরাজয়ের পর ফৌজদাররা (মুঘল) ধুমঘাটে কিছু কাল অবস্থানের পর শাসন কেন্দ্র সরিয়ে আনেন ১৬৪৯ খ্রীষ্টাব্দে বর্তমান যাশোরের কেশবপুরের কপোতাক্ষ ভদ্রা নদীর সঙ্গম স্থলে মীর্জানগরে। বাংলা কোম্পনী শাসনে গেলে সব দিক বিবেচনায় তাঁরা বর্তমান যশোরকে ভবিষ্যত শাসন কেন্দ্র বানতে সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ কলকাতার সঙ্গে সড়ক ও নৌ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থ থাকা। গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড কলকাতা হয়ে যশোর ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল সোনারগাঁ। যদিও তা ছিল চলাচলের অযোগ্য, তবুও সেই  পথে যাতায়াত চালু ছিল। যশোর থেকে ভৈরব হয়ে কপোতাক্ষ-মাখাভাঙ্গা-চুর্নী নদী দিয়ে ভাগীরথী (গঙ্গা) পথে কলকাতা যাওয়া যেত এবং এ নৌপথ তখন ছিল নাব্য। যশোর নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ আছে। এর মধ্যে একটি যুক্তি অনেকের কাছে গুরুত্বপুর্ণ। সেটি হলো চতুর্দশ শতাব্দীতে খান জাহান আলী বাগেরহাট যাবার পথে যশোরে অবস্থান করেন এবং ভৈরব নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু বানান রশি দিয়ে। ফারসী শব্দ ‘জসর’ অর্থে সেতু। জেলা কেন্দ্র স্থাপন হওয়ায় যশোরে বিট্রিশরা ছাড়াও প্রচুর ইউরোপীয় আসেন। ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে ভোলানাথ চন্দ্র নামের এক পর্যটক কলকাতা থেকে যশোর ভ্রমন করেন এবং লেখেন শহরের স্থায়ী বাসিন্দারা হলেন আমলা, মোক্তার, দোকানদার ও শ্রমিকগন। শহরের মহিলাদের মধ্যে আছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাইপ্রাসের অধিবাসী। এটি অস্বাস্থ্যকর স্থানও। প্রচুর লোক ম্যালেরিয়াতে মারা যান। খ্রীষ্টান সমাধিতে শুয়ে থাকা বিশিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের নামও তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। 

প্রথম জেলা হিসাবে যশোরের অধীন বর্তমান খুলনা, ফরিদপুর, পাবনা, নদীয়া ও ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বার বার এর সীমানা বদল হয়েছে। ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে যশোরের মহাকুমা খুলনা পৃথক হয়ে জেলা হয়। দেশ ভাগের সময় বনগাঁ মহাকুমাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২৪ পরগনার সাথে। সর্বশেষ ১৯৮৪ খ্রীষ্টাব্দে যশোরের ৪ টি মহাকুমাই পরিণত হয় জেলায়। যশোরের বকচরের জমিদার দানবীর কালীপোদ্দার যশোর-চাকদহ(নদীয়া) সড়ক নির্মান করেন। যশোর-বনগাঁ থেকে কলকাতা অংশ, যেটি ছিল গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোডের ধবংসাবশেষ, সেটিও নির্মান ও সংস্কারে সহযোগিতা করেন তিনি। কলকাতায় ‘যশোর রোড’ এখনও এর সাক্ষ্য দেয়। আঠারো শতকে রেল পথ যশোরকে কলকাতার সাথে যুক্ত করে। ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দে যশোর থেকে একটি রেল শাখা দর্শনার সাথে যুক্ত হয়।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় যশোরে তৈরি হয় বিমানবন্দর ও বিমান ঘাঁটি। যশোরের সাংস্কৃতিক জীবনও সমৃদ্ধ। ১৮৫৪ খ্রীষ্টাব্দে এখানে স্থাপিত হয় পাবলিক লাইব্রেরি, যা ভারতবর্ষ তথা বাংলার প্রাচীন লাইব্রেরির একটি। যশোর জন্ম দিয়েছে বহুখ্যাতিমান সন্তানকে, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বকীয়তায় উজ্জ্বল। প্রজা বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, তেভাগার সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রতিটি ক্ষেত্রেও যশোর পালন করেছে অগ্রণী ভুমিকা। ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর যশোর পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল এবং এটি প্রথম কোন মুক্ত জেলা শহর। প্রথম স্থাপিত জেলা প্রথম মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করার মর্যাদা পাওয়া দুর্লভই বটে। বাংলাদেশের প্রথম পর্যায়ে গঠিত পৌর সভা গুলোর একটি হলো যশোর, যেটি ১৮৬৪ খ্রীষ্টাব্দের ১ আগস্ট স্থাপিত। পদাধিকার বলে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মি: ই ডব্লিউ মালোনী পৌর সভার প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। বর্তমান পৌরমেয়র হায়দার গনি খান পলাশ । টিলম্যান হেঙ্কেল দিয়ে যে জেলার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যকাল শুরু, সেই জেলায় এখন জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মো: আবরাউল হাছান মজুমদার । 


সাজেদ ভাই

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

বাগবাজার, কলিকাতা,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া,,,

 বাগবাজার, কলিকাতা

==============

"বাগবাজার " - কলিকাতার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি বহু প্রাচীন বর্ধিষ্ণু অঞ্চল । এই অঞ্চলটি কলকাতা তথা বাংলা তথা ভারতের অন্যতম পীঠস্থান। এই অঞ্চলের সাথে বহু মনিষীর সংযোগ ঘটছে। কেউ বা এখানে জন্মেছেন, কেউ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থেকেছেন, কেউ বা জীবনের অনেকটা সময় এখানেই অতিবাহিত করেছে।  

* সারদা মা (১৮৫৩ - ১৯২০) 

* রামকৃষ্ণ (১৮৩৬ - ১৮৮৬)

* বিবেকানন্দ  (১৮৬৩ - ১৯০২) 

* নিবেদিতা (১৮৬৭  - ১৯১১) 

* গিরিশচন্দ্র ঘোষ (প্রখ্যাত নট ও নাট্যকার) (১৮৪৪ - ১৯১২) 

* বলরাম বসু – (শ্রীরামকৃষ্ণের বিশিষ্ট ভক্ত) ( ১৮৪২ - ১৮৯০)

* নন্দলাল বসু - স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী (১৮৮২ - ১৯৬৬) 

* নগেন্দ্রনাথ বসু (১৮৬৬-১৯৩৮)

 - বিশ্বকোষ নামক বাংলা জ্ঞানকোষ রচয়িতা, বাগবাজারের ৮ নং কাঁটাপুকুর বাইলেনে তাঁর নিবাস ছিল। এখানেই তিনি তাঁর গ্রন্থটি রচনা করেন। কলকাতা পৌরসংস্থা তাঁর সম্মানে এই লেনটি বিশ্বকোষ লেন নামে উৎসর্গ করেছে। সম্ভবত এটিই পৃথিবীর একমাত্র বইয়ের নামে রাস্তা।

* মোহনচাঁদ বসু ( নিধুবাবুর শিষ্য। উনিশ শতকে বাগবাজারে বাস করতেন। বাংলা আখড়াই গানে খেউড় উদ্ভাবন তিনিই করেন।)

* ভোলা ময়রা (আঠারো-উনিশ শতক )  স্বনামধন্য কবিয়াল ও বাগবাজারের  মিষ্টান্ন বিক্রেতা (রসগোল্লার উদ্ভাবক ও ) 

ইত্যাদি ইত্যাদি ।

-

ময়মনসিংহের মুগ ভালো, খুলনার ভালো কই।

ঢাকার ভালো পাতাক্ষীর, বাঁকুড়ার ভালো দই।।

কৃষ্ণনগরের ময়রা ভালো, মালদহের ভালো আম।

উলোর ভালো বাঁদর পুরুষ, মুর্শিদাবাদের জাম।।

রংপুরের শ্বশুর ভালো, রাজশাহীর জামাই।

নোয়াখালির নৌকা ভালো, চট্টগ্রামের ধাই।।

দিনাজপুরের কায়েত ভালো, হাবড়ার ভালো শুঁড়ি।

পাবনা জেলার বৈষ্ণব ভালো, ফরিদপুরের মুড়ি।।

বর্ধমানের চাষী ভালো, চব্বিশ পরগণার গোপ।

গুপ্তিপাড়ার মেয়ে ভালো, শীঘ্র-বংশলোপ।।

হুগলির ভালো কোটাল লেঠেল, বীরভূমের ভালো বোল।

ঢাকের বাদ্য থামলেই ভালো, হরি হরি বোল।।

−ভোলা ময়রা

* নবীন চন্দ্র দাস (ভোলা ময়রার নাতী) (১৮৪৫ - ১৮২৫) - স্বনামধন্য  মিষ্টান্ন বিক্রেতা (  শোনা যায় ইতি প্রথম  রসগোল্লা বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন) 

***********************************************************************

এছাড়া অসংখ্য নাম আর ইতিহাস জড়িয়ে আছে বাগবাজারের সাথে লিখে শেষ করা যাবে না।

***********************************************************************

অনেকের মতে ব্রিটিশ আমলে বাগবাজার এ বিশাল “বাগ” (বাগান/ উদ্যান) ছিল, সেই “বাগ” থেকে বাগবাজার শব্দটির উদ্ভব। তবে ভাষাতাত্ত্বিক সুকুমার সেন মনে করেন বাগবাজার শব্দটি ‘বাঁক বাজার’ শব্দের অপভ্রংশ। কারণ এই অঞ্চলের নিকটে হুগলি নদীর একটি প্রকাণ্ড বাঁক অবস্থিত।

বাগবাজার একসময় ছিল সুতানুটি গ্রামের অন্তর্ভুক্ত বর্ধিষ্ণু অঞ্চল । এই অঞ্চল ছিল বসু ও পাল পরিবারের আবাসভূমি। এই বসু পরিবারে অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তিত্ব নন্দলাল বসু ব্রিটিশদের আগমনের অনেক আগেই সুতানুটিতে আসেন। ডিহি কলকাতা গ্রামে বসতি স্থাপনের পর সুতানুটি অঞ্চল ধীরে ধীরে ইংরেজ কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়। এই অঞ্চলের উত্তরভাগে পেরিনস গার্ডেন নামে একটি প্রমোদ উদ্যান ছিল । কলকাতার আদিযুগে কোম্পানির গণ্যমান্য কর্মচারীরা একসময় সস্ত্রীক এই উদ্যানে আমোদ প্রমোদ করতে আসতেন বলে জানা যায়। ১৭৪৬ সাল নাগাদ এই উদ্যানে ইংরেজ যাতায়াত উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৭৫২ সালে ২৫,০০০ টাকায় এই উদ্যানটি বিক্রি হয়ে যায়। যাঁর নামে এই উদ্যান, সেই ক্যাপ্টেন পেরিন ছিলেন বহু জাহাজের মালিক। 

১৭৫৪ সালে কর্নেল সি এফ স্কট এই অঞ্চলের উত্তর ভাগে একটি বারুদ উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছিলেন।

কলকাতার অন্যতম ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী জমিদার ‘ব্ল্যাক জমিদার’ নামে পরিচিত গোবিন্দরাম মিত্রের পুত্র রঘু মিত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালেই বাগবাজারের বিখ্যাত বাগবাজার ঘাটটি নির্মাণ করান। ১৭৫৬ সালের ২০শে জুন তারিখে বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলা কলকাতা আক্রমণ করলে বাগবাজারের অদূরেই কোম্পানির সঙ্গে তাঁর বিখ্যাত লালদিঘির যুদ্ধটি ঘটে। এই যুদ্ধে সিরাজ জয়লাভ করেন ও কলকাতা অধিকার করে নেন।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতার যে বিশিষ্ট মানুষটির সঙ্গে বাগবাজারের নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে পড়ে, তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ। সম্ভবত ১৮৭৭ সালে প্রথমবার তিনি বাগবাজারে এসেছিলেন। ৪০, বোসপাড়া লেনে (বর্তমান নাম মা সারদামণি সরণি) কালীনাথ বসুর পৈত্রিক বাসভবনে তিনি আসেন। এখানেই হরিনাথ চট্টোপাধ্যায় (পরবর্তীকালে স্বামী তুরীয়ানন্দ), গদাধর ঘটক (গঙ্গোপাধ্যায়) (পরবর্তীকালে স্বামী অখণ্ডানন্দ) ও বিশিষ্ট নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে।

রামকৃষ্ণ মিশনের সংঘ-জননী সারদা দেবীর কলকাতায় বসবাসের সুবিধার জন্য মিশন বাগবাজারেই তাঁর জন্য একটি সুউচ্চ তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। বর্তমানে এই বাড়িটি ‘মায়ের বাড়ি’ নামে পরিচিত এবং মিশনের বাংলা মুখপত্র উদ্বোধন পত্রিকার কার্যালয়। এই বাড়ি থেকে দূরে মারাঠা খাল ও গঙ্গার মিলনস্থলটি দেখা যায়। বাড়ি সম্মুখস্থ রাস্তাটির নাম মুখার্জ্জী লেন থেকে পরিবর্তিত করে উদ্বোধন লেন করা হয়েছে। বাড়ির দক্ষিণে কাশী মিত্র শ্মশানঘাট ও শ্মশানেশ্বর শিব মন্দির অবস্থিত।

বাগবাজার অঞ্চলের উত্তরে বাগবাজার খাল (মারহাট্টা/মারাঠা ডিচ) , পূর্বে শ্যামবাজার, দক্ষিণে শোভাবাজার ও কুমারটুলি এবং পশ্চিমে প্রবাহিত হুগলি নদী। সুপ্রাচীন চিৎপুর রোড (বর্তমান নাম রবীন্দ্র সরণি) সুদীর্ঘকাল ধরেই বাগবাজার অঞ্চলের জীবনরেখা। সাবর্ণ রায়চৌধুরী নির্মিত হালিশহর থেকে বেহালা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি তীর্থপথের (এই নিয়ে পূর্বেই অনেক আলোচনা করা হয়ে গেছে) উপরে এই রাস্তা নির্মিত হয়েছিল। ১৯০৪ সালে এই পথ ধরেই ট্রামলাইন বাগবাজার অবধি বিস্তৃত করা হয়।

বাগবাজার বাংলার বহু কৃতি সন্তানের বাসভূমি। তাছাড়া কলকাতার সংস্কৃতি আন্দোলনের সঙ্গেও এই অঞ্চলের নাম বিশেষভাবে জড়িত। ১২৫ বছরের পুরনো বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরিটি শহরের অন্যতম প্রাচীন লাইব্রেরি। বাগবাজার সার্বজনীন সুপ্রাচীন দুর্গাপূজাও কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় বারোয়ারি দুর্গাপূজা। এই পূজাটিও বাগবাজার স্ট্রিটেই অনুষ্ঠিত হয়।

রামকৃষ্ণ ভক্তসমাজ এই অঞ্চলের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ অনুভব করেন। বাংলা সাহিত্যেও এই অঞ্চলের বহু উল্লেখ পাওয়া যায়। বিশেষত আলালের ঘরের দুলাল গ্রন্থে প্যারীচাঁদ মিত্র বাগবাজার ঘাটে স্নানরতা মেয়েদের কথোপকথনের একটি মনোজ্ঞ বর্ণনা দিয়েছেন।

তথ্য সূত্রঃ 

বাংলা স্থাননাম, সুকুমার সেন, আনন্দ পাবলিশার্স

আলালের ঘরের দুলাল : বসুমতী কর্পোরেশন লিমিটেড (কলকাতা) সংস্করণ

ইত্যাদি, ইত্যাদি।


সংগৃহিত

Copypaste

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 




জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...