এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ডুয়ার্সের এই ৬টি জায়গা মিস করবেন না, মন জুড়ানো পাহাড়ের নীরবতা ❤️ যেন স্বর্গের সৌন্দর্য্য

ডুয়ার্সের এই ৬টি জায়গা মিস করবেন না, মন জুড়ানো পাহাড়ের নীরবতা ❤️ যেডুয়ার্সের এই ৬টি জায়গা মিস করবেন না, মন জুড়ানো পাহাড়ের নীরবতা ❤️ যেন স্বর্গের সৌন্দর্য্যন স্বর্গের সৌন্দর্য্য


বেনদা: ❤️

কালিম্পং-এর কাছেই পাহাড়ের কোলে রয়েছে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটি। পর্যটকদের রাতযাপনের সুবিধার্থে ছোট ছোট কটেজ রয়েছে, রয়েছে পাহাড়ি খাবারের সম্ভার । ঝরনা, নদী, পাহাড়িয়া সবুজ গাছপালার সৌন্দর্যের মাঝে নজর কাড়ে চারপাশের বাহারি ফুলের সৌন্দর্য। এখনও লোক পরিচিতি খুব একটা হয়নি বলে খানিকটা নিরিবিলিই থাকে এই ভিউ পয়েন্টটি। তাই আসার আগে হোমস্টে বুক করে আসাই শ্রেয়।


বিজনবাড়ি: ❤️

ছোট রঙ্গিত নদী তীরে ছোট গ্রাম বিজন বাড়ি। রয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রও। গ্রামের গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে ছোট রঙ্গিত খরস্রোতা নদীটি,এটিই মূল আকর্ষণ । নদীর ধারেই রয়েছে ছোট ছোট হোম স্টে। রোমাঞ্চকর ট্রিপ করতে আসার অন্যতম সেরা ডেস্টিনেশন। পাহাড় ঘেরা গ্রামের মাঝে নীল জলে ডুব দিলে সব ক্লান্তি হবে ধুয়ে মুছে সাফ।


চিবো: ❤️

পাহাড়ের কোলে মেঘে ঢাকা ছোট্ট গ্রাম চিবো। প্রায় ৪১০০ ফুট উচ্চতায় এই গ্রামটির সঙ্গে এখনও পর্যটকদের বেশি আলাপ নেই। চিবোতে থাকার জায়গা একটিই রিসর্ট, ‘চিবো ইন’। পাহাড়ের ঢালে ছড়ানো ছোট-ছোট কাঠের কটেজ।জানলা দিয়ে মেঘ-কুয়াশার হাতছানি, খরস্রোতা নদীর শব্দ..মন জুড়োবেই। এখানে বিদেশি পর্যটকদের  সমাগমের কারণে আধুনিক অনেক সুবিধেই পাবেন। নিউ জলপাইগুড়ি/শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৭৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম।


জামুনি: ❤️

প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার অনুভুতির সাক্ষী থাকতে চাইলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন এই জামুনি গ্রামে। চারিদিকে গাঢ় সবুজ চা বাগানে ঘেরা মনমাতানো ছোট্ট এই গ্রাম। এখানে কিছু লেপচা, গুরুং জাতির বসবাস। মানুষের জীবিকা বলতে চা, বিভিন্ন চাষ ও পশুপালন। নাম না জানা বিভিন্ন ফুল আর অর্কিডে পরিবেষ্টিত গোটা গ্রাম। পাহাড়ি সংস্কৃতি কাছ থেকে পরখ করে দেখবার অনন্য সুযোগ রয়েছে এই গ্রামে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৮০ কিলোমিটার।


ঝেঁপি: ❤️

ক’টা দিন নির্জনে প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর সেরা ঠিকানা ঝেঁপি। জনবসতি থেকে খানিকটা দূরে নির্জনে এক টুকরো শান্তির ছোঁয়া পাবেন এই গ্রামে। এখানে সকালের ঘুম ভাঙ্গে অজানা পাখির ডাকে ও ফুলের সুগন্ধে। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে এই ঝেঁপি গ্রামের দূরত্ব ৮৭ কিলোমিটারের মতো।


ফিকালেগাঁও: ❤️

ফিকালেগাঁও পাহাড়ের কোলে থাকা একটি ছোট্ট অজানা গ্রাম। সাংসে খাস মহলের মধ্যে এই গ্রামে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার মন মাতানো দৃশ্যের সঙ্গে আনন্দ বেশ উপভোগ্য । উত্তর বঙ্গের একমাত্র আপেল বাগান এখানেই আছে। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে ৭৮ কিলোমিটার রাস্তা পেরোলেই গন্তব্য।


তথ্য কোনো ভুল থাকলে দয়া করে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন।


পরবর্তীতে কোন বিষয়ের ওপর প্রতিবেদন দেখতে চাইছেন অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।❤️


এই ধরনের আরো পোস্ট দেখতে চাইলে আমাকে please ফলো করবেন 🙏


তথ্য - সংগৃহীত













আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? জেনে নিন এই ৮ প্রশ্নে😊

 আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? জেনে নিন এই ৮ প্রশ্নে😊



একটা বয়সে পৌঁছানোর পর বিয়ে না করা পর্যন্ত এ দেশে প্রায় সবাইকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়—‘বিয়ে কবে করছ?’ 


আপনি ‘সেলিব্রিটি’ হোন কিংবা ‘আমজনতা’, এ প্রশ্ন ‘কমন’ পড়বেই। বিয়ে মানে তো জীবনের এক নতুন অধ্যায়। এই অধ্যায় শুরু হওয়ার জন্য কিন্তু কেবল ‘বয়স’ হলেই চলে না, সবদিক থেকে নিজেকে ‘প্রস্তুত’ করে নিতে হয়।


ধরে নেওয়া যাক, আপনার বিয়ের বয়স হয়েছে। পরিবার থেকে বিয়ের কথা বলছে, আর্থিক দিক থেকেও কোনো বাধা নেই। আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত? নিজেকে যাচাই করে নিন আজ এই আট প্রশ্নে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য রয়েছে চারটি উত্তর। ‘ক’ উত্তরের জন্য পাবেন ৫ নম্বর, ‘খ’ উত্তরের জন্য ৪ নম্বর, ‘গ’ উত্তরের জন্য ৩ এবং ‘ঘ’ উত্তরের জন্য ২। সব শেষে মিলিয়ে নিন ফলাফল।


✅১. আপনার কাছে বিয়ের অর্থ কী?😊


ক. যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার

খ. জীবনের প্রয়োজনে একজন সঙ্গীর সঙ্গে পথচলা

গ. দারুণ রোমান্টিক ব্যাপার

ঘ. জীবনে একটা বাড়তি ঝামেলা


✅২. কাছের মানুষদের কারও সঙ্গে মতের অমিল হলে আপনি কী করেন?


ক. বিষয়টি নিয়ে ঠান্ডা মাথায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেন

খ. রাগারাগি, চিৎকার-চেঁচামেচি করেন

গ. কোনো না কোনো সময় বিষয়টি নিয়ে তাঁকে খোঁচা মেরে কথা বলেন

ঘ. তাঁকে এড়িয়ে চলেন


✅৩. যাঁদের সঙ্গে আপনি বেড়ে ওঠেননি, এমন মানুষদের সঙ্গে একই জায়গায় থাকার ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?


ক. দারুণ

খ. ভালো

গ. মোটামুটি

ঘ. ভীষণ কষ্টকর


✅৪. বিয়ের পর আর্থিক ব্যাপারগুলো কীভাবে গুছিয়ে নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?


ক. যাঁর রোজগার যেমনই হোক, সম্মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বিষয়গুলো সামলে নেওয়া উচিত

খ. দুজনের মধ্যে যাঁর রোজগার বেশি, তাঁরই বেশি দায়িত্ব নেওয়া উচিত

গ. কে কোন খরচটা দেবে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত

ঘ. নিজ নিজ খরচে চলা উচিত


✅৫. সাংসারিক কাজের ব্যাপারে আপনি কী ভাবেন?


ক. দুজনে মিলেমিশে সব কাজ করবেন

খ. এত দায়িত্ব না নিলেও ক্ষতি নেই, ঘরের কাজের সহকারী রেখে নিলেই চলবে

গ. যাঁর সঙ্গে আপনার বিয়ে হবে, এগুলো তিনিই দেখবেন

ঘ. বাজার করা বা রান্না করার মতো কাজের জন্য আপনার জন্ম হয়নি


✅৬. পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনি কী করেন?


ক. সবার সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সবার চাহিদার দিকে খেয়াল রাখেন

খ. সবার কথা শোনেন, কিন্তু নির্দিষ্ট কারও কথায় বেশি গুরুত্ব দেন

গ. নিজে যা ভালো বোঝেন, সেটাই করেন

ঘ. আপনি এসবের মধ্যেই থাকেন না


✅৭. জীবনে যখন অফুরন্ত অবসর আসবে, সেই সময়টা কীভাবে কাটাতে চান?


ক. জীবনসঙ্গীর সঙ্গে

খ. পরিবারের অন্যদের সঙ্গে

গ. বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে আড্ডা দিয়ে

ঘ. একা, নিজের মতো


✅৮. ‘শ্বশুরবাড়ি’ সম্পর্কে আপনি কী ভাবেন?


ক. পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে

খ. সেখানে আপনাকে অনেক বেশি দায়িত্ব নিতে হবে

গ. সবাই আপনাকে অনেক ভালোবাসবে

ঘ. অবধারিতভাবেই তাঁদের সঙ্গে খিটিমিটি লেগে থাকবে


🔰ফলাফল


✅আপনার প্রাপ্ত মোট নম্বর যদি ৩১ থেকে ৪০-এর মধ্যে হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যায় আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত।🥰


✅নম্বর যদি ২৬-৩০–এর মধ্যে হয়, তাহলেও আপনার কিছুটা প্রস্তুতি আছে বলা যেতে পারে। তবে ভাবনাগুলোকে আরেকটু গুছিয়ে নিলে বিয়ের পরের জীবনটাও আরেকটু সহজ হয়ে উঠবে আপনার জন্য।😉


✅আপনার মোট নম্বর যদি হয় ২১ থেকে ২৫–এর মধ্যে, তাহলে সম্ভবত আপনি বিয়ে করতে আগ্রহী হলেও এখনো ঠিক প্রস্তুত নন। জীবন সম্পর্কে আরেকটু বাস্তব ভাবনা চর্চার প্রয়োজন আছে। সে ক্ষেত্রে আপনি আরেকটু সময় নিতে পারেন।😇


✅নম্বর যদি হয় ২০–এর কম, তাহলে সম্ভবত আপনি এখনো প্রস্তুত নন। তাই বলে আপনার বিয়ে করার সময় হয়নি—এমন সোজাসাপটা উপসংহার টানা ভুল হবে। আপাতত আপনি আত্মোন্নয়নে আরও মনোযোগী হতে পারেন।🙃


আপনার নম্বর কত? কমেন্ট করে জানান..🤩


সূত্র : প্রথম আলো


রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ: ২২-০৯-২০২৪খ্রি:।

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ: ২২-০৯-২০২৪খ্রি:।

আজকেরশিরোনাম:-… 


জাতিসংঘের ৭৯-তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল নিউইয়র্ক রওনা হবেন প্রধান উপদেষ্টা।

    

পুলিশ ও নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ।

     

রাজনৈতিক কারণে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রতাহারে দুটি পৃথক কমিটি গঠন।

 

প্রতিবছর ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

 

প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ১৩ই অক্টোবর থেকে ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি।

 

ছাত্র আন্দোলনে তিন মাসেরও বেশি বন্ধ থাকার পর আজ পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু।

       

কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় চলছে ভোট গণনা৷


এবং আজ চেন্নাই ক্রিকেট টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশকে  ২৮০ রানে  হারালো স্বাগতিক ভারত।

বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ইতিহাসের হাজার নথি ঘাঁটলেও এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। তবে ইতিহাস এটা অবশ্যই বলে যে, বাঙালি জাতির বিশ্বজোড়া প্রসিদ্ধি রয়েছে তাঁর রসনার জন্য। সেজন্যই, প্রাচীন বঙ্গের বাঙালি নারীরা, ‘৬৪ রকমের ব্যঞ্জন’ ও হরেক রকম মিষ্টান্ন বানাতে জানতেন। অতীতে, উত্তর ভারতের শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন ছিল ‘ক্ষীরের তৈরি লাড্ডু’। সেই ‘লাড্ডু’ ছাড়া, ‘বিহার’ ও ‘উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশের’ মিষ্টান্ন ছিল ‘ক্ষীরের তৈরি প্যাঁড়া’। অতীতে, উত্তর ভারতে ছানার তৈরি মিষ্টান্নের কোনো বালাই ছিল না এবং বর্তমান সময়েও বিশেষ নেই। ছানার তৈরি মিষ্টান্ন বঙ্গদেশেরই বৈশিষ্ট্য। 


বাঙালিদের ছানা তৈরি করার শিখন পদ্ধতি

যদিও বাঙালি ছানা তৈরি করা শিখেছে পোর্তুগিজদের কাছ থেকে, তবুও অতীতে ছানা দিয়েই হরেক রকম মিষ্টান্ন তৈরি করতেন বাঙালি নারীরা। এ ছাড়া তাঁরা ক্ষীরের, ময়দার, নারকেলের ও ডালবাটার মিষ্টান্নও তৈরি করতেন।


ময়দা দিয়ে তৈরি মিষ্টি

 সেই সময়, বাংলার ঘরে ঘরে সেগুলো তৈরি হত। পুরানো  kolkata-য় ময়দা দিয়ে তৈরি মিষ্টান্নের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল -- ‘জিভেগজা’। 


ক্ষীর দিয়ে তৈরি মিষ্টি

ক্ষীর দিয়ে তৈরি খাবারের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিল -- ‘ক্ষীরের পুতুল’।


নারকেল দিয়ে তৈরি মিষ্টি

আর নারকেল দিয়ে তৈরি খাবারের মধ্যে বিখ্যাত ছিল -- ‘চন্দ্রপুলি’ ও ‘নারকেল নাডু’।


পুরানো kolkata-র মিষ্টির দোকানের হাল-হকিকত

অতীতে, ‘জিভেগজা’টা সমগ্র বাঙালি জাতির কাছে খুব প্রিয় একটা খাদ্য ছিল। বিংশ শতকের শুরুর দিকের কলকাতায়, মিষ্টির দোকানগুলো থেকে, এক পয়সা মূল্যে চারখানা ‘জিভেগজা’ কিনতে পারা যেত, সেগুলোর সঙ্গে আবার কিছু ‘বোঁদে’ ‘ফাউ’ হিসেবে দেওয়া হত। সেই সময়, ছানা দিয়ে তৈরি খাবারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন ছিল ‘সন্দেশ’। পুরানো kolkata-র সন্দেশের দোকানগুলোর মধ্যে কোনটা সবচেয়ে প্রাচীন -- সেটা বলা কঠিন। বিংশ শতকের শুরুর দিকের kolkata-র  প্রতি পাড়াতেই অন্তত একটা করে সন্দেশের দোকান দেখা যেত। সেই সময়ের কলকাতার, ‘নতুন বাজারে’ ‘মাখন ময়রা’র সন্দেশই ছিল সবথেকে চমৎকার। সেই দোকানে কেবলমাত্র সন্দেশই বানানো হত। কড়া ও নরম দু-রকম পাকেরই।


 'আনন্দবাজার পত্রিকা'-র বিবরণ

 ’৮০-র দশকের ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য়, জনৈক ‘জীবনতারা হালদার’, পুরানো kolkata-র মিষ্টি নিয়ে একটি প্রবন্ধে স্মৃতিচারণ করে লিখেছিলেন, “আমাদের ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকো ছিল মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। এখনকার মতো তখন অলিগলিতে মিষ্টান্নের দোকান ছিল না। জোড়াসাঁকো অঞ্চলে দোকান ছিল দশ- বারোটা। সে সময় ময়দার মিষ্টিরই বেশি চল ছিল। ময়দার মিষ্টির মধ্যে আবার বেশি চলত ‘গজা’ ও ‘মতিচুর’। ছাতুবাবুর বাজারে ছিল সবথেকে বড় ছানাপট্টি। দরমাহাটা স্ট্রিটেও ময়রাপট্টি ছিল। সেখানে বিখ্যাত ছিল নাথ ময়রার কাঁচাগোল্লা। বউবাজারে নবকৃষ্ণ গুঁই-এর ছানার পোলাউ, পান্তুয়া, দরবেশ ও বোঁদের স্বাদ ছিল সুন্দর। পান্তুয়া পরে রূপান্তরিত হয় লেডিকেনিতে। লর্ড ক্যানিং একবার মুর্শিদাবাদ পরিদর্শনে যান। মুর্শিদাবাদের সেরা ময়রা তাঁর জন্য দশসেরি পান্তুয়া বানালেন। উপহার দিলেন লেডি ক্যানিং-এর হাতে। সে থেকে লোকেরা মিষ্টিটার নাম দিল ‘লেডিকেনি’। তারপর কলকাতাতেও লেডিকেনি তৈরি হতে লাগল।” কিন্তু পরে কলকাতা প্রসিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল তার রসগোল্লার জন্য। আজও বাঙালি মাত্রেই রসোগোল্লায় মজে যায়। সারা পৃথিবী জুড়ে রসগোল্লার পরিচিতি রয়েছে এবং বাঙালিয়ানার সাথে এই মিষ্টিটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এই পৃথিবী বিখ্যাত মিষ্টিটির আবিষ্কারক ছিলেন ‘নবীন চন্দ্র দাস’৷ নবীন কলকাতায় তাঁর প্রথম মিষ্টির দোকানটি দিয়েছিলেন -- জোড়াসাঁকোর ‘মাথাঘষা গলি’-তে। সেই দোকান না চলায়, পরে তিনি আর-একটা দোকান করেছিলেন, বাগবাজারে, ‘আপার চিৎপুর রোডের’ ওপর, ‘শক স্ট্রিটের’ ঘোড়ার ট্রাম ডিপোর কাছে। সেখানেই নবীন প্রথম তাঁর রসগোল্লা সৃষ্টি করেছিলেন। তবে ‘নবীনচন্দ্র দাস’ কবে রসগোল্লার আবিষ্কার করেছিলেন? এক সময় নবীনের রসগোল্লা আবিষ্কারের সালটি নিয়ে ঐতিহাসিক ও খাদ্য গবেষকদের মধ্যে তুমুল বিতর্ক ছিল -- ১৮৬৮ সাল নাকি ১৮৮০ সালের পরে? একদলের মতে, যেহেতু ‘কলকাতা ট্রামওয়েজ কোম্পানি’, বাগবাজারে ট্রাম চালাবার জন্য ‘কলকাতা করপোরেশনের’ সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ১৮৭৯ সালের ২রা অক্টোবর তারিখে, তাই এর থেকে প্রমাণিত হয় যে -- ‘নবীন’, রসগোল্লা আবিষ্কার করেছিলেন ১৮৮০ সালের পরে। কিন্তু পরবর্তীকালের গবেষণায়, রসগোল্লার আবিষ্কার যে ১৮৮০ সালের পরে হয়েছিল -- এই তথ্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে।


'বর্তমান পত্রিকা'-র বিবরণ

 ‘নবীন’ যে ১৮৬৮ সালেই রসগোল্লার আবিষ্কার করেছিলেন, সেটা প্রথম, ১৯৮৮ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখের ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে। ‘গৌতম হোড়’ নামের এক অখ্যাত খাদ্য গবেষক প্রথম জানিয়েছিলেন। সেই প্রবন্ধে তিনি স্পষ্টভাবে লিখেছিলেন -- “নবীন চন্দ্র দাস রসগোল্লা সৃষ্টি করেছিলেন ১৮৬৮-তে।” নবীনচন্দ্র দাসের পূর্বপুরুষরা ছিলেন চিনির ব্যবসায়ী। সেই সময়ের আগে, রস বড় মাটির পাত্রে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হত। সেই গুড় থেকে উৎপন্ন হত চিনি, তবে ওই পদ্ধতিটা ছিল আদিম। ওই গুড়কে ‘পাতা’ নামের এক প্রকার শ্যাওলা দিয়ে ঢেকে দেয়া হত। সেই গুড় বা ‘ঝোলাগুড়ে’ যেসব লাল বা বাদামি রং-এর নোংরা থাকত, সেগুলো সরে গিয়ে একসময় চিনি বেরিয়ে আসত। শুদ্ধিকরণের সেই পদ্ধতিটি প্রাচীন হলেও, ওই চিনির স্বাদ নাকি বর্তমানের থেকে অনেক ভালো ছিল। এক সময়, নবীনচন্দ্রের পূর্বপুরুষেরা বাংলার চিনির বাজারের একটা বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৮৪৬ সালে নবীনের জন্ম হওয়ার সময় থেকেই তাঁর পারিবারিক ব্যবসায়ের রমরমা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। নবীনচন্দ্র তাঁর জন্মের তিন মাসের মধ্যেই পিতাকে হারিয়েছিলেন। আর্থিক দুরবস্থার কারণে লেখাপড়া না হওয়ায় তিনি ১৮৬৪ সালে, ‘জোড়াসাঁকো’-তে একটা মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু সেই দোকান তেমন চলে নি। এর ঠিক দু-বছর পরে, বাগবাজারের একটি পোড়োবাড়িতে তিনি নতুন একটি মিষ্টির দোকান খুলেছিলেন। সেই সময়, ‘জিলাপি’ আর ‘পাঁচমিশালি মিষ্টি’ বানাতে বানাতে ক্লান্ত নবীনচন্দ্র চাইছিলেন যে, তিনি ছানা দিয়ে এমন একটি রসসিক্ত মিষ্টি বের করবেন, যা সবাইকে চমকে দেবে। একদিন দুপুরে কাজ শেষ করতে করতে তিনি খেয়ালের বশে, ছানার গোল্লাকে চিনির রসে ফেলে ভেজে তুলেছিলেন। এভাবেই খেয়ালের বশেই তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন রসগোল্লার রেসিপি। কিন্তু তাঁর সেই নতুন মিষ্টি জনপ্রিয় হবে কিনা, তা নিয়ে তিনি খুব একটা নিশ্চিন্ত ছিলেন না। তাই তিনি অন্য মিষ্টির সঙ্গে সেটি বিক্রি করতেন না। নবীনচন্দ্রের ‘ম্যানেজমেন্ট’ বা ‘মার্কেট সার্ভে’ সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও তিনি তাঁর সহজাত ব্যবসায়িক বুদ্ধির বলে বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর আবিষ্কৃত সেই নতুন মিষ্টির বাজার প্রতিক্রিয়াটা জানা খুবই জরুরি। তাই তিনি তাঁর আত্মীয়, বন্ধু ও চেনাজানাদের ওই মিষ্টিটি খেতে দিতেন -- তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য। এরপরে একদিন সকালে, নবীনচন্দ্রের বাগবাজারের দোকানের সামনে হাজির হয়েছিল একটি ঘোড়ায় টানা জুড়িগাড়ি। সেই গাড়িতে ছিলেন তৎকালীন কলকাতার ধনী ব্যবসায়ী -- ‘ভগবানদাস বাগলা’। সেদিন ভগবানদাসের এক ছেলের খুবই জল তেষ্টা পেয়েছিল। নবীনচন্দ্র এগিয়ে এসে তাঁকে জল দিয়েছিলেন এবং সঙ্গে দিয়েছিলেন একটি রসগোল্লা। ওই ছেলেটি সেই নতুন ধরনের মিষ্টি দেখে প্রথমে একটু থমকালেও, সেটি খেয়ে একেবারে আহ্লাদিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ছুটে গিয়ে তাঁর বাবাকেও সেই মিষ্টিটি খেয়ে দেখতে বলেছিলেন। রসগোল্লা খেয়ে ভগবানদাসও বাক্যহারা হয়ে গিয়েছিলেন। এরপরে নিজের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের জন্য ভগবানদাস, নবীনের কাছ থেকে কয়েক হাঁড়ি রসগোল্লা কিনে নিয়েছিলেন। এবং কার্যত ওই দিন থেকেই, বাঙালির মিষ্টির রাজ্যে রসগোল্লার সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু হয়েছিল। রসগোল্লা জনপ্রিয় হবার পরে, সেটির একটি ‘শিশু সংস্করণ’ বের হয়েছিল। সেই মিষ্টির নাম ছিল -- ‘রসমুণ্ডী’। বিংশ শতকের গোড়ার দিকের kolkata-য় একটা রসগোল্লার দাম ছিল -- দু-পয়সা। আর ওই একই সময়ের kolkata-য় এক পয়সাতে চারটে ‘রসমুণ্ডী’ পাওয়া যেত। উপরন্তু ক্রেতা ‘ফাউ’ চাইলে দোকানীরা একটা ‘ফাউ’ও দিতেন। ১৯৮৮ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখের ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রবন্ধে, ‘গৌতম হোড়’ আরও লিখেছিলেন যে -- “সিমলার নকুড় নন্দীর দোকানও ১৪৪ বছরের পুরানো।” যদিও এটি সন্দেহজনক উক্তি। কেন-না আজ পর্যন্ত কেউই সঠিকভাবে জানেন না যে পুরানো kolkata-র কোনো মিষ্টির দোকান ঠিক কতটা প্রাচীন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ‘নকুড় নন্দী’র শ্বশুরমশাই ছিলেন গিরীশচন্দ্র দে। ‘কড়া পাক সন্দেশ’ তৈরির জন্য, পুরানো kolkata-য় তাঁর অসাধারণ প্রসিদ্ধি ছিল। কলকাতায় ‘শোনপাপড়ি’ চালু করেছিলেন -- ‘নেপালচন্দ্র হালুইকর’। তাঁর আদি দোকানটি ছিল ‘আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে’। তবে ‘শোনপাপড়ি’ অবশ্য ‘নেপালচন্দ্র হালুইকরের’ আবিষ্কৃত মিষ্টি নয়। তাঁর অনেক আগে থেকেই, ‘বিহার’ ও ‘উত্তরপ্রদেশে’ ওই মিষ্টিটি প্রচলিত ছিল। স্বামী বিবেকানন্দের অনুজ, মহেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছিলেন যে, উত্তর ভারতের মিষ্টান্ন, যথা -- ‘অমৃতি’, ‘জিলাপি’, ‘বালুসাই’, ‘রাবড়ি’ ইত্যাদি তাঁর সময়েই অর্থাৎ উনিশ শতকের শেষের দিকে kolkata-য় আমদানি করা হত। মহেন্দ্রনাথ দত্ত প্রদত্ত তত্ত্বে ভুল কিছু নেই, কারণ, কলকাতায় উত্তর ভারতের মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকদের আগমন ঘটেছিল ১৮৬৪-৬৫ সাল নাগাদ, অর্থাৎ, kolkata-র সঙ্গে উত্তর ভারতের রেলপথে যোগাযোগ স্থাপনের পরে।


হরিদাস মোদকের মিষ্টির দোকান                                          

বিংশ শতাব্দীর সূত্রপাতের কলকাতায়, ‘শ্যামবাজারের’ ‘পাঁচমাথার মোড়ের’ প্রসিদ্ধ সন্দেশ-দইয়ের দোকান ছিল ‘হরিদাস মোদকের’। প্রথম দিকে হরিদাস মোদকের দোকানটি ছিল ‘শ্যামবাজার বাজারের পূর্বদিকে’, একখানা চালা ঘরের মধ্যে, ‘শ্যামবাজার ব্রিজ রোডের’ ওপরে। পরে ওই রাস্তা বিস্তৃতকরণ করে ‘আর. জি. কর রোড’ সৃষ্টির সময়, হরিদাস মোদকের দোকানটি উঠে এসেছিল ‘শ্যামবাজার পাঁচমাথা’র সামনে - ‘আপার সার্কুলার রোডের উপরে (বর্তমানের ‘আচার্য প্রফুল্লচন্দ্ৰ রোড’)। সেই দোকানটি এখনও জীবিত রয়েছে। ‘সন্দেশ’, ‘ছানার জিলাপি’ ও ‘জিভেগজা’র জন্য ওই দোকানটি এখনও বিখ্যাত। 


সমসাময়িক কলকাতার অন্যান্য মিষ্টির দোকান

ওই একই সময়ে, ‘শ্যামবাজারের’ ‘মম্বুলিয়াটোলা’য় ছিল ‘দ্বারিকচন্দ্র ঘোষের’ দোকান। দ্বারিকচন্দ্ররও সুনাম ছিল ‘সন্দেশ’ ও ‘দই’য়ের জন্য। বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকের শেষের দিকে, দ্বারিকের আরেকটি দোকান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল - ‘শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ে’। তার আগে, ওই একই জায়গায় ছিল - ‘বিপিন ময়রার দোকান’। পরে কলকাতার নানা জায়গায় দ্বারিকের দোকানের আরো বিভিন্ন শাখা খোলা হয়েছিল। এমনকি কলকাতার বাইরে, ‘দেওঘরে’ও দ্বারিকচন্দ্রর একখানা দোকান খোলা হয়েছিল। কিন্তু পরে গৃহবিবাদের জেরে, দ্বারিকের দোকানগুলির হয় বিলুপ্তি, আর তা নয় তো অবনতি ঘটেছিল। বর্তমানের শ্যামবাজারের শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক হল, ‘ফড়িয়াপুকুর স্ট্রীটের’ ‘সেন মহাশয়’-এর দোকান। ওই দোকানের ‘কেশব ভোগ’ ও ‘মালাই চপ’ বিখ্যাত। কলকাতার ‘বহুবাজার’ বা ‘বৌবাজার’ অঞ্চলের ‘নবকৃষ্ণ গুঁইয়ের’ দোকানের এখন বৃদ্ধি ঘটেছে। ওই দোকানের তৈরি ‘ছানার মুড়কি’ তুলনাহীন ও অদ্বিতীয়। এরই পাশে ‘ভীম নাগের’ দোকানের আয়তন ক্রমশঃ হ্রাস পেয়েছে। অথচ একসময় ‘ভীম নাগ’ই ছিল কলকাতার শ্রেষ্ঠ মিষ্টান্ন বিক্রেতা। অতীতে অনেককেই দেখেছিলেন যে, ‘বাংলার বাঘ’ খ্যাত ‘স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়’, বিকালে ‘কলেজ স্ট্রিট’ ও ‘বঙ্কিম চাটুজ্যে স্ট্রিটের’ মোড়ে পুরানো ‘অ্যালবার্ট বিল্ডিং’-এর তলায় অবস্থিত ‘আর ক্যামব্রের বইয়ের দোকানে’ গল্পগুজব করে, বাড়ি ফেরবার পথে তাঁর গাড়ি দাঁড় করাতেন ভীম নাগের দোকানের সামনে, এবং ওই দোকান থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হত আধ সের সন্দেশ, যা তাঁর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাত না। গাড়িতে বসেই মিষ্টান্নবিলাসী স্যার আশুতোষ, সেটা শেষ করতেন। তবে ভীম নাগের দোকান, আকৃতিতে অনেক ছোটো হয়ে গেলেও, ওই দোকানের তৈরি সন্দেশ -- গুণ ও স্বাদের দিক দিয়ে আজও পুরানো কলকাতার ঐতিহ্যকেই বহন করে। বর্তমানে তো কলকাতার অলিতে গলিতে মিষ্টান্নের দোকান। তবে সেই সব দোকানের মধ্যেও পুরানো কলকাতার কয়েকটি দোকান, বিশেষ ধরনের মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত। যেমন - ‘শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়ের’ কাছের ‘যোগমায়া মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘ভাপা সন্দেশ’, ‘শৈল সুইটস’-এর ‘ল্যাংচা’, ‘ফড়িয়াপুকুরের মোড়ে’ ‘অমৃত’-এর ‘দই’, ‘জলযোগ’-এর ‘দই’ ও বড়দিনের সময় তৈরী নানারকমের ‘কেক’ ইত্যাদি, ‘রাধা সিনেমা’র নীচে অবস্থিত ‘কে. সি. ঘোষের’ দোকানের ‘রসমালাই’ ও ‘মালাই চপ’, ‘গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘নোনতা’, ‘ঢাকাই পরোটা’, ‘ঢাকাই শোনপাপড়ি’, ‘কড়াপাকের অমৃতি’ ও ‘ক্রিম রোল’, ‘রঙমহল থিয়েটারের’ পাশে অবস্থিত ‘নদীয়া সুইটস’-এর ‘পান্তুয়া’ ও ‘সরপুরিয়া-সরভাজা’, ‘গরাণহাটার মোড়ে’ অবস্থিত ‘সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ সকালবেলার ‘জিলিপি’ ও বিকেলবেলার ‘মালপোয়া’, ‘সুকিয়া স্ট্রীটের’ ‘নন্দলাল ঘোষের’ দোকানের ‘রাবড়ি’, ‘জোড়াসাঁকো’র ‘নেপাল হালুইকরের’ ‘গাজরের হালুয়া’, ‘বিবেকানন্দ রোড’ ও ‘সেন্ট্রাল অ্যাভেন্যু’র মোড়ে অবস্থিত ‘শর্মা’র দোকানের ‘কালাকাঁদ’ ও ‘কাজু বরফি’, ‘কলেজ স্ট্রীটের মোড়ে’ ‘কলেজ রো’-এর ভিতরে অবস্থিত ‘সন্তোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘ছানার পায়েস’, ‘শিয়ালদহের’ কাছে অবস্থিত ‘নাটোর সুইটস’-এর ‘রসকদম্ব’, ‘মধুরিমা’র ‘রসকদম্ব’, ‘সত্যনারায়ণ গুপ্তের’ ‘সন্দেশ’, ‘কমলা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘কমলাভোগ’, ‘নাগের’ ‘ঘিয়েভাজা গজা’, ‘হ্যারিসন রোড’ ও ‘চিৎপুর রোডের’ মোড়ে অবস্থিত ‘ইন্দ্রের দোকানের’ ‘বেদনা বোঁদে’, ‘ধর্মতলা’য় ‘শর্মা’ কিংবা ‘কল্পতরু’র নানারকম মিষ্টান্ন (কম দামি প্যাঁড়া সমেত), ‘জানবাজারের’ ‘সরস্বতী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘দই’ ও ‘বেলের মোরব্বা’, ‘তালতলা’র ‘যশোদা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের’ ‘যশোধি’, ‘মল্লিকবাজারের’ ‘লিলী সুইটস’-এর ‘সন্দেশ’ (বিশেষ করে ‘কাঁচাগোল্লা’), ‘বেকবাগানের’ ‘মেঠাই’-এর ‘কড়াপাক সন্দেশ’, ‘তেওয়ারি’র ‘জিলিপি’ ও ‘লাড্ডু’, ‘ভবানীপুরের’ ‘সেন মশাই’-এর ‘রোজক্রীম’ ও ‘দ্বারিক’-এর ‘নিকুতি’, ‘হরির হরিভোগ’ বা ‘কেক সন্দেশ’ ইত্যাদি। তবে পুরানো কলকাতার অনেক ধরনের মিষ্টান্ন এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেমন -- ‘তিলকুটো’, ‘জিভেগজা’, ‘চিত্রকুট’, ‘ক্ষীরের বরফি’, ‘বেলের মোরব্বা’, ‘ছানার গজা’ ইত্যাদি। আগে ওগুলো কলকাতার প্রতিটা মিষ্টান্নের দোকানেই পাওয়া যেত। বর্তমানে কিছু কিছু বিশেষ দোকানে পাওয়া যায়।


তথ্যসূত্র:

১. কলকাতার পুরাতন কাহিনি ও প্রথা -- মহেন্দ্রনাথ দত্ত।


২. কলকাতার কড়চা -- বিনয় ঘোষ।


৩. ৩০০ বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা -- ড. অতুল সুর।

কিভাবে জানব ভালবাসা আসল কিনা,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কিভাবে জানব ভালবাসা আসল কিনা


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসে, তুমি জানো এবং তুমি তা অনুভব করবে। প্রমাণ পাওয়া যাবে।


নীচে কিছু প্রমাণ দেওয়া হল...


✅ মনোযোগ


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, সে তোমাকে গুরুত্ব দিবে। আমরা যে জিনিস ভালোবাসি সেগুলোকেই গুরুত্ব দেই।


✅ যত্ন নিন


কেউ যখন তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার ভালোর খেয়াল করবে। যে তোমার মঙ্গলের পরোয়া করে না সে তোমাকে ভালোবাসে না।


✅ যোগাযোগ


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তখন সে আপনার সাথে যতটা সম্ভব যোগাযোগ করবে। যাকে ভালবাসো তার কন্ঠ শুনলে আনন্দ লাগে।


✅ দান করছি


ভালোবাসার প্রাকৃতিক বহিরঙ্গন হচ্ছে। যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমাকে দিবে। এটা অর্থ থাকতে হবে না কিন্তু সেখানে দান থাকবে।


✅ একসাথে সময় কাটাচ্ছি


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার সাথে সময় কাটাতে ইচ্ছা করবে এবং অনেক ইচ্ছা করবে। যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন, আপনি তার উপস্থিতি কামনা করবেন। যে তোমার সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করে না, সে তোমাকে ভালোবাসবে না।


✅ বলিদান


ভালোবাসার চূড়ান্ত প্রমাণ হলো ত্যাগ। ভালোবাসা মানে আত্মসন্ধানী নয়। ভালবাসা সবসময় প্রিয় মানুষটির খরচে নিজেকে ব্যয় করে। যে মানুষটি তোমার মন ভালো করার জন্য একবারের জন্য পথ থেকে সরে যাচ্ছে না, সে হয়তো তোমাকে ভালোবাসবে না। ভালোবাসা হলো উৎসর্গীকৃত।


✅ ধৈর্য


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তখন সে আপনার সাথে ধৈর্য ধারণ করবে। তারা আপনার দুর্বলতা, ডাউন টাইম ইত্যাদিতে ধৈর্য ধারণ করবে।


✅ সুরক্ষা


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তখন সে আপনাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করবে, সে নিশ্চিত করবে যে আপনি নিরাপদে আছেন।


✅ দয়া


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার প্রতি দয়ালু হবে। ভালবাসা দয়ালু। কঠোরতা ঘৃণা, অসন্তোষ বা রাগের লক্ষণ ভালোবাসার লক্ষণ নয়।


✅ অশ্লীলতা


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, তখন সে তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়বে। তারা তাদের গার্ড হারাবে, তাদের প্রতিরক্ষা বন্ধ করবে, তারা ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলবে এবং তারা তাদের দুর্বল দিকগুলি আপনাকে দেখাবে আশা করে আপনি তাদের ক্ষতি করবেন না।


✅ সমর্থন করুন


যখন কেউ তোমাকে ভালোবাসবে, সে তোমাকে যত সামর্থ্য দিয়ে সমর্থন করবে। তারা আপনার স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করবে, তারা আপনাকে আর্থিক, আধ্যাত্মিক, আবেগগতভাবে এবং অন্যথায় সহায়তা করবে।


✅ বিনিয়োগ


যখন কেউ আপনাকে ভালোবাসবে, তারা আপনার সাথে মানসিক, আবেগগতভাবে, অর্থনৈতিকভাবে যতটা না দেখা হয়েছে তার চেয়ে ভাল করার জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করবে। ভালোবাসা গড়ে ওঠে।


সুতরাং এইগুলি কিছু লক্ষণ যা দেখায় যে কেউ আপনাকে ভালবাসে।


তুমি কিভাবে জান যে ভালবাসা আসল?


✅ সময় দাও


আমি সম্প্রতি রেনো ওমোক্রির কাছ থেকে কিছু পড়েছি যা আমার কাছে অনেক অর্থবহ করেছে। আসলে, আমি যা বলতে চাই তা আমার জন্য নিখুঁত পরিপ্রেক্ষিতে রাখে।


তিনি বলেন, "কোন মাস্ক চিরকাল পরা যায় না। মানুষকে সময় দিন। এদের মুখোশ পড়ে যাবে। ততক্ষণ পর্যন্ত এদের সাথে বিয়ে বা ব্যবসা করবেন না। ভালবাসুন, কিন্তু সতর্ক থাকুন। "


গর্ভাবস্থা চিরকাল ঢাকা যাবে না, সময়ের সাথে সাথে তা প্রকাশ পাবে সবার দেখার জন্য।


সুতরাং, ব্যক্তিকে সময় দিন। সে বলে তোমায় মন দিয়ে ভালবাসে,তুমি তার সকালের তারা,রোদ,চায়ে চিনি,রুটিতে মাখন,তার একমাত্র নারী,কোন সমস্যা নাই। সময় দাও।


যখন সে সেক্স চায় এবং আপনি তাকে বলেন বিয়ে না করা পর্যন্ত সেক্স করবে না, তখনও কি সে প্রেম করেই যাবে?


তুমি যখন নিজেকে খুব কঠিন পরিস্থিতিতে পাবে, হয়তো তুমি গুরুতর অসুস্থ, তখনও কি সে ভালোবাসবে?


সে বলে সে তোমাকে ভালবাসে, তুমি তার পৃথিবী এবং তুমি তার কাছে সবকিছু। তোমাকে ছাড়া সে বাঁচতে পারবে না বা বাঁচতে পারবে না। তুমি তার অক্সিজেন এবং জীবনশক্তি। কোন প্রবলেম নাই। সময় দাও।


যখন আপনি আপনার চাকরি হারাবেন বা আপনার ব্যবসায় একটি বড় আঘাত পেয়েছেন, সে কি এখনও ভালোবাসবে?


যখন তুমি ভেঙ্গে পড়বে এবং তার আর্থিক চাহিদা পূরণ করতে পারবে না, সে কি তখনও ভালোবাসবে নাকি অন্য ছেলের সাথে অদৃশ্য হয়ে যাবে?


তাড়াহুড়া করবেন না। সময় দাও। সময় একটি প্রকাশকারী। ভালোবাসাটা সত্যি কি না সময়ের সাথে সাথে বুঝা যাবে মানুষটা সত্যি বলছে না মিথ্যা বলছে। ভালবাসা অবিরত থাকে এবং ভালবাসা দীর্ঘ কষ্টের। ভালবাসুন, কিন্তু সতর্ক থাকুন।


"ভালোবাসা সত্যি কি না সেটা সময়ই প্রকাশ পাবে... "



শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ -২১-০৯-২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ -২১-০৯-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


তিন পার্বত্য জেলায় সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের --- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পরিদর্শন করবে আজ।

    

আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা --- পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ারি। 

     

ছুটির দিন শুক্রবারেও শুরু হলো মেট্রোরেলের চলাচল --- আবার চালু হলো কাজীপাড়া স্টেশন।

     

প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন ২৭শে সেপ্টেম্বর --- বিশ্ব সংস্থায় বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানের বীরত্বগাঁথা তুলে ধরা হবে --- জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।

        

শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ বেশ কিছু সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের --- বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।

        

২০২২ সালের গণ বিক্ষোভের পর শ্রীলঙ্কায় এই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

       

এবং চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গতকালের ৩ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং পুনরায় শুরু করবে স্বাগতিক ভারত।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ ২০-০৯ -২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ ২০-০৯ -২০২৪

আজকের সংবাদ শিরোনাম


আজ থেকে শুক্রবারসহ প্রতিদিনই চলবে মেট্রোরেল --- ফের চালু হচ্ছে কাজীপাড়া স্টেশন।

         

পয়লা অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন --- ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন। 

         

অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ– ২০২৪ এর খসড়ায় উপদেষ্টা পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন।

         

ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক –-- জানালেন অর্থ উপদেষ্টা।

          

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ।

 

লেবাননে ডিভাইস বিস্ফোরণের মাধ্যমে সকল সীমা লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল --- কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর।

         

এবং চেন্নাইতে প্রথম ক্রিকেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গতকালের ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং পুনরায় শুরু করবে স্বাগতিক ভারত।

বাদীর জেরা- ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাদীর জেরা- 

১।  আপনি কি বিল্লুকে আপনার ঝাপি থেকে   মাছ নিয়ে যেতে দেখছেন? 

- জ্বী। 

২। দেখার পরেও আপনি চুপ করে বসেছিলেন? 

- না। 

৩। বিল্লুকে তাড়া করেছিলেন?

- জ্বী। 

৪। ধরতে পারেননি?

- না। 

💚💚 বিল্লু আপনার চেয়ে বুদ্ধিমান এবং বেশি দৌঁড়াতে পারে। 

- সত্য নয়।

৫।  বিল্লুকে তাড়া দেওয়ার সময়ে অন্য কেউ দেখেছে? 

- মনে পড়ছে না।

৬। আপনাকে বিল্লুকে তাড়া করতে  দেখেছে এরকম কোনো সাক্ষী আছে আপনার কাছে?

- না। 

💚💚 আপনি বিল্লুকে মাছ চুরি করতে দেখেননি। তাড়াও করেননি।

 -- সত্য নয়। 


৭। বিল্লু কী মাছ  নিয়েছিল? 

-- রুই মাছ। 

৮। বাজারে আপনি একাই কি রুই মাছ বিক্রি করেন? 

- না। 

৯। আরও অনেকে রুই মাছ বিক্রি করে? 

- হ্যাঁ। 

১০। অন্যদের মাছের চেয়ে আপনার মাছের চেহারা সাইজ আলাদা?  অন্যদের মাছের সাথে মেলালে আপনার দোকানের মাছ আলাদা করা যায়? 

- না। 

১১।  বিল্লুর কাছের যে রুইমাছ এরকম মাছ আপনি ছাড়াও আরও অনেকে বিক্রি করে?

- হ্যাঁ। 

১২। বিল্লুর কাছের পাওয়া মাছটা আপনার দোকানের কিনা প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়া  তা যাচাই করার আর কোনো উপায় আছে? 

- না। 

১৩। বিল্লুকে মাছ নিয়ে যেতে আপনি ছাড়া আর কেউ দেখেছে এরকম কোনো সাক্ষী কি আপনি কোর্টে উপস্থাপন করেছেন? 

- না। 

😏😏পর্যাপ্ত সাক্ষ্য  প্রমাণের অভাবে বিল্লুর বিরুদ্ধে চুরির  অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিল্লুকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।



বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা,,,, মাসুক শাহর মাজার ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বর্তমান সমাজে বিশাল বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বিয়ের পর বাবার পরিবারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকা। এই সংঘাত যৌথপরিবারের এক চিরচেনা রূপ। আমি বহু দ্বিনি ভাইকেও এই সংঘাতের চিপায় অসহায়ভাবে আটকে থাকতে দেখেছি। করণীয় কী?


সমাধান এতো সহজ নয় বিশেষ করে এই জাহেলিয়াতের যুগে। এই জন্য আমি প্রায়ই বলি, 


"হালাল খাবার না পেলে হারামে ঝাপিয়ে পরবো তাই আমার বিয়ে করা দরকার।" এই টেন্ডেন্সি আপনাকে সাংসারিক জীবনে লম্বা সময় সারভাইভ করতে দিবে না। চিন্তার পরিধি বৃদ্ধি করে যথা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে তারপর বিয়ে করুন।"


প্রতিটা মেয়ের কিছু ব্যাসিক চাহিদা থাকে যেমন। উদাহরণস্বরূপ- আমার এমন একটা সংসার হবে যেখানে,


১. আমার একটা নিজের ঘর থাকবে, যা আমি স্বাধীনভাবে সাজিয়ে নিবো।

২. আমার নিজের একটা পাকঘর থাকবে, যেখানে আমি আমার ইচ্ছেমত নিত্যনতুন রেসিপি ট্রাই করতে পারবো। পাছে তেল, চিনি, নুন অপচয়ের খোঁটা দেয়ার কেউ থাকবে না।

৩. একটা প্রাইভেট স্পেস থাকবে যেখানে আমার স্বামী ব্যতীত অন্যকেউ জবাবদিহি চাইতে আসবে না।

৪. স্বামীর কাছে যে কোনো ছোটোখাটো আবদার বড়সড় করে দাবী করে বসলে পাছে কেউ "ন্যাকামো" বলে তাচ্ছিল্যের তীর ছুড়বে না।

৫. স্বামীর সাথে একান্তে সময় কাটালে বাঁকা চোখে কেউ তাকিয়ে থাকবে না৷ 

৬. সামাজিকতার নামে গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সামনে স্বামীর পরিবার ঠেলে পাঠাবে না৷ 

৭. প্রাপ্ত বয়স্ক দেবরকে প্রতিদিন খাবার বেড়ে দেয়ার ছুঁতোয় তার সামনে যেতে হবে না।

৮. শাশুড়ী ননদদের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে স্বামীর চক্ষুশূল হতে হবে না। 

৯. যেখানে আমাকে মূল্যবান নেয়ামত ভাবা হবে, কাজ করার যন্ত্র ভাবা হবে না।

১০. যেখানে আমাকে এবং আমার পরিবারকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া হবে, লাঞ্চিত করা হবে না।


ইত্যাদি ইত্যাদি, নানারকম স্বপ্নে তারা বিভোর। আর এগুলো তাদের হালাল যৌক্তিক স্বপ্ন। যেখানে নসিহা করার অধীকার কারো নেই। অথচ খুব সামান্য পরিমাণ মেয়েই তাদের এই মৌলিক চাহিদার কাছাকাছি পৌছতে পারে। বিশাল একটা অংশই হয় পুরোপুরি  বঞ্চিত ও লাঞ্চিত।


আপনাদের জানা আছে কিনা আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের বিশাল সংখক মেয়ে বিয়ে করতে ভয় পায়, এতোটাই ভয় পায় যে বিয়ের নাম শুনলেই তারা আতকে ওঠে। কারন সে তার মায়ের সাথে একটা লম্বা সময় তার বাবার বাড়ির পরিবার থেকে এমন কিছু ঘটতে দেখে যা সে প্রতিটা মুহূর্ত একটা ভয়ংকর দুঃস্বপ্নভেবে ভুলে যেতে চায়। কিন্তু সম্ভব হয় না।

ভালবাসায় বেচে থাকুক সব পরিবার


বিয়ের আগে বোনদের মানসিক প্রস্তুতি:,,,,,

বিয়ের আগে বোনদের মানসিক প্রস্তুতি:

বিয়ের আগে মেয়েদের মানসিক প্রস্তুতিটা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। 
কারণ, পুরুষ যত টাকা আয় করুক না কেন, ঘর কিন্তু সামলে রাখেন ঘরের মেয়েরাই।
 পুরুষরা হলেন ঘরের ড্রাইভারের মতো, আর মেয়েরা হলেন সেই ঘরের ইঞ্জিন। 
ইঞ্জিন ছাড়া যেমন গাড়ি চলবে না, ড্রাইভার ছাড়াও গাড়ি চলা অসম্ভব।

তাদের সবচেয়ে বড় মানসিক প্রস্তুতি হলো, এত বছরের চেনা পরিবেশ আর নিজ পরিবারকে দূরে রেখে নতুন এক পরিবেশে গিয়ে নতুন পরিবারকে আপন করে নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি।
 তাদেরকেই এখন থেকে জীবনের সুখ-দুঃখের অংশীদার বানিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি।

মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই বাসার সবচেয়ে আদুরে হয়ে থাকে। 
তাদের আবদারও থাকে বেশি।
 আবার কেউ কেউ বড্ড অভিমানীও হয়।
 কিন্তু বিয়ের পর এই মেয়েকেই অনেক আবদার পরিস্থিতি বুঝে মনের মধ্যেই চেপে যেতে হয়।

আগে হয়তো নিজের বাসায় এঁটো বাসনগুলোও ধরতে ঘেন্না হতো, এখন তাকে এসব তো পরিষ্কার করতে হবেই, ক'দিন বাদে সন্তানের মল-মূত্রও নিজহাতে সাফাই করতে হবে।
 অথচ বিয়ের আগে এর মানসিক প্রস্তুতি না-থাকার কারণে অনেক মেয়েই শ্বশুরবাড়ি এসে ভেঙে পড়ে। 
মন খারাপ করে বসে থাকে। সবাই এমন তা নয়, অনেকেই ছোট থেকে ঘরের সব কাজ করা শিখে নেয়; তাদের জন্য বিয়ের পর সবকিছু মানিয়ে নেয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

আবার অনেকের অভ্যাস হলো সকালে আটটার আগে ঘুম না ভাঙা।
 আটটার পর মা এসে টেনেটুনে ঘুম ভাঙান।
 এ নিয়ে বাসায় প্রতিদিন বকাঝকা শুনতে শুনতে ক্লান্ত। 
কিন্তু বিয়ের পর এমন হলে চলবে না বোন, এখন ফজরের পর উনুনের আগুনটা প্রথমে আপনাকেই ধরাতে হবে।
 আগে হয়তো বাসায় বুয়া এসে কাপড়চোপড় ধুয়ে দিতেন। 
শ্বশুরবাড়ি তো বুয়া নাও থাকতে পারে, তখন নিজের কাপড়, স্বামীর কাপড়, প্রয়োজনে খেদমতের নিয়তে শ্বশুর-শাশুড়ির কাপড়ও ধুয়ে দিতে হবে।

বিয়ের পরে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি সহ্য করতে হয় তা হলো, শ্বশুরবাড়ির বিভিন্ন আত্মীয়দের কটুকথা। বাবার বাড়ি থেকে কী দিল? কে কে দেখতে আসল? রান্না এমন কেন?
 শরীর এত শুকনো কেন? মাথায় চুল কম কেন? বাবার বাড়ি এত যাওয়া লাগে না কি, বছরে একবার গেলেই তো হয়!— এসব নানারকম কথা শুনতে হয় মুখ বুজে।

বাবার বাড়ির রাজকন্যা এখানে এসে হয়ে যায় ঘরের বউ। 
পার্থক্য এটাই যে, বাবার বাড়িতে তার মন জুগিয়ে চলতে হতো সবার।
 তার অভিমানের কাছে যেন রাজ্যের ক্ষমতাও নস্যি। 
কোনো কিছু চাওয়ার আগেই যেন তার সামনে তা হাজির করার জন্য সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত। অথচ এখন এখানে তাকে চলতে হবে সবার মন জুগিয়ে। 
এখানে অভিমানগুলো সব আঁচলেই মুছে যায়। কত আবদার হারিয়ে যায় স্বামীর সামর্থ্য না থাকার কারণে। 
এসব মেনে চলার জন্য বিয়ের আগেই মানসিক প্রস্তুতি দরকার।
.
বই: 'বিয়ের আগে :
 ফ্যান্টাসি নয়, হোক বাস্তব প্রস্তুতি' বই থেকে

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...