এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

বিয়ে,স্বামী-স্ত্রী গুরুত্ব হক না বোঝার দাম্পত্য জীবনে অশান্তির করুণ বাস্তবতা!!,,,,,,,

 বিয়ে,স্বামী-স্ত্রী গুরুত্ব হক না বোঝার দাম্পত্য জীবনে অশান্তির করুণ বাস্তবতা!!


পরিচিত বড় ভাই। বিয়ের প্রথম বছর। টানা কয়েক মাসের ইফোর্টে নতুন সংসার গুছিয়ে এনেছেন। একরকম ক্লান্ত হয়েই অফিসের কয়েকজন কলিগের ফ্যামিলির সাথে কুয়াকাটা ট্যুরে গেলেন। যাকে বলা চলে 'বিলম্বিত হানিমুন'।


ট্যুরের উদ্দেশ্য ছিলো ফ্রেশ হয়ে আসা। 

ট্যুরের পরে অদ্ভুত কিছু ঘটলো। ভাবী একদম অন্যমনস্ক, মুখ ভার করে থাকেন সবসময়। ভাই জিজ্ঞেস করলে কিছু বলে না। ঘরের কাজও করে দায়সারাভাবে।

মহা ঝামেলা। পরে ভাবীর আত্মীয়ের মাধ্যমে জানা গেলো ঘটনাটা।


ট্যুরের জন্য ভাইয়ের একজন কলিগকে লিডার বানানো হয়েছিলো। ভাবীর ভাষ্য অনুযায়ী, ওই লিডার কলিগের সবকিছু নিজ হাতে ম্যানেজ করা, যেকোনো ইস্যুতে সবার আগে এগিয়ে যাওয়া, স্থানীয়দের সাথে ঝামেলা হয়েছিল - সেটা এগিয়ে গিয়ে সমাধান করা, হোটেলে সবার খাওয়া নিশ্চিত করে তারপর নিজে খাওয়া - ব্যাপারগুলো তাকে খুব প্রভাবিত করেছে।


ব্যাপারটা আরো কন্ট্রাস্ট হয়ে গেছে তার নিজের স্বামীর কারণে। তার স্বামী, মানে ভাই পুরোটা সময় ব্যস্ত ছিলেন ফোনে। ছোটখাটো ব্যপার যেগুলো নিজে সমাধান করা যেত সেগুলোর জন্যও সেই লিডারের শরণাপন্ন হয়েছেন। ইভেন তার স্ত্রী বাথরুমে যাবে, সেটাও সেই লিডারকে বলে ব্যবস্থা করেছেন।


ভাবীর ব্যপারটা ইউনিক। তিনি যদি বলতেন, ওই লিডার কলিগকে তার ভালো লেগেছে, তাহলে ব্যাপারটা সিম্পল হতো, পরকীয়া টাইপ। কিন্তু তার কথা হলো, তিনিও তো সেইম ফিনান্সিয়াল ব্যাকগ্রাউন্ডের মধ্যেই একজন ওরকম মাসকুলিন স্বামী পেতে পারতেন। সেটা পাননি এবং এরকম দায় এড়ানো কারো সাথেই তার বাকি জীবন কাটাতে হবে ভেবে আপসেট।


পরে ভাইকে বলা হলো, আপনি কী আশা করেছিলেন আসলে? নিজের স্ত্রীকে এতগুলো পরপুরুষের সাথে এত ক্লোজ প্রক্সিমিটিতে রাখলেন, যেখানে আপনি নিজেই ইন্ট্রোভার্ট।  এখন হয় একজন মেন্টরের কাছ থেকে এসব সংশোধন করেন, নইলে বউকে নিয়ে আরেকটা ট্যুরে যান, সংসার আর করা লাগবে না।


■■ ভাই একা দায়ী?


এই ধরণের পরিস্থিতির জন্য উক্ত ভাই একা দায়ী, এটা ভুল। মাস্কুলিনিটি-লিডারশীপ ২৫ বছরের শিক্ষাজীবনের কোথায় শেখানো হলো? 

আর ফ্যামিলি? বলেই দিয়েছে, 'কোনো ঝামেলায় জড়াবি না'। ছেলেরা দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া শিখবে কিভাবে?


এরপরে রয়েছে সংসার। ইউনিভার্সিটিগুলোতে এত ধরণের প্রোগ্রাম হয়, 'নকশীকাথার ইতিহাস', 'কেচো চাষের গুরুত্ব', 'দেশে ব্যান্ড সংগীতের বিবর্তন' - আচ্ছা এগুলো তো অলমোস্ট ইউজলেস। কিন্তু এই ভার্সিটি থেকে বেরোনো মাত্রই যে স্বামী হওয়া লাগবে, এবং তা সবারই - সে বিষয়ে কতটুকু পড়ানো হয়?

জিরো।


এখানে অনেকে বলে, সব শিখিয়ে দিতে হবে কেন? বা ফ্যামিলির ভাষায়, 'বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে'।

হ্যাঁ, ছেলে শিখছে ঠিকই, বিয়ের প্রিপারেশন নিচ্ছে চটি পড়ে আর সংসার করা শিখছে ফেসবুক গ্রুপ আর প্রথম আলো থেকে।


পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা শিখতে হয় না - জুতো পরা থেকে আগুন ধরানো। এখন লাইফের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া বড় ব্যাপারগুলোতে তরুনকে যদি নিশ্চিতভাবে সঠিক শিক্ষা না দেওয়া যায়, কোনো গ্যারান্টি নেই সে ঠিকমত শিখেছে কিনা। এটা কেবল ভুল করার পরেই জানা যায়।


এর পরিণতি ভালো হচ্ছে না, স্বাভাবিকভাবেই। পরের পয়েন্টটি দেখুন। 


■■ কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই পরীক্ষা


আধুনিক বিয়ে মানে ব্যাপারটা এরকম - দুটো ছেলে-মেয়েকে চোখ বেঁধে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আগে কিন্তু বলা হয়নি কোথায় পা ফেলতে হবে বা ফেলা যাবে না - একদম কিছু না। কিন্তু তারা ভুল করামাত্রই পাশ থেকে স্বজনেরা হা-রে-রে করে তেড়ে আসছে শাস্তি দিতে। নবদম্পতির কোন আইডিয়াই নেই তারা কী ভুল করেছে, বা আদৌ ভুল করেছে কিনা। কেবল জানে কালকের খুবই ফ্রেন্ডলি কয়েকজন আত্মীয় আজকে থেকে হঠাৎ খুবই আপসেট।


একটা ঘটনা শেয়ার করি। আমার একজন পরিচিত মজলুম আলেম, হাসিনার পুলিশ তার লাইফটাই এলোমেলো করে দিয়েছে। জেলে ছিলেন। সময়মত লাইফ গোছাতে পারেননি। এত অসহায় আর লোনলি ছিলেন, দেখে খুব কষ্ট হতো। আমাকে অসম্ভব স্নেহ করেন।

একদিন ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত পেলাম। কত খুশি ছিলাম, শুধু আমি না, উনাকে যারা চিনতেন- সবাই। 

বিয়েতে যেতে পারিনি। পরে একদিন দেখা। বললাম, এতদিন পর লাইফের একটা গতি হলো, আপনি নিশ্চয় হ্যাপি।

উনি যা শোনালেন, স্পিচলেস হয়ে গেলাম। বিয়ের দিন মধ্যরাতে তার কয়েক ঘন্টা আগে বিয়ে করা স্ত্রীকে দিয়ে তার বড় ভাবীর পায়ে ধরতে বাধ্য করা হয়েছে। তার ভাবী নাকি কী কারণে খেতে আসেনি, সেই রাগ ভাঙ্গাতে।


হোয়াট!?


■■ ছেলেরাই চূড়ান্ত ভিকটিম


আমার কিছু বিবাহিত ভাই-বন্ধুর কনসোলিংয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে। কী নিয়ে সেটা আপনারা জানেন, মা-বৌ ইমব্যালান্স।

ফেসবুক গ্রুপগুলোতে এরকম পরিস্থিতি কেউ জানালে তার নিচে কমেন্টগুলো খুবই কমন থাকে - 'মা-বৌ ব্যালান্স না করতে পারলে বিয়ের দরকার কী?' 'কারো দিকে ঝুঁকে পড়বেন না' ইত্যাদি ইত্যাদি।


কিন্তু কেউ বলছে না, হাউ? দুইজন নারীর মধ্যের এই অত্যন্ত কমপ্লেক্স পরিস্থিতি ম্যানেজ করার জ্ঞান সে কি গায়েব থেকে পাবে? এ এমন এক পরিস্থিতি, সারাজীবনের মেন্টর বাবা-মা আপনাকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না, বৌ তার নিজের ডিমান্ড নিয়ে দরজা আটকে পড়ে রইলো, আর ত্রিমুখি ঝগড়ার সমস্ত ব্লেইম এসে পড়বে ছেলেটার উপর।

সব তার দোষ। 


এক ২৫-৩০ বছর রক্ত জল করে বিয়ে করার পর কোথায় একটু আনন্দে থাকবে, উলটো বাড়ির বাতাসটাও যেন তিতে লাগে।


মেয়েদের বেলায় অন্ততঃ তার বাবার ফ্যামিলিটা রয়েছে। তাদের কাছে হেল্প চাইতে পারে, পরামর্শ নেয়। ছেলে যাবে কোথায়? একটা মানিব্যাগ কেনার আগেও যেই বাবাকে জানানো যেত সেখানে তাকে এ ব্যাপারে কিছুই বলা যায় না।


মা জ্বর হলে ছেলের আগে টের পান, অথচ এই ব্যালান্স করতে গিয়ে ছেলে যে তীব্র যন্ত্রণায় মানসিক রোগী হবার পথে, মা বুঝতেই চান না।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, মা ছেলের কাছে ফোন করেছে। রিসিভ হয়নি। মা বললো, দেখেছিস, বিয়ের পর কেমন কথা বলা বাদ দিয়েছে। আমি বললাম, আচ্ছা, বিয়ের আগে ফোন না ধরলে কী মনে করতেন? বললেন, হয় মিটিঙয়ে আছে, কিংবা গাড়িতে। বললাম, একই ঘটনা কী এখনও ঘটতে পারে না? 


বউ মানবে না, মা-বাবাকে কিছু বলা যায় না, ভাইয়েরাও ইন্টারেস্টেড পার্টি, তাদের বলা মানে ভাবীদের মুখ ঘুরে আরেক পরিস্থিতি। বিবাহিত ছেলেরা শেষমেষ আসে আমাদের মত বন্ধুদের কাছে। পরামর্শ চায়, এদিকে আমরা নিজেরাই ব্যাচেলর। সংসারে এক বছরের মাথায় হাঁপিয়ে উঠেছে, বলে তোর ওখান থেকে একদিন ঘুরে আসা যাবে? 


বন্ধুদের যাদের সাথে এক মিনিটের বেশী কোনোদিন ফোনে কথা হয়নি, তাদের সাথেই এখন ২০-৩০মিনিট পার হয়ে যায়। সবার একই ইস্যু।


থাম্বনেইলে যে ছবিটা দিয়েছি এটার সাথে একটা সত্য ঘটনার সম্পর্ক আছে। 

মাঠের পাশে এভাবে গাছতলায় বসে  আমাকে ফোন করতো। মা-বৌ দুইজন দুই ঘরে মন খারাপ করে বসে আছে, দুজনের কাছেই সে ভিলেন। এমন একটা অবস্থা, লাইফের আপন মানুষদের বলা যায় না, মা-বৌ বুঝতে চায় না, নিজের ভাইকেও বলা যায় না - ভাই নিজেও এক পক্ষ। শেষমেষ ভরসা বন্ধুরা।


ওকে বললাম, তোর সাথে যেসব ইস্যু নিয়ে কথা হয় সেগুলো নিয়ে কিছু একটা লিখি। থাম্বনেইলটা ওর সামনেই বানানো।


■■ আধুনিক মায়েদের ডুয়ালিটি


ছেলের বৌয়ের বেলায় কারারক্ষীর মত হলেও একটা ব্যাপারে মায়েদের আচরণ পুরো উল্টো। সেটা হলো ছেলের গার্লফ্রেন্ড। অনেক ফ্যামিলিতে দেখেছি, মা ছেলের গার্লফ্রেন্ডের সাথে নিয়মিত ভিডিওকলে কথা বলে। সে কি হৃদ্যতার সম্পর্ক!

ভ্যালেন্টাইন ডে-তে প্রথম আলো শিরোনাম করেছিলো, মা তার ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে বলছে, 'আমার পাগলটারে দেখে রাইখো মা'


ছেলে প্রকাশ্য ব্যাভিচারে জড়িয়ে রয়েছে, মা উলটো উৎসাহ দিচ্ছে! এই মা-ও নাকি সংসারে শান্তি চায়!


এবার ভাবুন তো এই মেয়েটাই যখন তার পুত্রবধু হচ্ছে তখন তার ওই ক্রিম মাখানো আচরণ কোথায় পালালো? মমতাময়ী মা থেকে হয়ে উঠলেন কম্পিটিটর শাশুড়ী!


শুধু ফ্যামিলিতে মা-ভাবীর ক্যাচাল দেখেও বহু ছেলে বিয়ের আগ্রহ হারাচ্ছে।


এক সিনিয়রকে বলা হলো বিয়ে করেন না কেন? বলল, মা আমাকে এখনও খাইয়ে দেয়। মা ওর সাথে আমি বাদেই অনেকক্ষণ ফোনে কথা বলে। একদিকে আমার সেক্সুয়াল লাইফ ঠিকঠাক, কোনো দায়িত্ব নেই-গ্যাঞ্জাম নেই, মায়ের আদরও পাচ্ছি। আমি জানি বিয়ের পরদিনই এসব উধাও হয়ে যাবে। সেধে এই লাইফ হারাতে যাবো কেন?


মানে বিয়েকে ঠিক আর কত কঠিন করা হবে! 


■■ সংসার শিখবো কোথায়? উদাহরণ সামনেই আছে


কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার পেলাম প্রি-ম্যারেজ কোর্স এবং কাউন্সেলিংয়ের উপর


 > ইরানে ১৯৯৩ সাল থেকে গ্রাজুয়েশন লেভেলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রি-ম্যারেজ কোর্স ও কাউন্সেলিং করানো হয়। এসব কোর্সের টপিক থাকেঃ

 - স্বাস্থ্য,

 - ধর্মীয় ও আইনি বিধান,

- বিবাদ মেটানো,

- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও

- কমিউনিকেশন স্কিল।

কোর্সগুলো তৈরি করা হয় অত্যন্ত অভিজ্ঞ কিছুর প্রফেসর এবং সংশ্লিষ্ট প্রফেশনালদের দিয়ে। 

একটা রিসার্স পেপার পেলাম, যেখানে দেখিয়েছে কিভাবে এসব কোর্স ডিভোর্সের হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়েছে। 


> মালেশিয়াতেও সিমিলার কোর্স রয়েছে। এছাড়া ভার্সিটিভিত্তিক নানান সংগঠন এরকম ওয়ার্কশপ ও কোর্সের আয়োজন করে। একটা কোর্সের পোস্টারের ছবি দেখলে আইডিয়া পাবেন।


> বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়পর্যায়ে এই ধরনের প্রি-ম্যারেজ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি এখনই কিছু সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিতে পারে।


> যারা শাশুড়ী হতে যাচ্ছেন তাদের জন্য ছেলে-মেয়ের বিয়ের আগে অবশ্যই তাদের করণীয় সম্পর্কিত কর্মশালার ব্যবস্থা করতে হবে। 

বাংলাদেশে ফ্লোর মোছার জন্যও কোর্স আছে, কিন্তু শ্বাশুড়ি হওয়াটা নারীরা শিখছে কোথায়? তাদের মনগড়া কাজের কারণে পুত্রবধু তো বটেই, ছেলের উপরও মারাত্মক জুলুম করেন। যা তাদের নিজেদেরকেও মানসিক শান্তি দেয় না। এই ধরণের আয়োজন সব পক্ষের জন্যই উইন-উইন হবে।


> সর্বশেষ, বিয়ের প্রস্ততিতে সবাই যে পার্টটা স্কিপ করে যায় সেটা হলো বাচ্চার কেয়ার। বিয়ের পর ইভেনচুয়ালি বাচ্চা হবেই। ইউনিভার্সিটি পাশ গর্বিত মা-ও দেখা যায় বাচ্চার নিউট্রিশন ও সাইকোলজি সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান নেই, সারাদিন বাচ্চাকে ভাত গেলানোর ট্রাই করে যাচ্ছে। এটাও শিখতে হবে। 


পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


- আহমাদ খান


রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ০৮-১০-২০২৪ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০৮-১০-২০২৪ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


আগামীকাল মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা --- সারাদেশে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার।

         

দুর্গা পূজা উদযাপনের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

         

ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের ২০ হাজার অনিষ্পন্ন ভিসা আবেদন নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির।

       

বাজার স্থিতিশীল করতে সরকারের সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন।

       

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫।

      

মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জিওফ্রে হিন্টন ও জন হপফিল্ড।

       

এবং আগামীকাল দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪

বইপড়া" কিভাবে শিশু-কিশোরদের জীবন বদলে দেয়,,,,..

 "বইপড়া" কিভাবে শিশু-কিশোরদের জীবন বদলে দেয়?


'বইপড়া' সব বয়সী মানুষেরই শ্রেষ্ঠ অভ্যাস। আর এই অভ্যাস যদি গড়ে তোলা যায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে, তাহলে তা সর্বশ্রেষ্ঠ। বইপড়ার অভ্যাস একবার গড়ে তুলতে পারলে তা শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যৎ জীবনের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে।

বই পড়ার ফলে শিশুদের মধ্যে বেশকিছু পরিবর্তন গড়ে ওঠে। চলুন দেখা যাক কি কি ধরণের ভালোদিক বই পড়ার ফলে শিশুর মধ্যে আসেঃ


১। কল্পনাশক্তিঃ "কল্পনাশক্তি জ্ঞানের থেকেও বেশি শক্তিশালী" - আইনস্টাইন। বইয়ের প্রতিটি লাইন শিশুকে ভাবতে শেখায়, কল্পনা করতে শেখায়। এই কল্পনা কোনো ভিডিও বা ভিজুয়াল থেকে পাওয়া সম্ভব না। প্রতিটি দৃশ্য শিশু-কিশোররা কল্পনা করার যে সুযোগ পায়, তাতে তাদের মনোজগতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনে।


২। সৃজনশীলতাঃ শিশু-কিশোর বইপড়ার সময়ে তাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা হয়, বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে ভাবতে হয়, এর ফলে তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে চিন্তা করার শক্তি এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা লাভ করে।


৩। ভাষার দক্ষতাঃ বইপড়ার মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাচনভঙ্গির সাথে পরিচিত হওয়ায় তাদের শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায়। এতে তাদের ভাষাগত দক্ষতা বাড়ে। ইংরেজি, বাংলা উভয় ক্ষেত্রেই তাদের এই উন্নতি ঘটে।


৪। মনোযোগ ও ফোকাসঃ বই পড়তে এবং বুঝতে শিশু-কিশোরদের মনোযোগ দিতে হয়। এতে তাদের মধ্যে মনোযোগ শক্তি বৃদ্ধি পায় যা তার পরবর্তী জীবনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।


৫। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সঃ বই পড়ার মাধ্যমে অনেক চরিত্র এবং তাদের ইমোশন এর ব্যাপারে বিভিন্নভাবে জানা যায়, যা অন্যদের ইমোশন বুঝতে শিশু-কিশোরদের সাহায্য করে। এতে সামাজিকতা এবং মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জন্মায়।


৬। শেখার আগ্রহঃ যেসব শিশুরা বই পড়ে, তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ, জানার আগ্রহ বহুগুণে বেশি থাকে। যা ভবিষ্যৎ জীবনে তাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আসে।


৭। একাডেমিক সাফল্যঃ বই পড়ুয়া শিশু-কিশোররা সাধারণত পড়তে ভালবাসার কারনে, তাদের একাডেমিক শিক্ষাজীবনেও বড় সাফল্য পায়। তাদের ম্যাচুরিটি লেভেল অন্য বাচ্চাদের থেকে বেশি থাকার কারনে তাদের পক্ষে জটিল বিষয়গুলো সহজেই ধরা সম্ভব হয়।


৮। স্বাধীনভাবে চিন্তাঃ শিশুরা সাধারণত অন্যদের উপর নির্ভরশীল থাকে সকল কাজে। বইপড়া অভ্যাস তাদের মধ্যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে, এতে তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে।


৯। বিনোদনঃ বর্তমানে হাজারো রকম ক্ষতিকর বিনোদন মাধ্যম শিশুদের হাতের কাছে আছে, সেই তুলনায় বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তা ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো থেকে দূরে রাখে।


১০। বাস্তব জ্ঞানঃ শিশু-কিশোর বইয়ের সাথে থাকলে তারা বাস্তবতার সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। অনেক ধরণের জীবন যাপনের কথা বইয়ে জানতে পারে, ফলে মানসিকভাবে তারা বাস্তব জ্ঞানসম্মত হয়।


রাঢ় বাংলার মানব সংস্কৃতি,,,,

 রাঢ় বাংলার মানব সংস্কৃতি

#শিবানন্দ_পাল 

মেদিনীপুরে (অবিভক্ত) কংসাবতীর তীরে সিজুয়ার প্রত্নক্ষেত্রে সেই কোন হোলোসিন যুগে প্রাগৈতিহাসিক হোমো স্যাপিয়েন্স তরুণ, একটি অ্যাশিউলিউ হাত কুঠার নিয়ে পশু শিকারের উদ্দেশ্যে জলাভূমিতে নেমেছিল। বয়স যার ১৭ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। কিন্তু নিজেই শিকারে পরিণত হয়। এইরকম একটি ছবি আমরা কল্পনা করতে পারি। কংসাবতীর নদী চত্বরে প্রাপ্ত প্রত্নাশ্মীয় হাতিয়ার আমাদের এই গল্প বলে। 

দামোদর উপত্যকার বীরভানপুরে 

অনুকূল আবহাওয়া থাকায় গড়ে উঠেছিল 

শালের গভীর জঙ্গল। শ্যামল শোভা সেই ধরনের জঙ্গল সাধারণত গোষ্ঠী জীবনের সহায়ক। কিন্তু সেই হোলোসিন যুগে

স্থানীয় মানুষের জীবনচর্যা প্রধানত মৃগয়াভিত্তিক হলেও, কৃষিভিত্তিক সমষ্টি জীবন গড়ে উঠেছিল কিনা স্পষ্ট জানা যায় না। বিজ্ঞানীদের কিছুটা সংশয় আছে। যে সংশয় পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে নেই।


পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে ঘরবাড়ি, মানুষের সমাধি, হাতে চিপে চিপে তৈরি করা মাটির বাসনের সঙ্গে কুমোরের চাকায় নির্মিত মাটির বাসনপত্র পাওয়া গেছে। এমনকি পোড়ামাটির মৃৎপাত্রে রঙের কারুকাজ করা হয়েছে। মৃৎপাত্রের গায়ে ধান ও ধানের খোসা বা ধানের শিসের ছাপ পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইকনমিক বোটানিস্ট বিজ্ঞানী এ কে পাল পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, এই ধান ওরিজা স্যাটিভা "Oryza Sativa L. Graminae" প্রজাতির। 

পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে প্রথম যুগের অধিবসতির উপর সাদা এবং হলুদ বালির স্তরে চাপা পড়ে থাকায় বিজ্ঞানীদের ধারণা এখানকার অধিবসতি পরিত্যক্ত হয়নি। অতীতের কোনো প্লাবনে এরকম হতে পারে। সেই প্লাবনের পর হয়তো দীর্ঘদিন, সেটা এক বা একাধিক শতাব্দীও হতে পারে সেখানে আর কোনও গ্রাম সভ্যতা গড়ে ওঠেনি। আবার সেই যুগে এই অঞ্চলে বালু ঝড়ের প্রাবল্য ছিল।


আরও অনেক দিন পর পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে দ্বিতীয় অধিবসতির যুগ শুরু হয়। এই পর্বে দেখা যায় তাম্রশ্মীয় সংস্কৃতির পূর্ণ বিকাশ ঘটেছে । এই সময়ের মৃৎপাত্রগুলো আরও সুন্দর হয়েছে। তাতে এসেছে অলংকরণের ছাপ। যা তৎকালীন মিশর, ক্রিট দ্বীপ, এশিয়া মাইনর, ইরান, তুরান, চিন এবং ভারতের অন্যান্য জায়গার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আবার এই সময়ের কারুকার্যময় মৃৎশিল্পের সৌন্দর্য, মানুষের সৌখীন জীবনচর্যার কথা বলে। এই সময়ে তৈরি এখানকার পারফোরেটেড পটারি যা সিন্ধু সভ্যতার কথা মনে করিয়ে দেয়। তামার স্পাইরাল চুড়ি, কাজলকাঠি স্মরণ করিয়ে দেয় ফারাওদের যুগের মিশর কুমারীদের কথা। পাওয়া গেছে হাড়ের তৈরি বর্শাফলক ও তীরের ফলা। সূক্ষ্ম এবং ধারালো হাড় বা মৃগশৃঙ্গে নির্মিত এগুলির সঙ্গে ছিল, তরুণ জলহস্তীর কয়েসের দাঁতে তৈরি বাঘনখ কিংবা মাদুলির মতো একটি অলংকার। বিজ্ঞানীরা বলেন, প্লিস্টোসিন পর্বের পর ভারতে জলহস্তী বিলুপ্ত হয়, আর পাওয়া যায় না। জলহস্তীর বর্তমান বাসভূমি আফ্রিকা এবং সংলগ্ন দেশ মাদাগাস্কার। তাহলে হোলোসিন যুগে রাঢ়বঙ্গে এই দাঁত এলো কিভাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর গবেষকদের খোজা উচিত।

ওই দাঁত যে জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল, তার ঠিক নীচে প্রথম যুগের স্তরে পাওয়া যায় তেরো বছরের অনূর্ধ্ব দুটি নাবালক কিংবা নাবালিকা হবে হয়তো, এবং তিনটে পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ মানুষের মৃতদেহের অবশেষ।‌ পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে দ্বিতীয় যুগের সংস্কৃতি যে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিল সন্দেহ নাই। মোরামপেটা ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে শিমুল তুলোর বোনা সাদা কাপড়ের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অংশ অথবা সিল্কের কাপড়ের টুকরো। পাওয়া গেছে পোড়ামাটির চক্রাকৃতি তকলি। যার উপর খোদাই করা কয়েকটি রেখা বা আঁচড়। শিল্পশৈলীর পরিচয়। প্রাগৈতিহাসিক ট্রয় বা আনাতোলিয়ায় এরকম মাটির তৈরি গোলাকার তকলি পাওয়া গেছে। যার গায়েও এরকম উৎকীর্ণ নকশা কাজের দেখা পাওয়া গেছে। কি করে এই সাদৃশ্য এলো ভাবায়। পাণ্ডুরাজার ঢিবিতে মোট ১৪টা মানুষের সমাধি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬টা প্রথম যুগের, ৮টা দ্বিতীয় যুগের। বোঝা গেছে প্রাথমিক পর্যায়ে মৃতদেহগুলো সরাসরি শোয়ানো হয়েছিল ।  

দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের শেষকৃত্যে মৃতদেহ উন্মুক্ত কোনো জায়গায় অথবা অন্য কোন অবস্থায় রাখার পর, তার কঙ্কালগুলো মাটির কলসিতে পুরে সমাধিস্থ করা হয়েছে। মৃতদেহ সমাধি দেওয়ার এইরকম রীতি প্রথম ও দ্বিতীয় যুগে এক‌ইরকম। সময়ের পার্থক্য থাকলেও ট্রাডিশন ভোলেনি। এসব ভাবনা মনের মধ্যে অনেক প্রশ্নের তৈরি হয়। আবার মৃতদেহগুলোর মাথা রাখা হয়েছে পূর্ব দিকে, পাগুলো পশ্চিম দিকে। ইংরাজিতে যাকে বলে 'ইস্ট-ওয়েস্ট ওরিয়েন্টেসন'। পূর্ব পশ্চিম দিক জ্ঞান, তাহলে সেই জনগোষ্ঠীর মাথায় এসেছিল? দেহগুলো রাখার ব্যাপারটাও অদ্ভুত! প্রথম যুগের কঙ্কালগুলো মুণ্ডহীন। দ্বিতীয় যুগের একটি কঙ্কালের পায়ের পাতা কাটা। দুর্ঘটনার শিকার হলেও হতে পারে। কিন্তু মৃতদেহ কখনও প্রসারিত অবস্থায় (এক্সটেন্ডেড) রাখা হয়েছে, আবার কখনও সঙ্কুচিত দশায় (ফ্লেক্সড)। এরকম কেন করা হলো? এক‌ই জায়গায় দ্বিতীয় পর্বের কঙ্কাল প্রসারিত অবস্থায় রাখা হয়েছে, অন্য কতগুলো সমাধির সঙ্গে। কঙ্কালের মাথা আর পায়ের দিকে রাখা হয়েছে দেহাবশেষের টুকরো ভরা দুটো বড় কলসি। পূর্ব দিকের কলসিতে হাড়ের সংখ্যা বেশি, ঢাকা দেওয়া ছিল লাল কালো রঙের বড়ো একটা গামলা দিয়ে। প্রসারিত শোয়ানো কঙ্কালের শরীরে রাখা ছিল দুটো পুঁতি, একটি তামার অন্যটা অ্যাগেট পাথরের। ভারতীয় নৃতত্ত্ব সর্বেক্ষণের দুজন বিশেষজ্ঞ পবিত্র গুপ্ত, অনাদি পাল সেগুলো পরীক্ষা করে বলেন শায়িত কঙ্কাল ৩০ বছর কিংবা তদূর্ধের কোন পুরুষের। সাড়ে ন'ফুট গভীর একটি গর্তে দ্বিতীয় পর্যায়ের যে সমাধি পাওয়া গেছে, সেটা একজন মহিলার।‌ ৩০ অথবা তার বেশি বয়স হবে। বিচিত্র ধরনের এই সমাধিগুলোতে বিচিত্র ধরনের অন্ত্যেষ্টি রীতি। এক্ষেত্রেও মৃত মহিলাকে অন্য কোনো ভাবে রাখার পর তার কঙ্কালগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো একত্র করে তার উপর করোটি রাখা হয়েছে পশ্চিম দিকে মুখ করে। যেন সে নিজের হাড়গোড়ের উপর বসে, দুচোখে চেয়ে আছে পশ্চিম দিকে, হয়তো কেউ আসবে, সেই প্রতীক্ষায়। আবার তার পাশে রাখা হয়েছে লাল রঙের মাটির সছিদ্র পাত্রের ভাঙ্গা অংশ। যাকে সুললিত ভাষায় বলা হয় সছিদ্র মৃৎভাণ্ড (পারফোরেটেড পটারি)।


পাণ্ডুরাজার ঢিবি থেকে প্রাপ্ত এইসমস্ত মানব-সমাধিগুলো পরীক্ষা করেন ভারতীয় নৃতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তদানীন্তন অধিকর্তা অধ্যাপক নির্মলকুমার বসু এবং নৃবিজ্ঞানী দিলীপকুমার সেন। পরবর্তীকালে তিনি এই সংস্থার অধিকর্তা হয়েছিলেন। সংস্থার বিশিষ্ট নৃতত্ত্ববিদ পবিত্র গুপ্ত এবং অনাদি পাল একের পর এক দেহাবশেষগুলো বের করেন। ওঁদের সহযোগিতা করেছিলেন নৃবিজ্ঞানী বিমল দত্ত। পবিত্র গুপ্ত এবং অনাদি পাল দুই নৃবিজ্ঞানী দেহাবশেষগুলো স্টাডি করেন। তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ করেন, "Bulletin of the Anthropology Survey of India. Vol. XIX,Nos. 3 & 4."-তে। "Human Skeletal Materials Excavated At Pandu Rajar Dhibi"। in Bulletin of the Anthropology Survey of India. Vol. XIX,Nos. 3 & 4.


প্রত্নতাত্ত্বিকদের প্রভূত তর্কবিতর্কের মধ্যে ঐক্যমতের ভিত্তিতে বলা যায়, রাঢ় বঙ্গে প্রাগৈতিহাসিক সংস্কৃতির সবচেয়ে পুরনো ইতিহাসের খোঁজ মিলেছে দামোদর উপত্যকার বর্ধমান (পশ্চিম) জেলার বীরভানপুরে। যা ৪০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের।‌ পূর্ব বর্ধমান জেলার পাণ্ডুরাজার ঢিবির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় যুগের প্রাচীনত্ব স্থির করা হয়েছে ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের। 


মনে করা হয় কুনুর নদীর তীরে বর্ধমান (পূর্ব) জেলার বসন্তপুর; কুনুর-অজয় নদীর তীরে রাভারডাঙ্গা, মঙ্গলকোট; খড়ি ও মায়া নদীর তীরে মণ্ডল গ্রাম; ভাগীরথী তীরে গঙ্গা ডাঙ্গা; ভাগীরথী ও বেহুলা নদীর তীরে হাতিপোতার ডাঙ্গা সংলগ্ন এলাকার এবং বর্ধমানের ধনটিকরার সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক অর্থাৎ ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের। 


বীরভূমের কোপাই নদীর তীরে মহিষদলের প্রথম ও দ্বিতীয় যুগের সংস্কৃতির প্রাচীনত্ব থাকলেও সময় নির্ণিত করা সম্ভব হয়নি। বীরভূমের কোপাই ও ময়ূরাক্ষীর উপকূলে পোতাণ্ডা, নানুর-এর সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের বলে মনে করা হয়। বীরভূমে অজয় নদের তীরে পুরসরাজার ঢিবি, মন্দিরা, হাড়াইপুর; বক্রেশ্বর নদীর তীরে যশপুর এবং বেলুনটি সরস্বতী তলা ইত্যাদি জায়গার সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের বলে মনে করা হয়। 


মেদিনীপুর জেলার কংসাবতী নদীর উপত্যকায় সিজুয়ার সংস্কৃতি পাণ্ডুরাজার ঢিবির সমসাময়িক ২০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের শেষের দিকের বলে মনে করা হয়। রূপনারায়ণের তীরে তমলুকের সংস্কৃতি প্রাক মৌর্য ১০০০ সাধারণ পূর্বাব্দ সময়ের।


রাঢ়বঙ্গের ভূখণ্ডে এই সমস্ত জায়গাগুলোর অবস্থান অভিমুখ নির্দিষ্ট করে প্রাচীন সময়ে মানবগোষ্ঠী ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে ক্রমশ গাঙ্গেয় সমভূমির দিকে নেমে এসেছিল। প্রত্নবিজ্ঞানী পরেশচন্দ্র দাশগুপ্তের "সুবর্ণরেখার প্রাঙ্গণে অরণ্যকন্যা কংসাবতী" ব‌ইয়ে পরেশচন্দ্র পুত্র দেবপ্রিয় দাশগুপ্ত একটি সুন্দর ম্যাপ এঁকে বোঝাতে চেয়েছেন, রাঢ় বাংলার মানব সংস্কৃতি কিভাবে ধাবিত হয়েছিল নিম্নবঙ্গে গাঙ্গেয় সমভূমির দিকে।

ছবি: দেবপ্রিয় দাশগুপ্ত কৃত ম্যাপের ছবি।

তথ্যসূত্র:

সুবর্ণরেখার প্রাঙ্গণে অরণ্যকন্যা কংসাবতী, পরেশচন্দ্র দাশগুপ্ত। অণিমা প্রকাশনী, কলকাতা। ২০০৭।

 "Human Skeletal Materials Excavated At Pandu Rajar Dhibi" in Bulletin of the Anthropology Survey of India. Vol. XIX,Nos. 3 & 4.

পুরুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে,তখন আর শরীরের শক্তি  থাকেনা,পকেটের জোর থাকে না,এতোদিন যাদেরকে খাওয়াইছিলো,যাদের কথায় নাচছিলো তারা কেও পাশে থাকে না।পাশে থাক একমাত্র ঐ অবলা নারী তার স্ত্রী যাকে সে দিনের পর দিন অবহেলা করেছিলো,মানুষের কথায় তার উপর মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করেছিলো।

 পুরুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে,তখন আর শরীরের শক্তি  থাকেনা,পকেটের জোর থাকে না,এতোদিন যাদেরকে খাওয়াইছিলো,যাদের কথায় নাচছিলো তারা কেও পাশে থাকে না।পাশে থাক একমাত্র ঐ অবলা নারী তার স্ত্রী যাকে সে দিনের পর দিন অবহেলা করেছিলো,মানুষের কথায় তার উপর মানসিক, শারীরিক নির্যাতন করেছিলো।


পুরুষকে জন্ম দেন একজন নারী,আবার সেই পুরুষের শেষ সময়টায় পাশে থেকে সুন্দর একটা মৃত্যু উপহার দেয় একজন নারী।


একজন পুরুষের শারীরিক শক্তি ও পকেটের জোর যতদিন থাকবে ততোদিন সে তার স্ত্রীকে মানুষ মনে করে না।যখন এসবে ভাটা নেমে আসে তখন তার হুশ ফিরে কে তার আপন আর কে তার পর।আসলে তখন আর কিছুই করার থাকে না।


আপনার ভালোবাসার এখন আর তেমন মূল্য থাকে না কারণ আপনার স্ত্রীর কাছে এসবের আর দরকার পড়ে না।সে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে অন্যভাবে,হেলায় অবহেলায়,ভালোবাসায়,যত্নে কোনোকিছুতে সে খুশি অখুশি হতে পারে না।


সংসার এক মায়ার বাঁধন, এখানে ভালো লাগলেও আকঁড়ে ধরে থাকতে হয়,না লাগলেও থাকতে হয়।কত-শত সংসার টিকে থাকে শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে। সেই সন্তানও এক সময় পর হয়ে যায়।


শেষ বয়সে এসে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব মিলাতে গিয়েও হিসেব মিলেনা।

সেই অবহেলিত,অযাচিত নারীই আপনার শেষ বয়সে আপনাকে বাহুড়োরে বেঁধে রাখে বিপদে-আপদে, সুখে দুঃখে। 


আজ থেকে সতর্ক হওন,নিজের সহধর্মিণীকে মূল্য দিন,শেষ বয়সে অন্ততঃ লজ্জিত হতে হবে না তার কাছে।। 

পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।

সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪

শিরি-ফরহাদ - এক অমর প্রেমগাঁথা

 ¤ শিরি-ফরহাদ - এক অমর প্রেমগাঁথা ¤

  ×××××××××××××××××××××××××

#অমরভারতেরপ্রেমকথা  @top fans 


ভালোবাসার কথা এলে মানুষের মুখে মুখে ফেরে যাদের নাম, তাদের কথাই বলব আজ। সময়ের ঘেরাটোপ পেরিয়ে বর্তমানের বহু দূরে তাদের অবস্থান, একে অন্যের সঙ্গে পূর্ণতার পরিণতিও জোটেনি কপালে। তবু অমর হয়ে রয়ে গেছেন, নিজেদের বেদনাবিধুর প্রেমের গল্পগুলোর জন্যই। 


চলুন এবারে যাওয়া যাক পারস্যের এক স্বপ্নবান যুবকের কাছে, যার নাম খসরু। তেমনি এক অমর অজর প্রেমকাহিনি। গল্পের নায়ক পারসিক রাজকুমার আর নায়িকা আর্মেনীয় রাজকুমারী। খসরু আর শিরিন। এ দুজনকে ঘিরে রচিত হয়েছে পারস্যের চিরকালীন বিয়োগান্তক প্রেমগাথা। মহাকবি ফেরদৌসি তাঁর অমর কাব্য শাহনামা’য় বয়ান করেছেন এ কাহিনি। তবে তাঁর জনপ্রিয় সংস্করণটি কবি নেজামির অবদান।


শিরি-ফরহাদের প্রেমকাহিনীতে একটি তৃতীয় কোণ এই যুবক অথবা শিরি-খসরুর ক্ষেত্রে ফরহাদই সেই তৃতীয় কোণ। শেষমেশ খসরুর ভাগ্যের জুটেছিল পার্শ্ববর্তী রাজ্য আর্মেনিয়ার রাজকন্যা শিরিন ওরফে শিরি। তবু অমর হওয়া গল্পটা কিন্তু তাদের নয়। শরৎচন্দ্র যেমনটা বলেছিলেন, 'বড় প্রেম শুধু কাছেই আনে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়'– এই গল্পটাও অনেকটা তেমন। গল্পটা একপ্রকার একপাক্ষিক প্রেমের। আর একতরফা প্রেমের অদ্ভুত এক শক্তি আছে– হয়তো মানব ইতিহাসের স্মরণকালে খোদাই হবার মতো যথেষ্ট সে শক্তি। 


প্রেম বলতে প্রথমত পৃথিবীতে বিচরণকারী নরনারীর একের প্রতি অন্যের রহস্যাতীত আকর্ষণবোধ এবং এর অপূরণজনিত কারণে জন্ম নেয়া অসুস্থতাকে বোঝায়। বিশ্বের প্রতিটি প্রেমকাহিনি অভিন্ন। প্রেমিক হূদয়মাত্র মথিত ব্যাখ্যাতীত বেদনায়। প্রেমের প্রাপ্তি ধারণ করা দুষ্কর। আগুনের আকর্ষণে ছুটে গিয়ে আগুনে আত্মাহুতি দেয়ার নামও তো প্রেম। যুগে যুগে মানুষের মন প্রেমে পড়েছে। না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাতর হয়েছে বারবার। কিন্তু নিজেকে সে রুদ্ধ করে রাখতে পারেনি। আত্মা যার সন্ধান লাভ করে অসীমের, নিজেকে রুদ্ধ রাখা তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব। স্বাধীন মানব তো চিরকাল সিন্ধুপ্রেমিক। 


একবার এক কৃষকের বাড়িতে ভুরিভোজের কারণে পিতা হরমুজের নিদারুণ ভর্ৎসনার শিকার হলেন তরুণ যুবা খসরু। অপরাধের জন্য বারবার ক্ষমা চাইলেন পিতার কাছে। কিন্তু পিতা হলেন দেশের রাজা। তিনি কি সহজে ক্ষমা করতে রাজি হন। অবশেষে প্রাথমিক ক্ষমা নিয়ে ঘুমোতে গেলেন রাতে। ওই রাতে অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা হলো তার। ওই রাতে তার স্বপ্নে এসে দেখা দিলেন তার দাদা আশিরবান। দাদু তাকে উপহার দিলেন বর, পরমাসুন্দরী এক স্ত্রী, যার নাম হবে শিরিন, যে রূপে হবে পৃথিবীর অদ্বিতীয়া। আর দিলেন শাবদিজ নামে দুরন্ত এক অশ্ব, যে ছুটতে পারে পবনকে পেছনে ফেলে। সেই সঙ্গে উপহার দিলেন বারবাদ নামে এক গায়ক, যে বীণার তারে সুর তুললে গান গাইতে জড়ো হয় রাজ্যের ফুল পতঙ্গ আর পাখপাখালিরা। আর সবশেষে দিলেন পারস্য নামে এক বিশাল রাজ্য।


সকালে উঠেই সবকিছু অবিশ্বাস্য মনে হলো তার। তবুও প্রাণের বন্ধু শাপুরকে সব খুলে বললেন তিনি। শাপুর ছবি আঁকে, চিত্রকর। তার শিল্পীমন। স্বপ্নই তার কাছে সৃষ্টির ডাকপিওন। বন্ধুর কথা শুনে সে তাকে জানাল আর্মেনিয়া রাজ্যের রানি মাহিন বানু আর তার ভাতিজি অপরূপা সুন্দরী শিরিনের নানা রকমের গল্প। শিরিন মানে মিষ্টি। শাপুরের মুখে শিরিনের নিখুঁত রূপের বিবরণ শুনে বিকারগ্রস্ত হলেন তরুণ খসরু। দিনরাত স্বপ্নে কেবল তাকেই দেখেন। কিন্তু তার তো প্রাসাদের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই, পিতার কঠিন নিষেধাজ্ঞা। কী আর করা, তেপান্তর পাড়ি দিয়ে শাপুর একাই ছুটল শিরিনের সন্ধানে। সঙ্গে তার ঝোলার ভেতর ফ্রেমে বাঁধানো যুবরাজ খসরুর এক প্রতিকৃতি।


কিন্তু চাইলেই কি আর যে কেউ গিয়ে দেখা করতে পারে দেশের রাজকুমারীর সঙ্গে। সুতরাং বিস্তর ফন্দি করতে হলো শাপুরকে। অনেক কীর্তিকাণ্ড করে অবশেষে শিরিনের দেখা পাওয়া গেল একসময়। তাকে জানালেন নিজের অভিপ্রায়ের কথা। বন্ধুর অসহনীয় বিরহের কথা। অলিন্দের আড়ালে নিয়ে তাকে দেখালেন খসরুর প্রতিকৃতি। আর কী আশ্চর্য, একবার মাত্র ছবিখানা দেখেই জীবনে না দেখা রূপবান যুবকের প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করলেন রাজকন্যা শিরিন। আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠল অজানা সুখের শিহরণে। জীবনের সব আনন্দ এক মুহূর্তে রূপ নিল বিষাদে। যুবরাজকে ছাড়া অর্থহীন হয়ে উঠল তার প্রতিটি ক্ষণ। সখীদের সান্নিধ্য বিষবৎ অনুভব হতে লাগল। প্রাসাদের অনুপম পাথরের দেয়াল তাকে পিষে ধরতে লাগল চারদিক থেকে। বিরহের জ্বালা সইতে না পেরে এক রাতে পালিয়ে গেলেন প্রাসাদ ছেড়ে। উদ্দেশ্য খসরুর রাজধানী মাদাইনে গিয়ে প্রিয়ের সঙ্গে মিলন।


এদিকে ততদিনে পারস্যের খসরুর বাবার রাগ পড়ে এসেছে। ছুটি মিলেছে খসরুর। খাঁচাভাঙা পাখির মতো উড়াল দিলেন তিনি। মুক্তি পাওয়া মাত্র একবস্ত্রে ছুটলেন আর্মেনিয়ার উদ্দেশে। সঙ্গে নিলেন না কাউকে। নিজের ভালোবাসা সম্বল করে বেরিয়ে পড়লেন পথে। শিরিনকে পেতে হবে যেকোনো প্রকারে এই তার পণ।


যেতে পথে শিরিনের সঙ্গেই কিন্তু দেখা হয়ে গেল তার। ঝরনার জলে ছায়া ফেলে সে তখন নিজের গা ধুয়ে নিচ্ছে। নির্জন প্রকৃতির মাঝে আলোর বিচ্ছুরণের মতো ফুটে বের হচ্ছে তার সৌন্দর্য। কিন্তু বিধির লিখন ভিন্ন, কে তারে খণ্ডাবে। খসরু নিজেও ছিলেন হতশ্রী কৃষকের বেশে। শিরিন তাকে দেখলেন কিন্তু চিনলেন না ওই দণ্ডে। হাতের কাছে পেয়েও এভাবে আবারও হারিয়ে ফেলল দুটি বিভ্রান্ত হূদয়। নিজেদের কাজ সমাপান্তে দুজনেই ফিরে গেলেন নিজেদের পথে। চলতে চলতে একসময় আর্মেনিয়া পৌঁছে গেলেন খসরু। সাধারণ বেশে প্রাসাদের ফটকে গিয়ে রানিমার সাক্ষাৎ চাইলেন। তাকে দেখা দিলেন রানি। নিজের পরিচয় দিলে ভিনদেশি রাজপুত্রকে স্বাগত জানালেন রানি সামিরা। অতিথি হিসেবে তাকে বরণ করে নিলেন প্রাসাদে। কিন্তু মনে শান্তি নেই খসরুর। দিনরাত হেথায় হোথায় খুঁজে বেড়ান, কিন্তু শিরিনকে তিনি পাচ্ছেন না কোথাও। কেউ জানে না সে কোথায়। অবশেষে একদিন জানা গেল তার খবর। সে পালিয়েছে প্রাসাদ ছেড়ে। অমনি ছুটলেন বন্ধু শাপুরের কাছে। যাও বন্ধু খুঁজে আনো তাকে। এদিকে, ততদিনে খসরুর রাজ্য থেকে ব্যর্থ হয়ে আবারও আর্মেনিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছে শিরিন। জানতে পেরেছে যুবরাজ তারই সন্ধানে ছুটে গেছে তারই রাজ্যে। মনে মনে প্রার্থনা করছে যেন পথেই সাক্ষাত্ হয়ে যায় দুজনার। হয়তো তেমনই ঘটত। কিন্তু আর্মেনিয়ায় খবর এল আকস্মিকভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে তার পিতা হরমুজ। পিতার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সামিরার প্রাসাদ ছেড়ে প্রায় একই সময় নিজ রাজ্যের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লেন খসরুও। এভাবে বারবার ছোটাছুটি আর ব্যর্থ খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খসরুকে বিদ্রোহের মাধ্যমে সিংহাসনচ্যুত করলেন সেনাপতি বাহরাম। ফিরে আসার শপথ নিয়ে আপাত কৌশল হিসেবে আবারও আর্মেনিয়া পাড়ি জামলেন খসরু।


এবার কিন্তু শিরিনের সঙ্গে মিলনে আর কোনো বাধা রইল না তার। দুজনেই কাছে পেলেন দুজনাকে। প্রতীক্ষিত হূদয়ের সবগুলো জানালা খুলে দিলেন। মিলনেবিরহে পার হয়ে গেল বেশকিছু দিন। সবাই জানল দুজনের ভালোবাসার কথা। বিয়ের প্রস্তাব দিলেন যুবরাজ। যদিও অমত নেই, চট করেই তাকে বিয়েতে রাজি হলেন না শিরিন। শর্ত দিলেন দুষ্ট বাহরামের নিকট থেকে পুনরুদ্ধার করতে হবে নিজ রাজ্য। হারানো গৌরবের স্থলে পুনরায় অভিষিক্ত করতে হবে তাকে। তবেই মিলন। রাজি হলেন খসরু। শিরিনকে পাওয়ার জন্য পৃথিবীটাকে হারাতে হলেও কোনো কষ্ট নেই তার। দূরে যেতে বুক ফেটে যায়, তবু তাকে প্রাসাদে রেখে শক্তি সঞ্চয় করতে গেলেন কনস্ট্যান্টিনোপল। সেখানকার সিজার তার উপরোধ শুনে রাজি হলেন তাকে সাহায্য করার। তবে তারও আছে শর্ত একটি। যা-ই হোক আমি রাজি, জানালেন খসরু। তার মনে তখন একটাই চিন্তা। সিজারের শক্তি নিয়ে লড়াইয়ে নামবেন বাহরামের বিরুদ্ধে। ফিরিয়ে নেবেন রাজ্য। সেখানে তিনি হবেন রাজা আর রানি করবেন প্রিয় শিরিনকে। এবার তাহলে শর্তটা শোনা যাক। কী সেটা? তেমন কিছু না, সিজারের এক মেয়ে আছে মরিয়ম। বিয়ের যোগ্য তবে উপযুক্ত পাত্রের অভাব। তাকে বিয়ে করতে হবে। শুধু কি তাই, যতদিন জীবিত থাকবেন মরিয়ম, ততদিন অন্য দার পরিগ্রহ করতে পারবেন না খসরু।


কবির বয়ানে এই সময় কাহিনির মধ্যে ঢুকে পড়লেন ফরহাদ নামে অশান্তহূদয় এক ভাস্কর। পাথর খোদাইকর। সৌন্দর্যপিয়াসী যুবক এক পলক দেখামাত্র তুমুল প্রেমে পড়লেন অনিন্দ্যসুন্দরী শিরিনের। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিকের গল্প কিছুই অজানা রইল না রাজা খসরুর। তাকে ডেকে পাঠালেন একদিন। জানলেন তার ভালোবাসার অদম্য স্ফুরণের কথা। কিন্তু তাকে বধ করতে পারেন না তিনি। বুদ্ধি করে অসম্ভব এক দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন দূর পাহাড়ে। সেখানে কঠিন পাথর কেটে সিঁড়ি গড়ে তুলতে হবে শীর্ষ অবধি। তবে গোটা কাজটি তাকে করতে হবে একক পরিশ্রমে। যদি সে কোনোক্রমে সফল হতে পারে তাহলে শিরিনের সঙ্গে তার বিয়ে হলেও হতে পারে। রাজার আশ্বাসে প্রবল বিশ্বাসে ভর দিয়ে কাজে নেমে গেলেন ফরহাদ। দিনরাত অমানুষিক শ্রম দিয়ে অনেক বছর পর একদিন ঠিকই সিঁড়ি তৈরি করে করে পৌঁছে গেলেন পাহাড় চূড়ায়। রাজার কাছে খবর গেল অসাধ্য সাধন করে ফেলেছে ফরহাদ। এবার তো শিরিনের সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়ে দিতে বাধ্য হবেন রাজা। খসরু দেখলেন মহাসংকট। প্রেম অজেয়। ফরহাদ তাকে দেখালো সেটা আরো একবার। কিন্তু শিরিন তো কেবলই তার! আর কারও হতে পারে না সে! কূটবুদ্ধি করে খবর পাঠালেন ফরহাদের কাছে, একদিনের জ্বরে ভুগে মারা গেছে শিরিন।


রাজদূতের মুখে এই খবর শুনে হতভম্ব হয়ে গেলেন ফরহাদ। তা কীভাবে হয়। গোটা জীবন বাজি রাখা হলো যার জন্য সে নিজেই নেই! নিজেকে সম্বরণ করতে পারলেন না ফরহাদ। ওই দণ্ডে পাহাড়চূড়া থেকে ঝাঁপ দিলেন অতল খাদের গহিনে। এভাবে নিজেকে ধ্বংস করে নিবিয়ে গেলেন প্রেমের অনির্বাণ হুতাশন। ফরহাদের দুঃখজনক মৃত্যুর খবর জানিয়ে শিরিনকে চিঠি দিলেন খসরু। এ ঘটনার কিছুদিন পরই মারা যান খসরুর শর্তসাপেক্ষে বিয়ে করা স্ত্রী মরিয়ম। সমবেদনা জানিয়ে খসরুকেও পাল্টা চিঠি পাঠালেন রাজকুমারী শিরিন।


এসব ঘটনার পর শিরিনের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর কথা যখন ভাবছেন খসরু, ঠিক তখন ইস্পাহানের শিকারা নামে এক সুন্দরীর সঙ্গে আবারও অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন খসরু। ফলে আবারও অপেক্ষার ফেরে পড়ে গেলেন শিরিন। অবশেষে নিয়তি সদয় হলো তাদের ওপর। একদিন আবারও শিরিনের প্রাসাদে এসে পৌঁছালেন রাজা। কিন্তু হায়, এতদিন যার অপেক্ষায় বসে থেকে প্রহর গুনেছেন, শরাবের কারণে তার কাছেও যেতে পারলেন না তিনি। অশ্রু চেপে তুমুল মাতাল খসরুকে প্রাসাদ থেকে তাড়িয়ে দিলেন শিরিন। শিকারাকে জড়িয়ে কটু কথা বলতেও ছাড়লেন না। মাতাল খসরু বারবার চেষ্টা করলেন নিজেকে ব্যাখ্যা করতে। বোঝানোর চেষ্টা করলেন রাজাদের অনেক কিছু করতে হয় রাজনৈতিক কারণে। অনেক মানুষের সঙ্গ বজায় রাখতে হয় তাদের। কিন্তু যত নারী থাক এ জীবনে শিরিনই তার একমাত্র আরাধ্য। কোনো কথাই শুনতে রাজি হলেন না রাজকুমারী। ব্যর্থ প্রত্যাখ্যাত পরিত্যক্ত হয়ে নিজের ডেরায় ফিরে এলেন আহত খসরু।


এরপর কাহিনিতে নানা ধরনের উত্থান পতন। শিরিনের মন গলানোর জন্য পণ ধরলেন খসরু। একবার বনে গিয়ে বিপদে পড়লেন রানি শিরিন। তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে বনরাজ সিংহ। বাঁচার পথ নেই বুঝি আর। এমনি সময় দেবদূতের মতো কোথা থেকে উদয় হলেন খসরু। কিন্তু হাতে কোনো হাতিয়ার নেই। অসীম সাহসী খসরু খালি হাতে লড়াই করে সিংহের গ্রাস থেকে শিরিনকে উদ্ধার করে আনলেন। অভিভূত হলেন শিরিন। এরপর বিয়েতে রাজি না হয়ে কি আর উপায় থাকে। মত দিলেন তিনিও। শুরু হলো বিয়ের প্রস্তুতি। এমনি সময় ভিলেনের মতো রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হলেন শিরোয়ে। মরিয়মের গর্ভে খসরুর ঔরসজাত পুত্র। ততদিনে যৌবনে পা দিয়েছে সেও। শিরিনের রূপের আগুনে এক মুহূর্তে পতঙ্গের মতো ঝলসে গেল শিরোয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বী জ্ঞানে জন্মদাতা পিতাকে নির্বিকারে হত্যা করে ভয়ংকর বার্তা পাঠাল শিরিনের কাছে, এক সপ্তাহের ভেতর বিয়ে করতে হবে তাকে। দূতের মুখে বার্তা শুনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন শিরিন। খসরু ছিল তার প্রেম। তার ঔরসজাত সন্তানের সঙ্গে বিবাহ, জীবন থাকতে নয়! সুতীক্ষ ছুরিকা বুকে আমূল বিঁধিয়ে নিথর দেহ নিয়ে লুটিয়ে পড়লেন প্রাসাদের ঠাণ্ডা মেঝেতে। 


আজও এক কবরে একাত্মা সমাহিত হয়ে আছেন দুটি প্রাণ খসরু আর শিরিন,শুধু উপেক্ষিত থাকে ফরহাদ, করুন পরিনতি হয় তার একতরফা প্রেমের। 


____________________________________________

মার্ক অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা💗       (বিশ্ব সেরা প্রেম কাহিনী),,,জয় গুরু ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 💗মার্ক অ্যান্টনি ও ক্লিওপেট্রা💗

      (বিশ্ব সেরা প্রেম কাহিনী)

=======================


প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপুর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর মিশরীয় সভ্যতার নামের সাথে সমার্থক হয়ে আছে শুধু পিরামিড বা মমির ছবি নয়, আছে ফারাও রাজবংশের সর্বশেষ কিংবদন্তী রাণী ক্লিওপেট্রা- যা আজও এই সভ্যতার 'সিগনেচার' বলে গন্য করা হয়। তাকে ঘিরে ইতিহাসে বিতর্ক আর রহস্যের কোনো শেষ নেই। যেমন রহস্যময় তার জীবন ও রাজ্য শাসন তেমনি রহস্যময় তার প্রেম। ক্লিওপেট্রার প্রেম নিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক গল্প-অনেক কাহিনীর অবতারণা হয়েছে।  গল্প-কবিতা-উপন্যাসের পাশাপাশি নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রও। এমনকি মহান সাহিত্যিক শেক্সপিয়র পর্যন্ত অমর করে রেখেছেন রানী ক্লিওপেট্রার প্রেমকাহিনীকে তার অ্যান্টনি-ক্লিওপেট্রা নাটকে। শেক্সপিয়ার থেকে শুরু করে স্যার হেনরি রাইডার, বা জর্জ বানার্ড শ, ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যকে বর্ণনা করেছেন অতুলনীয় রূপে। সেই প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত যত রূপসী নারীর কথা ইতিহাসের পাতায় উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে মিশরের সৌন্দর্যের রানী ক্লিওপেট্রার নাম সগৌরবে জ্বলজ্বল করছে। শুধু সৌন্দর্য নয়, বুদ্ধিমত্তায়ও তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। জর্জ বানার্ড শ এর লেখা 'সিজার-ক্লিওপেট্রা' প্রাধান্য পেয়েছে ক্লিওপেট্রার প্রেম ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আর প্রায় প্রত্যেকেই আশ্চর্য দক্ষতার সঙ্গে নিজস্ব স্টাইলে বর্ণনা করেছেন ক্লিওপেট্রার রূপের। বিখ্যাত লেখক হেনরি রাইডার হগার্ডের লেখা উপন্যাস ক্লিওপেট্রায় তিনি কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নিলেও সেখানে ফুটে উঠেছে ক্লিওপেট্রার ব্যক্তিত্ব, উচ্চাভিলাষ আর কিছুটা নারীসুলভ অসহায়তা। এ ছাড়াও ক্লিওপেট্রার চরিত্র নিয়ে লিখেছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক ড্রাইডেন প্লুটার্ক, ড্যানিয়েল প্রমুখ। ফলে হাজার হাজার বছর পরও ক্লিওপেট্রার প্রেম নিয়ে আলোচনা চলছে আজও। 


ক্লিওপেট্রা সপ্তম থিয়া ফিলোফেটর ছিলেন মিশরের একজন রানী এবং প্রাচীন মিশরের শেষ ফারাও। তার জন্মের আগেও ছয়জন ক্লিওপেট্রা ছিলেন, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তার মতো জায়গা করে নিতে পারেননি কেউই। গ্রীক শব্দ kleos এবং pater থেকেই ক্লিওপেট্রা নামের জন্ম, যার অর্থ হলো ‘গ্লোরি অফ দ্য ফাদার’। খ্রিস্টপূর্ব ৬৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ প্রথম টলেমি ছিলেন আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেটের অন্যতম সেনাপতি, খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ সালে আলেক্সান্ডার মারা গেলে টলেমি বংশের প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

রানী সপ্তম ক্লিওপেট্রা যেমন ছিলেন সৌন্দর্যে অতুলনীয়, তেমনি তার জীবন ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। তার পিতা, রাজা দ্বাদশ টলেমি মারা যাওয়ার পর তার দুই সন্তান ত্রয়োদশ টলেমি এবং সপ্তম ক্লিওপেট্রার মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেন। তৎকালীন নিয়মানুসারে, ক্লিওপেট্রা তার ভাই ত্রয়োদশ টলেমিকে বিয়ে করেন এবং একসাথে মিশর শাসন করতে থাকেন।

বিয়ের পর ক্লিওপেট্রা ও তার ভাইয়ের মধ্যকার সম্পর্ক সুখকর ছিল না। তাছাড়া তখনকার মিশরের অবস্থা ছিল বিশৃঙ্খল। টলেমি ষড়যন্ত্র করে ক্লিওপেট্রাকে মিশর থেকে বিতাড়িত করে একাই রাজ্য শাসন করতে থাকেন। ধারণা করা হয়, ক্লিওপেট্রা তখন তৎকালীন সিরিয়ায় পালিয়ে যান নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য। তিনি সিরিয়ায় গিয়ে সৈন্য যোগাড় করতে থাকেন, যাতে হারানো সিংহাসন পুনরুদ্ধার করা যায়।


খ্রিস্টপূর্ব ৪৮ সাল; রোমান সাম্রাজ্য গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রাজা জুলিয়াস সিজার এবং বিদ্রোহী সেনাপতি পম্পেইয়ের সাথে। বিদ্রোহী সেনাপতি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেল তৎকালীন মিশরের রাজধানী আলেকজান্দ্রিয়ায়। মিশরের শাসক হিসেবে তখন সিংহাসনে ছিলেন ক্লিওপেট্রার ভাই ত্রয়োদশ টলেমি। তার হুকুমেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় পরাজিত সৈনিক পম্পেইকে।

এর কিছুদিন পরেই জুলিয়াস সিজার তার বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে রওনা হন মিশর দখলের জন্য। মিশরের সম্রাট টলেমি সিজারকে বাধা দিলেও জিততে পারলেন না। ক্লিওপেট্রা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছিলেন। তিনি যখন দেখলেন, রাজা জুলিয়াস সিজার মিশর দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তিনি বুঝতে পারলেন, এটি তার জন্য বিশাল একটি সুযোগ। ক্লিওপেট্রা বুঝে গিয়েছিলেন, জুলিয়াস সিজারের দরকার মিশরের ধন-সম্পদ, আর তার দরকার ছিল মিশরের সিংহাসনের ক্ষমতা।


তাছাড়া জুলিয়াস সিজার ছিলেন রোমান সাম্রাজ্যর একক অধিপতি। ক্লিওপেট্রা যদি তাকে পাশে রাখতে পারেন, তাহলে তার সৈন্য বাহিনীর সাহায্যে সহজেই ভবিষ্যতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন। রানী ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্য এবং বুদ্ধিমত্তায় জুলিয়াস সিজার অভিভূত হয়ে তাকে পূর্ণ সমর্থন দেন এবং ক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করেন। সিজার রানীর প্রেমিক হিসেবেই প্রতীয়মান হন এবং মিশরের নিয়মনীতি এবং পুরোহিতদের প্রতি সম্মানার্থে ক্লিওপেট্রা তার ভাই চতুর্দশ টলেমিকে বিয়ে করেন। এই বিয়ে স্থায়ী হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৪-৪৭ পর্যন্ত।

সেই সময়ে ক্লিওপেট্রা তার প্রেমিক জুলিয়াস সিজারের এক ছেলের জন্ম দেন, যদিও জুলিয়াস সিজার প্রকাশ্যে কখনোই তাকে ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজারের আমন্ত্রণে ক্লিওপেট্রা তার ছেলে ও স্বামীসহ রোম ভ্রমণে যান। এ সময় ক্লিওপেট্রার প্রতি সিজারের মুগ্ধতা রোমান রাজনীতিকদের পছন্দ হয়নি। তারা সিজারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে রোমে অবস্থানকালেই সিজারকে হত্যা করা হয়। এই হত্যায় ক্লিওপেট্রা চিন্তিত হয়ে পড়েন, কারণ সিজার ছিলেন তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার একটি অস্ত্র। তাছাড়া জুনিয়র সিজার ভবিষ্যতে রোমের রাজা হবে, এমন স্বপ্নই দেখতেন রানী।


জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর পরও থেমে থাকেনি রানী ক্লিওপেট্রার ক্ষমতার মোহ। সৌন্দর্য দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রয়াসে আর সিংহাসনে নিজের আসন পাকাপোক্ত করার জন্য তিনি এবার কাজে লাগাতে চাইলেন আরেক রোমান শাসক অ্যান্টনিকে। অ্যান্টনি ছিলেন রাজা জুলিয়াস সিজারের পরবর্তী রোমান শাসক। জুলিয়াসের মৃত্যুর পর রোমান সাম্রাজ্য তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে, যেহেতু রোমান সাম্রাজ্যের ক্ষমতা চলে যায় তিনজন শক্তিশালী ব্যক্তির হাতে, যারা প্রত্যেকেই জুলিয়াস সিজারের জায়গা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েন। এই তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন অক্টোভিয়ান, যিনি ছিলেন সিজারের ভাইপো, আরেকজন ছিলেন মার্ক অ্যান্টনি এবং মার্কাস লেপিডাস। ত্রিধাবিভক্ত এই সাম্রাজ্যের একভাগ ছিল পূর্ব মেডিটেরিয়ান অঞ্চল, যার মধ্যে মিশরও ছিল।


যদিও মার্ক অ্যান্টনির ক্ষমতার মধ্যেই ছিলেন মিশরে, তবুও মিশর শাসনের জন্য ক্লিওপেট্রার সম্মতি দরকার ছিল তার। অ্যান্টনির ধারণা ছিল, যদি তিনি জোর করে মিশর দখল করতে চান, তাহলে ক্লিওপেট্রা হয়তো তার শত্রুদের সাহায্য করতে পারে। অপরদিকে মিশরের ধন-সম্পদ দরকার ছিল, তাই তিনি ক্লিওপেট্রার সাথে সমঝোতায় আসার একটি উপায় খুঁজছিলেন। অ্যান্টনির পক্ষ থেকে রাজদূত ক্লিওপেট্রার জন্য চিঠি নিয়ে গেলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। কারণ তিনি ভালো করেই জানতেন, অ্যান্টনি তখন মুখিয়ে আছেন তার সাথে দেখা করার জন্য। তিনি অপেক্ষায় ছিলেন নিজের দাবি-দাওয়া পেশ করার একটা সুযোগের।

ক্লিওপেট্রার প্রয়োজন ছিল আরেকজন রোমান শাসকের, যিনি তাকে সাহায্য করবেন তার শত্রুদের ঘায়েল করতে। এত কিছুর পরেও যখন ক্লিওপেট্রা কোনো উত্তর দিলেন না, মার্ক অ্যান্টনি তখন আদেশ করলেন, ক্লিওপেট্রাকে তার প্রাসাদে দেখা করার জন্য। ক্লিওপেট্রা এই সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিলেন। তিনিও আদেশ দিলেন সফরের জন্য নৌকা প্রস্তুতের।

বিশেষ সেই নৌকা প্রস্তুত হলো। নৌকাটি যেন কোনো ভাসমান প্রাসাদ ছিল। স্বর্ণনির্মিত, মুক্তাখচিত নৌকায় সিডনাস নদী পাড়ি দিয়ে রোমে যাচ্ছিলেন ক্লিওপেট্রা। নৌকার পালগুলো ছিল মূল্যবান সিল্কে বোনা। নৌকা যখন বাওয়া হচ্ছিল, তখন সুমধুর শব্দে চারদিক ভরে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, কোনো বংশীবাদক তার সুরেলা বাদ্য বাজাচ্ছে। ক্লিওপেট্রা নিজে পরেছিলেন গ্রীকদের প্রেমের দেবী আফ্রোদিতির মতো মোহনীয় পোশাক, যার প্রতি ভাঁজে ভাঁজে ছিল প্রেম কিংবা কামের লেলিহান শিখা। রাজা অ্যান্টনি ক্লিওপেট্রাকে তার প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং দূত মারফত অ্যান্টনিকে তার ভাসমান রাজপ্রাসাদে আমন্ত্রণ জানায়। ক্লিওপেট্রা চাইছিলেন সাক্ষাতের সময়টা যথাসম্ভব মোহময় করে তুলতে।

রাজা অ্যান্টনি ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যের কীর্তন আগেই শুনেছিলেন লোকমুখে। কিন্তু তিনি যখন তার সামনে এসে দাঁড়ালেন, মনে হলো যেন খোদ প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি তার সামনে। সোনার পোশাকে মোড়া যেন কোনো স্বপ্নপুরী থেকে আগত মানবী, যিনি তার মনের মধ্যে প্রেমের জোয়ার এনে দিলেন। ধারণা করা হয়, ক্লিওপেট্রা ও রাজা অ্যান্টনি একে অপরকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছিলেন। ক্লিওপেট্রার এই কৌশলটিও কাজে লেগেছিল, অ্যান্টনি তার প্রেমে পাগল হয়ে তার সাথে আলেক্সান্দ্রিয়ায় বেশ অনেকটা সময় কাটালেন।


এ সময় অ্যান্টনি তার শত্রুদের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছলেন। এদিকে রোমানদের পছন্দ ছিল না ক্লিওপেট্রা এবং রাজা অ্যান্টনির এই সম্পর্ক। তারা অ্যান্টনির শত্রুদের সাথে মিলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ঘোষণা দেয়। যদিও অ্যান্টনি চাচ্ছিলেন এই যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে, কিন্তু ৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইতিহাসখ্যাত সেই অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধ লেগেই যায় রাজা অ্যান্টনি আর রোমান সামাজ্যের অন্যান্য শাসকের মধ্যে।

এই যুদ্ধের মধ্যেই একটি গুজব ছড়ানো হয় যে, ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যা করেছেন। প্রেয়সীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজা অ্যান্টনি ভেঙে পড়েন, এবং তলোয়ারের আঘাতে নিজের জীবন শেষ করে দেন। তাছাড়া তখন যুদ্ধের অবস্থাও বেশ নাজুক ছিল। রাজা অ্যান্টনির পরাজয় ছিল নিশ্চিত। রাজার মৃত্যুর পর যুদ্ধে বিজয়ী হন রোমান সাম্রাজ্যের আরেক অধিপতি অক্টাভিয়ান।

অক্টাভিয়ান মিশর দখল করে নেন। এদিকে ক্লিওপেট্রা শোকে পাথর হয়ে ছিলেন, একে তো অ্যান্টনির মৃত্যু, আরেকদিকে পরাজয়ের লজ্জা। তখন তিনি বিভিন্ন উপায়ে আত্মহত্যা করতে চাইলেও পারেননি, কারণ অক্টাভিয়ানের সৈন্যরা তাকে পাহারায় রেখেছিল।


কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। খ্রিস্টপূর্ব ৩০ সাল; বন্দী ক্লিওপেট্রা বিষাক্ত মিশরীয় গোখরো সাপের (অ্যাম্প নামক এই সাপ লম্বায় কয়েক ইঞ্চি হলেও খুবই বিষাক্ত। কথিত আছে- এই সাপ তার কাছে ডুমুরের ঝুড়িতে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়) কামড়ে আত্মহত্যা করেন। অনেকের মতে, ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যা করেননি, বরং খুন হয়েছিলেন। ইতিহাসবিদদের মতামত ভিন্ন হলেও একসময়ের ক্ষমতাধর রানীর যে করুণ পরিণতি হয়েছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জয় গুরু ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

ভুল টাইপিং করে জীবন শেষ।

 ভুল টাইপিং করে জীবন শেষ। 


বই অর্ডার দিতে গিয়ে ভুল করে বউ অর্ডার দিয়ে ফেললাম। কীভাবে এতো বড় একটা মিস্টেক হয়ে গেলো!


এবার আসল ঘটনায় যাই। একটা পেজে বইয়ের জন্য তাদের মেসেজ দিয়েছিলাম। তো সেখানে আমি বই লিখতে গিয়ে বউ লিখে ফেলছি, টাইপ মিস্টেক যেটাকে বলে আরকি। আমি মেসেজ টা ভালো ভাবে না পড়েই সেন্ট করি। মেসেজটা সেন্ট হওয়ার সাথে সাথে আমি লক্ষ্য করলাম যে আমি বইয়ের যায়গায় বউ লিখে ফেলছি। তারা এখনও আমার মেসেজ সিন করেনি, আমি মেসেজটি রিমুভ করার চেষ্টা করলাম। তখনই আমার একটা বন্ধু এসে আমাকে ধাক্কা দিতেই আমার হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে ডিসপ্লে চলে যায়। কপাল খারাপ হলে যা হয় আরকি! এদিকে মেসেজ ভুল করছি, আবার এখন ফোন নষ্ট হয়ে গেছে। মাথা পুরো হ্যাং হয়ে গিয়েছে। কপাল এতো খারাপ যে টেনশনে আমি নিজের ফেসবুক পাসওয়ার্ড ও ভুলে গেছি। এখন যে অন্যের ফোনে আইডি লগিন দিয়ে মেসেজ রিমুভ দেবো সেই উপায় ও নেই। আমি সময় নষ্ট না করে বাজারে চলে গেলাম। তারপর মোবাইলের দোকানে গিয়ে আমার সমস্যার কথা বললাম। তারা বললযে মোবাইলের ডিসপ্লে নাকি এখানে পাওয়া যাবেনা। তাদের একদিন সময় দিতে হবে। এটা শুনে আমি তো পুরো থ খেয়ে গেলাম। কি আর করার মনকে সান্ত্বনা দিতে লাগলাম। ওটা তো বইয়ের পেজ তারা হয়তো ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। 


আমার সেই বন্ধু বলল -- ভাই বিশ্বাস কর আমি খেয়াল করিনি। তুই চিন্তা করিস না, তোর ফোনের যত টাকা খরচ হয় সব টাকা আমি দিয়ে দেবো। 


-- আরে ভাই টাকাটা বড় কথা না। আমি চিন্তা করছি অন্য কিছু নিয়ে। 


-- কি নিয়ে? গার্লফ্রেন্ড সমস্যা?  


-- আমার তো কোনো গার্লফ্রেন্ড নাই। আসলে আমি একটা বইয়ের জন্য মেসেজ দিছিলাম, যে আমার একটা বউ লাগবে। আমি ওখানে বই লিখতে গেছিলাম। কিন্তু টাইপিং মিস্টেক হয়ে গিয়েছে। 


আমার কথা শুনে বন্ধু হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা। 


-- আরে এতো চিন্তা করিস না। পেজে কেউ বউ অর্ডার করে নাকি? তারা বই পাঠাবে। যা বাড়িতে গিয়ে রেস্ট নে। 


তারপর আমি বাড়িতে চলে এলাম। দোকানে মোবাইল জমা দিয়ে এসেছি কিন্তু সিম সাথেই ছিলো। কারণ সিমে জরুরী কল আসবে। একটা বাটন ফোনে সিম ব্যাবহার করছি। পরের দিন সকালে আমার ফোনে একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো। 


-- হ্যালো কে বলছেন? 


-- জ্বী ভাইয়া আপনার নামে একটা পার্সেল এসেছে। আপনি যে ঠিকানা দিয়েছেন আমি সেখানে এসেছি। একটু তাড়াতাড়ি এসে আপনার পার্সেল টা নিয়ে যান। 


এই কথা বলে লোকটা কল কেটে দিয়েছে। আমি টেনশনে পড়ে গেছি। যাইহোক পার্সেল যেহেতু বলছে তাহলে অবশ্যই বই নিয়েই আসবে। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে গেলাম। আমি যে লোকেশন দিয়েছি লোকটা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে একা দেখে কিছুটা ভয় কেটে গিয়েছে। আমি তার সামনে যেতেই বলল, 


-- আপনি কি আমাদের পেজে একটা পার্সেল অর্ডার করছেন? 


-- জ্বী ভাই। 


-- আচ্ছা আপনি এক মিনিট দাঁড়ান, আপনার পার্সেল গাড়ির ভিতরে আছে। 


এটা শুনে আমার বুকের ভিতরে ধুকধুক শব্দ শুরু হলো। এরা সত্যি সত্যিই কি বউ নিয়ে এলো? সেটা কীভাবে হয়? হঠাৎ করে লোকটা গাড়ির ভিতর থেকে একটা মেয়েকে বের করে নিয়ে আসলেন। মেয়েটার পড়নে বউয়ের সাজ। এটা দেখে তো আমার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মতো অবস্থা। যেই ভয়টা এতক্ষণ পাচ্ছিলাম সেটাই হচ্ছে! 


মেয়েটাকে নিয়ে লোকটা আমার কাছে এসে বলল, 


-- এই-যে ভাই আপনার পার্সেল বুঝে নেন। আপনি এমন একটা জিনিস অর্ডার দিছেন যেটা আমাদের কাছে নেই। তাই আমাদের পেজের মালিক বাধ্য হয়ে তার নিজের বউকে দিয়ে দিছে। 


-- ভাই আসলে আমার একটা মিস্টেক হয়ে গিয়েছে। 


তারপর আমি লোকটাকে আমার সব ঘটনা খুলে বললাম। আমার কথা শুনে সে বলল, 


-- এখন তো আর কিছু করার নেই ভাই। আপনাকে রেখে দিতেই হবে। বিক্রি করা জিনিস আমরা ফেরত নেইনা। ওহ হ্যাঁ পার্সেলের সাথে একটা চিঠি ও আছে। 


আমি চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলাম। 


চিঠি- প্রিয় গ্রাহক পত্রের শুরুতে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি এমন একটা জিনিস অর্ডার দিছেন যেটা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি। কারণ এই বউয়ের যন্ত্রণায় আমার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। আজ থেকে আমি মুক্তি, আর সব থেকে বড় কথা আমরা আমাদের গ্রাহকদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেইনা। আপনার আমাকে কোনো টাকা দিতে হবে না। এই প্রডাক্ট আপনাকে ফ্রী তে দেওয়া হলো। আপনি আমাকে বাঁচালেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের পেজের সাথে থাকুন। 


চিঠিটা পড়া শেষ করেই আমি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। 


সমাপ্ত। 


#টাইপিং_মিস্টেক 

লেখক - শহীদ উল্লাহ সবুজ

সংগ্রহীত

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ : ০৭-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ : ০৭-১০-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম :


জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।


রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে থেকে যে সকল সামরিক অফিসার যোগ্য নেতৃত্ব প্রদান করেছেন, পদোন্নতির জন্য তাদেরকে বিবেচনা করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার।


দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই - শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার - জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।


বাংলাদেশকে নিয়ে যেকোনো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার।


জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে পরিবেশ উপদেষ্টার গুরুত্বারোপ।


লেবাননে অব্যাহত হামলার মধ্যে ইসরাইলের বন্দর নগরী হাইফায় রকেট হামলা চালালো হিজবুল্লাহ।


গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক ভারত।

রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ : ০৬-১০-২০২৪

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ : ০৬-১০-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম : 


সরকারের সঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু - নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি বিএনপির। 


হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি - পূজা মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর সেনাবাহিনী।


মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার - জানালেন প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।


আজ মুন্সিগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডাক্তার এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।


লেবাননে ইসরাইলী হামলার বিস্তার - ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির থেকে হাজারো মানুষের পলায়ন।


গোয়ালিয়রে স্বাগতিক ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে আজ।

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...