এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

সচেতন হোন দিনে অন্তত একবেলা লাল চালের ভাত বা পান্তা খান। শিশু ও গর্ভবতী মায়ের ভাতের থালায় লাল চালের ভাত দিন।,,,BRRI RICE ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "যতোই উপকারি হোক গরীবেও মোটা চাইলের ভাত খেতে চায় না; কেউ কিনে না চামারা ধান। নিজেদের পিঠা খেতে হয় তাই এখনও আবাদ করি " এক চামারা চাষির আক্ষেপ। এ যেন সৈয়দ মুজতবা আলী বর্ণিত সেই অচ্ছেদ্য চক্র। 


গভীর পানির ধান চামারা । বন্যার পানিতেও টিকে থাকার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে চামারার; পানি বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ধানগাছ। গভীর পানিতে আবাদ হয় তাই চামারা ধান চাষ করতে রাসায়নিক সার বি*ষ লাগে না।

টাঙ্গাইল , মানিকগঞ্জ, ঢাকা জেলার নদীর তীরবর্তী নিম্নভূমিতে এই ধানের আবাদ এখনও টিকে আছে।

এই ধানের চাল মোটা ও লাল রঙের হয়। এই চালের ভাত মিঠা স্বাদের। চামারা চাল পুষ্টি সমৃদ্ধ তো বটেই, স্বাদও দারুন। এর খিচুড়ি অসাধারণ, পিঠাও সুস্বাদু।


বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জমি প্লাবন সমভূমি। এই জমিগুলি আমন মৌসুমে অনাবাদী থাকে কারণ পানিতে যে ধানগুলি হয় তার চাল মোটা। যতোই উপকারি হোক মোটা চাল গরীবেও খায় না। সবাই ফেয়ার এন্ড লাভলী মার্কা সাদার চেয়েও বেশি সাদা চিকন চালের ধান খেতে চায়। 


খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কারণে চামারা সহ অন্যান্য পানির ধানের আবাদ কমে গেছে; উপযোগিতা হারাইছে মিনিকেটের কাছে। অথচ চামারার স্বাদ বুঝাতেই এই গ্রাম্য বচন আছে- "ইস্টির মধ্যে মামারা যদি থাকে নানি, ধানের মধ্যে চামারা যদি থাকে পানি"


সচেতন হোন দিনে অন্তত একবেলা লাল চালের ভাত বা পান্তা খান। শিশু ও গর্ভবতী মায়ের ভাতের থালায় লাল চালের ভাত দিন।


তথ্যসূত্রঃ ১. জাগরনীয়া.কম ২.প্রিয়.কম ৩. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন।


ছবি- গভীর পানির চামারা ফুল ফাইবার মোটা চাল।

লেখা- হাসান মেহেদি (সংশোধিত)

ছবি: অনুপ বিশ্বাস এবং অন্যান্য।

বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় গানের স্বনামধন্য শিল্পী শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব এর আজ ২৫-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। 

 বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় গানের স্বনামধন্য শিল্পী শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব এর আজ ২৫-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। 


শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব (১৯২৭-২০০০) ছিলেন চট্টগ্রামের কথ্য ভাষায় রচিত আঞ্চলিক গানের একজন বিখ্যাত গায়ক।

কণ্ঠশিল্পী শ্যামসুন্দর ১৯২৭ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদস্থ নন্দীরহাট এলাকায় সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। খুব অল্প বয়সে তার বাবা পরলোক গমন করায় পরিবারের হাল ধরার লক্ষে চাকরিতে নিয়োজিত হওয়ায় শিক্ষাজীবনে তিনি বেশিদূর যেতে পারেননি।

শ্যামসুন্দরের পিতা জয়দাশ বৈষ্ণব ছিলেন আধ্যাত্মিক গানের একনিষ্ঠ সাধক।তার হাত ধরেই শ্যামসুন্দর সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন। গান আর কৌতুক নিয়ে এলাকায় শিশুকালে সাড়া ফেলে দিয়েই আগাম জানিয়েছিলেন তিনিই হবেন সাংস্কৃতিক জগতের সফল এক নক্ষত্র। ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রামের প্রবীণ গীতিকার ও সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন (প্রকাশ মহি আল ভান্ডারী) এর কথা ও সুরে দুটি আঞ্চলিক গান পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত জীবনে পর্দাপণ করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তালিকাভূক্ত হবার যোগ্যতা অর্জন করেন।

শ্যামসুন্দরের কিছু জনপ্রিয় গান

• ও জেডা ফইরার বাপ,

• ভানুরে ও ভানু

• ও বাস কন্ডাকাটার,

• চল আঁরা ধাই,

• আঁর বাইক্য টেয়াঁ দে,

• আঁর বউঅরে আঁই কিলাইউম,

• ভাইসাব দুম্বি আইয়েন লেলে ফুঁৎ কইছে,

• ও বেয়াইনরে কেনতে আইলেন আঙ্গোঁ বাইত,

• আন্নের বাই দাগনভূইঞা,

• দেশে গেলে কইয়েনগো ভাইজান চাটিগাঁয়ে চাকরি একখান হাইছি

শ্যামসুন্দর জীবদ্দশায় অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বাংলাদেশ বেতার গুণীজন সংবর্ধনা, রয়েল ক্লাব অব মেট্রোপলিটন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা, শহীদ নতুন চন্দ্র সিংহ স্মৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ উদীচী, চট্টগ্রাম শিল্পী সংস্থা, ধ্রুব পরিষদ, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ, অবসর সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, আলাউদ্দিন ললিতকলা একাডেমি, ত্রিতরঙ্গ, ফতেপুর রুদ্র পল্লীবাসী, হাটহাজারী কণ্ঠ, সম্মিলিত বর্ষবরণ । মৃত্যুর পর ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে একুশে পদক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।


৪ ডিসেম্বর ২০০০ তিনি পরলোকগমন করেন।

ফ্যাক্টরীতে গাড়ি পাঠানোর নিয়ম স্যারের মেসেজ 09/12/2024

 ★কালিগঞ্জ ফ্যাক্টরিতে গাড়ি দেওয়ার কিছু নিয়মাবলী আপনারা সকলেই ফলো করবেন। গাড়ি দেয়ার অবশ্যই আগে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন। গাড়ি দেওয়ার পর ড্রাইভারকে যেসব নির্দেশনা বলি শিখায় দেবেন তা হল

★প্রথমে গেটে গিয়ে এন্ট্রি করবে

★দ্বিতীয়তঃ স্কেল করবে

★তৃতীয়তঃ টোকেন সিরিয়াল অনুযায়ী সংগ্রহ করবে

★তারপর ভ্যাট চালান কমপ্লিট করবে

★কোন অবস্থাতেই যেন তার সিরিয়াল নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে মাঝখানে কোন প্রকার সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে।

★যে ড্রাইভার পাঠাবেন তাকে এই বিষয়গুলো অবহিত করে সুন্দর করে বুঝিয়ে ড্রাইভার পাঠাবেন।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন অসাধরণ স্মৃতিশক্তির নানা বর্ণনা ধরা রয়েছে তাঁর একদা সহকর্মী অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশীর অনেক লেখাতেও

 ‘প্রথম দিন ক্লাশে এসে স্যর আমাকে ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা খাতা আনতে বললেন যা তাঁর নির্দিষ্ট লকার আছে সেখান থেকে। আমি ঘরে ঢুকে তন্ন তন্ন করে খুঁজি। স্যরের লকারের সন্ধান পাই না। সকলের নামেই লকার রয়েছে, কেবল স্যরের লকারটি দেখা গেল না। আমি বিমর্ষ হয়ে ফিরে এসে সেকথা জানালাম স্যরকে। স্যর তো শুনে অবাক। সে কী, আমার লকারটাই খুঁজে পেলে না। তারপর ভেবে বললেন কী নাম দেখেছিলে? আমি বলি, কেন আপনার যা নাম, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। স্যর এবার হাসলেন। তার হাসি তো নয়, ভুবন মন মোহিনী। বললেন, দেখ তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় লেখা যে লকার সেটাই আমার। এই প্রথম জানলাম স্যরের ছদ্মনাম নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।’


গল্পটা শুনিয়েছিলেন আমাদের মাস্টারমশাই বরুণকুমার চক্রবর্তী। প্রকৃতই, সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় বাবা-মায়ের দেওয়া নামটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল। একমাত্র ছাত্র-সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন টিএনজি স্যর। কথাকার, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, টেনিদার স্রষ্টা হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন, তেমন ছিলেন মাস্টারমশাই হিসেবেও।


তাঁর শিক্ষক-জীবন শুরু ১৯৪২-এ, জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজে। তার পরে দীর্ঘকাল কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। শেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান। আমৃত্যু সেখানেই অধ্যাপনা করেছেন। অসামান্য বাচনভঙ্গি, কঠিন বিষয়কে সহজ করে বলার ক্ষমতা, দেশি-বিদেশি সাহিত্য সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান তাঁকে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা দিয়েছিল।


শিক্ষক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে মুগ্ধতার উল্লেখ রয়েছে তাঁর নানা কৃতী ছাত্রের কথায়। কবি অমিতাভ দাশগুপ্ত অনার্স ও এমএ, দু’ক্ষেত্রেই নারায়ণবাবুর ছাত্র ছিলেন। অনার্স পড়েছেন সিটি কলেজে। এমএ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জানাচ্ছেন, ‘হলফ করে বলছি, যারা নারায়ণবাবুকে ক্লাশ নিতে দেখেন নি, তাঁরা অনুমানও করতে পারবেন না যে একজন শিক্ষকের জনপ্রিয়তা কোনখানে পৌঁছতে পারে। অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন তো দূরের কথা, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও তাঁর ক্লাশে হামলে পড়ত। দশ বা এগারো নম্বর ঘরের করিডোর দিয়ে মাছি গলতে পেতো না।’ নারায়ণবাবুর একদা ছাত্র লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও তাঁর মাস্টারমশাইয়ের আশ্চর্য স্মৃতিশক্তির কথা শুনিয়েছেন। লেখকের কথায়, ‘কলেজ ছাড়ার পাঁচ ছ বছর বাদে ওর সঙ্গে এক জায়গায় দেখা। আমার দৃঢ় ধারণা, উনি আমাকে চিনতে পারবেন না। মাত্র বছর দেড়েক ওঁর ছাত্র ছিলুম, পোষ্ট গ্রাজুয়েট ক্লাশও পড়িনি —আমাকে চিনতে পারার কোনো প্রশ্নই ওঠে না— কিন্তু উনি ঠিক আমাকে দেখেই এক নিমেষও চিন্তা না করে বললেন, কি সুনীল কেমন আছো? তারপর আমাদের ব্যাচের অন্যান্য ছেলে—ফণিভূষণ আচার্য, মোহিত চট্টোপাধ্যায়, শিবশম্ভু পাল প্রভৃতির কথাও জিজ্ঞেস করলেন। আমি স্তম্ভিত।’


নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন অসাধরণ স্মৃতিশক্তির নানা বর্ণনা ধরা রয়েছে তাঁর একদা সহকর্মী অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশীর অনেক লেখাতেও। সহকর্মী বা ছাত্রছাত্রীর লেখা কবিতা একবার শুনে বা পড়ে দীর্ঘদিন পরেও গড়গড় করে বলে দিতে পারতেন।


মানুষটি বেশ রসিক ছিলেন। নিজেও হাসতেন, অন্যদেরও হাসাতেন। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিশতেন বন্ধুর মতো। এক জন সাহিত্যিকের শিক্ষক হিসাবে জনপ্রিয়তার দৃষ্টান্ত বিরল। শিক্ষকতাকেও শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করতে আর কেউ পেরেছিলেন বলে মনে হয় না। শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নয়, তাঁর শিক্ষাদান চলত শ্রেণিকক্ষের বাইরেও। আবিষ্কার করেছেন তাঁর ছাত্র, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। বহু কাহিনির চিত্রনাট্যকার নারায়ণবাবুর কাছে সংলাপের পাঠ বুঝে নিতে যেতেন উত্তম কুমার। পাঠ দিতে গিয়েছেন সুচিত্রা সেনের বাড়িতেও।


এর পাশাপাশি অন্য দিকও ছিল। মৃত্যুর তিন বছর আগে অসুস্থ নারায়ণবাবু সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও স্ত্রী আশাদেবীকে নিয়ে উত্তরবঙ্গের বন্যার পরে কলকাতার পথে শোভাযাত্রা করেছিলেন। উদ্দেশ্য, বন্যাপীড়িতদের সাহায্য করা। শ্যামবাজার থেকে মিছিল বেরিয়েছিল। সে দিন প্রচণ্ড রোদ। রোদের মধ্যেই ঘণ্টা চারেক পায়ে হেঁটে ঘুরে নারায়ণবাবু শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।


এই ছাত্রদরদী, জনদরদী শিক্ষকের জন্মশতবর্ষ গত বছর নিঃশব্দে পার হয়ে গেল। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দু-একটি সেমিনার, কিছু পত্রিকায় নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে বিশেষ সংখ্যার বাইরে আমরা শিক্ষক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কে সঠিক মর্যাদা দিতে পেরেছি কি? তাঁর নামাঙ্কিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আজও একটা ‘চেয়ার’ হল না। এ আমাদের আক্ষেপ। লজ্জাও বটে!


লেখা: জয়ন্ত সিংহ মহাপাত্র


#unknown #followerseveryone #fbpost2024 #highlight #fellowers #everyone

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তিটা চলে আসে,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পুরুষের শারীরিক চাহিদা পূরণ হলেই তার মানসিক শান্তিটা চলে আসে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। একজন নারী মানসিক শান্তি পেলে তবেই শারীরিক চাহিদা দেখায়।নারী এবং পুরুষের চাহিদার মধ্যে পার্থক্য আছে।


পুরুষের সমস্ত ডিপ্রেশন এবং ক্লান্তি দূর হয় সঙ্গীর সাথে Physical Attachment এ থাকলে। আপনি যখন আপনার পুরুষ সঙ্গীকে খুশি করতে চাইবেন, তবে অবশ্যই তার সাথে শারীরিক Attachment হতে হবে এমনকি তা পুরোপুরি মন থেকেই।


পুরুষের তুলনায় নারীদের এই একটা কারণেই সবচেয়ে বেশি মুড সুইং হয়। নারী এবং পুরুষ দুই ভিন্ন মেরুর জিনিস। এখানে বুঝতে হবে, আপনার সঙ্গী ঠিক কিসে নিজেকে Satisfy মনে করে। সঙ্গীর চাহিদা অনুযায়ী যদি তা পূরণ করতে পারেন, তবেই আপনি একজন ভালো সঙ্গী। এখানে কেউ কারো চাহিদা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 


তবে নারীরা Physical Attachment এর চাইতে Mentally Attachment এ বেশি গুরুত্ব দেয়। আপনার নারী সঙ্গীর যদি মন ভালো থাকে, তবেই কেবল সে শারীরিক Attachment এ আগ্রহ দেখাবে। তবে মানসিক অবস্থা যদি ভালো না থাকে, তবে সে কোনোকিছুর প্রতিই আগ্রহ দেখাবে না।


নারীরা সবসময় তার মনকে গুরুত্ব দেয়।

মন যদি সায় না দেয়, তবে তার ধারেকাছেও যাওয়া যায় না। আপনি যখন আপনার নারী সঙ্গীর মনের প্রতি বেশি খেয়াল রাখবেন, সে তখন আপনাআপনিই আপনার ডাকে সাড়া দিবে। 


পুরুষ এবং নারীর চাহিদার এই পার্থক্যের কারণেই দাম্পত্য জীবনে কেউ কাউকে বুঝতে চায় না সহজে। আর পুরুষ সঙ্গীর ক্লান্তি, হতাশা দূর করতে পারলে, সে অবশ্যই আপনার প্রতি দুর্বলতা দেখাবে। পরস্পর যদি পরস্পরের শরীর এবং মনের যত্ন নেয়, তবেই পরস্পরের চাহিদা পূরণ হয়। চাহিদা অপূর্ণ রেখে একে-অপরকে দোষারোপ করে, শুধুমাত্র দায়ে পড়ে সংসার করার কোনো মানে নেই


চাইলেই - একজন নারী একজন পুরুষকে বহু রকম ভাবে তৈরি করতে পারে।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে সম্মানের দিক থেকে অনেক উঁচুতে উঠাতে পারে। আবার অসম্মানের একদম নিম্ন মানের জায়গাতেও নামিয়ে এনে দাঁড় করাতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে অনেক আর্থিক এবং সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারে। আবার সেই নারীই একজন পুরুষকে ভিক্ষুক হিসেবে কিংবা সমাজের একদম গরীব পুরুষ হিসেবে পরিণত করতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মা-বাবা ভাই-বোন ছাড়া করে সে একাই রাজত্ব বহণ করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের, মা-বাবা ভাই-বোন এর সাথে মিলেমিশে নিজেকে প্রকৃত সুন্দরী নারী হিসেবে তৈরি করতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে পরিবার ছাড়া, ঘর ছাড়া, সমাজ ছাড়া, দেশ ছাড়া করতে- বাধ্য করতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে একটা সুন্দর ঘর, একটা সুন্দর পরিবার এবং সুন্দর একটা সমাজ তৈরি করে- সুন্দর একটা বন্ধনে আবদ্ধ করে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - শত রকমের খারাপ একজন পুরুষকে ভালো করে গড়ে তুলতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন ভালো পুরুষকে নষ্ট করে সমাজ থেকে উৎখাত করে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে মৃত্যুর রাস্তায় পৌঁছে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে! শুধু কেবল রব এর হুকুমের মৃত্যু ছাড়া।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে বস্ত্রহীন পাগল - উম্মাদ বানিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে স্বাভাবিক সেন্সে ফিরিয়ে আনতে পারে এবং মানসিক ভাবেও সুস্থ করে তুলতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে দিয়ে গোটা পৃথিবীটা অন্ধকারে আচ্ছন্ন করাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - পুরো পৃথিবীটা আলোয় আলোকিত করে বদলে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষকে জাহান্নামের বাসিন্দা বানাতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষকে জান্নাতের পথ খুঁজে দিতে পারে!


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সমস্যা কারণ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী - একজন পুরুষের সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে।


একজন নারী চাইলেই - একজন পুরুষের সুখ হতে পারে। আবার চাইলেই সে নারী একজন পুরুষের দুঃখ হয়ে - আজীবন পুরুষের জীবননাশ করতে পারে! ইত্যাদি ইত্যাদি


একজন নারীর -


শিক্ষা, চিন্তা- চেতনা, শক্তি- ক্ষমতা, ভালোবাসার মায়া - মমতা এবং সভ্যতা অনেক প্রখর হয়।


তাই


নারী চাইলেই - অনেক কিছু করতে পারে!


প্রতিটা নারীর প্রেম হোক - তার সংসার।


প্রতিটা নারীর ভালোবাসা হোক- তার আপন প্রিয় স্বামী। প্রতিটা নারীর মায়ার বাঁধন হোক - তার বুকে আগলে রাখা ধন - প্রিয় সন্তান।


নারী তোমার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস - তুমি সব সময় "তোমার সৌন্দর্য" তোমার সকল গুণ দিয়ে আগলে রাখবে।


✍️ পোস্ট কেমন লাগল জানিয়ে দিন এবং শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন।

বিয়ে করতেছেন একটু ভাবুন,,,,,,,,

 বিয়ে করতেছেন একটু ভাবুন🙂


আপনার বয়স যখন ৩০ বছর,তখন আপনি ১৪/১৫ বছরের একটা মেয়েকে বিয়ে করছেন।বয়সের তফাত টা একবার চিন্তা করলেন না।একটু চিন্তা করে দেখুন...


আপনি ২০ বছর পর যখন ৩০ থেকে ৫০ বছরে যাবেন তখন আপনার s*xual ability কতটা থাকবে?


At that time

আর তখন আপনার বউ ১৪ থেকে ৩৪ বছরে যাবে তখন তার s*xual ability কতটা হবে??


একবার ও ভেবে দেখছেন না,,,


আপনার যখন যৌবন ফুরায় যাবে তখন আপনার বউ যৌবনের সাগরে ভাসবে।


বিয়ে করেন। কিন্তু বয়সের এতটা Difference কেনো।।


শুধুমাত্র বয়সের এতটা Difference 

এর জন্য আজ সমাজে পরকীয়া বেড়ে যাচ্ছে।


বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সের এত পার্থক্য সংসার জীবনের উপরও প্রভাব ফেলে।


আপনার ৩০ বছরের জ্ঞান আর তার ১৪ বছরের জ্ঞান কখনই সমান হবে না।


যদি সুখের বিয়ে করতে চান অবশ্যই নিজের সমান কাওকে বিয়ে করুন। or ৪-৫ বছরের পার্থক্য করুন,,এর বেশি না।।


আর একটা বিষয় আপনার বউ আপনার চেয়ে বয়সে বড় হলে কোনো সমস্যা নেই।পরকীয়ায় জড়াবে না।।


এমন মন মানসিকতা কেন আজ আপনাদের,


আপনি অনার্স মাস্টার্স শেষ করে Job পেয়ে বিয়ের জন্য খুজবেন ক্লাস ৯/১০ এর মেয়ে।।


যে সব মেয়েরা অনার্স মাস্টার্স পড়ছে বা শেষ করেছে তাদের কে বিয়ে করুন সুখে থাকবেন। ইনশাআল্লাহ 


বিয়ের ক্ষেত্র এই বয়সের Difference টা ত্যাগ করা উচিত এবং same age বিয়ে করার চেষ্টা করা উচিত।।


সমবয়সী কাউকে বিয়ে করুন।বন্ধুর জায়গাটাও পূরণ হবে🖤 #by_akber

কবিয়াল বিজয়কৃষ্ণ সরকার একজন কবিয়াল, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও চারণ কবি। জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৩ সালে নড়াইলের ডুমদী গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী

 এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনই ঠিক রবে: মরমী সাধক 

         কবিয়াল বিজয় সরকার

কবিয়াল বিজয়কৃষ্ণ সরকার একজন কবিয়াল, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও চারণ কবি।


জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৩ সালে নড়াইলের ডুমদী গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী। 


কবি তাঁর ভক্ত ও স্থানীয়দের কাছে ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত।


তাঁর বহু জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে এ পৃথিবী যেমন আছে, তেমনই ঠিক রবে/সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে, পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে, তুমি জানো না রে প্রিয়/তুমি মোর জীবনের সাধনা,  আষাঢ়ের কোন ভেজা পথে প্রভৃতি অন্যতম।


তাঁর পিতার নাম নবকৃষ্ণ বৈরাগী ও মাতার নাম হিমালয়া কুমারী। পিতামহ গোপালচন্দ্র বৈরাগী। 


তিনি স্থানীয় টাবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে নেপাল বিশ্বাস নামক একজন শিক্ষকের কাছে যাত্রাগানের উপযোগি নাচ, গান ও অভিনয় শেখেন। 


প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য তিনি বেশ কয়েকটি স্কুল পাল্টান। প্রায় সবখানেই তিনি এমন এক বা একাধিক শিক্ষক পান, যাদের কাছে তিনি গান শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। অল্প বয়সে পিতামাতা হারানোয় তাঁর লেখাপড়া বেশিদূর এগোয়নি। দশম শ্রেণি পর্যন্ত তিনি লেখাপড়া করেন।


তিনি স্থানীয় স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতার কাজ করেন। কিছুদিন করেন নায়েবের কাজ। পাশাপাশি নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের লোক ও আধুনিক গান চর্চা করতেন। 


১৯২৫ সালে তিনি গোপালগঞ্জের কবিয়াল মনোহর সরকারের কাছে কবিগান শেখেন। কিছুদিন পর তিনি রাজেন্দ্রনাথ সরকারের সংস্পর্শে আসেন এবং তার কাছেও কবিগানের তালিম নেন।


১৯২৯ সালে বিজয় সরকার নিজের একটি গানের দল করেন এবং কবিয়াল হিসেবে পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি গানের কথা এবং সুর করতেন। 


ভাটিয়ালী সুরের উপর ভিত্তি করে তাঁর ধুয়া গানের জন্য তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পান। 


তিনি রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম, কবি জসিমউদ্দিন, আব্বাসউদ্দিন আহমদ প্রমুখের সান্নিধ্যে এসেছিলেন।


বিজয় সরকার প্রায় ৪০০ সখি সংবাদ এবং ধুয়া গান রচনা করেন। এর মধ্যে কিছু কাজ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত হয়। 


তিনি বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, এবং বেতার টেলিভিশনেও কবিগান পরিবেশন করেন। 


বাংলাদেশ ও ভারতে তিনি আনুমানিক ৪০০০ আসরে কবি গান পারিবেশন করেন। এছাড়া তিনি রামায়ণ গানও পরিবেশন করতেন।


বিজয় সরকারের পারিবারিক উপাধি ছিল বৈরাগী। তিনি নিজে বৈরাগী উপাধি ত্যাগ করে অধিকারী উপাধি গ্রহণ করেন। কবিয়াল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করার পর তিনি অবশ্য বিজয় সরকার নামে পরিচিত হয়ে পড়েন।


২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।


২ ডিসেম্বর ১৯৮৫ সালে আবহমান বাংলার প্রতিভাধর এই চারণ কবি লোকান্তরিত হন।

স্বনামধন্যা অভিনেত্রী ও গায়িকা বাসবী নন্দীর আজ ৮৬-তম জন্মদিনে স্মরণ করি। 

 স্বনামধন্যা অভিনেত্রী ও গায়িকা বাসবী নন্দীর আজ ৮৬-তম জন্মদিনে স্মরণ করি। 


বাসবী নন্দী (৫ ডিসেম্বর ১৯৩৯ - ২৩ জুলাই ২০১৮) একজন বাঙ্গালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। বনপলাশীর পদাবলী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন থেকে শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার পুরস্কার পান।


বাসবী নন্দীর জন্ম ১৯৩৯ সালে। তার বাবা বি.এল. নন্দী ঢাকায় একজন সুপরিচিত ডাক্তার ছিলেন। নন্দী কলকাতার ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন।


ছোটবেলা থেকেই গান ও ধ্রুপদী নৃত্যে তার আগ্রহ ছিল। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় আর উৎপলা সেনের কাছে তিনি বাংলা গানের তালিম নেন। তিনি ছিলেন গোবিন্দন কুট্টির ছাত্রী। তিনি আধুনিক বাংলা গান এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর নিজের সঙ্গীত রেকর্ড প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে গান করেন।


১৯৫৮ সালে ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। উত্তম কুমারের নায়িকা হিসেবেও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।


কলকাতার সব কটি মঞ্চেই অভিনয় করেন বাসবী নন্দী। স্টার থিয়েটারে ‘কারাগার’ (১৯৬২), রঙমহলে ‘সেইম-সাইড’ (১৯৬৮/৬৯), বিজন থিয়েটারে ‘শ্রীমতী ভয়ঙ্করী’ (১৯৮০) তার উল্লেখযোগ্য নাটক।


অভিনীত চলচ্চিত্র সমুহ


যমালয়ে জীবন্ত মানুষ (১৯৫৮)

মৃতের মর্ত্যে আগমন

অভয়া ও শ্রীকান্ত

দো দিলোঁ কি দস্তান (হিন্দি)

বাঘিনী

নবরাগ

কায়াহীনের কাহিনী

বনপলাশীর পদাবলী (১৯৭৩)

সেই চোখ

রাতের কুহেলি

শত্রুপক্ষ

গজমুক্তা

আমি সে ও সখা

মৃত্যু সম্পাদনা

তিনি ২৩ জুলাই ২০১৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।


(তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

ড্যাশিং হিরো ও অভিনেতা শশী কাপুরের আজ সপ্তম প্রয়াণবার্ষিকীতে স্মরণ করি। 

 ড্যাশিং হিরো ও অভিনেতা শশী কাপুরের আজ সপ্তম প্রয়াণবার্ষিকীতে স্মরণ করি। 


 ‘কহে দু তুমে… ইয়া চুপ রহু…দিল মে মেরে আজ কেয়া হ্যাঁয়…’  -- ঘাড় পর্যন্ত ঢেউ খেলানো চুল আর গজ দাঁতের কেরামতিতে মোহিত হয়েছিল ষাটের দশক। কাপুর পরিবারের আভিজাত্যকে ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কেবল অভিনেতা। তার চেয়েও বেশি রক্তমাংসের সেই মানুষ, যিনি আজীবন তপস্যা করে গিয়েছেন অভিনয়ের খাতিরে। 


 পৃথ্বীরাজ কাপুরের তৃতীয় সন্তান ছিলেন তিনি। পর্দার নাম শশী কাপুর। তবে আসল নাম তাঁর বলবীর রাজ কাপুর। আর এই কলকাতাতেই জন্ম তাঁর ১৯৩৮ সালের ১৮ মার্চ ৷ মুম্বইয়ের ডন বস্কো হাইস্কুলে পড়াশুনা করেছেন ৷ ১৬৮ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন ৷ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ২০১১ সালে 'পদ্মভূষণ' এবং ২০১৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার ৷


     বাড়িতেই ছিল কেবল অভিনয়, অভিনয় আর অভিনয়। তাই ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের জগতে প্রবেশ। প্রথমে থিয়েটার, পরে সিনেমায় আগমন। সংগ্রাম ছবিতে দাদা রাজ কাপুরের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করে বেশ নাম কামিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে ‘ধর্মপুত্র’ ছবিতে ফের তাঁর প্রত্যাবর্তন হয় নায়ক হিসেবে।


  সিনেমার নায়ক হলেও শশীর আসল ভালবাসা ছিল থিয়েটার। এই থিয়েটারের সূত্রেই তাঁর জেনিফার কেন্ডলের সঙ্গে আলাপ। নাটকই দুই অভিনেতাকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। শশী-জেনিফারের তিন সন্তান রয়েছে কুণাল কাপুর, করণ কাপুর, সঞ্জনা কাপুর। রবিবার কোনও কাজ করতেন না শশী। বাড়িতে সাড়ে সাতটায় ব্রেকফাস্ট ছিল মাস্ট। সকলকে সেই সময় হাজির থাকতে হত ৷ তাই বলে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ ছিল না শশীর। তাঁদের সঙ্গে দারুণভাবে মিশে যেতেন তিনি। পৃথ্বীরাজ কাপুরের সঙ্গে নাকি তাঁর সম্পর্ক খুব একটা সহজ ছিল না। তাই নিজের সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশার চেষ্টা করতেন ৷


   বাংলায় যেমন ফেলুদা মানেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তেমনই হিন্দিতে ফেলুদা মানে সন্দীপ রায়ের কাছে ছিলেন শশী কাপুর। তাঁকে নিয়েই গড়েছিলেন ‘কিসসা কাঠমান্ডু কা’। ১৯৮৬ সালে ডিডি ন্যাশনালে প্রদর্শিত হয়েছিল এই টেলিভিশন সিরিজ। সত্যজিৎ রায় শশীর অন্যতম পছন্দের পরিচালক।


অভিনেতারা বিপদে পড়লেও সাহায্য করতে সকলের আগে এগিয়ে আসতেন শশী। শাবানা আজমি একবার জানিয়েছিলেন সে কথা। কোনও সিনেমার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে অর্থসংকটের মধ্যে পড়েন। শশী তাঁর পুরো খরচ বহন করেছিলেন।


  ছবি পরিচালনাও করেছেন শশী। বেশ কড়া ধাতের পরিচালক ছিলেন তিনি। এ কথা স্বীকার করেছে স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। অজুবা ছবির শুটিং চলাকালীন নাকি পরিচালক শশী সেটে ছড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। ভুল হলেই নিস্তার ছিল না। তবে সেটে কারও অসুবিধা হলে সবার আগে তা মেটাতে ছুটতেন তিনিই।


  অপর্ণা সেনের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর। সিনেমার সূত্রেই দু’জনের আলাপ হয়। ‘৩৬ চৌরঙ্গি লেন’-এর জন্য যখন হন্যে হয়ে প্রযোজক খুঁজছেন অপর্ণা, তখন ত্রাতা হন শশীই। চিত্রনাট্য পড়েই ছবি প্রযোজনা করতে রাজি হয়ে যান তিনি। ছবিতে অভিনয় করেছেন তাঁর স্ত্রী জেনিফারও।


  আটানব্বইয়ের পর সিনেমার জগতকে বিদায় জানান। কিন্তু অভিনয় প্যাশন শেষ দিন পর্যন্ত এতটুকু কমেনি। অভিনয় ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-প্রাণ। প্রাণের এই স্পন্দন ভবিষ্যতের জন্য রেখেই ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর স্মৃতির সরণিতে চিরতরে আশ্রয় নিলেন শশী।

পাছে লোকে কিছু বলে – কামিনী রায় কবি কামিনী রায়ের ৯১-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

 করিতে পারি না কাজ

সদা ভয় সদা লাজ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে –

পাছে লোকে কিছু বলে।

আড়ালে আড়ালে থাকি

নীরবে আপনা ঢাকি,

সম্মুখে চরণ নাহি চলে

পাছে লোকে কিছু বলে।

হৃদয়ে বুদবুদ মত

উঠে চিন্তা শুভ্র কত,

মিশে যায় হৃদয়ের তলে,

পাছে লোকে কিছু বলে।

কাঁদে প্রাণ যবে আঁখি

সযতনে শুকায়ে রাখি;-

নিরমল নয়নের জলে,

পাছে লোকে কিছু বলে।

একটি স্নেহের কথা

প্রশমিতে পারে ব্যথা –

চলে যাই উপেক্ষার ছলে,

পাছে লোকে কিছু বলে।

মহৎ উদ্দেশ্য যবে,

এক সাথে মিলে সবে,

পারি না মিলিতে সেই দলে,

পাছে লোকে কিছু বলে।

বিধাতা দেছেন প্রাণ

থাকি সদা ম্রিয়মাণ;

শক্তি মরে ভীতির কবলে,

পাছে লোকে কিছু বলে।


✍️পাছে লোকে কিছু বলে – কামিনী রায়


কবি কামিনী রায়ের ৯১-তম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।


কামিনী রায় (জন্মঃ অক্টোবর ১২, ১৮৬৪ - মৃত্যুঃ সেপ্টেম্বর ২৭,১৯৩৩) ছিলেন একজন বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা। কামিনী রায়ের জন্ম বর্তমান বাংলাদেশে বরিশালের বাকেরগঞ্জের বাসন্ডা গ্রামে। বাবা ছিলেন সেসময়ের বিখ্যাত লেখক ও ব্রাহ্মসমাজের সদস্য চণ্ডীচরণ সেন। পিতামহ নিমচাঁদ সেন ছিলেন ভাবুক ও ধার্মিক প্রকৃতির লোক। কামিনীর শিশু বয়স থেকেই তার পিতামহ তাকে বিভিন্ন শ্লোক আবৃত্তি করে শোনাতেন। 

তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রীধারী ব্যক্তিত্ব। তাঁর পিতা চন্ডীচরণ সেন একজন বিচারক ও ঐতিহাসিক লেখক ছিলেন।স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর ১৮৮৬ সালেই তিনি বেথুন কলেজের স্কুল বিভাগে শিক্ষয়িত্রীর পদে নিযুক্ত হন ও পরবর্তীকালে তিনি ঐ কলেজে অধ্যাপনাও করেন।যে যুগে মেয়েদের শিক্ষাও বিরল ঘটনা ছিল, সেই সময়ে কামিনী রায় নারীবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর অনেক প্রবন্ধেও এর প্রতিফলন ঘটেছে।

মাত্র ৮ বছর বয়স থেকে তিনি কবিতা লিখতেন। পনের বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ আলো ও ছায়া প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ খ্রীস্টাব্দে। তার লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে -আলো ও ছায়া (১৮৮৯), নির্মাল্য (১৮৯১),দীপ ও বহধূপ (১৯২৯),জীবন পথে (১৯৩০) প্রভৃতি।অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত 'মহাশ্বেতা' ও 'পুণ্ডরীক' তাঁর দু'টি প্রসিদ্ধ দীর্ঘ কবিতা।এছাড়াও, ১৯০৫ সালে তিনি শিশুদের জন্য ‘গুঞ্জন’ নামের কবিতা সংগ্রহ ও প্রবন্ধ গ্রন্থ বালিকা শিক্ষার আদর্শ রচনা করেন। কামিনী রায় ১৯২৩ খ্রীস্টাব্দে তিনি বরিশাল সফরের সময় কবি সুফিয়া কামালকে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে বলেন। তিনি ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩২-৩৩ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ-সভাপতি ছিলেন কামিনী রায়।


সংগৃহীত✍️

#goodnight

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...