এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

মনে করো আমি নেই... ॥,,,,লেখক: ©️ কিছু কথা ॥ কিছু সুর। তথ্য সংগ্রহ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার:

 ॥ মনে করো আমি নেই... ॥


তখন আমি বারো কি পনেরো,

ইন্টারনেট, ইউটিউব, ফেসবুক এইসব তো দূর অস্ত, বাড়িতে টিভিও ছিল না। আর প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি হওয়ার দরুন তখনও ইলেকট্রিসিটি আসেনি। একান্নবর্তী পরিবার ছিল আমাদের। সন্ধ্যা নামলেই হ্যারিকেন লন্ঠনের আলোয় গোল হয়ে বসে পড়াশোনা, আড্ডা, বিনোদন সবই চলত। আর ছিল প্রানের সঙ্গী– এক বিশাল কাঠের বাক্সওয়ালা রেডিও।


এমনই এক সন্ধ্যায় বাবা, মা, পিসি, কাকা, কাকীমা সবাই মিলে বসে সান্ধ্য চা সহযোগে শোনা হচ্ছে রেডিও।

ঘড়িতে (সম্ভবতঃ) ৫:৪৫, বিবিধ ভারতী তে ঘোষণা হল– আকাশবাণী কলকাতা, বিবিধ ভারতী প্রচার তরঙ্গের অনুষ্ঠান শুনছেন ২২৬.৭ মিটারে অর্থাৎ ১৩২৩ কিলো হার্জ এ। শুরু হচ্ছে বিজ্ঞাপনদাতা দ্বারা আয়োজিত অনুষ্ঠান– “মনের মতো গান”।

অতঃপর ঘোষণা— আজকের অনুষ্ঠানের প্রথম গানটি শুনতে চেয়ে অনুরোধ পাঠিয়েছেন- এই বলে, ঠিকানা সহ বাবার নাম এবং তারপর একে একে আমাদের সবার নাম। বাবা-ই চিঠি টা লিখেছিল গানটা শুনতে চেয়ে। বাবা তো খুশিতে আত্মহারা। হবারই কথা! প্রায় বছরখানেক ট্রাই করার পর নিজের অনুরোধের গান নাম-ঠিকানা সহ রেডিওতে, তাও আবার একেবারে শুরুতেই। এ যেন ঠিক লটারি লাগার মতো খুশি। তখনকার আনন্দগুলোই অন্য ধরনের ছিল। আজকের ইন্টারনেটের যুগে যা কল্পনাতীত।


যাইহোক, তারপর বেজে উঠল সেই গান—


“মনে করো আমি নেই,

বসন্ত এসে গেছে..

কৃষ্ণচূড়ার বন্যায়,

চৈতালী ভেসে গেছে...”


গানের শিল্পীর নাম শুনে সেদিনের আমি অবাক হয়ে বাবাকে বললাম – ওই দ্যাখো বাবা, এটা তো লতা মঙ্গেশকরের গান, ওরা বোধহয় ভুল করে সুমন কল্যাণপুর বলল।

তখন বাবা বলল— না রে, এটা সুমন কল্যাণপুর এরই গান। ওর গলাটাই লতার মতো।


বড় হতে হতে শিল্পীর আরো কিছু গান শুনলাম। চিনলাম শিল্পীকে। সুমন কল্যাণপুর। যাঁর কণ্ঠের ভীষণ মিল ছিল লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে।

এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও তাঁর গান শোনে, পছন্দ করে, কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি, বেশিরভাগই লতা মঙ্গেশকরের গান ভেবেই শোনে।

গতকাল পেরিয়ে এলাম শিল্পীর জন্মদিন। তবে পোস্ট টা লিখতে লিখতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় পোস্ট করা হয়ে ওঠেনি। আজ করলাম।


হ্যাঁ যেকথা বলছিলাম, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর কন্ঠের অদ্ভুত মিল। আর ঠিক এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাঁর কেরিয়ারের ক্ষেত্রে। তাই তিনি আজকে প্রায় অচেনা।


আধুনিক বাংলা গান, বাংলা ছায়াছবির গান অনেক গাইলেও সুমন কল্যাণপুর আদতে বাঙালি নন। কিন্তু তিনি তাঁর কয়েকটি গান দিয়েই বাঙালিদের বড্ড আপন ছিলেন।


সেসময় রেডিও আর রেকর্ডের যুগে সুমন কল্যাণপুরের গান শুনলে আমার মতো প্রায় সব শ্রোতারাই বিভ্রান্ত হয়ে যেতেন তাঁর গাওয়া গান শুনে। ভাবতেন– এটা তো লতা মঙ্গেশকরের গলা।


এই "Identity crisis" যে কতখানি অস্বস্তির কারণ একজন শিল্পীর কাছে, তা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই বিভ্রান্তি শুধু শ্রোতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, সুমনের জীবনের বড় একটা অংশকে আচ্ছন্ন করেছিল। রেডিওতে সুমনের গান বাজানোর পরে অনেক সময় তাঁর নাম ঘোষণা করা হতো না। এমনকি শুরুর দিকে রেকর্ডেও তাঁর নাম দেওয়া হতো না।


লতার কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিল থাকায় সুমনকে প্রায়শই তাঁর ছায়ার মতো বাঁচতে হয়েছে। অথচ, এটা সুমনের লতা-কণ্ঠের অনুকরণ নয়, বরং লতাকে অনুসরণ করেই সুমনের সংগীতযাত্রা শুরু। কলেজজীবনে তিনি লতার গান গেয়ে চমকে দিতেন সবাইকে।

বলুন তো, ঈশ্বর একরকম কন্ঠ উপহার দিলে তাঁর কি দোষ? 


সুমনের কণ্ঠে যেমন ছিল অসামান্য সুরেলা গভীরতা, তেমনি বাংলা, হিন্দি, তামিল—সব ভাষাতেই ছিল তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ। সংগীত পরিচালকরাও বুঝেছিলেন, এই গুণগুলো তাঁকে প্লেব্যাকের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। তবু পঞ্চাশ-ষাটের দশকে লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলের মতো তারকার দাপটে সুমন কল্যাণপুরকে প্রায়শই সংগীত পরিচালকদের “থার্ড চয়েস” হয়ে থাকতে হয়েছে। যখন কোনও গান রেকর্ডিংয়ে লতা সময় দিতে পারতেন না বা প্রযোজকদের বাজেট লতার পারিশ্রমিক সামলাতে পারত না, তখনই সুমন কল্যাণপুরের ডাক পড়ত।


তবে সবসময় এমন ছিল না। কিছু সময়ের জন্য সুমন কল্যাণপুর মহম্মদ রফির সঙ্গে একের পর এক ডুয়েট গেয়ে নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করেছিলেন।


লতা এবং রফির মধ্যে রয়্যালটি বিতর্ক চলাকালীন, রফির সঙ্গে লতার পরিবর্তে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সুমন। ১৪০টিরও বেশি ডুয়েট গান রয়েছে এই জুটির...

“আজকাল তেরে মেরে পেয়ার কে চর্চে”,

“তুমনে পুকারা অউর হাম চলে আয়ে”,

“না না করতে প্যার তুম্হি সে কর ব্যাঠে”,

“দিল নে ফির ইয়াদ কিয়া”,

“ইতনা হ্যায় তুমসে প্যার মুঝে”,

“অ্যায়সে তো না দেখো”


মান্না দে-র সঙ্গে—

“না জানে কাঁহা তুম থে”


হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (হেমন্ত কুমার) এর সঙ্গে—

“তুম্হি মেরে মিত হো”


মুকেশ এর সঙ্গে—

“ইয়ে কিসনে গীত ছেড়া”


আবার শিল্পীর একক কন্ঠে —

“না তুম হামে জানো”

“প্যাহলা প্যাহলা প্যার”


— এমনই অনেক চিরন্তন গান আজও সুমনের চিরসবুজ কণ্ঠস্বরের সাক্ষী।


সুমন কল্যাণপুরের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৮ জানুয়ারি, অবিভক্ত বাংলার ঢাকা শহরে। তবে তাঁর পূর্বপুরুষরা কর্নাটকের উদুপি জেলার হেমাদি গ্রামের বাসিন্দা। সুমনের পিতা শঙ্কর রাও হেমাদি ছিলেন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মচারী। ১৯৪৩ সালে চাকরিসূত্রে তাঁদের পরিবার মুম্বাইয়ে (তখনকার বম্বে) চলে আসে। দক্ষিণ ভারতীয় শিকড়, বাংলা ও হিন্দির প্রতি দখল, এবং গানের প্রতি ভালোবাসায় ভর করে মুম্বাইয়ের পরিবেশে বেড়ে ওঠেন সুমন।


মুম্বাইয়ের কলম্বিয়া হাইস্কুলে পড়াশোনা চলাকালীনই গানের তালিম নিতে শুরু করেন সুমন। একদিকে গান, অন্যদিকে ছবি আঁকায় তাঁর ছিল অসাধারণ দক্ষতা। জেজে স্কুল অফ আর্টসে ভর্তি হওয়া এই প্রতিভাবান শিল্পী কিশোরীবেলায় প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক কেশব রাও ভোলের নজরে আসেন। তিনিই সুমনকে প্লেব্যাকের দিকনির্দেশনা দেন। সুমনের কণ্ঠে ছিল এমন এক মাধুর্য, যা তাঁকে ক্লাসিক্যাল গান ছেড়ে আধুনিক ও প্লেব্যাকের জন্য আরও বেশি উপযুক্ত করে তুলেছিল।


১৯৫৪ সালে 'মঙ্গু' ছবিতে সুমন কল্যাণপুরের প্লেব্যাক যাত্রা শুরু হয়। এরপর 'দরওয়াজা' ছবিতে তালাত মাহমুদের সঙ্গে তাঁর গান জনপ্রিয়তা পায়। শঙ্কর-জয়কিষণ, শচীনদেব বর্মণ, মদনমোহন, নৌশাদ—সব বড় সংগীত পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছেন সুমন।


সুমনের বিয়ে হয় মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী রামানন্দ কল্যাণপুরের সঙ্গে। সুমনের কেরিয়ারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক ছিল তাঁর স্বামীর সমর্থন। তিনি সব রেকর্ডিংয়ে স্ত্রীকে নিয়ে যেতেন, যাতে সংগীতজীবনে কোনও বাধা না আসে।


বাংলা সংগীত জগতেও সুমন কল্যাণপুর একটি বিশেষ নাম।

“আমার স্বপ্ন দেখা দুটি নয়ন”

কিংবা

“মনে করো আমি নেই, বসন্ত এসে গেছে”

তারপর

“কাঁদে কেন মন আজ কেউ জানে না”

গানগুলো আজও আমাদের মনে দোলা দেয়।


আঁধার আকাশে মেঘের ডাকে আজও মন গেয়ে ওঠে —

“বাদলের মাদল বাজে গুরু গুরু...”


কিংবা, কোনো স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় জর্জরিত এক নিঃসঙ্গ হৃদয়ের আবেগময় জীবন্ত প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে—

“শুধু স্বপ্ন নিয়ে খেলা চলেছে...”


বাংলার নিখাদ সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে যা এযুগেও সমান প্রাসঙ্গিক, জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য।


হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে মান্না দে—সবাই সুমনের প্রতিভার স্বীকৃতি দিয়েছেন।  


লতার কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিল থাকার কারণে সুমন কল্যাণপুরকে প্রায়শই আড়ালে পড়তে হয়েছে। তবু তাঁর কণ্ঠে যে মাধুর্য ছিল, তা আজও বহু শ্রোতার মনে গেঁথে আছে।


‘মনিহার’ ছবির–

“দূরে থেকো না, আরো কাছে এসো”-র মতো আবেদনময়ী গানে যেমন শ্রোতারা রোমাঞ্চিত হয়েছে,

তেমনই ‘কৃষ্ণ সুদামা’ ছবির–

“তোরা হাত ধর প্রতিজ্ঞা কর” গানটি বন্ধুত্বের চিরন্তন প্রতীক হয়ে থেকে গেছে।


আজ সুমন কল্যাণপুর নব্বই ছুঁই ছুঁই।

তবে এত অবহেলা সত্ত্বেও জীবনের প্রতি তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। মেয়ে চারুল অগ্নি আমেরিকাবাসী হলেও তাঁর নাতনি ভারতে এসে সুমনের নামে একটি এনজিও খুলেছেন।


সঙ্গীতের বাইরে সুমন কল্যাণপুর চিত্রাঙ্কন, বাগান করা, বুনন ও রান্নায় আগ্রহী। তিনি বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাঁর সুরেলা কণ্ঠের মাধ্যমে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন।


তাঁর সঙ্গীত জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০০৯ সালে মহারাষ্ট্র সরকারের লতা মঙ্গেশকর পুরস্কার, ২০১৫ সালে গদিমা পুরস্কার এবং ২০২২ সালে মির্চি মিউজিক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে।


সুমন কল্যাণপুরের সঙ্গীত জগতের অবদান ও তাঁর সুমধুর কণ্ঠস্বর সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। সারাটা জীবন তিনি নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তবুও শ্রোতাদের বিভ্রান্তি যেন তাঁকে চিরকাল একপ্রকার ব্রাত্য করেই রেখেছে বলা যায়।


তাঁর গাওয়া সেই গানগুলোই যেন তাঁর জীবনের গল্প বলে—

“আমার স্বপ্ন দেখা দুটি নয়ন

হারিয়ে গেল কোথায় কখন,

কেউ তা জানে না।”

______________________

লেখক: ©️ কিছু কথা ॥ কিছু সুর।

তথ্য সংগ্রহ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার: The Wall (শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়), Bharat Discovery, Biography pot, Kafal Tree, Saregama, Gaane Sune Ansune.

______________________________________

এই লেখা, অথবা লেখা থেকে কোনো অংশ নিলে লেখকের নামসহ তথ্যসূত্র উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।

মৃণালিনী দেবী মৃত্যুর আগে কবিগুরুকে একটি গান শোনাতে বলেছিলেন। 

 মৃণালিনী দেবী মৃত্যুর আগে কবিগুরুকে একটি গান শোনাতে বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এতদিন কবি রবীন্দ্রনাথকে সবাই চেয়েছে, শুধু আমি বাদে। আমি শুধু মানুষ রবীন্দ্রনাথকে চেয়েছিলাম।


নদীর যেমন সাগর, পাখির যেমন আকাশ, আমারও তেমনি রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু আজ বড় বেশী করে আমার কবি রবীন্দ্রনাথকে দেখতে ইচ্ছা করছে। বিশেষত সেই গানটি আমার বিশেষ করে মনে পড়ছে। আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসারে/পরাণসখা বন্ধু হে আমার।


 বলতে বলতে মৃণালিনী দেবীর চোখ দুটি সহসা গভীর ঘুমে ছেয়ে গেল। বললেন আমি এবার ঘুমাবো। এবার এই ঝড়েররাতে আমায় গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও। আর রবীন্দ্রনাথ তখন সংজ্ঞাহীন, বেহুঁস অথবা খেপা, বাতুল, বাউরার মতো গেয়ে চলেছেন,

   “আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসারপরানসখা বন্ধু হে আমার। আকাশ কাঁদে হতাশ-সম, নাই যে ঘুম নয়নে মম- দুয়ার খুলি হে প্রিয়তম, চাই যে বারে বার।”


গান শেষ হতেই মৃণালিনীর নাম ধরে ডেকে উঠলেন কবি। ততক্ষণে তিনি নেই। নীরব। ডাকলেন, ছোটোবউ। তিনি নীরব। এবং অবশেষে এক নিবিড় ও অন্তরঙ্গ নাম ধরে ডেকে উঠলেন তিনি।


ডাকলেন, ছুটি। একমাত্র রবি ঠাকুর ওনাকে এই নামে ডাকতেন। ছুটি তখন সারাজীবনের জন্য ছুটি পেয়ে গেছেন।


সংগৃহীত

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর' সত্যজিৎ রায়ের খাতায় "একটি শিশিরবিন্দু" কবিতাটা লিখে দিয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায় তখন ছোট, মায়ের হাত ধরে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ কে দেখতে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য হাতে করে একটা খাতা নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে গুরুদেবের সাথে দেখা হলে সত্যজিৎ রায়কে গুরুদেব বলেন খাতাটা আমার কাছে থাক, তুমি এই  শান্তিনিকেতনের চারিপাশ ঘুরে দেখো। পরে ঘুরে এসে দেখেন স্বাক্ষরের পাশাপাশি গুরুদেব এই "একটি শিশির বিন্দু" কবিতাটি লিখে দিয়েছেন। আসলেই রবীন্দ্রনাথ প্রথম সত্যজিৎ রায়কে দেখে চিনতে পেরেছিলেন। এই ছেলে একদিন বাংলার নক্ষত্র হবে। আসলেই তিনি ঋষি কবি তো, এই জন্যই দূর দৃষ্টি সম্পন্ন 

মানুষ ছিলেন। 


বহু দিন ধ'রে বহু ক্রোশ দূরে

বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে

দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,

দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।


দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া

ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

একটি ধানের শিষের উপরে

একটি শিশিরবিন্দু।


" তুমি একটু বোসো তো, আমি  চরিত্রটা বানিয়ে ফেলি।" - সত্যজিৎ রায়।


#বাঙালী  


রাজেশ কবিরাজ

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

অনন্য অসাধারণ এক মায়ের গল্প : """"""""""

 অনন্য অসাধারণ এক মায়ের গল্প :

""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

আমার মা। সত্তরের দশকে পিএইচডি করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় Imperial College London থেকে, কঠিন পদার্থবিজ্ঞানের ততোধিক কঠিন শাখা Theoretical Physics-এ।


*


ম্যাট্রিকে গণিতে সেরা নাম্বার পেয়ে স্ট্যান্ড করেছেন, ইন্টারমিডিয়েটে সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন। পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সেরা ফলাফল করে মেরিট স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যে পিএইচডি করতে গেছেন। সেখানে অত্যন্ত গণিত-ঘন পিএইচডি-প্রস্তুতি পরীক্ষায় বাঘা বাঘা ছাত্রদেরকে পেছনে ফেলে ক্লাস-টপার হয়েছেন। পিএইচডি করেছেন P T Matthews (অতি-পরিচিত কোয়ান্টাম মেকানিক্স পাঠ্য-বইয়ের লেখক) এর তত্ত্বাবধানে। দেশে ফিরে alma mater রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। ভালো শিক্ষক ও তেজস্বী মহিলা হিসেবে তাঁর ছাত্ররা এখনও তাঁকে স্মরণ করে।


*


অতঃপর এক সময় আমি হলাম। কন্যাকে ঘিরে আমার মায়ের জীবনের আবর্তন শুরু হলো। সদা সতর্ক, যত্নশীল মা হিসেবে তাঁর জীবনের এক নতুন অধ্যায়। আমি বড় হতে হতে ছোট্ট একটি বোন হলো আমার। আমরা দুই বোন ছিলাম আম্মার জগৎ।


*


বিয়ের আগে আম্মা কোন রান্নাই জানতেন না। বিয়ের পর একদম নিজে নিজে শেখার শুরু (তখন তো আর ইউটিউব ছিল না!)। গণিতে দীপ্ত মাথার সাথে এবার যুক্ত হলো রান্নার আর্টে সুনিপুণ, স্বশিক্ষিত হাত। অসাধারণ রাঁধুনি, রান্না করেছেন সব নিজস্ব রেসিপিতে, মানুষের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন। নতুন নতুন অজানা কত পদ খাইয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। সেই তিরিশ বছর আগে, জন্মদিনের কেইক নিজে আইসিং করতেন। সারাবছর আমরা বাড়িতে বানানো টমেটোর সস খেয়েছি। সাত থেকে দশ রকমের আচারের বয়াম রোদে দেয়া থাকতো বারান্দা জুড়ে। আর শিখিয়েছেন মানুষকে। যেখানেই থেকেছেন, চারপাশের অনেক নারী তাঁর কাছে বিবিধ রান্নার তালিম নিয়েছেন। টক-ঝাল-মিষ্টি, কোন কিছুই বাদ যায়নি। আম্মা বুঝিয়ে দিতেন খুব যত্ন করে, সমস্ত খুঁটিনাটি টিপসসহ। জাত-শিক্ষক!


*


ম্যাথমেটিক্যাল ব্রেইন সব জায়গায় তার ছাপ রেখেছে। নিত্য-নতুন, নিজস্ব কত ডিযাইনের যে জামা পরেছি দুই বোন! সব আম্মার বানানো। আমার বান্ধবীরা আজও উল্লেখ করে। উলের সেলাই, আক্ষরিকভাবেই শত শত! প্রতি বছর শীতে বসতো আম্মার উল বোনার হাট। আমরা দুই বোন ও তাঁর নাতনিরা তো বটেই, আত্মীয়-প্রতিবেশী-বন্ধু বাদ যায়নি। তাঁর শ্বশুরবাড়ির মানুষ থেকে শুরু করে আমার শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত। নিজস্ব ডিযাইনের প্রত্যেকটা হতো একেকটা মাস্টারপিস। আবার বই থেকে একটা ডিযাইন দেখে তারপর নিজের মাথায় হিসাবনিকাশ করে ভিন্নতা নিয়ে আসতেও বহুবার দেখেছি। আম্মার কাছ থেকে উলের সেলাই বুঝে নিয়েছেন কতজন!


*


নানারকম চুলের স্টাইল করতে জানতেন। আমার বিয়ের খোঁপা আম্মার হাতের।


*


সবচেয়ে বিস্ময়কর ছিল আম্মার একসাথে নানা কাজ সামাল দেয়ার দক্ষতা…. a true multitasking wonder! আমার বোনকে খাওয়াতে খাওয়াতে তাঁকে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের লেকচার তৈরি করতে দেখেছি। আমাদের সাথে টিভি দেখতে দেখতে জটিল উলের সোয়েটার বুনেছেন। রাত দুইটার সময় একশ চমচম বানিয়েছেন, পরেরদিন দাওয়াতের জন্য। আব্বা ও পারিবারিক বন্ধুদের সাথে বসে সমান দাপটে Scrabble খেলেছেন। দুই দানের মাঝে উঠে গিয়ে রান্না দেখে আসতেন।


*


শুক্রবারে জুম্মার নামাজের জন্য আব্বার পাঞ্জাবী ইস্ত্রি করছেন আম্মা, এই দৃশ্য চোখে ভাসে।


*


আমার মা। A complete woman!


✍️লেখকঃ Raihana Shams Islam


Alumni, University of Rajshahi, University of Cambridge


(সংগৃহীত)

5 সেকেন্ড রুল কি?

 কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না? অকারণে সময় নষ্ট হচ্ছে? তাহলে আজ থেকেই 5 সেকেন্ড রুল অনুসরণ করুন।


5 সেকেন্ড রুল কি?


কোনো কাজ শুরু করার আগে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আপনার কাছে মাত্র ৫ সেকেন্ড সময় থাকে! বাস্তবে আমাদের ব্রেন খুব কমফোর্টেবল জোনে থাকতে চায়। আমরা যাতে রিলাক্সে থাকি, আনন্দ ফুর্তি করি, তার জন্য ব্রেন আমাদের সারাক্ষণ প্ররোচিত করে। আমরা যখন বিশ্রাম করি, কিংবা যখনই মজার খাবার খাই বা ফানি ভিডিও দেখি, তখন ব্রেনে ডুপামিন নামক কেমিক্যাল রিলিজ হয়। ফলে আমাদের মধ্যে একটা আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি হয়।


এই অবস্থা থেকে বের হবার জন্য আপনার কিছুটা এক্টিভ এনার্জির প্রয়োজন হয়, যেটা আপনাকে তখনই কাজ শুরু করতে বাধ্য করবে। কিন্তু আপনার ব্রেন চায় না আপনি ওই এনার্জিটা খরচ করেন। তাই, কাজটি না করার জন্য  ব্রেন অসংখ্য অজুহাত তৈরি করে, কাজ করার সময় কি কি সমস্যা হতে পারে তা বড় করে দেখায়। তত্ত্বটি দিয়েছেন মার্কিন লেখক মেল রবিনস।


ব্রেনের এই অজুহাত বন্ধ করার জন্য ৫ সেকেন্ডের জন্য সচেতন হয়ে যান। নিজেকে বলুন, "ইয়েস, এক্ষুণি এই মুহূর্তে আমি এটা করবো।" কোনো কাজ যদি ৫ সেকেন্ডের মধ্যে শুরু না করেন, তাহলে আপনার ব্রেন আপনার সাথে ট্রিকস্ খেলতে শুরু করবে। আপনার মনে হবে, ঠিক আছে, আর দশ মিনিট যাক, সময় তো আর চলে যাচ্ছে না! এতে দেখা যায় আপনি দশ মিনিটের বদলে এক ঘন্টা সময় পার করে দিয়েছেন, কিন্তু কাজ শুরু করতে পারেননি। ধরুন, আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ থেকে প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে হাঁটবেন। ভোরে যখন আপনার ঘুম ভাঙল আপনি ভাবলেন, একটু পরেই না হয় বের হই, সকালে না হেঁটে বিকেলে হাঁটলেও তো অসুবিধা নেই! আমি নিশ্চিত থাকুন, বিকেলেও আপনার ব্রেন কোনো না কোনো অজুহাত তৈরি করবেই। এর থেকে মুক্তির সহজ উপায় হচ্ছে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে হাঁটতে বেরিয়ে যাওয়া।


সারাদিনে আপনার সামনে এরকম অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে এক্টিভ এনার্জি প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়ে। সেজন্য কোনো কাজ করতে সিদ্ধান্ত নেবার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে কাজটি শুরু করে দিন। যদি আপনি এটা বার বার করতে থাকেন, তখন এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে। ভুলবেন না, আপনার সাফল্য অর্জনের পথে অলসতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বাধা।

রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫

বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছিোলো ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি,,,,ৈফেইসবু থেকে নেওয়া ক

 হাজার বছর আগে বাঙ্গালি জাতির মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে কেড়ে নিয়েছিলো দক্ষিণ ভারত থেকে আগত সেন রাজারা। সেন রাজাদের হিন্দু পণ্ডিতরা ফতওয়া জারি করেছিলো, “যারা বাংলা ভাষা বলবে ও শুনবে তারা ‘রৌরব’ নামক নরকে যাবে।” ঐ সময় তুর্কি বংশোদ্ভূত ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজী নির্যাতিত বাঙালীদের মুক্ত করতে এগিয়ে আসেন এবং ১২০৪ সালে মাত্র ১৮ জন ঘোড়সওয়ারী নিয়ে সেন রাজাকে পরাজিত করে বাংলাকে স্বাধীন করেন। বক্তারা বলেন, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলাজীর বাংলা বিজয়ের মাধ্যম দিয়ে সেইদিন শুধু ভূমির বিজয় হয়নি, সাথে মুক্ত হয়েছিলো বাঙ্গালীদের মুখের ভাষা ‘বাংলা’।


ভাষাবিদ দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, “মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের জন্মদাতা বললে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গ-ভাষা বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা।” অধ্যাপক ও গবেষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “যদি বাংলায় মুসলিম বিজয় ত্বরান্বিত না হতো এবং এদেশে আরো কয়েক শতকের জন্য পূ্র্বের শাসন অব্যাহত থাকতো, তবে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং অবহেলিত ও বিস্মৃত-প্রায় হয়ে অতীতের গর্ভে নিমজ্জিত হতো।”


মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষার যে সাহিত্য চর্চা শুরু হয়, তার মাধ্যমে বাংলা ভাষা একটি পরিপূর্ণ ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করে।


বাংলা ভাষাকে কলুষিত করার চেষ্টা পরবর্তীতে যুগে যুগে আরো হয়। ১৮শ’ সনে ব্রিটিশরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে বাংলা ভাষার আরবী ও ফারসী শব্দ বাদ দিয়ে সংস্কৃত শব্দ প্রবেশের উদ্দেশ্যে সাহিত্য চর্চা শুরু করে। তারা দেখাতে চায়, “বাংলা ভাষার সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই”।


মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রচার করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফ অনুবাদ নাকি গিরিশ চন্দ্র সেন করেছে। অথচ ১৮৮৬ সালে গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদের বহু পূর্বে ১৮০৮ সালে বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া। এরপর ১৮৩৬ সনে মৌলভী নাঈমুদ্দীন পূর্ণাঙ্গ কুরআন মাজীদের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন। অথচ এ ইতিহাস প্রচার করা হয় না।

©

আফ্রিকান ব্ল্যাকউড (African Blackwood) বা Dalbergia melanoxylon হলো এক ধরনের অত্যন্ত কঠিন ও মূল্যবান কাঠ

 আফ্রিকান ব্ল্যাকউড (African Blackwood) বা Dalbergia melanoxylon হলো এক ধরনের অত্যন্ত কঠিন ও মূল্যবান কাঠ, যা মূলত পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে (তানজানিয়া, মোজাম্বিক, কেনিয়া) পাওয়া যায়।


আফ্রিকান ব্ল্যাকউডের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার:


অত্যন্ত ঘন ও কঠিন কাঠ – এটি বিশ্বের অন্যতম কঠিন কাঠগুলোর মধ্যে একটি, যার ঘনত্ব খুব বেশি এবং এটি সহজে ফাটে না।


গাঢ় কালো রঙ – সাধারণত এটি গভীর কালো বা গাঢ় বেগুনি রঙের হয়, যা একে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।


বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় – আফ্রিকান ব্ল্যাকউড মূলত উচ্চমানের বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যেমন—ক্লারিনেট, ওবো, ফ্লুট, এবং ব্যাগপাইপ।


আসবাব ও অলঙ্কার শিল্প – মূল্যবান আসবাবপত্র, ছুরি বা তরবারির হাতল, এবং কারুশিল্পের বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।


বিরল ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা – অতিরিক্ত কাটার কারণে এই গাছটি বর্তমানে হুমকির মুখে, তাই বিভিন্ন সংস্থা এর সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।


এটি এতই ঘন ও শক্ত যে, কাঠ কাটার জন্য বিশেষ ধরনের যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়, এবং এটি কাঠের বদলে প্রায় ধাতুর মতো আচরণ করে।


#collected

দম্পতিদের জন্য ২৪টি মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়ম

 দম্পতিদের জন্য ২৪টি মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়ম


০১/আপনার সঙ্গীর সঙ্গে থাকাকালীন ফোন সাইলেন্ট বা বন্ধ রাখার অভ্যাস করবেন না। এটি আপনার গোপন কিছু লুকানোর ইঙ্গিত দিতে পারে।


০২/আপনার সঙ্গীর নম্বরটি ভালোবাসার বিশেষ নামে সংরক্ষণ করুন, যেমন— "স্বামী", "প্রিয়া", "ভালবাসা" ইত্যাদি। শুধু অফিসিয়াল নামে সংরক্ষণ করলে তা অন্য সাধারণ নম্বরের মতো মনে হতে পারে।


০৩/সঙ্গীর ফোন কলের উত্তর দিন স্নেহপূর্ণ শব্দ দিয়ে, যেমন— "হ্যালো ভালোবাসা", "হাই ডার্লিং" ইত্যাদি। যেভাবে কথোপকথন শুরু হয়, সেটাই তার গতিপথ নির্ধারণ করে।


০৪/কথা শেষ করুন ইতিবাচকভাবে। "আমি তোমাকে ভালোবাসি" বলুন, কোনো মজার কথা বলুন, প্রশংসা করুন, উষ্ণ শব্দ ব্যবহার করুন এবং হাসিমুখে কল শেষ করুন।


০৫/অনলাইনে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করা স্বাভাবিক, তবে কখনোই আপনার সঙ্গীর চেয়ে অন্য কারও সঙ্গে বেশি চ্যাট করবেন না।


০৬/ব্যস্ত থাকলে সঙ্গীকে আগেই জানান যে আপনি কল ধরতে বা মেসেজের উত্তর দিতে পারবেন না। কী করছেন এবং কতক্ষণ ব্যস্ত থাকবেন, সে সম্পর্কে ধারণা দিন যাতে আপনার সঙ্গী অবহেলিত অনুভব না করেন।


০৭/ফোনে ফ্লার্ট করুন, তবে শুধুমাত্র আপনার সঙ্গীর সঙ্গে।


০৮/যদি কেউ আপনাকে ফোনে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করে, স্পষ্ট জানিয়ে দিন যে আপনি সম্পর্কের মধ্যে আছেন।


০৯/একসঙ্গে অনেক ছবি ও ভিডিও তুলুন। ভবিষ্যতে ফিরে তাকালে এই মুহূর্তগুলো আপনাকে আনন্দ দেবে।


১০/যখন একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, ফোন কম ব্যবহার করুন যাতে সম্পর্কের প্রতি মনোযোগ দেওয়া যায়।


১১/ফোন ধরতে বারবার সঙ্গীর কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন না। এতে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। ভালোবাসা হলো বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা সম্পর্ক।


১২/ডেট শেষে যদি একসঙ্গে না থাকেন, তাহলে পুরুষ সঙ্গীকে ফোন করে জানাতে হবে যে তিনি নিরাপদে পৌঁছেছেন। আর নারী সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেসেজ পাঠাতে হবে।


১৩/যদি জরুরি না হয়, তাহলে সঙ্গীকে একাধিকবার কল বা মেসেজ করে বিরক্ত করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত চাপে ফেলে দিতে পারে।


১৪/সঙ্গীর মিসড কল বা মেসেজ দেখলেই দ্রুত উত্তর দিন, যাতে তিনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।


১৫/আপনার ফোন লক থাকলে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য সঙ্গীর নম্বরটি ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট হিসেবে সংরক্ষণ করুন।


১৬/ফোনে তর্ক বা ঝগড়া করবেন না। এতে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয় এবং সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুখোমুখি বসে সমাধান করুন।


১৭/সঙ্গীর ওপর রাগ করলে বা কষ্ট পেলে তার কল এড়িয়ে যাবেন না। বরং বলুন, "এখন কথা বলতে পারছি না", এতে সঙ্গী বুঝতে পারবেন।


১৮/যদি কোনো কারণে ফোন বন্ধ করতে হয়, তবে সঙ্গীকে আগে থেকে জানান, যাতে তিনি উদ্বিগ্ন না হন।


১৯/সম্পর্ক উদযাপনের জন্য অনলাইনে ছবি পোস্ট করা ভালো, তবে বেশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। কিছু বিষয় ব্যক্তিগত রাখাই ভালো।


২০/সঙ্গীর সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন না।


২১/আপনার সম্পর্কে নতুন কিছু জানার জন্য সঙ্গীকে সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যদের কাছ থেকে শোনার সুযোগ দেবেন না। আগে সঙ্গীকে জানান, তারপর চাইলে অনলাইনে শেয়ার করুন।


২২/যদি কল রিসিভ না করতে পারেন এবং পরে সঙ্গী জানতে চান, তবে ব্যাখ্যা দিন কার সঙ্গে কথা বলছিলেন। স্বচ্ছতা বিশ্বাস বাড়ায়।


২৩/সম্পর্কের ক্ষেত্রে যোগাযোগ দুই পক্ষেরই দায়িত্ব। কেউ যেন মনে না করে যে শুধু সে-ই চেষ্টা করছে।


২৪/যখন সঙ্গী আপনার পূর্ণ মনোযোগ চান, বিশেষত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে, তখন ফোন দূরে রাখুন। ফোনের চেয়ে সঙ্গীকে বেশি সময় দিন।


স্মরণ রাখুন:


ফোনের ব্যবহার সম্পর্ককে ইতিবাচক বা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই বুদ্ধিমানের মতো স্মার্টফোন ব্যবহার করুন। সম্পর্ককে সুখী ও সুস্থ রাখতে এগুলো অনুসরণ করুন!

সুপারি মানব দেহের জ

 💊সুপারি মানব দেহের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর? কেন সুপারি বর্জন করবেন?


সুপারি আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পানের সাথেই গ্রহণ করা হয়। অতিথি পরায়ন বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ পান-সুপারি। কিন্তু অনেকে নেশা হিসেবেও সুপারি ব্যবহার করে। 

ভারত, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ সুপারি উৎপাদনকারী দেশ। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে সুপারি কোনোভাবে স্বাস্থ্য সম্মত নয় বরং তা মানব দেহের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকগণ সতর্ক করেছেন।

 সুতরাং সুপারি খাওয়া, চাষাবাদ, বিপণন ও ব্যবসা সম্পূর্ণ বর্জন করা উচিৎ। 

আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।


❑ সুপারি খাওয়ার লাভ-ক্ষতি বিষয়ে লিখেছেন, প্রফেসর কর্নেল ডঃ জেহাদ খান

[হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা হাসপাতাল-ঢাকা]


এ বিষয়ে তার লিখিত আর্টিকেল থেকে অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো:


আমাদের দেশে কটি বিয়ের অনুষ্ঠানও অনেক সময় যেন অর্থহীন হয়ে যায় যদি ভূরিভোজনের পর সেখানে পান সুপারির আয়োজন না থাকে।


পান সুপারি খেলে শরীর কিছুটা গরম হয়, কর্মদক্ষতা ও মনের সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। যেমন- একজন ড্রাইভার গাড়ি চালানোর সময় ঘুম পেলে গাড়ি থামিয়ে একটি পান খেয়ে নেন, তাতে তার ঘুম চলে যায়।


পান সুপারি ও রকমারি জর্দার গুণাগুণ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নানা রকম প্রচারণা করে থাকে। এমনকি কোনো কোনো প্রখ্যাত আলেমও এগুলোর মধ্যে অনেক উপকারিতা খুঁজে পেয়েছেন (বেহেশতি জেওর, নবম খণ্ড)। হিন্দু ধর্মের ও বৌদ্ধ ধর্মের কোনো কোনো শাখার কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পান সুপারির ব্যবহার অপরিহার্য বিবেচনা করা হয়। পান সুপারি সহজলভ্য ও সস্তা। এর ব্যবহারও ব্যাপক। কোনো বৃদ্ধ লোকের দাঁত নড়বড়ে হলে বা না থাকলে পান সুপারিকে হামান দিস্তা দিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবুও পান তার খাওয়া চাই। আমার এক আত্মীয়া প্রায় প্রতি ঘণ্টায় পান খান।

কয়েকজন রোগীর সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, তারা সিগারেট ছাড়তে সক্ষম হয়েছেন, কিন্তু পানের নেশা ছাড়তে পারেননি।


পান সুপারির উপকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক কোনো গবেষণা হয়নি। এর অপকারিতার ওপর অনেক গবেষণা হয়েছে। পানের সাথে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে সুপারি, চুন, খয়ের, জর্দা, লবঙ্গ প্রভৃতি। এসব উপাদানের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।


 ✪ সুপারিতে অ্যারেকোলিন (Arecoline), অ্যারেকাইডিন (Arecaidine), গাভাকাইনসহ (Gavacaine) বেশ কিছু ক্ষারজাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে।


 ✪ সুপারিতে অ্যাডরেনালিন আছে। ফলে নিয়মিত ও অতিরিক্ত সুপারি ব্যবহার করলে উচ্চ রক্তচাপ, বুক ধড়ফড় করা, ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া, হাঁপানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং হৃদরোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। 


 ✪ আসলে সুপারি প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। লিভার ইনজুরি, কিডনি রোগ, বিপিএইচ, ইনফার্টিলিটি, হাইপারলিপিডোমিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাওয়া, দাঁতের মাড়ি ক্ষয় ও দাঁত পড়ে যাওয়া ইত্যাদির সাথে সুপারি জড়িত। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে অকালে সন্তান প্রসব (Preterm birth), শিশুর ওজন ও উচ্চতা কম হতে পারে। 


 ✪ সুপারির সাথে মেটাবলিক সিন্ড্রোম ও Obesity বা স্থূলতা জড়িত। 

সুপারির সাথে ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। 


 ✪ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিকে কারসিনোজেন (ক্যান্সারের উপাদান) হিসেবে উল্লেখ করেছে। 


 ✪ আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (IARC) সুপারিকে ১৯৮৫ সাল থেকে ‘কারসিনোজেন’ হিসেবে গণ্য করে আসছে। 


 ✪ ২০০৯ সালে ৩০ জন বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থায় নিশ্চিত করেছেন, সুপারিতে ক্যান্সার জীবাণু রয়েছে। 


পৃথিবীর যেসব এলাকায় সুপারি ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি। এ অঞ্চলে এক লাখ লোকের মধ্যে ২০ জনের এবং সব ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে শতকরা ৩০ জনের শুধু মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার হয়ে থাকে। আমারই পরিচিত তিনজন আলেম ছিলেন যারা প্রচুর পান-সুপারি খেতেন এবং তারা মুখের ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেছেন। 


 ✪ যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি (CDC) নির্ভরযোগ্য, গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে ক্যান্সার।


 ✪ সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, সুপারির সাথে Oral submucous fibrosis, মুখের ক্যান্সার, নেশা (Addiction), প্রজনন সমস্যা প্রভৃতি জড়িত। 


 ✪ যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এফডিএ (ঋউঅ), সুপারিকে বিষাক্ত গাছের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সুপারিকে চিবানো বা খাওয়ার জন্য নিরাপদ মনে করে না।


লেখক:

কর্নেল অব. অধ্যাপক ডা. জেহাদ খান

এমডি, এমসিপিএস, এফসিপিএস

এফআরসিপি (গ্ল্যাসগো, এফএসিসি (ইউএসএ)

পােস্ট ফেলোশিপ ট্রেনিং ইন কার্ডিওলজি (জার্মান ও ইন্ডিয়া)

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিওলজিস্ট এক্স ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট, সিএমএইচ, ঢাকা। 

[উৎস: medivoicebd-সংক্ষেপায়িত)


❑ এ ব্যাপারে উন্মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে:


◆ “সুপারি একটি ক্ষতিকর ও নেশা উদ্রেককারী দ্রব্য। কিছু লোক শুধু সুপারি কুচি খেয়ে নেশা করে।”


◆ কাচা সুপারি খেলে অনেক সময় মাথা ঘোরে।


◆ কাচা সুপারিতে ০.১-০.৫/ অ্যালকালয়েড থাকে, যার কারণে মাথা ঘোরে।


◆ প্রতি ১০০ গ্রাম সুপারিতে আছে ২৮৯ ক্যালরি শক্তি যোগানোর ক্ষমতা।


◆ 'আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা এজেন্সী'র মতে, সুপারি এক ধরনের কার্সিনোজেন (বিষ), যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।


◆ সুপারিসহ পান খেলে মুখের ক্যন্সার হতে পারে।


◆ ক্রিমি, রক্ত আমাশয়, অজীর্ণ ইত্যাদি রোগ নিরাময়েও সুপারি উপকারী।


◆ এর রসে এরিকোলিন ইত্যাদি উপবিষ ভারত উপমহাদেশে মুখের ক্যান্সারের একটি অন্যতম কারণ।


◆ কাঁচা সুপারি চিবালে শরীরে গরম অনুভূত হয়, এমনকি শরীর ঘামিয়ে যেতে পারে।


◆ সুপারি খেলে তাৎক্ষণিক যেসব সমস্যা দেখা যায় সেগুলো হল-হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে ও হাইপারটেনশন বা রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।


❑ dhakatribune লিখেছে, ক্যান্সার থেকে বাঁচতে পান-সুপাড়িকে না বলুন। ক্যান্সার গবেষণায় আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসি-এর মতে, যারা পানের সাথে তামাকজাতীয় দ্রব্যাদি গ্রহণ করেন তাদের সাধারণের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ওরাল ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

[dhakatribune]


সংকলক:

 আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি।


#mohammodali

Lপৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি: ‘Bliss’

 📸 পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি: ‘Bliss’✨


কম্পিউটার স্ক্রিন খুললেই একসময় চোখে পড়ত সেই চিরচেনা ছবিটি—এক টুকরো শান্ত সবুজ পাহাড় আর নির্মল নীল আকাশ। এই ছবিটি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। উইন্ডোজ এক্সপি-র ডিফল্ট ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহৃত এই ছবি ‘Bliss’ কে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দেখা ছবি বলে মনে করা হয়।  

 ছবির পেছনের গল্প:১৯৯৬ সালের একটি সাদামাটা দিন। মার্কিন ফটোগ্রাফার চার্লস ও'রিয়ার ক্যালিফোর্নিয়ার নাপা ভ্যালি এবং সোনোমা কাউন্টি এলাকায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই তার চোখে পড়ে একটি অসাধারণ দৃশ্য—মেঘহীন নীল আকাশ, উজ্জ্বল সূর্যের আলোয় ঝলমলে সবুজ ঘাসে ঢাকা পাহাড়। দৃশ্যটি এতটাই মোহনীয় ছিল যে চার্লস আর স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি তার Mamiya RZ67 ফিল্ম ক্যামেরা হাতে তুলে নিলেন এবং ক্যামেরার লেন্সে বন্দি করলেন এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।  চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, ছবিটিতে কোনো এডিটিং বা ফটোশপের ছোঁয়া ছিল না। এটি ছিল প্রকৃতির খাঁটি সৌন্দর্যের একটি অবিচ্ছেদ্য মুহূর্ত।  

 ছবির সফর: ওয়েস্টলাইট থেকে মাইক্রোসফট

ছবি তোলার পর চার্লস এটি জমা দেন স্টক ফটো এজেন্সি Westlight-এ। বছর দুয়েক পরে, ১৯৯৮ সালে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এক্সপির জন্য নিখুঁত ওয়ালপেপারের সন্ধান করছিল। এই ছবিটি তখন তাদের নজরে আসে।  শোনা যায়, মাইক্রোসফট ছবিটির স্বত্ব কিনতে ১ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করেছিল। যদিও প্রকৃত লেনদেনের অঙ্ক কখনও প্রকাশ্যে আসেনি।  বিল গেটস এবং তার টিম এই ছবিটিকে উইন্ডোজ এক্সপির ডিফল্ট ওয়ালপেপার হিসেবে নির্বাচিত করেন। পরবর্তী সময়ে এটি শুধু একটি কম্পিউটার ব্যাকগ্রাউন্ড নয়, বরং ডিজিটাল যুগের অন্যতম প্রতীক হয়ে ওঠে। উইন্ডোজ এক্সপি ছিল মাইক্রোসফটের অন্যতম সফল অপারেটিং সিস্টেম। আনুমানিক ১০০ কোটিরও বেশি ডিভাইসে এই ছবি দেখা গেছে।  

 চার্লস ও'রিয়ার এই ছবির পর ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি কখনও ভাবিনি যে এই ছবি পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি হয়ে উঠবে। এটি যেন এক অলৌকিক মুহূর্ত ছিল।" ‘Bliss’ শুধুমাত্র একটি ছবি নয়, এটি প্রযুক্তি, প্রকৃতি এবং স্মৃতির মেলবন্ধন। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কখনও কখনও সবচেয়ে সাধারণ মুহূর্তও হয়ে উঠতে পারে ইতিহাসের অংশ।  

আজও, যখন কেউ ‘Bliss’-এর দিকে তাকায়, মনে হয় যেন আমরা এক ঝলক নির্মল প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে আছি—যেখানে নেই কোনো ব্যস্ততা, নেই কোনো শব্দদূষণ।  🌿🌤️

স্ত্রীর সঙ্গে যে ১২ বিষয় কখনো শেয়ার করবেন না 🚫🚫

 স্ত্রীর সঙ্গে যে ১২ বিষয় কখনো শেয়ার করবেন না 🚫🚫

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গভীর বন্ধুত্বের মতো হলেও কিছু বিষয় আছে, যা সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করলে তা সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এখানে এমন অন্তত ১২টি বিষয় তুলে ধরা হলো, যা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো:


১. আত্মীয়দের গোপন সমস্যা: আপনার আত্মীয়দের কোনো গোপন সমস্যা, যা আপনি জানেন। তাদের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা উচিত নয়।


২. আগের সম্পর্কের কথা: আপনার অতীতের প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করলে তা বর্তমান সম্পর্কে অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।


৩. বন্ধু বা সহকর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য: অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় আপনার স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনারও সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।


৪. অফিসের গোপন তথ্য: আপনার কাজের গোপন কৌশল বা তথ্য শেয়ার করলে তা পেশাগতভাবে সমস্যার কারণ হতে পারে।


৫. অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা: তার (স্ত্রী) পরিবারের, বন্ধুবান্ধবের বা পছন্দের কোনো বিষয়ের অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।


৬. আর্থিক সমস্যা বা ঋণের অবস্থা: আপনার আর্থিক সমস্যা বা ঋণ সম্পর্কিত জটিলতা তাকে অযথা মানসিক চাপ দিতে পারে। তবে কোনো বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গীকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।


৭. অন্য নারীর প্রশংসা: কোনো নারী সহকর্মী বা বন্ধুর অতিরিক্ত প্রশংসা করলে তা ঈর্ষা বা অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।


৮. তার শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা: তার কোনো শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতার কথা সামনে তুলে আনলে তা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।


৯. তার পেশাগত দক্ষতার বিষয়: তার ক্যারিয়ার বা পেশাগত দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা সম্পর্কের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।


১০. গোপন পরিকল্পনা: আপনার গোপন সঞ্চয় বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, যা তাকে জানানো হলে ভুল–বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে।


১১. যৌন জীবন সম্পর্কে: যৌন জীবন নিয়ে অতিরিক্ত বিস্তারিত আলোচনা করা সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।


১২. অতীতের গোপন ক্ষোভ: কোনো পুরনো ক্ষোভ বা কষ্ট স্ত্রীর কাছে বলা সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...