এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৭-০৩-২০২৫ 

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৭-০৩-২০২৫ 


আজকের সংবাদ শিরোনাম


গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত।


জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা।


চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস --- আজ বোয়াও সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা।


পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ --- যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে  সারাদেশে পালিত হবে এ রাত।  


ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুততর সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।


একাত্তর আর চব্বিশ ভিন্ন নয়, বরং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে --- মন্তব্য এনসিপি আহ্বায়কের।


এবং যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ির ওপর নতুন কোরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা।

সালাতে রফউল ইয়াদাইন বা দু হাত উত্তোলন কখন কিভাবে করতে হয় এবং এ সম্পর্কে ১০টি হাদীস"

 "সালাতে রফউল ইয়াদাইন বা দু হাত উত্তোলন কখন কিভাবে করতে হয় এবং এ সম্পর্কে ১০টি হাদীস"

➖➖➖➖➖➖➖➖➖


সহীহ বুখারীর সালাত অধ্যায় সহ আরও বহু হাদীসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের ৪টি স্থানে রাফউল ইয়াদাইন বা দু হাত তোলার কথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সে স্থানগুলো হল:⤵️


১. তাকবীরে তাহরীমার সময়, 

২. রুকুতে যাওয়ার সময়,

৩. রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবার সময় এবং

৪. তৃতীয় রাকায়াতে দাঁড়িয়ে বুকে হাত বাঁধার সময় ।


যারা আমল করবে তারা সুন্নাহ বাস্তবায়ন করার কারণে সওয়াবের অধিকারী হবে। কেউ না আমল করলেও তার নামায শুদ্ধ হবে কিন্তু সুন্নাহ বাস্তবায়নের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে।


■■উক্ত স্থানগুলোতে রফউল ইয়াদাইন বা দু হাত উত্তোলন প্রসঙ্গে নিচে ১০টি হাদীস পেশ করা হল⤵️


✔১)আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যখন স্বলাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তার কাঁধ বরাবর উঠাতেন । আর যখন রুকুতে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দু’হাত উঠাতেন এবং সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ বলতেন । কিন্তু সিজদাহর সময় এমন করতেন না । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৩ অধ্যায়: স্বলাত শুরু করার সময় প্রথম তাকবীরের সাথে সাথে উভয় হাত উঠানো, হাদীস নং-৭৩৫ ।(তাও:পাব:)


✔২)আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে দেখেছি, তিনি যখন স্বলাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন এবং যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরকম করতেন । আবার যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরকম করতেন এবং সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন । তবে সিজদাহর সময় এরকম করতেন না । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৪ অধ্যায়: তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু হতে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো । 

হাদীস নং-৭৩৬ ।(তাও:পাব:)


✔৩)আবু কিলাবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রাঃ) কে দেখেছেন, তিনি যখন স্বলাত আদায় করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তার দুহাত উঠাতেন আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করতেন তখনও তার উভয় হাত উঠাতেন, আবার যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও তার উভয় হাত উঠাতেন এবং তিনি বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রসূল (সাঃ) এরুপ করেছেন। সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৪ অধ্যায়: তাকবীরে তাহরীমা, রুকুতে যাওয়া এবং রুকু হতে উঠার সময় উভয় হাত উঠানো । হাদীস নং-৭৩৭ ।(তাও:পাব:)


✔৪)আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ) কে তাকবীর দিয়ে স্বলাত শুরু করতে দেখেছি, তিনি যখন তাকবীর বলতেন তখন তার উভয় হাত উঠাতেন এবং কাঁধ বরাবর করতেন । আর যখন রুকুর তাকবীর বলতেন তখনও এরকম করতেন । আবার যখন সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন, তখনও এরকম করতেন এবং রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ বলতেন । কিন্তু সিজদাহয় যেতে এরকম করতেন না । আর সাজদা হতে মাথা উঠাবার সময়ও এমন করতেন না । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৫ অধ্যায়: উভয় হাত কতটুকু উঠাবে । হাদীস নং-৭৩৮ ।(তাও:পাব:)


✔৫)নাফি (রাহঃ) হতে বর্ণিত যে, ইবনু উমার (রাঃ) যখন স্বলাত শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং দু’হাত উঠাতেন আর যখন রুকু করতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন । অতঃপর যখন সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ বলতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন এবং দু’রাকাত আদায়ের পর যখন দাঁড়াতেন তখনও দু’হাত উঠাতেন । এ সমস্ত আল্লাহর রাসূল (সাঃ) হতে বর্ণিত বলে ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন । এ হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালাম ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন । ইবনু তাহমান আইয়্যুব ও মুসা ইবনু উকবাহ (রাঃ) হতে এ হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন । সহীহুল বুখারী, পর্ব: আযান, ১০/৮৬ অধ্যায়: দু’রাকাআত আদায় করে দাঁড়াবার সময় দু’হাত উঠানো। হাদীস নং-৭৩৯ ।(তাও:পাব:)


✔৬)সালিম এর পিতা ইবনে উমার (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছি, তিনি যখন স্বালাত আরম্ভ করতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন। এমনকি তা একেবারে তার উভয় কান বরাবর হয়ে যেত। আর রুকু করার পূর্বে এবং যখন রুকু থেকে উঠতেন (তখনও অনুরুপভাবে হাত উঠাতেন)। কিন্তু উভয় সিজদার মাঝখানে তিনি হাত উঠাতেন না। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৪৭ ।(ই.ফা.বা)


✔৭)ইবনে উমার (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন স্বালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত উঠাতেন। এমনকি তা তার উভয় কাঁধ বরাবর হয়ে যেত। তারপর তাকবীর বলতেন। পরে যখন রুকু করার ইরাদা করতেন তখনও অনুরুপ করতেন। আবার রুকু থেকে যখন উঠতেন তখনও অনুরুপ করতেন। কিন্তু সিজদা থেকে তখন মাথা তুলতেন তখন এরুপ করতেন না। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৪৮ ।(ই.ফা.বা)


✔৮)আবু কিলাবা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাদ্বিঃ) কে দেখলেন, যখন স্বালাত আদায় করতে দাঁড়ালেন, তখন তাকবীর বলে উভয় হাত উঠালেন। আর যখন রুকু করার ইচ্ছা করলেন তখন উভয় হাত উঠালেন। আর রুকু থেকে যখন মাথা উঠালেন তখন আবার হাত উঠালেন এবং (পরে) বর্ণনা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরুপ করতেন। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৫০ ।(ই.ফা.বা)


✔৯)মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকবীর (তাকবীরে তাহরীমা) বলে উভয় হাত কান বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকু করতেন তখনও কান বরাবর উভয় হাত উঠাতেন। আবার যখন রুকু থেকে মাথা তুলে ‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন তখনও অনুরুপ করতেন। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমা, রুকু এবং রুকু থেকে উঠার পর উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব; সিজদা থেকে উঠার পর এরুপ করতে হবে না। হাদীস নং-৭৫১ ।(ই.ফা.বা)


✔১০)ওয়াইল ইবনে হুজর (রাদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছেন যে, তিনি যখন স্বালাত শুরু করলেন তখন উভয় হাত উঠিয়ে তাকবীর বললেন। রাবী হাম্মাম বলেন, তিনি উভয় হাত কান বরাবর উঠালেন। তারপর কাপড়ে (গায়ের চাদরে) ঢেকে নিলেন। তারপর তার ডানহাত বামহাতের উপর রাখলেন। তারপর রুকু করার সময় তার উভয় হাত কাপড় থেকে বের করলেন। পড়ে উভয় হাত উঠালেন এবং তাকবীর বলে রুকুতে গেলেন। যখন ‘সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বললেন তখন উভয় হাত তুললেন। পরে উভয় হাতের মাঝখানে সিজদা করলেন। সহীহ মুসলিম, পরিচ্ছেদ: তাকবীরে তাহরীমার পর বুকের নিচে নাভির উপরে বাম হাতের উপরে ডান হাত রাখা এবং সিজদায় উভয় হাত মাটিতে কান বরাবর রাখা। 

হাদীস নং-৭৮১ ।(ই.ফা.বা)

আল্লাহু আলাম


------------------------

উত্তর প্রদানে:

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন  আব্দুল জলীল

দাঈ, জুবাইল, সৌদি আরব

@followers #চলমান_ধর্ম_বনাম_চূড়ান্ত_ধর্ম #hilights #islam #salah

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ২৬-০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৬-০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস --- গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি।


মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা।


চার দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


বাংলাদেশ রেলওয়েকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার --- জানালেন রেলওয়ে উপদেষ্টা।


ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুততর সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।


১৯৭১ এবং ২০২৪ ভিন্ন নয়, বরং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে --- মন্তব্য এনসিপি আহ্বায়কের।


গাজায় সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত।


এবং ওয়েলিংটনে পঞ্চম ও শেষ ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে  হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড।

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

দান-ছদকা:

 দান-ছদকা:

বেতন এর টাকাকে মাসের শেষ পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখার পরামর্শ- 


ঘটনাটি এক সৌদি-যুবকের। সে তার জীবনের প্রতি মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না। তার বেতন ছিল মাত্র চার হাজার রিয়াল। বিবাহিত হওয়ায় তার সাংসারিক খরচ বেতনের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। মাস শেষ হওয়ার আগেই তার বেতনের টাকা শেষ হয়ে যেত, তাই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে ঋণ নিতে হত। এভাবে সে আস্তে আস্তে ঋণের কাদায় ডুবে যাচ্ছিল। আর তার বেতনে এমন বিশ্বাস জন্ম নিচ্ছিল যে, তার জীবন এই অভাবেই কাটবে। অবশ্য তার স্ত্রী তার এ-অবস্থার প্রতি খেয়াল রাখত। কিন্তু ঋণের বোঝা এত ভারী হযেছিল, যেন নিশ্বাস নেওয়াও দুষ্কর।


একদিন সে তার বন্ধুদের এক মজলিসে গেল। সেদিন এমন একজন বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল, যে অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। যুবকের বক্তব্য এমন ছিল যে, আমার ওই বন্ধুর সকল পরামর্শকে আমি খুব গুরুত্ব দিতাম।


কথায় কথায় যুবক তার সকল অবস্থা বন্ধুকে বলল। বিশেষত আর্থিক সমস্যাটা তার সামনে তুলে ধরল। তার বন্ধু মনোযোগ সহকারে কথাগুলো শুনল এবং বলল, আমার পরামর্শ হল- তুমি তোমার বেতন থেকে কিছু টাকা ছদকার জন্য নির্ধারণ কর। যুবক আশ্চর্য হয়ে বলল, জনাব! সাংসারিক প্রয়োজন পুরনেই ঋণ নিতে হয়; আর আপনি আমাকে ছদকার জন্য টাকা নির্ধারণ করতে বলেছেন? 


যাইহোক, যুবক বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি স্ত্রীকে জানাল। তার স্ত্রী বলল, পরিক্ষা করতে সমস্যা কী? হতে পারে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য রিযিকের দরজা খুলে দিবেন। যুবক বেতনের চার হাজার রিয়াল থেকে ত্রিশ রিয়াল ছদকার জন্য নির্ধারণের ইচ্ছা করল এবং মাসশেষে তা আদায় করতে শুরু করল।


সুবহানাল্লাহ! কসম করে বললে মোটেও ভুল হবে না, তার (আর্থিক) অবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেল। সে তো সবসময় টাকা-পয়সার চিন্তা টেনশনেই পড়ে থাকত; আর এখন তার জীবন যেন ফুলের মতো হয়ে গেছে। এত ঋণ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে স্বাধীন মনে হত। মনের মধ্যে এমন এক অনাবিল শান্তি হচ্ছিল, যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।


কয়েক মাস পর থেকে সে নিজের জীবনকে সাজাতে শুরু করল। নিজের আয়কৃত টাকা কয়েক ভাগে ভাগ করল, আর তাতে এমন বরকত হল, যা পূর্বে কখনও হয়নি। সে হিসাব করে একটা আন্দাজ করল, কত দিনে ঋণের বোঝাটা মাথা থেকে নামাতে পারবে ইনশাআল্লাহ। 


কিছুদিন পর আল্লাহ তা’লা তার সামনে আরও একটি পথ খুলে দিলেন। সে তার এক বন্ধুর সাথে প্রপাটি-ডিলিং এর কাজে অংশ নিতে শুরু করে। সে বন্ধুকে গ্রাহক/ক্রেতা এনে দিত, তাতে ন্যায্য প্রফিট পেত।


আলহামদুলিল্লাহ! সে যখনই কোনো গ্রাহকের কাছে যেত, গ্রাহক অবশ্যই তাকে অন্য গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছনোর রাস্তা দেখিয়ে দিত। এখানেও সে ঐ আমলের পুনরাবৃত্তি করত। অর্থাৎ প্রফিটের টাকা হাতে আসলে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) অবশ্যই তা থেকে ছদকা নির্ধারণ করত।


আল্লাহর কসম! ‘ছদকা কী’ তা কেউ জানে না; ঐ ব্যক্তি ব্যতিত যে তা পরিক্ষা করেছে। ছদকা কর এবং ছবরের সাথে চল- আল্লাহর ফযলে খায়ের বরকত নাযিল হবে, যা নিজ চোখে দেখতে পাবে।


নোট:- যদি আপনি কোনো মুসলমানকে তার উপার্জনের একটি অংশ ছদকার জন্য নির্ধারণ করতে বলেন এবং এর উপর আমল করে, আপনিও ঐ পরিমাণ ছওয়াব পাবেন যে পরিমাণ ছদকাকারী পেয়েছে। আর ছদকাকারীর ছওয়াবে কোনো কমতি আসবে না।


আপনি দুনিয়া থেকে চলে যাবেন আর আপনার অবর্তমানে কেউ আপনার কারণে ছদকা করতে থাকবে। আপনি ছওয়াব পেতে থাকবেন।


যদি আপনি তালিবে ইলমও হন এবং আপনার আয় একেবারে সীমিত ও নির্ধরিতও হয়। তবুও কম-বেশি, যতদূর সম্ভব (সামান্য কিছু হলেও) ছদকার জন্য নির্ধারণ করুন।


যদি ছদকাকারী জানতে ও বুঝতে পারে যে, তার ছদকা ফকিরের হাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর হাতে যায়। তাহলে অবশ্যই ছদকা গ্রহণকারীর তুলনায় ছদকাদানকারী অনেক গুণ বেশি আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।


◾ছদকা দানের উপকারিতা:-


ছদকা দানকারী এবং যে তার কারণ হবে সেও এ সকল ফায়েদার অন্তর্ভুক্ত।


১. ছদকা জান্নাতের দরজাসমূহের একটি।

২. ছদকা আমলের মধ্যে উত্তম আমল।

৩. ছদকা কেয়ামতের দিন ছাঁয়া হবে এবং ছদকা-আদায়কারীকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করবে।

৪. ছদকা আল্লাহ তা‘লার ক্রোধকে ঠান্ডা করে এবং কবরের উত্তপ্ততায় শীতলতার উপকরণ হবে।

৫. মৃতব্যক্তির জন্য উত্তম বদলা এবং সবচে’ উপকারী বস্তু হল ছদকা। আর ছদকার ছওয়াবকে আল্লাহ তা‘আলা ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে থাকেন।

৬. ছদকা পবিত্রতার আসবাব, আত্মশুদ্ধির মাধ্যম ও সৎকাজের প্রবর্ধক।

৭. ছদকা কেয়ামতের দিন ছদকাকারীর চেহারার আনন্দ ও প্রফুল্লতার কারণ হবে।

৮. ছদকা কেয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় নিরাপত্তা হবে। অতীতের জন্য আফসোস করা থেকে বিরত রাখে।

৯. ছদকা গুনাহের ক্ষমা এবং খারাপ কাজের কাফফারা।

১০. ছদকা উত্তম মৃত্যুর সুসংবাদ এবং ফেরেস্তাদের দোয়ার কারণ।

১১. ছদকা দানকারী সর্বোত্তম বান্দাগণের অন্তর্ভুক্ত এবং ছদকার ছওয়াব প্রত্যেক ঐ ব্যক্তি পায় যে কোনো না কোনোভাবে অংশিদার হয়।

১২. ছদকা দানকারীর সঙ্গে সীমাহীন কল্যাণ ও বিরাট প্রতিদানের ওয়াদা রয়েছে।

১৩. খরচ করা মানুষকে মুত্তাকীদের কাতারে শামিল করে। ছদকাকারীকে সৃষ্টিকূল মুহাব্বত করে।

১৪. ছদকা দয়া-মায়া ও দানশীলতার আলামত।

১৫. ছদকা দোয়া কবুল এবং জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম।

১৬. ছদকা বালা-মসিবত দূর করে দুনিয়াতে সততরটা খারাপির দরজা বন্ধ করে।

১৭. ছদকা হায়াত ও মাল বৃদ্ধির মাধ্যম। সফলতা এবং রিজিকের প্রশস্ততার মাধ্যম।

১৮. ছদকা চিকিৎসা, ঔষধ ও সুস্থতা।

১৯. ছদকা আগুনে পোড়া, পানিতে ডোবা ও অপহরণসহ (সকল) অপমৃত্যুর প্রতিবন্ধক।

২০. ছদকার প্রতিদান পাওয়া যায়- চাই তা পশু-পাখিকেই দেওয়া হোক না কেন।


শেষকথা: এই মুহূর্তে আপনার জন্য সর্বোত্তম ছদকা হল, এই কথাগুলো ছদকার নিয়তে প্রচার করা।


#আমার #আমার #এই

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ২৬-০৩-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ২৬-০৩-২০২৫

আজকের শিরোনাম:


মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ --- ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে দেশের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা।


দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার --- জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান।


নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত --- রাত সাড়ে দশটা থেকে এক মিনিট পালিত হয় প্রতীকী ব্ল্যাকআউট।


ঈদে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, বেতন-বোনাস না দিয়ে মালিকদের কেউ বিদেশে যেতে পারবেন না --- জানালেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।


কৃষ্ণ সাগরে নৌ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত রাশিয়া ও ইউক্রেন।


এবং শিলংয়ে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের খেলায় ভারতের সাথে গোল শূণ্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ:  ২৫ -০৩-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ:  ২৫ -০৩-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:…


মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আগামীকাল --- বিস্তারিত কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করবে জাতি।


দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার --- মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ও টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে বললেন প্রধান উপদেষ্টা।


ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।


জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান।


নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত --- রাত সাড়ে দশটা থেকে এক মিনিট পালিত হবে প্রতীকী ব্ল্যাকআউট ।


ঈদে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃহস্পতিবারের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, বেতন-বোনাস না দিয়ে মালিকদের কেউ বিদেশে যেতে পারবেন না --- সাফ জানিয়ে দিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।

সকাল ৭ টার সংবাদ  তারিখ ২৫-০৩-২০২৫ খ্রি:। 

 সকাল ৭ টার সংবাদ 

তারিখ ২৫-০৩-২০২৫ খ্রি:। 


আজকের শিরোনাম:


এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউটসহ বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ জাতি পালন করবে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস।


আগামীকাল মহান স্বাধীনতা দিবস - রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর করবেন প্রধান উপদেষ্টা।


দেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু।


অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি স্বাক্ষরিত।


ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার - ঈদের আনন্দ শেয়ার করে নিতে প্রিয়জনের কাছে ছুটছেন নগরবাসী।


সচেতনতার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা প্রতিহত করার আহ্বান জানালেন বিত্রনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


গাজা থেকে সকল ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি যুক্ত করে নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিল মিশর। 


শিলং-এ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে আজ স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

বিখ্যাত আর্য গণিতবিদ, পদার্থবিদ এবং জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট (

 বিখ্যাত আর্য গণিতবিদ, পদার্থবিদ এবং জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট ( ৪৭৬–৫৫০ খ্রিস্টাব্দ ) প্রথমবারের মত নিখুঁতভাবে পাই ( π) এর গাণিতিক মান প্রকাশের জন্য যিনি প্রথমবারের মত এটিও আবিস্কার করেছিলেন যে পাই এর মান নির্দিষ্ট নয় বরং এটি একটি অমূলদ তথা আসন্ন সংখ্যা।তার বিখ্যাত গ্রন্থ আর্যভাটিয়া এর দ্বিতীয় অধ্যয় গণিতপাদ এর দশ নং শ্লোক এ তিনি ৪৯৯ খ্রিষ্টাব্দে লিখেছিলেন-


চতুরাধিকং শতম্ অষ্টগুনম্ দ্বষষ্টিস্তথা সহস্রাণাম্।

আয়ুতদ্বযবিস্কম্ভস্ব আসন্নো বৃত্তপরিণাহ।।

(আর্যভাটিয়া ২।১০)  


অর্থাৎ চতুরাধিকং শতম মানে যদি ১০০ এর ৪ বেশীকে(১০০+৪=১০৪) অষ্টগুনম বা ৮ গুন করে তাকে দ্ব ষষ্টি বা ৬২ এর সহস্রাণাম বা ১০০০ গুন = ৬২০০০ এর সাথে যোগ করা হয় তাহলে আয়ুতদ্ব বা ১০০০০ এর ২ গুন তথা ২০০০০ একক ব্যাস বিশিষ্ট বৃত্তের পরিধি পাওয়া যাবে।


এখানে বৃত্তের পরিধি হল (১০৪*৮+৬২০০০)এবং ব্যাস হল ২০০০০।


আমরা জানি π=পরিধি/ব্যাস।

তাহলে এখানে পাই এর মান পাই-


(১০৪*৮+৬২০০০)/২০০০০=

৬২৮৩২/২০০০০


অর্থাৎ ৩.১৪১৬!!!!


এবং তিনি বলেও দিয়েছেন এই মান "আসন্নো" মানে আসন্ন অর্থাৎ দশমিক এর পরে চলতেই থাকবে,এখানেই শেষ নয়।


এছাড়াও, আর্যভট্ট ধ্বনিসংক্রান্ত সংখ্যার স্বরলিপির একটি সিস্টেম তৈরি করেছিলেন যেখানে সংখ্যাগুলিকে ব্যঞ্জনবর্ণ-স্বরবর্ণের মনোসিলেবল দ্বারা উপস্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তী ভাষ্যকার যেমন ব্রহ্মগুপ্ত তার কাজকে গণিতা ("গণিত"), কালক্রিয়া ("সময়ের গণনা") এবং গোলাপদা ("গোলাকার জ্যোতির্বিদ্যা") এ ভাগ করেছেন । তাঁর বিশুদ্ধ গণিত আলোচনা করে যেমন বর্গ এবং ঘনমূলের নির্ণয় , জ্যামিতিক পরিসংখ্যানগুলি তাদের বৈশিষ্ট্য এবং পরিমাপ সহ , গনোমনের ছায়ায় গাণিতিক অগ্রগতি সমস্যা , দ্বিঘাত সমীকরণ , রৈখিক এবং অনির্ধারিত সমীকরণ।আর্যভট্টের সাইন টেবিল এবং ত্রিকোণমিতির উপর তার কাজ ইসলামের স্বর্ণযুগে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল ।তার কাজগুলো আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং আল-খোয়ারিজমি এবং আল-জারকালিকে প্রভাবিত করেছে। তার গোলাকার জ্যোতির্বিদ্যায়, তিনি গোলাকার জ্যামিতিতে সমতল ত্রিকোণমিতি প্রয়োগ করেন এবং সৌর, চন্দ্রগ্রহণের হিসাব দেন। তিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে নক্ষত্রের আপাত পশ্চিমমুখী গতি গোলাকার পৃথিবীর তার নিজের অক্ষের আবর্তনের কারণে । আর্যভট্ট আরও উল্লেখ করেছেন যে চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহের উজ্জ্বলতা প্রতিফলিত সূর্যালোকের কারণে।


আর্যভট্টীয় বইটির গোলপাদ অংশে আর্যভট্ট উদাহরণের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন যে পৃথিবী নিজ অক্ষের সাপেক্ষে ঘোরে। তিনি পৃথিবীর আক্ষিক গতির হিসাবও করেছিলেন। তার হিসেবে পৃথিবীর পরিধি ছিল ৩৯,৯৬৮ কিলোমিটার, যেটা সে সময় পর্যন্ত বের করা যেকোন পরিমাপের চেয়ে শুদ্ধতর (ভুল মাত্র ০.২%)। সৌর জগৎে গ্রহগুলোর কক্ষপথের আকৃতি তার ভাষ্যে ছিল উপবৃত্তাকৃতির, এক বছর সময়কালের প্রায় সঠিক একটি পরিমাপ করেছিলেন, সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের সঠিক কারণ উল্লেখ করা এবং তার সময় নির্ধারণ করা।


প্রাচীন ভারতীয় গণিতের ইতিহাসে আর্যভট্টের হাত ধরেই ক্লাসিকাল যুগ (কিংবা স্বর্ণযুগ) শুরু হয়। গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত আর্যভট্টের বিভিন্ন কাজ মূলত দুটি গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মাঝে ‘আর্যভট্টীয়’ একটি, যেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। এটি রচিত চার খণ্ডে, মোট ১১৮টি স্তোত্রে। অন্য যে কাজটি সম্পর্কে জানা যায় সেটি হল ‘আর্য-সিদ্ধান্ত’। আর্য-সিদ্ধান্তের কোন পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে বরাহমিহির, ব্রহ্মগুপ্ত এবং প্রথম ভাস্করের কাজে এটির উল্লেখ মেলে।


আর্যভট্টের কাজের অধিকাংশই তিনি করেছিলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষাশেষে তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। কেউ কেউ বলেছেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবেও আর্যভট্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন।


পুনের আইইউসিএএ - তে আর্যভট্টের মূর্তি 🙏


✍️ অজানা ভারতবর্ষ Discover India 🇮🇳 Repost.

হাইপেশিয়া: ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ ও দর্শনের আলো

 হাইপেশিয়া: ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ ও দর্শনের আলো


হাইপেশিয়া—এক বিস্ময়কর নাম, ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ, দার্শনিক ও আবিষ্কারক। শুধু গণিতেই নয়, তিনি দর্শন ও বিজ্ঞানেরও পথিকৃৎ ছিলেন। বলা হয়, তিনিই হাইড্রোমিটার আবিষ্কার করেছিলেন, যা তরলের ঘনত্ব পরিমাপে ব্যবহৃত হয়।


জন্ম ও শিক্ষা


হাইপেশিয়ার জন্ম ৩৭০ খ্রিষ্টাব্দে (কিছু মতানুসারে ৩৫০ খ্রিষ্টাব্দে) আলেকজান্দ্রিয়ায়। তার পিতা ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক ও গণিতবিদ থিওন। তিনিই ছিলেন হাইপেশিয়ার প্রথম ও প্রধান শিক্ষক। গণিত, দর্শন এবং সাহিত্য—প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অগাধ জ্ঞান অর্জন করেন।


শিক্ষা ও প্রভাব


হাইপেশিয়ার প্রধান কাজ ছিল শিক্ষাদান। তিনি আলেকজান্দ্রিয়ার মানুষের কুসংস্কার ও অন্ধত্ব দূর করার লক্ষ্যে অসংখ্য লেকচার দিতেন। তার জ্ঞান ও যুক্তিবাদিতা শুধু আলেকজান্দ্রিয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিল।


ধর্ম ও রাজনীতির সংঘাত


হাইপেশিয়া কোনো আব্রাহামিক ধর্ম অনুসরণ করতেন না; তিনি ছিলেন প্যাগান দর্শনের অনুসারী। সেই সময় আলেকজান্দ্রিয়ায় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছিল দুই শক্তির মধ্যে—একদিকে রোমান সম্রাট ওরেস্টেস, অন্যদিকে খ্রিস্টান চার্চের আর্চবিশপ সিরিল।


ওরেস্টেস ছিলেন হাইপেশিয়ার অনুরাগী, তিনি নিয়মিত তার বক্তৃতা শুনতে যেতেন। এটি সিরিলের জন্য সহ্য করা কঠিন হয়ে উঠল। সিরিল লক্ষ্য করলেন, হাইপেশিয়ার লেকচার শুনতে তার বাড়ির সামনে গাড়ির বহর লেগেই থাকত। ক্রমেই তিনি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন।


নৃশংস হত্যা


সিরিল হাইপেশিয়াকে ডাইনী ঘোষণা করেন। তখনকার ধর্মান্ধ খ্রিস্টানরা ডাইনী সন্দেহভাজন কাউকে পেলেই নির্মমভাবে হত্যা করত। হাইপেশিয়াও তাদের রোষানলে পড়লেন। একদিন উন্মত্ত জনতা তাকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করল।


হাইপেশিয়া: ধর্মান্ধতার বলি


হাইপেশিয়া ছিলেন ইতিহাসের প্রথম নারী গণিতবিদ, দার্শনিক এবং সাহিত্যবিশারদ, যিনি ধর্মান্ধতার নির্মম বলি হন।


হাইপেশিয়ার কিছু অমর উক্তি


🔹 "নিজের চিন্তাকে নিজের মতো করে সংরক্ষণ কর। সে চিন্তা যদি ভুলও হয়, তাও ভালো—নিজে চিন্তা না করার চেয়ে।"


🔹 "রূপকথাকে জানা উচিত রূপকথা হিসেবে, পুরাণ কাহিনিকে শেখা উচিত পুরাণ কাহিনী হিসেবে। আর অলৌকিক ঘটনাকে বোঝা উচিত কল্পনার মতো করে। কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসকে সত্য হিসেবে শিক্ষা দেওয়ার মতো ভয়ানক কিছু নেই।"


🔹 "প্রতিটি ধর্মই প্রতারণাপূর্ণ। একজন আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন ব্যক্তি তা কখনোই গ্রহণ করতে পারে না।"


হাইপেশিয়া শুধুই এক নারী গণিতবিদ নন, তিনি ছিলেন যুক্তির প্রতীক, বিদ্যার আলো, এক বিপ্লবী চিন্তানায়িকা। কিন্তু কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার কাছে তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। তবুও, তার জ্ঞান আজও মানুষকে যুক্তিবাদ ও সত্যের পথে আলো দেখায়।


#হাইপেশিয়া #গণিত #দর্শন #বিজ্ঞান #প্রথম_নারী_গণিতবিদ #অভিনয়

ইলেকট্রিক ফ্যানের বিদ্যুৎ বীল হিসাব

 

১. যদি ফ্যানের পাওয়ার রেটিং ৭৫ ওয়াট হয়:

প্রতি ঘণ্টায় খরচ =  কিলোওয়াট = 0.075 kWh

১২ ঘণ্টায় খরচ =  = 0.9 kWh (ইউনিট)

এক মাসে (৩০ দিনে) খরচ =  = 27 ইউনিট

২. যদি ফ্যানের পাওয়ার রেটিং ৯০ ওয়াট হয়:

প্রতি ঘণ্টায় খরচ =  = 0.09 kWh

১২ ঘণ্টায় খরচ =  = 1.08 kWh

এক মাসে (৩০ দিনে) খরচ =  = 32.4 ইউনিট

বিল হিসাব (বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ইউনিট রেট অনুযায়ী)

বাংলাদেশে গড়ে প্রতি ইউনিট ৭ টাকা ধরা হলে:

৭৫ ওয়াট ফ্যানের মাসিক বিল =  = 189 টাকা

৯০ ওয়াট ফ্যানের মাসিক বিল =  = 227 টাকা

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...