এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

গল্প: আজ থেকে ৬ বছর আগের কাহিনি। পর্ব: ০১

 আজ থেকে ৬ বছর আগের কাহিনী। একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে রাত তিনটার সময় বলেছিলো।চলো আজ আমরা একটু স*হ*বাস করি। কিন্তু তার স্ত্রী বললো সে করতে পারবে নাহ। কারন তার কোনো কিছু ভালো লাগছে নাহ। এই কথা বলতেই তার স্বামী তাকে স্ত্রীকে সন্দেহ করতে লাগে। যে তার স্ত্রী অন্য কোনো পুরুষ এর সাথে মে*লা মে*শা করে।

তাই স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বাসা ছেড়ে চলে যায়। ৬ মাস কেটে যায় বাসায় কোনো টাকা পয়সা পাঠায় নাহ। স্ত্রীর কোনো খোজ খবর নেয় নাহ এই দিকে একদিন সেই বক্তি শুনতে পায় তার স্ত্রী গ*র্ভবতি। তখন সেই ব্যক্তি আরো রেগে যায়। তখন তা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে অনেক ঝ*গড়া হয়। এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে বলে দেয় ম*রে গেলেও সে আর কোনো দিন বাসায় আসবে নাহ। কিন্তু এই টা যে সে বাস্তব গঠাবে তা কোন দিন তার স্ত্রী ভাবে নি।

দেখতে দেখতে ৯ মাস কে*টে যায় কিন্তু সেই ব্যক্তি বাসায় আসে নাহ। তার স্ত্রী অনেক অনুরোধ করে বাসায় আসার জন্য৷ একবার তাকে দেখবে বলে কিন্তু সেই ব্যক্তি আসে নাই। 

এই দিকে সে মহিলার সন্তান প্র*সব এর জন্য পেটে ব্যথা এই সময়  ফোন করে তারে তার স্বামী বললো। প্লিজ একটি বারের মতো বাসায় আসো তোমাকে একটি বার দেখবো।

তার স্বামী বললো আসতে পারবে নাহ। তারপর বাসায় সবাই তাকে অনুরোধ করে বাসায় আসার জন্য কিন্তু সে ব্যক্তি সব কিছুকে মিথ্যা মনে করে আসে নাই। 

সেই মহিলা কান্না করে বলতে লাগলো। আমার তো আমার স্বামীকে দেখার জন্য মনটা অনেক চাইতাছে। জানি নাহ আমি বা*চবো কিনাহ তবে আমি কি এমন দোষ করেছিলাম যে আজ আমার এই কঠিন মুহূর্তে কেনো আমি আজ আমার স্বামীকে কেনো পাসে পাচ্ছি নাহ। 

তবে আমি যদি ম*রে যাই তাহলে তোমরা আমার স্বামীকে বলবা তিনি যেনো আসে আমার এই কপালে একটা চু*মু দেয় আর নিজের হাতে কা*ফন করে।

বাসায় সবাই তাকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কেউ সান্তনা দিতে পারে নাই তার সাথে বাসার সবাই কান্নায় ভে*ঙ্গে পড়ে। এই দিকে রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সন্তান প্র*সবের ব্যথা বাড়ছে নাহ যথাক্রমে আরও কমতে লাগলো।

এইটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে গেলো। তারাতারি তার স্বামীর কাছে ফোন করে তার স্ত্রী অনেক বড় সমস্যায় পড়ছে টাকা পাঠাতে সি*জার করার জন্য। 

কিন্তু সেই বক্তি বলে তার কাছে কোনো টাকা নাই দিতে পারবে নাহ তার স্ত্রী ম*রে গেলে ম*রে যাক। তার কোনো আফসোস নাই।কথা শুনে বাসার সবাই অনেক কষ্ট পায় তারা চিন্তা করে কি করবে এখন এই দিকে রাত গড়িয়ে সকাল

হতে লাগলো এলাকার মানুষ একত্রিত হতে লাগলো। সবাই জিনিসটা নিয়ে গবেষনা করতে লাগে। আর বাসায় সবাই ল*জ্জায় মুখ ঢাকতে লাগে। লাষ্টে একজন ব্যক্তি উঠে দাড়ায় গ্রামের সবার থেকে টাকা তুলে তার চিকিৎসা করাবে। 

এই উদেশ্য নিয়ে টাকা তোলা হয় মহিলাকে হসপিটাল নেওয়া হয়। ডাক্তার বলে  চিকিৎসা করতে পারবে নাহ তবে তার স্বামী যদি এসে বলে তাহলে করবে। 

সেই সময় তার স্বামীকে ফোন করা হয় এলাকার সবাই তাকে অনুরোধ করে আসার জন্য। কিন্তু সে ব্যক্তি মনে করে সবাই তো মিথ্যা কথা বলছে বাসায় যাওয়ার জন্য। তাই সে রাগে ফোন বন্ধ করে ফেললো। 

এই বার এলাকার মানুষ ডাক্তারকে অনেক অনুরোধ করতে লাগলো। শেষে ডাক্তার রাজী হলো। তবে এইবার তার র*ক্ত যোগার করার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

সেই মহিলা কেমন যানি একা হয়ে গেলো। তার পাসে ছিলো একটা মহিলা সেই মহিলাকে সে বলতে লাগলো আপা আমাকে একটু পানি দিবেন আমার খুব পি*পাসা লেগেছে।

মহিলাটি তাকে এক লিটার পানির বোতল দেয়। সে একেবারে সেই পানি খেয়ে ফেললো আরও পানি চাইলো আর খওয়ার জন্য রুটি চাইলো।তাকে রুটি দেওয়া হলো।সে এমন ভাবে খাবার আর পানি খেলো।

যেনো মনে হলো জীবনের শে*ষ খাবার সে একসাথে খেয়েছে। খাবার শেষ করে বললো। আপা একটু এদিকে আসেন আপনাকে কিছু কথা বলি। 

তখন মহিলাটি তার পাসে গিয়ে বসলো। তখন মহিলাটি তার হাত ধরে কেদে ফেললো আর বললো আপা হয়তো আমি আর বা*চবো না।আমার জীবন হয়তো এইখানেই শে*ষ। তবে একটা কথা কি জানেন।

যেইখানে আজ আমার স্বামীর থাকার কথা সেখানে আপনি আছেন তাই আপনাকে আমি বলি। আমার সন্তান আছে তাদের কেউ না দেখলেও আপনি দেখবেন আমার ছোট ছেলে ২ বছর হবে তাকে আপনার পাসে রাখবেন। 

আমাকে কথা দেন তখন সেই মহিলা কাদার জন্য কিছু বলতে পারতেছে নাহ তাও অনেক কষ্টে তার হাতে হাত রেখে বললো এমন কথা বলবা না তোমার কিছু হবে না। 

তখন সে বললো আপা  কাদবো তো আমি আপনি কেনো কাদতেছেন কাদবো তো আমি। কারন আমার বি*দায় ঘন্টা বে*জে গেছে। আর সে বললো। জানেন আপা আমি জীবনে আমার স্বামীকে পাসে চাইছিলাম। 

কিন্তু দেখেন আমার কি ভাগ্য আজ আমার থেকে সে অনেক দূরে। তবে আপু আমি ও অভিমান পারি আর সেই অভিমানে আমিও চলে যাবো তার থেকে অনেক অনেক দূরে বলেই কেমন জানি করা শুরু করলো।

পাসে থাকা মহিলাটি অনেক ভয় পেলো আর ডাক্তারকে বলতে লাগলো।


গল্প: আজ থেকে ৬ বছর আগের কাহিনি।

পর্ব: ০১

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে জীবিত করল, সে আমাকেই ভালোবাসল, আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসল সে আমার সঙ্গেই জান্নাতে থাকবে। [সুনানে তিরমিযি, হাদীস নং- ২৬৭৮]

 ⭕ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে জীবিত করল, সে আমাকেই ভালোবাসল, আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসল সে আমার সঙ্গেই জান্নাতে থাকবে। [সুনানে তিরমিযি, হাদীস নং- ২৬৭৮]


🔸 মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, হে রাসূল আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। [আলে ইমরান- ৩১]


🔲 রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আমার প্রত্যেক উম্মতই জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু যে অস্বীকার করবে সে ব্যতীত। 


🔹 সাহাবায়ে কেরামগন বললেন, কে অস্বীকার করবে.?? রাসূল ﷺ বললেন, যারা আমার সুন্নত অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যারা আমার অবাধ্য হবে তারাই অস্বীকারকারী হিসেবে গন্য হবে। [বুখারী- ৭২৮০]


🔸 রাসূল ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নত অপছন্দ করল তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই [বুখারী ৪৭৭৬]


⭕ মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, প্রকৃতপক্ষে তোমাদের মধ্যে যারা পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক পরিমানে স্মরণ করে, তাদের জন্য রাসূলুল্লাহর জীবনে রয়েছে এক সর্বোত্তম আদর্শ। [সুরা আহযাব- ২১]


🔹 রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আমার এমন কোনো সুন্নত জীবিত করবে, যা আমার [মৃত্যুর পর] পর বিলীন হয়ে যাবে, তার জন্য রয়েছে সেই সুন্নতের উপর আমলকারীর সম-পরিমাণ সাওয়াব। এ ক্ষেত্রে যারা সুন্নতের উপর আমল করবে তাদের সাওয়াব থেকে বিন্দু পরিমান সাওয়াব কম করা হবে না। [সুনানে তিরমিযি, হাদীস নং- ২৬৭৭] c

Collected

সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার উপকারিতাঃ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার সময় সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় লাগে না।

 সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার উপকারিতাঃ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার সময় সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।


এখানেই শেষ নয়, সিঁড়ির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতালে মেলে আরও অনেক শারীরিক উপকার।


@ মনকে চাঙ্গা করে তোলেঃ

কথাটা শোনার পর নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে মন খারাপের প্রকোপ কমিয়ে মুডকে চাঙ্গা করে তুলতে সিঁড়ির ব্যবহার বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা বা নামার সময় আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে এন্ডোরফিন নামক "ফিল গুড" হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো এবার থেকে কাজের চাপে বা অন্য কারণে মন ক্ষতবিক্ষত হলেই সিঁড়ির সামনে এসে দাঁড়াবেন, দেখবেন নিমেষে সব ভালো লাগতে শুরু করবে।


@ একসঙ্গে দুটো সিঁড়ি ভাঙলে মিলবে বেশি উপকারঃ

একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে একটা সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় একটা একটা করে সিঁড়ি ভাঙার পরিবর্তে যদি একসঙ্গে দুটো করে সিঁড়ি টোপকে টোপকে ওঠা যায়, তাহলে আরও বেশি উপকার মেলে। কারণ এমনটা করলে শরীরের অন্দরে উপকারি হরমোনের ক্ষরণ যেমন বেড়ে যায়, তেমনি শরীরের প্রতিটি পেশীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


@ জয়েন্টের কর্মক্ষমতা বাড়েঃ

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর যেমন বুড়ো হতে থাকে, তেমনি জয়েন্টের সচলতাও কমতে শুরু করে। ফলে ব্যথা-যন্ত্রাণায় জীবন জর্জরিত হয়ে ওঠে। আপনি যদি না চান আপনার সঙ্গেও এমনটা হোক, তাহলে ভুলেও লিফট ব্যবহার করবেন না। পরিবর্তে সিঁড়ির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে হবে। কারণ খেয়াল করে দেখবেন সিঁড়ি ব্যবহার করলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে শরীরের বয়স বাড়লেও তার প্রভাব জয়েন্টের উপর পরতে পারে না।


@ পায়ের পেশীর সচলচতা বৃদ্ধি পায়ঃ

সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময় আমরা আমাদের গ্র্যাভিটির বিপরীত মুখি হই। তাই এই সময় নিজের ওজনকে সামলে একের পর এক ধাপ নিয়ে উপরে ওঠার সময় পায়ের পেশীর উপর চাপ পরতে থাকে। এমনটা দিনের পর দিন হতে থাকলে একদিকে যেমন পায়ের নিচের অংশের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তেমনি পেটের পেশীর সচলতাও বাড়তে থাকে। ফলে বেলি ফ্যাট কমার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


@ হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেঃ

সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নাম করলে বোন ডেনসিটির উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাড় শক্তপোক্ত হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। এই কারণেই তো ৪০-এর পর থেকে মহিলাদের লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।


@ জিমের সমান উপকার মেলেঃ

জিমে গিয়ে ৩০ মিনিট ঘাম ঝরালে যতটা উপকার পাওয়া যায়, ততটা না হলেও কিছু কম উপাকার পাওয়া যায় না সিঁড়ি ব্যবহার করলে। একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত ওঠা-নামা করলে যে পরিমাণ ক্যালরি বার্ন হয়, তা অন্য কোনও এক্সারসাইজ করলে হয় না। তাই শারীরিক ভাবে চাঙ্গা থাকতে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিঁড়ির সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ভুলবেন না যেন!


@ ওজন কমতে থাকেঃ

অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে ভুলেও লিফটের দিকে পা বাড়াবেন না। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সিঁড়ি ভাঙার অভ্যাস করলে শারীরিক সচলচতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শরীরে জমতে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, যা লিফট ব্যবহার করলে কখনই সম্ভব হত না।


@ হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করার সময় সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। সেই শঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের তো এই কারণেই বেশি করে সিঁড়ি ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে।

কিডনি রোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কেন কলা খাবেন?

 **কিডনি রোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কেন কলা খাবেন?** 


পুষ্টিকর খাবার হিসেবে কলা অতি পরিচিত ফল। কলা খাওয়ার অনেক উপকারও রয়েছে, যা অনেকেরই জানা নেই। বেশি করে পাকা কলা খাওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু উপকারিতার কথা।


১. কিডনি রোগ প্রতিরোধঃ কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে কলার পটাসিয়াম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কলার বিভিন্ন উপাদান কিডনির রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।


২. ক্যান্সার প্রতিরোধঃ কলা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলাতে রয়েছে একটি বিশেষ প্রোটিন, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশি করে কলা খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


৩. খিঁচুনি প্রতিরোধেঃ মিনারেলের অভাবে অনেকেরই দেহের বিভিন্ন অংশে খিঁচুনি হয়ে থাকে। এ খিঁচুনি প্রতিরোধে প্রচুর মিনারেল সমৃদ্ধ কলা খাওয়া যেতে পারে। কলার পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।


৪. বলিষ্ঠ হৃৎপিণ্ডঃ কলা হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে। এজন্য নিয়মিত কলা খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া কলা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধেও কার্যকর।


৫. রক্তনালী পরিষ্কারঃ রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কোলস্টেরলের কারণে। কলাতে রয়েছে ফাইটোস্টেরোলস। এটি কোলস্টেরলের মাত্রা সীমিত রাখে এবং রক্তনালী পরিষ্কার রেখে সুস্থভাবে বাঁচতে সহায়তা করবে।


৬. স্বাস্থ্যকর পাকস্থলীঃ পাকস্থলীর সুস্থতার জন্য কলা খুবই কার্যকর খাবার। তাই গ্যাস্টিক আলসারের রোগীদের কলা খাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পাকস্থলীর দেয়াল বৃদ্ধি করে।


৭. উদ্যম যোগায় ও ভালো মুডঃ কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। আর এটি উদ্যম যোগাতে সহায়তা করে। কলার সাধারণ কার্বহাইড্রেট সহজে হজম হয় এবং দ্রুত শরীরে উদ্যম আনে। কলাতে রয়েছে ডোপামাইন। একে ‘সুখী হরমোন’ বলা হয়। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা নার্ভাস সিস্টেমকে ইতিবাচক হতে সহায়তা করে।


৮. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলা খুবই সহায়তা করে। এতে রয়েছে কয়েক ধরনের ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের উন্নতিতে সহায়তা করে। সবুজ বা কাঁচা কলাতে বেশিমাত্রায় রয়েছে এ উপাদানটি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে স্লিম ফিগার তৈরি করতে সহায়তা করে কলা। মূলত কয়েক ধরনের ফ্যাট দেহে সংরক্ষণ করতে বাধা দেয় কলা। ফলে দেহ থেকে ফ্যাট কমে যায়।


 #lifestyle #highlights #trending #highlights #everyone #foryou #follower #highlight

 মা অংক বোঝে না!

 মা অংক বোঝে না!


এক চামচ ভাত চাইলে প্লেটে দুই-তিন চামচ তুলে দেয়। কোথাও যাওয়ার সময় আমি পঞ্চাশ টাকা চাইলে একশ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়।


মা ইংরেজিও জানে না!


'I hate you' বললে মানে না বুঝে আমাকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়।


মা মিথ্যেবাদী!


না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা আমার জন্য যত্ন করে তুলে রাখে।


মা বোকা!


সারাজীবন চিনির বলদের মতো সংসারের উন্নতির পিছনে ছুটে কাটিয়ে দেয়। 


মা চোর!


আমি বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবে শুনলে বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে আমার হাতে গুঁজে দেয়।


মা নির্লজ্জ!


মাকে কতবার বলি আমার জিনিসে যেন হাত না দেয়। তবুও মা নির্লজ্জের মতো আমার এলোমেলো পড়ে থাকা জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে।


মা বেহায়া!


আমি কথা না বললেও জোর করে এসে বেহায়ার মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়।


মায়ের কোনো কমনসেন্স নেই!


আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে 'খোকা এত কম খাচ্ছিস কেন?' বলে সবার সামনেই জোর করে খাওয়ায়। মায়ের চোখে আমার স্বাস্থ্য কখনো ভালো হয় না!


মা কেয়ারলেস!


নিজে কোমরের ব্যথায় ধুঁকে ধুঁকে মারা গেলেও কখনো ডাক্তার দেখানোর কথা বলে না। অথচ আমার একটা কাশিতে তার দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায়।


মা  আনস্মার্ট!


মা নতুন দামী শাড়ি পড়ে না। ভ্যানিটি ব্যাগ ঝুলিয়ে, স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘুরতেও যায় না। সারাদিন সন্তানের ভালোমন্দের কথা চিন্তা করে কাটিয়ে দেয়।


মা স্বার্থপর!


নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সব কিছু ত্যাগ করতে পারে।


পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ হচ্ছে মা। তাই বুঝি আমরা সন্তানেরা তাদের এত কষ্ট দিই। তবুও তাদের পরিবর্তন হয় না। প্রতিদিন এসব আচরণ তারা বারবার করে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেই আমরা তাদেরকে আমাদের জীবন থেকে দূরে সরিয়ে রাখি। তবুও তারা নির্বোধের মতো সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করে। সারাজীবন তারা আমাদের ভালোবাসা দিয়েই যায়, বিনিময়ে শুধু দিনে একবার হলেও সন্তানের মুখে আদরের 'মা' ডাক শুনতে চায়!

 রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা

কয়েক বছর আগের কথা। ক্লাস সেভেনের বার্ষিক পরীক্ষার খাতা দেখছিলাম। 

 কয়েক বছর আগের কথা। ক্লাস সেভেনের বার্ষিক পরীক্ষার খাতা দেখছিলাম। খাতা দেখা প্রায় শেষ হয়েই গেছে। আর কয়েকটি খাতা দেখলেই খাতা দেখা শেষ হয়ে যাবে। হঠাৎ একটি খাতা দেখতে গিয়ে আমার চোখটা আটকে যায়। প্রথম পাতায় এসে নামটা আরো একবার দেখলাম, ছেলেটির নাম উত্তম।


উত্তমের খাতাটা দেখতে গিয়ে আমাকে বেশ ভাবিয়ে ছিল।পরীক্ষায় লিখতে দেওয়া হয়েছিল "তোমার জীবনের লক্ষ্য।" খাতা দেখতে গিয়ে  দেখেছিলাম অনেক ছেলেই তাদের জীবনের লক্ষ্যের কথা লিখেছিল।প্রথম সারির ছেলেরা কেউ লিখেছে ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক, কেউ বা ক্রিকেট খেলোয়াড়ও হতে চেয়েছে। বেশ পরিচ্ছন্ন কয়েকটি লেখাও পেয়েছিলাম। তাদের কোথাও বানান ভুল নেই। কোনো অসঙ্গতি নেই। বইতে যেমন লেখা থাকে তেমনি হুবহু তুলে দিয়েছিল। ভালো লেখার জন্য সব সময়েই ভালো নাম্বার বরাদ্দ থাকেই। সেদিক থেকে তারা ভালো নাম্বার পাবে এটাই স্বাভাবিক।


উত্তমও লিখেছিল তার জীবনের লক্ষ্যের কথা। হবহু মনে থাকলেও  উত্তম যেটা লিখেছিল সেটা ছিল এরকম,


"আমি বড়ো হয়ে অরূপ স্যার হতে চাই। আমিও অরূপ স্যারের মতো একটা গাড়ি কিনে সেই গাড়ি করে আমার মা'কে নিয়েও হরিদ্বার যেতে চাই।"


খাতাটা দেখতে গিয়ে বার বার পড়ছিলাম লেখাটা। কোনো বই থেকে মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় হুবহু তুলে দেওয়া কোনো লেখা এটা নয়, এ লেখাটা তার একদম নিজের লেখা। এ একদম উত্তমের সম্পূর্ণ মনের কথা। লেখার মধ্যে অনেক বানান ভুল ছিল ঠিকই কিন্তু তার মধ্যে ছিল জীবনের সত্য।


সেদিন খাতা দেখতে বসে আর কোনো খাতা দেখিনি। উত্তমের খাতাটাই ভালো করে দেখছিলাম। উত্তম পড়াশোনায় ভালো নয়। সেভাবে কিছুই হয়তো লিখতে পারে নি। কিন্তু যা লিখেছে সেটা আমার শিক্ষকতার জীবনে অনেক বড়ো প্রাপ্তি।


উত্তমের খাতাটা দেখতে গিয়ে যখন দেখলাম উত্তম অরূপ স্যার হতে চেয়েছে তখন গর্বে বুকটা ভরে উঠছিল‌। খাতাটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম শিক্ষকতার জীবনে একজন ছাত্রের মনেও আমি যে দাগ কাটতে পেরেছি, এর থেকে বড়ো পাওয়া আর কি হতে পারে! 


আমি ওদের ক্লাসে বাংলা পড়াতাম। মাঝে মধ্যে  ওরা আবদার করে বলত, স্যার একটা গল্প বলুন। তা আমি মাঝে মধ্যেই ছাত্রদের গল্প শোনাতাম। সেবারে পুজোর ছুটিতে আমার মাকে নিয়ে হরিদ্বার গিয়েছিলাম‌, সেই গল্পই ওদের কাছে করেছিলাম। বলেছিলাম,তোমরাও ভালো করে পড়াশোনা করলে বড়ো হয়ে কত জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারবে। এখন যেমন বাবা মা তোমাদেরকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়, বড়ো হয়ে তোমরাও বাবা মাকে সঙ্গে করে নিয়ে ঘুরবে। নিজের গাড়ি থাকলে যেখানে মন চাইবে সেখানেই যেতে পারবে। উত্তম সেই কথাগুলো মাথায় রেখেই পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়েছিল। মূল্যায়ন করতে গিয়ে উত্তমকে হয়তো খুব একটা বেশি নম্বর দিতে পারিনি সেদিন, মনে মনে ওকে দশে দশ দিয়েছিলাম। তারপর থেকে উত্তম আমার কাছে আরো প্রিয় হয়ে গেল। পরে উত্তমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,


-পরীক্ষার খাতায় কী লিখেছিলি যেন? অরূপ স্যার হতে চাস তাই না‌?


ও বলেছিল,


-স্যার আপনার মতো হতে চাই। 


তারপর থেকে কয়েক বছর কেটে গেছে। উত্তম স্কুল ছেড়ে চলে গেছে। ক্লাস টেনে উঠে কয়েকদিন অবশ্য স্কুলে এসেছিল।তারপর আর স্কুলে আসেনি। মাধ্যমিক পরীক্ষাটা না দিয়েই পড়া ছেড়ে দিয়েছিল। আমি অন্য ছাত্রদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েছিলাম উত্তম কেন আর স্কুলে আসছে না‌। শুনে ছিলাম, উত্তম পড়া ছেড়ে দিয়েছে। ও আর পড়বে না‌। আমি ওকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। ও আসেনি আর। তারপর থেকে উত্তম মনের মধ্যেই রয়ে গেল আমার। 


কিছুদিন আগে কলকাতা গিয়েছিলাম একটা দরকারে। সকালে ট্রেন ধরার জন্য আমার ছেলে বাইকে চাপিয়ে স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে গিয়েছিল। বিকেলে যখন ফিরলাম তখন প্রায় সাড়ে চারটে হবে। ছেলেকে বাইক নিয়ে আসতে বলার দরকার নেই বলেই মনে করলাম। ভাবলাম টোটো করেই চলে যাই। স্টেশন চত্বর থেকেই বেরিয়ে এসে টোটোতে উঠতে যাব দেখি আমার ছাত্র উত্তম। উত্তম আমাকে দেখেই জিজ্ঞেস করল,


-স্যার ভালো আছেন? 


-আরে তুই?


-হ্যাঁ স্যার। দুবছর হয়ে গেল টোটো চালাচ্ছি। 


-আগে দেখিনি তো কখনো?


-আপনি হয়তো খেয়াল করেন নি। আমি আপনাকে প্রায় দেখি।


কথা গুলো বলতে বলতে আরো তিনজন প্যাসেঞ্জার চলে এলো। উত্তম বলল,


--স্যার আপনি সামনের সীটে চলে আসুন। 


আমি সামনে সীটে গিয়ে উত্তমের পাশেই বসলাম। পিছনে চারজন প্যাসেঞ্জার হয়ে যেতেই ও টোটো চালাতে শুরু করল।তারপর নানান কথা, স্কুলের অন্য স্যারদের কথা জানতে চাইল। নিজে থেকেই বলল,


-স্যার স্কুল ছেড়েছি এগারো বারো বছর হয়ে গেল, আপনি স্যার আগের মতোই রয়ে গেছেন।


আমি বললাম,


-আমার কথা ছাড়। তোর আর খবর বল। অনেক দিন পর তোকে দেখছি।


-আমার তো আলাদা কোনো খবর নেই। এই তো টোটো চালাই।এতেই যা হয় আপনাদের আশীর্বাদে চলে যায়। এক বছর হলো বিয়ে করেছি। বাবা তো ছোটো বেলাতেই মারা গিয়েছিল। আর মাও চলে গেল বছর তিনেক আগেই।


উত্তম কথাগুলো আমাকে বলছে পিছন থেকে একজন বলে উঠল, "এই টোটো থামো।" দেখলাম টোটো থেকে নেমে দুজন ভাড়া দিল আর একজন ভাড়া না দিয়েই চলে গেল। উত্তমকে জিজ্ঞেস করলাম,


-কী ব্যাপার উত্তম, উনি ভাড়া দিলেন না? 


-স্যার আমি বয়স্ক মানুষদের কাছ থেকে ভাড়া নিই না,সেটা উনি জানেন। জানেন স্যার,খুব ইচ্ছে ছিল মাকে নিয়ে হরিদ্বার যাব। সে সুযোগ আমাকে ভগবান দেয় নি। কিন্তু এই বয়স্ক মানুষজনদের দেখলে আমার বাবা মা'র কথা মনে পড়ে। তাই এদের দিয়েই কিছুটা পূরণ করি। এই টোটোটাই হচ্ছে আমার গরীব রথ, দেখবেন আমার টোটোর সামনে লেখা আছে।


কিছুক্ষণের জন্য আমাকে থামিয়ে দিয়ে ছিল উত্তম।।সেদিন জীবনের লক্ষ্য শুধু পরীক্ষার খাতায় লেখেনি জীবনের খাতাতেও লিখে ফেলেছিল। লিখেছিল এক নির্ভেজাল সত্যি।টোটো থেকে নামি। আমি ভাড়াটা বের করার আগেই আমাকে বলে দিল, 


-আপনার থেকে ভাড়া নেব না স্যার। এই গরীবের রথে আপনাকে যে বসাতে পেরেছি এর থেকে বড়ো কিছু পাওয়া আমার নেই। আপনারা শিক্ষক‌, যতটুকু আপনাদের থেকে শিখেছি তার ঋণ কি কোনো ভাবেই পরিমাপ করা যায়? ভালো থাকবেন স্যার। 


-:সমাপ্ত:-


কলমে: সরজিৎ ঘোষ

সংগৃহীত পোস্ট 

#storytelling #inspiring #inspirational #up #foryouシ #fb #viralpost2025シ #views1m #viralpost2025 #viralpost


সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ১৫-০৪-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ১৫-০৪-২০২৪ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সারাদেশের মানুষ বর্ণিল আয়োজন ও উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল উদযাপন করলো পহেলা বৈশাখ, বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন।


বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা - নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করার আহ্বান।


রাজধানীতে ছায়ানটের প্রথাগত সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বর্ষবরণ অনুষ্ঠান - ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন।


‘‘নববর্ষের ঐকতান: ফ্যাসিবাদের অবসান’’ প্রতিপাদ্যে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত।


মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ থেকে ৫৮ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগরে সকল প্রজাতির মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা।


গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মিশর ও কাতারের, রাজি নয় হামাস - উপত্যকাটিতে ইসরাইলি হামলায় ২৪ ঘন্টায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত।


আজ লাহোরে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাই পর্বে নিজস্ব তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

মৃত্যু আল্লামা ইকবাল অনুবাদঃ রায়ান নূর 

 মৃত্যু

আল্লামা ইকবাল

অনুবাদঃ রায়ান নূর 


আজ বুঝতে পারলাম, মৃত্যু এতোই সুন্দর

দেখো

যাদের দুই মিনিট সময়ও ছিল না

তারাও আজ আমার পাশে বসে

কোনদিনও কোন উপহার পাই নি

অথচ আজ ফুলে ফুলে ভরে গেছি

কারো দেওয়া একটিই কাপড় ছিল

অথচ আজ নতুন নতুন কাপড়ে সাজানো

যারা দুই কদম পথ পর্যন্ত চলতো না

তারাও আজ আমার সাথে দল ধরে হাঁটছে 

আজ বুঝতে পারলাম মৃত্যু এতো সুন্দর

আমি তো শুধু অযথা বেঁচে থাকতে চেয়েছি ৷  

©রায়ান নূর

গতবারের ঘুর্ণীঝড়ে হেলে যাওয়া বড় রেন্টি গাছটি কেটে ফেলার জন্য আজ সকালে তিনজন কাঠুরিয়া নিয়ে গেলাম ২ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে। 

 গতবারের ঘুর্ণীঝড়ে হেলে যাওয়া বড় রেন্টি গাছটি কেটে ফেলার জন্য আজ সকালে তিনজন কাঠুরিয়া নিয়ে গেলাম ২ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে। 

গাছতলায় গিয়ে উপরের দিকে তাকাতেই দেখলাম শালিক পাখির দু'টি বাসা। তেমন গুরুত্ব দিলাম না। ভাবলাম, পাশে আরো অনেক গাছ আছে, এরা সেখানে গিয়ে বাসা বাঁধবে।

ঠিক তখনই কোত্থেকে উড়ে আসল বাসার মালিক চারটি শালিক। শুরু করে দিল ব্যাপক শুরগোল। চিৎকার চেঁচামেচি। অবোধ্য ভাষা। কিছুই বুঝি না। ভাবছি আমি যদি বাদশা সোলেমান হতাম, বুঝতাম পাখিদের ভাষা। আমি তো মদন। মদনের মত তাকিয়ে রইলাম পাখির বাসার দিকে।

 

কাঠুরিয়া করাতে ধার দিচ্ছে, রশি বেঁধে নিচ্ছে কোমরে। 

ঠিক সেই মুহুর্তেই আমি সোলেমান বাদশার মত বুঝে ফেললাম শালিক পাখির ভাষা। নিজের কানে শুনলাম, নিজের চোখে দেখলাম, দু'টি বাসায় চিঁকচিঁক করছে চারটি ছানা। 

সাথে সাথে মানা করে দিলাম- "গাছ কাটা যাবে না। আমার টাকাটা ফেরত দিয়ে তোমরা চলে যাও।" 

কাঠুরিয়া হেসে বলল, "টাকা ফেরত দেয়া যাবে না। আমাদের আজকের দিনটাই মাটি করলেন আপনি।"


আমি বাড়াবাড়ি করলাম না। ভাবলাম এদের দোষ কী! মানা তো আমিই করেছি।

কিন্তু লক্ষ্য করলাম এদের রহস্যময় হাসি থামছেই না। জিজ্ঞেস করলাম, "তোমরা এভাবে হাসছো কেন?"


আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এগিয়ে আসল একজন। বলল, "পাখির বাসায় আন্ডা-বাচ্চা থাকলে আমরা ২ হাজার নয়, ২ লাখ দিলেও ঐ গাছ কাটি না। আপনার দোষ কী। আপনি কাটতে বললেও আমরা ঐ গাছ কাটতাম না। এই নিন আপনার টাকা।"


গ্রামের অশিক্ষিত মূর্খ কাঠুরিয়ার দল, মানবতার প্রতিযোগিতায় আমাকে হারিয়ে দিল!! জানিনা এরা কোথায় কার কাছে শিখেছে অতিমানব হওয়ায় সূত্রাবলী।


সংগৃহীত পোস্ট 

#viewers #foryouシ #fb #lifelessons #viralpost2025 #views1m #fypシ゚ #highlight #100k #viralpost #greatness 

#viralpost2025シ

প্রচণ্ড গরম পরেছে... পাশের সারির সিটে বসেছিল দুই ছেলে... দুজনই ছাত্র... কৌতূহল নিয়ে দেখছি কি করে!!

 🔴🔴 প্রচণ্ড গরম পরেছে... পাশের সারির সিটে বসেছিল দুই ছেলে... দুজনই ছাত্র...


কৌতূহল নিয়ে দেখছি কি করে!!


হাফ লিটার (৫০০ মি.লি) পানির বোতলে প্রথমে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ঢালল... একটু ঝাঁকি দিল... এরপর আরেক প্যাকেট স্যালাইন বের করল... সব মিলে দুই প্যাকেট স্যালাইন ঢালল ঐ হাফ লিটার পানির মধ্যেই...


জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই দুই প্যাকেট কেন ঢাললেন?


- এক প্যাকেটে অত স্বাদ পাওয়া যায় না... তাছাড়া যে গরম পড়েছে, তাতে বেশি খাওয়াই ভাল।


এরকম ভুল প্রায় লোকই করে... সবাই ভাবে, স্যালাইনই তো... কি আর হবে!! কিন্তু এটা যে কত মারাত্মক ভুল, তা বেশিরভাগ লোকই জানে না...


বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি বিপদজনক...


কয়েক মাস আগের কথা... ডায়রিয়া হওয়ার পর খিঁচুনি নিয়ে এক বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।


একটু সন্দেহ হল... জিজ্ঞাসা করলাম, কি খাওয়াইছেন বাবুকে?


- কেন? স্যালাইন।


- বানাইছেন কিভাবে?


- হাফ গ্লাসের মত পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলছি।


- নিয়ম তো হাফ লিটার বা আধা সের পানিতে স্যালাইন গুলানো। কিন্তু হাফ গ্লাস পানিতে কেন?


- ছোট বাচ্চা, অত আর স্যালাইন খেতে পারবে?


তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে মেডিকেলে রেফার করে দিলাম। অল্প পানিতে স্যালাইন গুলানোর কারণে বেশি ঘনত্বের লবণ শরীরের ভেতরে গিয়ে লবনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে খিচুনি শুরু হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক... কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যায় ডায়রিয়ার কারণে নয়, ভুলভাবে স্যালাইন বানানোর কারণে।


মনে রাখা উচিত, খাবার স্যালাইন কোন সাধারণ পানীয় নয় যে ইচ্ছেমত খাবেন। এটি ওষুধ... বমি, পাতলা পায়খানা বা গরমের ফলে প্রচন্ডরকম ঘেমে শরীর থেকে যে পানি, লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করার জন্য এটি খাওয়া হয়।


এটি নির্দিষ্ট নিয়মেই গুলতে হবে... ছোট-বড় সবার জন্য একই নিয়মে বানাতে হবে... আধা সের বা হাফ লিটার পানির মধ্যে পুরো এক প্যাকেট মিশিয়ে স্যালাইন দ্রবন প্রস্তুত করতে হবে। তবেই তা শরীরে গিয়ে কাজ করবে।


এর কম পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে কিডনির ক্ষতি করবে... বেশি পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব কমে গিয়ে সঠিকভাবে ঘাটতি পূরণ হবে না।


একবার স্যালাইন বানালে, তা সর্বোচ্চ বারো ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়, তবে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত রাখতেও অনেকে পরামর্শ দেন।


কখনো হাফ প্যাকেট স্যালাইন, এক গ্লাস পানি- এভাবে বানাবেন না... কিংবা পরবর্তিতে বানানোর জন্য প্যাকেটে কিছু স্যালাইন রেখেও দিবেন না... এক প্যাকেট দিয়ে একসাথে হাফ লিটারই বানাবেন...


একবার বানানোর পর, বয়স ও প্রয়োজনভেদে যতটুকু দরকার, সেখান থেকে নিয়ে সেভাবে খাবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট গুলিয়ে নতুন করে বানাবেন।


ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ কিংবা হার্টের রুগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন খাবেন।


আর হ্যাঁ, বাজারে "টেস্টি স্যালাইন" নামক যা পাওয়া যায়, সেগুলো অবশ্যই খাওয়া যাবে না.. এগুলোতে মাত্রার কোন ঠিক তো নেই-ই, এর পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনেরও কোন অনুমোদন নেই। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনেক কোম্পানির টেস্টি স্যালাইনে স্যাকারিন ও কাপড়ের রং পর্যন্ত পাওয়া গেছে।


Dr.Taraki Hasan Mehedi

MBBS

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...