এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

৭০০ বছর মুসলিমরা শাসন করে হিন্দুদেরকে মায়ের কোলে রেখে লালন করেছিলো। কখনো হিন্দু নিঃচিহ্ন করার কথা কেউ ভাবেনি।    

 ★★★ ৭০০ বছর মুসলিমরা শাসন করে হিন্দুদেরকে মায়ের কোলে রেখে লালন করেছিলো। কখনো হিন্দু নিঃচিহ্ন করার কথা কেউ ভাবেনি।    

★★ ভারত_আসলে_কাদের?? ভারতের ইতিহাস শেষ পর্যন্ত পড়ুন!! ঘৌরি সাম্রাজ্য থেকে নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত ঘোরি কিংডম!!

★★  আমরা গর্বিত আমরা মুসলমান, আমরা মানুষ, আমাদের ধর্ম ইসলাম আর ইসলাম শান্তির,মানবতার ধর্ম। 

1 = 1193 মোহাম্মদ ঘোরি

2 = 1206 কুতুবুদ্দিন আইবেক

3 = 1210 বাকি শাহ

4 = 1211 ইলতুৎমিস

5 = 1236 রকিনউদ্দিন ফিরোজ শাহ

6 = 1236 রাজা সুলতান

7 = 1240 মোজাদ্দিন বাহরাম শাহ

8 = 1242 আল-দীন মাসউদ শাহ

9 = 1246 নাসিরুদ্দিন মাহমুদ

10 = 1266 গিয়াসউদ্দিন বালবিন

11 = 1286 ..........

12 = 1287 মসজিদের কাবাদন

13 = 1290 শামসুদ্দিন কামার্স

মহান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি

(সরকার থেকে -97 বছর প্রায় দূরে।)

  ★★ সাম্রাজ্যের সাম্রাজ্য 

1 = 1290 জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজি

2 = 1292 শিক ধর্ম

4 = 1316 শাহাবুদ্দিন ওমর শাহ

5 = 1316 কুতুবুদ্দীন মোবারক শাহ

6 = 1320 নাসিরুদ্দিন খুসরো শাহ

খলজি সাম্রাজ্যের সমাপ্তি

(সরকারী -30 বছর প্রায়)

★★ তুঘলক সাম্রাজ্য 

1 = 1320 গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (প্রথম)

2 = 1325 মোহাম্মদ ইবনে তুঘলক (দ্বিতীয়)

3 = 1351 ফিরোজ শাহ তুঘলক

4 = 1388 গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (দ্বিতীয়)

5 = 1389 আবু বকর শাহ

6 = 1389 মোহাম্মদ তুঘলক (সোম)

7 = 1394 .......... (আমি)

8 = 1394 নাসিরুদ্দিন শাহ (দ্বিতীয়)

9 = 1395 নুসরত শাহ

10 = 1399 নাসিরুদ্দিন মোহাম্মদ শাহ (দ্বিতীয়)

11 = 1413 সরকার

তুঘলক সাম্রাজ্যের সমাপ্তি

(সরকার -94 বছর প্রায় দূরে।)

★★ সাদ Saeed রাজবংশ *

1 = 1414 খেজুর খান

2 = 1421 মুইজউদ্দিন মোবারক শাহ (দ্বিতীয়)

3 = 1434 মুহাম্মদ শাহ (চতুর্থ)

4 = 1445 আল্লাহ আলম শাহ

সা'দ রাজ্যের সমাপ্তি

(সরকারী - 37 বছর প্রায়)

★★ লোধি সাম্রাজ্য

1 = 1451 বাহলোল লোধি

2 = 1489 লোধি (দ্বিতীয়)

3 = 1517 আব্রাহাম লোধি

লোধি সাম্রাজ্যের সমাপ্তি

(সরকারী-75 বছর প্রায়)

★★ মুঘল সাম্রাজ্য

1 = 1526 জহিরউদ্দিন বাবর

2 = 1530 হুমায়ুন

মুঘল সাম্রাজ্যের সমাপ্তি

★★ সুরিয়ান সাম্রাজ্য

1 = 1539 শের শাহ সুরি

2 = 1545 ইসলাম শাহ সুরি

3 = 1552 মাহমুদ শাহ সুরি

4 = 1553 আব্রাহাম সুরি

5 = 1554 পারভেজ শাহ সুরি

6 = 1554 মোবারক খান সুরি

সুররিয়ান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি

(সরকারী -16 বছর প্রায়)

★★ আবার মোগল সাম্রাজ্য

1 = 1555 হুমায়ুন (আবার)

2 = 1556 জালালউদ্দিন আকবর

3 = 1605 জাহাঙ্গীর স্লাম

4 = 1628 শাহ জাহান

5 = 1659 আওরঙ্গজেব

6 = 1707 শাহ আলম (প্রথম)

7 = 1712 বাহাদুর শাহ

8 = 1713 ফার্কুয়ারশিয়ার

9 = 1719 রিফাদ রজত

10 = 1719 ...............

11 = 1719 ...............

12 = 1719 মাহমুদ শাহ

13 = 1748 আহমেদ শাহ

14 = 1754 ...................

15 = 1759 শাহ আলম

16 = 1806 আকবর শাহ

17 = 1837 সাহসী কিং জাফর

মুঘল সাম্রাজ্যের সমাপ্তি

(সরকারী -১১৫ বছর থেকে দূরে।)

★★ব্রিটিশ রাজ *

1 = 1858 লর্ড কিং

2 = 1862 লর্ড জেমস ব্রুস এলগিন

3 = 1864 লর্ড জে লরেন্স

4 = 1869 লর্ড রিচার্ড মায়ো

5 = 1872 লর্ড নর্থবাক

6 = 1876 লর্ড এডওয়ার্ড ল্যাটিন

7 = 1880 লর্ড জর্জ রিপন

8 = 1884 লর্ড ডাফারিন

9 = 1888 লর্ড হ্যানি লেসডন

10 = 1894 লর্ড ভিক্টর ব্রুস এলগিন

11 = 1899 লর্ড জর্জ করজিয়ান

12 = 1905 লর্ড গিলবার্ট মিন্টো

13 = 1910 লর্ড চার্লস হার্ড্জ

14 = 1916 লর্ড ফ্রেডেরিক থেকে এক্সিকিউয়ারে

15 = 1921 লর্ড রাক্স আজাক রিদিগ

16 = 1926 লর্ড এডওয়ার্ড ইরউইন

17 = 1931 লর্ড ফারম্যান ওয়েলডন

18 = 1936 লর্ড আলেজান্দ্রা লিনলিথগো

19 = 1943 লর্ড অর্কিবল্ড হুইল

20 = 1947 লর্ড মাউন্ট ব্যাটন

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সমাপ্তি

★★ ভারত, প্রধানমন্ত্রী

1 = 1947 জওহরলাল নেহেরু

2 = 1964 গোলজারি লাল নন্দ

3 = 1964 লাল বাহাদুর শাস্ত্রী

4 = 1966 গোলজারি লাল নন্দ

5 = 1966 ইন্দিরা গান্ধী

6 = 1977 মোরারজি দেশাই

7 = 1979 চরণ সিং

8 = 1980 ইন্দিরা গান্ধী

9 = 1984 রাজীব গান্ধী

10 = 1989 বিশ্বনাথ রিটার্নস

11 = 1990 চন্দ্রশেখর

12 = 1991 পি.ভি. নরসিমা রাও

13 = 1992 অটল বিহারী বাজপেয়ী

14 = 1996 চাদে গৌড়

15 = 1997 আই.কে. গুজরাল

16 = 1998 অটল বিহারী বাজপেয়ী

17 = 2004 মনমোহন সিং

18 = 2014 নরেন্দ্র মোদী

এক হাজার বছর ধরে মুসলমান রাজত্ব হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুরা ভারতে রয়ে গেছে। মুসলিম শাসকরা তাদের সাথে কখনই অন্যায় আচরণ করেনি। এইটাই আমাদের ধর্ম। 

এই পোস্টটি অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করুন। কারণ আজকাল 90% লোকের এ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই - = (ভারতের ইতিহাস) =

ঔষধ ছাড়া মাথা ব্যথা কমানোর কিছু প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো:

 ঔষধ ছাড়া মাথা ব্যথা কমানোর কিছু প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো:


1. ঠান্ডা বা গরম সেঁক:

মাথার পেছনে বা কপালে ঠান্ডা সেঁক দিলে টেনশন হেডেক কমে যেতে পারে।

গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে গলায় বা কাঁধে রাখলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং ব্যথা হালকা হয়।


2. ম্যাসাজ:

কপাল, ঘাড় ও কাঁধে হালকা ম্যাসাজ করলে রিল্যাক্সেশনে সাহায্য করে এবং ব্যথা কমে।


3. ঘুম ও বিশ্রাম:

পর্যাপ্ত এবং শান্তিপূর্ণ ঘুম না হলে মাথা ব্যথা বাড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুব জরুরি।


4. হাইড্রেশন (পানি পান):

পানিশূন্যতা থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে। প্রচুর পানি পান করুন।


5. ক্যাফেইন:

কখনো কখনো অল্প পরিমাণ ক্যাফেইন (যেমন চা বা কফি) মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।


6. আলো ও শব্দ থেকে দূরে থাকুন:

অতিরিক্ত আলো বা শব্দ মাথা ব্যথা বাড়াতে পারে, তাই শান্ত, অন্ধকার ঘরে কিছু সময় থাকুন।


7. শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম বা মেডিটেশন:

গভীর শ্বাস নেয়া বা ধ্যান করার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমে এবং মাথা ব্যথা কমতে পারে।


8. স্ক্রিন টাইম কমান:

বেশি সময় ফোন/কম্পিউটার দেখলে চোখ ও মাথায় চাপ পড়ে, তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিন।

একদিন এক রাজা তার সভা পন্ডিতকে প্রশ্ন করলেন, "বলুন তো পন্ডিত মশাই, অবিদ্যা কি?" 

 একদিন এক রাজা তার সভা পন্ডিতকে প্রশ্ন করলেন, "বলুন তো পন্ডিত মশাই, অবিদ্যা কি?" 


পন্ডিত কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, "মহারাজ, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আমাকে ৫ দিন ছুটি দিতে হবে, ফিরে এসে আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দেব!" 


রাজা সম্মত হয়ে পন্ডিতের ৫ দিনের ছুটি মঞ্জুর করলেন। পন্ডিত রাজমহল থেকে বের হয়ে রাজ্যের সবচেয়ে দক্ষ জুতার কারিগরের কাছে গিয়ে বললেন, "আমাকে একজোড়া  জুতা বানিয়ে দাও।" 


কারিগর সপ্রশ্ন চোখে বলল, "ঠিক আছে হুজুর, মাপটা দিন।" 


পন্ডিত ধমক দিয়ে বললেন, "ওসব মাপ টাপ ছাড়ো, এক হাত লম্বা আর এক বিঘৎ চওড়া জুতা বানাও, আর ওতে কিছু হিরে জহরত মণি মাণিক্য জুড়ে 

দাও! সোনায় মোড়ানো সুতো দিয়ে সেলাই করো, টাকার চিন্তা করো না, যা দাম হবে তাই পাবে, দরদাম করব না।" 


কারিগর সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল, "ঠিক আছে, কিছু টাকা আগাম দিন, ১ দিন বাদে এসে জুতা নিয়ে যাবেন।" 


দ্বিতীয় দিন জুতা বুঝে নেবার সময় পুরো টাকা দেবার আগে পন্ডিত কারিগরকে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিলেন যে এই জুতার গল্প সে কারও কাছে করবে না। 


তারপর পন্ডিত একপাটি জুতা নিজের কাছে রেখে অন্য পাটিটি সবার অলক্ষ্যে একটি মন্দিরের সামনে ফেলে রাখলেন। 


সন্ধ্যায় পুরোহিত মন্দিরে এসে ওই একপাটি জুতা আবিষ্কার করে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। তিনি চিন্তা করলেন, এত বড় জুতা কখনও কোনো মানুষের পায়ের হতে পারে না, আর যা হীরা জহরত লাগানো তাতে নিশ্চয়ই রাতে মন্দিরে স্বয়ং ভগবান এসেছিলেন, এবং বাইরে ভুল করে এই একপাটি জুতা ফেলে চলে গেছেন। 


উনি প্রথমে জুতোর পাটিটা মাথায় ঠেকালেন, তারপর বার বার জুতাটাকে চুমু খেতে লাগলেন। পরদিন যখন মন্দিরে অনেক লোক সমাগম হলো পুরোহিত সবাইকে ভগবানের জুতা পাওয়ার গল্প শুনিয়ে দিলেন। সকলে একবাক্যে স্বীকার করল, নিশ্চয়ই এই জুতা ভগবানেরই হবে, মানুষের পায়ের মাপ এত বড় হতেই পারে না, আর মন্দিরের বাইরে যখন পাওয়া গেছে তখন নিশ্চয়ই শয়তানেরও নয়! সবাই মিলে জুতাটি বারবার মাথায় ঠেকাতে আর চুমু খেতে লাগল।


নিমেষেই এই জুতার কথা রাজ্যময় ছড়িয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত জুতার গল্প রাজার কানেও গেল; তিনি জুতাটি রাজ দরবারে পেশ করতে আদেশ দিলেন। 


সব দেখেশুনে রাজাও স্বীকার করলেন, "এ জুতা ভগবানের না হয়ে পারে না!" তিনি জুতাটি বারবার মাথায় ঠেকিয়ে আর চুমু খেয়ে বললেন, "এই জুতা কোনো মন্দির বা পবিত্র স্থানে যত্ন এবং নিরাপত্তা সহকারে সংরক্ষণ করা হোক।"


প্রতিদিন হাজার হাজার লোক জুতা দেখতে ভিড় জমাতে লাগল, অনেকে রোগমুক্তি সহ বিভিন্ন কিছু পাবার আশায় মানত করা শুরু করল। সুযোগ বুঝে একদল লোক জুতার পাশে একটা দান বাক্স লাগিয়ে দিল। জুতাকে কেন্দ্র করে জমে উঠল টাকার পাহাড়!


৫ দিন পর পন্ডিতের ছুটি শেষ হলো। তিনি রাজসভায় প্রবেশ করে রাজাকে কুর্নিশ করলেন এবং চুপচাপ বসে রইলেন। 


রাজা প্রশ্ন করলেন, "কি হলো পন্ডিত, আপনি এমন বিরসবদন কেন?" 


পন্ডিত মাথা নিচু করে বললেন, "মহারাজ, আমার বাড়ি থেকে একপাটি জুতা চুরি গেছে, তাই আমার মন খারাপ।" 


"একপাটি জুতা ?", রাজা আকাশ থেকে পড়লেন।


"হ্যাঁ, আমার প্রপিতামহের একটি জুতা চুরি গেছে, পালানোর সময় চোর একপাটি ফেলে গেছে!"


"ওই জুতাটি কি আপনার কাছে আছে?" রাজার তড়িৎ প্রশ্ন।      


"হ্যাঁ, আছে আমার কাছেই!", পন্ডিত ঝোলার ভেতর থেকে জুতার পাটি বের করে সবাইকে দেখালেন। 


জুতা দেখে তো রাজার মাথা ঘুরতে আরম্ভ করল, নিজের কপালে করাঘাত করে হুকুম করলেন, মন্দির থেকে এক্ষুনি জুতার পাটিটি নিয়ে আসতে। তারপর উচ্চস্বরে বলতে লাগলেন, "আমরা তো এটাকে ভগবানের জুতা মনে করে কত মাথায় ঠেকিয়ে, চুমু খেয়ে, চেটে চেটে চকচকে করে তুলেছি!" 


পন্ডিত তখন মৃদু বললেন, "মহারাজ, একেই বলে অবিদ্যা। এই রাজ্য একদিন এমনি অবিদ্যায় ছেয়ে যাবে! অনেক মানুষের বুদ্ধিলোপ হবে। লোকে এতটাই নির্বোধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং ধর্মান্ধ হয়ে যাবে যে ভালো মন্দ ঠিক বেঠিকের ফারাক করতে পারবে না। আর এসব দেখে ভগবান অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করার জন্য মনে মনে আফসোস করবেন।"


#সংগৃহীত

 সুস্থ থাকতে ৮ বদল আনুন জীবনে 

 সুস্থ থাকতে ৮ বদল আনুন জীবনে 🧑‍⚕


কিছু অভ্যাস পরিবর্তনে স্বাস্থ্যে আসতে পারে বড় ইতিবাচক প্রভাব। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৮ টি অভ্যাসের বিষয়ে।


🚰এক গ্লাস গরম পানি পান করুন


প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা শরীরের জন্য উপকারী। এটি পাচনতন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। গরম পানি শরীর আর্দ্র রাখে। ফলে অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা বাড়ে, ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং শারীরিক শক্তি ঠিক থাকে। এর সঙ্গে ভিটামিন ‘সি’ যোগ করতে লেবু মেশাতে পারেন।


🚶‍♂️প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট মুভমেন্ট ব্রেক নিন


দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে হলে প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়িয়ে একটু হাঁটুন বা শরীরের কিছু সাধারণ ব্যায়াম করুন। এতে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। এ ছাড়া নিয়মিত এই অভ্যাসে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকবে।


🍠চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন


মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ স্বাস্থ্য খারাপের অন্যতম কারণ। তাই এর বদলে বাদাম, ফল বা বীজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আখরোটে প্রোটিন ও ভালো চর্বি থাকে। ডালিম বা আঙুর মিষ্টির চাহিদা মেটায় রক্তে চিনির মাত্রা না বাড়িয়ে। এসব পরিবর্তন শক্তি স্থিতিশীল রেখে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। [fb.com/janaojanaa360]


🧘‍♂️দৈনিক ধ্যান ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন


মানসিক চাপ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই প্রতিদিন ৫-১০ মিনিটের ধ্যান কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধারণ করুন এবং ৬ সেকেন্ডে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। নিয়মিত এই অভ্যাস আপনাকে শান্ত রাখতে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে মনোযোগী থাকার জন্য সাহায্য করবে।


☀️প্রতিদিন সূর্যের আলোয় থাকুন


শরীরে ভিটামিন ‘ডি’-এর স্তর উন্নত করতে প্রতিদিন কয়েক মিনিট সূর্যের আলোয় থাকতে হবে। সকালে সূর্য ওঠার পর যে সময় পর্যন্ত সূর্যের তাপ কম থাকে, তখন বাইরে কিছু সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এই অভ্যাস শরীর ও মনের শক্তি বাড়াতে সহায়ক।


🥦স্বাস্থ্যকর খাবার খান


শরীর ঠিক রাখার প্রথম পদক্ষেপ স্বাস্থ্যকর খাবার; যেমন তাজা ও অপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।


🛌ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন


ঘুম শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য জরুরি। ঘুমের সময় শরীর বিশ্রাম নেয় এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


🧑‍⚕️মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন


সুস্থ মন শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সহজ পরিবর্তন; যেমন মননশীল কাজের অভ্যাস, পছন্দের কাজে সময় কাটানো এবং প্রয়োজনে বন্ধুদের সহায়তা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।এছাড়া লেখালেখির অভ্যাস থাকলে সেটিরও চর্চা করা যেতে পারে। [ জানা-অজানা 360 ]


সূত্র: টাইমস অব ইনডিয়া

নিউজ সোর্স: আজকের পত্রিকা, ০৪/০১/২০২৫ খ্রি.

#healthyfood #healthylifestyle #lifestyle #life

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ১৯-০৪-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ১৯-০৪-২০২৪ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে হবে সবার আগে - ফরেন সার্ভিস দিবসে বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।


নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন আজ প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।


আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার - জানালেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ডক্টর খলিলুর রহমান ।


রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে এনসিপি।


রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে সম্মত হতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র এতে মধ্যস্থতার প্রয়াস বন্ধ করবে - জানালেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 


লাহোরে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েরা পাকিস্তানের মোকাবেলায় মাঠে নামবে আজ।

সকাল ৭টার সংবাদ  তারিখ : ১৮-০৪-২০২৪ খ্রি:

 সকাল ৭টার সংবাদ 

তারিখ : ১৮-০৪-২০২৪ খ্রি:


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


আন্তর্জাতিক নৌপথ সুরক্ষা ও ব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘের পানি সনদ-১৯৯২ অনুসমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র।


দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের গুরুত্বারোপ।


প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত - অমীমাংসিত বিষয়সমূহ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।


জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক - ২৫টি সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে দলটি, জানালেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।


ভারতের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর নতুন দিল্লীর চেষ্টায় ঢাকার তীব্র প্রতিবাদ।


ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী কারণ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে রাশিয়ার আগ্রহ প্রকাশ। 


আজ জাকার্তায় এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কাজাখস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ হকি দল।

প্রচণ্ড গরম পরেছে... পাশের সারির সিটে বসেছিল দুই ছেলে... দুজনই ছাত্র... কৌতূহল নিয়ে দেখছি কি করে!!

 🔴🔴 প্রচণ্ড গরম পরেছে... পাশের সারির সিটে বসেছিল দুই ছেলে... দুজনই ছাত্র...


কৌতূহল নিয়ে দেখছি কি করে!!


হাফ লিটার (৫০০ মি.লি) পানির বোতলে প্রথমে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ঢালল... একটু ঝাঁকি দিল... এরপর আরেক প্যাকেট স্যালাইন বের করল... সব মিলে দুই প্যাকেট স্যালাইন ঢালল ঐ হাফ লিটার পানির মধ্যেই...


জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই দুই প্যাকেট কেন ঢাললেন?


- এক প্যাকেটে অত স্বাদ পাওয়া যায় না... তাছাড়া যে গরম পড়েছে, তাতে বেশি খাওয়াই ভাল।


এরকম ভুল প্রায় লোকই করে... সবাই ভাবে, স্যালাইনই তো... কি আর হবে!! কিন্তু এটা যে কত মারাত্মক ভুল, তা বেশিরভাগ লোকই জানে না...


বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি বিপদজনক...


কয়েক মাস আগের কথা... ডায়রিয়া হওয়ার পর খিঁচুনি নিয়ে এক বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।


একটু সন্দেহ হল... জিজ্ঞাসা করলাম, কি খাওয়াইছেন বাবুকে?


- কেন? স্যালাইন।


- বানাইছেন কিভাবে?


- হাফ গ্লাসের মত পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলছি।


- নিয়ম তো হাফ লিটার বা আধা সের পানিতে স্যালাইন গুলানো। কিন্তু হাফ গ্লাস পানিতে কেন?


- ছোট বাচ্চা, অত আর স্যালাইন খেতে পারবে?


তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে মেডিকেলে রেফার করে দিলাম। অল্প পানিতে স্যালাইন গুলানোর কারণে বেশি ঘনত্বের লবণ শরীরের ভেতরে গিয়ে লবনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে খিচুনি শুরু হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক... কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যায় ডায়রিয়ার কারণে নয়, ভুলভাবে স্যালাইন বানানোর কারণে।


মনে রাখা উচিত, খাবার স্যালাইন কোন সাধারণ পানীয় নয় যে ইচ্ছেমত খাবেন। এটি ওষুধ... বমি, পাতলা পায়খানা বা গরমের ফলে প্রচন্ডরকম ঘেমে শরীর থেকে যে পানি, লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করার জন্য এটি খাওয়া হয়।


এটি নির্দিষ্ট নিয়মেই গুলতে হবে... ছোট-বড় সবার জন্য একই নিয়মে বানাতে হবে... আধা সের বা হাফ লিটার পানির মধ্যে পুরো এক প্যাকেট মিশিয়ে স্যালাইন দ্রবন প্রস্তুত করতে হবে। তবেই তা শরীরে গিয়ে কাজ করবে।


এর কম পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে কিডনির ক্ষতি করবে... বেশি পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব কমে গিয়ে সঠিকভাবে ঘাটতি পূরণ হবে না।


একবার স্যালাইন বানালে, তা সর্বোচ্চ বারো ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়, তবে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত রাখতেও অনেকে পরামর্শ দেন।


কখনো হাফ প্যাকেট স্যালাইন, এক গ্লাস পানি- এভাবে বানাবেন না... কিংবা পরবর্তিতে বানানোর জন্য প্যাকেটে কিছু স্যালাইন রেখেও দিবেন না... এক প্যাকেট দিয়ে একসাথে হাফ লিটারই বানাবেন...


একবার বানানোর পর, বয়স ও প্রয়োজনভেদে যতটুকু দরকার, সেখান থেকে নিয়ে সেভাবে খাবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট গুলিয়ে নতুন করে বানাবেন।


ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ কিংবা হার্টের রুগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন খাবেন।


আর হ্যাঁ, বাজারে "টেস্টি স্যালাইন" নামক যা পাওয়া যায়, সেগুলো অবশ্যই খাওয়া যাবে না.. এগুলোতে মাত্রার কোন ঠিক তো নেই-ই, এর পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনেরও কোন অনুমোদন নেই। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনেক কোম্পানির টেস্টি স্যালাইনে স্যাকারিন ও কাপড়ের রং পর্যন্ত পাওয়া গেছে।


Dr.Taraki Hasan Mehedi

MBBS

হোমো সেপিয়েন্স প্রথম আফ্রিকায় উদ্ভব হয়েছিল ৩ লক্ষ বছরেরও বেশি আগে। 

 আজ আমাদের প্রজাতি পৃথিবীর প্রতিটি মহাদেশে বাস করে। কিন্তু সবসময় এমন ছিল না। চলুন জেনে নিই, হোমো সেপিয়েন্স কিভাবে আফ্রিকা থেকে বের হয়ে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আর এই যাত্রায় তারা অন্য যেসব মানব প্রজাতির সাথে দেখা করেছিল সেগুলো নিয়েও।


হোমো সেপিয়েন্স প্রথম আফ্রিকায় উদ্ভব হয়েছিল ৩ লক্ষ বছরেরও বেশি আগে। অনেকদিন ধরে আমাদের প্রজাতি শুধু আফ্রিকাতেই ছিল। কিন্তু শত শত হাজার বছর ধরে হোমো সেপিয়েন্স ধীরে ধীরে আরব, এশিয়া এবং শেষ পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এই যাত্রাটা খুব একটা সহজ ছিল না এবং সোজা পথেও হয়নি। এটা একধরনের গল্প যেখানে ছিল ভুল শুরু, হারিয়ে যাওয়া জনসংখ্যা, বিলুপ্ত মানব প্রজাতি এবং বিশাল দূরত্বের কাহিনি। এটা এমন একটা গল্প যা বারবার বদলাচ্ছে, নতুন ফসিল আবিষ্কারের মাধ্যমে যেগুলো মানব বিবর্তনের টাইমলাইনকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করে। শেষ পর্যন্ত, এই যাত্রা পুরো পৃথিবীকে বদলে দেয়।


হোমো সেপিয়েন্স কেন আফ্রিকা ছেড়ে চলে যায়? — 


হোমো সেপিয়েন্স কেন প্রথমে আফ্রিকা ছাড়ে, সেটা এখনো পরিষ্কার না। যদিও অনেক থিওরি আছে, কিন্তু ধারণা করা হয় জলবায়ুর পরিবর্তন এর সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা হতে পারে। আমাদের মানব বিবর্তন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস স্ট্রিংগার বলেন, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া হয়তো প্রাচীন মানুষদের মাইগ্রেট করতে উৎসাহিত করেছিল।ধারণা করা হয়, আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে আসা হোমো সেপিয়েন্সরা গরমের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারত কিন্তু খুব শুকনো পরিবেশে টিকতে পারত না। তাই সম্ভবত আবহাওয়া সাময়িকভাবে কিছুটা উষ্ণ ও আর্দ্র হয়েছিল পশ্চিম এশিয়ায়। অথবা হতে পারে উত্তর আফ্রিকার কিছু অংশ আরও শুষ্ক হয়ে উঠেছিল যেটা মানুষদের ওই অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। যেভাবেই হোক, এই বিষয়গুলো হয়তো ছোট ছোট দলকে আফ্রিকা ছাড়তে প্ররোচিত করেছিল বা বাধ্য করেছিল। মনে রাখতে হবে, তখন তারা নতুন জায়গা খুঁজতে বের হয়নি তারা শুধুই তাদের খাবারের জোগানে হেঁটে চলছিল।আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে গাছপালা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় জন্মাতো আর যেসব পশু এই গাছ খেত তারাও সেই পথে যেত। প্রাচীন মানুষরাও সেই পশুদের অনুসরণ করত ফলে তারা নতুন অচেনা জায়গায় গিয়ে পড়ত।


আগে মনে করা হতো আমাদের প্রজাতি একবারই আফ্রিকা ছেড়েছিল অনেক আগের কোনো এক সময়। কিন্তু সাম্প্রতিক আবিষ্কার এই ধারণা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। প্রাচীন আধুনিক মানুষের ডিএনএ বিশ্লেষণ বলছে শত শত হাজার বছরের ব্যবধানে বহুবার মানুষ আফ্রিকা ছেড়েছে। এই মাইগ্রেশনগুলোর বেশিরভাগই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি অর্থাৎ তারা আমাদের পূর্বপুরুষ না। কিন্তু তারা ফসিল আর পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ রেখে গেছে যেগুলো প্রমাণ করে তারা অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছিল এবং হাজার হাজার বছর টিকে ছিল। আগে এইগুলোকে ব্যর্থ অভিবাসন বলা হতো কিন্তু এখন বিজ্ঞানীরা এই পথিকদের গুরুত্ব নতুন করে বুঝছেন।


আফ্রিকা ছাড়ার একটা সম্ভাব্য পথ হলো সিনাই আর আরব উপদ্বীপ দিয়ে। আফ্রিকা আর ইউরেশিয়ার একমাত্র স্থলপথ ধরে হেঁটে হেঁটে হোমো সেপিয়েন্স মাইগ্রেট করতে পারত কোনো সমুদ্র পার হওয়ার দরকার পড়ত না। আজকে যেটা গরম আর শুষ্ক আরব উপদ্বীপ, তা আগে এমন ছিল না। সেখানে প্রাচীন হ্রদের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যেমন নেফুদ মরুভূমির খাল্ল আমাইশান ৪ (KAM-4) জায়গায়। এই জায়গায় দেখা যায় ৪ লক্ষ বছর থেকে ৫৫ হাজার বছরের মধ্যে অন্তত ৫ বার সেখানে স্থায়ী মিঠা পানির হ্রদ ছিল। এই জায়গায় পাওয়া পাথরের অস্ত্র থেকে বোঝা যায়, শুধু হোমো সেপিয়েন্স না আরও পুরোনো প্রজাতিরাও সেখানে বাস করেছিল যারা আমাদের আগে আফ্রিকা ছেড়েছিল।


ক্রিস বলেন, এই মাইগ্রেশন এক ধাপে ঘটেনি। তারা ধাপে ধাপে এগিয়ে গেছে একটা জায়গায় অনেকদিন থেকেছে তারপর আরেকবার আবহাওয়ার পরিবর্তনে সামনে এগিয়েছে। এই যাত্রা ছিল খুবই কঠিন কারণ তারা নতুন আবহাওয়া, নতুন পশু আর নতুন রোগের মুখোমুখি হয়েছিল। আর আফ্রিকা থেকে যেসব ছোট ছোট দল বের হচ্ছিল তাদের মধ্যে জেনেটিক বৈচিত্র্যও কম ছিল ফলে অভিযোজন ক্ষমতাও কম ছিল। হোমো সেপিয়েন্স যখন আফ্রিকার বাইরে এগোতে থাকে তারা একটা অন্য মানব প্রজাতির মুখোমুখি হয় নিয়ান্ডারথালদের।


হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথালদের সাক্ষাৎ —


নিয়ান্ডারথাল, অর্থাৎ হোমো নিয়ান্ডারথালেনসিস, একটা বিলুপ্ত মানব প্রজাতি, যারা ইউরোপ আর এশিয়ায় ৪ লক্ষ থেকে ৪০ হাজার বছর আগে পর্যন্ত ছিল। যদিও নিয়ান্ডারথাল আর হোমো সেপিয়েন্স আলাদা প্রজাতি তারা একে অপরের খুব কাছাকাছি আত্মীয় বা প্রজাতি।

এমনকি কাছাকাছি প্রজাতি হলে তাদের মাঝে সন্তানও হতে পারে। নিয়ান্ডারথালদের জিনোম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আমাদের দুই প্রজাতির মধ্যে প্রাচীন সময়ে প্রজনন হয়েছিল যার প্রমাণ শত শত হাজার বছরের পুরোনো। মানব দেহে কয়েক ধরনের ডিএনএ থাকে। একটা হলো নিউক্লিয়ার ডিএনএ যা বাবা-মা উভয় থেকে পাওয়া যায় আর একটা মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ যেটা শুধু মায়ের দিক থেকে আসে। জার্মানিতে পাওয়া একটা নিয়ান্ডারথালের পা-এরর হাড় বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় ২৭০,০০০ বছর আগে হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রজনন হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এর ফলে নিয়ান্ডারথালরা তাদের আসল মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ হারিয়ে হোমো সেপিয়েন্সের ডিএনএ পেয়েছিল। আরেকটা ডিএনএ সেট পাওয়া যায় Y ক্রোমোজোমে যেটা শুধু পুরুষদের মধ্যে থাকে। নিয়ান্ডারথালরা সম্ভবত এই Y ক্রোমোজোমও হোমো সেপিয়েন্স থেকে পেয়েছিল। এই ঘটনাগুলো কোথায় হয়েছিল, সেটা নিশ্চিত না কিন্তু দক্ষিণ ইউরোপ একটা সম্ভাব্য জায়গা। যেমন গ্রিসের অ্যাপিডিমা গুহায় পাওয়া মাথার পেছনের অংশ ২ লক্ষ বছরের পুরোনো যেটা এখন পর্যন্ত আফ্রিকার বাইরে পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো হোমো সেপিয়েন্স ফসিল। প্রায় ৪০ হাজার বছর পর সেই জায়গায় নিয়ান্ডারথালরা ছিল। যদিও নিশ্চিত না যে তারা এখানে একসাথে ছিল, তবুও সম্ভাবনা আছে।


এই নিয়ান্ডারথালদের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ছিল হোমো সেপিয়েন্সের মূল অভিবাসনের জন্য, যা ৬০,০০০ বছরের মধ্যে ঘটেছিল। প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে এই অভিবাসনের সময় হোমো সেপিয়েন্স আর নিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রজননের ফলে আফ্রিকার বাইরে যাদের পূর্বপুরুষ ছিল তাদের ডিএনএ-তে প্রায় ২% নিয়ান্ডারথালদের জিন রয়েছে। এই সময়ের প্রজননে ত্বকের রঙ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যান্য শরীরের কাজে নিয়ন্ত্রণকারী জিন ট্রান্সফার হয়েছিল যা হোমো সেপিয়েন্সদের আফ্রিকার বাইরের পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল। ইউরোপে প্রবেশের সময় এই জিনগুলো খুব উপকারী ছিল।


হোমো সেপিয়েন্সরা কীভাবে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছিলো? —


একবার হোমো সেপিয়েন্সরা পশ্চিম এশিয়া পেরিয়ে গেলে তারা অপেক্ষাকৃত দ্রুত গতিতে বিশ্বের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ার এই সময়কাল বিভিন্ন জায়গায় আবিষ্কৃত ফসিল, অস্ত্র, পাথরের সরঞ্জাম এবং ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা সম্ভব হয়েছে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, হোমো সেপিয়েন্সরা প্রথমে উপকূল বরাবর দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছিল। কিছু প্রমাণ রয়েছে যে, তারা সুমাত্রায় ৭৩,০০০ বছর আগে উপস্থিত ছিল এবং অস্ট্রেলিয়ায় ছিল ৬০,০০০ বছর আগে। যদি এই তারিখগুলো সত্যি হয় তবে সেটা আমাদের জানামতে সবচেয়ে পুরোনো সফল অভিবাসন মানে, সেই সময়ের মানুষরা আজকের মানুষের পূর্বপুরুষ। হোমো সেপিয়েন্সদের এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ ছিল, তাদের আশেপাশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। তারা শিকার করতো, ফলমূল খেতো এবং প্রয়োজনমতো নতুন উপায়ে জীবনধারা বদলাতে পারতো। তারা খুবই অভিযোজনক্ষম ছিল। যেসব জায়গায় তারা পৌঁছেছিল সেগুলো ছিল একে অপরের থেকে একদম আলাদা। তবুও তারা টিকে ছিল এমনকি সফল হয়েছিল। হোমো সেপিয়েন্সরা শুধু স্থলপথে নয়, সম্ভবত সমুদ্রপথেও ভ্রমণ করেছিল। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে হলে তখনও কিছুটা সাগর পার হতে হতো। কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, তারা হয়তো ভেলায় চড়ে ছোট ছোট দ্বীপের সাহায্যে ধাপে ধাপে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছিল। আফ্রিকার বাইরে হোমো সেপিয়েন্সদের ছড়িয়ে পড়া ছিল বিস্ময়করভাবে সফল। তবে একমাত্র তারাই ছিল না, যারা এতদূর পৌঁছেছিল।


হোমো সেপিয়েন্সরা যখন নতুন নতুন জায়গায় পৌঁছায়, তখন তারা শুধু নিয়ান্ডারথাল নয় আরও অনেক মানব প্রজাতির মুখোমুখি হয়। যেমন, পূর্ব এশিয়ায় তারা ‘ডেনিসোভান’ নামে পরিচিত এক বিলুপ্ত মানব প্রজাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রথমে ২০০৮ সালে সাইবেরিয়ার এক গুহায় আবিষ্কৃত হাড় ও দাঁতের মাধ্যমে এই প্রজাতিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর ডিএনএ বিশ্লেষণে জানা যায়, তারা হোমো সেপিয়েন্সের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল কিন্তু ভিন্ন প্রজাতি। ডেনিসোভানদের সঙ্গে হোমো সেপিয়েন্সদের মধ্যে অনেকবার প্রজনন হয়েছিল, যার প্রমাণ বর্তমান মানুষের জিনে পাওয়া যায় বিশেষ করে মেলানেশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি ও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের মধ্যে।এই প্রজননের ফলে এমন কিছু জিন হোমো সেপিয়েন্সদের মধ্যে আসে যা উচ্চতা, রোগ প্রতিরোধ এবং এমনকি উচ্চ পর্বতের অক্সিজেন স্বল্পতায় টিকে থাকতে সাহায্য করে। তিব্বতের কিছু মানুষের মধ্যে এমন জিন রয়েছে যা তারা ডেনিসোভানদের কাছ থেকে পেয়েছে। এই ঘটনায় বোঝা যায়, হোমো সেপিয়েন্স শুধু তাদের নিজস্ব অভিযোজন ক্ষমতার কারণে নয় অন্য মানব প্রজাতিদের সঙ্গে মিশে তাদের জিন গ্রহণ করেও টিকে থাকতে পেরেছিল।


ইউরোপে বিস্তার এবং নিয়ান্ডারথালের বিলুপ্তি —


হোমো সেপিয়েন্সরা ইউরোপে প্রবেশ করে প্রায় ৪৫,০০০ বছর আগে। তারা তখন নিয়ান্ডারথালদের সঙ্গে সহাবস্থান করতে শুরু করে। কিছু সময় উভয় প্রজাতি ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে পাশাপাশি বাস করেছিল।তবে প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে নিয়ান্ডারথালরা রহস্যজনকভাবে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই বিলুপ্তির কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি, কিন্তু সম্ভবত হোমো সেপিয়েন্সদের প্রতিযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন ও সীমিত সংখ্যার কারণে তারা টিকে থাকতে পারেনি।অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, হোমো সেপিয়েন্সরা বেশি সংগঠিত ছিল, তারা বেশি সংখ্যায় বসবাস করতো এবং সামাজিক জটিলতা বেশি ছিল যার ফলে তারা নিয়ান্ডারথালদের তুলনায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। তারা সম্ভবত আরও উন্নত ভাষা ব্যবহার করতো, আরও দক্ষভাবে জ্ঞান ও কৌশল ভাগ করে নিতে পারতো।


উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় মানুষের আগমন —


এশিয়া ও ইউরোপের পর হোমো সেপিয়েন্সরা ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকায়। এটাই ছিল মানুষের বিস্তারের সর্বশেষ ধাপ। অনেক দিন ধরে ধারণা ছিল, তারা উত্তর এশিয়ার দিকে গিয়ে বরফাচ্ছন্ন ভূমি পেরিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল প্রায় ১৩,০০০ বছর আগে। তবে সাম্প্রতিক প্রমাণ বলছে তারা হয়তো আরও আগে ২০,০০০ বছর বা তারও বেশি সময় আগে পৌঁছেছিল।তারা হয়তো সাগরের ধারে উপকূল ধরে দক্ষিণে অগ্রসর হয়েছিল এবং দক্ষিণ আমেরিকার শেষপ্রান্ত, চিলির মন্টে ভার্দে নামক জায়গায় প্রায় ১৮,৫০০ বছর আগে পৌঁছেছিল।


মানবজাতির এই বৈশ্বিক বিস্তার ছিল একটি দীর্ঘ, জটিল, এবং বিপদে ভরা যাত্রা। জলবায়ু, রোগ, শিকার, প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবকিছু মোকাবিলা করে হোমো সেপিয়েন্সরা এক এক করে পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় পৌঁছেছে। এই যাত্রায় তারা শুধু টিকে থাকেনি, বরং বিবর্তনের ইতিহাসে এককভাবে টিকে থাকা একমাত্র মানব প্রজাতি হিসেবে আজকের পৃথিবীতে পৌঁছেছে।

প্রতিটি নতুন আবিষ্কার নতুন ফসিল, ডিএনএ বা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এই গল্পকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলছে। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা এক বিশাল অভিযানের উত্তরসূরি যা আজও অব্যাহত।


✍️ Imam Hossain Anjir  

Team Science&Experiment

আমার ১ কোটি টাকা আছে, আমি ব্যাংক থেকে আরো ১ কোটি টাকা লোন নিলাম,

 আমার ১ কোটি টাকা আছে, আমি ব্যাংক থেকে আরো ১ কোটি টাকা লোন নিলাম,


মোট ২ কোটি টাকা দিয়ে একটা বিস্কুট কোম্পানি বানালাম, এর নাম দিলাম "ABC Limited" .


এবার একটা মার্চেন্ট ব্যাংকে গেলাম, সোনালী ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বললাম আমার বিস্কুট কোম্পানি ABC Limited কে স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করতে চাই,


কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জ এর নিয়ম হচ্ছে মিনিমাম ৪০ কোটি টাকার নিচের কোন পেইড-আপ ক্যাপিটাল এর কোম্পানিকে লিস্টেড করা যায় না, কিন্তু আমার কোম্পানি তো মাত্র ২ কোটি টাকার কোম্পানি!!


মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, "সমস্যা নাই ভাই, আপনার কোম্পানি আমরা লিস্টেড করে দিবো, কিন্তু শর্ত হচ্ছে আপনি আমাকে ৮ কোটি টাকা দিবেন, আমি কষ্ট করবো, আমার পারিশ্রমিক হিসাবে আপনি আমাকে আলাদা ২ কোটি টাকা দিবেন, এইটা আবার আমার ব্যাঙ্ক যেন না জানে, টোটাল ১০ কোটি টাকা".


আমি জবাব দিলাম, " আমি কিভাবে ১০ কোটি টাকা দিবো !!"


মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, "আপনার নিজের পকেট থেকে এক টাকাও দিতে হবে না, আমরা মার্কেট থেকে আপনাকে টাকা তুলে দিবো, আপনি ওখান থেকে আমাকে ১০ কোটি টাকা দিবেন, আপনি আপনার ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার বিক্রি করবেন আর বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার নিজের কাছে রেখে দিবেন".


আমি ওনার শর্তে রাজি হলাম,


এবার ওই মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন অডিট ফার্ম এ গেলো, গিয়ে বললো," এই ABC Limited স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করবো".


অডিট ফার্ম বললো, " কি করতে হবে শুধু হুকুম করেন".


হেড অফ অপারেশন বললেন, "বেশি কিছু না, কেবল এই ২ কোটি টাকার কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা ভ্যালুয়েশন করে দেখাতে হবে".


অডিট ফার্ম বললো," কোনো সমস্যা নাই, তবে বস এবার কিন্তু একটু বাড়িয়ে দিতে হবে, স্টাফদের স্যালারি দিয়ে মাস শেষে লোকসান হচ্ছে, এবার ২ কোটি টাকার নিচে পারবো না ". শেষ পর্যন্ত নেগোসিয়েশন করে ১ কোটি টাকায় রাজি হলো ২ জন.


এবার হেড অফ অপারেশন সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান এর পিওনকে ফোন দিল ( পিওন ভেবে অর্ডিনারি পিওন ভাবার সুযোগ নাই, এই পিওন বাকি ১০০ টা পিওনের মতো অর্ডিনারি পিওন না , এই পিওন অনেক পাওয়ারফুল). পিওনকে বল্লো নতুন একটা বিস্কুট কোম্পানি মার্কেটে লিস্টেড করতে হবে, কাজ টা করে দিতে হবে, পিওন বললো, " স্যার কিন্তু এখন ২.২০ কোটি টাকার নিচে কোনো কাজ পাশ করে না, এর নিচে কাজ হবে না, আর জিনিষপাতির দাম বাড়ছে, বউ বাচ্চা নিয়ে না খাওয়ার অবস্থা, মেয়েটার ভার্সিটির বেতন বাকি পড়ছে আমার দিক একটু দেইখেন."


হেড অফ অপারেশন বললো, "ওকে ডিল ফাইনাল কাজ করে দেন"


হেড অফ অপারেশন এবার স্টক এক্সচেঞ্জ এর টপ লেভেল এ যোগাযোগ করলো, বলল, " এই বিস্কুট কোম্পানি অপ্প্রভ করে দিতে হবে".


স্টক এক্সচেঞ্জ বললো, " ঠিক আছে কিন্তু ২ কোটি টাকা নিব, এর নিচে হবে না"


২ জনে রাজি হলো, ডিল ফাইনাল


এবার ২ কোটি টাকার বিস্কুট কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা দেখিয়ে আইপিওর জন্য এপলাই করা হলো, ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার মানে ২০ কোটি টাকার শেয়ার মার্কেট এ ছাড়া হলো, প্রিমিয়াম প্রাইস ৫ টাকা যোগ করে, সো ৩০ কোটি টাকা.


মানে ১ কোটি টাকার অরিজিনাল শেয়ার বিক্রি করে মার্কেট থেকে তোলা হলো ৩০ কোটি টাকা.


এবার আমি আমার কথা মতো ১০ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক এর মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বুঝিয়ে দিলাম, আর বাকি টাকা আমার, মানে আমার পকেটে ঢুকলো ২০ কোটি টাকা.


হেড অফ অপারেশন স্টক এক্সচেঞ্জকে ২ কোটি টাকা দিলো, আর স্টক এক্সচেঞ্জ এ যারা আছে তারা এই ২ কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলো, অডিট ফার্মকে দিলো আরো ১ কোটি টাকা,আর বাকি টাকা সোনালী ব্যাংক এর কমিশন হিসাবে নিলো, নিজের জন্য বাকি টাকা.


আর ২.২০ কোটি টাকা দিলো সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর চেয়ারম্যান এর পিওনকে, সাথে পিওনের মেয়ের ভার্সিটির বকেয়া বেতন বাবদ দিলে আরো ১০ লক্ষ টাকা


পিওন তার স্যারকে বলল, " স্যার দুনিয়ায় এখন আর মানুষ নাই, সব অমানুষ হয়ে গেছে, আমাকে বলছিলো ২ কোটি টাকা দিবে কিন্তু ২০ লক্ষ টাকা কম দিছে, আমারে বলছিলো কিছু টাকা দিবে, একটা টাকাও দিলো না স্যার". সে তার স্যারকে ১.৮০ কোটি টাকা দিলো, স্যার পিওনকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজের কাছে ১ কোটি টাকা রেখে বাকি টাকা কয়েকটা খামে ভরে তার কলিগদেরকে পাঠিয়ে দিলো


এইটুকু পর্যন্ত অনিয়ম আর কারসাজির প্রথম স্টেজ শেষ,


এবার দ্বিতীয় স্টেজ,


ABC Limited মার্কেট এ লিস্টেড হলো আর আইপিও প্রাইস হলো ১৫ টাকা.


ট্রেড শুরু হলো, এক একটা ১৫ টাকার শেয়ার পাবলিক ৫০ টাকা করে বাই করলো,


আমার তো মাথা খারাপ, আমার বাকি অরিজিনাল ১ কোটি টাকার শেয়ার এর মার্কেট ভ্যালু ১০০ কোটি টাকা !!! আর অলরেডি তো ২০ কোটি টাকা পকেটে ঢুকাইছি, এবার আমি আমার বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার ও বিক্রি করা শুরু করলাম, কিন্তু এতো শেয়ার বিক্রি করবো, পাবলিক তো খাবে না, তাই একাউন্টেন্টকে বললাম, " লাস্ট ৩ মাসের আর্নিং দেখাও ২.৪০ কোটি টাকা লাভ".


একাউন্টেন্ট বললো, " স্যার, সারা বছর কোম্পানি লাভ করে ১.২০ কোটি টাকা, আর ৩ মাসে কিভাবে ২.৪০ কোটি টাকা লাভ দেখাবো?".


আমি জবাব দিলাম, " ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে কি নকল করে পাশ করছো? ৩ মাসের লাভ দেখাবা ২.৪০ কোটি টাকা, এরপরের ৯ মাসের আর্নিং এ ১.২০ কোটি টাকা লস দেখিয়ে এডজাস্ট করে দিবা,সোজা হিসাব."


মাত্র ১ পিস্ শেয়ার মানে ১০ টাকার একটা শেয়ার কেবল নিজের কাছে রাখলাম, আর বাকি সব শেয়ার বিক্রি করে দিলাম, নিজের পকেট এ ঢুকলাম আরো ১০০ কোটি.


পাব্লিকের থেকে খাওয়ার আর কিছু নাই,


এবার কোম্পানি ফোকাস করা শুরু করলাম,


ABC Limited প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা প্রফিট করছে.


আমি কোম্পানির এম.ডি. হিসাবে নিজের স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ৪০ লক্ষ টাকা, বৌ কে বানালাম চেয়ারম্যান, বউ এর স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ৫০ লক্ষ টাকা, ছেলে মেয়ে ২ টা আছে, ২ টা কে আরো ২ টা পোস্ট দিয়ে ওদের স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ১০ লক্ষ্য টাকা, টোটাল ১ কোটি টাকা আমার ফ্যামিলি স্যালারী/রেমুনারেশন বাবদই নেয়া শুরু করলাম, ABC বিস্কুট কোম্পানির আরো ২০ লক্ষ টাকা লাভ বাকি আছে, এইটা কিভাবে নেয়া যায়!!


কোম্পানির জন্য কষ্ট করতেছি কোম্পানি আমাকে বাড়ি ভাড়া দিবে না? নিজের বাড়িতে থাকি তো কি হইসে!! অন্য কোথাও থাকলে তো ভাড়া দিতে হতো, কোম্পানি থেকে বছরে ১০ লক্ষ টাকা বাড়ি ভাড়া বাবদ চার্জ করলাম, অফিস এ কষ্ট করে আসতেছি আমার ড্রাইভার কত কষ্ট করে গাড়ি চালায় ওর একটা বেতন আছে না? ড্রাইভার এর বেতন ৫ লক্ষ টাকা, গাড়ির তেল খরচ আরো হাবি জাবি খরচ কে দিবে!! ঐটাও আরো ৫ লক্ষ্য টাকা, বাসায় থাকলেই হবে!! খাওয়া দাওয়া করতে হবে না!! বাজার খরচ, কাজের বুয়ার বেতন গ্যাস বিল পানির বিল, ইলেকট্রিসিটি বিল কে দিবে!! ঐটাও আরো ৫ লক্ষ্য টাকা


এলাকার ছেলেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করছে, আমি প্রধান অতিথি, ওখানে টাকা চাঁদা দিতে হবে না!! শুধু টাকা কামালে হবে!! সমাজের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব আছে না? সোশ্যাল ওয়ার্ক বাবদ আরো ৫ লক্ষ টাকা.


বউ বললো গাড়ি পুরানো হয়ে গেছে, এই গাড়িতে হবেনা নিউ মডেলের গাড়ি লাগবে, গাড়ি কিনে দিবো বৌ কে, কোম্পানির ব্যাংক এর রিজার্ভ এর টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে দিলাম আর বাকি টাকা কোম্পানির নামে লোন, বিল করলাম কোম্পানির স্টাফদের ট্রান্সপোর্টেশন বাবদ বরাদ্দ, বাসার ফার্নিচার গুলা পুরানো হয়ে গেছে, নতুন ফার্নিচার দরকার, কোম্পানি থেকে টাকা নিয়ে বাসার ফার্নিচার কিনলাম, বিল করলাম অফিস এর সৌন্দর্য বর্ধন বাবদ বরাদ্দ, এমনকি নিজের ব্যবহার করা আন্ডার-গার্মেন্ট এর টাকা টাও পর্যন্ত কোম্পানি থেকে বিল করে নেই,


আমাদের স্যালারি নেয়ার পর খরচ দাঁড়ালো আরো ৮০ লক্ষ টাকা,

ABC Limited বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা প্রফিট করছে,

কিন্তু খরচ ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মানে কোম্পানির উল্টো লোকসান ৬০ লক্ষ টাকা,


দ্বিতীয় স্টেজ শেষ,


এবার তৃতীয় স্টেজ,


স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন মাসে মাসে ফি দিবো!! ধুর ফি দিবো না, যা পারে করুক, ৬ মাস পর স্টক এক্সচেঞ্জ ABC Limited কে ডিলিস্টেড করে দিলো, এবার আমি দেখলাম আগের মতো আর বিস্কুট ও বিক্রি হয় না, প্রফিট খুব কম, এক কাজ করি ২ কোটি টাকার কোম্পানি এইটা দেখি বিক্রি করতে পারি কিনা ১.৫ কোটি টাকায়,


ABC Limited কে বিক্রি করতে যাবো, কোম্পানির ম্যানেজার বললো," স্যার আপনার কাছে তো কোনো শেয়ার নাই, সব তো আপনি পাব্লিককেই বিক্রি করে দিছেন, তাহলে আপনি কোম্পানি বিক্রি করবেন কিভাবে? আর ব্যাংক ও তো আপনার কাছে ১ কোটি টাকা পায়" .


আমি জবাব দিলাম, " আরে ধুর এইটা বাংলাদেশ, ওই ১ কোটি টাকা ব্যাংককে আজীবন বাকির খাতায় লিখে রাখতে বল".

"আর পাবলিক !!পাবলিক কোর্ট এ দৌড়াবে, রায় আসতে আসতে ওদের নাতি-পুতিও দুনিয়া থেকে চলে যাবে, বুঝ নাই ব্যাপারটা??"


এভাবেই দরবেশ রা হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা আমাদের দেশের শেয়ার ব্যাজার থেকেে আর দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে | আমরা হারিয়ে ছি সর্বস্ব।কেউ কেউ আত্মহত্যার মত নির্মম পথ বেছে নিয়েছে। সাবাশ বাংলাদেশ এগিয়ে যাও |

অর্থবিত্ত হওয়া সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দেইনি

 অর্থবিত্ত হওয়া সত্ত্বেও আমি আমার একমাত্র ছেলেকে কখনো দশ টাকার বেশি টিফিন খরচ দেইনি। সে বরাবরই তার বন্ধুদের দেখিয়ে বলে বাবা দেখো আজ সে কতো ব্রাণ্ডেড ঘড়িটা পরে এসেছে। বাবা দেখো তার স্কুল ব্যাগটা ইম্পোর্টেট। সুন্দর না বাবা! 

আমি মাথা নাড়িয়ে শুধু সম্মতি জানাই।

আমার ছেলের সাহস কিন্তু হয়নি কখনো সেম জিনিসটা চাওয়ার। একদিন তার পায়ে সামান্য ব্যথা। স্কুল যাওয়ার সময় বললো বাবা আমাকে তোমার সাথে অফিসের গাড়িতে নিয়ে স্কুলে নামিয়ে দেবে? 

আমি তার সমস্যার কথা বিবেচনা করে বললাম ঠিক আছে। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ সে আমার সাথেই গেলো। আমি চুপচাপ তাকে নামিয়ে দিতাম। আমার ছেলের এখন দেখছি হেঁটে যেতে ইচ্ছে করছেনা। পরেরদিন সকালে আমাকে বলার আগে আমিই বলে দিলাম অফিসিয়াল জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ। বাড়ি থেকে স্কুল দশ মিনিটের পথ নির্দিষ্ট সময়ের আরোও কিছুক্ষণ আগে বের হবে হেঁটে যেতে পারবে।  ছেলে আমার প্রচন্ড মন খারাপ করে বসে রইলো।

এদিকে আমার স্ত্রীও মন খারাপ করেছে। কেনো করি এমন! এর উত্তর জানা নেই।

আজ সন্ধ্যায় ছেলে আমার বাড়িতে এসেই বলেছে জানো আমার বন্ধু শহরের সবচেয়ে সেরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আমিও ………

বলার আগেই আমি তাকে থামিয়ে জানতে চাইলাম বাবা প্রতিষ্ঠান সেরা হয় নাকি ছাত্র? ধরো আমি তোমায় সে স্কুলে দিলাম কিন্তু তুমি ফেল করলে কোনো সাবজেক্টে তাহলে আমি কি বলবো তুমি ফেল নাকি স্কুল? 

ছেলে বললো বুঝেছি বাবা।

আমি তার মাথায় হাত দিয়ে বললাম এই পর্যন্ত তোমার ক্লাসের কোনো ছেলেই তোমাকে টপকে যেতে পারেনি। তুমিই ফার্স্ট বয়। সুতরাং তুমি যেখানে সেরাটা দেবে সেই স্থানই সেরা তোমার মতো। 

এরপর সে আর এরকম কোনো কথা বলেনি।

আজ বিকেলে ছেলে বলছে বাবা একজন এক্সট্রা টিউটর দরকার। আমার ম্যাথ ইংলিশে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি ছেলেকে বললাম বাবা একটু কষ্ট করতে হবে। আমি যখন রাত করে বাড়িতে ফিরবো ন'টা কিংবা দশটায় আমার কাছেই তোমাকে ম্যাথ আর ইংলিশ করতে হবে।

বাবা তুমি পরিশ্রম করে বাড়ি আসো তাই না? 

আমি হেসে বললাম,  না বাবা। আমার কাছে এতো সামর্থ্য নেই তোমাকে এক্সট্রা টিউটর দেওয়ার। আমি বরং একটু কষ্ট করি। কি বলো?

ছেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো ঠিক আছে বাবা।

স্ত্রী রাতেরবেলা জিজ্ঞেস করলেন তুমি এরকম দশটা টিউটর রাখতে পারো কিন্তু!  

কিন্তু আমি চাই আমার সন্তান বুঝুক আরাম করে কিছু পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনে অভাব আসলে তা কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সে বুঝুক ও সে শিখুক। কোনো কিছুই মন্দ নয় সে বুঝুক।

আমার স্ত্রী চুপ হয়ে গেলেন। 

মাঝেমাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে আমি ফুটপাতে হাঁটি। পথশিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের সম্পর্কে জানাই। সে জানুক পৃথিবী শুধু চিন্তায় সুন্দর। বাস্তবে খুব কঠিন। 

আমি চাওয়া মাত্রই তাকে কিছু দেইনি। একদিন সে বলেছিলো বাবা তুমি এরকম কেনো?  

তাকে বলেছিলাম সময় হলে বুঝবে।

দুই তিন আগে সে ইলিশ ও মাংস পোলাও খাবে।

তাকে বললাম টাকাতো কম। তোমার কাছে কিছু আছে? থাকলে ইলিশ আনা যাবে। ছেলে আমার পঞ্চাশটি দশ টাকার নোট বের করে দিল। আমি অবাক হয়ে বললাম তুমি খরচ করোনি? 

সে মুচকি হাসি দিয়ে বললো, না বাবা। জমিয়েছি। আমার পরিচিত এক বন্ধু স্কুলে না খেয়েই আসে। কোনো টাকাও নেই তার কাছে। আসলে সে খুব অসহায় বাবা। আমি মাঝে তাকে ক্ষুধার্ত দেখে বুঝতে পারি সেদিনই তার সাথে খাই কারন তখন সে না করে না। অন্যান্য দিনগুলো টাকা খরচ করিনা। জমিয়ে রাখি কারন বাড়ি থেকে মা যা দেয় তাতো যথেষ্ট কারন কিছু মানুষ সামান্যটুকুও পায় না।

আমি ছেলের দিকে তাকিয়ে আছি।

সেই গুছানো টাকা নিয়ে আরোও টাকা মিলিয়ে ইলিশ এনে ছেলেকে ইলিশ মাংস পোলাও খাওয়ালাম। ইচ্ছে করেই অভাব অনুভব করাই যাতে সে বুঝুক জীবনটা কঠিন। অনেক কঠিন। 

পূজোর বাজারে গিয়ে তাকে বলেছি সাধ্যের মধ্যে নিতে। সে একটা প্যান্ট নিয়েছে শুধু। জানতে চাইলে বলে তোমার জন্য পাঞ্জাবি আর মায়ের জন্য শাড়ি নিয়েছি।

আমি হাসলাম। 

সে বুঝতে শিখেছে টাকা কিভাবে খরচ করতে হয়।

একদিন বসে বসে বলছে বাবা সায়নটা আর মানুষ হলো না অথচ আংকেল তার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। যা চেয়েছে সে, তার সবটাই তাকে দিয়েছেন। আমি ছেলেকে বললাম আমি কি তোমাকে কিছু দিতে পারিনি? 

ছেলে আমার কোলে মাথা রেখে বললো প্রতিটা চাহিদা পূরন করে শিখিয়েছ অভাবে যেন স্বভাব নষ্ট না হয়।  তুমি জীবনের যে শিক্ষা দিয়েছ বাবা তা সব কিছুর উর্ধে। তুমি শিখিয়েছ অভাবকে কিভাবে ভালবাসতে হয়। আমি এখনো জানি আমার বাবার আমি ছাড়া কিছু নাই। বাকীটা আমাকে করে নিতে হবে। সবকিছু ইউটিলাইজ করতে হবে।  আমি সাধারণ জামাকাপড়েও হীনমন্যতায় ভুগি না বাবা। কারন আমি জানি আমি কে! 

তোমার দেয়া শিক্ষা আমি সারাজীবন ধরে রাখবো বাবা। চাওয়া মাত্রই পেয়ে গেলে আমি কখনো জানতামই না পঞ্চাশ দিন না খেয়ে টিফিন মানি জমালে পাঁচশো টাকা জমা হয়। তুমি আছো বলেই সম্ভব। আমি মানুষকে মানুষের চোখে দেখি। আমি বুঝি জীবন কতো কঠিন। 

আমার স্ত্রী নিজের থেকেই আজ খুব খুশি।  বুঝতে পেরেছেন আমার উদ্দেশ্যটা। 

প্রায় দশ বছর পর ছেলে প্রাইভেট কার কিনেছে নিজের রোজগারে। হাসতে হাসতে বলে বিগত পাঁচ বছরে টিফিনের টাকা আর বোনাসের টাকা জমিয়ে এটা কিনেছি।

বুঝতে পেরেছিলাম ছেলে আমার সঞ্চয়ী হয়েছে। সাথে হয়েছে মানুষও।

সপ্তাহখানিক পর যাবতীয় সম্পত্তি তার নামে লিখে দিয়ে বললাম সামলে রেখো। ছেলে দলিল আমার হাতে দিয়ে বললো তোমরা সাথে থেকো। আর কিছু লাগবে না। 

আজ তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমার স্ত্রী নীলিমাকে বললাম দেখেছো আমি ভুল করিনি। আমি আমার সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাটাই দিয়েছি যেমনটা আমার বাবা দিয়েছিলেন আমাকে। আমি অভাবে সন্তানকে লজ্জিত হওয়া নয় বরং দৃঢ় থাকতে শিখিয়েছি।


Collected.

নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে।

 🏖️নির্দিষ্ট একক মানসিক লক্ষণে ৫০টি হোমিও ঔষধ যেগুলো সংরক্ষণ করার মত,ঘরোয়া সমাধানের জন্য শেয়ার করে রাখতে পারেন, জরুরী মুহূর্তে কাজে লাগবে। ...