⭕ শ্বাসযন্ত্রের 25-টি গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তাদের প্রধান লক্ষণসহ।
🫁 শ্বাসযন্ত্রের রোগে ব্যবহৃত ২৫টি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ:
🧪1. Aconitum Napellus
লক্ষণ: হঠাৎ ঠান্ডা হাওয়ায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট, ভয়, উদ্বেগ, বুক জ্বালাপোড়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস।
ব্যবহার: ঠান্ডা লাগার শুরুতেই।
🧪2. Belladonna
লক্ষণ: হঠাৎ জ্বর, মুখ লাল, বুকের ভেতর তাপ, গলা ব্যথা, কাশি শুকনো ও তীব্র।
ব্যবহার: আকস্মিক ইনফ্ল্যামেশন ( যেমন টনসিল, ব্রঙ্কাইটিস )।
🧪3. Bryonia Alba
লক্ষণ: শুকনো কাশি, সামান্য নড়লেই কষ্ট বাড়ে, বুক ফাটার মতো ব্যথা, গলা শুকনো।
ব্যবহার: শুকনো ব্রঙ্কাইটিস বা শুষ্ক নিউমোনিয়া।
🧪4. Antimonium Tartaricum
লক্ষণ: কফ জমে আছে কিন্তু উঠছে না, শ্বাস নিতে কষ্ট, বুক ঘড়ঘড় শব্দ।
ব্যবহার: ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, বৃদ্ধ বা শিশুদের শ্বাসকষ্টে।
🧪5. Arsenicum Album
লক্ষণ: রাতের দিকে কাশি বাড়ে, শ্বাসকষ্টে আতঙ্ক, ঠান্ডা লাগলে বাড়ে, দুর্বলতা।
ব্যবহার: অ্যাজমা, ঠান্ডা-জনিত শ্বাসরোগ।
🧪6. Spongia Tosta
লক্ষণ: শুকনো, কর্কশ, কাঠ কাটা ধরনের কাশি, শ্বাসে শব্দ।
ব্যবহার: ল্যারিনজাইটিস, শুকনো কাশি।
🧪7. Hepar Sulphuris
লক্ষণ: ঠান্ডা বাতাসে কাশি বাড়ে, সামান্য ঠান্ডায়ও শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, পুঁজযুক্ত কফ।
ব্যবহার: টনসিল, ল্যারিনজাইটিস, কণ্ঠরোগ।
🧪 8. Kali Bichromicum
লক্ষণ: ঘন, দড়ির মতো কফ, বুক ভারি, সাইনাস থেকে নামা স্রাব।
ব্যবহার: ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, সাইনুসাইটিস।
🧪9. Pulsatilla Nigricans
লক্ষণ: ঘন হলুদ বা সবুজ কফ, বাতাসে চললে ভালো লাগে, ঘরের ভিতর কষ্ট বাড়ে।
ব্যবহার: ঠান্ডা, কাশি, সর্দি।
🧪10. Phosphorus
লক্ষণ: বুক জ্বালা, কথা বললে কাশি, ঠান্ডা পানিতে কাশি বাড়ে, কণ্ঠস্বর ভাঙা।
ব্যবহার: ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, টিবি।
🧪 11. Ipecacuanha
লক্ষণ: ক্রমাগত কাশি, বমি হয়, কফ উঠছে না, শ্বাস আটকে যায়।
ব্যবহার: শিশুদের কাশি, ব্রঙ্কোস্পাজম।
🧪12. Drosera Rotundifolia
লক্ষণ: রাতের দিকে কাশি, একটার পর একটা কাশি, বমি বা নাক থেকে রক্ত।
ব্যবহার: হুপিং কাশি ( Whooping Cough )।
🧪 13. Rumex Crispus
লক্ষণ: ঠান্ডা বাতাসে কাশি, গলা চুলকায়, শুকনো কাশি।
ব্যবহার: গলার টিকলিং-জনিত কাশি।
🧪 14. Sambucus Nigra
লক্ষণ: রাতে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, বিশেষত শিশুদের সর্দি জমে শ্বাস আটকে যায়।
ব্যবহার: শিশুদের নাসারন্ধ্র বন্ধ।
🧪 15. Natrum Sulphuricum
লক্ষণ: ভেজা আবহাওয়ায় কাশি বাড়ে, হলুদ-সবুজ কফ, বুক ভারি লাগে।
ব্যবহার: ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা।
🧪 16. Calcarea Carb
লক্ষণ: ঠান্ডায় কাশি বাড়ে, সহজে ঘাম, মোটা বা ফর্সা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি।
ব্যবহার: ঠান্ডাজনিত কাশি, টিবি প্রবণ শিশু।
🧪 17. Sulphur
লক্ষণ: সকালবেলা কাশি, বুক জ্বলে, কফ পুঁজযুক্ত।
ব্যবহার: ক্রনিক কাশি বা অ্যাজমার পরবর্তী দুর্বলতা।
🧪 18. Carbo Vegetabilis
লক্ষণ: শ্বাস নিতে কষ্ট, ঠান্ডা ঘাম, মুখ নীলচে, দুর্বলতা।
ব্যবহার: শ্বাসযন্ত্র ব্যর্থতার (Respiratory failure) আশঙ্কায়।
🧪 19. Blatta Orientalis
লক্ষণ: শ্বাসকষ্টে কফ জমে, আর্দ্রতা বা বৃষ্টিতে কষ্ট বাড়ে।
ব্যবহার: অ্যাজমা ও ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস।
🧪 20. Aspidosperma Quebracho
লক্ষণ: শ্বাস নিতে কষ্ট, অক্সিজেনের ঘাটতি, ফুসফুসে অক্সিজেনের প্রবাহ কমে।
ব্যবহার: শ্বাসপ্রশ্বাসের অক্ষমতা, COPD।
🧪 21. Lobelia Inflata
লক্ষণ: বুক ভারি, বমি বমি ভাব, ধূমপানজনিত কাশি।
ব্যবহার: স্মোকারদের কাশি, অ্যাজমা।
🧪 22. Senega
লক্ষণ: ঘন কফ জমে, কাশি দিলে বুক ব্যথা, বয়স্কদের কফ ওঠে না।
ব্যবহার: ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস, বয়স্কদের ফুসফুসজনিত সমস্যা।
🧪 23. Coccus Cacti
লক্ষণ: সকালে কফ জমে, লালচে ও ঘন, গলায় চুলকানি।
ব্যবহার: হুপিং কাশি, ব্রঙ্কাইটিস।
🧪 24. Ferrum Phosphoricum
লক্ষণ: রোগের প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর, হালকা কাশি, ইনফ্ল্যামেশন শুরু।
ব্যবহার: ঠান্ডা বা ব্রঙ্কাইটিসের প্রথম পর্যায়।
🧪 25. Tuberculinum
লক্ষণ: বারবার ঠান্ডা লাগে, দীর্ঘদিন কাশি, দুর্বলতা, ঘাম।
ব্যবহার: টিবি প্রবণ ব্যক্তি, পুনরাবৃত্ত শ্বাসরোগ।
⭕ ব্যবহারের সাধারণ নিয়ম:
🧪 পটেন্সি সাধারণত 6, 30, বা 200 — রোগের তীব্রতা অনুযায়ী।
🧪 তীব্র অবস্থায়: প্রতি ১-২ ঘণ্টা পরপর ১ ডোজ।
🧪 ক্রনিক রোগে: দিনে ১-২ বার।