এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

শরীরে #পানি_জমা/ #শোথ_রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-

 শরীরে #পানি_জমা/ #শোথ_রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-

                                


🟥 শোথ রোগ কি ?


দেহের কোষের দোষে, হৃৎপিন্ডের পীড়া, যকৃতের দোষ, অধিক মদ্যপান, সর্বাঙ্গীণ দুর্বলতা, অজীর্ণ, আমাশয়, রক্ত স্বল্পতা বা কোন কঠিন রোগ ভোগের সর্বশরীরে  পানি জমা (শোথ) আলাদা কোন রোগ নয়, এটি অন্য রোগের লক্ষণ মাত্র। শোথ হইবার নানা বিধ কারণ থাকিতে পারে। হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক হ্যানিম্যান বলেছেন দেহের ভিতরে প্রদাহ, অধিক রক্তক্ষরণ, মূত্র গ্রন্থির পীড়ায় শরীরে পানি জমে। যদি নিজেকে মাঝে মাঝে স্ফীত মনে হয় বা হাত, পা ও মুখমণ্ডল ফোলা ফোলা লাগে তবে ধারনা করা যেতে পারে শরীরে কোনো কারণে পানি জমছে।


🟥 শোথের লক্ষণসমুহ


১। আক্রান্ত স্থান স্ফীত হয় এবং সর্বাঙ্গ ধীরে ধীরে ফুলে উঠে।

২। আক্রান্ত স্থানে আঙ্গুল দিয়ে টিপলে গর্ত হয় এবং আঙ্গুল তুলে নিলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঐ গর্ত থাকে পরে মিলে যায়।

৩। চর্ম ফ্যাকাসে, উজ্জল ও শীতল হয়।

৪। অতিশয় দুর্বলতা, ক্ষুধাহীনতা ও পিপাসা বৃদ্ধি পায়।

৫। উদরাময়, মুত্র স্বল্পতা ও লালবর্ণের মুত্র।

৬। শোথ কোন নির্দিষ্ট রোগ নয়,অন্যরোগের উপসর্গ।

৭। রক্তে জলীয় অংশ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দেহ কোষগুলো প্রথমে আক্রান্ত হয়। দিনের বেলায় পদদ্বয়ে শোথ বৃদ্ধি এবং রাতে পায়ের শোথ ভাব কম থাকে।

৮। শ্বাসকষ্ট, উদরাময়, হাঁপানি বোধ। ঘর্মরোধ, পিপাসা এবং নড়াচড়া করতে কষ্ট।


🟥 শোথের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধ -


🟦 ডিজিটেলিসঃ  এই ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে প্রথমে হৃৎপিণ্ডের নাড়ীর গতি ভাল করিয়া জানা আবশ্যক, কারন ইহাতে নাড়ী ও হৃৎপিণ্ড অত্যন্ত দুর্বল থাকে, নাড়ীর প্রতিঘাত (beat) মিনিটে ৩০/৪০ বার পর্যন্ত এবং ৩য়, ৫ম, অথবা ৭ম আঘাত বিলুপ্ত হয়, হৃৎপিণ্ডের ও নাড়ীর এই প্রকার অবস্থা না থাকিলে ডিজিটেলিস প্রয়োগে বিশেষ ফল হইবে না। সাধারণ শোথ ও উদরীতে কেবলমাত্র রোগীর প্রস্রাবের উপর লক্ষ্য রাখিয়া অনেক স্থলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।


🟦 লিয়াট্রিসঃ সর্বাঙ্গীণ শোথ অর্থাৎ সমস্ত শরীর ফুলা প্রস্রাব পরিমানে কম। এর ফলে প্রস্রাবের পরিমান বৃদ্ধির মাধ্যমে শোথ রোগ আরোগ্য হয়।


🟦 অক্সিডেনড্রনঃ সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গের শোথ ও ফোলা, পেটে পানি জমা, শ্বাস কষ্ট, প্রস্রাব অল্প ইত্যাদি লক্ষনে ব্যাবহার করলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।


🟦 এপোসাইনামঃ হৃৎপিন্ডের রোগসহ সকল প্রকার শোথেই ইহা উপকারী। ইহাতে মতিস্কের অত্যন্ত গোলযোগ থাকে, মাথা খুব ভারী হয়, নাড়ী অত্যন্ত ক্ষীণ, কোষ্ঠবদ্ধ, প্রস্রাব অতি অল্প, প্রস্রাব ঘোলা ও গরম, প্রস্রাবে ঘন শ্লেষ্মা, অনেক সময় প্রস্রাব অসাড়ে নির্গত হয়, বুকে পিঠে চাপবোধ, কিছু খাইলে নিশ্বাস ফেলিতে কষ্ট হয়, নিশ্বাস জোরে টানিয়া ফেলে, বুকে বেদনা ও হৃৎপিণ্ডের মধ্যে এক প্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা হয়, নাড়ী সবিরাম কিম্বা অত্যন্ত দুর্বল অথবা একেবারে পাওয়া যায় না। শোথ রোগের জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। অত্যন্ত পানি পিপাসা ও পানের পরই বমি বমি ভাব। প্রস্রাবের পরিমান কম, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট। হৃদরোগ বা কিডনির পীড়া জনিত শোথে ইহা অধিক উপকারী। পেট বেদনা করে, রোগী যেদিকে চাপিয়া শোয় সেই দিক অধিক ফোলে।


🟦 লাইকোপোডিয়ামঃ লিভার পীড়াগ্রস্ত ব্যাক্তিগণের শোথরোগে লাইকোপোডিয়াম উপকারী। কোনও শোথ রোগে পায়ে অধিক ফোলা থাকিলেও সেই ফোলার উপর ঘা থাকিলে ইহা আরও অধিক উপযোগী।লাইকোপোডিয়ামে রোগীর উপরার্ধ যেমন– হাত, মুখ, বুক, গলা ইত্যাদি শুষ্ক শীর্ণ এবং নিম্নাঙ্গ যেমন পেট, পাছা, পা ইত্যাদি খুব ভারিবোধ ও অত্যন্ত ফোলা-ফোলা দেখায়। হৃৎপিণ্ডের পীড়াজনিত শোথে ইহা আর্সেনিক প্রভৃতি অন্যান্য ঔষধ অপেক্ষাও অনেক সময়ে অধিক উপকার করে পেরিকার্ডিয়ামের ও প্লুরার শোথেও লাইকোপোডিয়াম উপকারী।


🟦 এপিস মেলঃ ইহাতে রোগীর পিপাসা থাকে না, প্রস্রাব অল্প পরিমাণে হয়, গায়ের চামড়া সাদাটে বা স্বচ্ছ দেখায়, চোখ, পা অধিক ফোলে রোগী আদৌ শুইতে পারে না।

অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট, একবার শ্বাস লইয়া মনে করে পরের বারে আর শ্বাস লইতে পারিবে না এই তাহার শেষ নিঃশ্বাস। চোখের নীচের পাতা অধিক ফোলে।


🟦  ঈগল ফোলিয়াঃ সর্বপ্রকার যান্ত্রিক রোগ সংযুক্ত শোথ, উদরী, স্বল্প প্রস্রাব, চোখ, মুখ, হাত পা, পেটফোলা, জ্বর, অরুচি এবং বহুদিন যাবৎ প্লীহা, পেটের অসুখ, আমাশয় ইত্যাদিতে ভুগিয়া বা মাঝে মাঝে ঐরূপ হইয়া ক্রমশঃ ফুলিয়া পড়িলে ইহাতে উপকার হইবে। বেরি-বেরি  রোগের ফোলাতেও ইহাতে উপকার হয়।


🟦 ডিজিটেলিসঃ হৃৎপিন্ডের পীরা জনিত শোথ, শ্বাস-প্রশ্বাসে অত্যন্ত কষ্ট, নাড়ির গতি অসম। চলিতে চলিতে হঠাৎ নাড়ি থামিয়া যায়। আবার চলিতে থাকে। তৃতীয় পঞ্চম কিংবা সপ্তম স্পনদন বিল্যুপ্ত হলে এটাই প্রধান ঔষধ।


🟦 আর্সেনিক এলবামঃ হাত, পা, পেট, সমস্ত দেহের শোথ বিশেষ করে মুখের চামড়া ফ্যাকাসে, নীল বা সবুজ আভা। খুব দুর্বলতা সামান্য নড়াচড়া করলে অবসন্নতা। রাতে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে, অস্থিরতা। খুব পিপাসা কিন্তু অল্প অল্প জলপান, হৃদপিণ্ডের শোথ।


🟦 এমন বেঞ্জোয়িকামঃ যে সকল ব্যাক্তির প্রস্রাবে এলবুমেন থাকে, প্রস্রাব অত্যন্ত অল্প পরিমাণে হয়,প্রস্রাব ধরিয়া রাখিলে ভিতরে ধোঁয়ার মত পদার্থ দেখিতে পাওয়া যায়,অত্যন্ত কটু গন্ধ থাকে, প্রস্রাব কখনও কখনও লালবর্ণ হয় এবং লালবর্ণের ঘন তলানি পড়ে, তাহাদের পীড়ায় ও শোথে ইহা অধিক উপকারী।


🟦 সাইরিকাঃ ইহা হৃৎপিণ্ডের ও কিডনি সম্বন্ধীয় কতিপয় পীড়ায়, শোথরোগে ও বাতে ব্যবহৃত হয়। ইহা সেবনে ঘর্ম ও প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, সেইজন্য ইহা সকল প্রকার শোথে, বিশেষতঃ হৃৎপিণ্ডের ও কিডনির পীড়া জনিত শোথরোগে অধিক উপকারী।


🟦 এম্পিলপসিসঃ প্রস্রাবের দোষজনিত শোথ, হাইড্রোসিল এবং স্ক্রুফুলাস ব্যক্তির পুরাতন গলাধরায় ইহা অধিক উপকারী। তদ্ভিন্ন  চক্ষুর পিউপিল বিস্তৃত, বামদিকের পাঁজরায় কষ্টাল প্রদেশে স্পর্শ কাতরতা তীক্ষ্ণ বেদনা, কনুইয়ের হাড়ে ও পিঠে এবং সমস্ত অঙ্গে বেদনা, বমি ও বাহ্যের সহিত কোঁথানি, পেটে গড়গড় শব্দ এই ঔষধের বিশিষ্ট লক্ষণ।


🟦 কোয়ার্কাস গ্ল্যাণ্ডিয়মঃ পুরাতন প্লীহা ও প্লীহাজনিত শোথ রোগে ইহা পূর্বে ব্যবহৃত হইত। মাথাঘোরা মাথায় শব্দ, কানে কম শোনা, কালা হওয়া, লিভার পীড়া ও শোথ,ম্যালেরিয়া জ্বরসহ পেটফাঁপা ইত্যাদিতে ইহা ব্যবহার্য।


🟦 থেরিডিয়নঃ স্নায়ুরবোধ শক্তির আধিক্য। ক্ষয়রোগ ধাতুগ্রস্ত ব্যক্তির উপরে ইহার বিশেষ কাজ। শির ঘূর্ণন, বমিসহ মাথা ঘোরা, হৃদপ্রদেশে অদ্ভুদ ধরণের বেদনা, রক্তস্রাবী যক্ষ্মারোগ, গণ্ডমালা প্রভৃতি বহু রোগে ইহা দ্বারা উপকার পাওয়া যায়।যে সকল ক্ষেত্রে নির্বাচিত ঔষধ দীর্ঘদিন কাজ করে না সেখানে ইহা বিশেষ উপকারী। পায়ের ফুলা, নিম্নাঙ্গে কামড়ানি বেদনা।


🟦 আর্জেন্ট ফসঃ শোথ রোগে ইহাতে প্রস্রাব নিঃসরণে সহায়তা করে।


🟦 এসেটিক এসিডঃ সর্বাঙ্গীণ শোথ কিম্বা উদরীর সহিত উদরাময় ও বমন কেবলমাত্র এসেটিক এসিডেই আছে, অন্য ঔষধে নাই।


🟦 হেলিবোরাসঃ হৃৎপিন্ডের গোলযোগের কারণে শোথ ও উদরীরোগে প্রস্রাব কালবর্ণ কিম্বা ঘোলা, পরিমাণে অত্যন্ত অল্প, প্রস্রাব ধরিয়া দেখিলে তাহাতে ধোঁয়ার মত পদার্থ ভাসে, তলানি কফি গুঁড়ার মত, বাহ্য আমমিশ্রিত, এই সমস্ত লক্ষণে হেলিবোরাস উপকারী।বক্ষশোথ  নিশ্বাসে ও বসিতে কষ্ট দমবন্ধভাব হয়।


🟦 ল্যাথাইরাসঃ পা ঝুলাইয়া চেয়ারে বা বেঞ্চিতে বসিয়া কাজ করিলেই পা ফুলিয়া উঠে।


🟦 স্যাম্বুকাসঃ কিডনির তরুণ প্রদাহ জনিত শোথরোগে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগসহ প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব হয় ও ঘন সেডিমেণ্ট থাকে।


🟥 শোথ রোগের রোগীর জন্য পরামর্শ

গর্ভাবস্থায় ও মাসিক চলাকালে হাতে-পায়ে ও মুখমণ্ডলে পানি আসতে পারে। এছাড়া অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মেনোপজ কিংবা থাইরয়েড, লিভার বা কিডনি সমস্যারলক্ষণও হতে পারে শরীরে পানি জমা। এরজন্য চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

তবে প্রাথমিকভাবে রেহাই পেতে রয়েছে ঘরোয়া কিছু পন্থা। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এসব উপায় উল্লেখ করা হয়। প্রচুর পানি পান করুন, যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করলে পানি জমা কমানো যায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন সমস্ত দিনের মধ্যে সুষমভাবে পানি পান করা হয়। কারণ একেবারে অধিক পানি পান করলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

লবণ ও চিনি খাওয়া কমান- লবণ কোষে পানি ধরে রাখে এবং লবণের আধিক্য শরীরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। অপর দিকে, চিনি দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে দেহ থেকে সোডিয়াম তথা লবণ নিষ্কাশন কমিয়ে দেয়। বেছে নিন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। ফার্মেসিতে ছুটে যাওয়ার আগে রান্নাঘরের দিকে একবার নজর দিন। ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। বাঁধাকপির কাঁচাপাতা, সবুজ চা, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, ধনিয়াপাতা, জিরা ইত্যাদি হতে পারে ঘরোয়া সমাধান।

রসুনঃ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে উপকার হতে পারে।এটি চর্বি ভাঙতেও সহায়তা করে।

বরফঃ একটি পাতলা কাপড়ে বেশ কয়েকটি বরফের টুকরা নিয়ে পানি জমা জায়গায় চেপে ধরুন। এটি কিছুটা প্রশান্তিদায়ক হতে পারে।

অ্যালকহল বর্জন করুন, অ্যালকোহল পান হতে পারে শরীরে পানি জমার কারণ। এটি শরীরে জোর করে অধিক পানি জমিয়ে রাখে।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ০৯-১২-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ০৯-১২-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম

.....................................................


* ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল সংক্রান্ত সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিতে রেকর্ড করা হবে আগামীকাল---জানালো নির্বাচন কমিশন

 

* ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট

 

* উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে--- জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

* নারী জাগরণের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ বছর বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন চার নারী

 

* মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা ও ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

 

* এবং আজ কটকে প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিক ভারত

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ০৮-১২-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ০৮-১২-২০২৫


আজকের  সংবাদ শিরোনাম

..................................................... * খাদ্যপণ্যে দূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ--সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান

 

* একই দিনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন---চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা

 

* ১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফেরার সুযোগ সৃষ্টি--একমাত্র বিএনপিই দেশকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করবে---বললেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

 

* জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ একশো ১৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন শুরু

 

* দেশে পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে সীমিত আকারে আমদানির অনুমতি।

 

* রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে আজ ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির নেতাদের সাথে বৈঠক করবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

 

* এবং ভারতের তামিলনাড়ুতে যুব বিশ্বকাপ হকিতে স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আজ অস্ট্রিয়ার মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ

বিজ্ঞান হোমিওপ্যাথি থেকে পিঁছিয়ে আছে......

 ১৯৯৬ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে আমেরিকান নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী এলি লোবেল ভয়ানক একটি  পোকার কামড়ে লাইম ডিজিজে আক্রান্ত হন। পরবর্তী ১৫ বছর তিনি হুইলচেয়ারে কাটান এবং জীবনের প্রতি সব আশা হারিয়ে ‘ইচ্ছামৃত্যু’ নিতে যান ক্যালিফোর্নিয়ার এক গ্রামে।


সেখানেই ঘটে এক বিস্ময়কর ঘটনা—এক ঝাঁক মৌমাছির হুলে আক্রান্ত হন তিনি। ছোটবেলায় মৌমাছির হুলে কোমায় যাওয়া এলির মনে হয়েছিল এবার বুঝি সব শেষ। কিন্তু উল্টো তাঁর শরীরে দেখা দেয় জ্বর ও ব্যথা, যা দেখায় যে শরীরের ভেতরের ব্যাকটেরিয়াগুলো মরতে শুরু করেছে (এই প্রতিক্রিয়াকে বলে Herxheimer Reaction)।


মাত্র তিন দিনের মধ্যেই এলির অবস্থার উন্নতি হতে থাকে—ব্যথা কমে, স্মৃতি ফিরে আসে, তিনি হাঁটতে শুরু করেন।


গবেষণায় জানা যায়, মৌমাছির বিষে থাকা Melittin নামের একটি উপাদান লাইম ডিজিজের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া (Borrelia burgdorferi) ধ্বংস করতে পারে। এরপর এলি নিজেই শুরু করেন অ্যাপিথেরাপি—প্রতিদিন কিছু মৌমাছির হুল প্রয়োগ করে নিজেকে চিকিৎসা করেন। কয়েক হাজার হুল নেওয়ার পর তিন বছরেই তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।


এখন তিনি মৌ-খামারে কাজ করেন এবং গবেষণা বলছে, মৌমাছির এই বিষ শুধু লাইম ডিজিজ নয়, এইচআইভি ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে।


তথ্যসূত্র: BBC Future


★যাই হোক এই ঘটনায় হোমিওপ্যাথতের  বিস্মিত  হওয়ার কিছু নেই। কারন আমরা "এপিস মেল" এর সাথে ২০০বছর আগেই পরিচিত। হোমিওপ্যাথি ২০০ বছর আগে যা আবিষ্কার করেছে তা বর্তমানে মানুষ আবিষ্কার করছে। সুতরাং বলতেই হয়, বিজ্ঞান হোমিওপ্যাথি থেকে পিঁছিয়ে আছে......

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

দন্তরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 🩺 দন্তরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 

👉 দন্তরোগ বা দাাঁতের পীড়া কি ?

দাঁত মানুষের অমূল্য সম্পদ।দাঁতের সাহায্যে মানুষ খাদ্যবস্তু চর্বন করে থাকে। চর্বন ক্রিয়ার সময় মুখ হতে লালা রস বের হয়ে খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশে পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।দাঁত সৌন্দর্যের অঙ্গ। দন্তহীন ব্যক্তিরা স্পষ্ট কথা বলতে পারে না এবং তাদের মুখের শ্রী নষ্ট হয়ে যায়। হজম কাজের সাহায্যের জন্য খাদ্যবস্তুকে টুকরা টুকরা করে গলধঃকরণ করাই দাঁতের কাজ।

দাঁতের গঠন জনিত ত্রুটি, দাঁতের অযত্ন, আঘাত, দাঁতের পোকা, বেশি গরম, শীতল খাদ্য, মিষ্টি ও টক খাদ্য গ্রহণ এবং অপরিষ্কার জনিত জীবাণু দূষণে দাঁতের গোড়া ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়।

দাঁতের রোগসমুহ


 মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া।

ঠান্ডা পানি খেলে শিরশির করা।

মুখে দূর্গন্ধ হওয়া।

অকালে দাঁত পড়া।

 দাঁতের ক্ষয় হওয়া।

আক্কেল দাঁত উঠা।

মাড়ি ফুলে যাওয়া।

দাঁতের সামনে পেছনে দাগ পড়া, দাঁতে পাথর হওয়া।


👉 দন্তক্ষয় রোগ/ পোকা খাওয়া


আহারের পর খাদ্যদ্রব্যের কিছু দাঁতের ফাঁকে অথবা আশেপাশে লেগে থাকতে পারে। সেখানে ব্যাকটেরিয়া নামক এক জাতীয় জীবাণু অম্লের উৎপত্তি করে। এ অম্ল দাঁতে সামান্য গর্তের সৃষ্টি করে। প্রতিষেধক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ গর্ত দিনে দিনে বড় হতে থাকে।


👉 দন্তরোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত সদৃশ ঔষধ নির্বাচন


💎 একোনাইট ন্যাপ

ঠান্ডা লাগিয়া হঠাৎ দাঁতে কনকনানি ব্যাথা। মাড়ি ফোলা,ছটফটানি অস্থিরতায় একনাইট প্রযোজ্য।


💎 মার্ক সল

দাঁতের মাড়ি ফোলা, ব্যাথা, মাড়িতে ঘা, রক্ত পড়ে, লালা ঝরে, মুখে দূর্গন্ধ, পোকা ধরা দাঁত ঠান্ডা পানিতে যন্ত্রনা বাড়ে, দাঁতের যন্ত্রনা রাতে বিছানার গরমে বৃদ্ধিতে এটি অব্যা্র্থ। দাঁতের আগা ক্ষয় হতে থাকলে এটি উপকারি।


💎 এন্টিম ক্রুড

পোকায় ধরা দাঁতের গর্তে  খাবার আটকালে বা ঠান্ডা পানি দাতে লাগলে যন্ত্রনা বাড়ে। সেই জন্য রোগী হা করিয়া গলার ভিতর পানি ঢেলে পান করে। জিহ্বায় সাদা প্রলেপ যুক্ত রোগীর জন্য এই ঔষধ অধিক উপকারি।


💎 কফিয়া

দাঁত বেদনায় চমৎকার ঔষধ, ঠান্ডা পানি মুখে রাখলে ব্যাথা কমে।মুখের ভেতর পানি গরম হলে যন্ত্রনা বাড়ে। তাই রোগী বারবার ঠান্ডা পানি মুখে দেয়।এই লক্ষনে কফিয়া অব্যার্থ।


💎 হেকলা লাভা

মাড়ী ফোলা, শূলনী ব্যাথা, মাড়িতে ক্ষত, পোকায়ধরা দাঁত, দাঁত আস্তে আস্তে ভাঙ্গিয়া যায়।দাঁত তোলার পর যন্ত্রনার উপসর্গে দাঁতের নালীর ঘায়ে এটি অব্যার্থ।


💎 এসিড ফ্লোর

পায়োরিয়া রোগের শ্রেষ্ঠ ঔষধ। দাঁতের মাড়িতে ঘা,পুঁজ পড়ে, মুখ দিয়া পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। ঠান্ডা পানি মুখে নিলে আরাম লাগে। গরমে যন্ত্রনা বৃদ্ধিতে এটি অমোঘ।


💎 কার্ডুয়াস মেরী

এটি পায়োরিয়া রোগের শ্রেষ্ঠ ঔষধ। মাড়ি ফুলে,মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, দাতের গোড়া আলগা হইয়া যায়। মাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পুঁজ বাহির হয়।


💎 ক্যামোমিলা

খিটখিটে বদমেজাজী রাগী।সামান্য কারনেই গালমন্দ করে। ঝগরাঝাটি লাগিয়ে বসে। এই ধরনের ধাতুর রোগীদের  দাঁতের ব্যাথায় ক্যামোমিলা অব্যার্থ।


💎 ক্রিয়জোট

শিশুদের দাঁত উঠিবার পরেই দাত গুলো আস্তে আস্তে কালো হতে থাকে।ভেঙ্গে পড়ে,পোকায় ধরে,মাড়ি ফুলে রক্ত পড়ে,পোকায় ধরা দাঁতে ভীষন ব্যাথা প্রভৃতি লক্ষনে ইহা উপকারী।


💎 ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া

ক্রোধ স্বভাব অপমানিত হলেও আত্মসন্মানের ভয়ে ঝগড়া করে না। সর্বদা কাম ভাবের চিন্তা । শীত কাতর এই ধাতুর রোগীদের দাঁতে পোকা,মাড়ী ফোলা,রক্ত পড়া ইত্যাদি লক্ষনে এটি উপকারি।


💎 ম্যাগনেশিয়া কার্ব

গর্ভবতি মহিলাদের দাঁত ব্যাথা, রাতে বৃদ্ধি।পায়চারি করিলে বা ঠান্ডা পানিতে উপশমে ইহা উপকারী।


💎 র‌্যাটানহিয়া

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ভয়ানক দাঁতে ব্যাথা।ব্যাথা শুইলে বাড়ে, চলিয়া বেড়াইলে ব্যাথা কমলে এটি উপকারী। দাঁতের মাড়িতে রক্ত পড়ায়ও এটি ভাল ঔষধ।


💎 কার্বোভেজ

দাঁত মাজতে বা কুলি করতে রক্ত পড়ে। মাড়ি থেকে দাতের গোড়া বের হয়ে যায়, ব্যাথা করে।


💎 এসিড নাইট

ঠোঁটের কোনায় ঘা, দাঁতের মাড়িতে ক্ষত,রক্ত পড়ে মুখ থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। লালা পড়ে, প্রস্রাবে কটু দর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষনে এটি উপকারি।


💎 ট্রিলিয়াম

দাঁত তোলার পর রক্ত পড়তে থাকলে এর Q তুলা দিয়ে দাঁতের গর্তে লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।


💎 প্লান্টেগো

সব রকমের দাঁতের ব্যাথায় এটি কর্যকরি ভাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে।


💎মেজেরিয়াম

দাঁতের গোড়া ক্ষয় হতে থাকলে এটি উপকারি।


 এই লেখাটি আমার হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস অফ মেডিসিন বই এর অংশবিশেষ।


আসসালামু আলাইকুম,

আমি ডা. ইয়াকুব আলী সরকার ( ডি.এইচ.এম.এস-বি.এইচ.বি-ঢাকা ), এম.এস.এস (এন.ইউ)।


হোমিওপ্যাথিক কনসালটেন্ট 

গভঃ রেজিঃ নং ২৩৮৭৬।

ইভা হোমিও হল। বাইপাইল, আশুলিয়া থানার সামনে, সাভার, ঢাকা।

মোবাইল নং 01716-651488 / ০১৬৮৬৯৮১৪৪৫

ইমেইলঃ- yeakubtangail@gmail.com


#everyoneシ゚ #homeopathytreatment #homeopathic #হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক পাঠশালা

মুসলিম ফারায়েজ নীতিতে নারীর ৮ অবস্থাঃ 

 মুসলিম ফারায়েজ নীতিতে নারীর ৮ অবস্থাঃ 


১। স্ত্রীর দুই অবস্থাঃ

(ক) মৃত ব্যাক্তির সন্তান না থাকলে ১/৪,

( খ) আর থাকলে ১/৮ অংশ পাইবে।


২। কন্যার তিন অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র কন্যা থাকলে ১/২ ,

( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) পুত্র কন্যা একসাথে থাকলে ২:১ অনুপাতে পাইবে।


৩। মায়ের তিন অবস্থাঃ

(ক) মৃত্যু ব্যক্তির সন্তান বা একাধিক ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ পাইবে,

(খ) মৃত্যু ব্যক্তির যদি কোন সন্তান না থাকে বা ভাইবোন ২ জনের কম থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে,

(গ) স্বামী বা স্ত্রীর সাথে পিতা মাতা উভয়ে থাকলে , মৃত্যু ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে স্বামী বা স্ত্রীর অংশ দেয়ার পর বাকি সম্পত্তির ১/৩ অংশ পাইবে।


৪। বৈপিত্রীয় ভাইবোনদের তিন অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র বৈপিত্রীয় ভাইবোন থাকলে ১/৬ অংশ,

(খ) একাধিক থাকলে ১/৩ অংশ পাইবে

(গ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুত্র বা পৌত্র,পিতা বা দাদা থাকলে বঞ্ছিত হইবে।


৫। পৌত্রীগনের ছয় অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র পৌত্রী থাকলে ১/২,

( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন ১/৬ অংশ পাইবে,

(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক কন্যা থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে,

(ঙ) মৃত্যু ব্যক্তির পৌত্রী ও পৌত্র একই সাথে থাকলে অংশীদার হইবে,

(চ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির পুত্র থাকে তাহলে পৌত্রীগন বঞ্ছিত হইবে।


৬। সহোদরা বোনদের পাঁচ অবস্থাঃ

(ক) একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকলে ১/২,

( খ) একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) সহোদরা বোনের সাথে সহোদরা ভাই থাকলে আসাবা হইবে,

(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র কন্যা বা পৌত্রী থাকে তাহলে সহোদরা বোনগন ১/৬ অংশ পাইবে। একাধিক কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে অংশীদার হইবে,

(ঙ) মৃত্যু ব্যাক্তির পুরুষ শ্রেনীর ওয়ারিশ থাকলে সহোদরা বোনগন বঞ্ছিত হইবে।


৭। বৈমাত্রিয় বোনদের সাত অবস্থাঃ

(ক) যদি মৃত্যু ব্যাক্তির সহোদরা বোন না থাকে ও একজন মাত্র বৈমাত্রিয় বোন থাকলে ১/২,

(খ)একাধিক থাকলে ২/৩ অংশ পাইবে,

(গ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একজন মাত্র সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোন ১/৬ অংশ পাইবে,

(ঘ) যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে তাহলে বৈমাত্রিয় বোনগণ বঞ্ছিত হইবে,

(ঙ)যদি মৃত্যু ব্যক্তির একাধিক সহোদরা বোন থাকে এবং বৈমাত্রিয় বোনের সাথে বৈমাত্রিয় ভাই থাকলে একএে অংশীদার হইবে।

(চ) মৃত্যু ব্যাক্তির কন্যা বা পৌত্রী থাকলে এবং অন্য কোন ওয়ারিশ না থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগণ অবশিষ্ট অংশ পাইবে,

(ছ) মৃত্যু ব্যক্তির পুরুষ ওয়ারিশ থাকলে বৈমাত্রিয় বোনগন বঞ্ছিত হইবে।


৮ । দাদী নানীর ২ অবস্থাঃ

(ক) পিতৃ বা মাতৃ সম্পর্কের এক বা একাধিক যাহাই হোক ১/৬ অংশ পাইবে,

(খ) মৃত্যু ব্যক্তির মাতা জীবিত থাকলে বঞ্ছিত হইবে। তবে পিতা জীবিত থাকলে দাদী বঞ্ছিত


@highlight

যাঁরা পৃথিবীকে বদলে দিতে গিয়ে নিজেরাই হারিয়ে গেলেন—বিজ্ঞান যাদের জীবন কেড়ে নিয়েছিল!

 যাঁরা পৃথিবীকে বদলে দিতে গিয়ে নিজেরাই হারিয়ে গেলেন—বিজ্ঞান যাদের জীবন কেড়ে নিয়েছিল!


বিজ্ঞান আমাদের জীবন বদলে দেয়, সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, অন্ধকার থেকে আলো এনে দেয়। কিন্তু ইতিহাসে এমন কিছু বিজ্ঞানীর গল্প আছে যাঁদের নিজের আবিষ্কারই শেষ পর্যন্ত তাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। এই মানুষগুলো শুধু গবেষণাগারে বসে কাজ করেননি—তারা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে সত্যের খোঁজ করেছিলেন। আজ তাদের সেই অজানা, হৃদয়বিদারক কয়েকটি গল্প আপনাদের শেয়ার করলাম।


#মেরি_কুরি—তেজস্ক্রিয়তার জননী। রেডিয়াম ও পোলোনিয়াম আবিষ্কার করে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন যুগের সূচনা করেন। কিন্তু তখন কেউ জানত না রেডিয়েশনের ভয়াবহ ক্ষতি। তিনি খালি হাতে রেডিয়াম ধরতেন, পকেটে রাখতেন। দীর্ঘদিনের বিকিরণে তার শরীর ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তিনি মারা যান অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায়। বিজ্ঞানকে আলো দিতে গিয়ে নিজেই নিজের জীবন বাতি নিবিয়ে ফেলেছিলেন।


#লুই_স্লোটিন—পারমাণবিক গবেষণার এক সাহসী বিজ্ঞানী। তিনি প্লুটোনিয়াম নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন যখন একটি ধাতব যন্ত্র তার হাত থেকে পিছলে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় মারাত্মক নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া। তিনি এতটাই রেডিয়েশনে আক্রান্ত হন যে মাত্র ৯ দিনের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে ইতিহাসে “ডেমন কোর দুর্ঘটনা” বলা হয়।


#আলেকজান্ডার_লিটভিনেনকো—তার মৃত্যু যেন সিনেমার গল্প। তাকে পোলোনিয়াম-২১০ মেশানো চা খাওয়ানো হয়। এই তেজস্ক্রিয় বিষ তার শরীরকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেয়। মৃত্যুর আগে তিনি নিজেই বলে গিয়েছিলেন তাকে তেজস্ক্রিয় বিষ দিয়ে মারা হয়েছে। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে আলোচিত রেডিয়েশন হত্যাকাণ্ড। (বিঃদ্রঃ তিনি বিজ্ঞানী নন, তিনি একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন)


#থমাস_মিডগলি_জুনিয়র—তিনি আবিষ্কার করেছিলেন লেডযুক্ত পেট্রল ও CFC গ্যাস। আজ আমরা জানি এই দুটি আবিষ্কার পৃথিবীর জন্য কতটা ক্ষতিকর ছিল। পরবর্তীতে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন এবং নিজেকে উঠাতে একটি দড়ির যন্ত্র বানান। সেই যন্ত্রেই তিনি শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান। নিজের আবিষ্কার যেমন পৃথিবীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তেমনি নিজের বানানো যন্ত্রেই তার মৃত্যু হয়।


#কার্ল_উইলহেল্ম_শিলে—তিনি অক্সিজেন, ক্লোরিন ও অনেক বিষাক্ত গ্যাস আবিষ্কার করেন। সেই সময় বিজ্ঞানীরা রাসায়নিক চেখে পরীক্ষা করতেন। তিনিও তাই করতেন। বছরের পর বছর আর্সেনিক ও পারদের বিষ তার শরীরে জমতে থাকে। অল্প বয়সেই বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়।


#জর্জ_উইলহেল্ম_রিচম্যান—তিনি বজ্রপাত থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন। একদিন পরীক্ষার সময় সরাসরি বজ্রাঘাত লাগে তার মাথায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। বিজ্ঞান ইতিহাসে তিনিই একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি বজ্রপাতের পরীক্ষায় সরাসরি প্রাণ হারান।


এই মানুষগুলো আমাদের শেখান—বিজ্ঞান শুধু বইয়ের বিষয় নয়, এটি সাহসের বিষয়, ত্যাগের বিষয়, এবং কখনো কখনো জীবনের শেষ মূল্য দিয়েও সত্যকে ছুঁয়ে দেখার বিষয়। আজ আমরা নিরাপদ গবেষণাগারে বসে কাজ করি, কারণ তাদের মতো মানুষরা নিজেদের জীবন দিয়ে আমাদের সেই নিরাপত্তার পথ তৈরি করে গেছেন।


#বিজ্ঞান #বিজ্ঞানীগল্প #ScienceStory #MarieCurie #DemonCore #Radioactivity #ScientificTragedy #HistoryOfScience #BanglaScience #বিজ্ঞানমনস্ক #বিজ্ঞানপ্রেমী #Inspiration

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ০৭-১২-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০৭-১২-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


খাদ্যপণ্যে দূষণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ --- সংকট মোকাবিলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান।


একই দিনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন ---  চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ একশো ১৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন শুরু।


দেশে পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি।


১৫ বছর পর দেশে গণতন্ত্র ফেরার সুযোগ সৃষ্টি --- একমাত্র বিএনপিই দেশকে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করবে --- বললেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


শ্রীলঙ্কায় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন করে সতর্কতা জারি --- দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়শো ১৮। 


এবং কক্সবাজারে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলকে ৭  উইকেটে হারালো বাংলাদেশ।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ: ০৭-১২-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ: ০৭-১২-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম

.....................................................


* এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকলেও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে কিছুটা দেরি হচ্ছে-- জানালেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন

 

* বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সব ধরনের সহায়তা করছে সরকার --- জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

 

* ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন শতভাগ প্রস্তুত--- বললেন ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

 

* দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থায় সরকার --- বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


* পরিচয় সনাক্ত করতে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে ১১৪ অজ্ঞাতনামা জুলাই শহীদের মরদেহ উত্তোলন শুরু হচ্ছে আজ

 

* দেশে পেয়াঁজের বাজার সহনীয় রাখতে আজ থেকে সীমিত আকারে পেয়াঁজ আমদানির অনুমতি দিলো সরকার


* ভারতের গোয়ায় একটি নাইটক্লাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি

 

* এবং আজ কক্সবাজারে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল

রাত সাড়ে আটটার ০৬-১২-২০২৫

 

রাত সাড়ে আটটার ০৬-১২-২০২৫

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ০৫-১২-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে লন্ডনে নিতে কিছুটা দেরি হচ্ছে –-- জানালেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন। 


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারের নিবন্ধন সম্পন্ন --- জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।


দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে সর্বোচ্চ সর্তকাবস্থায় সরকার --- বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্কাউটদের আত্মত্যাগ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণা --- মন্তব্য শিক্ষা উপদেষ্টার।


পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে নতুন করে সীমান্ত সংঘর্ষে চার বেসামরিক নাগরিক নিহত।


এবং ভারতে অনুষ্ঠিত এফআইএইচ হকি জুনিয়র বিশ্বকাপের স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-৩ গোলে হারালো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল।

বিজ্ঞানীরা পদার্থবিদ্যার সীমানা অতিক্রম করে একটি অভূতপূর্ব লক্ষ্য অর্জন করছেন০

 🔴বিজ্ঞানীরা পদার্থবিদ্যার সীমানা অতিক্রম করে একটি অভূতপূর্ব লক্ষ্য অর্জন করছেন: একটি সম্পূর্ণ মানুষকে টেলিপোর্ট করা। একসময় এটিকে বিশুদ্ধ ...