এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নারী কেন এত দামী? 

 নারী কেন এত দামী? 

কারণ পুরুষের কাম আছে বলে।

যদি পুরুষের কাম না থাকতো, তবে নারীর লাল ঠোঁট, তার দীপ্তিময় আবেদন নিয়ে পুরুষ কবিতা লিখতো না। 


কিংবা যদি পুরুষের কাম না থাকতো, তবে নারীর স্ফিত বক্ষ, বুকের খাঁজ, আর সুডৌল নিতম্ব পানে আগ্রহ ভরে তাকাতো না। 


যদি পুরুষের কাম না থাকতো, তবে নারীর দু উড়ুর মাঝে, ফোলা,মাংসল গিরিপথ নিয়ে গোপন চর্চা হতো না।


যদি পুরুষের কাম না থাকতো, 

তবে নারীর প্রতিটি অঙ্গের প্রেম রূপ বিকশিত হতো না।

যদি পুরুষের কাম না থাকতো, 

তাহলে নারীর চুল, চুলের বেণীর সৌন্দর্য নিয়ে নজরুল লিখতো কি আলগা করো খোঁপার বাঁধন, দ্বিল ওহি মেরা ফাঁস গেয়ি।


সুতরাং নারী তুমি  অহংকারী নয়, প্রেমিকা হও।

আর হে পুরুষ,  তুমি কামুক থেকে প্রেমিক হয়ে আসো, তখন তোমাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাবে নারী, তার গোপন অন্দরমহলে, যেখানে পুরুষ প্রবেশ করতে চায় বারবার।

লেখাটি কেমন লাগলো, পড়ার পর অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন, প্লিজ।

গানের দেবত,,,,,,,,,

 ॥ গানের দেবতা ॥


গ্রিক পুরাণে দেবতা অ্যাপোলোর পুত্র অর্ফিউসকে বলা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক। ভারতবর্ষে এমনই এক ‘সুরের দেবতা’ ছিলেন মহম্মদ রফি। তাঁর কণ্ঠে যখন সুর ঝরে পড়ত, তখন সাগর, পাহাড়, নদী এমনকি দেব-দানবও যেন থমকে যেত। তিনি ছিলেন ভারতের অর্ফিউস।


মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রখ্যাত শিল্পী কে. এল. সাইগলের সঙ্গে এক কনসার্টে গান গেয়ে সঙ্গীতজীবন শুরু করেন রফি। এরপর দীর্ঘ সঙ্গীতযাত্রায় ভারতীয় সিনেমার অসংখ্য নায়কের পর্দার নেপথ্যসঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই তালিকায় গুরু দত্ত, রাজ কাপুর, শাম্মী কাপুর, দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ, মনোজ কুমার, ধর্মেন্দ্র, ঋষি কাপুরের মতো নামজাদা অভিনেতারা রয়েছেন। লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলালের সুরে ১৯৮০ সালে ‘আস পাস’ ছবির “শ্যাম ফির কিউ উদাস হ্যায় দোস্ত” গানটি রেকর্ড করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন এই মহান শিল্পী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গানের সঙ্গেই ছিলেন রফি।


রফির কণ্ঠসুধা একদিকে যেমন নায়কদের খ্যাতির শিখরে তুলেছে, তেমনই সে যুগের কমেডিয়ানদেরও আলোকিত করেছে। জনি ওয়াকারের সঙ্গে রফির কাজ তার বড় উদাহরণ। জনি ওয়াকারের অধিকাংশ ছবিতেই প্লেব্যাক করেছেন রফি। জনির সংলাপের ভঙ্গি এবং চরিত্রের মেজাজ বুঝে কীভাবে গান গাইতে হবে, তা প্রায়শই রফি নিজেই ভাবিয়ে তুলতেন। জনির ‘সি আই ডি’-র “অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল জিনা ইঁহা”, ‘আর পার’-এর “আরে না না না না তৌবা তৌবা”, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস’-এর “জানে কাঁহা জিগার গায়া জি”, ‘প্যায়াসা’-র “তেল মালিশ”, ‘মধুমতী’-র “জঙ্গল মে মোর নাচা কিসি নে না দেখা”—এই গানগুলি সেই সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এমনকি এখনো এগুলি রিমিক্স হয়ে নতুন প্রজন্মের কাছেও সমাদৃত।


তাঁর সুরেলা কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছে কালজয়ী গান। “চৌদভী কা চান্দ হো”, “চাহুঙ্গা মে তুঝে”, “বাহারো ফুল বরসাও”, “ইয়ে রেশমি জুলফে”, “জো ওয়াদা কিয়া উয়ো নিভানা পাড়েগা”—এসব গানের আবেদন আজও অক্ষুণ্ণ।


ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সাদাসিধে ছিলেন রফি। পারিশ্রমিক না নিয়েও বহু জায়গায় গান গেয়েছেন। চ্যারিটি শোতে অংশ নিয়েছেন, আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন দুঃস্থ শিল্পীদের। স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোয় আনন্দ পেতেন তিনি। স্টুডিও এবং বাড়িই ছিল তাঁর জীবনযাপনের কেন্দ্র। বলিউডের বিলাসী পার্টিগুলিতে তাঁকে খুব কমই দেখা যেত। ক্যারাম, ব্যাডমিন্টন এবং ঘুড়ি ওড়ানো ছিল তাঁর অন্যতম বিনোদন।


মহম্মদ রফি ছ’বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পেয়েছেন। মান্না দে, কিশোর কুমার, মুকেশ, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে সহ প্রায় সমস্ত সমসাময়িক শিল্পীর সঙ্গেই কাজ করেছেন রফি। শাস্ত্রীয়, পপ, লোকগান, রোম্যান্টিক কিংবা কমেডি—সব জঁরেই তাঁর দক্ষতা ছিল প্রশ্নাতীত।


এই বহুমুখী প্রতিভা তাঁকে নিঃসন্দেহে ভারতের সঙ্গীতজগতের ‘অর্ফিউস’-এর মর্যাদা দিয়েছে। তাঁর কণ্ঠে জন্ম নেওয়া গান শুধুই সঙ্গীতের এক একক অধ্যায় নয়, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসেরও এক অমর সম্পদ।


Image Restoration, Colorization & © কিছু কথা ॥ কিছু সুর

#mohammedrafi #mdrafi #kishorekumar #kishorekumarphoto #BappiLahiri #kichukothakichusur

সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলী --------------------

 সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলী

--------------------------------------------

যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, একবার যদি কেউ ভালো- বাসতো,সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে,আমায় গেঁথে দাওনা মাগো, একটা পলাশ ফুলের মালা এইসব কালজয়ী গানের সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলী।


দেশীয় সংগীতের কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। ১৯৫২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর  মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর বাঁশবাড়ী গ্রামে সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলী।


 আলাউদ্দিন আলীর পিতা ওস্তাদ জাভেদ আলী বাংলাদেশ রেডিওর বেহালাশিল্পী  ও ছোট চাচা ওস্তাদ সাদেক আলীর কাছে সংগীতের হাতেখড়ি আলাউদ্দিন আলী।


আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিনে ছোট চাচা সাদেক আলী তাকে একটি চাইনিজ বেহালা উপহার দেন। এই বেহালা ছিল আলাউদ্দিন আলীর নিত্যদিনের সঙ্গী। এই বেহালায় বিভিন্ন সুর সঞ্চারের চেষ্টায় নিয়োজিত থেকে অনেক সুর আয়ত্ব করেন তিনি। 


 ছেলেবেলায় বেহালা বাজানোর জন্য আলাউদ্দিন আলী অল পাকিস্তান চিলড্রেনস প্রতিযোগিতায় প্রেসিডেন্ট  পুরস্কার অর্জন করেছেন। প্রসিডেন্ট আইয়ুব খান এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।


১৯৬৮ সালে আলাউদ্দিন আলী একজন  যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে কাজেযোগ দিয়ে বেশকিছু ছবিতে কাজ করেন। 


এরপর আলাউদ্দিন আলী প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজ সহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার মাধ্যমে প্রতিভার সুস্পষ্ট ছাপ রাখেন।


আলাউদ্দিন আলী ১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমায় সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি। 


আলাউদ্দিন আলী ১৯৮৫ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ সিনেমার জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।


আলাউদ্দিন আলী দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০টির অধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করে প্রচুর কালজয়ী গানের সুর সৃষ্টি করেছেন। যা আজও সংগীত প্রিয় মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।


সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সাতবার সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে একবারসহ মোট আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। 


সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলীর সৃষ্ট উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড়ো নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’।


এছাড়া আরও আছে,  ‘আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, ও আমার বাংলাদেশ’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’,।


সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলীর আরও জনপ্রিয় গান ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে’, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’ বলো আর কতো কাল সইবো.. ইত্যাদি।


২০২০ সালের ৯ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে  শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আলাউদ্দিন আলী।


আজ দেশীয় সংগীতের কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন। আজকের এই দিনে উনাকে গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ ৩০-১২-২০২৪ খ্রি:।

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ ৩০-১২-২০২৪ খ্রি:।


আজকের সংবাদ শিরোনাম:


প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেবে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি।


আজ থেকে অস্থায়ী পাসের মাধ্যমে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন গণমাধ্যম কর্মীরা।


আগামীকাল জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে যাচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে -বলেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর - দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন।


সিরিয়ায় নির্বাচন আয়োজনে চার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে - বললেন দেশটির ক্ষমতাসীন নেতা আহমেদ আল-শারা।


বিপিএল-এর একাদশ আসরের পর্দা উঠছে আজ - দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশাল - দুর্বার রাজশাহীর এবং অপর ম্যাচে রংপুর রাইডার্স - ঢাকা ক্যাপিটালসের মোকাবিলা করবে।

স্ত্রী সন্তানদেরকে অনেক ভালবাসতে হবে। তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, আবার সতর্কও থাকতে হবে। কারন: শয়তান তাদেরও শত্রু আপনারও শত্রু।

 স্ত্রী সন্তানদেরকে অনেক ভালবাসতে হবে। তাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, আবার সতর্কও থাকতে হবে। কারন: শয়তান তাদেরও শত্রু আপনারও শত্রু।

তাদেরকে পরিচালনা করতে হবে: নিজে পরিচালক হতে হবে।

কারন: তাদের অন্যায় আবদার গুলোর সাথে শয়তানের পরামর্শ ও সহযোগিতা থাকে। 


তাদের সকল শরয়ী হক্ব আদায় করতে হবে।

তাদেরকে দীন ও শরীয়ত মানতে বাধ্য করতে হবে। 

তাদের অনুগত হওয়া যাবে না। তারা আপনার এতাআত করে চলবে। 


তাদের প্রতি বেশি দুর্বল হলে তারা নাকেকান্না করে আপনাকে দিয়ে হাজারো অন্যায় আবদার পুরা করাবে।


তাদের কাছে দায়বদ্ধ হয়ে গেলে তারা আপনাকে গোলামের মত ভালবাসবে, গোলাম বানিয়ে রাখবে। সারাজীবন তাদের জন্য সব কিছু করার পরেও এক সময় বলবে আমাদের জন্য কিছুই করনি। এগুলো আমাদের তকদীরে ছিল তাই পেয়েছি। 


তাদেরকে দীন ও পরিপুর্ন শরীয়তের উপরে চলা শিখাতে হবে। এবং শরীয়ত বাস্তবায়নের ব্যবস্থাপনাও রাখতে হবে। 


আপনার জীবদ্দশায় যদি তাদেরকে অঢেল সম্পদের মালিক বানিয়ে দেন, তাহলে একসময়  আপনি তাদের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারাবেন।

গরুর খামার ঘর (সেড) তৈরিঃ এমন করেই যে দিতে হবে তা কোন কথা নয় কিন্তু এমন করে দিলে ভালো হয় 

 গরুর খামার ঘর (সেড) তৈরিঃ এমন করেই যে দিতে হবে তা কোন কথা নয় কিন্তু এমন করে দিলে ভালো হয় 


(বিস্তারিত বর্ণনা)


গরুর খামারে মুনাফার ৪টি শর্তের একটি হল গরুর জন্য আরামদায়ক ঘরের ব্যবস্থা করা।


গরুর খামার ঘর তৈরি করতে জানা অর্থ কিভাবে আপনি নিজের নির্দিষ্ট টাকা ও জায়গা দিয়ে গরুর জন্য সর্বোচ্চ আরামদায়ক সেডের ব্যবস্থা করবেন। এর জন্য আপনাকে গরুর ঘরের বিভিন্ন অংশের মাপ এবং এই মাপগুলো কম-বেশি করলে কি সুবিধা-অসুবিধা তা জানতে হবে।


গরুর ঘর তৈরির নিয়ম

প্রথমে আমরা ঠিক করব খামারে দুই সারিতে নাকি এক সারিতে গরু পালব। দুই সারির নিয়ম বুঝলে এক সারি সহজেই বোঝা যাবে। দুই সারি করে হিসাব করলে ১০ টি গরুর জন্য প্রতি সারিতে ৫ টি করে গরু থাকে। আর মাঝে হাটার জন্য একটি রাস্তা। সুতরাং এক সারি গরু ও মাঝের রাস্তার জায়গার হিসাব করলেই ঘরের জায়গার হিসাব বেড়িয়ে যাবে ইংশাল্লাহ।


গরুর খামার তৈরির নকশা

প্রথমে ঘরের চওরা। একটি গরুর জন্য মাথা থেকে পেছন পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত জায়গা দিতে হবে। আমরা ধরে নিলাম এটি ৭ ফুট(জায়গা বেশি থাকলে ৮ ফুট করা ভাল) । গরুর সামনে খাবার পাত্রের জন্য ২.৫ ফুট জায়গা আর পেছনে ড্রেনের জন্য 0.৫ ফুট জায়গা রাখা হল।

সুতরাং এক সারি গরুর জন্য টোটাল ৭ + ২.৫ + 0.৫ = ১০ ফুট জায়গা দরকার। এবং দুই সারির জন্যে চওরায় ২০ ফুট।


গরুর খামার তৈরির নকশা

মাঝের রাস্তা মিনিমাম ৪ থেকে ১০ ফুট রাখতে হয়। আমরা এখানে ৪ ফুট ধরলাম। সুতরাং ঘরের চওড়া টোটাল ২০ + ৪ = ২৪ ফুট। 


একটি গরুর জন্য তার সামনে ৪ ফুট( জায়গা বেশি থাকলে সাড়ে ৪ ফুট) জায়গা দিতে হবে, অর্থাৎ গরু থেকে গরুর দুরত্ব হবে ৪ ফুট। তাহলে ৫ টি গরুর জন্য ২০ ফুট। সাথে গেটের জন্য ৪ ফুট লাগবে। 

সুতরাং মোট লম্বা ২৪ ফুট, গেট মাঝ রাস্তা দিয়ে হলে ২০ ফুট।


আমাদের দেশের শেডের উচ্চতা নরমালি ১০/১৩ বা ১২ / ১৫ ফিট বা ১২ / ১৪ ইত্যাদি হয়ে থাকে। শেড যত উচু হবে তত ভালো। আধুনিক বড় খামারগুলোতে ৪০-৫০ ফিট শেড উচু করতে হয়।


হেড টু হেড / টেল টু টেল

হেড টু হেডঅর্থ হল গরু গুলো ভেতরে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে গোবর বাইরে পড়বে।

টেল টু টেল অর্থ গরুগুলো পরস্পরের বিপরীতে দাঁড়াবে, গোবর ভেতরে পড়বে।


দুটো সিস্টেমেরই সুবিধা – অসুবিধা আছে। নিচে তুলে ধরা হল-


হেড টু হেডের সুবিধাঃ

১। খাবার দিতে সুবিধাঃ হেড টু হেডের ক্ষেত্রে গরুগুলো মুখোমুখি দাড়াবার কারনে দ্রুত ও ভালোভাবে খাবার দেওয়া যায়।

২। গ্যাসের সমস্যা কমঃ গোবর – প্রসাব বাইরের দিকে পড়ার কারনে ভেতরে গ্যাসের সমস্যা কম হয়।

৩। গরুর গুতোর বিপদ নেইঃ গরু গুলো খাবার পাত্রের অপর পাশে থাকার কারনে গুতো খাবার বিপদ কম।

৪। ছেড়ে গরু পালনের জন্য সুবিধাঃ গরুর পেছনে খালি মাঠ বা জায়গা থাকে। ফলে এক্ষেত্রে হেড টু হেড সিস্টেম একমাত্র উপায়।


টেল টু টেলের সুবিধাঃ

১। পর্যাপ্ত আলো বাতাসঃ গরুর মুখ বাহিরের দিকে থাকার কারনে পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায়।

২। দ্রুত গোবর-মূত্র পরিস্কার করা যায়ঃ দুই সারির গোবর এক দিকে পরার কারনে সহজে ও দ্রুত পরিস্কার করা যায়।

৩। দুধ দোয়ানোতে সুবিধাঃ ভেতরের দিকে থাকার কারনে দুই সারি গাভি থেকে সহজে দুধ নেওয়া যায়।

৪। শ্বাসজনিত রোগ সহ অন্যান্য রোগ ছড়াবার সম্ভাবনা কমঃ প্রায় সব রোগ মুখের শ্বাস, লালা, নাকের মিউকাস ইত্যাদি দিয়ে ছড়ায়। গরুগুলো একে অপরের বিপরীত দিকে থাকার কারনে এটির সম্ভাবনা কম।

৫। একটি ড্রেনই যথেস্টঃ পাশে একটু বেশি জায়গা দিয়ে মাঝে একটি ড্রেন দিয়েই সমস্ত ময়লা দূর করা যায়।

৬। গোসলে সুবিধাঃ দ্রুত ও সহজে গোসল দেওয়া যায়।


এবার আলোচনা করা যাক কোনটি ভালো। দেখা যাচ্ছে টেল টু টেলের সুবিধা অনেক বেশি। কিন্তু হেড টু হেডের সুবিধাগুলো কি আসলেই সুবিধা কিনা, কিংবা সেগুলোর গুরুত্ব কতটুকু সেটা একটু দেখা যাক।


প্রথমত, খাবার দেবার সুবিধার কথা যদি ভাবা হয় তাহলে অন্য দিকে গোবর পরিস্কার, গোসল, দুধ দোয়ানো সহ অনেক কাজে অসুবিধা বেশি। কাজেই এ পয়েন্টটি টিকছে না। দ্বিতীয়ত, গোবরের গ্যাসের কথা ভাবতে গিয়ে গরু যদি আলো বাতাস কম পায় তাহলে সেটা তেমন কাজে দিবে না।

এদিকে গাভির ক্ষেত্রে গুতোর তেমন সম্ভাবনা নেই। ফ্যাটেনিং এর ক্ষেত্রে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। তবে টেল টু টেলে যদি খাবার বাইরে থেকে দেওয়া যায় তাহলে এ সমস্যাটা থাকছে না।

তবে ছেড়ে গরু পালার ক্ষেত্রে হেড টু হেডের বিকল্প নেই। আমাদের দেশে এখন অনেক আধুনিক খামার গড়ে উঠছে যেগুলোতে গরু ছেড়ে পালার সিস্টেম থাকে। এসব ক্ষেত্রে হেড টু হেড সবচেয়ে ভালো। অন্যথায় টেল টু টেল সিস্টেম হেড টু হেডের চেয়ে অনেক গুনে ভালো।


আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে যে শেড বানাবার সময় বেশিরভাগ খামারি নিজের সুবিধার কথা ভাবে, গরুর সুবিধা না (অবশ্য বর্তমানে অনেক শিক্ষিত খামারির সংখ্যা বাড়ছে) । হেড টু হেড হলে সে সহজেই খাবার পানি দিতে পারবে। অথচ খামারে লাভ করার সূত্রের ৪ নাম্বার শর্ত ছিল গরুকে আরামদায়ক পরিবেশ দেওয়া।


তবে অনেক খামারির পক্ষে আসলে হেড টু হেড ছাড়া উপায় থাকে না। আলাদা ঘর না থাকার কারনে চোরের উপদ্রপের ভয়ে বাহিরের দেয়াল উচা বা টিন দিয়ে ঘেরাও করে ফেলতে হয়। ফলে গরুকে হেড টূ হেড রাখতে হয়। আবার জায়গার স্বল্পতার কারনে অনেকের বাহিরে গিয়ে খাবার দেবার উপায় থাকে না।

কিন্তু একটু বুদ্ধি করে টিনের মাঝে জানালার মত করে ফাকা করে রাখলে বাহির থেকে খাবার দেওয়া যায়। আবার রাতে বন্ধ করে রাখা যায়। কিন্তু ওই যে বললাম, বেশিরভাগ খামারি এই কস্ট টুকু করতে চায় না।


ঘরের মেঝে কেমন হবে

উদ্দেশ্য হল যাতে সহজের পরিস্কার করা যায় এবং গরুর জন্য কোন সমস্যার না হয়।

ফ্লোর বা মেঝে দুই ভাবে বানানো যায় –

১। ইট দিয়ে সলিং

২। ঢালাই


১। ইট দিয়ে সলিংঃ বালু দিয়ে তার উপর ইটের সলিং পেতে সিমেন্ট বালুর মশলা তৈরি করে দুইটি ইটের সংযোগ স্থলে মশলা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে।

এটি খুব ভালো ভাবে করতে হবে। অন্যথায় কদিন পর পর ইট উঠানোর ঝামেলা আছে। এমনকি এখন না হলেও ৪/৫ বছর পর ইট উঠে যায় এবং উচু নিচু হয়ে যায়। ফাকা জায়গা দিয়ে গরুর প্রসাব ও গাসলের পানি কাদা তৈরি হয়।


২। ঢালাইঃ সিমেন্ট মশলা দিয়ে একেবারে ঢালাই দেওয়া হয়। ভালভাবে না দিলে এখানেও কদিন পর পর ঢালাই উঠে যায়।

ঢালাইতে পিছলে গরু পরে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধান থাকতে হবে।


খামারে ঘরের মেঝে ঢালু দিতে হবে যাতে গোবর ময়লা সহজেই ড্রেনে চলে যায়। মাঝের রাস্তার স্লোপ বা ঢালু মাঝখান থেকে দুই দিকে যাবে। এতে পানি দু দিকে চলে যাবে। মেঝের ঢাল সামনে থেকে ড্রেনের দিকে গাভীর ক্ষেত্রে প্রতি ফিট এর জন্য ০.২৫ ইঞ্চি এবং ষাড় গরুর জন্য ০.৫০ ইঞ্চি করে দিতে হবে। ফলে ৮ ইঞ্চির জন্য গাভির ক্ষেত্রে ২-৩ ইঞ্চি এবং ষাড় গরুর ক্ষেত্রে ৪-৫ ইঞ্চি ঢাল দিতে হবে।

গাভির চেয়ে ষাড় গরুতে ঢাল বেশি দেবার যুক্তি হিসেবে বলা হয় যে পেছনে বেশি ঢালু থাকলে পেছনে মাংস তারাতারি বাড়ে। কিন্তু এটি সাইন্টিফিক কিনা জানি না।


গরুর খাবার ও পানির হাউস ( চারি )

অনেকে ভাবেন খাবার হাউস যত উচু হবে তত ভালো, গরু সহজে খেতে পারবে। ব্যাপারটাকে তারা অনেকটা ডাইনিং টেবিলের মত বানিয়ে ফেলেছেন। মানুষের যেমন ডাইনিং টেবিলে খেতে সুবিধা হয়, গরুর ক্ষেত্রেও তেমনটা ভাবা হচ্ছে।


কেন ডাইনিং টেবিল নয় ?


গরু স্বাভাবিক ভাবে মাঠে নিচে থেকে ঘাস খায়। এটাই তার স্বভাব। তাই খাবার জায়গা উচা করে দেওয়া অর্থ তার স্বভাবের বিরুদ্ধে কাজ করা।

এছাড়া মুখ নিচের দিকে থাকার কারনে মুখ দিয়ে যথেস্ট লালা আসে যা খাবারের হজমে সহায়ক। অথচ খাবার স্থান উচা করে দিলে যথেস্ট পরিমান লালা আসে না।

আলাদা খাবার ও পানির পাত্র করতে ব্যাপক পরিমান খরচ হয়, অথচ এই খরচের কোন প্রয়োজন ছিল না।


তাই গরুর সামনে সামান্য উচু দেওয়াল করে লোহার পাইপ বা বাশ টেনে দিতে হবে (নিচের ছবির মত)। এর সামনে ফ্লোরেই খাবার রাখতে হবে। পানি আলাদা একটি পাত্র বা কাটা ড্রামে দেওয়া যেতে পারে কিংবা জায়গা থাকলে পানির জন্য আলাদা লাইন করতে হবে।


কিন্তু কিছু পুরোনো গরুর খামার ভিসিট করলে অনেকের মনে নিচের প্রশ্নগুলো আসবে ?


পুরোনো খামারে তো খাবার হাউজ উচু করে দেওয়া আছে। তাদের তো লস হচ্ছে না।

পাত্র উচু করে দেওয়ার জন্য গরু খাচ্ছে না বা অসুস্থ হয়েছে এমন তো কোন প্রমান নেই।

এভাবে ফ্লোরে খাবার দিলে খাবার নস্ট হয়।

হ্যা, পুরোনো পদ্ধতিতে খাবার দিলে আপনার লস হবে তা নয়, কারন গরু তো এর জন্য খাওয়া বন্ধ রাখবে না। তবে


এটি গরুর জন্য আরামদায়ক বা স্বাভাবিক হবে না।

হাউজ উচু করতে অতিরিক্ত খরচ হবে।

প্রযুক্তি সর্বদাই পরিবর্তন হয়। টিকে থাকে তারাই যারা প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

আর ফ্লোরে খাবার নস্ট দূর করার জন্য উপরের ব্যাপারটিকে ঠিক রেখেই আমরা একটি ব্যবস্থা নিতে পারি। সেটা হল খাবারের হাউস বানানো হবে কিন্ত তার গভীরতা হবে একেবারে ফ্লোরের কাছাকাছি, উচ্চতা গরুর সামনে ১২ ইঞ্চি এবং বাইরের দিকে ১৮ ইঞ্চি।


প্রাচীর থেকে নালা দিকে খাবার ও পানির হাউজের জন্য ২.৫ ফিট। প্রতি গরুর জন্য সামনে ৪ ফিট। সুতরাং দুই গরু তে ৮ ফিট। তাহলে মাঝে একটা ২ ফিট পানির হাউজ বানিয়ে বাকি ৬ ফিট অর্থাৎ ৩ ফিট করে প্রতি গরুতে একটা খাবার হাউজ হবে। পানির হাউজ একত্রে বানাবার কারনে জায়গা কম লাগবে, ওদিকে খাবার হাউজে বেশি জায়গা দেওয়া যাবে। এছাড়া আলাদা ভাবে বানালে ৪ ফিটের মধ্যে খাবার হাউজে ২.৫ ফিট এবং পানির হাউজে ১.৫ ফিট করে নিতে হবে। আলাদা রাখার সুবিধা হল এক গরুর রোগ হলে পাশের গরু সহজে সেই রোগে আক্রান্ত হবে না। এছাড়া বোঝা যাবে কোন গরুটি কেমন পানি খাচ্ছে।


ঘরের চাল কেমন হবে ?

কয়েক ধরনের আছে। যেমন –


১। ঢালাইঃ খরচ বেশি, কিন্তু গরমে তাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। গরুর প্রধান সমস্যা হয় গরমে, শীতে না।

২। টিনের চালঃ খরচ কম, কিন্তু গরম বেশি কিন্তু শীতে ঘর অনেক ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে গরম কমাতে চালের নিচে ইন্সুলেসন দেওয়া যেতে পারে।

৩। প্লাস্টিকের চাল = মরিচা ধরে না, রোদের তাপে গরম হয় না, দিনের বেলা আলো পৌছায়।


শেডের চারপাসে ওয়াল কিভাবে দিতে হবে ?

ওয়াল ২.৫ ফুট সবচেয়ে ভালো। তবে চোরের ভয় থাকলে ৩ ফুট পর্যন্ত করে এর উপরে জানালাসহ টিন দেওয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় নেট দিয়ে ঘিরে দিলে। অনেকে ভাবেন শীতে ঠান্ডা লাগবে। কিন্তু আমাদের দেশে গরুর জন্য শীত নয়, প্রধান সমস্যা হয় গরমে।


গরুগুলোকে কি পাইপ /বাশ দিয়ে আলাদা করে দিতে হবে ?

সেডে গরুগুলোকে পাইপ বা বাশ দিয়ে আলাদা করে দিলে এক গরু অন্য গরুর দিকে পায়খানা করতে পারবে না, পেছনের দিকে করবে, ফলে পরিস্কারের সময় সুবিধা হবে। কিন্তু পায়খানা করবে সে গরু বসলে সেটির অপর বসবে, আর গাভি হলে টিট দিয়ে জীবাণু ঢুকে যাবে।


ড্রেনের মাপ কেমন হবে ? 

প্রসাব ও গোবর যাবার ড্রেনের জন্য – ড্রেন ০.৫ থেকে ১.৫ ফিট লম্বা এবং  ১ থেকে ২.৫ ফিট গভীর হতে হবে। তবে ড্রেনের ওপর খোলা থাকলে গভীরতা যাতে বেশি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। গরুর পা পড়ে এক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবন রয়েছে।


শেড কি পূর্ব পশ্চিম নাকি উত্তর দক্ষিন ?  

পূর্ব – পশ্চিমে শেড করার ব্যাপারটি পোল্ট্রিতে যত গুরুত্বপূর্ণ, গরুর খামারের ক্ষেত্রে তত নয়। কারন পোল্ট্রিতে এমোনিয়া গ্যাস জমলে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়ে মুরগি মারা যায়, যেমন, ঠান্ডা বিশেষ করে মাইকোপ্লাসমা দ্বারা এবং পরবর্তীতে ঠান্ডার কারনে আরো অনেক রোগের আগমন। কিন্তু গরুর ক্ষেত্রে প্রোডাকসনে প্রবলেম নিয়ে আসে তা নয়। তবে চেস্টা করতে হবে পূর্ব পশ্চিমে করার। 


 শীতকালে আমাদের দেশে বায়ু সাধারণত উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে ভূ-পৃষ্ঠের প্রচন্ড উত্তাপে ভারতের পশ্চিম-কেন্দ্রভাগ জুড়ে একটি নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে বঙ্গোপসাগর থেকে একটি উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুস্রোত বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উল্লিখিত নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়। কাজেই সেড পূর্ব পশ্চিম বরাবর লম্বা করলে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারবে। 


আরো একটি সুবিধা হল যে  সূর্যের আলো তখন গরুর পেছনে অর্থাৎ প্রসাব ও গোবরের ওপর পরে, ফলে ন্যাচারালি কিছুটা জীবানুমুক্ত হয়। কিন্তু সেড উত্তর দক্ষিনে লম্বা করলে সূর্যের আলো সরাসরি গরুর মুখে পড়বে। 


শেয়ার করে অন্যকে দেখার সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ ❤️🐄


রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

 ড.ইউনুস!  বাংলার ইতিহাসে গত ৯০ বছরে জন্ম নেয়া একমাত্র গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস। শতকরা ৮৩% লোকই জানেন না কে ড.মোহাম্মদ ইউনুস!

 ড.ইউনুস! 

বাংলার ইতিহাসে গত ৯০ বছরে জন্ম নেয়া একমাত্র গ্লোবাল সেলিব্রেটি হলেন প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস। শতকরা ৮৩% লোকই জানেন না কে ড.মোহাম্মদ ইউনুস!


পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল, সেটা নিশ্চয়ই জানেন? সম্মানসূচক হিসেবে নোবেলের পরে কোন পুরস্কারের অবস্থান তা কি জানেন? সম্মানসূচকে, 


১.নোবেল

২.অ্যামেরিকার প্রসিডেন্সিয়াল এওয়ার্ড

৩.মার্কিন কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড


পৃথিবীর ইতিহাসে উপরের ৩ টা পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ আছে বা ছিলেন ১২ জন!বুঝতেই পারছেন পরের লাইনটা কি হবে,


হ্যা, সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড.মোহাম্মদ ইউনুস 🧡


মেসিকে নিশ্চয়ই চিনেন! যদি বলি এই লিওনেল মেসি লাইনে দাড়িয়ে ছিলেন প্রফেসর ড.ইউনুসের জন্য,বিশ্বাস হয়,না হলেও সত্য! 


'অলিম্পিক গেমস' পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন মশাল বাহক, জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস💖


বর্তমানে বিশ্বের লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোনো তালিকায় টপ ১০ এর ভিতরে থাকেন ড.ইউনুস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনুসের বিকল্প খুজে পাওয়া টা খুবি কঠিন,কিন্তু তিনি আমাদের বাংলাদেশের! এদেশে আর এমন ইউনুস জন্মাবে কিনা আজও সন্দেহ! 


১. মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর ইউনুসকে পুরো সিলিকন ভ্যালি শহর দেখিয়েছিলেন।


২. কোর্ট-কাছাড়ির ৮ তলার এজলাশে তাঁকে যখনই হাজিরা দিতে হত সেসময় কোর্ট বিল্ডিং এর লিফট বন্ধ করে দেয়া হত। ৮২ বছরের অশিতিপর এই আসামীকে প্রতিবারই হেঁটে হেঁটে ৮ তলায় যেতে হত। এবং এই ঘটনা নাকি ৪০ বারের মত ঘটেছে।

শাকুর মজিদ

নাট্যকার,লেখক,স্থপতি।

সারা পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল।


ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে 'সুদখোর' ঢাকা হয় বারবার। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশীরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না।


জিনিসটা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা।

এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক।

এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক।

বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাত্র ৩০০ ডলার বেতনে চাকরী করতেন।

তিনি যে নিজের কোনো শেয়ার রাখেননি তা না, কোম্পানীকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে কেউ এর একক মালিক হতে না পারে। কোম্পানী অধ্যাদেশ ২৮ ধারা অনুযায়ী তিনি এটি রেজিস্ট্রেশন করেন।


শুধু যে গ্রামীন ব্যাংকে তিনি মালিকানা রাখেননি তা কিন্তু না। জর্জ সরোস, টেলিনরদের এনে তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর কথায় টেলিনর বাংলাদেশে আসে। তাঁর কথায় তাঁর বিলিয়নিয়ার বন্ধুরা গরীবদের উন্নতির জন্য ফান্ড দেয়। তিনি গ্রামীন টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেন। সেটাও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই। অনেকেই জানেন না গ্রামীন টেলিকমকে নন ফর প্রফিট কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও তিনি নিজের জন্য ১% মালিকানাও রাখেননি। তিনি চাইলে ইজিলি ১০-১৫ পার্সেন্ট মালিকানা নিজের জন্য রেখে দিতে পারতেন। অথচ লাভের এক টাকাও যাতে নিজের কাছে না আসে, সেটা নিশ্চিত করেন তিনি।


তাঁর প্রতিষ্ঠিত সরকার নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংকে এখনো সুদের হার বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। অথচ স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে হবে গ্রামীন ব্যাংকের মত সুদ বোধহয় কেউ নেয় না। আর নিশ্চয় এই টাকায় প্রফিট করেন ড ইউনূস!


আসলে আমাদের দেশের মানুষ এসব কল্পনাও করতে পারেন না, একজন মানুষ ব্যবসা করবে অথচ সেখান থেকে নিজে কোনো লাভ করবে না। এমন কথা আমরা ভাবতেই পারিনা। আমরা ভাবতে পারি কেবল টাকা কামানোর কথা।

যেমনভাবে ড মুহাম্মদ ইউনূস বলেন- টাকা কামানোতে আছে সুখশান্তি, অন্যের উপকারে আছে প্রশান্তি। ওনার ভাষায় 'নিজের জন্য টাকা কামানো হয়তো হ্যাপিনেস, অন্যের উপকার হচ্ছে সুপার হ্যাপিনেস।'


মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, সবাই এককভাবে সম্পত্তির মালিক হতে থাকলে গরীব আরো গরীব হয়ে যাবে, ধনী আরো ধনী হবে। ফলে বিশ্বব্যবস্থা অচল হয়ে পড়বে। এই বিশ্বাস থেকেই ওনি সব ননপ্রফিট বা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরী করে গেছেন, নিজের কোনো মালিকানা রাখেননি।

এরকমটা কি আপনি ভাবতে পারেন? আপনি বাংলাদেশের যেকোনো কোম্পানী দেখেন, তাদের সব নিজেদের মালিকানা।

কোম্পানীর কথা বাদ দেন, এনজিও ব্র‍্যাক দেখেন! মালিকানা ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের। বড় বড় পদে পরিবারের সদস্যরা আছে।

কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূস সেটা করেননি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের বা পরিবারের কাউকে রাখেননি।


অথচ ড মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে এসব ব্যবসায় নিজের মালিকানা রেখে ইজিলি বিলিয়নিয়ার হয়ে যেতে পারতেন। খুব ইজিলি।

তাঁর প্রায় সব বন্ধুবান্ধব বিলিয়নিয়ার, মাল্টি বিলিয়নিয়ার। তিনি সেদিকে যাননি।


অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ড মুহাম্মদ ইউনূসের আয়ের উৎস কী?

আমি নিশ্চিত, এটাও অনেকে জানেন না।

ড মুহাম্মদ ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার মত। কখনো আরো বেশী।

বিশ্বের নামীদামী প্রতিষ্ঠান গুলো ওনাকে নিয়ে যান ওনার বক্তব্য শুনতে।

ওনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার জন্যও ডাকা হয়।

২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখ্রো।

২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালীয়ানরা ওনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। যাতে ওনি পরামর্শ দেন।


এদিকে আমরা মনে করি গ্রামীন ব্যাংক আর গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী থেকে টাকা পান তিনি। যেন গ্রামীন ব্যাংকের সুদগুলো সরকার খায় না, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস খায়। এরা কখনো প্রকাশ্যে স্বীকারই করে না যে, এগুলোতে তার ০.০১% শেয়ারও নাই।


ওনি একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশে, কিন্তু অনুমতি পাননি। একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হতো। ওনি বললে পৃথিবীর সেরা সেরা প্রফেসররা সেখানে এসে ক্লাস নিয়ে যেতো। ওনি ডাকলে এমনকি বিল গেটস কিংবা আমেরিকান প্রেসিডেন্টও তাঁর ইউনিভার্সিটিতে স্পীচ দিতে চলে আসতো।

কিন্তু সেটা হতে দেয়া হয়নি। তাঁকে ইউনিভার্সিটি করতে দেয়া হয়নি।


ড মুহাম্মদ ইউনূসকে যত জানবেন, আপনার মনে হবে- দেশ এবং জাতি হিসেবে আমরা ড মুহাম্মদ ইউনূসকে ডিজার্ভই করিনা।


একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি জানতেন মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীনব্যাংক কিংবা গ্রামীন টেলিকমের মত ওনার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে নিজের জন্য কোনো শেয়ার রাখেননি?

আসুন যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান করতে শিখি।

 Collected..

#drmohammedyounus #Bangladesh #follower #everyone Highlight's Ⓜ️ Team 0-1

বড় বড় নখ দিয়ে বাচ্চারা মুখে দাগ ফেলে দিচ্ছে?,,,,,

 বড় বড় নখ দিয়ে বাচ্চারা মুখে দাগ ফেলে দিচ্ছে?


ছোট্ট বাচ্চাদের নখ কাটা অনেকের কাছেই একটি ভয়ের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে যারা নতুন বাবা মা হয়েছেন তারা এই বিষয়টি ভালোই উপলব্ধি করেছেন।


বাচ্চাদের নখ খুবই ছোট, চিকন এবং সুক্ষ হয়, যার কারনে সাধারণ নেইল কাটার দিয়ে নখ কাটতে গিয়ে আঙুল কেটে যাওয়ার আশংকা থাকে। আবার কিছুদিন নখ বড় থাকলে তার মধ্যে ময়লা ও জীবানু জমে যায়। এটি পেটে গেলে আমাদের সোনামনিরা মারাত্মক রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। 


এই কাজটি সহজ করার জন্য আমাদের কাছে পেয়ে যাবেন বেবি নেইল ট্রিমার। ঘুমের মধ্যে কিংবা যে কোনো অবস্থায় কোনো রকম আশংকা ছাড়াই এটি ব্যবহার করে দ্রুত আপনার বাচ্চার নখ কেটে ফেলতে পারবেন। এর মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন ছয়টি Interchangeable গ্রিন্ডিংস, যা বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের নখ কাটতে সাহায্য করবে। সামনে একটি লাইট থাকায় অন্ধকারেও এটি ব্যবহার করতে পারবেন।


এর সাথে আমরা দিচ্ছি ১০টি জিনিসের সমন্বয়ে আকর্ষণীয় বেবি কেয়ার কিট সেট। এটি আপনার বাচ্চার জ্বর মাপতে, সর্দি বের করে আনতে, ব্রাশ করা সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন।


তাই দেরি না করে আজই আপনার বাচ্চার জন্য অথবা আপনার পরিচিত কাউকে এই প্যাকেজটি গিফট করতে পারেন। অর্ডার করতে নিচের অর্ডার নাও বাটনে ক্লিক করুন। অগ্রীম কোনো টাকা দিতে হবে না। পন্যটি হাতে পেয়ে পছন্দ হলেই টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।


অথবা ভিজিট করুন- https://babiesstar.digentify.com/cf/nail-trimmer-and-care-kit/

৯ (নয়) ধরণের জমি কিনতে যাবেন না

 ৯ (নয়) ধরণের জমি কিনতে যাবেন না


বর্তমানে জমির দাম অনেক বেশি এবং দিন দিন তা হু হু করে বাড়ছে। অনেকেই স্বপ্ন লালন করেন নিজের একটি জমি হবে। কিন্তু আবাসযোগ্য ভালো জমির পরিমাণ অনেক কম এবং পাওয়াও কঠিন।

এজন্য বিভিন্ন প্রতারক চক্র ” ভালো জমি” বিক্রির লোভ দেখান। সহজ সরল মানুষ একটি ভালো জমির মালিক হবার জন্য দ্রুত টাকা পরিশোধ করে রেজিস্ট্রি করে নেন। কিন্তু দখল করতে গিয়ে দেখেন জমিটি ঝামেলাপূর্ণ। এজন্য জমি কেনার আগে জানা উচিত কোন জমিগুলো একদমই কেনা উচিত নয়।

একটা ভালো জমি যেমন আপনার সারা জীবনের একটা সম্বল হতে পারে। ঠিক তেমনি, ভুল জমি ক্রয় আপনার সারা জীবনের কান্নার কারণ হতে পারে।

আসুন জেনে নেই, কোন্ জমিগুলো ভুলেও কেনা উচিত নয়-


১. খাস জমিঃ

জমি কেনার সময় খোজ নিয়ে দেখবে যেন সেটি খাস জমি না হয়। যে জমিগুলো সরাসরি সরকারের মালিকানাধীন থাকে সেগুলোকে খাস জমি বলা হয়। অনেক সময় অনেক প্রতারক জাল দলিল তৈরি করে “খাস জমি” বিক্রি করা হয়।

আইনে বলা আছে, কোনো জমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে ও সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে সেইগুলোই খাস জমি। সরকার এ জমিগুলো বন্দোবস্ত দিতে পারেন। সাধারণত ভূমিহীন ব্যক্তিরা সরকারীভাবে খাস জমি পায়। এজন্য জমি কিনার পূর্বে ভুমি অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখুন যে জমিটি খাস জমি কিনা?


২. অর্পিত সম্পত্তিঃ

অনেক হিন্দু নাগরিক তাদের জমি-জমা পরিত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন এবং সেখানে নাগরিকত্ব লাভ করে বসবাস করেছেন। তাদের অনেকের ভূমি অর্পিত ও অনাবাসী সম্পত্তি (Vested and Non-Resident Property) হিসেবে সরকারের তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং এগুলো সরকারের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

এসকল জমি সরকার ছাড়া অন্য কেও ক্রয় বিক্রয় করতে পারে না। এজন্য, যেকোন জমি ক্রয়ের আগে খোঁজ নিন এগুলো সরকারের তালিকাভুক্ত অর্পিত জমি কিনা?


৩. অধিগ্রহণকৃত জমি বা এরূপ সম্ভাবনার জমিঃ

রাষ্ট্র বা সরকার দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেমন শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেলপথ, সড়ক বা সেতুর প্রবেশ পথ বা এ জাতীয় অন্য কিছুর জন্য জনগণের কোন ভূমি যদি দখল করে নেয় তাকে বলে “অধিগ্রহণ”। সরকার দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কারো জমি অধিগ্রহণ করতে পারে।

অনেকেই সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমি প্রতারণা করে বিক্রি করে। এজন্য, জমি ক্রয়ের পূর্বে ভূমি অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনে নিন জমিটি সরকারের অধিগ্রহণকৃত জমি কিনা বা ভবিষ্যতে অধিগ্রহণ করার সম্ভবনা আছে কিনা?


৪. যাতায়াতের রাস্তা নেই এরূপ জমিঃ

যে জমিটি ক্রয় করবেন সেটির মৌজা ম্যাপ যাচাই করে বা সশরীরে উপস্থিত হয়ে খোঁজ নিন যে জমিটিতে যাতায়াতের রাস্তা আছে কিনা। যে জমিতে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই এমন জমি ভুলেও কিনবেন না?


৪. ইতোমধ্যে অন্যত্র বিক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ কিনাঃ

অনেক বিক্রেতা একই জমি কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন। ফলে, আসল বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রয় করার পরও জমির প্রকৃত মালিক হওয়া যায় না।

এজন্য জমি ক্রয় এর পূর্বে খোঁজ নিন বিক্রেতা পূর্বে অন্য কারো কাছে জমিটি বিক্রি করেছে কিনা বা বিক্রির জন্য বায়না চুক্তি করেছে কিনা।

সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিন এর পূর্বে জমি হস্তান্তর জনিত কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে কিনা?


৫. বন্ধকীকৃত জমিঃ

অনেক সময় জমি বিভিন্ন ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানে বন্ধক বা মর্টগেজ থাকে। এমন জমি কখনই ক্রয় করবেন না। কারণ বন্ধককৃত জমি ক্রয় – বিক্রয় সম্পূর্ণ বে-আইনী।


৬. কোন আদালতে মামলায় আবদ্ধ জমিঃ

অনেক সময় একই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলে। মামলা চলছে বা মামলা এখন নিষ্পত্তি হয়নি, এমন জমি কেনা উচিত নয়।


৭. বিরোধপূর্ণ জমিঃ

অনেক সময় ওয়ারিশসূত্রে জমির মালিক হলে ঠিকমত ওয়ারিশ সনদ বা বন্টননামা করা হয় না। এসব জমি নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে বিরোধ চলে।

এসকল বিরোধপূর্ণ জমি কেনা কোনভাবেই উচিৎ নয়।

কৃষি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে রেকর্ডীয় মালিকানায় অংশীদারগণ অগ্রক্রয়াধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। সুতরাং অংশীদারদের সম্মতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।


৮. দখলহীন জমিঃ

যেকোন জমির মালিকানার জন্য প্রয়োজন দলিল ও দখল। একটি ছাড়া অন্যটি অসম্পূর্ণ। এজন্য যিনি জমি বিক্রি করছেন জমিটি তার দখলে আছে কিনা জেনে নিন।

যদি দখলে না থাকে তবে এমন জমি ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। দখলহীন মালিকদের জমি ক্রয় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে জমি দখলের জন্য ঝগড়া, দাঙ্গা ফ্যাসাদ এবং মামলা মোকদ্দমায় জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৯. নাবালকের নামে জমিঃ

জমি যদি নাবালকের নামে থাকে, তবে সে জমি আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অভিভাবক ছাড়া বিক্রি করা যায় না। সাধারনত ১৮ বছরের নিচে ব্যক্তিকে নাবালক বলা হয়।

এজন্য, অনেকেই এমন জমি কিনে যা ওয়ারিশসূত্রে কোন নাবালকের অংশ আছে। কিন্তু, নাবালক বড় হয়ে মামলা করলে জমিটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এজন্য, এ ধরনের জমি কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন।


যেকোনো ধরনের আবাসিক বাড়ী, অফিস, মার্কেট ও শোরুম, হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর আধুনিক ও যুগোপযোগী রুচিসম্পন্ন ইন্টেরিয়র ডিজাইন সহ বিল্ডিং এর সকল ডিজাইন ও পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে....


ArchVista_DesignConsultant

+88 01614522225

Mail id: archvista.dc.2012@hotmail.com

আজ থেকে ৬ বছর আগের কাহিনী।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া গল্প

 আজ থেকে ৬ বছর আগের কাহিনী। একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে রাত তিনটার সময় বলেছিলো।চলো আজ আমরা একটু স*হ*বাস করি। কিন্তু তার স্ত্রী বললো সে করতে পারবে নাহ। কারন তার কোনো কিছু ভালো লাগছে নাহ। এই কথা বলতেই তার স্বামী তাকে স্ত্রীকে সন্দেহ করতে লাগে। যে তার স্ত্রী অন্য কোনো পুরুষ এর সাথে মে*লা মে*শা করে।

তাই স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বাসা ছেড়ে চলে যায়। ৬ মাস কেটে যায় বাসায় কোনো টাকা পয়সা পাঠায় নাহ। স্ত্রীর কোনো খোজ খবর নেয় নাহ এই দিকে একদিন সেই বক্তি শুনতে পায় তার স্ত্রী গ*র্ভবতি। তখন সেই ব্যক্তি আরো রেগে যায়। তখন তা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে অনেক ঝ*গড়া হয়। এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে বলে দেয় ম*রে গেলেও সে আর কোনো দিন বাসায় আসবে নাহ। কিন্তু এই টা যে সে বাস্তব গঠাবে তা কোন দিন তার স্ত্রী ভাবে নি।

দেখতে দেখতে ৯ মাস কে*টে যায় কিন্তু সেই ব্যক্তি বাসায় আসে নাহ। তার স্ত্রী অনেক অনুরোধ করে বাসায় আসার জন্য৷ একবার তাকে দেখবে বলে কিন্তু সেই ব্যক্তি আসে নাই। 

এই দিকে সে মহিলার সন্তান প্র*সব এর জন্য পেটে ব্যথা এই সময়  ফোন করে তারে তার স্বামী বললো। প্লিজ একটি বারের মতো বাসায় আসো তোমাকে একটি বার দেখবো।

তার স্বামী বললো আসতে পারবে নাহ। তারপর বাসায় সবাই তাকে অনুরোধ করে বাসায় আসার জন্য কিন্তু সে ব্যক্তি সব কিছুকে মিথ্যা মনে করে আসে নাই। 

সেই মহিলা কান্না করে বলতে লাগলো। আমার তো আমার স্বামীকে দেখার জন্য মনটা অনেক চাইতাছে। জানি নাহ আমি বা*চবো কিনাহ তবে আমি কি এমন দোষ করেছিলাম যে আজ আমার এই কঠিন মুহূর্তে কেনো আমি আজ আমার স্বামীকে কেনো পাসে পাচ্ছি নাহ। 

তবে আমি যদি ম*রে যাই তাহলে তোমরা আমার স্বামীকে বলবা তিনি যেনো আসে আমার এই কপালে একটা চু*মু দেয় আর নিজের হাতে কা*ফন করে।

বাসায় সবাই তাকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু কেউ সান্তনা দিতে পারে নাই তার সাথে বাসার সবাই কান্নায় ভে*ঙ্গে পড়ে। এই দিকে রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সন্তান প্র*সবের ব্যথা বাড়ছে নাহ যথাক্রমে আরও কমতে লাগলো।

এইটা দেখে সবাই ভয় পেয়ে গেলো। তারাতারি তার স্বামীর কাছে ফোন করে তার স্ত্রী অনেক বড় সমস্যায় পড়ছে টাকা পাঠাতে সি*জার করার জন্য। 

কিন্তু সেই বক্তি বলে তার কাছে কোনো টাকা নাই দিতে পারবে নাহ তার স্ত্রী ম*রে গেলে ম*রে যাক। তার কোনো আফসোস নাই।কথা শুনে বাসার সবাই অনেক কষ্ট পায় তারা চিন্তা করে কি করবে এখন এই দিকে রাত গড়িয়ে সকাল

হতে লাগলো এলাকার মানুষ একত্রিত হতে লাগলো। সবাই জিনিসটা নিয়ে গবেষনা করতে লাগে। আর বাসায় সবাই ল*জ্জায় মুখ ঢাকতে লাগে। লাষ্টে একজন ব্যক্তি উঠে দাড়ায় গ্রামের সবার থেকে টাকা তুলে তার চিকিৎসা করাবে। 

এই উদেশ্য নিয়ে টাকা তোলা হয় মহিলাকে হসপিটাল নেওয়া হয়। ডাক্তার বলে  চিকিৎসা করতে পারবে নাহ তবে তার স্বামী যদি এসে বলে তাহলে করবে। 

সেই সময় তার স্বামীকে ফোন করা হয় এলাকার সবাই তাকে অনুরোধ করে আসার জন্য। কিন্তু সে ব্যক্তি মনে করে সবাই তো মিথ্যা কথা বলছে বাসায় যাওয়ার জন্য। তাই সে রাগে ফোন বন্ধ করে ফেললো। 

এই বার এলাকার মানুষ ডাক্তারকে অনেক অনুরোধ করতে লাগলো। শেষে ডাক্তার রাজী হলো। তবে এইবার তার র*ক্ত যোগার করার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো।

সেই মহিলা কেমন যানি একা হয়ে গেলো। তার পাসে ছিলো একটা মহিলা সেই মহিলাকে সে বলতে লাগলো আপা আমাকে একটু পানি দিবেন আমার খুব পি*পাসা লেগেছে।

মহিলাটি তাকে এক লিটার পানির বোতল দেয়। সে একেবারে সেই পানি খেয়ে ফেললো আরও পানি চাইলো আর খওয়ার জন্য রুটি চাইলো।তাকে রুটি দেওয়া হলো।সে এমন ভাবে খাবার আর পানি খেলো।

যেনো মনে হলো জীবনের শে*ষ খাবার সে একসাথে খেয়েছে। খাবার শেষ করে বললো। আপা একটু এদিকে আসেন আপনাকে কিছু কথা বলি। 

তখন মহিলাটি তার পাসে গিয়ে বসলো। তখন মহিলাটি তার হাত ধরে কেদে ফেললো আর বললো আপা হয়তো আমি আর বা*চবো না।আমার জীবন হয়তো এইখানেই শে*ষ। তবে একটা কথা কি জানেন।

যেইখানে আজ আমার স্বামীর থাকার কথা সেখানে আপনি আছেন তাই আপনাকে আমি বলি। আমার সন্তান আছে তাদের কেউ না দেখলেও আপনি দেখবেন আমার ছোট ছেলে ২ বছর হবে তাকে আপনার পাসে রাখবেন। 

আমাকে কথা দেন তখন সেই মহিলা কাদার জন্য কিছু বলতে পারতেছে নাহ তাও অনেক কষ্টে তার হাতে হাত রেখে বললো এমন কথা বলবা না তোমার কিছু হবে না। 

তখন সে বললো আপা  কাদবো তো আমি আপনি কেনো কাদতেছেন কাদবো তো আমি। কারন আমার বি*দায় ঘন্টা বে*জে গেছে। আর সে বললো। জানেন আপা আমি জীবনে আমার স্বামীকে পাসে চাইছিলাম। 

কিন্তু দেখেন আমার কি ভাগ্য আজ আমার থেকে সে অনেক দূরে। তবে আপু আমি ও অভিমান পারি আর সেই অভিমানে আমিও চলে যাবো তার থেকে অনেক অনেক দূরে বলেই কেমন জানি করা শুরু করলো।

পাসে থাকা মহিলাটি অনেক ভয় পেলো আর ডাক্তারকে বলতে লাগলো।

Collected

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...