এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই


মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।


ক্লিওপেট্রা ....মিশরের ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ আছে অথচ এ নামটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো নেই। এই নারী শাসকের প্রেম আর সৌন্দর্যের ফাঁদে পড়েননি, এমন পুরুষ সে আমলে পাওয়া যাবে না বললেই চলে। এই লাস্যময়ী নারী শুধুমাত্র তার রূপের গুণেই কত বড় বড় যুদ্ধ বিনা রক্তপাতে জয়লাভ করেছেন!


অথচ এমন একদিন এসেছিল, যেদিন তাকে কিনা বন্দী হতে হতো অক্টাভিয়ানের হাতে, হয়তো বরণ করে নিতে হতো দাসীর জীবন। তিনি ভেবেছিলেন, এর চেয়ে বরং মৃত্যুই শ্রেয়! সারা জীবন তিনি বিলাসিতা আর সৌন্দর্যের যে উপাখ্যান রচনা করেছেন, মৃত্যুতেও সেই ইতিহাস অমর করে রাখতে চেয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা। তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন অমরত্ব লাভের অন্য পথ। বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই সাপ ছোবল মারে তার বুকে।


হলিউড সিনেমাগুলোতে ক্লিওপেট্রাকে যেভাবে শুধুমাত্র এক আকর্ষণীয় নারী চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, বাস্তবে তিনি ছিলেন তার চেয়েও ঢের বেশি। অসম্ভব কুশলী আর যথেষ্ট রাজনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন তিনি। তারপরও কীভাবে এই করুণ পরিণতির সম্মুখীন হলেন ‘সৌন্দর্যের দেবী’ বলে আখ্যায়িত ক্লিওপেট্রা, সেটিই তুলে ধরা হচ্ছে আজকের লেখায়।


৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রাজা টলেমি অলেটিসের ঘরে জন্ম নেন সপ্তদশ ক্লিওপেট্রা। ধন-দৌলত, ঐতিহ্য বা ইতিহাস- সবদিক থেকেই মিশর ছিল অতুলনীয়। ক্লিওপেট্রা জন্মানোর আরো ১০০ বছর আগে থেকেই অন্য এক পরাশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল সে অঞ্চলে, সেই শক্তির অধিপতি ছিল রোমানরা। মিশরের বুকে টলেমি রাজবংশের রাজত্ব প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলছিল। টলেমিদের পূর্বপুরুষ ছিলেন গ্রিকের মেসোডোনিয়ার। আদি অধিবাসী না হয়েও বছরের পর বছর মিশরের নাগরিকদের শাসন করে আসছিল তারা, এই নিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষুব্ধ হতে থাকে মিশরীয় রক্ত ধারণ করা মানুষগুলো। ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে টলেমি রাজত্ব। যেকোনো সময়েই রোমানরা আক্রমণ চালাতে পারে, এই ভয়ে টলেমি বংশ রোমানদের সাথে শান্তিচুক্তি করে। দামি দামি উপঢৌকন আর প্রজাদের কর রোমানদের পাঠিয়ে তুষ্ট রাখতে চায় টলেমিরা, বিনিময়ে তাদের চাওয়া ছিল মিশরের শাসক হিসেবে বহাল থাকা।


এমনই এক নড়বড়ে অবস্থায় জন্ম ক্লিওপেট্রার। ৫১ খ্রিস্টপূর্বে অলেটিস যখন মারা যান, তার উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যান তার মেয়ে ক্লিওপেট্রা আর ছেলে ত্রয়োদশ টলেমিকে। প্রাচীন মিশরের নিয়ম অনুসারে, একজন নারী শাসক সবসময়ই পুরুষ শাসকের অধীনে থাকবে। তবে ক্লিওপেট্রার ইচ্ছা ছিল অন্যরকম। সিংহাসনে আরোহণের কিছুদিনের মাথায় সরকারি সকল নথি থেকে, এমনকি মুদ্রা থেকেও ভাইয়ের ছবি বর্জন করেন তিনি। উল্লেখ্য যে, ক্লিওপেট্রার বয়স ছিল তখন ১৮ আর টলেমির বয়স ১০ এবং তাদের বিয়েও হয়েছিল! এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, কারণ, প্রাচীন মিশরীয় বংশে এটি ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এ রীতির ফলে সিংহাসনের দাবিদার যেমন কমে যেত, তেমনি রাজবংশের মেয়েরাও রানী হিসেবে যথোপযুক্ত মর্যাদায় জীবন অতিবাহিত করতেন! কিন্তু ক্লিওপেট্রা এতেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার চোখে ছিল সারা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী নারী আর ধনকুবের হওয়ার স্বপ্ন।


কিন্তু অচিরেই তার এই পন্থা রাজকার্যের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের খেপিয়ে তোলে। কিছুদিনের মধ্যেই তাকে এই কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেকজান্দ্রিয়া (তৎকালীন মিশরের রাজধানী) থেকে বিতাড়িত করেন ত্রয়োদশ টলেমি। ক্লিওপেট্রা পালিয়ে যান সিরিয়ায়।


মাঝে আরও বেশ কিছু বিরোধের ঘটনা ঘটে রোমান আর মিশরীয়দের মাঝে। একদিকে ক্লিওপেট্রা ছিলেন নিজের শাসন ক্ষমতা ফিরে পেতে উদগ্রীব, আর অন্যদিকে মিশরের দিকে চোখ ছিল রোমান সাম্রাজ্যের। একদিকে ছিলেন টলেমি, ক্লিওপেট্রা; অন্যদিকে ছিলেন জুলিয়াস সিজার। জুলিয়াস সিজার হলেন রোমান সাম্রাজ্যের উত্থানের এক ঐতিহাসিক চরিত্র। সিজারের সাথে ছিল সেপ্টিমিয়াস আর আচিলাসের বাহিনী। সিজার খুব সহজেই টলেমিকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন। আর তখনই চাল চাললেন বুদ্ধিমতী ক্লিওপেট্রা।


অ্যাপোলোডোরাস নামের বিশ্বস্ত সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে আলেকজান্দ্রিয়ার বন্দরে হাজির হলেন তিনি। খুব দামি একটি কম্বল কিনে ক্লিওপেট্রাকে ওই কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে সিজারের কাছে পাঠিয়ে দিলেন অ্যাপোলোডোরাস। যুদ্ধের সময় এমন একটি উপহার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আশ্চর্য হয়ে গেলেন সিজার। ভেতরে ক্লিওপেট্রাকে পেয়ে আকাশ থেকে পড়লেন তিনি। তাকে দেখে সিজারের যেন মাথা ঘুরে গেল। আর সিজারকে বশ করতেও খুব বেশি সময় লাগল না ক্লিওপেট্রার। ব্যাপারটি ভাবলে দেখা যায়- একদিকে টলেমি ক্ষমতাচ্যুত হলেন, আলেকজান্দ্রিয়ার জন্য যুদ্ধ করলেন সিজার আর সেপ্টিমিয়াস; ওদিকে বিনা যুদ্ধে সিংহাসনে বসলেন কিনা ক্লিওপেট্রা! একটি সৈন্যও মারা গেল না, একটি তীরও ছুঁড়তে হল না তাকে!


ক্লিওপেট্রার সাধ ছিল পৃথিবীর সেরা ধনবান নারী হওয়ার। আর এদিকে মোটা অংকের ঋণ জোগাড়ে জুড়ি ছিল না সিজারের। তাই সম্পর্ক ভালোই চলছিল দুজনের।


কিন্তু ঘটনার অন্যতম নায়ক টলেমিকে ভুলে গেলে চলবে না। এত সহজে ক্ষমতার লোভ ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি। পনথিনাসের নেতৃত্বে ২০,০০০ সৈন্য নিয়ে ৪৭ খ্রিস্টপূর্বে আলেকজান্দ্রিয়া আক্রমণ করেন তিনি। কিন্তু অচিরেই যুদ্ধে পরাজিত হন টলেমি। পালাতে গিয়ে নীল নদে ডুবে মারা যান তিনি। তার কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন সিজার এবং ক্লিওপেট্রা। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই আততায়ীর হাতে খুন হন সিজার। ক্লিওপেট্রা নিজেকে যেমন মিশরীয় দেবী আইসিসের পুনরুত্থান বলে মনে করতেন, তেমনি সিজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তিনিও খুব শীঘ্রই নিজেকে দেবতা হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। তাই রোমানরা তার এই পাগলামি আর সহ্য করতে না পেরে খুন করেছিল তাকে। অথচ এই খুনের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হন ক্লিওপেট্রা নিজে। কারণ তখন তিনি হলেন প্রাচীন মিশরের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী।


ঘটনা এখানে শেষ হলেও পারত। কিন্তু আসল নায়কের আবির্ভাব এখনো বাকি। রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বিদ্রোহীদের সাহায্য করার অভিযোগে ক্লিওপেট্রাকে কঠোর বার্তা পাঠান রোমান নেতা মার্ক অ্যান্টনি। অ্যান্টনি জুলিয়াস সিজারের সমর্থক ছিলেন এবং তার জীবদ্দশায় তার জেনারেলদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আলোচনার উদ্দেশ্যে সিলিসিয়ায় যেতে বাধ্য করা হলো তাকে, মহাসমারোহে সিলিসিয়ায় পৌঁছালেন ক্লিওপেট্রা। কিন্তু তাকে দেখে এতটাই বিমোহিত হয়ে পড়েছিলেন অ্যান্টনি, সবকিছু ভুলে রানীর সাথে আলেকজান্দ্রিয়ায় ফেরত আসলেন তিনি। এক বছরের মধ্যে জমজ সন্তানের জন্ম দিলেন ক্লিওপেট্রা। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও ৩৬ খ্রিস্টপূর্বে পুনরায় ক্লিওপেট্রাকে বিয়ে করলেন অ্যান্টনি। আগের স্ত্রীর সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদ করলেন তিনি। আর তার সাথে সকল রোমান মুদ্রায় মুদ্রিত হলো ক্লিওপেট্রার ছবি।


এসব কিছু ক্ষিপ্ত করে তোলে অ্যান্টনির আগের স্ত্রী অক্টাভিয়ার ভাইকে। নৌপথে আক্রমণ চালান তিনি। অ্যান্টনির বাহিনী এত শক্তিশালী ছিল না যে, এই আঘাত সামাল দিতে পারবে। তাই অচিরেই আলেকজান্দ্রিয়ায় পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম! নিজের ভালোবাসার মানুষ ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ তাকে উদ্যত করে আত্মহত্যা করতে, নিজের তরবারি দিয়ে নিজেরই প্রাণ নেন এই মহান যোদ্ধা। নিজের মৃত্যুর ভুয়া খবর নিজেই ছড়িয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা, কিন্তু এ ব্যাপারে অ্যান্টনি জানতেন না কিছুই!


কিছু ভালোবাসার কাহিনী যেমন অমর হয়ে থাকে, তেমনই ছিল ক্লিওপেট্রা আর অ্যান্টনির সম্পর্ক। অ্যান্টনির মৃত্যুর সংবাদে বিচলিত হয়ে ওঠেন তিনি। বুঝতে পারেন, কী বিশাল ভুল হয়েছে তার। এরপর ৩০ খ্রিস্টপূর্বে ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ব্যথা নিয়ে সাপের কামড়ে আত্মাহুতি দেন ক্লিওপেট্রা। ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর সাথে সাথে শেষ হয় মিশরে টলেমিদের রাজত্বের, ভিত্তি স্থাপন হয় মিশরের বুকে রোমান সাম্রাজ্যের।


প্রশ্ন ওঠে, ক্লিওপেট্রা কি আসলেই সৌন্দর্যের দেবী ছিলেন? তার সাফল্যগাথা কি কেবল তার রূপের সাথেই জড়িত ছিল? সিজার অথবা অ্যান্টনির মতো কুখ্যাত নারীঘেঁষা চরিত্র ক্লিওপেট্রাকে কি কেবল তার আকর্ষণীয় রূপের জন্যই ভালোবেসেছিলেন?


বাহ্যিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে হয়তো ক্লিওপেট্রাকে মাপা যাবে না। রোমান ইতিহাসবিদ ক্যাসিয়াস ডিও আমাদেরকে বলেন যে, ক্লিওপেট্রার নিজেকে প্রত্যেকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার মতো অসাধারণ জ্ঞান ছিল। একইভাবে, গ্রীক ইতিহাসবিদ প্লুটোচ বলেন, ক্লিওপেট্রার সাথে কথোপকথন ছিল একটি অলঙ্ঘনীয় কবিতার মতো; আর তার উপস্থিতি, তার বক্তৃতা যেকোনো চরিত্রকে আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। তিনি আরো লিখেছিলেন যে, ক্লিওপেট্রার কণ্ঠে মিষ্টতা ছিল; এবং তিনি সহজেই যেকোনো পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন।


তাই বলা যায়, কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, বরং বুদ্ধি, সাহস আর মর্মস্পর্শী আচরণ দিয়ে তিনি হৃদয় জয় করেছিলেন সিজার ও অ্যান্টনির মতো ক্ষমতাধর পুরুষদের। ক্লিওপেট্রার আসল সৌন্দর্য ছিল তার বুদ্ধিদীপ্ত আচরণে, তা নিয়েই তিনি হাজার হাজার বছর ধরে অমর হয়ে থাকবেন পৃথিবীর ইতিহাসে।


Collected.


Source ...Ancient Egypt

যৌন রোগে ব্যবহৃত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ঔষধ সমূহ।

 🌿যৌন রোগে ব্যবহৃত অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ঔষধ সমূহ।হোমিও ডাক্তারদের কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী যান, তাদের প্রত্যেকেই বলেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি ; ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।) অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে।


🌿Lycopodium clavatum:

লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।


🌿Selenium:

যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।


🌿Agnus Castus:

রণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।


🌿Caladium seguinum:

যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।


🌿Origanum marjorana:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।


🌿Moschus Moschiferus:

ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।


🌿Staphisagria:

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।


🌿Salix nigra:

মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।


🌿Sabal serrulata:

সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।


🌿Conium:

স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।


🌿Calcarea Carb:

ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।


🌿Natrum carbonicum:

যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।


🌿Nux Vomica:

নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।


🌿Titanium:

সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা

পূর্ব প্রকাশের পর।


🌿হোমিওপ্যাথিক টিপস

🌿হেল্পলাইন 01955507911

মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।

 কাজী নজরুল সম্পর্কে যে ২০টি তথ্য আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন।


কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ছিল বিচিত্র আর বহুবর্ণিল। তাঁর সেই জীবনের কতটুকুই-বা আমরা জানি? আজ নজরুলজয়ন্তীতে নজরুল-গবেষকদের লেখা বিভিন্ন বই ও পত্রিকা ঘেঁটে এখানে বিদ্রোহী কবি-সম্পর্কিত এমন ২০টি তথ্য তুলে ধরা হলো, যেগুলো আপনি না-ও জেনে থাকতে পারেন!


🌹১. নজরুলের জীবন কোনো নিয়মের জালে আটকা ছিল না। যখন যা ভালো লাগত, তিনি তা-ই করতেন। দিন নেই, রাত নেই হই হই রব তুলে উঠে পড়তেন কোনো বন্ধুর বাড়িতে। তারপর চলত অবিরাম আড্ডা আর গান!


🌹২. নজরুলের লেখার জন্য কোনো বিশেষ পরিবেশ লাগত না। গাছতলায় বসে যেমন তিনি লিখতে পারতেন, তেমনি ঘরোয়া বৈঠকেও তাঁর ভেতর থেকে লেখা বের হয়ে আসত।


🌹৩. নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাঁকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তথ্য দিয়েছেন, নজরুল তাঁর ঝলমলে পোশাকের ব্যাপারে বলতেন, ‘আমার সম্ভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। আমার তো মানুষকে বিভ্রান্ত করবার কথা!’


🌹৪. নজরুলের পাঠাভ্যাস ছিল বহুমুখী। তিনি পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, বেদ, ত্রিপিটক, মহাভারত, রামায়ণ যেমন পড়তেন, তেমন পড়তেন শেলি, কিটস, কার্ল মার্ক্স, ম্যাক্সিম গোর্কিসহ বিশ্বখ্যাত লেখকদের লেখা। রবীন্দ্রনাথের ‘গীতবিতান’-এর সব কটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন তিনি!


🌹৫. বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব‌্যক্তি, যিনি সব ধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তাঁর গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো, যার অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি।


🌹৬. বাঙালি কবিদের মধ্যে নজরুলই ছিলেন সবচেয়ে বেশি রসিক। তাঁর কথায় হাসির ঢেউ উঠত। হিরণ্ময় ভট্টাচার্য ‘রসিক নজরুল’ নামে একটি বই লিখেছেন। যাঁরা বইটি পড়েননি, তাঁদের পক্ষে বোঝা কষ্টকর নজরুল কী পরিমাণ রসিক ছিলেন! একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, একবার এক ভদ্রমহিলা নজরুলকে খুব স্মার্টলি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি কি পানাসক্ত?’ নজরুল বললেন, ‘না, বেশ্যাসক্ত!’ কবির কথায় ভদ্রমহিলার মুখ কালো হয়ে গেল। আর তক্ষুনি ব্যাখ্যা করলেন নজরুল, ‘পান একটু বেশি খাই। তাই বেশ্যাসক্ত, অর্থাৎ বেশি+আসক্ত = বেশ্যাসক্ত!’


🌹৭. নজরুলের প্রেমে পড়েননি, এমন পুরুষ কিংবা নারী খুঁজে পাওয়া ভার। তাঁর চরম শত্রুরাও তাঁর ভালোবাসার শক্তির কাছে হার মেনেছেন। কবি বুদ্ধদেব বসু নজরুলকে প্রথম দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। তিনি লিখেছেন, ‘সেই প্রথম আমি দেখলাম নজরুলকে। এবং অন্য অনেকের মতো যথারীতি তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম!’ শুধু বুদ্ধদেব বসু নন, তাঁর স্ত্রী প্রতিভা বসুও নজরুলের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কাহিনি নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘আয়না’ নামে একটি গল্প। কী অবাক কাণ্ড! স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই লেখকের প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন!


🌹৮. কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পান ও চা খেতেন। লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন তিনি। পান শেষ করে চা, এরপর আবার চা শেষ করে পান খেতেন। তিনি বলতেন, ‘লেখক যদি হতে চান/ লাখ পেয়ালা চা খান!’


🌹৯. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের হস্তরেখা বিশারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন, তা-ই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন, আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যিই কয়েক দিনের মধ‌্যে বিদেশ চলে গেল! আরেকজনকে বললেন, ‘আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন।’ পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল!


🌹১০. মাঝেমধ্যে রাগান্বিত হলে নজরুল তাঁর সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন, তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।


🌹১১. অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসাবি। হাতে টাকা এলেই তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করে শেষ করে দিতেন। আর বলতেন, ‘আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি। আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’


🌹১২. নজরুল তাঁর দুই পুত্রের ডাকনাম সানি (কাজী সব্যসাচী) আর নিনি (কাজী অনিরুদ্ধ) রেখেছিলেন তাঁর দুই প্রিয় মানুষ সান ইয়াত-সেন ও লেনিনের নামানুসারে।


🌹১৩. নজরুল তাঁর সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাঁদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন, ‘সানি-নিনি দুই ভাই/ ব্যাঙ মারে ঠুই ঠাই।’ কিংবা ‘তোমার সানি যুদ্ধে যাবে মুখটি করে চাঁদপানা/ কোল-ন্যাওটা তোমার নিনি বোমার ভয়ে আধখানা।’


🌹১৪. নজরুল ছিলেন সত্যিকারের জনদরদি মানুষ। একটি ঘটনা দিয়ে তার প্রমাণ দেওয়া যেতে পারে। দক্ষিণ কলকাতার এক দরিদ্র হিন্দু মেয়ের বিবাহ। কোনোরকমে কন্যা বিদায়ের আয়োজন চলছে। নজরুল খবরটি পেলেন। তিনি দ্রুত বাজারে গেলেন। এক হিন্দু বন্ধুকে নিয়ে বিয়ের বাজার করলেন। তারপর ধুমধাম করে মেয়েটির বিয়ে হলো। মেয়ের বাবা নজরুলকে প্রণাম করে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমরা আপনাকে ভুলব না কোনো দিন।’ এমনই ছিলেন কবি। তাঁর বাড়িতে সাঁওতাল, গারো, কোল—সবাই দল বেঁধে আসতেন। আপ্যায়িত হতেন উৎসবসহকারে।


🌹১৫. নজরুল কবিতা ও গানের স্বত্ব বিক্রি করে উন্নত মানের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন। এই গাড়ি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি।


🌹১৬. নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদভ্রমণে যেতেন।


🌹১৭. নজরুলের দৃষ্টিশক্তি ছিল অসামান্য। তিনি গভীর অন্ধকারেও বহুদূরের কোনো জিনিস স্পষ্ট দেখতে পেতেন।


🌹১৮. নজরুল ছিলেন অসম্ভব রকমের ক্রীড়াপ্রেমী। সময় পেলেই তিনি ফুটবল খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ছুটতেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে। যেদিন বাড়ি থেকে সোজা খেলা দেখতে যেতেন, সেদিন দুই পুত্র সানি আর নিনিকে সঙ্গে নিতেন। একবার খেলা দেখতে গেছেন। স্টেডিয়ামে পাশে বসে আছেন হুমায়ূন কবির। খেলা ভাঙার পর ভিড়ের মধ্যে দুই পুত্র খানিকটা আড়ালে চলে গেল। হঠাৎ পেছন থেকে নজরুলের হাঁকডাক শোনা গেল, ‘সানি কোথায়? নিনি কোথায়?’ মাঠসুদ্ধ লোক হাঁ হয়ে নজরুলকে দেখছে। এরই মধ্যে দুই পুত্রকে ঠেসে ধরে ট্যাক্সি করে বাড়ি নিয়ে এসে তিনি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।


🌹১৯. নজরুল বেশ দক্ষ দাবাড়ু ছিলেন। যেদিন বিশেষ কোনো কাজ থাকত না, সেদিন তিনি দাবা খেলতেন। খেলায় এমন মগ্ন হতেন যে খাওয়া-নাওয়ার খেয়ালও থাকত না। মাঝেমধ্যে নজরুলের বাড়িতে দাবার আসর বসাতে আসতেন কাজী মোহাতার হোসেন ও হেম সোম।


🌹২০. কলকাতায় নজরুলের তিনতলা বাড়ির সামনে ছিল একটা ন্যাড়া মাঠ। খেলা নিয়ে বহু কাণ্ড ঘটেছে ওই মাঠে। একবার জোর ক্রিকেট খেলা চলছে। নজরুল গ্যালারি অর্থাৎ বারান্দায় দাঁড়িয়ে খেলারত তাঁর দুই পুত্রকে জোর উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বড় পুত্র সানি এল ব্যাট করতে। প্রথম বলেই ছয়! নজরুলের সে কি দাপাদাপি! ঠিক পরের বল আসার আগে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘সানি, ওই রকম আরেকটা মার।’ ব্যস বাবার কথায় উত্তেজিত হয়ে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ব্যাট চালাল পুত্র। ব্যাট অবশ্য বলে লাগল না। লাগল উইকেটকিপারের চোয়ালে! বেশ রক্তারক্তি অবস্থা! অবশেষে খেলা বন্ধ করা হলো।


এমনই নানা রঙের মানুষ ছিলেন নজরুল। যাঁর জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার রং-রূপেরও অভাব ছিল না। পৃথিবীর খুব কম মানুষই বোধ হয় এমন  মহাজীবনের অধিকারী হন। বুদ্ধদেব বসু যথার্থই বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তাঁর হাসি, কণ্ঠে তাঁর গান, প্রাণে তাঁর অফুরান আনন্দ—সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’

💜❤️🤍💜

___ নজরুল অঞ্জলি ツ

(সংগৃহীত)

কম বেশি সকল নারীর এখন এই রোগে আক্রান্ত,, ওভারিয়ান সিস্ট: নীরবতা ভাঙুন, জেনে রাখুন

 কম বেশি সকল নারীর এখন এই রোগে আক্রান্ত,,


ওভারিয়ান সিস্ট: নীরবতা ভাঙুন, জেনে রাখুন


হঠাৎ তীব্র পেটব্যথা , মাসিক এলোমেলো ,মাথা ঘোরা , জ্বর জ্বর ভাব , বমি বমি ভাব হলেই উপেক্ষা করবেন না |


সিস্ট একটা শব্দ নয়—এটা একজন নারীর অজানা আতঙ্ক, নীরব যন্ত্রণা।


বেশিরভাগ সিস্ট ক্ষতিকর নয়, মিলিয়ে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু কিছু সিস্ট হতে পারে বিপজ্জনক যদি উপেক্ষা করেন, হারাতে পারেন ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও।


অবশ্যই সমাধান আছে, সচেতনতা প্রয়োজন ।


• ব্যথা হলে ওষুধ নয়—ডাক্তার দেখান

• বড় বা জটিল সিস্ট হলে অপারেশন জরুরি

• হঠাৎ তল পেট ব্যথা, মাথা ঘোরা বা জ্বর হলে দেরি না করে ডাক্তার বা হাসপাতালের শরনাপন্ন হন !


হেমরোজিক সিস্ট (Hemorrhagic cyst) হলো এক ধরনের ওভারিয়ান সিস্ট, যেখানে সিস্টের ভেতরে 🩸রক্ত জমে যায়। এটি সাধারণত ফেটে গেলে তীব্র পেটে ব্যথা হতে পারে। এটি স্বাভাবিক মাসিক চক্রে হয়ে থাকতে পারে এবং অনেক সময় চিকিৎসা ছাড়াই সেরে যায়।


পলিসিস্টিক (Polycystic Ovary Syndrome - PCOS) হলো হরমোনজনিত সমস্যা, যেখানে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়। এটি গর্ভধারণ ও গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন গর্ভপাত বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ানো। নিয়মিত চিকিৎসা ও যত্ন জরুরি।


অ্যাডনেক্সাল সিস্ট হলো জরায়ুর আশেপাশে থাকা ডিম্বাশয় বা ফলোপিয়ান টিউবে তৈরি তরলপূর্ণ একটি থলি বা গাঁট। এটি সাধারনত অস্বাভাবিক নয় এবং অনেক সময় নিজে নিজেই সেরে যায়। তবে কখনো কখনো এটি বড় হয়ে ব্যথা, ঋতুচক্রে অসামঞ্জস্য বা গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রয়োজনে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

টেইলরিং বিজনেসে ফেসবুকে অর্গানিক রিচ বাড়াতে হলে কনটেন্ট, কমিউনিটি এবং কনসিস্টেন্সি—এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিচে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা দেওয়া হলো, যেটি আপনি সহজেই ফলো করতে পারবেন:,,,,

 🏆🪡🧵টেইলরিং বিজনেসে ফেসবুকে অর্গানিক রিচ বাড়াতে হলে কনটেন্ট, কমিউনিটি এবং কনসিস্টেন্সি—এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নিচে একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা দেওয়া হলো, যেটি আপনি সহজেই ফলো করতে পারবেন:🏆


📌 পরিকল্পনার ধাপসমূহ:


১. 🎯 টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ


বয়স: ১৮–৪০ বছর


অবস্থান: বাংলাদেশ (বিশেষ করে শহরাঞ্চল)


আগ্রহ: ফ্যাশন, নিজস্ব পোশাক তৈরি, বিয়ে/ইভেন্ট ড্রেস, হিজাব স্টাইল, স্টিচিং/ডিজাইন ইত্যাদি।


২. 📱 প্রোফাইল/পেজ অপটিমাইজেশন


পেজের নাম ও ইউজারনেম পরিষ্কার ও ব্র্যান্ডেড রাখুন।


প্রোফাইল পিকচার: লোগো বা পরিচিতি ছবি।


কভার ফটো: আপনার কাজের নমুনা ও যোগাযোগের তথ্য।


অ্যাবাউট সেকশন: কী ধরনের সার্ভিস দেন, অবস্থান, সময়, কাস্টমাইজেশন সুবিধা ইত্যাদি উল্লেখ করুন।


৩. 📸 কনটেন্ট প্ল্যানিং (সাপ্তাহিক)


দিন কনটেন্ট আইডিয়া টাইপ


সোমবার নতুন ড্রেস ডিজাইন (Before & After) রিল / ভিডিও

মঙ্গলবার কাস্টমার রিভিউ / ভিডিও টেস্টিমোনিয়াল ছবি/ভিডিও

বুধবার কাপড় ও কাটিং সম্পর্কে টিপস গ্রাফিক্স / রিল

বৃহস্পতিবার “কিভাবে একটা অর্ডার প্রসেস হয়” (Behind the scenes) রিল

শুক্রবার ইসলামিক / modest fashion tips ক্যারোসেল

শনিবার "আপনার প্রশ্নের উত্তর" / Q&A লাইভ বা ভিডিও

রবিবার হ্যান্ডমেড ডিটেইল/মেশিন ওয়ার্ক দেখানো ক্লোজআপ রিল


৪. 🎬 ভিডিও কনটেন্টের গুরুত্ব


১৫–৩০ সেকেন্ডের ছোট ছোট Reels বেশি রিচ পায়।


ভিডিওতে মানুষ, মুভমেন্ট, এবং কিছু লেখা থাকলে বেশি এনগেজমেন্ট হয়।


"Before vs After", "1 Dress – 3 Looks", "Client Reaction", “Process” টাইপ ভিডিও তৈরি করুন।


৫. 🧵 ইনোভেটিভ পোস্ট আইডিয়াস


“আপনার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরি ড্রেস ডিজাইন”


“কাস্টমাইজড জামার পেছনের গল্প”


“১২০০ টাকায় বিয়ের শাড়ির ব্লাউজ ডিজাইন”


“এই ডিজাইনটা কোন কালেকশন থেকে? দেখে বলেন তো?”

পোল / কুইজ: “আপনি কোন ডিজাইনটা পছন্দ করেন?”


৬. 🤝 কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কৌশল

পোস্টে প্রশ্ন রাখুন: "আপনি কোন ডিজাইনটা পছন্দ করছেন?"

কমেন্টে রিপ্লাই দিন।ইনবক্সে আগ্রহ দেখানো মানুষদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করুন।কাস্টমারদের ট্যাগ করে রিভিউ শেয়ার করতে বলুন।


৭. 📊 টাইমিং ও কনসিস্টেন্সি

পোস্ট টাইম:

সকাল ৯–১০টা

বিকাল ৫–৬টা

রাত ৮–৯টা

প্রতিদিন ১–২টি পোস্ট কনসিস্টেন্ট রাখুন।প্রতি সপ্তাহে ১ দিন লাইভ আসার চেষ্টা করুন।


৮. 📌 হ্যাশট্যাগ ও লোকেশন ট্যাগ


#টেইলরিং_বাংলাদেশ


#CustomDressBD


#AnarkaliDesign


#StitchingStudio


লোকেশন ট্যাগ: আপনার শহরের নাম দিন, যেমন “Dhaka, Bangladesh”


৯. 📲 ফেসবুক গ্রুপ ও ইনবক্স মার্কেটিং

স্থানীয় টেইলরিং/ফ্যাশন/মেয়েদের গ্রুপে পোস্ট করুন।

আগ্রহী লোকদের ইনবক্সে thank you note ও নতুন অফার পাঠান।


১০. 📈 ফলাফল বিশ্লেষণ

Facebook Insights দেখে বুঝুন কোন পোস্ট বেশি রিচ পাচ্ছে।সেই টাইপ কনটেন্ট নিয়মিত করুন।


🌟 এক্সট্রা টিপস:


কম আলো, ঝাপসা ছবি কখনো পোস্ট করবেন না।


কনটেন্টে মানুষ এবং আবেগ থাকলে রিচ বেশি হয়।


মাঝে মাঝে কন্টেস্ট বা গিভওয়ে দিন।


আনিকা তাবাসসুম 

ফ্যাশন ডিজাইনার,উদ্যোক্তা,প্রশিক্ষক

গাভী গর্ভকালীন সময় যা যা করণীয় 

 গাভী গর্ভকালীন সময় যা যা করণীয় 


১.গাভীর গর্ভের সময়কার সাত মাসের বেশী হলে এ সময় বেশী করে প্রোটিন যুক্ত কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে,যে কোন  ঘাস হলেই হবে না।ঘাসের ক্রুড প্রোটিন ও মিনারেলস ও পুষ্টি উপাদান প্রসব সহায়তা করে। 


২.শেষের দুইমাস দানাদার কমিয়ে আনতে হবে;এসময় গাভীর খাদ্য গ্রহনের জন্য পেটে জায়গা অনেক কমে যায়।যা খাবার দিবেন,যথেষ্ট পুষ্টিকর হতে হবে।ছোলা,মশুরী ও সয়াবিন,সরিষার খৈল উপকারী।অনেকে প্রিমাফ্যাট,হাই ফ্যাট/পাম ওয়েল ফ্যাট খাওয়ানোতে ও বেশ উপকার পাচ্ছেন। 


৩.এ সময় মিনারেলস এর পরিমান বাড়াতে হবে,সাধারন লবনের/NaCl খাওয়ানো একদম কমাতে হবে,বা বাধ দিতে হবে।সাধারন লবনের পরিমান বেশী হলে ওলানে ও নাভিতে পানি চলে আসবে ও যে কোন সময় পেটফাঁপা/ Acodisis হতে পারে. 


৪.এ সময় কি কি বেশী দরকার?ক্যালসিয়াম,আয়রন,জিংক,ফসফেট,সেলেনিয়াম,

কোবাল্ট,ভিটামিন AD3E সমৃদ্ধ খাবার বাড়াতে হবে।মনে রাখবে এই পয়েন্ট টি হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ জাতীয় খাবার কি কি এটা বুঝতে অনেক জ্ঞানের প্রয়োজন তাই এটা না জানলে বাজার থেকে এসব উপাদান পরিপূরক ঔষধ/খাবার দিতে হবে। 

যেমন ,

DCP Powder,Calcium Syrup/

Renasol Vitamin AD3E Syrup,

Andox D,এমাইনোভিট প্লাস সিরাপ,আয়রন সিরাপ!

এ সব ঔষধ কি পরিমান খাওয়াবেন এটা উপজেলা ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে করবেন।

প্রসবের 21 দিন আগে থেকে Calcium Syrup বন্ধ করে বা একদম কমিয়ে দিবেন, এসময় তিন দিন পর একটু সিরাপ বা 50 গ্রাম ডিসিপি দিবেন!ডিবি পাউডার ও জিংক সিরাপ চলবে। প্রসবের পর জিংক সিরাপ বন্ধ থাকবে।

৫.প্রসবের  21 দিন আগে থেকে DCAD Minus নামক পাউডার খাওয়াতে হবে সকাল বিকাল! এটি না পাওয়া গেলে আয়ুমিন প্লাস লবন, আপেল সাইডার ভিনেগার,লেবুর রস, ম্যাগনেসিয়াম ট্যাবলেট /এপসম লবন লবন উপকারী। NaCl লবন বন্ধ করুন। কারন DCAD এ সব সব রকম দরকারী উপাদান আছে।

৬.বাসস্থান শোয়ার জায়গা নরম আরামদায়ক /মেট/বালু/জীবানুমুক্ত /মশামাছি মুক্ত/Disinfectant Chemical GPC8,FAM 30, ব্লিচিং,পটাশ,ফিটকিরি,ফিনাইল,গুড়া সাবান দিয়ে 100% পরিস্কার  ও শুকনো রাখুন।এ সময় গাভী দিনে 18 ঘন্টার মত শুয়ে থাকবে;যদি এর চেয়ে কম শুয়ে থাকে তা হলে চিন্তা করুন এবং কারন/গাভীর অসুবিধা হচ্ছে কিনা খোঁজে বের করে এটা সমাধানের চেষ্টা করুন।সারাক্ষন বেধে রাখবেন না,এ সময় তাকে মুক্ত থাকেত দিলে সর্বাধিক উপকার পাবেন। 


৭.প্রতিদিন কিছু পাকা কলা খেতে দিতে পারেন!!

এছাড়াও কিছু লাল শাক,পুইশাক,কলমিশাক,

অংকুরিত ছোলা বুট,লেবু,সজিনা পাতা,কাঁঠাল পাতা,ইপিল ইপিল,মিস্টি কুমড়া খেতে দিতে হবে।এতে প্রসব জটিলতা সহজে দূর হয়! 


এ ভাবে আপনি কোন প্রকার অক্সিটোনিন হরমোন ব্যবহার না করেই সহজে গর্ভফুল বের হবে ইনশাআল্লাহ।

এ ভাবে চললে বাছুর প্রসবে কোন জটিলতা হবেনা এটা 100% নিশ্চিত থাকেন। 

এমন ও হতে পারে কোন একদিন সকাল বেলা যেয়ে দেখবেন গাভীর পাশে বাছুর রাতে ভূমিস্ট হয়ে গাভীর দুধ খাচ্ছে নিজে নিজেই।


কৃষি ভিত্তিক তথ্যের জন্য পেইজটি ফলো দিয়ে রাখবেন ধন্যবাদ ✅🥀💚🌸🤝


তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখতে শেয়ার দিয়ে রাখুন ✅💚

পরদেশি মেঘ Rabi Al Islam পর্ব ১

" বাসর রাতে শা*রীরি*ক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে  হঠাৎ আমার স্ত্রী বলে উঠলো, আমি ভা*র্জি*ন না। এর আগেও আমি এক ছেলের সাথে শা'রিরীক সম্পর্কে লি*প্ত হয়েছি " 


শা'রিরী*ক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে এসব শুনে আমি আমার মনটাই ভে*ঙে গেলো। সেই সাথে রাগও হচ্ছে অনেক। হিয়াকে বললাম, এসব কি এখন বলার সময়?  বিয়ের আগে কেনো বলতে পারলেনা। প্রতিটা ছেলেরই বা*সর রাত নিয়ে ফ্যান্টাসিতে থাকে৷ তুমি এসব বলে সব শেষ করে দিলে। বিয়ের আগে তো আমরা অনেক কথা বলেছি তখন তো তুমি এসব কিছুই বলোনি। এমনকি তোমার রিলেশন ছিলো তাও বলোনি। এই মুহুর্তেই এটা কেন বলতে হলো তোমার 


হিয়া বললো, আমার রিলেশন ছিলোনা। 


এবার আরও রেগে গেলো আহনাফ। রা'গ ক*ন্ট্রোল করে হিয়াকে বললো, এইমাত্র বললে এক ছেলের সাথে শা'রি*রীক স*ম্পর্কে লি*প্ত ছিলো আবার এখন বলছো রিলেশন ছিলো না৷ কি অদ্ভুত কথা বলছো তুমি 


হিয়া বললো, রিলেশনে না থাকলে কি শা'রি*রীক স*ম্পর্ক হয় না? 


' মানে? 


' যার সাথে আমার শা'রী*রিক স*ম্পর্ক ছিলো ও আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমরা ছোটবেলা থেকে একে অপরের ভালো ফ্রেন্ড ছিলাম। আমরা সবসময় একে- অপরের সাথে আড্ডা দিয়েছে তাই আলাদা করে আর বিফ/জিএফ দরকার হয়নি কারও। ওর সাথে শা'রি*রীক স*ম্প*র্কের জন্য আমিই আ*গ্রহী ছিলাম। ও অবশ্য ছিলো কিন্তু কখনও আমাকে ফোর্স করেনি। 


' তাহলে তাকে বিয়ে করলে না কেন? 


' আমরা শুধুই বেস্টফ্রেন্ড ছিলাম অন্য কোনো অনুভূতি ছিলোনা আমাদের। 


' তাহলে শা'রী*রিক সম্পর্কে করলে কেন? 


' তার জন্য জিএফ/বিএফ টাইপ অ*নুভূ*তির দরকার হয়না। মানসিক তৃপ্তির জন্যও শা'রি*রীক সম্পর্কে লি*প্ত হয় মানুষ। আমাদের দুজনেরই যৌ*ন চা*হিদা ছিলো কিন্তু জিএফ/ বিএফ টাইপ অনু*ভূতি ছিলোনা কারও প্রতি। 


' তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? 


' কারন আপনার প্রতি আমার সেই অনু*ভূতি ছিলো 


' সত্যিটা তো লুকাতেও পারতে৷ শা'রি*রীক সম্প*র্কের ঠিক আগমুহূর্তেই কেন বললে? 


' আপনি আমার সাথে শা'রি*রীক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তো বুঝেই যেতেন আমি ভা*র্জি*ন না৷ আর আমি আপনাকে মি"থ্যা বলতে চাইনি তাই সত্যিটা বলে দিলাম। 


আহনাফের নিজের রা*গ কন্ট্রোল করতে অনেক ক*ষ্ট হচ্ছে। ওর ইচ্ছে করছে হিয়াকে থা*প্পড় মা*রার৷ কিন্তু তা পারছেনা। এসব কথা শোনার পর কোনো ছেলেই আর রাগ না করে থাকতে পারবেনা৷ অথচ হিয়া কি স্বাভাবিক ভাবেই এসব বললো। মনে হয় ওর কাছে এসব নর্মাল বিষয়। 


হিয়া বললো, চুপ কেন?  কিছু বলছেন না কেন?


' রা*গ কন্ট্রোল করার চে*ষ্টা করছি৷ কোনো সু*স্থ মানুষ তোমার এমন কথা শুনতে পারবেনা৷ 


' তাহলে কি আপনি অ*সু*স্থ? 


' এইমাত্র অসুস্থ হলাম তোমার কথা শুনে৷ ইচ্ছে করছে তোমাকে থা*প্প*ড় মা*রি। শা'রী*রিক সম্পর্কে লি*প্ত হলে কিন্তু তাকে ভালোবাসোনা।  তোমাদের কাছে এসব নর্মাল বিষয়। চাহি*দার জন্য সে*ক্স করো কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসা নেই। 


' আপনি বলছেন যাকে ভালোবাসেন তার সাথেই কেবল সে*ক্স হয় 


' আমি তেমনটাই জানি৷ আমার তোমাকে পছন্দ তাই তোমাকে বিয়ে করেছি। এখন কি আমি অন্য কারও সাথে শা'রি*রীক সম্পর্কে লি*প্ত হবো নাকি৷ 


' আমাকে পছন্দ হওয়ার আগে কি আপনার চা*হিদা ছিলোনা? 


' ছিলো কিন্তু আমি ক*ন্ট্রোল করেছি। বিয়ের পরই কেবল এসব করার সি*দ্ধান্ত নিয়েছি৷ 


' আর আমি ক*ন্ট্রোল করতে পারিনি৷ 


' তোমারা এই যুগের মেয়েরা বড়ই অদ্ভুত। এসবকে স্মা*র্টনেস ভাবো। 


' আপনি কোন যুগের? 


' তোমার থেকে ৫/৬ বছরের বড়। তাই অবশ্যই তোমাদের যুগের না৷ 


' তা এখন কি করবেন? 


' ঘুমাবো 


' কেন শা'রি*রীক স*ম্পর্ক করবেন না?  আপনার তো অনেক ফ্যান্টাসি ছিলো বা*স*র রাত নিয়ে 


' বা'*লে*র ফ্যা*ন্টাসি। এসব বলে মুডটাই ন*ষ্ট করে দিছো। আমি বুঝতে পারলে বুঝতাম তোমার এসব বলার দরকার ছিলোনা৷ কতটা আগ্রহী ছিলাম আমি৷ আর তুমি এসব বলে সব শে*ষ করে দিলে৷ 


' ভাবলাম আপনি বুঝে গেলে কি রি*য়্যাক্ট করবেন তাই আগেই বলে দিতাম। 


' এই রিয়্যা*ক্টের কথা ভাবলে বিয়ের আগেই বলে দিতে পারতা 


' বিয়ের আগে যদি জানতেন আমি ভা*র্জিন না তাহলে কি আমায় বিয়ে করতেন না? 


' না 


' আচ্ছা এসব শুনে আপনার কি করতে ইচ্ছে করছে? 


' থা*প্পড় মা*রতে তোমাকে৷ আমি যখন অ*তিরি*ক্ত রেগে থাকি তখন থা*প্পড় মা*রতে ইচ্ছে করে। 


' ধন্যবাদ 


' কেন?


' এই যে দুটো সত্যি কথা বললেন৷ 


' আর তুমি এমনই সত্যি কথা বলেছো যে আমার বা*স*র রাত মাটি হয়ে গেছে। 


' সরি 


' রাখো তোমার সরি। 


আহনাফ বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে একটা সি*গা*রেট ধরালো। হিয়াকে বললো, সি*গা*রেট খাবে? 


' আমি খাইনা এসব 


' অবাক করার মত। তোমার মত মেয়েরা যারা স্মার্ট তাদের তো সি*গা*রেট খাওয়ার কথা। তা তুমি এটাতে অনীহা দেখাচ্ছো কেন? 


' এটার স্মেল আমার পছন্দ না। আমার উ*ই*স্কি পছন্দ। মাঝে মধ্যেই ফ্রেন্ডরা মিলে পা*র্টি করতাম। 


' ছেলে- মেয়ে উভয়?


' হ্যা,পার্টি মানে তো এটাই বুঝায়। আমরা গ্রুপ স্টাডিও করতাম সবাই একসাথে। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি একটু বেশিই আদিমকালের। তাও ভালো যে সি'*গা*রেট খান। 


' আগে জানলে তোমার জন্য উ*ই*স্কি এনে রেখে দিতাম। সে*ক্স করার মু*ড চলে গেলো আসো তোমার সাথে গল্প করি। তুমি তোমার লাইফের কথা বলবে আমি আমারটা। দেখবো কারটা বে*টার। 


' আমারটা তো আপনি জানবেনই৷ এই যুগের ছেলে- মেয়েদের সম্পর্কে সবাই জানে৷ কিন্তু আপনাদের ব্যাপারে আমার ধা*রনা নেই। 


' সবাই সব জানে তার ভিতরেও অনেক সিক্রেট থাকে৷ আমি সবকিছু শুনতে চাই৷ 


' বুঝতে পারছি আমি। 


' হ্যা সেটাই। 


হঠাৎ হিয়ার মোবাইলে ম্যাসেজ আসলো৷ আহনাফ জিজ্ঞেস করলো, কে মেসেজ দিয়েছে? 


' ফ্রেন্ড 


' ছেলে না মেয়ে? 


' মেয়ে। আচ্ছা আপনি ফ্রেন্ড বলার পরও ছেলে- মেয়ে জিজ্ঞেস করেন কেন? 


' আমরা ফ্রেন্ড বলতে শুধু ছেলেকেই বুঝতাম। আর মেয়ে হলে তখন আগেই বলে দিতাম মেয়ে ফ্রেন্ড। কিন্তু তোমাদের কাছে ফ্রেন্ড মানে দুটো সমান৷ তা কি মেসেজ দিলো? 


' জিজ্ঞেস করছে কি করছি?  আমাদের আগে থেকেই সবার প্ল্যান করা প্র*ত্য*কের বা*স*র রাতে এরকম মেসেজ দিয়ে মজা করবো। 


' আর তোমরা বা*স*র রাতের কথা বলে দিবে? 


' হ্যা, কেন সমস্যা? 


' না, তা এখন কি বলবে? 


আচ্ছা ওয়েট। ওকে মেসেজ করছি, যা করার কথা তাই করছি। 


রিপ্লাই আসলো, দুলাভাই কোথায়? 


' যেখানে থাকার কথা৷ 


' ভালোই তো। সব শুনবো পরে। এখন বি*রক্ত না করি। 


আহনাফ বললো, কত স্বাভাবিক ভাবে তোমরা নিজেদের ব্যা*ক্তি*গত আলাপ করছো। আ*নইজি/ ল*জ্জা লাগছেনা।


' ফ্রেন্ডদের সাথে আবার কিসের ল*জ্জা। যাকে চিনিনা জানিনা তার সাথে আন*ইজি লাগবে৷ 


' তোমাদের প্র*জ*ন্মের কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে৷ 


' আপনি রিলে*শন করেছিলেন? 


' বিয়ের আগেই তো বলেছিলাম আমি একজনকে ভালোবাসতাম কিন্তু মেয়েটা অন্য কাউকে ভালোবাসতো৷ 


' ওহ হ্যা, বলেছিলেন। তা মেয়েটাকে আপনার ভালোবাসার কথা বলেছিলেন? 


' মেয়েটা জানতো। 


' মেয়েটার সাথে দেখা হয় এখন? 


' তা আর সম্ভব না। 


' যেই ছেলেটার সাথে রিলেশন ছিলো মেয়েটার। সেই ছেলেটা? 


' একদিন আমি সেই ছেলেটাকে আমার বাসায় ইনভাইট করি। বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিলো। পরবর্তী পর্ব সবার আগে পড়তে ভিজিট করুন কথা কাব্য পেজ। ভাবলাম খিচুড়ি খাওয়া যাক। দুটো প্লেটে খিচুড়ি নিয়ে আমি আর ছেলেটা পাশাপাশি বসি আর মেয়েটাকে নিয়ে কথা বলি। আমি ছেলেটাকে বলি আমার ভালোবাসার কথা৷ কতটা ভালোবাসতাম ওকে সেটা বলি। 


আমার কথা শুনে ছেলেটা বলে, আমি কখনই ওকে ক*ষ্ট দিবোনা। 


' তুমি অলরেডি ক*ষ্ট দিচ্ছো ওকে। 


ছেলেটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিভাবে? 


' খিচুড়ির সাথে যে মাং*স খাচ্ছো তা মেয়েটারই।


চলবে----


 পরদেশি মেঘ

Rabi Al Islam

পর্ব ১


নেক্সট পার্ট সবার আগে আইডিতে পোস্ট করা হবে, নীল লেখার চাপ দিয়ে সবাই আইডি ফলো করুন। 👉 Choto Dairy 01

নতুন গল্প:  _রাত। পর্ব-------(১)

 আমি নাকি ভাবীর বু*কে ওগুলো তে হাত দিছি আর 'ভাইয়ের মৃত্যুর পর ভাবিকে বিয়ে করতে হবে কখনো কল্পনাও 

করতে পারিনাই আজ থেকে দুইমাস আগে একটি রোড এক্সিডেন্ডে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।


'এরপর সবাই বলতেছে ভাবিকে যেনো আমি বিয়ে করি!

কারন ভাইয়ের দুটি সন্তান রয়েছে ওদের দেখা শোনা করতে হবে।

সবার এমন কথা শোনার পর কি করবো কিচ্ছু মাথায় ,

আসতে ছিলো না।


'এমন মুহূর্তে ভাবি আমার রুমে প্রবেশ করে বললো।


'হাসিব তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই আমি।

জানিনা তুমি কিভাবে কথা গুলা নিবে।


'হ‍্যাঁ বলুন।


'আমি বতর্মান একজন বিধবা নারী।

আর তুমি একজন অবিবাহিত পুরুষ এখন সবাই বলতেছে 

তুমি আমাকে বিয়ে করো এবং বাচ্চা দুটোর দায়িত্ব নাও।


'হ‍্যাঁ জানি।


'আমিও চাচ্ছিনা বাচ্চা গুলাকে রেখে অন‍্য কোথাও বিয়ে করতে।

এর চেয়ে ভালো তুমি আমাকে বিয়ে করো।

তাহলে সন্তান গুলাও মা হারা হবেনা আবার নিজের চাচাকে ,

বাবা স্বরূপ হিসেবে পাবে।


'সব কিছুই বুজলাম।

কিন্তু এটা কেমন হয়ে যায়না।

নিজের ভাবিকে শেষ পযর্ন্ত বিয়ে করবো।


'সমস‍্যা হবে কেনো।

তুমি আর আমি ঠিক থাকলেই তো হলো।


'এইটা ঠিক বলছো।


'হাসিব তুমি কী কোন মেয়ের সঙ্গে প্রেম করো নাকি?

যার কারনে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছো না।


'প্রেম ভালোবাসা কখনো করিনাই শুধুমাত্র বউকে ভালোবাসবো বলে।

কিন্তু নিজের ভাবিকে বউ হিসেবে দেখবো এইটা কখনো কল্পনাও 

করতে পারিনাই আমি।


'তার মানে তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাওনা।


'হ‍্যাঁ চাই।


'ঠিক আছে আব্বা আম্মাকে আমি বলতেছি 

আমাদের বিয়ের ব‍্যবস্থা করতে।


'ঠিক আছে বলো।


'এরপর হাসিবের ভাবি মানে (সোনালি) শশুর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বিয়ের ব‍্যবস্থা করতে বললো!

আজকে রাতেই বিয়ে হবে।


'এদিকে হাসিব মনে-মনে ভাবতে থাকে ভাবি আমাকে বিয়ে করার জন‍্যে এতো উতলা হয়েছে কেনো কাহিনি কী?


'ঠিক সেই মুহূর্তে সোনালি মানে হাসিবের ভাবি আবার হাসিবের 

রুমে এসে বলতে থাকে।


'হাসিব আজকে রাতেই আমাদের বিয়ে হবে।

বাবা মাকে সব কিছুর আয়জন করতে বলেছি।

{কথাটি বলেই সোনালি হাসিবের খুব কাছে চলে আসে}


'আরে ভাবি এসব কী করতেছেন।


'এখন থেকে আমি তোমার বউ বুঝলা। 

আমাকে ভাবি বলবে না সোনালি বলে ডাকবে।

আর কী করতেছি দেখতে পাচ্ছো না হবু স্বামীকে ভালোবাসা 

দিতে চাচ্ছি।


'প্লিজ দুরে থাকুন।

এখন পযর্ন্ত আমাদের বিয়ে হয়নি।

বিয়ের পর এসব নিয়ে চিন্তা করবো।


'একটু পরেই তো আমাদের বিয়ে।

তাহলে একটু ভালোবাসলে সমস্যা কোথায় পাগল।


'জানিনা আমি।


'ঠিক আছে রাত্রে বিয়েটা হোক মজা দেখাবো তোমাকে।

রেডি থাইকো কিন্তু।

{কথাটি বলে হন হন করে সোনালি বাহিরে চলে যায়}


'এরপর ঠিক রাত ৮:৩০মিনিটে কাজিকে বাসায় ডেকে এনে হাসিব এবং সোনালির বিয়েটা সম্পুর্ণ হয়।

বিয়ের পর যখন সবাই এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছিলো এমন মুহূর্তে সেখানে অভি চলে আসে।

মৃত অভিকে দেখা মাত্রই সবাই আকাশ থেকে যেনো মাঠিতে পরে।


চলবে,,,,


'পরবর্তীতে পর্বের জন‍্যে অপেক্ষায় থাকুন।


নতুন গল্প:  _রাত।

পর্ব-------(১)


পরের পর্ব সবার আগে নতুন পেজ এ পোস্ট করা হবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে ফলো করুন। 👉 Choto Dairy 01

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?

 কেমন মেয়ে বিয়ে করলে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি?


ভুল মানুষকে বিয়ে করলে জীবন জাহান্নাম হয়ে যায়— এটা বইয়ে লেখা থাকে না। 


এটা বোঝা যায় দুপুর ৩টার ঝগড়ার পর রাতে খালি পেটে মনে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে একা ঘুমাতে গিয়ে।


বিয়ে নামক এই রহস্যময় চুক্তি নিয়ে আমাদের যত ভাবনা, তার ৯০%-ই কল্পনার ওপর ভিত্তি করে।


চেহারা, মেকাপ, হাসি—সব দেখে মনে হয়, 

এই মেয়েটাকে বিয়ে করলে জীবনটা সিনেমার  মতো হবে।


কিন্তু সমস্যা হয় তখনই, যখন সেই মুভির শেষে ভেসে ওঠে: To be continued… in Family Court.


চলুন, একটু বুঝি কেমন মেয়েদের বিয়ের পর ডিভোর্স হওয়াটা কেবল সময়ের ব্যাপার। 


১. যে নিজেকে আপনার প্রতিপক্ষ ভাবে


তার সঙ্গে আলোচনা মানে একেকটা বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

তিনি বলবে— তুমি ভুল বলছো

আপনি বলবেন— ঠিক আছে, ভুল বলেছি।

তারপরও বলবে— তুমি কিছুই বুঝতে পারো না। তোমাকে বিয়ে করে আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল। 


বিয়ে যেখানে প্রতিযোগিতা হয়ে যায়, সেখানে ভালোবাসা হেরে যায়।


২. যে ভাবে—সংসার মানেই বাকি জীবন আমাকে কন্ট্রোল করা হবে!


এই টাইপ মেয়েরা সাধারণত বলে—

“আমাকে স্বাধীনতা দাও, আমাকে প্রশ্ন করবা না, আমি কার সঙ্গে কোথায় যাই তা বলার দরকার নেই।


ভালোবাসা আর স্বাধীনতা একসঙ্গে চলতে পারে—যদি সম্পর্কটা সম্মানের হয়।


কিন্তু সম্মানের মুখোশ পরে যদি সীমাহীন স্বার্থপরতা ঢুকে পড়ে, তখন ‘স্বাধীনতা’র নামে চলে ‘সম্পর্কবিনাশ’।


৩. যে ফেসবুককে ডায়েরি ভাবে


আজ ঝগড়া করলেন, কাল স্ট্যাটাস:

Some people don’t deserve love!

তারপর ইনবক্সে “আল্লাহ ভরসা আপু। কি হইছে বলেন না?” গ্যাং ঢুকল।


সংসার তখন আর ব্যক্তিগত থাকে না।

সবাই জানে আপনি সারাদিন ভাত পাননি, আর রাতে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক ছিলেন।


৪. যে রান্না করতে পারে না, সেটা না—যে রান্না শেখার আগ্রহও রাখে না


রাঁধতে পারা জরুরি নয়।

কিন্তু যখন কেউ বলে, “আমি তো মডার্ন, রান্না-টান্না আমার কাজ না”

তখন বোঝা যায়, সে সংসার নয়, সারাজীবন রেডি-মেইড লাইফ চায়।


খিদে কিন্তু মডার্ন বুঝে না, চাহিদা বুঝে না—

সে শুধু খেতে চায়।


৫. যে তার পরিবারের লোকদের সম্মান দেয় না


বিয়ের আগেই যদি আপনি দেখেন—মেয়েটি মাকে ধমক দেয়, বাবার কথা শুনে না,

তাহলে আপনার পরিবারের জন্য তার হৃদয়ে জায়গা থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।


যে নিজের গাছের শিকড় কেটে দেয়, সে অন্য গাছের যত্ন নিবে কিভাবে?


৬. যে বলে—“ছেলেরা মানুষ না”


এই একটা লাইনেই বুঝে নিতে পারেন—

তার ধারণা অনুযায়ী সব ছেলেই খারাপ।

আপনি ব্যতিক্রম—এটা সে শুধু বিয়ের আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করে।


তারপর একদিন দুপুরে আপনি বলে ফেলেন, “ডালে একটু বেশি লবণ হয়েছে।


আর সেদিনই আপনি তার চোখে পরিণত হন- ছেলে মানুষ মানেই অমানুষ। 


৭. যে সবসময় বলে—“আমার একটা ছেলেবেস্টফ্রেন্ড আছে”


বিয়ের পর সেই বন্ধু হঠাৎ খুব ঘনিষ্ঠ হয়,

হঠাৎ করে তার ফোনে নাম আসে: কলিজার দোস্ত।


আপনি বললে সে বলে—

তোমার সমস্যা কেন? তুমি insecure! তোমার মাইন্ড খুব ন‍্যারো! 


না ভাই, আপনি insecure না—

আপনি শুধু একজন স্বাভাবিক মানুষ, যার বুকের ভেতরে একটা প্রাণ আছে।


৮. যে সবসময় চায়—তার মতো সব চলবে


এই মেয়েরা “আমি, আমার, আমাকে” দিয়েই সংসার শুরু করে, আর সেখানেই শেষ।


আপনার পছন্দ, আপনার অপছন্দ, আপনার কষ্ট—এসব বিষয় তার রাডারে থাকে না।


সংসার যেখানে শুধু একপক্ষ শুনবে, সেখানে সম্পর্ক একদিন কান্না হয়ে ভেসে যায়।


৯. যে আত্মপ্রশংসায় ভীষণ ব্যস্ত


সবাই তাকে সুন্দরী বলে, স্মার্ট বলে,

সে নিজেকেই একমাত্র ‘লাভেবল’ ভাবে।

আপনি যেন একটা অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন—এমন ভঙ্গিতে কথা বলে।


এমন মেয়ের কাছে আপনি কখনো ভালোবাসার মানুষ নন। কেবল দিয়ে যাওয়ার গোলাম। 


১০. যে কখনো প্রাণ খুলে হাসে না


সে হয়তো দিনে তিনবার সেলফি তোলে,

কিন্তু একবারও প্রাণভরে হাসে না।


এমন মেয়েদের সঙ্গে জীবন মানে—

একটা সুন্দর, সাজানো ঘর; কিন্তু দরজা জানালা বন্ধ।

ভালোবাসা নেই, হাওয়া নেই।

শুধু নিঃশ্বাস টেনে বাঁচা।


বিয়ে মানেই একসাথে থাকা। 


কিন্তু প্রতিদিন যদি ‘একসাথে’ থেকে নিজেকে একা লাগে, তাহলে ডিভোর্স শুধু একটা কাগজ না, সেটা হয়ে দাঁড়ায়—নিজেকে বাঁচিয়ে তোলার একমাত্র রাস্তা।


সুতরাং…


চেহারা নয়। 


ডিগ্রি নয়।


দরকার এমন একজন মেয়ে, যার সঙ্গে ঝগড়া করলেও ঘুমানোর আগে সে বলে— ভালোবাসি তো। একটু হাসো। এখন চলো একসঙ্গে ঘুমাই।


ভুল মেয়েকে বিয়ে করলে আপনার জীবন হবে একটা রিসাইকেল বিন।


প্রতিদিন ঝগড়া, প্রতিদিন মলিন মুখ, প্রতিদিন ঘুমের ভান করে কান্না।


কিন্তু ঠিক মেয়েকে বিয়ে করলে জীবনটা হবে…


এক কাপ চা, একটা গল্প, আর মানসিক শান্তিতে ভরা হাসিমুখ।

বউ না থাকার উপকারিতা

 ♦️বউ না থাকলে,

একটা ছোট্ট হারপিক অন্তত দশ বছর চলতে পারে...


♦️বউ না থাকলে,

একটা রুম ফ্রেশনারে সারা জীবন চলে যায়...


♦️বউ না থাকলে,

একটা ঘর মোছা ন্যাতা অন্তত পাঁচ বছর টেকে...


♦️বউ না থাকলে,

একটা পাতি দাঁতের ব্রাস দু বছর অব্দি চলে...


♦️বউ না থাকলে,

ডিওর কোনো প্রয়োজনই নেই..


♦️বউ না থাকলে,

তোয়ালে কেনার প্রশ্নই নেই। একটা গামছাই যথেষ্ট। পা মোছা গামছা, হাত মোছা তোয়ালে, মুখ মোছা টিস্যু, পিঠ মোছা টাওয়াল ইত্যাদি সমস্ত বিভাজন একটা সুতির গামছাই মেটাতে পারে।


♦️বউ না থাকলে,

জল আর উইল্কিনশন ব্লেডেই দিয়েই দাঁড়ি কামানো যায়। ফোম লোশন ইত্যাদি নিশ্চিন্তে ভুলে যেতে পারেন...


♦️বউ না থাকলে,

এরিয়াল, সার্ফ এক্সেল ইত্যাদির প্রয়োজন হয় না। পাঁচ টাকার রিনের গুড়ো তিন মাস চলবে...


♦️বউ না থাকলে,

হিম্যান ওম্যান শিম্যান ইত্যাদি বিভাজনের প্রশ্ন ওঠে না। জুই ফুল গন্ধ শ্যাম্পুও অবলিলায় গায়ে মাথায় মাখা যায়... লাল লাইফবয় সাবানও খুশিতে মাখা যায়... গায়ে বা মাথায়।


♦️বউ না থাকলে,

কোলগেটের গুঁড়োতেই কাজ চলে। নুন দেওয়া, চারকোল ঠোসা, লবঙ্গ পেষা, ফ্লোরাইড, ভিজিবল হোয়াইট ইত্যাদি পেষ্টের দরকার হয় না...


♦️বউ না থাকলে,

জামা প্যান্ট ইস্ত্রি করানোর খরচ শূন্য. তাছাড়া ইস্ত্রি লাগে এমন জামাকাপড় কেনারও প্রয়োজন নেই। পাতি টেরিকটের শার্টেও "ও লাভলি" বলার লোক প্রচুর আছে, সবাই যদিও স্বীকার করে না শিকার হবার ভয়ে...


♦️বউ না থাকলে,

আত্মীয় অনাত্মীয় আপ্যায়নের খরচ খুব কম...একটা ঝাল চানাচুরের প্যাকেটেই দশটা আপ্যায়নের কাজ চলে, মিষ্টি চানাচুর অনেকেই ভালো খান। সেইজন্যই ঝাল ভাবলাম...


♦️বউ না থাকলে,

কেবল কানেকশন লাগে না। ইউটিউব আর টোরেন্ট লিঙ্ক যথেষ্ট.. আর মাঝে সাঝে বড়দের সিনেমা...


♦️বউ না থাকলে,

হিট মর্টিন গুডনাইট অল আউট লাগে না। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ারও ভয় নেই। জানলাই খুলবো না তো মশা আসবে কোত্থেকে... তাছাড়া মশার পছন্দসই ইন্ডোর আগাছাও বাড়িতে থাকে না, বউ না থাকলে...


♦️বউ না থাকলে,

ধুপকাঠি, নকুলদানা, বাতাসা, গুজিয়া, আমিষ নিরামিষ বাসন ইত্যাদি বাবদ জিরো এক্সপেন্স...


♦️বউ না থাকলে,

ইকোপার্ক নিকোপার্ক নলবন নানা ইকো রিসোর্ট ইত্যাদি যেতে লাগে না। বুড়ো আমগাছ তলায়, আরো জনা দুই বউছাড়া বন্ধুর সাথে বসে বিশ্বভ্রমনের সুখ পাওয়া যায়! টেকনিকটা জানতে হবে শুধু...


♦️বউ না থাকলে,

একবার মশারি টাঙালে অন্তত একমাস খোলার দরকার নেই। ধার গুটিয়ে গুটিয়ে ঠিক চালিয়ে নেওয়া যায়.. বছরে দুবার বিছানার চাদর আর বালিশের ওয়ার পাল্টানো যথেষ্ট...


♦️বউ না থাকলে,

বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ডালসেদ্ধ ঘি দিয়ে আর কাটা কাতলা পেটি ভাজা খেয়ে একশো বছর সুস্থ ভাবে বাঁচা যায়। দশ রকম শাক, নানা কিসেমর ভাজা, বড়ি সুক্ত সব্জি কাসন আচার যত্তসব.. 


এবং আরো আরো আরো... প্রচুর আছে এই তালিকার লিষ্ট। বহুজাতিক থেকে আঞ্চলিক ব্যবসা যত, সবই টিকে আছে শুধু নারীদের ভিত্তি করেই। এবং টিকে আছি আমরাও। আমাদের গায়ে গন্ধ নেই, শার্টে রিঙ্কেল নেই, মুখে ব্রন নেই...,  এও তো কোনো না কোনো নারীর খ্যাকানির ভয়েই। আমাদের রুপ, শিষ্টাচার, বা আরও যা কিছু পুরুষালি কাজকর্ম সবই তো কোনো না কোনো নারীর জন্যই। কথাতেই আছে না..


বন্যেরা বনে সুন্দর

পুরুষেরা নারীর ভয়ে,,,,


ভয়ে? নাকি ভালোবাসায়? নাকি ভক্তিতে? নাকি সবগুলো মিলে মিশেই..?


বড় জটিল এর উত্তর.. 

বোঝার ক্ষমতা নেই আমাদের,,,,বুঝে কাজও নেই,,,,🤔


এই বেশ টিকে আছি,,,,🤣😜

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...