এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেলের ৮০–৯০% কাজ আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে করতে পারবেন।


এক্সেলের যে ২০ টি ফর্মুলা সবার আগে শিখবেন


১) SUM


একাধিক সংখ্যার যোগফল বের করতে


ফর্মুলা লিখবেন

=SUM(A1:A5)


উদাহরণ

A1 থেকে A5 সেলে ৫ দিনের বিক্রয় আছে

→ মোট বিক্রয় দেখাবে


২) AVERAGE


গড় মান বের করতে


ফর্মুলা লিখবেন

=AVERAGE(A1:A5)


উদাহরণ

৫ জন ছাত্রের নাম্বারের গড় রেজাল্ট


৩) COUNT


কয়টি সেলে সংখ্যা আছে তা গুনতে


ফর্মুলা লিখবেন

=COUNT(A1:A10)


উদাহরণ

১০টি সেলে কয়টা সংখ্যা আছে


৪) COUNTA


খালি নয় এমন সেল গুনতে


ফর্মুলা লিখবেন

=COUNTA(A1:A10)


উদাহরণ

নাম বা লেখা সহ মোট কয়টা সেল ভরা


৫) COUNTBLANK


খালি সেল কয়টি আছে জানতে


ফর্মুলা লিখবেন

=COUNTBLANK(A1:A10)


উদাহরণ

ফাঁকা সেল কয়টা আছে


৬) MAX


সবচেয়ে বড় মান বের করতে


ফর্মুলা লিখবেন

=MAX(A1:A10)


উদাহরণ

সবচেয়ে বেশি সেলস কত


৭) MIN


সবচেয়ে ছোট মান বের করতে


ফর্মুলা লিখবেন

=MIN(A1:A10)


উদাহরণ

সবচেয়ে কম মার্কস কত


৮) IF


শর্ত অনুযায়ী ফল দেখাতে


ফর্মুলা লিখবেন

=IF(A1>=33,"Pass","Fail")


উদাহরণ

৩৩ বা বেশি হলে Pass

না হলে Fail


৯) IFS


একাধিক শর্ত একসাথে


ফর্মুলা লিখবেন

=IFS(A1>=80,"A+",A1>=70,"A",A1>=60,"A-",A1<60,"Fail")


উদাহরণ

নাম্বার অনুযায়ী গ্রেড


১০) SUMIF


শর্ত অনুযায়ী যোগফল


ফর্মুলা লিখবেন

=SUMIF(A1:A10,"Dhaka",B1:B10)


উদাহরণ

Dhaka এলাকার মোট সেলস


১১) SUMIFS


একাধিক শর্তে যোগফল


ফর্মুলা লিখবেন

=SUMIFS(C1:C10,A1:A10,"Dhaka",B1:B10,"January")


উদাহরণ

Dhaka + January এর মোট সেলস


১২) COUNTIF


শর্ত অনুযায়ী গুনতে


ফর্মুলা লিখবেন

=COUNTIF(A1:A10,"Male")


উদাহরণ

কয়জন Male আছে


১৩) COUNTIFS


একাধিক শর্তে গুনতে


ফর্মুলা লিখবেন

=COUNTIFS(A1:A10,"Male",B1:B10,"Dhaka")


উদাহরণ

Dhaka এর Male কয়জন


১৪) VLOOKUP


ডাটা খুঁজে বের করতে


ফর্মুলা লিখবেন

=VLOOKUP(A2,D1:F10,2,FALSE)


উদাহরণ

ID দিয়ে নাম বের করা


১৫) XLOOKUP


আধুনিক Lookup


ফর্মুলা লিখবেন

=XLOOKUP(A2,D1:D10,E1:E10)


উদাহরণ

ID দিয়ে Salary বের করা


১৬) HLOOKUP


Horizontal ডাটা খুঁজতে


ফর্মুলা লিখবেন

=HLOOKUP("January",A1:D5,2,FALSE)


উদাহরণ

January মাসের সেলস


১৭) LEFT


বাম দিক থেকে লেখা নিতে


ফর্মুলা লিখবেন

=LEFT(A1,4)


উদাহরণ

নাম্বারের প্রথম ৪ ডিজিট


১৮) RIGHT


ডান দিক থেকে লেখা নিতে


ফর্মুলা লিখবেন

=RIGHT(A1,2)


উদাহরণ

শেষ ২ ডিজিট


১৯) MID


মাঝখান থেকে লেখা নিতে


ফর্মুলা লিখবেন

=MID(A1,2,3)


উদাহরণ

২ নম্বর জায়গা থেকে ৩ অক্ষর


২০) LEN


লেখার দৈর্ঘ্য জানতে


ফর্মুলা লিখবেন

=LEN(A1)


উদাহরণ

একটি নাম কয় অক্ষরের


এই ২০টি ফর্মুলা ঠিকভাবে প্র্যাকটিস করলে

অফিস, জব ইন্টারভিউ ও বাস্তব কাজ—সব জায়গায় এক্সেল সহজ হয়ে যাবে।


আমার কোর্স সম্পর্কে জানতে 01515-629158

এ্যাজমা বা হাঁপানির হোমিও ঔষধ

 ♈★Asthma (হাঁপানি) হলো ফুসফুসের একটি দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসযন্ত্রের রোগ যেখানে শ্বাসনালিগুলো (airways) সংবেদনশীল হয়ে পড়ে ও সঙ্কুচিত হয়ে যায়, ফলে রোগীর শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।


♈✅ হাঁপানির প্রধান উপসর্গ:


- শ্বাসকষ্ট (বিশেষ করে রাতে বা ভোরে)  

- বুকে চাপ বা জড়তা  

- কাশি (শুকনো বা কফসহ)  

- শ্বাসের সাথে সাঁ সাঁ শব্দ (wheezing)  

- ঠান্ডা বা ধূলাবালিতে সমস্যা বেড়ে যায়


---♈✅ হাঁপানির কারণ:


- ধুলাবালি, ধোঁয়া  

- ঠান্ডা বাতাস  

- ফুলের রেণু (pollen), পশম  

- মানসিক চাপ  

- ভাইরাস সংক্রমণ  

- জেনেটিক (পারিবারিক ইতিহাস)


♈✅ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ (উপসর্গ অনুযায়ী):


1.★★ Arsenicum Album– রাতের দিকে শ্বাসকষ্ট,বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট রাত ১ টা ও ৩ টায় আরম্ভ হয়।স্বর ভেঙে যায় কষ্টকর শুষ্ক কাশি থাকে কাশলে উপশমবোধ হয় না । গয়ার ওঠে না  সেই সঙ্গে   দুর্বলতা, অস্থিরতা , গা জ্বালা ও প্রচুর পানির পিপাসা থাকে। অল্প অল্প পরিমাণ পানি পান করে এবং শুইলে দম আটকায় যাওয়ার ভয়ে রোগী শুইতে পারে না। 


2. ★★Antimonium Tart– যে সকল ভগ্ন স্বাস্থ্য ও দুর্বল, বৃদ্ধ ব্যক্তিরা বৎসর ধরিয়া সর্দি -কাশিতে ভুগিতেছে এবং শীতকালে একটু বেশি ঠান্ডা লাগলেই বুকে সর্দি জমে ঘড় ঘড় শব্দ হতে থাকে, গয়ার ওঠে না। উঠলেও সামান্য গাঢ় সাদা গয়ার উঠে শ্বাসকষ্ট উপস্থিত হয়, বিছানায় শুইতে পারে না কারণ শুইলেই শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি হয় এবং বাতাস করতে বলে তাদের পক্ষে এন্টিম টার্ট উপকারি।


3. ★★Ipecacuanha – কাশি ও শ্বাসকষ্ট একসাথে,এবং সর্বক্ষেত্রে বমি বমি ভাব থাকে।  জিহ্বা  ক্লিন অর্থাৎ পরিষ্কার থাকে  । 


.4 ★★Spongia – শুকনো হাঁপ ধরা কাশি, গলায় শুকনো ভাব । শুষ্ক, ঠনঠনে ঘঙঘঙে বাশির মতো বা সাঁই সাঁই  ঘেউ ঘেউ শব্দের সাথে কাশি থাকবে। শ্বাসকষ্টের সাথে তার মনে হবে, ল্যারিংসে গোঁজ বা অন্য কিছু আটকে আছে এবং দম আটকানো একটা ভাব থাকবে। 


5. ★★Blatta Orientalis – ধুলাবালিতে হাঁপানি বাড়ে, মোটা লোকদের ক্ষেত্রে  উপযোগী । Mother tincture বেশ কাজে আসে।

6. ★★Nux Vomica – হাঁপানি, ঠান্ডা বা হজমের গোলমালে বাড়ে।হাঁপানির টান খুব সকালে বাড়ে। 


★★মেডোরিনাম,থুজা,ন্যাট্রাম সালফ,টিউবারকুলিনাম,লাইকোপোডিয়াম চমৎকার মেডিসিন। 

★★আপনারা পূর্ণাঙ্গ রোগী লিপি করে চিকিৎসা করবেন। রোগীর ধাতুগত চিকিৎসা না করলে এ রোগ আরোগ্য হবার সম্ভাবনা নেই। 


📝 ★★আপনারা চিকিৎসা সেবা নিতে চাইলে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করুন। 

হোমিওপ্যাথিক ফিজিশিয়ান:

( তাছলিমা কেয়া)

ডায়াবেটিস এর হোমিও ঔষধ

 🩸★Diabetes(ডায়াবেটিস) বা মধুমেহ হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যেখানে রক্তে গ্লুকোজ (চিনির মাত্রা) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। এটি হয়, শরীর ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো না তৈরি করলে বা কাজ না করলে।


🩸ডায়াবেটিসের ধরন:


1. Type 1 Diabetes:

   - ইনসুলিন একদম তৈরি হয় না  

   - শিশু ও তরুণদের বেশি হয়  

   

2. Type 2 Diabetes: 

   - ইনসুলিন তৈরি হয়, কিন্তু কাজ করে না  

   - বড়দের বেশি হয়  

  

3. Gestational Diabetes: 

   - গর্ভাবস্থায় হয়  

   - সন্তান জন্মের পর অনেক সময় ঠিক হয়ে যায়


🩸✅ উপসর্গ:


- ঘন ঘন প্রস্রাব  

- অতিরিক্ত পিপাসা  

- ওজন কমে যাওয়া  

- ক্লান্তি  

- ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া  

- ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া  

- চোখ ঝাপসা দেখা


✅🩸 হোমিওপ্যাথিক ওষুধ (লক্ষণ অনুযায়ী):


1. Syzygium Jambolanum– রক্তে চিনি কমায়,প্রস্রাবে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং সুগার দূর করতে এই ঔষধ শ্রেষ্ঠ। শরীরে ঘামাচির ন্যায় উদ্ভেদ দেখা দেয় এবং তাতে প্রচন্ড চুলকানি থাকে। প্রচুর পানির পিপাসা,গাল গলা শুকিয়ে যায় এবং দুর্বলতা ও জীর্ণশীর্ণ চেহারা। 


2. Phosphoric Acid – ক্লান্তি, দেহের ওজন কমে যায় মানসিক দুর্বলতা । দুঃখ এবং মানসিক আঘাতের কুফল। বারেবারে প্রচুর জলের মতো, দুধের মত প্রস্রাব। প্রস্রাবের আগে উদ্বেগ ও পরে জ্বালা। রাতে বারে বারে প্রস্রাবের বেগ এবং প্রস্রাবে ফসফেট ও সুগারের উপস্থিতি থাকে। 


3. Uranium Nitricum – অতিরিক্ত প্রস্রাব, পিপাসা ও ক্ষুধা । প্রস্রাবের বেগ ধরে রাখলে ব্যথা হয়। প্রস্রাবে কষ্ট এবং অসাড়ে প্রস্রাব হয়ে যায়। ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। 


4. Lactic Acid–ডায়াবেটিস এবং বাতরোগে এই ঔষধ বিশেষভাবে কার্যকরী। জিহ্বা শুষ্ক ও খসখসে। পিপাসা প্রচুর এবং রাক্ষুসে ক্ষুধা। বারে বারে প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব ত্যাগ। প্রস্রাবের শর্করার উপস্থিতি থাকে। গলায় পিন্ড থাকার অনুভূতি যার কারণে বারবার ঢোক গিলতে থাকে। 


5. Abroma Augusta– সব সময় মুখের ভিতর,জিহ্বা,ঠোঁট  শুষ্ক থাকে । প্রচন্ড পানির পিপাসা। একবারে অনেকখানি ঠান্ডা পানি খায় তবুও এই শুষ্কতা দূর হয় না।দিনে এবং রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ।তাছাড়া প্রস্রাবের বেগ ধরে রাখতে পারেনা। প্রস্রাবে মাছের গন্ধ এবং এতে সেডিমেন্ট পড়ে। 


----★★ এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কেস টেকিং এর মাধ্যমে যেকোনো মেডিসিন আসতে পারে। ধন্যবাদ। 


★★হোমিওপ্যাথিক ফিজিশিয়ান :

(তাছলিমা কেয়া)

চিকিৎসা নিতে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করুন।

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টা: বেকারি শ্রমিকদের দিন রাতের লড়াই

 আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টা: বেকারি শ্রমিকদের দিন রাতের লড়াই


মধ্যবিত্তদের সকালের প্রাতরাশ থেকে শুরু করে, শ্রমিক, কৃষক, গৃহপরিচারিকা, হকার, দোকানদারদের ভোরের চা-জলখাবার এবং  প্রতিদিনের অফিস যাত্রীদের টিফিনে খাবারের যোগান দিচ্ছে বেকারির শ্রমিকরা।


আমাদের মধ্যে  অনেকেরই বেকারির খাবার খুবই পছন্দের। পাউরুটি-কলা, গুঘনি পাউরুটি, স্লাইস পাউরুটির বাটার টোস্ট, কোয়াটার পাউরুটির  ডিম বা বাটার টোস্ট, কিসমিস দেওয়া বেকারির কেক, লেড়ো,লাঠি ইত্যাদি হরেকরকমের খাবার। জিভের স্বাদ,পেটের খিদে মেটাতে  বেকারির বিকল্প নেই। রেলস্টেশনে, বাজারে পথচলতি অজস্র মানুষের খিদে মেটাচ্ছে  শহর,মফস্বল, গ্রামের  ছোট ছোট বেকারি কারখানাগুলি। এই কারখানাগুলিতে সরারাত জেগে শ্রমিকরা গোল পাউরুটি, কোয়াটার পাউরুটি, লম্বা পাউরুটি, স্লাইস পাউরুটি, বেকারির কেক, বিস্কুট, নানা ধরনের টোস্ট,প্যাটিস ইত্যাদি তৈরী করেন।


দেশের কথা পত্রিকা- পাউরুটি, কেক ইত্যাদি  তৈরির শ্রমদাতা শ্রমিকদের আগুনে ঝলসানো শ্রমকে বুঝতে কারখানাগুলিতে সমীক্ষা করেছে। সমীক্ষায় উৎপাদন, বেকারি  শিল্প সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য আমরা জানতে পারলাম। শ্রমিকরা বোঝালেন উৎপাদন কিভাবে হয়, পরিচালনা কিভাবে হয়, মালিকদের নানারকমের শোষণের ফাঁদ। 


এই ছোট ছোট বেকারিগুলিতে শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম। গড়পড়তায় ৭-৯ জন করে কাজ করেন। দিনের কাজ ও রাতের কাজ মিলে প্রতি বেকারিতে শ্রমিক সংখ্যা ১৪- ১৮  জন। রাতের কাজ- নানা ধরনের পাউরুটি, কেক তৈরী করা। দিনে বিস্কুট,লেড়ো, প্যাটিস ইত্যাদি তৈরী করা হয়।  

বেকারিগুলিতে ঘণ্টা সিস্টেমে মজুরি ব্যবস্থা চালু নেই। মাথা পিছু  ময়দার ওজনের ভিত্তিতে মজুরি ব্যবস্থা চালু আছে। পাউরুটির ক্ষেত্রে প্রতি মাথা পিছু  ৪০ কেজি ময়দার কাজ, প্রতি মাথা  পিছু ২২ কেজি কেক, বিস্কুট ও লেড়োর ক্ষেত্রেও ২২ কেজির চুক্তি থাকে। মাথা পিছু এর বেশি ওজন বাড়লে ওভার টাইম হিসাবে ধরা হয়। 

বেকারিগুলিতে ওভারটাইম শ্রমিকেদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। কাজের শুরুতেই বেকারি মালিকের  কাজের অর্ডার অনুযায়ী  তিন চার 'মাথা' কাজ প্রতিদিন ওভারটাইম হিসাবে করতে হয়, কারন কাজের শুরুতেই অর্ডারের ভিত্তিতে ময়দা মাখা হয়। আর একবার ময়দা মাখা হয়ে গেলে তা পাউরুটি, কেক, বিস্কুট ইত্যাদিতে রূপান্তরিত করার পরেই একমাত্র শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারেন। মালিকরা উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা, শ্রমিকের স্বল্পতা ও কম মজুরির সুযোগ নিয়ে ওভারটাইম  বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে। অর্ডার অনুযায়ী মালিক মাল তৈরী করাতে না পারলে বেকারি পণ্যের মার্কেট হাতছাড়া হয়ে যায়, তাই বেকারি মালিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যায়।  


রাতের কাজের শ্রমিকরা( যারা মূলত পাউরুটি তৈরী করেন) সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরের দিন সকাল ৮ টা পর্যন্ত  কাজ করেন, অনেক সময় ওভারটাইমের 'মাথা' বেশি থাকলে কাজ ছাড়তে  ৯ টাও বেজে যায়। দিনের ও রাতের শ্রমিকদের রোটেশন করে উৎপাদন পরিচালনার ব্যবস্থা নেই। শ্রমিকরা বছরের পর বছর রাত জেগে কাজ করেন।  শ্রমিকরা  ৪০ কেজি পাউরুটির 'মাথাতে' মজুরি পান ৩৭৯ টাকা, এবং  ৬ টাকা টিফিন বাবদ পান। আর চার বা পাঁচ মাথা ওভার টাইম হলে সেই  টাকা শ্রমিকদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। 


কারখানায় মূলত চারধরনের দক্ষতার শ্রমিক থাকে। বাচ্চা, সেয়ানা, মাথা লোক,  মাথা মিস্ত্রি। বাচ্চা অর্থাৎ   শিক্ষানবিশ,যাদের শুরুতে কাজ হল পাতা মোছা ( ট্রে,ফ্রেম মোছা), এই শিক্ষানবিশদের মজুরি ২০০ টাকা। এই ছোট ছোট বেকারিগুলিতে ৮-৯ শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন চালানো হয় বলে প্রতি ধাপের কাজে আলাদা করে বিভাগ তৈরী করা হয় না। প্রতিটি শ্রমিককেই প্রতিটি ধাপের কাজ শিখতে হয়। 

'সেয়ানা' যারা পুরো 'মাথার' ওজন ও ওভারটাইমের ওজনের কাজ করতে পারেন না কিন্তু  কাজ শিখে গিয়েছে তারা হল সেয়ানা, এই শ্রমিকদের মজুরি ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে থাকে। মাথা লোক অর্থাৎ যারা পুরো কাজ জানেন, বেকারির সবধরনের খাবার তৈরী করতে পারেন, ওভারটাইমও করেন, তাদের  মাথা হিসাবে ধরা হয়। এদের মধ্যে একজন মাথাকে মিস্ত্রি করা হয়, এই মিস্ত্রি শ্রমিকরা নিজের  কাজ করেও কারখানায়  উৎপাদন পরিচালনার দায়িত্ব নেন।  এদের মজুরি  সাধারণের থেকে  ১০-১৫ টাকা বেশী।


বেকারিতে দৈনিক মজুরি ব্যবস্থা চালু আছে, যদিও অনেক  বেকারি মালিক মাঝে মাঝে শ্রমিকদের মজুরি আটকে রাখে। শ্রমিকদের পিএফ, পেনশান ইত্যাদির ব্যবস্থা নেই। কিছু বেকারিতে শ্রমিক আন্দোলননের ফলে  সাপ্তাহিক সবেতন ছুটি দিতে মালিকরা বাধ্য হয়। শ্রমিকদের ধারাবাহিক ধর্মঘট,আন্দোলনের ফলে মজুরি বৃদ্ধি হয়। কিন্তু শ্রমিক স্বল্পতা, শিল্প সংকট শ্রমিকদের সংগঠিত শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে। 


দশকের পর দশক কাজ করার পরও শ্রমিকদের এত অল্প মজুরি,অথচ পুরানো যুগের ভাটার আগুনের তাপ, খামি( ময়দা মাখানো,যা আগে  হাত দিয়ে করা হত)  মাখা, ১২ ঘন্টা  একটানা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করা ইত্যাদি প্রতিটি ধাপের কাজে হাড়হিম করা পরিশ্রম থাকে,  ফলে কয়েকদশক ধরে চলছে বেকারিতে শ্রমিক স্বল্পতা, নতুন শিক্ষানবিশ কাজে ঢুকছে না, ঢুকলেও কাজের চাপে, পরিশ্রমে, ২০০ টাকা মজুিরর বিনিময়ে  বছরের পর বছর কাজ শেখা, 'সেয়ানা' হয়ে  দীর্ঘদিন কাজ করা ইত্যাদি কারনে শিক্ষানবিশরা কাজ শিখতে শিখতে বেকারি ছেড়ে চলে যায়।  দীর্ঘদিনের শ্রমিকরাও শিল্পের দৈন্যদশা, অল্প মজুরির জন্য নিজের ছেলে মেয়ে, আত্মীয় দের কাজে নিয়ে  আসে না। এমনকি বহু বেকারি শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছে  বা চেষ্টা করছে।


 মালিকদের পুঁজি থাকলেও তারা মজুরি বাড়ায় না, বেকারি শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ করে না। মুনাফা লোভী  মালিকদের জন্য আজ বেকারি শিল্পে শ্রমিক স্বল্পতা দেখা গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই খারাপ শ্রমিক স্বল্পতার কারনে একের পর এক বেকারি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,  মাঝে মাঝে চলতি বেকারিও এক দুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। উৎপাদনে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। মালিকরা একে ওপরের কারখানার শ্রমিকদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিছু অতি সেয়ানা মালিক তো  ২২ কেজি  মাথার( কেক, বিস্কুট  ক্ষেত্রে) হিসাব বাড়িয়ে ৩৬ কেজি করে দিয়ে শ্রমিকদের মজুরি ১০০ টাকা বাড়িয়ে, দীর্ঘদিনের শ্রমিকদের ধরে রাখার এবং অতিরিক্ত শোষণের ফন্দি চালু করেছে, কিছু মালিক শ্রমিকদের সুখ দুঃখে টাকা ধার দিয়ে শ্রমিক ধরে রাখার চেষ্টা করছে।


অথচ মালিকরা মজুরি না বাড়ানো ক্ষেত্রে দলবদ্ধ।

বেকারি ব্যাবসা নগদ টাকার ব্যবসা। সারা রাতে নগদ টাকা বেড়ে যায়। মালিকরা রাতে ময়দা দেখে  ঘুমাচ্ছে, সকালে তা পাউরুটি হয়ে যাচ্ছে, সকালবেলায় লাইনম্যানদের( বেকারির হকারদের) কাছে বিক্রি করেই হাতে নগদ পয়সা এসে যাচ্ছে। মালিকরা নগদ টাকার গন্ধে এতটাই মসগুল যে তারা কারাখানাগুলিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সেই নগদ থেকে  মজুরি বাড়াতে মালিকদের বুক কেঁপে ওঠে। শ্রমিকদের অভিযোগ মালিকদের লোভই বেকারি শিল্পকে শেষ করে দিচ্ছে।

কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন

 🧪 কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন!! 🧬


প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয় 


🔹 জ্বর বা ইনফেকশন হলে:

✅ CBC (Complete Blood Count)

✅ ESR

✅ Dengue, Malaria বা Typhoid Test (উপসর্গ অনুযায়ী)


🔹 ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে:

✅ Fasting Blood Sugar (খালি পেটে)

✅ 2 Hours After Breakfast (2HABF)

✅ HbA1c (গত ৩ মাসের গ্লুকোজের গড়)


🔹 থাইরয়েড সমস্যা হলে:

✅ TSH

✅ T3, T4


🔹 লিভারের সমস্যা বা হেপাটাইটিস সন্দেহ হলে:

✅ LFT (Liver Function Test)

✅ HBsAg

✅ Anti-HCV


🔹 কিডনির সমস্যা হলে:

✅ Creatinine

✅ Urea

✅ Urine R/E (Urine Routine and Microscopy)


🔹 হার্টের সমস্যা বা বুক ধড়ফড় করলে:

✅ ECG

✅ Troponin I

✅ Lipid Profile

✅ Echocardiogram (ডাক্তারের পরামর্শে)


🔹 পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক বা হজমে সমস্যা হলে:

✅ USG Whole Abdomen

✅ Endoscopy (প্রয়োজনে)

✅ H. Pylori Test


🔹 মেয়েদের PCOS বা অনিয়মিত পিরিয়ড হলে:

✅ USG Lower Abdomen

✅ LH, FSH

✅ Prolactin

✅ TSH

✅ AMH (বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে)।


🔹 প্রেগন্যান্সি টেস্ট:

✅ Urine β-hCG

✅ USG Pregnancy Profile


🔹 আর্থ্রাইটিস বা হাড়ের ব্যথা হলে:

✅ RA Factor

✅ CRP

✅ Uric Acid

✅ X-ray (প্রয়োজনে)।


🔹 রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) সন্দেহে:

✅ CBC

✅ Serum Iron

✅ Ferritin

✅ Vitamin B12


💡 মনে রাখবেন:

বিনা কারণে টেস্ট করানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি দেরি করাও বিপজ্জনক। আপনার শরীরের সংকেতকে অবহেলা করবেন না। ভালো চিকিৎসার শুরু হয় সঠিক টেস্টের মাধ্যমে। তাই উপসর্গ দেখলেই দেরি না করে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় টেস্ট করান।


🩺 সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন!..


Pic for attention, AI generated pic


লেখা - সংগৃহীত♥️

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

জরায়ুর স্থানচ্যুতি  —

 ★Uterus prolapsus★জরায়ুর স্থানচ্যুতি  — অর্থাৎ জরায়ু তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নিচের দিকে সরে গিয়ে যোনিমুখ (vagina) বা তার বাইরে চলে আসে।


✅ 💧জরায়ু স্থানচ্যুতির কারণ:


1. ★বারবার প্রসব (বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারি)।  

2. ★জন্মের সময় দীর্ঘক্ষণ চাপ প্রয়োগ* । 

3. ★বয়স বৃদ্ধির কারণে পেশির শক্তি কমে যাওয়া*।  

4. ★মেয়েদের পেটের নিচের পেশি দুর্বল হওয়া। (Pelvic floor weakness)*  

5. ★অতিরিক্ত ভার উত্তোলন বা দীর্ঘদিনধরে কাশি হওয়া*।


---⭕✅ উপসর্গ:


- যোনির নিচে ভার ভার ভাব । 

- পেটে বা কোমরে ব্যথা । 

- যোনিমুখে কিছু বের হয়ে আসছে অনুভব করা । 

- প্রস্রাব বা পায়খানায় সমস্যা । 

- দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে অস্বস্তি বাড়ে । 

- সহবাসে অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করা। 


✅⭕ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা (লক্ষণভিত্তিক):


1★Sepia– জরায়ু ভারী লাগে, নিচে পড়ে যাচ্ছে মনে হয়, মানসিক বিরক্তি । পা ক্রসিং করে বসে।স্বামী,সন্তান,সংসার, সহবাস সবকিছুতেই ঔদাসিন্যে। 

2★Murex– জরায়ু ও ডান পাশে টান, কামভাব বেশি।  

3. ★Lilium Tigrinum – জরায়ু টানছে মনে হয়, প্রস্রাবের চাপ । কাপড়ের ঘর্ষণেও কামভাব জাগ্রত হয়।

4★Fraxinus Americana (mother tincture) জরায়ু স্থানচ্যুতির উপর ভালো কাজ করে। 

5.★Hydrastis– দুর্বল জরায়ু, সাদা স্রাব, ক্লান্তি


-★ এছাড়া,Aurum met,Aurum mur nat,Rhus tox,Pulsatilla,Platina চমৎকার মেডিসিন।

★★ লক্ষণ ভিত্তিক যেকোনো মেডিসিন আসতে পারে। আপনারা রোগীর ধাতুগত চিকিৎসা করবেন। ধন্যবাদ।

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ১১-১২-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১১-১২-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট --- সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার * নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ ভোটারদের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা চাইলেন সিইসি 


 নির্বাচনে সততা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না --- হুঁশিয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের 


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টাসহ  বিভিন্ন রাজনৈতিক দল 


 দুই বিদায়ী উপদেষ্টার জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ উপদেষ্টা পরিষদে --- বিদ্যমান উপদেষ্টাদের মধ্যে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান 


 আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে দলীয় সরকার নয়, জনগণের সরকার গঠন করবে বিএনপি --- বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান 


 মিয়ানমারে একটি হাসপাতালে সামরিক বিমান হামলায় নিহত অন্তত ৩১  

এবং আগামীকাল কক্সবাজারে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল

সকাল ৭টার সংবাদ তারিখ : ১১-১২-২০২৫

 সকাল ৭টার সংবাদ

তারিখ : ১১-১২-২০২৫


আজকের সংবাদ শিরোনাম

...................................................


* আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি

 

* আগামী জাতীয় নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান


* পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া---তফসিল ঘোষণার পর কার্যকর---জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

 

* জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একশো ২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো এনসিপি

 

* বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, এর পুনরাবৃত্তি চায় না বিএনপি---বললেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

 

* বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করলো অস্ট্রেলিয়া


* এবং আজ চন্ডিগড়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মোকাবেলা করবে দক্ষিণ আফ্রিকা

বাংলাদেশে ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত টাকা বদলানোর নিয়ম খুবই পরিষ্কার।,,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 বাংলাদেশে ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত টাকা বদলানোর নিয়ম খুবই পরিষ্কার।

১. ছেঁড়া টাকা ব্যাংক কি বদলে দেবে?

হ্যাঁ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক বাধ্য ছেঁড়া, পুরনো, ময়লা বা ক্ষতিগ্রস্ত নোট গ্রহণ করতে এবং নতুন নোট দিয়ে দিতে।


২. নতুন নোট কি যেকোনো ব্যাংক দিতে বাধ্য?

হ্যাঁ, ব্যাংকগুলো নতুন নোট দেয়, কিন্তু…

 • নতুন নোট সব সময় সব ব্যাংকে পাওয়া যায় না,

 • সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখায় নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়,

 • উৎসবের সময় (ঈদের আগে) নতুন নোট বেশি দেওয়া হয়।


৩. টাকা বদলাতে কি কোনো চার্জ লাগে?

না! একদম ফ্রি।

একটা টাকাও কাটার অধিকার কোনো ব্যাংকের নেই।


৪. কোন নোট বদলাবে, কোনটা বদলাবে না?

যা বদলাবে:

বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান ২০২৫’ অনুযায়ী নতুন সার্কুলার মূল পয়েন্টগুলো:

ছেঁড়া, পোড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত নোটের বিনিময়মূল্য ফেরত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম করা হয়েছে।

নোটের ৯০% বা বেশি অংশ থাকলে পুরো মূল্য ফেরত।

৭৫–৯০% থাকলে ৭৫% মূল্য।

৫১–৭৫% থাকলে ৫০% মূল্য।

৫১% এর কম থাকলে কোনো বিনিময়মূল্য দেওয়া হবে না।

একাধিক খণ্ডে থাকলে, দুই প্রান্তের সিরিয়াল নম্বর মিললে এবং কমপক্ষে ৬০% অংশ থাকলে ৫০% মূল্য পাওয়া যায়।

পোড়া নোটেও নির্দিষ্ট শর্তে মূল্য ফেরত দেওয়া হয়।

এই সার্কুলারটি তৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে এবং পুরোনো “নোট রিফান্ড রেগুলেশনস-২০১২” বাতিল করেছে।  

এখন শুধু “বাণিজ্যিক ব্যাংক” নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা ও সব অফিস থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত নোট বদল/বিনিময় করা যাবে এবং কত টাকা পাবেন সেটা স্পষ্ট শতাংশ ভিত্তিতে নির্ধারণ আছে।  


যা বদলাবে না:

 • নোটের অর্ধেকের কম থাকলে

 • সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেলে

 • জাল নোট


ব্যাংকে নিয়ে গেলে 

 • টাকা ফ্রি বদলাবে

 • যেকোনো ব্যাংক বদলাতে বাধ্য

 • নতুন নোট সম্ভব হলে দেবে, নইলে বলবে কোন শাখায় পাওয়া যাবে। 


ব্যাংকে সরাসরি যেসব নোট বদলে দেওয়া হয়, সেগুলোর জন্য সাধারণ নিয়ম হলো

• নোট দুই টুকরোর বেশি না হলে

• বড় অংশটি মোট নোটের প্রায় ৯০% বা তার বেশি হলে

ব্যাংক অভার দ্য কাউন্টার–ই বদলে দেয়।

আর যখন নোটের অংশ ৫০% এর নিচে থাকে বা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন ব্যাংক সেটি গ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায়, এবং গ্রাহককে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক যেটুকু অনুমোদন করে, সেটুকুই পরে কাস্টমার পায়।


দুই খণ্ডে টুকরো নোটের ক্ষেত্রেও সবসময় ১০০% মূল্য ফেরত দেওয়া হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের Note Refund Act 2012–এ এটার বিস্তারিত শর্ত উল্লেখ আছে।


ছেঁড়া নোট না নিলে কোন ব্যাংকের বিরুদ্ধে কোথায় অভিযোগ করতে হবে:

১. বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ (সরাসরি সবচেয়ে কার্যকর)

বাংলাদেশ ব্যাংকের Customer Complaint Management System (CCMS) আছে।

অভিযোগ করার উপায়:

• বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে “Complaint/CCMS” সেকশন

• সেখানে ব্যাংকের নাম, শাখা, ঘটনা এসব লিখে সাবমিট

• অভিযোগ রেজিস্টার হলে ব্যাংককে উত্তর দিতে হয় বাধ্যতামূলকভাবে

এটা সবচেয়ে শক্তিশালী অভিযোগ ব্যাংকগুলো ভয় পায়।

২. ব্যাংকের হেড অফিসে অভিযোগ

যে ব্যাংক আপনাকে সেবা দিতে অস্বীকার করেছে, তাদের নিজের Head Office Customer Service Desk–এ ইমেইল করে বা ফোন করে জানাতে পারেন।

উদাহরণ:

• সোনালি ব্যাংক হেড অফিস

• জনতা ব্যাংক হেড অফিস

• বা যেই ব্যাংক হোক প্রতিটিরই Customer Complaint Cell থাকে।

হেড অফিসের চাপ পেলে শাখা আর টালবাহানা করে না।

৩. ব্যাংকিং মোবাইল অ্যাপ/ফেসবুক পেজ

অনেক ব্যাংক এখন ফেসবুক পেজ বা ইনবক্সে দেওয়া অভিযোগও গুরুত্ব সহকারে নেয়।

কারণ পাবলিক ইমেজ!

৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের হেল্পলাইন (টেলিফোন)

১৬২৩৬

এটা ব্যাংক ও আর্থিক সেবার সব অভিযোগের কমন হেল্পলাইন।

ছেঁড়া নোট না নেওয়াও এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।

কি বলবেন অভিযোগে?

খুব ছোট করে:

“আজ [তারিখ], [শাখা/ব্যাংকের নাম] আমার ক্ষতিগ্রস্ত নোট বদলাতে অস্বীকার করেছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মবিরুদ্ধ।”

একটা কথা জেনে রাখুন:

যদি আপনি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ সময় ব্যাংক ক্ষমা চেয়ে নোট বদলে দেয়।

সমস্যা হচ্ছে আমরা অভিযোগ করি না বলে তারা ভাবছে, “কে আর মাথা ঘামাবে?”


রুপা

বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ। তারিখ: ১০-১২-২০২৫ খ্রি:।

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১০-১২-২০২৫ খ্রি:।

আজকের শিরোনাম:


আগামীকাল সন্ধ্যে ছ’টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি।  


জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা নিয়ে আলোচনার জন্য বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাক্ষাৎ  --- ইসিকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস।    


আগামী জাতীয় নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান।


পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া --- তফসিল ঘোষণার পর কার্যকর --- জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।


জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একশো ২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো এনসিপি।


বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, আগামীতে এর পুনরাবৃত্তি হোক তা চায় না বিএনপি --- বললেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


মরক্কোয় দুটি আবাসিক ভবন ধসের ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি।


এবং আজ কক্সবাজারে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে হারালো পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল।

এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত।

 এক্সেলে নতুন হলে চাকরি, অফিস কিংবা ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে এই ২০ টি এক্সেল ফর্মুলা সবার আগে শেখা উচিত। এই ফর্মুলাগুলো জানলে এক্সেল...