এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিসুলার রেলওয়ে ম্যাপ ১৯১১

 যেই ছবিটা দেখতেসেন সেইটা গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ের ১৯১১ সালের ম্যাপ। 


লাল দাগ দেয়া যে লাইনগুলা আছে, সেগুলা ওপেন ডাবল লাইন, অর্থাৎ মেইন রেললাইন। ট্রান্সপোর্টেশন নিয়া আপনার যদি খুব বেসিক আইডিয়াও থাকে, তাইলেও আপনি বুঝবেন যে এই রেলওয়ে ম্যাপ কোনো সেন্স মেইক করেনা। এই লাইনগুলা ভারতের এক অংশের সাথে অন্য অংশকে এফেক্টিভলি কানেক্ট করেনা। যেমন ধরেন উত্তর পশ্চিম ভারতের সাথে ভারতের অন্য কোনো অংশেরই কোনো সংযোগ নাই।


একটু লক্ষ্য করলে আপনি আরেকটা জিনিসও খেয়াল করবেন, এই লাল লাইনগুলা বেসিকালি ভারতের প্রত্যেকটা মেজর পোর্টঃ কোলকাতা, বোম্বে এবং মাদ্রাসের সাথে কানেক্টেড। কেন? 


ভারতে উপনিবেশবাদের পক্ষে কেউ কথা বললে সবার আগেই রেলওয়েকে টাইনা আনতে পছন্দ করেন। ব্রিটিশরা নাকি আমাদের রেললাইন দিয়ে গেছেন, নাইলে এই উপমহাদেশে রেললাইনই নাকি হইত না। কিন্তু ব্রিটিশরা এত ইনকম্পেটেন্টলি কেন রেললাইন বানাইলো? 


কারণ এই রেললাইন ভারতবর্ষের কোনো মানুষের সুবিধার জন্য বানানো হয় নাই, এই রেলওয়ে বানানো হইসে এই সাবকন্টিনেন্ট থেকে সম্পদ চুরি করার জন্য।


যেই মাইনর লাইনগুলা কালো লাইন দিয়ে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে, সেইগুলাও কিন্তু ভারতের ইন্টারকানেক্টিভিটি বাড়াচ্ছে না, বরং বিভিন্ন জায়গাকে মেইন লাইনের সাথে যুক্ত করছে মাত্র। এই পুরা জিনিসটা বানানো হয়েছিলো যাতে ভারতবর্ষের প্রতিটা কোণা থেকে সম্পদ আহরণ করে পোর্টের মাধ্যমে জাহাজে তুলে ব্রিটেনে পাঠানো যায়। 


কোহিনূর হীরা বা অন্য কোনো রত্নের চুরির চাইতেও ব্রিটিশদের সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে একটা আস্ত উপমহাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে শুধুমাত্র শোষণের জন্য অ্যাপ্রোপ্রিয়েট করা। ভারতবর্ষকে বিশ্ব অর্থনীতির পাওয়ারহাউজ থেকে একটা দারিদ্র্য জর্জরিত ভূমিতে পরিণত করা কোনো কম কথা না। আমাদের এখনকার ঋণের লিগেসি, পরনির্ভরতার লিগেসি, অর্থনৈতিক দুর্বলতার লিগেসি, সবই সেই ব্রিটিশদের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। 


কলোনিয়ালিজম প্রত্যেকটা উপনিবেশের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে। এবং আপনি যখন একটা সিস্টেম বানান শুধুমাত্র সম্পদ আহরণ করার জন্য, সেই সিস্টেমটাকে পুরাপুরি না পরিবর্তন করলে তাকে মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা যায় না। 


ব্রিটেনের প্রত্যেকটা উপনিবেশে স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় আসছে, তারা মূলত এই শোষণের সিস্টেমকেই ব্যবহার করে গেছেন। এই কারণে এই সব দেশের ডেমোক্রেসি নড়বড়ে, প্রচুর মানুষ না খেয়ে থাকা সত্ত্বেও একটা ক্রমবর্ধমান অতিধনী মাইনরিটি এক্সিস্ট করে। 


উইলিয়াম ফকনার একটা কথা কইসিলেন, "অতীত কখনো মইরা যায় না, অতীত আসলে অতীত-ই না"। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ এই সাবকন্টিনেন্টে অন্তত কখনোই অতীত হইতে পারেনা। আমাদের শোষণের স্ট্রাকচার একই আছে, হাত বদল হইসে মাত্র।


@Jawad


মূল পোস্ট - তুহিন ঘোষ

কপি
পোস্ট 

কোন মন্তব্য নেই:

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...