এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২

একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা,,,, বাংলাদেশ রেলওয়ে ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একটি বাস্তব  অভিজ্ঞতা শেয়ার করি


কি করে শুরু করবো জানি না, তবে যা সত্য তাই প্রকাশ করলাম।

গতকাল(২৩/১০/২২) আমি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একটি ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর একজন যাত্রী ছিলাম‌। আমার পাশে একজন ভদ্র মহিলা যাত্রী ছিলেন। জয়দেবপুর স্টেশন পার হওয়ার পর থেকে লক্ষ্য করছিলাম  উনি কেমন জানি আন ইজি ফিল করছিলেন, খুব নড়া চড়া করছিলেন এবং খুব গম্ভীর হয়ে বসেছিলেন। আমি ভাবলাম আমার কোন আচরনে উনি বিরক্ত কিনা!

উনার পাশ থেকে সরে গিয়ে বগি থেকে বের হয়ে দরজার কাছে গিয়ে একটু সময় কাটালাম। কিছুক্ষন পর এসে দেখি উনি ফোনে কার সাথে জানি কথা বলছেন আর কাঁদছেন,  বলছেন আমি এখন কি করবো? 

উনার কথা বলা শেষ হলে উনার অনুমতি নিয়ে উনাকে প্রশ্ন করলাম কি হয়েছে ? উনি কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বললেন তেমন কিছু না। আবার উনার কাছে একটা ফোন আসে সম্ভবত উনার মা, আবার কথা বলার মাঝখানে উনি কাঁদছিলেন আর ফিস ফিস করে কথা বলছিলেন।


আমার পাশের দুই সিট পরে এক আপা ও ভাই সম্ভবত স্বামী স্ত্রী, তখন ওই আপাকে কাছে গিয়ে বিস্তারিত খুলে বললাম, আর উনাকে অনুরোধ করলাম  সমস্যাটা সম্পর্কে জানতে।  বিষয়টি পজেটিভ ভাবে নিয়ে উনার কাছে গিয়ে বসে বিস্তারিত শুনে, আমাকে জানালেন।

যেটা  আইডিয়া করেছিলাম সেটাই ঠিক।

চলন্ত ট্রেনে দ্বায়িত্বরত টিটিই ও আরো দুই একজনের সাথে কথা বলে জানলাম ট্রেনে স্যানিটারি ন্যাপকিনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব খোজ খবর নিতে নিতে সেতু পুর্বে পাশে এসে ট্রেন দাঁড়ালো। ট্রেন থামার সাথে সাথে দৌড়ে গিয়ে ট্রেন পরিচালকের কাছে গিয়ে খোঁজ নিলাম ট্রেন এখানে কতক্ষন দাঁড়াবে, ২০ মিনিট দাঁড়াবে। 

পরিচালক সাহেবের  সাথে বিস্তারিত শেয়ার করলাম,

 ভদ্রলোক অভয় দিলেন এবং বললেন যতোক্ষন আপনার কাজ হবে না ততক্ষণ ট্রেন ছাড়বো না।

স্টেশনের অদূরে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে এসে ওই আপাকে সহ ট্রেন থেকে নামিয়ে স্টেশনের ভিতরে টয়লেট পাঠিয়ে দিলাম।

গার্ড রুমে সংরক্ষিত বইয়ে আমার অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করতে চাইছিলাম এবং সুপারিশ লিখতে চাইছিলাম, প্রতিটি আন্তনগর দুরপাল্লার ট্রেনে যেন  মেয়েদের জন্য এই ব্যবস্থাটা থাকে (ন্যাপকিন সুবিধা) 

কিন্তু গার্ড মহোদয় একটু গড়িমসি শুরু করলেন ও শেষমেশ আমার ও জার্নি শেষ হলো ,অভিযোগটা লেখা হলো না। 

জানি না আমার এই লেখাটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে কি না তবুও লিখলাম ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। 

যদি কখনো এমন কিছু ব্যবস্থা করা যায় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে   মা বোনদের এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না।


লেখা- 

M

M

o

r

s

h

e

d

u

l

 H

a

q

u

e

(সংশোধিত ও পরিমার্জিত)

কপি
পেস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

বিশ্বের প্রথম টাইপরাইটারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি যন্ত্র, যার নাম ‘রাইটিং বল’ (The Writing Ball)।

 আপনি কি জানেন, প্রচলিত QWERTY কী-বোর্ডের অনেক আগেই একটি অদ্ভুত সুন্দর টাইপরাইটার আবিষ্কার হয়েছিল? ১৮৬৫ সালের, যখন ডেনিশ যাজক রাসমাস মালিং-হ...