এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩

রাত ২৮/৩/২০২৩ মঙ্গলবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৮মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


নিবার্চনকালে গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা দিলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধনী) আইনে মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদন।

 


আগামীকাল ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন — উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 


জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের মূল চেতনা—বিরোধী রাজনীতি করে আসছে বিএনপি — মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।

 


বর্তমান সরকারের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করছে দেশের গণমাধ্যম — বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

 


অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই — বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

 


আগামী সপ্তাহে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত বিশেষ পরীক্ষামূলক ট্রেন চালাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 

 


পবিত্র ওমরাহ্ পালনে মক্কা যাওয়ার পথে সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলে এক বাস দুর্ঘটনায় ২০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু।

 


এবং ঢাকায় সাফ অনুর্ধ্ব—১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচ এক—এক গোলে ড্র — চট্টগ্রামে আগামীকাল দ্বিতীয় টি—টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।

সকাল ২৮/৩/২০২৩ মঙ্গলবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২৮শে মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:..


১৫ই আগস্টের প্রেতাত্মারা আবারও যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহবান প্রধানমন্ত্রীর।


স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন রাষ্ট্রপতি।


বিএনপির কারণেই দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বার বার হোঁচট খেয়েছে - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশিদের বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 


আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অফিস সময়ের পর হাসপাতালেই ভিজিট নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা - জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ৬ জন নিহত।


এবং চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২২ রানে হারালো বাংলাদেশ।

রাত ২৭/৩/২০২৩ সোমবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৭শে মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* ১৫ই আগস্টের প্রেতাত্মারা আবারও যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর।

 


* বিএনপির কারণেই দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বার বার হোঁচট খেয়েছে — বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


 

* রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশিদের বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়ছে — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।  

 


* আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অফিস সময়ের পর হাসপাতালেই ভিজিট নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা — জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 


* বেলারুশে রাশিয়ার পরমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে বিপজ্জনক বলে নিন্দা জানিয়েছে ন্যাটো — মস্কো বলেছে, পশ্চিমাদের সমালোচনায় সিদ্ধান্তে কোন পরিবর্তন হবে না।           

 


* এবং চট্টগ্রামে প্রথম টি—টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২২ রানে হারালো বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩

গাঁথুনির করার সঠিক নিয়ম:-

 গাঁথুনির করার সঠিক নিয়ম:-

গাঁথুনির (ইটের)কাজ করার সময় যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা খুবই জরুরী।

১) ইট গাঁথার সময় প্রত্যেক বার সুতা এবং শল দেখে নিতে হবে গাঁথনী সোজা রাখতে হলে।

২) কাজ শুরুর আগে ইট গুলোকে অন্তত: ৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং ভালভাবে পরিস্কার করা উচিত। ভেজা ইটে গাঁথুনি ভাল হয় এবং ফাঁটল ধরার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়া ভাল করে না ভেজালে প্লাস্টারে সমস্যা হতে পারে।

৩) অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বেশী লাভ করার জন্য ইটের আকার আকৃতি ঠিক থাকে না ফলে ইট ব্যবহার করা ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, গাঁথনী সোজা হয় না গাঁথনীর একপাশ মেলালে আরেক পাশ মিলে না।

৪) গাঁথুনির সময় দেখতে হবে দুটো ইটের মধ্যের ফাঁক যেন ১ সেন্টিমিটার থেকে বেশী না হয় এবং জোড়ার উপর জোড়া যেন অবিরাম না হয়।

৫) ইটের আকার ঠিক না থাকার কারনে অনেক বেশী মসলার ব্যবহার করতে হয় গাঁথনীর শল মিলাতে গিয়ে, যায় ফলে সিমেন্ট বালুতে অনেক বেশী টাকা ব্যয় হয় ইটের ক্ষেত্রে টাকা বাঁচাতে গিয়ে। ইটের অনেক অপচয় হয় বেছে বেছে তা ব্যবহার করতে গিয়ে মিস্ত্রিদের সময় বেশী লাগে, ফলে মিস্ত্রি খরচ বেড়ে যায়।

৬)ইট গাঁথুনির জন্য FM ১.৫  গ্রেডেড বালি ব্যবহার করা উচিত।

৭) সেজন্য প্রথম শ্রেনীর ইট এবং পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ব্যবহার করা উচিত।

৮) কোন ণির্দিষ্ট দ্দ্যেশ্য না থাকলে ইংলিশ বন্ডে(নিয়মে) গাঁথুনী করা ভাল ।

৯) মিশ্রনে মসলার অনুপাত হবে ১.৫। ৫” গাথুনির জন্য।

১০) আধলার ব্যবহার এড়িয়ে চলা ভাল যদি প্রয়োজন না পড়ে।

১১) জোড়াগুলো ইটের সিলমোহর উপরে রেখে মসলাদ্বারা পূর্ণ করা উচিত।

১২) জোড়ের পুরুত্ব ১.৩ মিমি এর বেশী যেন না হয়।

১৩) জোড়াগুলোর মধ্যে যেন কোন ফাঁক না থাকে,

প্রয়োজনে মশলা দ্বারা পূর্ণ করে সমতল করা অত্যাবশ্যকীয় ।

১৪) ইটকে আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ বেডের উপর মশলা বিছিয়ে চাপ দিয়ে বসানো উচিত ফলে মশলার সাথে ভাল ভাবে লেগে যায়।

১৫) একদিনে সর্বোচ্চ ১.৫ মিটারের  বা ৫ ফিটের বেশী গাঁথুনী করা উচিত নয়।

কপি
পেস্ট 

হৈমন্তী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্য থেকে নেওয়া

 

হৈমন্তী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন , মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে , কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে । মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে , কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে , সেইজন্যই তাড়া।
আমি ছিলাম বর, সুতরাং বিবাহসম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। আমার কাজ আমি করিয়াছি , এফ.এ. পাস করিয়া বৃত্তি পাইয়াছি। তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ , কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষ, ঘন ঘন বিচলিত হইয়া উঠিল।
আমাদের দেশে যে মানুষ একবার বিবাহ করিয়াছে বিবাহ সম্বন্ধে তাহার মনে আর কোনো উদ্‌বেগ থাকে না। নরমাংসের স্বাদ পাইলে মানুষের সম্বন্ধে বাঘের যে দশা হয়, স্ত্রীর সম্বন্ধে তাহার ভাবটা সেইরূপ হইয়া উঠে । অবস্থা যেমনি ও বয়স যতই হউক, স্ত্রীর অভাব ঘটিবামাত্র তাহা পূরণ করিয়া লইতে তাহার কোনো দ্বিধা থাকে না। যত দ্বিধা ও দুশ্চিন্তা সে দেখি আমাদের নবীন ছাত্রদের । বিবাহের পৌনঃপুনিক প্রস্তাবে তাহাদের পিতৃপক্ষের পাকা চুল কলপের আশীর্বাদে পুনঃপুনঃ কাঁচা হইয়া উঠে , আর প্রথম ঘটকালির আঁচেই ইহাদের কাঁচা চুল ভাবনায় একরাত্রে পাকিবার উপক্রম হয়।
সত্য বলিতেছি , আমার মনে এমন বিষম উদ্‌বেগ জন্মে নাই । বরঞ্চ বিবাহের কথায় আমার মনের মধ্যে যেন দক্ষিনে হাওয়া দিতে লাগিল। কৌতূহলী কল্পনার কিশলয়গুলির মধ্যে একটা যেন কানাকানি পড়িয়া গেল । যাহাকে বার্কের ফ্রেঞ্চ্ রেভোল্যুশনের নোট পাঁচ-সাত খাতা মুখস্থ করিতে হইবে , তাহার পক্ষে এ ভাবটা দোষের । আমার এ লেখা যদি টেকসবুক-কমিটির অনুমোদিত হইবার কোনো আশঙ্কা থাকিত তবে সাবধান হইতাম।
কিন্তু , এ কী করিতেছি । এ কি একটি গল্প যে উপন্যাস লিখিতে বসিলাম । এমন সুরে আমার লেখা শুরু হইবে এ আমি কি জানিতাম। মনে ছিল , কয় বৎসরের বেদনার যে মেঘ কালো হইয়া জমিয়া উঠিয়াছে , তাহাকে বৈশাখসন্ধ্যার ঝোড়ো বৃষ্টির মতো প্রবল বর্ষণে নিঃশেষ করিয়া দিব । কিন্তু , না পারিলাম বাংলায় শিশুপাঠ্য বই লিখিতে , কারণ, সংস্কৃত মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ আমার পড়া নাই; আর, না পারিলাম কাব্য রচনা করিতে , কারণ মাতৃভাষা আমার জীবনের মধ্যে এমন পুষ্পিত হইয়া উঠে নাই যাহাতে নিজের অন্তরকে বাহিরে টানিয়া আনিতে পারি ।
সেইজন্যেই দেখিতেছি , আমার ভিতরকার শ্মশানচারী সন্ন্যাসীটা অট্টহাস্যে আপনাকে আপনি পরিহাস করিতে বসিয়াছে। না করিয়া করিবে কী। তাহার যে অশ্রু শুকাইয়া গেছে। জ্যৈষ্ঠের খররৌদ্রই তো জ্যৈষ্ঠের অশ্রুশূন্য রোদন।
আমার সঙ্গে যাহার বিবাহ হইয়াছিল তাহার সত্য নামটা দিব না। কারণ , পৃথিবীর ইতিহাসে তাহার নামটি লইয়া প্রত্নতাত্ত্বিকদের মধ্যে বিবাদের কোনো আশঙ্কা নাই। যে তাম্রশাসনে তাহার নাম খোদাই করা আছে সেটা আমার হৃদয়পট । কোনোকালে সে পট এবং সে নাম বিলুপ্ত হইবে , এমন কথা আমি মনে করিতে পারি না । কিন্তু , যে অমৃতলোকে তাহা অক্ষয় হইয়া রহিল সেখানে ঐতিহাসিকের আনাগোনা নাই।
আমার এ লেখায় তাহার যেমন হউক একটা নাম চাই। আচ্ছা , তাহার নাম দিলাম শিশির। কেননা, শিশিরে কান্নাহাসি একেবারে এক হইয়া আছে , আর শিশিরে ভোরবেলাটুকুর কথা সকালবেলায় আসিয়া ফুরাইয়া যায়।
শিশির আমার চেয়ে কেবল দুই বছরের ছোটো ছিল । অথচ , আমার পিতা যে গৌরীদানের পক্ষপাতী ছিলেন না তাহা নহে।
তাঁহার পিতা ছিলেন উগ্রভাবে সমাজবিদ্রোহী, দেশের প্রচলিত ধর্মকর্ম কিছুতে তাঁহার আস্থা ছিল না; তিনি কষিয়া ইংরাজি পড়িয়াছিলেন। আমার পিতা উগ্রভাবে সমাজের অনুগামী ; মানিতে তাঁহার বাধে এমন জিনিস আমাদের সমাজে , সদরে বা অন্দরে , দেউড়ি বা খিড়কির পথে খুঁজিয়া পাওয়া দায়, কারণ, ইনিও কষিয়া ইংরাজি পড়িয়াছিলেন। পিতামহ এবং পিতা উভয়েরই মতামত বিদ্রোহের দুই বিভিন্ন মূর্তি। কোনোটাই সরল স্বাভাবিক নহে। তবুও বড়ো বয়সের মেয়ের সঙ্গে বাবা যে আমার বিবাহ দিলেন তাহার কারণ, মেয়ের বয়স বড়ো বলিয়াই পণের অঙ্কটাও বড়ো। শিশির আমার শ্বশুরের একমাত্র মেয়ে। বাবার বিশ্বাস ছিল , কন্যার পিতার সমস্ত টাকা ভাবী জামাতার ভবিষ্যতের গর্ভ পূরণ করিয়া তুলিতেছে।
আমার শ্বশুরের বিশেষ কোনো-একটা মতের বালাই ছিল না। তিনি পশ্চিমের এক পাহাড়ের কোনো রাজার অধীনে বড়ো কাজ করিতেন। শিশির যখন কোলে তখন তাহার মার মৃত্যু হয়। মেয়ে বৎসর-অন্তে এক-এক বছর করিয়া বড়ো হইতেছে , তাহা আমার শ্বশুরের চোখেই পড়ে নাই। সেখানে তাঁহার সমাজের লোক এমন কেহই ছিল না যে তাঁহাকে চোখে আঙুল দিয়া দেখাইয়া দিবে।
শিশিরের বয়স যথাসময়ে ষোলো হইল; কিন্তু সেটা স্বভাবের ষোলো, সমাজের ষোলো নহে। কেহ তাহাকে আপন বয়সের জন্য সতর্ক হইতে পরামর্শ দেয় নাই, সেও আপন বয়সটার দিকে ফিরিয়াও তাকাইত না।
কলেজে তৃতীয় বৎসরে পা দিয়াছি, আমার বয়স উনিশ, এমন সময় আমার বিবাহ হইল। বয়সটা সমাজের মতে বা সমাজসংস্কারকের মতে উপযুক্ত কি না তাহা লইয়া তাহারা দুই পক্ষ লড়াই করিয়া রক্তারক্তি করিয়া মরুক, কিন্তু আমি বলিতেছি, সে বয়সটা পরীক্ষা পাস করিবার পক্ষে যত ভালো হউক বিবাহের সম্বন্ধ আসিবার পক্ষে কিছুমাত্র কম ভালো নয়।
বিবাহের অরুণোদয় হইল একখানি ফোটোগ্রাফের আভাসে। পড়া মুখস্থ করিতেছিলাম। একজন ঠাট্টার সম্পর্কের আত্মীয়া আমার টেবিলের উপরে শিশিরের ছবিখানি রাখিয়া বলিলেন, “এইবার সত্যিকার পড়া পড়ো — একেবারে ঘাড়মোড় ভাঙিয়া।”
কোনো একজন আনাড়ি কারিগরের তোলা ছবি। মা ছিল না, সুতরাং কেহ তাহার চুল টানিয়া বাঁধিয়া, খোঁপায় জরি জড়াইয়া, সাহা বা মল্লিক কোম্পানির জবড়জঙ জ্যাকেট পরাইয়া, বরপক্ষের চোখ ভুলাইবার জন্য জালিয়াতির চেষ্টা করে নাই। ভারি একখানি সাদাসিধা মুখ, সাদাসিধা দুটি চোখ, এবং সাদাসিধা একটি শাড়ি । কিন্তু , সমস্তটি লইয়া কী যে মহিমা সে আমি বলিতে পারি না। যেমন-তেমন একখানি চৌকিতে বসিয়া, পিছনে একখানা ডোরা-দাগ-কাটা শতরঞ্চ ঝোলানো, পাশে একটা টিপাইয়ের উপরে ফুলদানিতে ফুলের তোড়া। আর, গালিচার উপরে শাড়ির বাঁকা পাড়টির নীচে দুখানি খালি পা।
পটের ছবিটির উপর আমার মনের সোনার কাঠি লাগিতেই সে আমার জীবনের মধ্যে জাগিয়া উঠিল। সেই কালো দুটি চোখ আমার সমস্ত ভাবনার মাঝখানে কেমন করিয়া চাহিয়া রহিল। আর , সেই বাঁকা পাড়ের নীচেকার দুখানি খালি পা আমার হৃদয়কে আপন পদ্মাসন করিয়া লইল।
পঞ্জিকার পাতা উল্ টাইতে থাকিল; দুটা-তিনটা বিবাহের লগ্ন পিছাইয়া যায়, শ্বশুরের ছুটি আর মেলে না। ও দিকে সামনে একটা অকাল চার-পাঁচটা মাস জুড়িয়া আমার আইবড় বয়সের সীমানাটাকে উনিশ বছর হইতে অনর্থক বিশ বছরের দিকে ঠেলিয়া দিবার চক্রান্ত করিতেছে। শ্বশুরের এবং তাঁহার মনিবের উপর রাগ হইতে লাগিল।
যা হউক, অকালের ঠিক পূর্বলগ্নটাতে আসিয়া বিবাহের দিন ঠেকিল। সেদিনকার সানাইয়ের প্রত্যেক তানটি যে আমার মনে পড়িতেছে। সেদিনকার প্রত্যেক মুহূর্তটি আমি আমার সমস্ত চৈতন্য দিয়া স্পর্শ করিয়াছি। আমার সেই উনিশ বছরের বয়সটি আমার জীবনে অক্ষয় হইয়া থাক্‌।
বিবাহসভায় চারি দিকে হট্টগোল ; তাহারই মাঝখানে কন্যার কোমল হাতখানি আমার হাতের উপর পড়িল। এমন আশ্চর্য আর কী আছে। আমার মন বারবার করিয়া বলিতে লাগিল, ‘ আমি পাইলাম , আমি ইহাকে পাইলাম। ‘
কাহাকে পাইলাম। এ যে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে।….আমার শ্বশুরের নাম গৌরীশংকর। যে হিমালয়ে বাস করিতেন সেই হিমালয়ের তিনি যেন মিতা। তাঁহার গাম্ভীর্যের শিখরদেশে একটি স্থির হাস্য শুভ্র হইয়াছিল। আর, তাঁহার হৃদয়ের ভিতরটিতে স্নেহের যে-একটি প্রস্রবণ ছিল তাহার সন্ধান যাহারা জানিত তাহারা তাঁহাকে ছাড়িতে চাহিত না।
কর্মক্ষেত্রে ফিরিবার পূর্বে আমার শ্বশুর আমাকে ডাকিয়া বলিলেন, “ বাবা , আমার মেয়েটিকে আমি সতেরো বছর ধরিয়া জানি , আর তোমাকে এই ক ‘ টি দিন মাত্র জানিলাম , তবু তোমার হাতেই ও রহিল । যে ধন দিলাম, তাহার মূল্য যেন বুঝিতে পার , ইহার বেশি আশীর্বাদ আর নাই। ”
তাঁহার বেহাই বেহান সকলেই তাঁহাকে বার বার করিয়া আশ্বাস দিয়া বলিলেন, “ বেহাই , মনে কোনো চিন্তা রাখিয়ো না। তোমার মেয়েটি যেমন বাপকে ছাড়িয়া আসিয়াছে এখানে তেমনি বাপ মা উভয়কেই পাইল। ”
তাহার পরে শ্বশুরমশায় মেয়ের কাছে বিদায় লইবার বেলা হাসিলেন; বলিলেন , “ বুড়ি, চলিলাম। তোর একখানি মাত্র এই বাপ , আজ হইতে ইহার যদি কিছু খোওয়া যায় বা চুরি যায় বা নষ্ট হয় আমি তাহার জন্য দায়ী নই। ”……মেয়ে বলিল, “ তাই বৈকি । কোথাও একটু যদি লোকসান হয় তোমাকে তার ক্ষতিপূরণ করিতে হইবে। ”
অবশেষে নিত্য তাঁহার যে-সব বিষয়ে বিভ্রাট ঘটে বাপকে সে সম্বন্ধে সে বার বার সতর্ক করিয়া দিল। আহারসম্বন্ধে আমার শ্বশুরের যথেষ্ট সংযম ছিল না, গুটিকয়েক অপথ্য ছিল , তাহার প্রতি তাঁহার বিশেষ আসক্তি — বাপকে সেই-সমস্ত প্রলোভন হইতে যথাসম্ভব ঠেকাইয়া রাখা মেয়ের এক কাজ ছিল। তাই আজ সে বাপের হাত ধরিয়া উদ্‌বেগের সহিত বলিল, “ বাবা , তুমি আমার কথা রেখো — রাখবে ?”…….বাবা হাসিয়া কহিলেন, “ মানুষ পণ করে পণ ভাঙিয়া ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িবার জন্য, অতএব কথা না-দেওয়াই সব চেয়ে নিরাপদ। ”
তাহার পরে বাপ চলিয়া আসিলে ঘরে কপাট পড়িল। তাহার পরে কী হইল কেহ জানে না।….বাপ ও মেয়ের অশ্রুহীন বিদায়ব্যাপার পাশের ঘর হইতে কৌতূহলী অন্তঃপুরিকার দল দেখিল ও শুনিল । অবাক কাণ্ড! খোট্টার দেশে থাকিয়া খোট্টা হইয়া গেছে! মায়ামমতা একেবারে নাই!
আমার শ্বশুরের বন্ধু বনমালীবাবুই আবাদের বিবাহের ঘটকালি করিয়াছিলেন । তিনি আমাদের পরিবারেরও পরিচিত । তিনি আমার শ্বশুরকে বলিয়াছিলেন , “ সংসারে তোমার তো ঐ একটি মেয়ে । এখন ইহাদেরই পাশে বাড়ি লইয়া এইখানেই জীবনটা কাটাও।”
তিনি বলিলেন, “ যাহা দিলাম তাহা উজাড় করিয়াই দিলাম । এখন ফিরিয়া তাকাইতে গেলে দুঃখ পাইতে হইবে । অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো এমন বিড়ম্বনা আর নাই।”
সব-শেষে আমাকে নিভৃতে লইয়া গিয়া অপরাধীর মতো সসংকোচে বলিলেন, “ আমার মেয়েটির বই পড়িবার শখ , এবং লোকজনকে খাওয়াইতে ও বড়ো ভালোবাসে । এজন্য বেহাইকে বিরক্ত করিতে ইচ্ছা করি না । আমি মাঝে মাঝে তোমাকে টাকা পাঠাইব । তোমার বাবা জানিতে পারিলে কি রাগ করিবেন।”
প্রশ্ন শুনিয়া কিছু আশ্চর্য হইলাম । সংসারে কোনো-একটা দিক হইতে অর্থসমাগম হইলে বাবা রাগ করিবেন , তাঁহার মেজাজ এত খারাপ তো দেখি নাই।……যেন ঘুষ দিতেছেন, এমনিভাবে আমার হাতে একখানা একশো টাকার নোট গুঁজিয়া দিয়াই আমার শ্বশুর দ্রুত প্রস্থান করিলেন; আমার প্রণাম লইবার জন্য সবুর করিলেন না। পিছন হইতে দেখিতে পাইলাম , এইবার পকেট হইতে রুমাল বাহির হইল ।
আমি স্তব্ধ হইয়া বসিয়া ভাবিতে লাগিলাম । মনে বুঝিলাম , ইহারা অন্য জাতের মানুষ।…….বন্ধুদের অনেককেই তো বিবাহ করিতে দেখিলাম । মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীটিকে একেবারে এক গ্রাসে গলাধঃকরণ করা হয় । পাকযন্ত্রে পৌঁছিয়া কিছুক্ষণ বাদে এই পদার্থটির নানা গুণাগুণ প্রকাশ হইতে পারে এবং ক্ষণে ক্ষণে আভ্যন্তরিক উদ্‌বেগ উপস্থিত হইয়াও থাকে , কিন্তু রাস্তাটুকুতে কোথাও কিছুমাত্র বাধে না ।
আমি কিন্তু বিবাহসভাতেই বুঝিয়াছিলাম , দানের মন্ত্রে স্ত্রীকে যেটুকু পাওয়া যায় তাহাতে সংসার চলে , কিন্তু পনেরো-আনা বাকি থাকিয়া যায় । আমার সন্দেহ হয় , অধিকাংশ লোকে স্ত্রীকে বিবাহমাত্র করে , পায় না, এবং জানেও না যে পায় নাই ; তাহাদের স্ত্রীর কাছেও আমৃত্যুকাল এ খবর ধরা পড়ে না । কিন্তু , সে যে আমার সাধনার ধন ছিল ; সে আমার সম্পত্তি নয় , সে আমার সম্পদ ।
শিশির — না , এ নামটা আর ব্যবহার করা চলিল না । একে তো এটা তাহার নাম নয় , তাহাতে এটা তাহার পরিচয়ও নহে । সে সূর্যের মতো ধ্রুব ; সে ক্ষণজীবিনী উষার বিদায়ের অশ্রুবিন্দুটি নয় । কী হইবে গোপনে রাখিয়া। তাহার আসল নাম হৈমন্তী।
দেখিলাম , এই সতেরো বছরের মেয়েটির উপরে যৌবনের সমস্ত আলো আসিয়া পড়িয়াছে , কিন্তু এখনো কৈশোরের কোল হইতে সে জাগিয়া উঠে নাই । ঠিক যেন শৈলচূড়ার বরফের উপর সকালের আলো ঠিকরিয়া পড়িয়াছে , কিন্তু বরফ এখনো গলিল না । আমি জানি , কী অকলঙ্ক শুভ্র সে , কী নিবিড় পবিত্র ।
আমার মনে একটা ভাবনা ছিল যে , লেখাপড়া-জানা বড়ো মেয়ে , কী জানি কেমন করিয়া তাহার মন পাইতে হইবে । কিন্তু, অতি অল্পদিনেই দেখিলাম , মনের রাস্তার সঙ্গে বইয়ের দোকানের রাস্তার কোনো জায়গায় কোনো কাটাকাটি নাই । কবে যে তাহার সাদা মনটির উপরে একটু রঙ ধরিল , চোখে একটু ঘোর লাগিল, কবে যে তাহার সমস্ত শরীর মন যেন উৎসুক হইয়া উঠিল, তাহা ঠিক করিয়া বলিতে পারিব না।..এ তো গেল এক দিকের কথা । আবার অন্য দিকও আছে , সেটা বিস্তারিত বলিবার সময় আসিয়াছে ।
রাজসংসারে আমার শ্বশুরের চাকরি । ব্যাঙ্কে যে তাঁহার কত টাকা জমিল সে সম্বন্ধে জনশ্রুতি নানাপ্রকার অঙ্কপাত করিয়াছে , কিন্তু কোনো অঙ্কটাই লাখের নীচে নামে নাই । ইহার ফল হইয়াছিল এই যে , তাহার পিতার দর যেমন-যেমন বাড়িল হৈমর আদরও তেমনি বাড়িতে থাকিল । আমাদের ঘরের কাজকর্ম রীতিপদ্ধতি শিখিয়া লইবার জন্য সে ব্যগ্র , কিন্তু মা তাহাকে অত্যন্ত স্নেহে কিছুতেই হাত দিতে দিলেন না । এমন-কি , হৈমর সঙ্গে পাহাড় হইতে যে দাসী আসিয়াছিল যদিও তাহাকে নিজেদের ঘরে ঢুকিতে দিতেন না তবু তাহার জাত সম্বন্ধে প্রশ্নমাত্র করিলেন না , পাছে বিশ্রী একটা উত্তর শুনিতে হয় ।
এমনিভাবেই দিন চলিয়া যাইতে পরিত , কিন্তু হঠাৎ একদিন বাবার মুখ ঘোর অন্ধকার দেখা গেল । ব্যাপারখানা এই — আমার বিবাহে আমার শ্বশুর পনেরো হাজার টাকা নগদ এবং পাঁচ হাজার টাকার গহনা দিয়াছিলেন । বাবা তাঁহার এক দালাল বন্ধুর কাছে খবর পাইয়াছেন , ইহার মধ্যে পনেরো হাজার টাকাই ধার করিয়া সংগ্রহ করিতে হইয়াছে, তাহার সুদও নিতান্ত সামান্য নহে । লাখ টাকার গুজব তো একেবারেই ফাঁকি ।
যদিও আমার শ্বশুরের সম্পত্তির পরিমাণ সম্বন্ধে আমার বাবার সঙ্গে তাঁহার কোনোদিন কোনো আলোচনাই হয় নাই , তবু বাবা জানি না, কোন্‌ যুক্তিতে ঠিক করিলেন , তাঁহার বেহাই তাঁহাকে ইচ্ছাপূর্বক প্রবঞ্চনা করিয়াছেন।
তার পরে , বাবার একটা ধারণা ছিল , আমার শ্বশুর রাজার প্রধান মন্ত্রী-গোছের একটা-কিছু । খবর লইয়া জানিলেন , তিনি সেখানকার শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ। বাবা বলিলেন , অর্থাৎ ইস্কুলের হেড্ মাস্টার — সংসারে ভদ্র পদ যতগুলো আছে তাহার মধ্যে সব চেয়ে ওঁচা। বাবার বড়ো আশা ছিল , শ্বশুর আজ বাদে কাল যখন কাজে অবসর লইবেন তখন আমিই রাজমন্ত্রী হইব।
এমন সময়ে রাস-উপলক্ষে দেশের কুটুম্বরা আমাদের কলিকাতার বাড়িতে আসিয়া জমা হইলেন। কন্যাকে দেখিয়া তাঁহাদের মধ্যে একটা কানাকানি পড়িয়া গেল । কানাকানি ক্রমে অস্ফুট হইতে স্ফুট হইয়া উঠিল। দূর সম্পর্কের কোনো-এক দিদিমা বলিয়া উঠিলেন, “পোড়া কপাল আমার! নাতবউ যে বয়সে আমাকেও হার মানাইল। ”
আর-এক দিদিমাশ্রেণীয়া বলিলেন, “ আমাদেরই যদি হার না মানাইবে তবে অপু বাহির হইতে বউ আনিতে যাইবে কেন। ”…….আমার মা খুব জোরের সঙ্গে বলিয়া উঠিলেন, “ ওমা , সে কি কথা । বউমার বয়স সবে এগারো বৈ তো নয় , এই আসছে ফাল্গুনে বারোয় পা দিবে । খোট্টার দেশে ডালরুটি খাইয়া মানুষ, তাই অমন বাড়ন্ত হইয়া উঠিয়াছে। ”
দিদিমারা বলিলেন, “ বাছা , এখনো চোখে এত কম তো দেখি না। কন্যাপক্ষ নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে বয়স ভাঁড়াইয়াছে।”……মা বলিলেন, “ আমরা যে কুষ্ঠি দেখিলাম। ”………কথাটা সত্য। কিন্তু কোষ্ঠীতেই প্রমাণ আছে , মেয়ের বয়স সতেরো।
প্রবীণারা বলিলেন , “ কুষ্ঠিতে কি আর ফাঁকি চলে না। ”…….এই লইয়া ঘোর তর্ক , এমন-কি বিবাদ হইয়া গেল।……….এমন সময়ে সেখানে হৈম আসিয়া উপস্থিত । কোনো-এক দিদিমা জিজ্ঞাসা করিলেন , “ নাতবউ , তোমার বয়স কত বলো তো। ”
মা তাহাকে চোখ টিপিয়া ইশারা করিলেন । হৈম তাহার অর্থ বুঝিল না ; বলিল , “ সতেরো। ”……..মা ব্যস্ত হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “ তুমি জান না। ”……..হৈম কহিল , “ আমি জানি , আমার বয়স সতেরো। ”………….দিদিমারা পরস্পর গা-টেপাটেপি করিলেন।
বধূর নির্বুদ্ধিতায় রাগিয়া উঠিয়া মা বলিলেন, “ তুমি তো সব জান! তোমার বাবা যে বলিলেন , তোমার বয়স এগারো । ”………হৈম চমকিয়া কহিল, “ বাবা বলিয়াছেন ? কখনো না। ”…..মা কহিলেন , “ অবাক করিল । বেহাই আমার সামনে নিজের মুখে বলিলেন , আর মেয়ে বলে ‘ কখনো না ‘ ! ” এই বলিয়া আর-একবার চোখ টিপিলেন।
এবার হৈম ইশারার মানে বুঝিল; স্বর আরো দৃঢ় করিয়া বলিল, “ বাবা এমন কথা কখনোই বলিতে পারেন না। ”……..মা গলা চড়াইয়া বলিলেন, “ তুই আমাকে মিথ্যাবাদী বলিতে চাস? ”…….হৈম বলিল, “ আমার বাবা তো কখনোই মিথ্যা বলেন না। ”
ইহার পরে মা যতই গালি দিতে লাগিলেন কথাটার কালি ততই গড়াইয়া ছড়াইয়া চারি দিকে লেপিয়া গেল।…….মা রাগ করিয়া বাবার কাছে তাঁহার বধূর মূঢ়তা এবং ততোধিক একগুঁয়েমির কথা বলিয়া দিলেন। বাবা হৈমকে ডাকিয়া বলিলেন, “ আইবড় মেয়ের মেয়ের বয়স সতেরো, এটা কি খুব একটা গৌরবের কথা, তাই ঢাক পিটিয়া বেড়াইতে হইবে? আমাদের এখানে এ-সব চলিবে না, বলিয়া রাখিতেছি। ”
হায় রে, তাঁহার বউমার প্রতি বাবার সেই মধুমাখা পঞ্চম স্বর আজ একেবারে এমন বাজখাঁই খাদে নাবিল কেমন করিয়া।………হৈম ব্যথিত হইয়া প্রশ্ন করিল, “ কেহ যদি বয়স জিজ্ঞাসা করে কী বলিব। ”
বাবা বলিলেন, “ মিথ্যা বলিবার দরকার নাই , তুমি বলিয়ো, ‘ আমি জানি না; আমার শাশুড়ি জানেন ‘ । ”……..কেমন করিয়া মিথ্যা বলিতে না হয় সেই উপদেশ শুনিয়া হৈম এমন ভাবে চুপ করিয়া রহিল যে বাবা বুঝিলেন, তাঁহার সদুপদেশটা একেবারে বাজে খরচ হইল।
হৈমর দুর্গতিতে দুঃখ করিব কী, তাহার কাছে আমার মাথা হেঁট হইয়া গেল। সেদিন দেখিলাম, শরৎপ্রভাতের আকাশের মতো তাহার চোখের সেই সরল উদার দৃষ্টি একটা কী সংশয়ে ম্লান হইয়া গেছে । ভীত হরিণীর মতো সে আমার মুখের দিকে চাহিল। ভাবিল, ‘ আমি ইহাদিগকে চিনি না। ‘
সেদিন একখানা শৌখিন-বাঁধাই-করা ইংরাজি কবিতার বই তাহার জন্য কিনিয়া আনিয়াছিলাম। বইখানি সে হাতে করিয়া লইল এবং আস্তে আস্তে কোলের উপর রাখিয়া দিল, একবার খুলিয়া দেখিল না।
আমি তাহার হাতখানি তুলিয়া ধরিয়া বলিলাম, “ হৈম , আমার উপর রাগ করিয়ো না। আমি তোমার সত্যে কখনো আঘাত করিব না। আমি যে তোমার সত্যের বাঁধনে বাঁধা। ”…..হৈম কিছু না বলিয়া একটুখানি হাসিল। সে হাসি বিধাতা যাহাকে দিয়াছেন তাহার কোনো কথা বলিবার দরকার নাই।
পিতার আর্থিক উন্নতির পর হইতে দেবতার অনুগ্রহকে স্থায়ী করিবার জন্য নূতন উৎসাহে আমাদের বাড়িতে পূজার্চনা চলিতেছে। এ-পর্যন্ত সে-সমস্ত ক্রিয়াকর্মে বাড়ির বধূকে ডাক পড়ে নাই। নূতন বধূর প্রতি একদিন পূজা সাজাইবার আদেশ হইল ; সে বলিল, “ মা , বলিয়া দাও কী করিতে হইবে। ”
ইহাতে কাহারো মাথায় আকাশ ভাঙিয়া পড়িবার কথা নয়, কারণ সকলেরই জানা ছিল মাতৃহীন প্রবাসে কন্যা মানুষ । কিন্তু, কেবলমাত্র হৈমকে লজ্জিত করাই এই আদেশের হেতু। সকলেই গালে হাত দিয়া বলিল , “ ওমা , এ কী কাণ্ড। এ কোন্‌ নাস্তিকের ঘরের মেয়ে । এবার এ সংসার হইতে লক্ষ্মী ছাড়িল, আর দেরি নাই। ”
এই উপলক্ষে হৈমর বাপের উদ্দেশে যাহা-না-বলিবার তাহা বলা হইল। যখন হইতে কটু কথার হাওয়া দিয়াছে হৈম একেবারে চুপ করিয়া সমস্ত সহ্য করিয়াছে। এক দিনের জন্য কাহারো সামনে সে চোখের জলও ফেলে নাই। আজ তাহার বড়ো বড়ো দুই চোখ ভাসাইয়া দিয়া জল পড়িতে লাগিল। সে উঠিয়া দাঁড়াইয়া বলিল, “ আপনারা জানেন- সে দেশে আমার বাবাকে সকলে ঋষি বলে ? ”
ঋষি বলে! ভরি একটা হাসি পড়িয়া গেল। ইহার পরে তাহার পিতার উল্লেখ করিতে হইলে প্রায়ই বলা হইত তোমার ঋষিবাবা! এই মেয়েটির সকলের চেয়ে দরদের জায়গাটি যে কোথায় তাহা আমাদের সংসার বুঝিয়া লইয়াছিল।
বস্তুত , আমার শ্বশুর ব্রাক্ষ্মও নন, খৃস্টানও নন , হয়তো বা নাস্তিকও না হইবেন। দেবার্চনার কথা কোনোদিন তিনি চিন্তাও করেন নাই। মেয়েকে তিনি অনেক পড়াইয়াছেন-শুনাইয়াছেন , কিন্তু কোনোদিনের জন্য দেবতা সম্বন্ধে তিনি তাহাকে কোনো উপদেশ দেন নাই । বনমালীবাবু এ লইয়া তাঁহাকে একবার প্রশ্ন করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন, “ আমি যাহা বুঝি না তাহা শিখাইতে গেলে কেবল কপটতা শেখানো হইবে। ”
অন্তঃপুরে হৈমর একটি প্রকৃত ভক্ত ছিল, সে আমার ছোটো বোন নারানী। বউদিদিকে ভালোবাসে বলিয়া তাহাকে অনেক গঞ্জনা সহিতে হইয়াছিল। সংসারযাত্রায় হৈমর সমস্ত অপমানের পালা আমি তাহার কাছেই শুনিতে পাইতাম। এক দিনের জন্যও আমি হৈমর কাছে শুনি নাই। এ-সব কথা সংকোচে সে মুখে আনিতে পারিত না। সে সংকোচ নিজের জন্য নহে।
হৈম তাহার বাপের কাছ হইতে যত চিঠি পাইত সমস্ত আমাকে পড়িতে দিত। চিঠিগুলি ছোটো কিন্তু রসে ভরা। সেও বাপকে যত চিঠি লিখিত সমস্ত আমাকে দেখাইত। বাপের সঙ্গে তাহার সম্বন্ধটি আমার সঙ্গে ভাগ করিয়া না লইলে তাহার দাম্পত্য যে পূর্ণ হইতে পারিত না। তাহার চিঠিতে শ্বশুরবাড়ি সম্বন্ধে কোনো নালিশের ইশারাটুকুও ছিল না। থাকিলে বিপদ ঘটিতে পারিত। নারানীর কাছে শুনিয়াছি , শ্বশুরবাড়ির কথা কী লেখে জানিবার জন্য মাঝে মাঝে তাহার চিঠি খোলা হইত।
চিঠির মধ্যে অপরাধের কোনো প্রমাণ না পাইয়া উপরওয়ালাদের মন যে শান্ত হইয়াছিল তাহা নহে। বোধ করি তাহাতে তাঁহারা আশাভঙ্গের দুঃখই পাইয়াছিলেন । বিষম বিরক্ত হইয়া তাঁহারা বলিতে লাগিলেন, “ এত ঘন ঘন চিঠিই বা কিসের জন্য। বাপই যেন সব , আমরা কি কেহ নই। ” এই লইয়া অনেক অপ্রিয় কথা চলিতে লাগিল। আমি ক্ষুব্ধ হইয়া হৈমকে বলিলাম , “ তোমার বাবার চিঠি আর-কাহাকেও না দিয়া আমাকেই দিয়ো। কলেজে যাইবার সময় আমি পোস্ট করিয়া দিব। ”
হৈম বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ কেন ? ”…….আমি লজ্জায় তাহার উত্তর দিলাম না।………বাড়িতে এখন সকলে বলিতে আরম্ভ করিল, “ এইবার অপুর মাথা খাওয়া হইল। বি.এ. ডিগ্রি শিকায় তোলা রহিল। ছেলেরই বা দোষ কী। ”
সে তো বটেই । দোষ সমস্তই হৈমর। তাহার দোষ যে তাহার বয়স সতেরো ; তাহার দোষ যে আমি তাহাকে ভালোবাসি ; তাহার দোষ যে বিধাতার এই বিধি , তাই আমার হৃদয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সমস্ত আকাশ আজ বাঁশি বাজাইতেছে।
বি.এ.ডিগ্রি অকাতরচিত্তে আমি চুলায় দিতে পারিতাম কিন্তু হৈমর কল্যাণে পণ করিলাম, পাস করিবই এবং ভালো করিয়াই পাস করিব। এ পণ রক্ষা করা আমার সে অবস্থায় যে সম্ভবপর বোধ হইয়াছিল তাহার দুইটি কারণ ছিল — এক তো হৈমর ভালোবাসার মধ্যে এমন একটি আকাশের বিস্তার ছিল যে , সংকীর্ণ আসক্তির মধ্যে সে মনকে জড়াইয়া রাখিত না, সেই ভালোবাসার চারি দিকে ভারি একটি স্বাস্থ্যকর হাওয়া বহিত। দ্বিতীয় , পরীক্ষার জন্য যে বইগুলি পড়ার প্রয়োজন তাহা হৈমর সঙ্গে একত্রে মিলিয়া পড়া অসম্ভব ছিল না।
পরীক্ষা পাসের উদ্‌যোগে কোমর বাঁধিয়া লাগিলাম। একদিন রবিবার মধ্যাহ্নে বাহিরের ঘরে বসিয়া মার্টিনোর চরিত্রতত্ত্ব বইখানার বিশেষ বিশেষ লাইনের মধ্যপথগুলা ফাড়িয়া ফেলিয়া নীল পেন্সিলের লাঙল চালাইতেছিলাম, এমন সময় বাহিরের দিকে হঠাৎ আমার চোখ পড়িল।
হৈমন্তী –পর্ব -২- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩

আনারসের শরবত রেসিপি

 আনারসের শরবত রেসিপি

(রেসিপি বাই রাতুল হায়দার রাহাত) 


উপকরণঃ 

আনারস কুচি।

পুদিনা-পাতা কুচি। 

কাঁচামরিচ। 

বিট লবণ। 

লবণ (সামান্য)। 

চিনি (ইচ্ছা)। 

পানি।

এই সবগুলো উপকরণই নিতে হবে পছন্দ ও স্বাদ অনুযায়ী।


প্রস্তুত প্রনালীঃ 

আনারসের খোসা ভালো করে ছাড়িয়ে, গায়ের চোখের মতো অংশ ভালো করে তুলে ফেলুন। এবার কুচি করে নিন।

এখন আনারসের সঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করুন। তারপর ছাঁকনি দিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিন।

গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে আনারসের টুকরা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার আনারসের শরবত।

হারাম সহবাস: লজ্জা নয় জানা জরুরী

 ▌হারাম সহবাস: লজ্জা নয় জানা জরুরী! ▌


আমরা জানি, নিজ স্ত্রী ও অধিনস্ত দাসি ব্যতিত অন্যকারো সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া হারাম।

কিন্ত বর্তমান সময় দাসীর প্রচলন নেই অতএব এটা বর্তমানে গ্রহণযোগ্য নয় । অথচ আমরা অনেকেই জানিনা যে, এমন কিছু সময় ও পন্থা রয়েছে যে সময় ও পন্থায় নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়াও হারাম।


ইসলামে যে সময় ও পন্থায়  নিজ স্ত্রীর সাথেও সহবাস করা হারাম তা নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ


❑ [এক] হায়েজ ও নেফাস অবস্থায়:


অনেক দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিরা স্ত্রীর হায়েজ অবস্থাতেও সহবাসে লিপ্ত হয়। অথচ হায়েজ অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত হওয়া সম্পুর্ণরুপে হারাম।


আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

"আর তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দিন,এটা অশুচি(কষ্ট)। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রী-গমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।"

 [সূরা বাকারা, আয়াত: ২২২]


🔳এমনিভাবে কোন মহিলার সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর যে কয়েকদিন ব্লাড( রক্ত) আসে এই দিনগুলোকে নেফাস বলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ চল্লিশ দিন।কমের কোন নির্ধারিত মেয়াদ নেই।এই নেফাস চলাকালীন সময়গুলোতেও স্ত্রী সহবাস করা হারাম। অথচ অনেকেই না জানার কারণে এই সময়ে সহবাসে লিপ্ত হয় যা হারাম।


🔳অবশ্য, প্রয়োজনে হায়েয ও নেফাস অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত না হয়ে স্ত্রীর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ বাদ দিয়ে বাকী অঙ্গ দিয়ে উপভোগ করা জায়েয আছে। কিন্তু নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত অংশে উপভোগ গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। 


❑ [দুই] রোযা অবস্থায়:


রমযানের রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম। কেননা রোযা হচ্ছে, "আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌনসঙ্গম হতে বিরত থাকার নাম। কেউ যদি রোযা অবস্থায় সহবাস করে তাহলে সে অনেক বড় পাপে লিপ্ত হবে, তার রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তাকে অনেক বড় কাফফারা দিতে হবে।"

[ফাতহুল বারী, ৪/১৩২]


তবে, রমযানে রাতের বেলা অর্থাৎ- ইফতার থেকে নিয়ে সাহরি পর্যন্ত সহবাস করা সম্পুর্ণরুপে জায়েজ।

আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, اُحِلَّ لَکُمۡ لَیۡلَۃَ الصِّیَامِ الرَّفَثُ اِلٰی نِسَآئِکُمۡ ؕ"আর সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে।" [সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৭]


আর নফল রোযা অবস্থায় সহবাস করে ফেললে কোন কাফফারা নেই। তবে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কাজেই,স্বামীর উচিত, ধৈর্যধারন করা, রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করা। 


❑ [তিন] স্ত্রীর পায়ুপথে/ পিছনের রাস্তায়(মলদ্বারে) সহবাস:


অনেক  বিকৃত মানসিকতার মানুষ হালাল প্রন্থা ছেড়ে স্ত্রীর মলদ্বারে সহবাসে লিপ্ত হয়। ইদানিং পশ্চিমা ইতরশ্রেনীর মানুষদের কালচার মুসলিম সমাজেও ছয়লাভ হচ্ছে। অথচ এটি একটি অতিব নোংরা, নিকৃষ্ট কাজ। এই কাজটি তো হারামই, এমনকি কাজটি নবীজির ভাষায় 'কুফুরীর নামান্তর'।


রাসূল (ﷺ) বলেছেন, 

 مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

"যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পায়ুপথে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’।"

[তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]


অপর হাদিসে রাসূল (ﷺ) বলেছেন, 

 لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى رَجُلٍ أَتَى امْرَأَةً فِي الدُّبُرِ 

"যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পায়ুপথে সহবাস করে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না।" [তিরমিযি, হাদিস নং-১১৬৫]


আরেক হাদিসে রাসূল (ﷺ) বলেছেন,

مَلْعُونٌ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَ

"যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে নিতম্বে সহবাস করে সে লা’নত প্রাপ্ত।" [আবু দাউদ, হাদিস-২১৬২]


আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে পবিত্র তথা হালাল প্রন্থা অবলম্বন করার তাওফ্বীক দান করুন, দ্বীন ইসলাম বুঝে-শুনে সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন।

লিচুর ফলন বৃদ্ধির আধুনিক পদ্ধতি

 লিচুর ফলন বৃদ্ধির আধুনিক পদ্ধতি


বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় কমবেশি লিচুর চাষ হলেও বৃহত্তর রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও ময়মনসিংহে বেশি পরিমাণে উৎকৃষ্টমানের লিচু উৎপন্ন হয়। বর্তমানে পাবনায় প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি থেকে ২৪ থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। লিচুর জন্য আর এক বিখ্যাত জেলা হলো দিনাজপুর। দিনাজপুরে ২০১২ সালে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এখানে উৎপাদিত লিচুর মধ্যে চায়না-৩, বেদানা, বোম্বাই ও মাদরাজি উল্লেখযোগ্য।


পুষ্টিগুণ 


 লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহসহ নানা খনিজ উপাদান। লিচুর অনেক ঔষধি গুণও আছে। এর পাতার রস বোলতা, বিছা ইত্যাদি কামড়ালে ব্যথা উপশমের কাজে ব্যবহার করা হয়। কাশি, পেটব্যথা, টিউমার ও গ্লান্ডের বৃদ্ধি দমনে লিচু বেশ কার্যকর। চর্মরোগের ব্যথায় এর বীজ ব্যবহার করা হয়। পানিতে সিদ্ধ লিচুর শিকড়, বাকল ও ফুল গলার ঘা সারায়। কচি লিচু শিশুদের বসন্ত রোগ ও বীজ অমস্ন ও স্নায়বিক যন্ত্রণায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাকল ও শিকড়ের কাঁথ গরম পানিসহ কুলি করলে গলায় কষ্টের উপশম হয়।


জাত 


 জাতের ওপর লিচুর ফলন ও স্বাদ বহুলাংশে নির্ভর করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি লিচু-১, বারি লিচু-২, বারি লিচু-৩ নামে তিনটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। বারি লিচু-১ একটি উচ্চফলনশীল  লিচু । এর ফল ডিম্বাকার ও লাল। প্রতিটি ফলের ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম। বারি লিচু-২ উচ্চফলনশীল নাবি জাত।  মধ্য মাঘে ফুল ধরে এবং আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহে পাকে। জাতটি সারা দেশে চাষযোগ্য। বারি লিচু-৩ মধ্য মৌসুমি জাত। প্রতিটি ফলের ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম। ফলের শাঁস রসাল ও মিষ্টি। চায়না-১ নাবি জাতের লিচু। এ জাতের লিচুর শাঁস কিছুটা কম মিষ্টি। গাছের আকার মাঝারি। গাছে থোকা থোকা ফল ধরে। বীজ খুবই ছোট। শাঁস পুরু ও মিষ্টি। জুনের প্রথম সপ্তাহে ফল পাকে। 


চাঁপাইনবাবগঞ্জে লিচু বেশি চাষ হয়। ফল মোটামুটি গোলাকার এবং গড় ওজন প্রায় ২৫ গ্রাম। বীজ খুব ছোট। শাঁস রসাল ও অত্যন্ত মিষ্টি। এলাচি একটি নাবি জাতের লিচু। এর ফলের আকার ছোট, ওজন ১২ থেকে ১৫ গ্রাম। লে বোম্বাই জাতের বেশি চাষ হয়। ফল মাঝারি আকারের এবং ওজন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম। লিচু শাঁস রসাল এবং মৃদু টকস্বাদযুক্ত। মোজাফফরপুরী জাতের লিচু ডিম্বাকার, প্রতিটি ফলের ওজন ২০ গ্রাম। পাকা ফলের রঙ গোলাপি। বেদানাজাতের লিচু খুব সুস্বাদু ও মিষ্টি। এ জাতের লিচু পাওয়া যায় জুন-জুলাইয়ে।


পরিচর্যা 


 সঠিক সময়ে পরিচর্যা করলে লিচুগাছের যেমন সুষম বৃদ্ধি হয়, তেমনি ফলনও বেশি পাওয়া যায়। লিচুগাছের পরিচর্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো- আগাছা দমন, পানি সেচ, ডাল ছাঁটাই, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, রোগ-পোকা ও বাদুড় দমন ইত্যাদি।


আগাছা দমন 


ভালো ফলনের জন্য লিচু বাগানে অন্তত বছরে দুইবার অগভীর চাষ দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।

জিরা পানি রেসিপি ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 জিরা পানি রেসিপি-


উপকরণ: 

তেঁতুল- ১০০ গ্রাম, 

আঁখের গুড়- আধা কাপ, 

চিনি- ২ টেবিল চামচ, 

লবণ- স্বাদ মতো, 

লেবুর রস- ২ টেবিল চামচ, 

টালা জিরা গুড়া- ১ টেবিল চামচ, 

পানি- পরিমাণ মতো


প্রণালি: 


প্রথমে তেঁতুল পানি দিয়ে গলিয়ে নিতে হবে। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন তেতুল পানির এই মিশ্রণ। এক কাপ হবে এই মিশ্রণ। 


এরপর আরেকটি বাটিতে গুড় নিয়ে তাতে এক কাপ পানি দিন। 


একে একে গুড়, চিনি, লবণ, লেবুর রস নিয়ে একসাথে ভালোভাবে গুলিয়ে নিন এবং ১ লিটার পানি ধরে এমন একটি জগে এই মিশ্রণ ছেঁকে ঢেলে নিন। 


এবার আগেই ছেঁকে রাখা তেঁতুলের মিশ্রণ দিয়ে দিন এই জগে এবং টেলে রাখা জিরা গুড়া দিয়ে দিন। 


এখন জগ ভর্তি করে ঠান্ডা পানি দিন এবং কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখুন। তৈরি হয়ে গেল মজার পানীয় জিরা পানি।


টিপস—


জিরায় রয়েছে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, জিঙ্ক ও পটাশিয়াম। 


নিয়মিত জিরা খেলে তা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হজমের সমস্যা দূর, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও রক্তস্বল্পতা দূর করার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এক অনন্য রাবিন্দ্রনাথ ঠাকুর

 এক অন্য রবি, যে রবি বিপ্লবী...


জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সাথে ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের কথা শোনা যায়। ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গের সময়ে একটু বেশিই শিরোনামে আসে এই ঠাকুরবাড়ি।


অবন ঠাকুরের লেখা থেকে জানা যায় – ‘রবিকাকা বললেন রাখীবন্ধন উৎসব করতে হবে। ঠিক হল সকালবেলা গঙ্গায় স্নান করে সবার হাতে রাখী পরানো হবে। সামনেই জগন্নাথ ঘাট, সেখানেই যাবো। রবিকাকা বললেন সবাই হেঁটেই যাবো, গাড়িঘোড়া নয়। এদিকে সকালে রাস্তার দু ধারে বাড়ির ছাদ থেকে আরম্ভ করে ফুটপাত অবধি লোক দাঁড়িয়ে গেছে, মেয়েরা ফুল ছড়াচ্ছে, শাঁখ বাজাচ্ছে। দিনু গান গাইছে –


বাংলার মাটি, বাংলার জল...  


স্নান সারা হল। সাথে ছিল একগাদা রাখী। হাতের কাছে ছেলে মেয়ে যারা ছিল কেউ বাদ পরল না, সবাইকে পরানো হল। পাথুরেঘাটা দিয়ে আসছি, দেখি বীরু মল্লিকের আস্তাবলে কতোগুলো সহিস ঘোড়া মলছে। হঠাৎ রবিকাকা ধা করে বেকে গিয়ে ওদের হাতে রাখী পরিয়ে জড়িয়ে ধরলেন। ওরা সকলেই মুসলমান। ওরা তো হতবাক’।


আসলেই বাঙালী বিপ্লবীদের আনাগোনা ছিল ঠাকুরবাড়িতে। তবে খুব কম লোকেই জানতেন এদের কথা। এদের চিনতেন এদের জানতেন সুরেন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ। এই দুই ভাইএর কাছে আসতেন বিপ্লবীরা। বারীন ঘোষ এসেছেন, উল্লাস্কর দত্ত এসেছেন, রাসবিহারী ও অরবিন্দ ঘোষ এসেছেন। আন্দামানে দ্বীপান্তরিত হয়েছিলেন যারা তাদের বেশিরভাগেরই যোগাযোগ ছিল এই ঠাকুর বাড়ির সাথে। অনুশীলন সমিতির আদি পর্বের বিশিষ্ট কর্মী বিপ্লবী অবিনাশচন্দ্র নিজে ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে মাসে মাসে টাকা নিয়ে আসতেন। প্রথমদিকে রিভালভার কেনার টাকাও নিয়ে আসতেন। পরবর্তীকালে সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যোগাযোগের সূত্রে কমিউনিস্ট নেতা মুজফর আহমেদ, আব্দুল হালিম, নলিনি গুপ্ত প্রমুখ প্রায়শই যেতেন ঠাকুরবাড়িতে এবং শোনা যায় ঠাকুরবাড়ির একতলায় একটা গোপন ঘরে রীতিমত তারা সকলেই গুপ্ত মিটিঙে যোগ দিতেন। উপরিউক্ত সমস্ত বিপ্লবী এবং কমিউনিস্টদের আনাগোনার কথা সমস্ত কিছুই জানতেন রবিকাকা এবং অনেক সময় তার সাথেও এরা সকলেই বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করত।


অগ্নিযুগের এই সশস্ত্র বিপ্লবীদের সম্পর্কে রবি ঠাকুরের মনোভাবের দুটি দিক বারবার উঠে এসেছে – একদিকে তিনি তাদের অনুসৃত হিংসাত্মক পন্থার অভিভাবক সুলভ সমালোচক ছিলেন আবার তার চেয়েও বেশি তার লেখায় ও কাজকর্মে অতি স্পষ্টভাবেই বারংবার পরিস্ফুট হয়েছে ঐ দুঃসাহসী তরুণদের প্রতি তার গভীর টান এবং সেটাও সেই একই অভিভাবক সুলভ। তিনি লিখছেন – ‘ইহারা ক্ষুদ্র বিষয় বুদ্ধিকে জলাঞ্জলি দিয়া প্রবল নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবার জন্য সমস্ত জীবন উৎসর্গ করিতে প্রস্তুত হইয়াছে। এই পথের প্রান্তে কেবল যে গভর্নমেন্ট এর চাকরি বা রাজ সম্মানের আশা নাই তাহা নহে। ঘরের বিজ্ঞ অভিভাবকদের সঙ্গেও বিরোধে এ রাস্তা কণ্টকাকীর্ণ। ইহারা কংগ্রেসের দরখাস্ত পত্র বিছাইয়া আপন পথ সুগম করিতে চায় নাই’।


১৯০৭-এর আগস্টে ‘বন্দেমাতরম’ ইংরেজি দৈনিকে বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ একটি রাজদ্রোহমূলক লেখা লিখে পুলিসের সমন পান এবং পরে জামিনে আদালত থেকে মুক্ত হন। সাথে সাথেই রবীন্দ্রনাথ অরবিন্দকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন – ‘দেবতার দ্বীপ হস্তে যে আসিল ভবে, সেই রুদ্র দূতে বল কোন রাজা কবে পারে শাস্তি দিতে’।


একটি পত্রের এক জায়গায় তিনি লিখছেন – ‘অরবিন্দকে জেলে দিলে ও কাগজের কি দশা হবে জানিনে। বোধ হয় জেল থেকে সে নিষ্কৃতি পাবে না। আমাদের দেশে জেল খাটাই মনুস্যত্বের পরিচয় স্বরূপ হয়ে উঠেছে’।    


১৯০৮ সালে খুলনা সেনহাটি জাতীয় স্কুলের শিক্ষক হীরালাল সেন ‘হুঙ্কার’ নামে একটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন। বইটি সরকার দ্বারা বাজেয়াপ্ত হয় এবং ব্রিটিশরাজ বিরোধী কবিতা লেখার জন্য লেখকের ছ মাস কারাদণ্ড হয়। এদিকে মুস্কিল হল বইটি উৎসর্গ করা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। সেই সূত্রে কবিগুরু সমন পেলেন খুলনার মাজিস্ট্রেট এর কাছ থেকে। সমনের বিষয়বস্তু ছিল সরকার পক্ষে তাকে সাক্ষী দিতে হবে। কবিগুরু গেলেন এবং গিয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন – ‘স্বাধীনতাকাঙ্খী তরুনের পক্ষে কবিতা বা গান লেখা আদৌ অস্বাভাবিক নয়। ওকালত তার পেশা নয়। সুতরাং কবিতা বা গান কি পরিমান উত্তেজক হলে সেটা আইনত দণ্ডনীয় হবে সেটা তার জানা নেই’। এটা শুনে মাজিস্ট্রেটও একদম চুপ। এদিকে এই হীরালাল সেনকেই ১৯১০ সালে কবিগুরু শিক্ষক পদে শান্তিনিকেতনে নিয়ে আসেন।


ব্রিটিশ সরকারের মনোভাব কোনদিনই কবিগুরু সম্বন্ধে ভালো ছিলনা। ১৯০৯-তে সরকারের গোপন দলিলে লেখা নোট – Babu Rabindranath Tagore, as a friend of Arabinda Ghose, was the aristrocratic champion of the Party’.  ঐ বছরই তাদের ৬ নং সার্কুলারে পুলিসের বড় কর্তা এফ সি ডেলি সুস্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন – To keep a close watch on the movements and doings of the more public and prominent persons connected with the political agitation. The list of the persons includes – Suren Banerjee, Motilal Ghose,Rabindranth Tagore…


এ প্রসঙ্গে পরবর্তীকালে প্রভাত মুখোপাধ্যায় মজা করে তার এক রচনায় লিখছেন – ‘সরকারের দৃষ্টিতে কবি নিজেও একজন দাগি ছিলেন। শুনেছি কলকাতায় থাকাকালিন যখন ঘোড়ার গাড়ীতে চেপে রাস্তা দিয়ে যেতেন সেই সময় জোড়াসাঁকো থানা থেকে পুলিশ হেকে জানিয়ে দিত অমুক নং আসামী যাচ্ছে’।


১৯১৩-তে নোবেল পাওয়ার পরে পুলিশ মনে হয় কিছুটা সদয় হয় কবিগুরুর প্রতি, কারণ তখন থেকে তারা তাদের গোপন রিপোর্টে রবীন্দ্রনাথকে উল্লেখ করত late suspect হিসেবে অর্থাৎ আধা সন্দেহভাজন!


১৯২৪-এর অক্টোবরে কবিগুরু তখন দক্ষিন আমেরিকা সফরে। কলকাতা থেকে দিনু ঠাকুরের চিঠির মাধ্যমে জানতে পারলেন সরকার এক জঘন্য অর্ডিন্যান্স জারী করে বহু তরুনকে আটক করেছে। খবরটি পড়া মাত্রই রবি ঠাকুর লিখলেন –


ঘরের খবর পাইনে কিছুই, গুজব শুনি না কি


কুলিশপাণি পুলিশ সেথায় লাগায় হাঁকাহাঁকি।


শুনচি না কি বাংলা দেশের গান হাসি সব ঠেলে'


কুলুপ দিয়ে করচে আটক আলিপুরের জেলে।


মৃত্যুকে যে এড়িয়ে চলে মৃত্যু তারেই টানে


মৃত্যু যারা বুক পেতে লয় বাঁচতে তারাই জানে।


পরবর্তীকালে এই কবিতা সম্পর্কে তৎকালীন গোয়েন্দা বড় কর্তা স্যার ডেভিড পেত্রি তার সরকারী নোট এ লিখেছিলেন – The poem was written last December at Buenos Ayres. It alludes to the action taken under the Bengal ordinance, and is one of the latest indications we have of Tagore’s political view.


দেশে তখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম খুব ব্যপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। ১৯২৯ সাল। লাহোর জেলে বিপ্লবী যতীন দাস অনশন শুরু করেন। এই অনশনের খবর শুনে কবিগুরু খুবই বিচলিত ছিলেন, তিনি তখন শান্তিনিকেতনে। ‘তপতী’ নাটক লিখে তার মহড়া দিচ্ছিলেন রোজ সন্ধ্যায়। শেষ পর্যন্ত ৬৩ দিন অনশন শেষে যতীন দাসের মৃত্যু হল। কবিগুরু মানসিকভাবে কিছুটা বিহ্বল হলেন। সেদিন সন্ধ্যায় আশ্রমবাসীদের নিয়ে ‘তপতী’র মহড়ায় কবিগুরু নিজে বারংবার পাঠের খেই হারাতে লাগলেন, শেষ পর্যন্ত সেদিন মহড়া বন্ধ করে দিলেন আর সেই রাতেই কবি লিখলেন – ‘সর্ব খর্ব তারে দহে তব ক্রোধ দাহ’ গানটি, যেটি পরে ‘তপতী’ নাটকে অন্তর্ভুক্ত হয়।


বিপ্লবের আঁতুড়ঘর রাশিয়ার প্রতি তার অভিনন্দন ‘রাশিয়ার চিঠি’ সহ অনান্য বহু রচনায় পরিস্ফুট হয়েছে, কবিগুরু মৃত্যুর পরে তার বন্ধু রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় লিখছেন – ‘রাশিয়ার কম্যুনিস্ট বা বলশেভিক কিছু নৃশংসতাকে কবি গর্হিত মনে করতেন, সমালোচনা করতেন কিন্তু তারা ভালো যা যা করেছে তার জন্য তাদের প্রশংসা করতেন। আমাদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি অনেকবার বলেছেন – ‘আমি কম্যুনিস্ট’।’


১৯৩৩ সালে আন্দামানে বিপ্লবী বন্দীরা অনশন শুরু করে। কবিগুরু খবর পেয়েই টেলিগ্রাম করে লেখেন – বাংলাদেশ বাংলার ফুলগুলোকে শুকিয়ে যেতে দিতে পারে না। অনুরোধ তোমরা অনশন ভঙ্গ করো। পরবর্তীকালে বিপ্লবী গনেশ ঘোষ এর কাছ থেকে জানা যায় কবিগুরুর এই চিঠি জেল কতৃপক্ষ ৪৫ দিন গোপন করে রেখেছিলেন।


১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রবীন্দ্রনাথের সামান্য একটি ছবি বা গানের রেকর্ড রক্ষা করতে মানুষের জীবন বিপন্ন অবধি হয়েছে। এমনই একদিন জুলাই মাসের এক সন্ধ্যা। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এর বন্দী শিবিরে চলছে চরম নির্যাতন। এক তরুন ছাত্রকে বেদম মারতে মারতে নিয়ে এল পাক সেনারা। ছেলেটি একটানা অনেক মার খেয়েও দরাজ গলায় গেয়ে চলেছে – আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। সুরেলা গানে গমগম করছে পুরো জেল, গান শুনে আরও জোরে আওয়াজ উঠলো জয় বাংলা। ২৩ বছরের ছেলেটি ছিল ইকবাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখন অর্থনীতির ছাত্র। 


১৯৪১-এ চূড়ান্ত অস্ত্রোপচারের মাত্র আধ ঘণ্টা আগে কবিগুরুর উৎকণ্ঠিত প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ-এর আশ্বাস – ‘রুশ রনাঙ্গনে নাৎসি বাহিনীকে কিছুটা বোধহয় ঠেকানো গেছে’। শুনে রবি ঠাকুরের শেষ কথা ছিল – ‘পারবে, ওরাই পারবে’।


বিপ্লব বা বিপ্লবীর আটপৌরে সংজ্ঞা অনুযায়ী তিনি কিন্তু কিছু কম ছিলেন না!

যৌবন কালের একটি সিজদা বৃদ্ধ বয়সে ৮০ বছর ইবাদতের সমান

 তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= অসুস্থ তাই!

→তুমি কি হযরত আইয়ুব (আঃ) এর চেয়েও অসুস্থ?


তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= দায়িত্ব কর্মভার থাকার কারণে!

→তোমার কি হযরত সুলাইমান (আঃ) চেয়েও বড় রাজত্ব নাকি? 

যে দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নামাজ পরতে পারনি।


তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= স্বামীর অত্যাচারের কারনে!

→তোমার স্বামী কি বিবি আছিয়ার স্বামী ফেরআউন এর চেয়েও বেশী অত্যাচারী?


তুমি নামাজ পড়োনি কেন?

= সাংসারিক কাজকর্মের কারণে!

→তুমি কি মা ফাতেমার চেয়েও বেশী সংসারী?


নাহ! নামাজ না পরার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো অজুহাত চলবে না।

সমুদ্রে হাবুডুবু খেলেও তখন ওয়াক্ত হলে নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাস এর জন্য আমরা আল্লাহর কাছে ঋণী!

বিনা কারণে এক ওয়াক্ত নামাজ কাযা করলে লক্ষ লক্ষ বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। সে ক্ষেত্রে এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে কি শাস্তি হতে পারে? একবার ভাবো.......

দুনিয়ার আগুনের চেয়ে ৭০গুন তেজোদৃপ্ত জাহান্নামের আগুন থেকে যদি বাঁচতে চাও, নামাজে কখনো অবহেলা করোনা।


আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন - 


আমিন 🤲🤲🤲

জীবনে সফলতার জন্য ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে এই ১৪ শিক্ষা দিন

 

জীবনে সফলতার জন্য ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে এই ১৪ শিক্ষা দিন

শিশুকে এমন শিক্ষা দেওয়া উচিত যা তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে এবং তার জীবনে সফলতা আনবে।

আর এজন্য কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু শিক্ষা-
১. টিভি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্তমানে শিশুরাও প্রচুর সময় ব্যয় করে। তবে এ সময় যেন দৈনিক এক ঘণ্টার বেশি না হয় সেজন্য শিক্ষা দিন। ভিডিও গেমস ও মোবাইল ফোনেও যেন সব মিলিয়ে দিনে এক ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় না করে।

২. প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি সাহিত্য বহির্ভূত বই পড়তে দিন এবং এক পাতা সারাংশ লেখা অভ্যাস করান।৩. সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য শারীরিক অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট দৌড়াদৌড়ি বা এ ধরনের খেলাধুলা করতে দিন।

৪. শিশুর আদর্শ ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে সে সম্পর্কে লিখতে দিন।৫. শিশুকে প্রতি সপ্তাহের, মাসের, বাৎসরিক ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করা ও নিয়মিত তার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা শেখান। এটি তাকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য তাড়া করতে শেখাবে।

৬. তাকে জনহিতকর কাজ করতে শেখান।৭. শিশুকে সঞ্চয় করতে শেখান।৮. যে কোনো দরকারে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকার বিষয়টি শিশুকে শেখানো খুবই প্রয়োজনীয়। ভবিষ্যতে সে যেন কোনো বিপদে পড়লে তাদের সহায়তা নেয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করুন। এছাড়া অন্য কারো বিপদে যেন সে পাশে দাঁড়ায় তাও শেখাতে হবে।

৯. যে কোনো বিষয়ে কারো কাছে উপকৃত হলে ধন্যবাদ দেওয়া শেখান। এছাড়া অন্যান্য ভদ্রতাও শেখাতে হবে।১০. শিশুর ভুল হতেই পারে। আর সে ভুলগুলোতে সে যেন হতাশ না হয় সেজন্য তাকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে হবে। ভুল মেনে নেওয়ার পাশাপাশি এক ভুল যেন বারবার না হয় সেজন্যও তাকে সতর্ক হওয়ার শিক্ষা দিন।১১. রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এ বিষয়টি ছোটবেলা তেকেই তাকে শেখাতে হবে। এজন্য বাবা-মায়েরও রাগ প্রকাশে সংযত হতে হবে। কারণ বাবা-মায়ের থেকে সে এ ধরনের অনেক বিষয় শেখে।

১২. আর্থিক বিষয়গুলো শিশুকে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দিন। আর্থিকভাবে সফল হওয়ার উপায়গুলো তাকে জানিয়ে রাখুন। কিভাবে আর্থিক ব্যবস্থা কাজ করে তা শিশুকে শিক্ষা দিন।

১৩. শিশুর সঙ্গে মুখোমুখি আলাপে নানা বিষয় নিয়ে আসুন। এক্ষেত্রে ফোন বা অন্য কোনো মাধ্যম খুব একটা কার্যকর নয়।

১৪. সময় ব্যবহারের বিষয়টি শিশুকে শিক্ষা দিন। দৈনিক কাজের তালিকা তাকেই তৈরি করতে দিন। এটি তাকে মেনে চলার উপায় জানান।

রোজার আধুনিক কিছু মাসআলা ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রোজার আধুনিক (৩১)  #মাসআলা 📖


বিচারপতি মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ তাকী উসমানী পাকিস্তানের একজন প্রখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্ব। তিনি হাদীস, ইসলামী ফিকহ, তাসাউফ ও অর্থনীতিতে বিশেষজ্ঞ। 


তিনি বর্তমানে ইসলামী অর্থনীতিতে সক্রিয় ব্যক্তিদের অন্যতম। তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালতের এবং ১৯৮২ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়াহ আপিল বেঞ্চের বিচারক ছিলেন। 


তিনি ইসলামী ফিকহ্ , হাদিস, অর্থনীতি এবং তাসাউউফ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ। তিনি বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘মাআরিফুল কোরআন’ এর রচয়িতা মুফতি শফী উসমানীর সন্তান এবং বিখ্যাত দুই ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা রফী উসমানী ও মাওলানা ওয়ালী রাজীর ভাই।


 


মুফতি মুহাম্মাদ তাকী উসমানীর রোজার আধুনিক ৩১ মাসআলা:


১. ইনজেকশন: ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙবে না। (জাওয়াহিরুল ফতওয়া)


২. ইনহেলার: শ্বাসকষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তরল জাতীয় একটি ওষুধ স্প্রে করে মুখের ভেতর দিয়ে গলায় প্রবেশ করানো হয়, এভাবে মুখের ভেতর ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে। (ইমদাদুল ফতওয়া)


৩. এনজিওগ্রাম: হার্ট ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়া কেটে বিশেষ রগের ভেতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিওগ্রাম। এ যন্ত্রটিতে যদি কোনো ধরণের ঔষধ লাগানো থাকে তারপরও রোজা ভাঙবে না। (ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা)


৪. এন্ডোসকপি: চিকন একটি পাইপ যার মাথায় বাল্ব জাতীয় একটি বস্তু থাকে। পাইপটি পাকস্থলিতে ঢুকানো হয় এবং বাইরে থাকা মনিটরের মাধ্যমে রোগীর পেটের অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এ নলে যদি কোনো ওষুধ ব্যবহার করা হয় বা পাইপের ভেতর দিয়ে পানি/ওষুধ ছিটানো হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে, আর যদি কোনো ওষুধ লাগানো না থাকে তাহলে রোজা ভাঙবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)


৫. নাইট্রোগ্লিসারিন: এরোসল জাতীয় ওষধ, যা হার্টের জন্য দুই-তিন ফোটা জিহ্বার নিচে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখে। ওষুধটি শিরার মাধ্যমে রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং ওষুধের কিছু অংশ গলায় প্রবেশ করার প্রবল সম্ভবনা থাকে। অতএব, এতে রোজা ভেঙে যাবে। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)


৬. লেপারোসকপি: শিক্ জাতীয় একটি যন্ত্র দ্বারা পেট ছিদ্র করে পেটের ভেতরের কোনো অংশ বা গোশত ইত্যাদি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র। এতে যদি ওষুধ লাগানো থাকে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে অন্যথায় রোজা ভাঙবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)


৭. অক্সিজেন: রোজা অবস্থায় ওষুধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)


৮. মস্তিস্ক অপারেশন: রোজা অবস্থায় মস্তিস্ক অপারেশন করে ওষুধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙবে না।

(আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)


 


৯. রক্ত নেয়া বা দেয়া: রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে বা শরীরে প্রবেশ করালে রোজা ভাঙবে না।

(আহসানুল ফতওয়া)


১০. সিস্টোসকপি: প্রসাবের রাস্তা দিয়ে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না। (হেদায়া)


১১. প্রক্টোসকপি: পাইলস, পিসার, অর্শ, হারিশ, বুটি ও ফিস্টুলা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষাকে প্রক্টোসকপ বলে। মলদ্বার দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। রোগী যাতে ব্যথা না পায় সে জন্য নলের মধ্যে গ্লিসারিন জাতীয় কোনো পিচ্ছিল বস্তু ব্যবহার করা হয়। নলটি পুরোপুরি ভেতরে প্রবেশ করে না। 


চিকিৎসকদের মতে ওই পিচ্ছিল বস্তুটি নলের সঙ্গে মিশে থাকে এবং নলের সঙ্গেই বেরিয়ে আসে, ভেতরে থাকে না। আর থাকলেও তা পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে। যদিও শরীর তা চোষে না কিন্তু ওই বস্তুটি ভিজা হওয়ার কারণে রোজা ভেঙে যাবে। (ফতওয়া শামী)


 


১২. কপার-টি: কপার-টি বলা হয় যোনিদ্বারে প্লাস্টিক লাগানোকে, যেন সহবাসের সময় বীর্যপাত হলে বীর্য জরায়ুতে পৌছাতে না পারে। এ কপার-টি লাগিয়েও সহবাস করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কাযা কাফফারা উভয়টিই ওয়াজিব হবে।


১৩. সিরোদকার অপারেশন: সিরোদকার অপারেশন হলো অকাল গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জরায়ুর মুখের চতুষ্পার্শ্বে সেলাই করে মুখকে খিচিয়ে রাখা। এতে অকাল গর্ভপাত রোধ হয়। যেহেতু এতে কোনো ওষুধ বা বস্তু রোযা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য খালি স্থানে পৌঁছে না, তাই এর দ্বারা রোজা ভাঙবে না।


১৪. ডিএন্ডসি: ডি এন্ড সি হলো আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্য ডিলেটর এর মাধ্যমে জীবত কিংবা মৃত বাচ্চাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নিয়ে আসা। এতে রোজা ভেঙে যাবে। অযথা এমন করলে কাযা কাফফারা উভয়টি দিতে হবে এবং তওবা করতে হবে। (হেদায়া)


১৫. এমআর: এম আর হলো গর্ভ ধারণের পাঁচ থেকে আঁট সপ্তাহের মধ্যে যোনিদ্বার দিয়ে জরায়ুতে এম আর সিরন্জ প্রবেশ করিয়ে জীবত কিংবা মৃত ভ্রণ নিয়ে আসা। যারপর ঋতুস্রাব পুনরায় হয়। অতএব মাসিক শুরু হওয়ার কারণে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা

মাঝি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 মাঝি

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


আমার যেতে ইচ্ছে করে

নদীটির ওই পারে

যেথায় ধারে ধারে

বাঁশের খোঁটায় ডিঙি নৌকো

বাঁধা সারে সারে৷

কৃষাণেরা পার হয়ে যায়

লাঙল কাঁধে ফেলে,

জাল টেনে নেয় জেলে,

গরু মহিষ সাঁতরে নিয়ে

যায় রাখালের ছেলে৷

সন্ধ্যে হলে যেখান থেকে

সবাই ফেরে ঘরে,

শুধু রাত দুপুরে

শেয়ালগুলো ডেকে ওঠে

ঝাউ ডাঙাটার পরে৷

মা, যদি হও রাজি,

বড় হলে আমি হব

খেয়াঘাটের মাঝি৷

আমাদের গ্রাম – বন্দে আলী মিয়া

 আমাদের গ্রাম

– বন্দে আলী মিয়া

আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর,

থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর৷

পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই,

এক সাথে খেলি আর পাঠশালে যাই৷

আমাদের ছোট গ্রাম মায়ের সমান,

আলো দিয়ে, বায়ু দিয়ে বাঁচাইয়াছে প্রাণ৷

মাঠ ভরা ধান তার জল ভরা দিঘি,

চাঁদের কিরণ লেগে করে ঝিকিমিকি৷

আম গাছ, জাম গাছ, বাঁশ ঝাড় যেন,

মিলে মিশে আছে ওরা আত্মীয় হেন৷

সকালে সোনার রবি পুব দিকে ওঠে,

পাখি ডাকে, বায়ু বয়, নানা ফুল ফোটে৷

বনলতা সেন __জীবনানন্দ দাশ

 বনলতা সেন

__জীবনানন্দ দাশ


হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,

সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে

অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,

আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।


চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর

হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা

সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,

তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’

পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।


সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন

সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;

পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন

তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;

সব পাখি ঘরে আসে— সব নদী— ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;

থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

রাত ২৬/৩/২০২৩ রবিবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৬শে মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৩—তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করছে জাতি —— দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন। 

 


স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন শেখ হাসিনা।  

 


দেশের ৫৩—তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা —— যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

 


স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এখনো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি নানা রূপে দেশে বিরাজ করছে —— বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

 


জিয়াউর রহমান আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন —— মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 

 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার লেখা তিনটি বইয়ের জন্য বিশেষ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করলো সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার ফাউন্ডেশন। 

 


চীনের সঙ্গে সামরিক জোট করছে না রাশিয়া —— বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

 


এবং আগামীকাল চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তিন—ম্যাচ টি—টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচ।

রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩

সকাল ২৬/৩/২০২৩ রবিবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২৬শে মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:..


যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতি আজ উদ্যাপন করছে ৫৩-তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন।


স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহবান। 


৭১-এর গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি শেখ হাসিনার।


পাকিস্তানের দালাল পার্টি বিএনপিকে প্রতিহত করার আহবান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।  


রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায় - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।  


বেলারুশের ভূখণ্ডে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রের ঘাঁটি করার জন্য দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তি।


যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২৫ জনের প্রাণহানি।


এবং সিলেটে ফিফা প্রীতি ফুটবল ম্যাচে পূর্ব আফ্রিকার দেশ শিসেল্সকে একমাত্র গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

রাত ২৫/৩/২০২৩ শনিবার

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৫ মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


যথাযথ মর্যাদায় আগামীকাল দেশে উদযাপিত হবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস — স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এক ভিডিও বার্তায় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর। 

 


আজ ভয়াল ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস — নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ স্মরণ করছে জাতি । 

 


২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি শেখ হাসিনার।

 


পাকিস্তানের দালাল পার্টি বিএনপিকে প্রতিহত করার আহ্বান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।   

 


রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায় — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।  

 


ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই, আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকটের সমাধান চায় রাশিয়া।

 


এবং সিলেটে ফিফা প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সফররত সিশেলসকে এক—শূন্য গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

সকাল ২৫/৩/২০২৩ শনিবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২৫শে মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:..


ভয়াল ২৫শে মার্চ আজ - নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতি পালন করছে গণহত্যা দিবস।


মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের সকল নাগরিককে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা। 


বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের  স্বাধীনতা নেই - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় দিন আজ - প্রথম জুমায় মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল।


ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ডের একদিন পর দেশটির সংসদে তাকে অযোগ্য ঘোষণা।


এবং ঢাকায় সাফ নারী অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে ভারতের বিরুদ্ধে এক গোলে জয় বাংলাদেশের।

রাত ২৪/৩/২০২৩ শুক্রবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৪মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* পবিত্র মাহে রমজান শুরু — রমজানের প্রথম জুমায় মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল। 

 


* বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের  স্বাধীনতা নেই — মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।

 


* আগামীকাল ভয়াল ২৫শে মার্চ — নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে  জাতি পালন করবে গণহত্যা দিবস। 

 


* ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ডের একদিন পর দেশটির সংসদে তাকে অযোগ্য ঘোষণা।

 


* এবং ঢাকায় সাফ নারী অনুর্ধ্ব—১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে এখন ভারতের মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ।

সকাল ২৪/৩/২০২৩ শুক্রবার

সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২৪শে মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:...


৯ ব্যক্তি ও একটি সংস্থাকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান - আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখে - বললেন প্রধানমন্ত্রী।  


শুরু হলো আত্মসংযম, ত্যাগ আর সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান - মুসলিম উম্মাহ ও দেশবাসীকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা। 


বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করতে শিশুদের প্রতি ওবায়দুল কাদেরের আহবান।


বিএনপির মধ্যেই সংকট, দেশে কোন রাজনৈতিক সংকট নেই - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


রমজান উপলক্ষে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রি শুরু - চাহিদা অনুযায়ী তেল, চিনি ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে - জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।


ফ্রান্সে অবসরে যাওয়ার বয়স বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অব্যাহত প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে রাস্তায় নেমে এসেছে দশ লাখের বেশী লোক।


এবং শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয়ের মধ্যদিয়ে সফররত আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা - রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন।

শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩

রাত২৩/৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২৩ মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


নয় ব্যক্তি ও একটি সংস্থাকে চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান ——— আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ হিসেবে দেখে ——— বললেন প্রধানমন্ত্রী ।       

 


বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দুনীর্তি, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করতে শিশুদের প্রতি ওবায়দুল কাদেরের আহ্বান।

 


বিএনপির মধ্যেই সংকট, দেশে কোন রাজনৈতিক সংকট নেই ——— মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।  

 


তারাবি নামাজের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান ——— দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 


রমজান উপলক্ষে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রি শুরু ——— চাহিদা অনুযায়ী তেল, চিনি ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে ——— জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

 


ভারতে বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ড।           


 

এবং শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের রেকর্ড জয়ের মধ্যদিয়ে সফররত আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে নিল টাইগাররা ——— রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন।

সকাল২৩/৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২৩মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


৭টি জেলার সবগুলো উপজেলাসহ দেশের ১৫৯টি উপজেলাকে পুরোপুরি ভ‚মিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী ।


শেখ হাসিনা আজ মনোনীত ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় পদক স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।


গতকাল দেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি-আগামীকাল থেকে রোজা শুরু।


বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা ভুলে যেতে হবে, এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি ফিরে আসবে না  - মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।


বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত রিপোর্ট একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট -  বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।


রাশিয়ার প্রতিটি হামলার জবাব দেবে ইউক্রেন - হুমকি দেশটির প্রেসিডেন্টের।


এবং আজ সিলেটে তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

রাত ২২/৩/২০২৩ বুধবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২২ মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


৭টি জেলার সবগুলো উপজেলাসহ দেশের ১৫৯টি উপজেলাকে পুরোপুরি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী ।       

 


বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের কেন্দ্রে পরিণত করতে রোডম্যাপ তৈরির ওপর শেখ হাসিনার গুরুত্বারোপ।  

 


দেশের  আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ না দেখা যাওয়ায় শুক্রবার থেকে রোজা শুরু ——— আগামীকাল প্রথম তারাবি।

 


বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা ভুলে যেতে হবে, এদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি ফিরে আসবে না  ——— মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের।

 


বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত রিপোর্ট একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট ———  বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।           


 

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কয়েকটি স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৩ জন নিহত।

 


এবং আগামীকাল সিলেটে তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।

সকাল২২/৩/২০২৩ বুধবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২২মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:


আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় আরও প্রায় ৪০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার আজ পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর।


বাংলাদেশ কখনোই কোনো হামলা বা সংঘাতকে সমর্থন করে না এবং সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করে - সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী।


লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে শিশুদের স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান শেখ হাসিনার।


আগামী ৬ই এপ্রিল শুরু হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের ২২-তম অধিবেশন ।


বিএনপি যতই নালিশ করুক, বিদেশিদের কথায় বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে না - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


বিএনপি নেতারা আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় না - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারে চীন ও রাশিয়ার চুক্তি স্বাক্ষর।


এবং চীনা তাইপেকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতায় পরপর তৃতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।

রাত ২১/৩/২০২৩ মঙ্গলবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২১মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:……


*বাংলাদেশ কখনোই কোনো হামলা বা সংঘাতকে সমর্থন করে না এবং সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাস করে — সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী।

 


* লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে শিশুদের স্মার্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান শেখ হাসিনার।

 


*আশ্রয়ন—২ প্রকল্পের আওতায় আরও প্রায় ৪০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার আগামীকাল পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর।

 


* আগামী ৬ই এপ্রিল শুরু হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদের ২২—তম অধিবেশন ।

 


* বিএনপি যতই নালিশ করুক, বিদেশিদের কথায় বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে না — বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 


* বিএনপি নেতারা আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় না — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।

 


* মস্কো সফরে গিয়ে রাশিয়া এবং চীনকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

 


*এবং চীনা তাইপেকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতায় পরপর তৃতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩

সকাল ২১/৩/২০২৩ মঙ্গলবার

সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২১মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


* উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার উপযোগী কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।                       


* কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ উদ্বোধন — নৌবাহিনীকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর শেখ হাসিনার গুরুত্বারোপ।        


* আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করছে — বললেন ওবায়দুল কাদের।            


* নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।      


* স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবলোয় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল থেকে শ্রীলঙ্কার ২৯০ কোটি ডলার ঋণ লাভ।


* এবং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

রাত ২০/৩/২০২৩ সোমবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ২০ মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* টেকসই রপ্তানী প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে পণ্য বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর। 

 


* কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী——— উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নৌবাহিনীকেও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ।  

 


* আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করছে ———  বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের।

 


* নির্বাচনকে ভয় পায় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি ———  মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।

 


* প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রাশিয়া—ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে মস্কো   পৌছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।


 

এবং সিলেটে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্ত ঘোষণা।

সকাল ২০/৩/২০২৩ সোমবার

সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ২০ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, হাজার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করলেও এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না — আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 


দেশে—বিদেশে অপপ্রচার উপেক্ষা করে আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস  নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে র‌্যাব—এর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।

 


আঞ্চলিক সংযোগ জোরদারের লক্ষ্যে ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিলেন শেখ হাসিনা।   

 


দেশের জনগণ স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছিল — বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 


গণমাধ্যমে স্বাধীনতার পাশাপাশি প্রয়োজন সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতা — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।

 


ইরানের প্রেসিডেন্টকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে রিয়াদ।

 


এবং আজ সিলেটে দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।

সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

রাত ১৯/৩/২০২৩ রবিবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৯ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:……


বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, হাজার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করলেও এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না —— আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 


দেশে—বিদেশে অপপ্রচার উপেক্ষা করে আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস  নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে র্যাব—এর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।

 


আঞ্চলিক সংযোগ জোরদারের লক্ষ্যে ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিলেন শেখ হাসিনা।   

 


মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আহত আরো ৩০ জন।  

 


দেশের জনগণ স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছিল —— বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 

 


গণমাধ্যমে স্বাধীনতার পাশাপাশি প্রয়োজন সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতা —— মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।

 


রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের মারিউপোল বন্দরনগরীতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের আকস্মিক সফর।

 


এবং আগামীকাল সিলেটে দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।

সকাল ১৯/৩/২০২৩ রবিবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৯মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


* ভারত থেকে বাংলাদেশে  জ্বালানী তেল সরবরাহের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত চালু হলো মৈত্রী পাইপলাইন — যৌথভাবে উদ্বোধন করলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।           


* আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও উন্নয়নের মাইলফলক — বললেন শেখ হাসিনা — এই পাইপলাইন জ্বালানী নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াবে – মন্তব্য নরেন্দ্র মোদীর। 

 


 * তথ্য—প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতির উপাদান সংগ্রহ করে দেশ—বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান রাষ্ট্রপতির।   


* বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ সাম্প্রদায়িক শক্তির অভয়ারণ্যে পরিণত হবে —— বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।                          


* সরকারকে টেনে নামানোর বিএনপির আন্দোলন এখন কৌতুকে পরিণত হয়েছে  মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।            


* শস্য চুক্তির মেয়াদ আরো অন্তত দুই মাস বাড়াতে সম্মত রাশিয়া ও ইউক্রেন।

      


* এবং সিলেটে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ।

রাত ১৮/৩/২০২৩ শনিবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৮ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানী তেল সরবরাহের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত চালু হলো মৈত্রী পাইপলাইন ——— যৌথভাবে উদ্বোধন করলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।           


 * আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও উন্নয়নের একটি মাইলফলক ——— বললেন শেখ হাসিনা।   


     

* বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ সাম্প্রদায়িক শক্তির অভয়ারণ্যে পরিণত হবে —— বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।                   


* সরকারকে টেনে নামানোর বিএনপির আন্দোলন এখন কৌতুকে পরিণত হয়েছে —মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।  


* রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেফতারি পরোয়ানার নিন্দা জানালো মস্কো। 


* এবং সিলেটে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৩৩৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ — সাত হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

সকাল ১৮/৩/২০২৩ শনিবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৮ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


* জ্বালানী সরবরাহে প্রথমবারের মতো “বাংলাদেশ—ভারত মৈত্রী পাইপলাইন” উদ্বোধন আজ — ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী।


* নানা কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় সারাদেশে জাতির পিতার ১০৩—তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত।


* টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা - স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিশুদের মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান শেখ হাসিনার। 


* বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা হবে — বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।          


* বিএনপি ও তার মিত্ররা পেছনে টেনে না ধরলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।   


* রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।       


* এবং সিলেটে তিনম্যাচ ওডিআই ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

রাত ১৭/৩/২০২৩ শুক্রবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৭ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* নানা কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় সারাদেশে জাতির পিতার ১০৩—তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত।

 


* টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা — স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিশুদের মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান শেখ হাসিনার। 

 


* বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা হবে — বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 


* বিএনপি ও তার মিত্ররা পেছনে টেনে না ধরলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর। 

 


* আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশনের মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়িয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।


 

*এবং  সিলেটে তিনম্যাচ ওডিআই ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগামীকাল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

সকাল ১৭/৩/২০২৩ শুক্রবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৭ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩-তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আজ - নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে জাতি। 


আরো ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন - পবিত্র রমজানের প্রাক্কালে নিত্যপণ্য সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহবান প্রধানমন্ত্রীর।


স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন রাষ্ট্রপতি। 


যারা মৃত তত্ত্বাবধায়ককে জীবিত করতে চায়, তাদেরই লজ্জা হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগের নয় - বললেন ওবায়দুল কাদের। 


পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুপ্রিমকোর্ট আইজীবী সমিতি  নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপি পন্থীরা - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


ইউক্রেন ও রাশিয়াকে যথাশীঘ্র সম্ভব শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহবান চীনের। 


এবং মুম্বাইয়ে তিনম্যাচ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ভারত।

রাত ১৬/৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৬ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩—তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল — নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে জাতি।

 


* আরো ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন —পবিত্র রমজানের প্রাক্কালে নিত্যপণ্য সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর। 

 


* স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন রাষ্ট্রপতি।

 


* যারা মৃত তত্ত্বাবধায়ককে জীবিত করতে চায়, তাদেরই লজ্জা হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগের নয় — বললেন ওবায়দুল কাদের।

 


* পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সুপ্রিমকোর্ট আইজীবী সমিতি  নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই করেছে বিএনপি পন্থীরা — মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


 

* পূর্ব সাগরে একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া।  

 


*এবং বঙ্গবন্ধু  কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি প্রতিযোগিতায় নেপালকে পরাজিত করে টানা তৃতীয় জয় পেলো বাংলাদেশ।

সকাল ১৬/৩/২০২৩ বৃহস্পতিবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৬ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


দেশের অন্যান্য খাতের মতো নার্সিংসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতকেও এগিয়ে নেবে সরকার, বললেন প্রধানমন্ত্রী।


আজ তৃতীয় ধাপে আরও পঞ্চাশটি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। 


সুপ্রীম কোর্টের নির্বাচন ভন্ডুল করতেই আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে বিএনপি - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


তত্ত¡াবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, আশাবাদ বাণিজ্যমন্ত্রীর - এক সাথে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার আহবান।


বিরোধীদের ওপর দমনাভিযান ও ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধকে সমর্থন দেয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহবান।


এবং ইস্ট লন্ডনে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আজ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।

রাত ১৫/৩/২০২৩ বুধবার

 রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৫ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:…… 


* দেশের অন্যান্য খাতের মতো নার্সিংসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতকেও এগিয়ে নেবে সরকার, বললেন প্রধানমন্ত্রী ——— জনগণের সেবায় আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করতে নার্সদের প্রতি আহ্বান।

 


* আগামীকাল তৃতীয় ধাপে আরও পঞ্চাশটি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। 

 


* সুপ্রীম কোর্টের নির্বাচন ভণ্ডুল করতেই আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে বিএনপি ——— বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 


* তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না ——— মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।

 


* পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, আশাবাদ বাণিজ্যমন্ত্রীর ——— এক সাথে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার আহ্বান।


 

* করোনা মহামারি শুরুর তিন বছর পর প্রথমবারের মতো বিদেশী পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিলো চীন।

 


* এবং রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা।

সকাল ১৫/৩/২০২৩ বুধবার

 সকাল ৭ টার সংবাদ। 

তারিখ: ১৫ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:।


আজকের শিরোনাম:…


বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ প্রদান অব্যাহত রাখতে বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান।


২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাশে থাকার আশ্বাস এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের।


দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তোলার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্ব আরোপ।


বিএনপি নির্বাচনের সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


নির্বাচনে জয়ের আশা নেই জেনেই বিদেশিদের পদলেহন করছে বিএনপি - মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


ক্রান্তীয় ঝড় ফ্রেডির তান্ডবে আফ্রিকার মালাউইতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯০।


এবং মিরপুরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের শেষ ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ - রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন।

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি

 রমজানের বিশেষ আমল।


১) চাঁদ দেখা


২) রমজানের রোজা রাখা


৩) তারাবীহ নামাজ পড়া


৪) রমজানের সেহরি খাওয়া


৫) সেহরি দেরি করে খাওয়া


৭) ইফতারি খাওয়া


৮) ইফতারি তাড়াতাড়ি খাওয়া


৯) ইফতারের পরে দোয়া করা


১০) ইফতার এবং সেহরিতে খেজুর খাওয়া


১১) বেশি বেশি দোয়া করা


১২) সব রকমের পাপাচার বর্জন করা


১৩) বিশেষ করে মিথ্যাকে পরিহার করা


১৪) স্পেশালি, ঝগড়াঝাঁটি থেকে বিরত থাকা


১৫) ছোট-বড়, যত ভালো কাজ আছে, সবকিছু এই


মাসে বেশি বেশি করা


১৬) গুরুত্ব সহকারে ইস্তেগফার করা, আল্লাহর কাছে


গোনাহ মাফ চাওয়া


১৭) রোজাদারকে ইফতার করানো


১৮) গুরুত্ব সহকারে কোরআন তেলাওয়াত করা


১৯) একজন আরেকজনকে কোরআন তেলাওয়াত


শোনানো   

২০) রমজানে বেশি বেশি দান খয়রাত করা


২১) সেহরির সময় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া, দোয়া


করা, এস্তেগফার করা।


২২) সমর্থ্যবানরা ওমরা পালন করা


২৩) দিনের বেলায় বেশি বেশি মিসওয়াক করা


২৪) এতেকাফ করা


২৫) শেষ দশকে বেশি বেশি এবাদত করা


২৬) শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর


তালাশ করা


২৭) লাইলাতুল কদরের বিশেষ দোয়া পড়া


২৮) রমজানের শেষে ফিতরা আদায় করা |


আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই আমল গুলো, এবং আরো


অন্যান্য যত ভালো আমল আছে, আমল গুলো করার


তৌফিক দান করেন আমিন।

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

রাত ১৪/৩/২০২৩ মঙ্গলবার

রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের সংবাদ।

তারিখ: ১৪ ই মার্চ ২০২৩ খ্রি:। 

আজকের শিরোনাম:……


বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ প্রদান অব্যাহত রাখতে বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান।

 


২০৩১ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাশে থাকার আশ্বাস এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের।

 


দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে গড়ে তোলার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্ব আরোপ।

 


বিএনপি নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ——— বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 


নির্বাচনে জয়ের আশা নেই জেনেই বিদেশীদের পদলেহন করছে বিএনপি ——— মন্তব্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর।


ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ আরও দু’মাস বাড়াতে সম্মত রাশিয়া।


এবং মিরপুরে টি—টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ ——— টাইগারদের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন।

হেনতেন,,,,,,, জসিমউদদীন,,,,,

 অল্প বয়সেই আজিজের বাপ-মা মরে গেল। বুড়ো নানা আজিজকে এনে তাঁহার বাড়িতে রাখলেন। কিন্তু তার মতো দুষ্ট ছেলেকে সামাল দিবেন কতদিন? আজ এটা নষ্ট করে, কাল ওটা বাজারে বিক্রি করে মিঠাই খায়। অনেক ধকম-ধামক মারপিট করেও আজিজকে ভালো করা গেল না। পরিশেষে নানা তাঁকে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দিলেন।

দশ-বারো বছর পরে একদিন অনেক টাকা-পয়সা নিয়ে আজিজ দেশে ফিরে আসল। এসে শহরে একটি বাড়ি কিনে ফেলল। তারপর নানা-নানীর সঙ্গে দেখা করতে আসল। তার হাতে আঙটি, দামি ঘড়ি, পরনে দামী কাপড়। নানা-নানী তো দেখে অবাক!নানা জিজ্ঞাসা করলেন, “হ্যারে আজিজ! বিদেশে গিয়ে তুই এত টাকা-পয়সা কামাই করিলি কি করে?” আজিজ উত্তর করল, “নানা।

ওসব জিজ্ঞাসা করবেন না। টাকা পয়সা উপার্জন করেছি হেনতেন এটা-সেটা করে।” নানা আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “আরে নাতী! বল না হেনতেন কাকে বলে?” আজিজ বলল, “সে কথা আর একদিন বলব নানা। আজ থাক।”আজিজ চলে গেল।

কিন্তু নানার মনে কেবলই জাগে, হেনতেন কাকে বলে? আচ্ছা, নাতীর মতো হেনতেন করে নানা নিজের আবস্থা আরও ভালো করতে পারে না? ভেবে ভেবে নানার আর ঘুম হয় না। সেদিন আজিজকে নানা ডেকে আনলেন; বড়লোক নাতীর জন্য নানী অনেক পিঠা-পায়েস করেছেন।

নানা নাতী দুইজনে বসে খাচ্ছেন, নানা তখন কথাটা তুললেন, “হ্যারে আজিজ! সেদিন না বলেছিলি হেনতেন কাকে বলে অন্য সময় বলবি? আজ তোকে কিছুতেই ছাড়ব না। হেনতেন কাকে বলে তোকে বলতেই হবে?” একটা পিঠা চিবাইতে চিবাইতে আজিজ বলল, “নানা, আজ ওকথা থাক। পরে একদিন বলব।”

নানী বললেন, “আর একদিন কেন নাতী? তোমার নানা যখন জানতে চান, আজই বল না কেন, ভাই? হেনতেন কাকে বলে আমারও জানার ইচ্ছা।” আজিজ বলল, “আচ্ছা নানী! হেনতেন কাকে বলে আমি শুধু মুখেই বলব না। আপনাদেরকে দেখিয়ে দিব। আমাকে শুধু এক মাস সময় দেন।”

একটু কি ভেবে আজিজ আবার বলল, “নানা! একটা কথা! নানী তো সারা জীবন আপনার সংসারে খেটে শরীর ক্ষয় করে ফেললেন। আপনি যদি অনুমতি দেন তবে নানীকে আমার শহরের বাড়িতে কিছুদিন রেখে সবকিছু দেখিয়ে আনি।” এ কথা শুনে নানী নাতীর উপর খুব খুশী হলেন। নানার মুখের দিকে তিনি চেয়ে রইলেন, নানা কি জবাব দেন।

নানা বললেন, “সে তো ভালো কথা ভাই! আমার তো আর কোনো আত্মীয়-স্বজন নাই, যেখানে গিয়ে তোমার নানী দুইদিন বিশ্রাম করে আসবে। তুমি বড়লোক নাতী, নিয়ে যাও তোমার নানীকে। কয়েকদিন শহরের যা কিছু দেখে আসুক।”

নানীকে সঙ্গে নিয়ে আজিজ তার শহরের বাসায় আসল। নানার বাড়ি হতে পঞ্চাশ-ষাট মাইল দূরে। কিছুদিন পরে শহর হতে এসে আজিজ কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, “নানা! দুঃখের কথা আর বলব কি! একদিনের কলেরা হয়েই নানী মরে গিয়েছেন। আপনাকে যে খবর দিব তারও সময় পেলাম না। ডাক্তার-কবিরাজের বাড়ি ঘুরেই শরীর কাহিল করে ফেললাম।”

নানা কিছুদিন বউ-এর জন্য খুব কাঁদলেন। তারপর ঘর-সংসারের কাজে মন দিলেন।আজিজ শহরের বাড়িতে গিয়ে তার নানীকে বলল, “নানী। দুঃখের কথা কি বলব! বসন্ত রোগ হয়ে একদিনেই নানা মরে গিয়েছেন।” শুনে নানী ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠলেন, “ওরে আজিজ! শীগগীর আমাকে বাড়িতে রেখে আয়।”

আজিজ আরও কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, “নানী! আপনাদের গ্রামে আরও দুই তিন জনের বসন্ত হয়েছে। সেখানে গেলেই আপনাকে বসন্ত রোগে ধরবে। কিছুতেই আমি আপনাকে সেখানে নিয়ে যেতে পারব না।” চার পাঁচ দিন কেঁদে কেটে নানী আবার আগের মতোই খাওয়া-দাওয়া করতে লাগলেন।

কিছুদিন পরে আজিজ এসে তার নানার সঙ্গে দেখা করে বলল, “নানা! আর কতদিন একলা সংসার সামলাইবেন? এই বুড়ো বয়সে কে দেয় আপনার ভাত-পানি, আর কে লয় আপনার খবরাখবর?” কয়েকদিন হাত পুড়াইয়া রান্না করে খেয়ে নানা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।

নাতীর কথায় একেবারে গলিয়া গেলেন, “তাই তো রে ভাই! এই বুড়ো বয়সে ঘর সংসারের কাজ করতে করতে একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়েছি।” সুযোগ বুঝে আজিজ বলল, “নানা! আমার বাসার কাছে একেবারে নানীর মতো দেখতে একটি বিধবা মেয়ে আছে। নানীর মতো বয়সী। বলেন তো তার সঙ্গে আপনার বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারি।”

নানা বললেন, “নারে ভাই, এই বুড়ো বয়সে কাকে এনে দিবি, জানি না, চিনি না, আমার ঘর-সংসার নাস্তানাবুদ করে ফেলবে।” আজিজ বলল, “নানা! ওসব চিন্তা করবেন না। আমার বাসার কাছে বলে সর্বদা মেয়েটিকে দেখতে পাই। তার চাল-চলন একেবারে নানীর মতো। আপনি দেখলে বুঝতে পারবেন না মেয়েটি নানী নাকি অন্য কেউ।”

নানা তখন বললেন, “আচ্ছা তোর যদি ইচ্ছা হয় তবে বিবাহের বন্দোবস্ত কর।” আজিজ বলল, “নানা! খালি হাতে তো বিবাহ হয় না। কনে পক্ষ আবার বিরাট শরীফ ঘর। অন্ততঃ হাজার টাকা না হলে এই বিবাহের কাজে নামা যায় না।” নানা গুণে গণিয়া নাতীর হাতে হাজার টাকার নোট দিলেন।

বাসায় এসে আজিজ তার নানীকে বলল, “নানী। এইভাবে বিধবা হয়ে আপনি আর কতদিন থাকবেন? আমাকে তো জানেনই। আমার মতিগতির কোনো ঠিক নাই। যা টাকা-পয়সা আছে ফুরিয়ে গেলে আবার বিদেশ চলে যাব। তখন আপনার কি উপায় হবে?” নানী একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, “তাই তো রে ভাই! আমার ভবিষ্যৎ ভেবে কুল-কিনারা পাই না।”

আজিজ বলল, “অমুক গ্রামে একজন বুড়ো লোক দেখেছি। একেবারে নানার মতো দেখতে। অবস্থা বেশ ভালো। অল্পদিন হল তার বউ মরেছে। আপনি যদি বলেন, তার সঙ্গে আপনার বিবাহের বন্দোবস্ত করতে পারি।”

শুনে নানী ক্ষেপে উঠলেন, “আরে হতভাগা! আমার কি এখন নিকার (বিয়ের) বয়স আছে?” আজিজ বলল, “সেই বুড়ো লোকটারও কি বিয়ার বয়স আছে? তবে দিনে দিনে আপনি যখন আরও কমজোর হয়ে পড়বেন তখন আপনার দেখাশুনা করবে কে? নানী! আপনি তো আমার কথায় বিশ্বাস করবেন না- সেই লোকটার চলন-বলন, হাবভাব, গায়ের রং একেবারে নানার মতো।

প্রথমে দেখলে তাঁকে নানা ছাড়া অপর কেউ মনে হবে না।”নানী বললেন, “তোর নানার মতো যদি দেখতে হয়, তবে কর বিয়ার জোগাড়।”শুভদিনে শুভক্ষণে নানা বিবাহের পোশাক পরে পালকিতে চড়ে কয়েকজন বরযাত্রী সঙ্গে নিয়ে নাতীর বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন।

বাজী-বন্দুক ফুটিয়ে নাতী বুড়ো নওসাকে ঘরে এনে বসাল।শা-নজরের সময় নানা নানীকে চিনিতে পারলেন। নানীও নানাকে চিনতে পারলেন। দুইজনে দুইজনকে পেয়ে ভারি খুশী।

তবুও নানা আজিজকে ডেকে ধমকিয়ে বললেন, “ওরে শয়তান! এই তোর কীর্তি!” হাঁসতে হাঁসতে আজিজ এসে নানাকে বলল, “নানা, হেনতেন কাকে বলে জানতে চেয়েছিলেন। তাই হেনতেন কাকে বলে আপনাদের  হাতে কলমে দেখিয়ে দিলাম,,


সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...