এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩

লিচুর ফলন বৃদ্ধির আধুনিক পদ্ধতি

 লিচুর ফলন বৃদ্ধির আধুনিক পদ্ধতি


বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় কমবেশি লিচুর চাষ হলেও বৃহত্তর রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও ময়মনসিংহে বেশি পরিমাণে উৎকৃষ্টমানের লিচু উৎপন্ন হয়। বর্তমানে পাবনায় প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি থেকে ২৪ থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। লিচুর জন্য আর এক বিখ্যাত জেলা হলো দিনাজপুর। দিনাজপুরে ২০১২ সালে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এখানে উৎপাদিত লিচুর মধ্যে চায়না-৩, বেদানা, বোম্বাই ও মাদরাজি উল্লেখযোগ্য।


পুষ্টিগুণ 


 লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহসহ নানা খনিজ উপাদান। লিচুর অনেক ঔষধি গুণও আছে। এর পাতার রস বোলতা, বিছা ইত্যাদি কামড়ালে ব্যথা উপশমের কাজে ব্যবহার করা হয়। কাশি, পেটব্যথা, টিউমার ও গ্লান্ডের বৃদ্ধি দমনে লিচু বেশ কার্যকর। চর্মরোগের ব্যথায় এর বীজ ব্যবহার করা হয়। পানিতে সিদ্ধ লিচুর শিকড়, বাকল ও ফুল গলার ঘা সারায়। কচি লিচু শিশুদের বসন্ত রোগ ও বীজ অমস্ন ও স্নায়বিক যন্ত্রণায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাকল ও শিকড়ের কাঁথ গরম পানিসহ কুলি করলে গলায় কষ্টের উপশম হয়।


জাত 


 জাতের ওপর লিচুর ফলন ও স্বাদ বহুলাংশে নির্ভর করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি লিচু-১, বারি লিচু-২, বারি লিচু-৩ নামে তিনটি উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে। বারি লিচু-১ একটি উচ্চফলনশীল  লিচু । এর ফল ডিম্বাকার ও লাল। প্রতিটি ফলের ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম। বারি লিচু-২ উচ্চফলনশীল নাবি জাত।  মধ্য মাঘে ফুল ধরে এবং আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহে পাকে। জাতটি সারা দেশে চাষযোগ্য। বারি লিচু-৩ মধ্য মৌসুমি জাত। প্রতিটি ফলের ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম। ফলের শাঁস রসাল ও মিষ্টি। চায়না-১ নাবি জাতের লিচু। এ জাতের লিচুর শাঁস কিছুটা কম মিষ্টি। গাছের আকার মাঝারি। গাছে থোকা থোকা ফল ধরে। বীজ খুবই ছোট। শাঁস পুরু ও মিষ্টি। জুনের প্রথম সপ্তাহে ফল পাকে। 


চাঁপাইনবাবগঞ্জে লিচু বেশি চাষ হয়। ফল মোটামুটি গোলাকার এবং গড় ওজন প্রায় ২৫ গ্রাম। বীজ খুব ছোট। শাঁস রসাল ও অত্যন্ত মিষ্টি। এলাচি একটি নাবি জাতের লিচু। এর ফলের আকার ছোট, ওজন ১২ থেকে ১৫ গ্রাম। লে বোম্বাই জাতের বেশি চাষ হয়। ফল মাঝারি আকারের এবং ওজন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম। লিচু শাঁস রসাল এবং মৃদু টকস্বাদযুক্ত। মোজাফফরপুরী জাতের লিচু ডিম্বাকার, প্রতিটি ফলের ওজন ২০ গ্রাম। পাকা ফলের রঙ গোলাপি। বেদানাজাতের লিচু খুব সুস্বাদু ও মিষ্টি। এ জাতের লিচু পাওয়া যায় জুন-জুলাইয়ে।


পরিচর্যা 


 সঠিক সময়ে পরিচর্যা করলে লিচুগাছের যেমন সুষম বৃদ্ধি হয়, তেমনি ফলনও বেশি পাওয়া যায়। লিচুগাছের পরিচর্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো- আগাছা দমন, পানি সেচ, ডাল ছাঁটাই, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, রোগ-পোকা ও বাদুড় দমন ইত্যাদি।


আগাছা দমন 


ভালো ফলনের জন্য লিচু বাগানে অন্তত বছরে দুইবার অগভীর চাষ দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...