প্রশ্নঃ হজ শেষে জামারায় নিক্ষিপ্ত পাথর কী করা হয়?
হজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে জামারায় কয়েক বার ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ অন্যতম। ১০ জিলহজ মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় প্রথমে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করে। পরবর্তী তিন বা দুদিন (১১, ১২ বা ১৩ জিলহজ) তিন জামারায় তারা সাতটি করে মোট ৪২টি বা ৬৩টি পাথর নিক্ষেপ করেন। এভাবে সব হাজিকে মোট ৪৯টি বা ৭০টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকে, জামারায় নিক্ষেপের পর এত পাথর কোথায় যায়? বা পরবর্তীতে এসব পাথর দিয়ে কী করা হয়?
১৩ জিলহজ পাথর নিক্ষেপের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সব হাজি মিনা প্রান্তর ছেড়ে চলে যায়। এরপর সুবিশাল স্থানটি আগামী হজ পর্যন্ত জনশূন্য হয়ে পড়ে থাকে। সব হাজির চলে যাওয়ার পর এসব পাথরের সংগ্রহ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মূলত হাজিরা পাথর নিক্ষেপের পর জামারাতের চার স্তর থেকে তা ১৫ মিটার নিচে চলে যায় এবং বেসমেন্টে গিয়ে জমা হয়। এরপর একটি বিশেষ বেল্টের সাহায্যে সিভিং প্রক্রিয়ায় নিক্ষিপ্ত সব পাথর সংগ্রহ করা হয় এবং পানি স্প্রে করে পাথরের গায়ে জমে থাকা ধুলো ও ময়লা দূর করা হয়। অতঃপর পরিষ্কার পাথরগুলো গাড়িযোগে অন্যত্র নিয়ে পরবর্তী হজে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
সৌদি আরবের আবাসন প্রতিষ্ঠান কিদানা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সহযোগিতায়, মক্কাভিত্তিক সংস্থা গিফট চ্যারিটেবল অ্যাসোসিয়েশন পাথর পুনঃব্যবহারের প্রক্রিয়ারসহ হজের স্থানগুলোর উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মিনায় জামারাত ব্রিজ সংলগ্ন রোডে হজযাত্রীদের পাথরভর্তি থলে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়াও মুজদালিফাতে প্রায় ৩০০টির বেশি পয়েন্টে এসব সরবরাহ করা হয়।
এ বছর ১৮ লাখের বেশি হজযাত্রী হজ পালন করেছেন। এই হিসেবে গত ১ জুন (১৩ জিলহজ) পর্যন্ত এবারের হজে ১০ কোটির বেশি পাথর জামারায় নিক্ষেপ করা হয়েছে। হজযাত্রীদের সংখ্যা অনুপাতে নুড়ি পাথরের পরিমাণ অনুমান করা হয়।
তথ্যসূত্র কালেরকন্ঠ
কপি
পেস্ট
1 টি মন্তব্য:
Permalink
https://knowledge-hill.blogspot.com/2023/07/blog-post_15.html
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন