#ধান আবাদে পটাশ সারে, ফলন বাড়ে অধিক হারে।
আমরা কেন পটাশ (এমওপি) সার ব্যবহার করবো?
#পটাশ (এমওপি) সারের কাজ:
১/ পটাশ সার গাছের শিকড় বৃদ্ধি করে এবং পাতার আকার বাড়ায়।
২/ প্রতি ছড়ায় পুষ্ট দানার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও দানার ওজন বাড়ায়।
৩/ গাছের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ যেমন খরা, ঠান্ডা, রোগবালাই ইত্যাদি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪/ ফসলের গুনগত মান বৃদ্ধি করে।
#পটাশিয়াম অভাবের কারণ:
১/ মাটিতে পটাশিয়াম প্রয়োগের পরিমান প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে পটাশের ঘাটতি হয়।
২/ ফসলের অবশিষ্টাংশ মাটি থেকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণের ফলে।
৩/ বেলে মাটিতে চুয়ানি জনিত অপচয় বেশি হলে এর অভাব দেখা যায়।
#পটাশিয়াম সারের অভাবজনিত লক্ষণ:
১/ গাছ গাঢ় সবুজ ও ছোট হয়ে থাকে এবং নেতিয়ে পড়ে।
২/ পটাশিয়ামের অভাবে প্রাথমিক অবস্থায় পাতার আগার দিক হলদেটে কমলা রং ধারন করে পরে এ বিবর্ণ রঙ আস্তে আস্তে পাতার গোড়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে পাতা মরপ বা শুকিয়ে যায়।
৩/ অনেক সময় গাঢ় সবুজ পাতায় তিলের দানার মতো ছোট ছোট বাদামী দাগ দেখা যায়।
৪/ গাছে রোগবালাইয়ের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
৫/ শিকড়ের বৃদ্ধি কম হয় এবং প্রায়শই তা পচন রোগে আক্রান্ত হয়।
৬/ চিটার হার বেড়ে যায়।
৭/ ধান গাছ হেলে পড়ে ফলন কমে যায়।
৮/ শীষে অনেক সময় অনিয়মিত ভাবে সাদা দাগ দেখা দেয়।
#পটাশিয়ামের অভাব দূরীকরণ:
১/ ফসল কাটার পর এর অবশিষ্টাংশ মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
২/ পরিমান মতো পটাশিয়াম সার মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৩/ মাটি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চুয়ানো জনিত অপচয় রোধ ও শিকড় বৃদ্ধিকে তরান্বিত করে পটাশিয়ামের গ্রহণ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর অভাব অনেকাংশে দূর করা সম্ভব।
#পটাশ সার প্রয়োগের সময় ও পদ্ধতি:
১/ সাধারণ জমি তৈরির শেষ চাষের সময় পটাশ সার প্রয়োগ করতে হয়।
২/ পটাশ সার একক ভাবে অথবা নাইট্রোজেন ও ফসফরাস সারের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৩/ বেলে মাটিতে পটাশের অতিরিক্ত চুয়ানিজনিত রোধে কিস্তিতে প্রয়োগ করা উচিত। সে ক্ষেত্রে অর্ধেক সার কুশি গজানোর সময় প্রয়োগ করতে হবে।
মো: ফরিদুল ইসলাম
উপ সহকারী কৃষি অফিসার
ব্লক: ভোটমারী, কালিগঞ্জ লালমনিরহাট
![]() |
ফেইসবুক থেকে নেওয়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন