পুরুষকে পুরুষ ফিল করানোটা নারীর দায়িত্ব। কীভাবে?
.
ধরেন ফজরের নামাযটা পড়তে আগে উঠে গেছেন, হাজব্যান্ডের অজুর জন্য একটু গরম পানি করে দিন। সারাদিন শেষে ক্লান্ত শ্রান্ত মানুষটা যখন ঘরে ফেরে আর কিছু না হোক এক গ্লাস লেবুর শরবত করে দিন। ঘরে ফেরার সময়টা কাছাকাছি ঘনালে সারাদিনের পড়ে থাকা ত্যানা সদৃশ কাপড়টা পালটে একটা মানসম্মত পোষাক পড়ুন।
.
আর কিছু না হোক মুখে একটু পাউডার দিন। সুন্দর একটা হাসি উস্ম একটা সালাম দিয়ে দরজাটা খুলুন। যে হাজব্যান্ডের কাছে রানীর মর্যাদা পেতে চান তার সাথে অন্তত রাজার মতো আচরণ করুন। সারাদিন অফিসে কামলার মতো খাটে একটা পুরুষ। বাসায় এসেও কামলার মতো আচরণ পেলে খুব স্বাভাবিক সে রানীর সাথে রাজার বিহেভের বদলে কামলার বিহেভই করবে।
.
ধরেন, আলাপ করা ছাড়াই পরিবারের অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আপনার আছে। তারপরেও একটা নতুন ফার্নিচার কেনার আগে একটু আধটু পরামর্শ করুন। যে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নিজের মতামতটা যুক্তিসমেত তুলে ধরার পরেও বলুন সে যা বলবে তাই করবেন।
.
সাময়িক তার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে কষ্ট লাগলেও দীর্ঘ মেয়াদে এটার উপকারই পাওয়া যায়। সংসারে সুখের জন্য পুরুষদের ম্যানলি ফিল করাটা জরুরী। একজন ব্যক্তিত্ত্ববান পুরুষ নারীর কাছে টাকা চায়না, ধনসম্পদ চায়না চায় শুধু একটু সম্মান। এটা একটা সম্পর্কে পুরুষের সাবকনশাস ব্যাসিক নিড।
.
যে সংসারে পুরুষ এটা ফিল করেনা যে সে সংসারের নেতা, তার কথার একটা দাম আছে সে সংসারে পুরুষ পুরুষ কম, ভেড়া হয়ে বাচে। সম্মানের অভাব পরিপূর্ণ করতে অন্য নারীর কাছে ছুটে। একটা সংসার থেকে একটা মেয়ের ব্যাসিক সাবকনশাস চাওয়া হলো নিরাপত্তা। সেটা আর্থিক হতে পারে, সংসারের স্থায়ীত্ব ও হতে পারে।
.
কথায় কথায় বউকে তালাক দিবে যারা বলে কিংবা আরেকটা বিয়ের হুমকি যারা দেয়, বউকে না খাইয়ে না পড়িয়ে যারা রাখে তারা মেয়েদের ব্যাসিক নিডকেই ঝুকিতে ফেলে দেয়। যার ফলে দেখা যায় নারীর পক্ষ থেকেও সম্মান জিনিসটা উঠে যায়, সংসারের যায় যায় অবস্থা হয়। সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতেও হয়।
কপি
পেস্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন