ইনজেক্টর নজল (Injector Nozzle) বিষয়
ডিজেল ইঞ্জিনে সংকোচন ধাপের শেষে এর ভেতরের বায়ুর উপর জ্বালানিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় নিক্ষেপণের জন্য ইনজেক্টরের প্রান্ত দেশে যে যন্ত্রাংশ সংযুক্ত থাকে, সেটাই ইনজেক্টর নজল। জ্বালানি পাম্পের উচ্চ চাপের ফলে নজলের কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে থাকে। ইনজেক্টরের নিডিল ভালভের চারদিকে জ্বালানি দিয়ে পূর্ণ হলেই এর স্পিলয়ের ও প্লাজারের বিপরীত দিকে চাপের সৃষ্ট হয়। এ চাপের প্লাজার ও নিভিল ভাল্ভ ওপরে উঠে আসে এবং নজলের প্রান্ত দেশের ছিদ্র খুলে যায়। জ্বালানি
প্রেসার অ্যাডজাটিং
খ. কপার ওয়াসার
ঘ. স্পিন্ডল
স্পিন্ডল ধারক
চ. নজল
ছ. নিডিল ভাল্ডের আসন
জ. নিডিল ভালভ ক. জ্বালানি লাইন
এএ, ক্যাপ নাট
টি. জ্বালানি ফেরত লাইন
পাম্প খাপের শেষ প্রান্তে না পৌঁছানো পর্যন্ত এরা ওপরের দিকে উঠতে থাকে। ভেতরের চাপ কমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে নিডিল ভালভ ও প্লাজার এদের আগেকার স্থানে ফিরে আসে এবং কুলানি নিক্ষেপণ বন্ধ হয়ে যায়। নজলের প্রান্ত দেশ এক বা বহু ছিদ্র বিশিষ্ট হতে পার। বহুছিদ্র বিশিষ্ট নজল প্রশস্ত দহন প্রকোষ্ঠে এবং বন্ধ হবার সম্ভাবনা কম হওয়ায় এক ছিদ্র বিশিষ্ট নজল অপেক্ষাকৃত সরু দহন প্রকোষ্ঠে ব্যবহৃত হয়।
ইনজেকটর নজল সাধারণত দু'প্রকার।
ক) পিস্টল নজল (Pintle Nozzle) খ) গর্তযুক্ত নজল (Hole Nozzle)
পিন্টন নজলের প্রান্ত দেশ সরু পিনের মত এবং পিনের চারদিকে কৌণিক ছিদ্রযুক্ত। পিস্টল নজলের ছিদ্র অপেক্ষাকৃত বড় বলে জ্বালানি নিক্ষেপণের সময় তুলনাম লকভাবে কম বাধা প্রাপ্ত হয়। গর্তযুক্ত নজলে দুই বা ততোধিক গর্ত থাকায় তা থেকে ঘন ও অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় জ্বালানি নিক্ষেপণের কাজ হয়ে থাকে।
জ্বালানি ছাঁকনি: এটি ডিজেল ইঞ্জিনের একটি প্রধান ও প্রয়োজনীয় অংশ। এর সাহায্যে ডিজেল ইঞ্জিনে তিন ধাপে জ্বালানি পরিষ্কার করা হয়। যথা-
এটি ডিজেল ইঞ্জিনের একটি প্রধান ও প্রয়োজনীয় অংশ।
ট্যাংকের ফিল্টার স্ক্রীন বড় বড় ময়লার কণা দূরীভূত করে।
প্রাইমারী ফিল্টার ছোট কণা দূরীভূত করে (৫ মাইক্রোন মাপের, ১ মাইক্রো/ ১/১০,০০০ সেঃমিঃ)। সেকেন্ডারী ফিল্টার সুক্ষ্ম কণাগুলিকে দূরীভূত করে (২ মাইক্রোন মাপের)
কোন কোন ইঞ্জিনে আবার চূড়ান্ত ফিল্টার থাকে। আবার কখনও কখনও ফিল্টার পানির কণাগুলিকে আলাদা করতে পারে।
সাধারণত তিন পদ্ধতিতে জ্বালানি পরিষ্কার করা যায়। যথা-
১. শোষণ (Straining)
এটা এক প্রকার যান্ত্রিক পদ্ধতি। এর সাহায্যে অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর কণাগুলোকে স্ক্রীনের মাধ্যমে আটকানো যায়। এ স্ক্রীন আবার তারের জাল অথবা কাগজ ও কাপড়ের হতে পারে।
২. শোষন (Absorption)
এই পদ্ধতিতে শক্ত কণাগুলি এবং জল কণাগুলোকে ফিল্টার মাধ্যমের সাথে আটকানোর ব্যবস্থা থাকে। ইহাতে সাধারণত তুলা, সেলুলোজ ও দানা জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
৩. ম্যাগনেটিক পৃথকীকরণ
এই পদ্ধতিতে কাগজ ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে জ্বালানি হতে জলীয় কণা পৃথক করা যায়।
ডিজেল ইঞ্জিনের গভর্ণিং পদ্ধতি (Governing System of Diesel Engine)
ট্রাক্টর ও বিভিন্ন প্রকার ডিজেল ইঞ্জিন চালিত গাড়ীতে গভর্ণর ব্যবহৃত হয়। ঐ সমস্ত ইঞ্জিনের গতিবেগের সমতাবিধান করাই হল গভর্ণরের কাজ। বোঝাহ ইঞ্জিনের ঘূর্ণন গতির যাতে কোন পরিবর্তন না হয়, সেজন্য গভর্ণর ব্যবহৃত হয়। ইঞ্জিনের উপর বোঝা বাড়লে হঠাৎ এর ঘূর্ণন গতি কমে যেতে পারে এবং বোকা সরালে ঘূর্ণন গতি বেড়ে যেতে পারে। সেই সময়ের জন্য বৈদ্যুতিক জেনারেটরকে এবং ঘূর্ণন গতিতে রেখে উৎপাদিত ভোল্টেজ ঠিক রাখাও গভর্ণিং পদ্ধতির কাজ। ইঞ্জিন কাজ করবার সময় গভর্ণরকে চালিত করে আপনা আপনি বোঝা অনুযায়ী কম বা বেশি জ্বালানি সিলিন্ডারে সরবরাহ করে। কম জ্বালানিত কম ঘূর্ণন; বেশি জ্বালানিতে বেশি ঘূর্ণন গতি বজায় রাখে। আবার গতিবেগ বেশি হতে থাকলে কম পরিমাণ জ্বালানিকে আস্তে আস্তে উহার দ্বার বাড়িয়ে
সমতাবিধান করা হয়। গভর্ণর সাধারণত তিন প্রকার
১০ সেন্ট্রিফিউগ্যাল বা যান্ত্রিক গভর্ণর
২০ হাইড্রলিক গর্ভর্ণর ৩] বায়ুশূন্য গভর্ণর
অনুশীলনী। ডিজেল ও পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ পদ্ধতির মধ্যে কী ধরনের পার্থক্য রয়েছে?
পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ পদ্ধতির প্রধান যন্ত্রাংশ হল কার্বুরেটর। এটি একটি জ্বালানি পরিমাপক ও মিশ্রণ যন্ত্র। কার্বুরেটর নিম্নলিখিত কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে।
তরল জ্বালানি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় রূপান্তরিত করা।
জ্বালানির অনুকে বাষ্পে পরিণত করা।
বাষ্পীয় জ্বলানিকে সঠিক অনুপাতে বায়ুর সাথে মিশ্রিত করা।
ইঞ্জিনের বোঝা ও গতি অনুসারে জ্বালানির মিশ্রণ প্রজ্বলন প্রকোষ্ঠে যথারীতি ও সঠিক পরিমাণে সরবরাহ করা।
কার্বুরেটরের কার্যপদ্ধতি
প্রথমে ফুয়েল ট্যাংক থেকে জ্বালানি লাইনের মাধমে ফ্লোট চেম্বারে প্রবেশ করে। ফুয়েল ট্যাংক থেকে জ্বালানি ফ্লেট চেম্বারে প্রবেশ করার সাথে সাথে ফ্লোটটি ওপরে উঠতে থাকে। ফুয়েলের ওপরের স্তর একটি নির্দিষ্ট সীমায় পৌছলে ফ্লোটের সাথে সংযুক্ত নিড়ল ভালভ দিয়ে ফুয়েল লাইন বন্ধ হয়ে যায়।
তখন আর ফ্লোট চেম্বারে জ্বালানি প্রবেশ করতে পারে না। ফ্লোট চেম্বারের ফুয়েল ইঞ্জিন কর্তৃক ব্যবহৃত হবার সাথে সাথে ফুয়েলের পরিমাণ কমতে থাকে এবং ফুয়েল কমার সাথে সাথে ফ্লোট নিচে নেমে আসে। ফলে নিল ভালভ খুলে যায় এবং চেম্বারে ফুয়েল আসতে থাকে। অন্যদিকে এয়ার ভেন্ট ফ্লোট চেম্বারের সমতুল্য চাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শোষন ধাপের সময় সিলিন্ডারে আংশিক শুন্যতার সৃষ্টি হয়। এ শুন্যতা পরণের জন্য এয়ার ক্লিনার হতে পরিষ্কার বায়ু কার্বুরেটরে প্রবেশ করে। বায়ু ভেনচুরির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় প্রটে এর বেগ বেড়ে যায়। কারণ একই পরিমাণ বায়ু ভেনচুরির ক্ষুদ্রতম প্রস্থচ্ছেদের ভেতর দিয়ে যাবার সময় এর গতিশক্তি বৃহত্তম প্রস্থচ্ছেদের তুলনায় বড়ে যায়। পক্ষান্তরে এর চাপ কমে যায়। আবার ফ্লোট চেম্বারের ঢাকনা প্লেটে একটি ছিদ্র থাকে যার মাধ্যমে এর ভেতরের জ্বালানির উপর বাইরের বাতাস চাপ প্রয়োগ করে। এ কারণে ফ্লোট চেম্বারে অবস্থিত জ্বালানির উপর চাপ ও ভেনচুরিতে (নজলে) অবস্থিত জ্বালানির উপর চাপের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। চাপের এ পার্থক্যকে ইনটেক ডিপ্রেশন বলে। এর ফলে জ্বালানি ঘুটে অবস্থিত নজল দিয়ে ভেনচুরিতে প্রবেশ করে। ভেনচুরি অঞ্চলে বায়ু প্রবাহের নিচাপ ও উচ্চ গতির প্রভাবে ফুয়েল কণাগুলো বাষ্পীয় আকার ধারণ করে এবং বায়ুর সাথে মিশ্রিত হয়। তারপর এ বায়ু ও ফুয়েলের মিশ্রণ ইনলেট মেনিফোন্ডে প্রবেশ করে এবং এ প্রবেশ থ্রটল ভাল্ভ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনলেট মেনিফোন্ড হতে মিশ্রণ সিলিন্ডারে প্রবেশ করে। এই জ্বালানি ইঞ্জিনের প্রজ্বলন প্রকোষ্ঠে স্পার্ক প্লাগের সাহায্যে প্রজ্বলিত ও দগ্ধ হয় একসিলেটরের সাহায্যে ধ্রুট ভাল্ভ ঘুরিয়ে প্রবেশ ঢিউবের প্রস্থচ্ছেদ কমানো ও বাড়ানো যায়। যাহার ফলে ইঞ্জিনের গতি ও জ্বালানি সরবরাহের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয়।
১. বায়ু পরিষ্কারক যন্ত্র হতে পরিষ্কার বাতাস, ২. পরিস্কার বাতাস, ৩. চোক, ৪. ভেনচুরি, ৫. জেট, ৬. ফ্লোট, ৭. নিজল ভালভ, ৮. জ্বালানি প্রবেশ পথ, ৯. ফ্লোট লিভার, ১০. ফ্রেটি চেম্বার, ১১. বায়ু ও জ্বালানির মিশ্রণ, ১২. থ্রটল, ১৩. বায়ু ও জ্বালানির মিশ্রণ (কম্বাশন চেম্বারে)
সাধারণত ১ ভাগ পেট্রোলের সঙ্গে ১৩.১৫ ভাগ বায়ু (১৩৪১ বা ১৫ঃ১) মিশ্রিত হয়ে যে মিশ্রণ তৈরি করে একে যথার্থ মিশ্রণ (Proper Mixture) বলে। কিন্তু যে মিশ্রণে বায়ুর পরিমাণ কম থাকে অর্থাৎ বায়ু ও পেট্রোলের অনুপাত ৮:১ থাকে একে গাড় মিশ্রণ (Rich Mixture) বলে। আবার যে মিশ্রণে বায়ুর পরিমাণ বেশি থাকে অর্থাৎ বায়ু ও পেট্রোলের অনুপাত ২০৪১ থাকে একে পাতলা মিশ্রণ (Lean Miture) বলে। ইঞ্জিনের গতি এবং ক্ষমতা বায়ু ও জ্বালানি মিশ্রণের অনুপাত, মিশ্রিত জ্বালানির প্রবাহ, ঘনত্ব ও এর ব্যবহারিক গুণাবলীর উপর নির্ভর করে। বায়ু ও জ্বালানির মিশ্রণ বিভিন্ন অনুপাতে তৈরি করার জন্য সাধারণ কার্বুরেটর (Simple Carburetor) কমপেনসেটিং জেট টাইপ কার্বুরেটর (Companseting Jet Type Carburetor) এবং প্লেইন টিউব এয়ার ব্লিড টাইপ কার্বুরেটর (Plain Tube Air Bleed Type Carburetor) ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
পেট্রোল ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ পদ্ধতিতে কার্বুরেটর ছাড়াও তেলাধার, ছাঁকনি, কোন কোন ক্ষেত্রে জ্বালানি পাম্প এবং বায়ু পরিষ্কারক থাকে।
বায়ু পরিষ্কারক যন্ত্র (Air Cleaner)
ধুলাবালি ও অন্যান্য ক্ষতিকারক বস্তু যাতে বায়ুর সাথে ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাঘ্র পরিষ্কারক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
ইঞ্জিনের সন্তোষজনক ও দীর্ঘ মেয়াদী কাজের জন্য পরিষ্কার বায়ুর প্রয়োজন। ধুলাবালি ও অন্যান্য ক্ষতিকারক বস্তু যাতে বায়ুর সাথে ইঞ্জিনে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বায়ু পরিষ্কারক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এটি অপরিষ্কার থাকলে কম পরিমাণ বায়ু ইঞ্জিনে প্রবেশ করে। ফলে ইঞ্জিনের কার্য দক্ষতা কমে যায়। প্রবেশ ভালভ ও পিস্টন রিংয়ের ক্ষয়সাধন, নানা প্রকার কালো ধোঁয়া ও ময়লা জ্বালানির অসম্পূর্ণ দহন ইত্যাদির জন্য অপরিষ্কার বায়ু ও জ্বালানি সম্পূর্ণভাবে দায়ী। বায়ু পরিষ্কার করবার জন্য সাধারণত তেলসিক্ত ও শুষ্ক ছাঁকনি বা বায়ু পরিষ্কারক যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। এগুলো প্রায় ৯৫% ময়লা পরিষ্কার করতে পারে।
যেহেতু তেলের পাত্রে ধুলা-বালি ও ময়লা জমিতে থাকে, তাই ইহার ভিতরকার তেল প্রতি ১০ ঘন্টা কাজের পর পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
তেলসিক্ত ছাঁকনিতে বায়ু প্রথমে প্রি-ক্লিনারে প্রবেশ করে। এখানে বায়ুর ঘুর্ণনের ফলে অপেক্ষাকৃত বড় বড় কণাগুলি ময়লা নির্গমন পথ দিয়ে বাহিরে চলে যায়। দ্বিতীয় ধাপে বায়ু একটি নল ও পাত্রের ভিতর পিচ্ছিলকারক তেলের মধ্য দিয়ে যাবার সময় ধুলা-বালি ও ময়লাদি তেলে আটকা পড়ে। এ ভাবে পরিষ্কার বায়ু রবার টিউবের মাধ্যমে প্রবেশ মেনিফোন্ড এবং ইঞ্জিনে প্রবেশ করে। যেহেতু তেলের পাত্রে ধুলা-বালি ও ময়লা জমিতে থাকে, তাই ইহার ভিতরকার তেল প্রতি ১০ ঘন্টা কাজের পর পরিবর্তন করা প্রয়োজন। যদি বায়ুতে ধুলা-বালির পরিমাণ কম থাকে তবে তেলের পাত্রে ৩-৬ মিঃ
মিঃ ময়লা জমলে তেল পরিবর্তন করা উচিৎ। অন্ত তঃঃপক্ষে প্রতি এক বৎসর পর পর সমস্ত ছাঁকনিটি পরিষ্কার করে পুনরায় পাত্রটি তেল দ্বারা পূর্ণ করা প্রয়োজন। দৃষ্টি রাখতে হবে যেন পাত্রে সব সময় পরিমাণ মত তেল থাকে।
শুষ্ক বায়ু পরিষ্কারক যন্ত্রে পাত্রের ভেতরে
পিচ্ছিলকারক তেল দিয়ে সিক্ত তারের জাল থাকে। বাইরের অপরিষ্কার বায়ু এর ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলা-বালি ও ময়লাদি তেলে আটকিয়ে যায়। এ প্রকার ছাঁকনি সাধারণতঃ স্থায়ীভাবে স্থাপিত ছোট ইঞ্জিনে ব্যবহৃত হয়। এর যন্ত্রাংশগুলো বায়ু প্রবাহ এবং কেরোসিন দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
![]() |
ইনজেক্টর নজল (Injector Nozzle) বিষয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন