এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি নাম সুলতানা রাজিয়া।,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া ৭77

 ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি নাম সুলতানা রাজিয়া। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক। যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈনিক হিসেবে তার ছিল সুখ্যাতি। সুলতানা রাজিয়া জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১২০৫ সালে। দৃপ্ত কঠিন ক্ষণজন্মা এই নারীর জীবন প্রদীপ নিভে গিয়েছিল ১২৪০ সালে। রাজকার্য পরিচালনার জন্য নামের আগে সুলতানা না হয়ে সুলতান হওয়াই হয়তো যুক্তিযুক্ত ছিল। সুলতানা রাজিয়ার বাবা শামস-উদ-দীন ইলতুিমশ ছিলেন দিল্লির সুলতান। ১২১০ সাল থেকে ১২৩৬ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমলে ইলতুিমশ নিজেও একজন দক্ষ শাসকের খ্যাতি অর্জন করেন। বিভিন্ন অঞ্চলের বিক্ষোভ, বিদ্রোহ দমন করা ছিল তার কাজ। মৃত্যুর আগে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনয়নের বিষয়ে সুলতান ইলতুিমশ চিন্তায় পড়ে যান। কারণ ইতিমধ্যে তার বড় ছেলে নাসিরুদ্দিন মাহমুদ মারা গেছেন। সুলতান নিজ সন্তানদের মধ্যে নাসিরুদ্দিনের ওপর বেশি ভরসা করতেন। বাকি যে দুই ছেলে আছেন তাদের কেউই সিংহাসনে বসার যোগ্য ছিলেন না। এমন অবস্থায় চিন্তায় পড়ে গেলেন সুলতান। এরই মধ্যে তার জ্যেষ্ঠ মেয়ে রাজিয়া বেশ বুদ্ধিমতী, চৌকস, প্রজাপ্রীতি ও যুদ্ধকৌশল শিখে গেছেন। তখন রাজ্য চালানোর দায়িত্ব মেয়ে সুলতানার ওপর দিয়ে নির্ভার হন।


ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর নারীবিদ্বেষী আমির-ওমরাহগণ রাজিয়ার বিরোধিতা শুরু করেন। তাদের যুক্তি হলো, ইলতুৎমিশের পুত্র থাকার কারণে কন্যা উত্তরাধিকারী হতে পারে না। উত্তরাধিকারসূত্রে জেষ্ঠ্য পুত্র সিংহাসনে স্থলাভিষিক্ত হন। কিন্তু সুলতান ইলতুৎমিশ উইলে রাজিয়াকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করায় তার ভাইয়েরা কোন আপত্তি করতে পারেননি। কিন্তু নারী শাসনের বিরোধী আমির-ওমরাহগণ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। ফলে রাজিয়া তার অধিকার ছেড়ে দেন। তার সৎভাই রুকুনুদ্দিনকে সুলতান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। রুকুনুদ্দিন রাজকার্যে অবহেলা করে বিলাসিতায় দিন যাপন করতে থাকেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলে আমির-ওমরাহগণ রাজিয়াকে সুলতানা হিসেবে মেনে নিতে রাজি হলেন। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করে রুকুনুদ্দিনের মা রাজিয়াকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। এই ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর সভাসদেরা রাজিয়া সুলতানার প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেন।

১২৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজিয়া সুলতানা সিংহাসনে বসেন। রাজিয়া একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ শাসক ছিলেন। তার সময়ে দাসবংশের শাসনকাল খুব সুদৃঢ় হয় এবং রাজ্যের সর্বত্র শান্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করে। তার সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি সাধিত হয়। তিনি যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ করেন। রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষ লাগানো হয় এবং পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য কুয়ো খনন করা হয়। তিনি সাহিত্যিক, শিল্পী ও কারিগরদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। তার শাসনামলে সঙ্গীত ও চিত্রকলারও প্রভূত বিকাশ সাধিত হয়। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বিদ্যোৎসাহী ছিলেন এবং নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি কবি ছিলেন এবং কুরআন পাঠ করতে পারতেন।

রাজিয়া সুলতানা অন্তঃপুরিকা ছিলেন না। তিনি প্রকাশ্য দরবারে রাজকীয় পোশাক পরিধান করে সিংহাসনে আরোহন করতেন। তিনি কোন ঘোমটা ব্যবহার করতেন না। পুরুষের বেশে তিনি আলখাল্লা এবং পাগড়ি পরে জনসম্মুখে আসতেন। তিনি সভাসদ, আমির-ওমরাহদের রাজ্য শাসন প্রসঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করে আইন বা নির্দেশ জারি করতেন। তিনি দক্ষ অশ্বারোহী ছিলেন এবং বর্ম ও শিরস্ত্রাণ পরে যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। দুর্ভাগ্যবশত রাজিয়া সুলতানার খোলামেলা রাজকীয় আচার-আচরণ রক্ষণশীল আমিরগণ মোটেই পছন্দ করতেন না। তিনি খুবই উদার ও জনদরদি শাসক ছিলেন। তিনি হিন্দুদের ওপর অর্পিত বর্ধিত কর বিলোপ করেন; কিন্তু তার এই পদক্ষেপ অনেক আমির মোটেও পছন্দ করেননি।

রাজিয়া সুলতানা জামালুদ্দিন ইয়াকুত নামের অতুর্কি বংশোদ্ভুত এক ব্যক্তিকে পছন্দ করতেন এবং তাকে আস্তাবলের প্রধান নিযুক্ত করেন। এই পদটি তুর্কি বংশোদ্ভূত কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট ছিল। ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, জামালুদ্দিনের প্রতি রাজিয়ার এমন দুর্বলতা ছিল যে, তিনি শাসনকার্য পরিচালনায় কেবলই তার পরামর্শ গ্রহণ করতেন। অনেকে তাকে রাজিয়া সুলতানার প্রেমিক বলে অভিহিত করেন। জামালুদ্দিন ইয়াকুতের প্রতি মাত্রাধিক দুর্বলতা ও তাকে অধিক সুযোগ-সুবিধা দানের জন্য আলতুনিয়া নামের একজন গভর্নর রাজিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেন। জামালুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে রাজিয়া সুলতানা অশ্বপৃষ্ঠে চেপে যুদ্ধযাত্রা করেন। কিন্তু বিদ্রোহী দলে অধিকসংখ্যক সৈন্য জামালুদ্দিন ও রাজিয়া পরাজিত হন। জামালুদ্দিন যুদ্ধে নিহত হন এবং রাজিয়া আলতুনির হাতে বন্ধি হন। দিল্লিতে আমির-ওমরাহগণ রাজিয়ার এই বিপর্যয়ের সংবাদ পেয়ে তার সৎভাইকে সুলতান হিসেবে ঘোষণা দেন। এদিকে বন্ধি অবস্থায় রাজিয়া আলতুনিয়াকে বিয়ে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১২৪০ খ্রিষ্টাব্দে নিজের এবং আলতুনিয়ার সৈন্যবাহিনীসহ রাজকীয় বাহিনী দিল্লি অভিমুখে যাত্রা করেন। কিন্তু দিল্লির উপকণ্ঠে নতুন সুলতানের বাহিনীর সঙ্গে আলতুনিয়া ও রাজিয়ার বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে রাজিয়া পরাজিত ও নিহত হন। এজন্য রাজিয়াকে বীর রানী বলা যায়। দিল্লির উপকণ্ঠে একটি সমাধি নির্মাণ করে সুলতানা রাজিয়াকে সমাহিত করা হয়।


১২৩৬ সাল থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত মোট চার অথবা সাড়ে চার বছর রাজিয়া ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন। ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ ইতিহাসের ভিড়ে এই সময়টুকুর কথা হয়তো তেমন আলোচনাতেই আসতো না। কিন্তু সম্রাজ্ঞী রাজিয়া সুলতানা নিজ যোগ্যতাবলেই এই সময়টুকুকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পেরেছিলেন। ভারতবর্ষের প্রথম নারী সুলতান হিসেবে অবশ্যই তিনি নিজেকে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছেন। কারণ একজন নারী হিসেবে তিনি যে সময় সিংহাসনে বসেছিলেন, সে সময় তা কল্পনাও করা যেতো না। ইসলাম ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে যে কয়জন নারী খুব বেশি আলোচিত হন, রাজিয়া সুলতানা তাদের মধ্যে অন্যতম, যিনি শুধুমাত্র নিজ যোগ্যতাবলে ভারতবর্ষের পরাক্রমশালী সব রাজা, মহারাজা, বাদশাহ আর সম্রাটদের পাশে নিজের অবস্থান গড়ে নিতে পেরেছিলেন। আর তাই ভারতবর্ষের শাসকদের তালিকায় আজও তার নামটি নক্ষত্রের মতই জ্বলজ্বল করছে।


শাসক হিসেবে কেমন ছিলেন রাজিয়া? এ প্রশ্নের উত্তরে দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, তিনি একাধারে একজন দক্ষ প্রশাসক আর সেনাপতি হিসেবে নিজের গুরুত্ব তুলে ধরতে পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মেধাবী, বুদ্ধিমতী, রূপবতী এবং পরিশ্রমী। পিতা ইলতুৎমিশ যখন যুদ্ধের জন্য রাজধানী ত্যাগ করতেন, তখন মূলত রাজ্য পরিচালনা করতেন তার কন্যা এই রাজিয়াই। সত্যিকার অর্থে রাজপরিবারে সেই সময় রাজিয়ার চেয়ে যোগ্য আর দক্ষ কেউ ছিলেন না। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রেও নিজের সাহসিকতা প্রদর্শন করতে পেরেছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে হাতির পিঠে চড়ে একেবারে সামনে থেকে তিনি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতেন।


তার মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েকটি কথা রয়েছে। একটি পক্ষ দাবি করেছেন, ১২৪০ পলায়নকালে তার একজন ভৃত্য যে কিনা এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাকে খাদ্যে বিষ দিয়ে হত্যা করে। এই ভৃত্যই তাকে আশ্রয় দিয়েছিল।


আরেকটি পক্ষ দাবি করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাজিয়া এক কৃষকের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি ঘুমালে কৃষক তার শরীরে


রাজকীয় পোশাক দেখতে পায়। পোষাকে প্রচুর রত্ন লাগানো ছিলো। কৃষক সহজেই বুঝে যায় তাঁর সামনে ঘুমিয়ে থাকা নারী সাধারণ কেউ নন। কৃষকটি ধন-সম্পদের লোভে পড়ে ঘুমন্ত রাজিয়াকে হত্যা করে এবং রত্ন নিয়ে পালিয়ে যায়।


সৌজন্যে – ইতিহাসের পাতা


হাইওয়ে পুলিশের কথা ২০২৪ ঈদ উপলক্ষে

 যারা ঈদে বাড়ি ফিরবেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা। সম্প্রতি একটা কেমিক্যাল এর ব্যবহার তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে কিছু অসৎ মানুষের হাতে পড়েছে। কেমিক্যাল টার নাম হচ্ছে স্কোপোলামিন। এটা সাধারণত সাড়ে তিন ফিট দূর থেকেও বাতাসের মাধ্যমে একজন মানুষকে আসক্ত করতে পারে। এই কেমিক্যালটা আমাদের ন্যাসাল রুটের মাধ্যমে যখন ভেতরে প্রবেশ করে তখন মানুষের মস্তিষ্কের প্রাইমারি ইনিশিয়াল স্টেজ অফ থিংকিং সহজ বাংলায় বললে মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যে কারণে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সামনে থাকা মানুষের নাচের পুতুলে পরিণত হয়। তখন আপনাকে ওই লোক যা কমান্ড দেবে আপনি সেটাই করবেন। এটা থেকে বাঁচতে আমি কিছু বিষয়ের কথা বলছি এগুলো মাথায় রাখবেন।


১. অপরিচিত কারো থেকে কোন কিছু খাবেন না সে যত ভালই মনে হোক না কেন।


২. সব সময় মাস্ক পরবেন।


৩. আপনার মুখের সামনে অপরিচিত কোন লোকের হাত আনতে দিবেন না হাতটা আপাত দৃষ্টিতে খালি মনে হলেও।


৪. যেন তারা লোকের কাছ থেকে মাস্ক কিনবেন না।


৫. একা যাত্রী হয়ে কোন গাড়িতে উঠবেন না।


৬. সিটে অথবা সিটের আশেপাশে পড়ে থাকা পানি কখনোই চোখে মুখে দিবেন না।


৭. অপরিচিত কোন লোক আপনার এড্রেস জানার জন্য কোন কাগজ হাতে দিতে চাইলে সেটা ধরবেন না।


৮. কোন কাগজ ঠিকানা দেখার বাহানা করে আপনার চোখের সামনে আনতে দেবেন না।


৯. গাড়ির ভেতরে কেউ আপনাকে মুখ দিয়ে বাতাস করার সাথে সাথে চিৎকার করে উঠবেন। আশেপাশে থাকা সবাইকে অবহিত করবেন যে আমি যদি অজ্ঞান হয়ে যাই তার জন্য আমার এই পাশে বসা লোক দায়ী।


১০. দেখতে একেবারে হুজুর, দেখে মনে হবে মৃত্যুর পরে ১০ হাজার ফেরেশতা ওনাকে গার্ডও বনা দেবে এরকম কোন লোক ইফতারের সময় ইফতার অথবা খেজুর দিলে খাবেন না। অনেক সময় মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য ছোলা এবং মুড়ির ভেতরে কোন কিছু দেওয়া থাকে না। সেটা আগে নিজেরা খেয়ে মানুষকে বিশ্বাস অর্জন করে ওটার মাঝখান দিয়ে হয়তো খেজুর অথবা পানির ভেতরে কিছু দিয়ে দিতে পারে।


১১. গাড়ির ভেতরে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না মনে রাখবেন গাড়ি থেকে নেমে গেলেই আপনাদের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাবে তার চাইতে ভালো গাড়ির ভেতরে বন্ধুত্ব নাই হোক।

১২. মাস্ক বিষয়ে সতর্ক হবেন অবশ্যই কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করবেন


১৩. আমার মোবাইলে ঘড়ির টাইমটা একটু ঠিক করে দেন এ কথা বলে হাতে কোন মোবাইল দিতে চাইলে সেটা নিবেন না। কারন স্কোপোলামিন আপনার হাতে লাগলে আপনি মনের অজান্তেই কখনো মুখের কাছে নেবেন এটা একটা স্বাভাবিক। আর ওটার জন্যই ফাঁদ পেতে ওয়েট করবে ওই লোক।



এই গাছ চাষ করুন আর হয়ে যান কোটিপতি!,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 আর নয় চাকুরি অথবা ব্যবসা, এই গাছ চাষ করুন আর হয়ে যান কোটিপতি!

জেট্রোফা গাছ। বিশেষ এই গাছের বীজ থেকে বায়ো ডিজেল পাওয়া যায়। 

উর্বর, অনুর্বর যে কোনো জমিতে এই গাছের বীজ বপন করতে হবে। এরপর এই জেট্রোফা গাছকে চাষ করতে হবে। এর জন্য খুব বেশি লাঙল, সেচ ও অর্থের প্রয়োজন হয় না। এর বীজও বাজারে বেশ সহজলভ্য। একবার এই গাছটি বপন করা হলে প্রথম ৪ থেকে ৬ মাসই প্রয়োজন হয় এই গাছ যত্নের। এরপর যখন গাছ হয়, তখন এটি বছরের পর বছর ধরে বীজ দিতে থাকে।

আর এই বীজ থেকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ তেল বের করা যায়। এরপর এই জেট্রোফা বীজ থেকে প্রাপ্ত তেলের প্রায় ১৮ শতাংশের সঙ্গে প্রকৃত ডিজেল মিশিয়ে তৈরি করা হয় ‘বায়ো ডিজেল’। বিশেষ এই বায়োডিজেল হল প্রচলিত বা ‘জীবাশ্ম’ জ্বালানির বিকল্প জ্বালানি। এই বায়োডিজেল এক দিকে যেমন পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকারক নয় তেমনি অন্যদিকে এর চাহিদাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই এই চাষ কর আপনি ডিজেল বানিয়ে লিটার হিসেবে বিক্রি করে এক বিঘা জমি হতে নিট তিন লাখ টাকা লাভ করতে পারেন।



মুসলিম সম্প্রদায় কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 মুসলিম সম্প্রদায় কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) সুন্নী মুসলমান

২) শিয়া মুসলমান

৩) খাওয়ারিজ মুসলমান

আবার সুন্নীকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) হানাফী মুসলমান

২) Hanbali মুসলমান

৩) Maliki মুসলমান

৪) Shafii মুসলমান

শিয়া সম্প্রদায়ের কে ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

১) Isma Ilism মুসলমান

২) Jafri মুসলমান

৩) Zaidiyyah মুসলমান

শিয়া সম্প্রদায় থেকে বিভক্ত 

Isma Ilism  মুসলমান সম্প্রদায়কে

 কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) Sevener মুসলমান

২) Nizari মুসলমান

৩)  Mustali মুসলমান

Isma Llism থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া 

Sevener 

Nizari 

Mustali

এদের কেও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) Sevener মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Qaramita মুসলিম সম্প্রদায়।

২) Nizari মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Druze মুসলিম সম্প্রদায়।

৩) Mustali মুসলিম সম্প্রদায়ের নিচে হচ্ছে Tyyibi মুসলিম সম্প্রদায়।

শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের ২ নং বিভক্ত Jafri কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে

১)  Twelver মুসলিম সম্প্রদায়

২) Alawi মুসলিম সম্প্রদায়

৩) Alevi মুসলিম সম্প্রদায়

শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া Jafri আবার Jafri থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়া Twelver সম্প্রদায় কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) Akbari মুসলিম সম্প্রদায়

২) Usuli মুসলিম সম্প্রদায়

শিয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের তৃতীয় বিভক্ত হলো

১) Zaidiyyah মুসলিম সম্প্রদায়

ইসলামের তৃতীয় বিভক্ত সম্প্রদায় হচ্ছে

১) Khawarji মুসলিম সম্প্রদায়

Khawarji সম্প্রদায়কে একটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে

১) Ibadiyya মুসলিম সম্প্রদায়

Ibadiyya সম্প্রদায় কে আবার ২ ভাগে ভাগ হয়েছে।

১) Nukkur মুসলিম সম্প্রদায়

২) Azzabas মুসলিম সম্প্রদায়

সর্বমোট ২৩ টি বিভক্ত সম্প্রদায় 


আলহামদুলিল্লাহ।


সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ৩১-০৩-২০২৪ ।,,,,

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ৩১-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


এবারের ঈদ-উল-ফিতরের জন্য শেষ হলো ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি - ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা পদক্ষেপ সরকারের।


আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না এমপিরা - বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।


তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের আরও ৩ সেনাসদস্য, শিগগিরই সেদেশের সকল সামরিক সদস্যকে নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে - জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 


পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ভাঙ্গা-রূপদিয়া রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু। 


গাজায় যুদ্ধ বিরতির জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বিবৃতির পর আজ কায়রোতে পুনরায় শুরু হচ্ছে ইসরাইল-হামাস বৈঠক।


ঢাকায় বাংলাদেশ ও সফররত অষ্ট্রেলিয়া নারী দলের মধ্যে ৩ ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ।

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ৩০-০৩-২০২৪ ।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ৩০-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


সারাদেশে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা - আজ শেষ হচ্ছে ঈদে ঘরমুখী ট্রেন যাত্রার অগ্রিম টিকেট বিক্রি - তেসরা এপ্রিল থেকে মিলবে ফিরতি যাত্রার টিকেট।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‍উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে - বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।


মু্ক্তিযোদ্ধার ছদ্মবেশে পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছেন জিয়াউর রহমান - মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


জুন মাসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে দশ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে - জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। 


ভুটানের রাজার আমন্ত্রণে সেদেশে সফর করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।


গাজায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ৭১ জন ফিলিস্তিনী নিহত।


আজ চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যেকার দ্বিতীয় ও শেষ ক্রিকেট টেস্ট।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

নার্গিস কে লেখা কাজী নজরুল ইসলাম এর চিঠি ,,,,,,,। ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 নার্গিস কে লেখা কাজী নজরুল ইসলাম এর চিঠি


কল্যাণীয়াসু,


♥️তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নব বর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে। মেঘ মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল। পনের বছর আগে এমনি এক আষাঢ়ে এমনি এক বারিধারায় প্লাবন নেমেছিল, তা তুমিও হয়তো স্মরণ করতে পারো। আষাঢ়ের নব মেঘপুঞ্জকে আমার নমস্কার। এই মেঘদূত বিরহী যক্ষের বাণী বহন করে নিয়ে গিয়েছিল কালিদাসের যুগে, রেবা নদীর তীরে, মালবিকার দেশে, তার প্রিয়ার কাছে। এই মেঘপুঞ্জের আশীর্বাণী আমার জীবনে এনে দেয় চরম বেদনার সঞ্চার। এই আষাঢ় আমায় কল্পনার স্বর্গলোক থেকে টেনে ভাসিয়ে দিয়েছে বেদনার অনন্ত স্রোতে। যাক, তোমার অনুযোগের অভিযোগের উত্তর দেই। তুমি বিশ্বাস করো, আমি যা লিখছি তা সত্য। লোকের মুখে শোনা কথা দিয়ে যদি আমার মূর্তির কল্পনা করে থাকো, তাহলে আমায় ভুল বুঝবে-আর তা মিথ্যা।


তোমার উপর আমি কোনো ‘জিঘাংসা’ পোষণ করিনা-এ সকল আমি অন্তর দিয়ে বলছি। আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি অসীম বেদনা! কিন্তু সে বেদনার আগুনে আমিই পুড়েছি, তা দিয়ে তোমায় কোনোদিন দগ্ধ করতে চাইনি। তুমি এই আগুনের পরশমানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না।


আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না।তোমার যে কল্যাণ রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালবাসার আঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে। অন্তরের সে আগুন-বাইরের সে ফুলহারকে স্পর্শ করতে পারেনি ।


তুমি ভুলে যেওনা আমি কবি, আমি আঘাত করলেও ফুল দিয়ে আঘাত করি। অসুন্দর কুৎসিতের সাধনা আমার নয়। আমার আঘাত বর্বর কাপুরুষের আঘাতের মতো নিষ্ঠুর নয়। আমার অন্তর্যামী জানেন (তুমি কি জান বা শুনেছ জানিনা) তোমার বিরুদ্ধে আজ আমার কোন অনুযোগ নেই, অভিযোগ নেই, দাবীও নেই।


তোমার আজিকার রূপ কি জানিনা। আমি জানি তোমার সেই কিশোরি মুর্তিকে, যাকে দেবীমূর্তির মতো আমার হৃদয় বেদীতে অনন্ত প্রেম, অনন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম। সেদিনের তুমি সে বেদী গ্রহণ করলেনা। পাষাণ দেবীর মতই তুমি বেছে নিলে বেদনার বেদিপাঠ … জীবন ভরে সেখানেই চলেছে আমার পূজা আরতি। আজকার তুমি আমার কাছে মিথ্যা, ব্যর্থ; তাই তাকে পেতে চাইনে। জানিনে হয়ত সে রূপ দেখে বঞ্চিত হব, অধিকতর বেদনা পাব, তাই তাকে অস্বীকার করেই চলেছি।


দেখা? না-ই হ’ল এ ধূলির ধরায়। প্রেমের ফুল এ ধূলিতলে হয়ে যায় ম্লান, দগ্ধ, হতশ্রী। তুমি যদি সত্যিই আমায় ভালবাস আমাকে চাও ওখান থেকেই আমাকে পাবে। লাইলি মজনুকে পায়নি, শিরি ফরহাদকে পায়নি, তবু তাদের মত করে কেউ কারো প্রিয়তমাকে পায়নি। আত্মহত্যা মহাপাপ, এ অতি পুরাতন কথা হলেও প্রেম সত্য। আত্মা অবিনশ্বর, আত্মাকে কেউ হত্যা করতে পারেনা। প্রেমের সোনার কাঠির স্পর্শ যদি পেয়ে থাকো, তাহলে তোমার মতো ভাগ্যবতী আর কে আছে? তারি মায়া স্পর্শে তোমার সকল কিছু আলোয় আলোময় হয়ে উঠবে।


দুঃখ নিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গেলেই সেই দুঃখের অবসান হয়না। মানুষ ইচ্ছা করলে সাধনা দিয়ে, তপস্যা দিয়ে ভুলকে ফুল রূপে ফুটিয়ে তুলতে পারে। যদি কোনো ভুল করে থাক জীবনে, এই জীবনেই তাকে সংশোধন করে যেতে হবে; তবেই পাবে আনন্দ মুক্তি; তবেই হবে সর্ব দুঃখের অবসান। নিজেকে উন্নত করতে চেষ্টা করো, স্বয়ং বিধাতা তোমার সহায় হবেন। আমি সংসার করছি, তবু চলে গেছি এই সংসারের বাধাকে অতক্রম করে উর্ধ্ব লোকে। সেখানে গেলে পৃ্থিবীর সকল অপূর্ণতা, সকল অপরাধ ক্ষমা সুন্দর চোখে পরম মনোহর মূর্তিতে দেখা যায়।


… হঠাৎ মনে পড়ে গেল পনর বছর আগের কথা। তোমার জ্বর হয়েছিল, বহু সাধনার পর আমার তৃষিত দুটি কর তোমার শুভ্র ললাট স্পর্শ করতে পেরেছিল; তোমার তপ্ত ললাটের স্পর্শ যেন আজো অনুভব করতে পারি। তুমি কি চেয়ে দেখেছিলে? আমার চোখে ছিলো জল, হাতে সেবা করার আকুল স্পৃহা, অন্তরে শ্রীবিধাতার চরণে তোমার আরোগ্য লাভের জন্য করুন মিনতি। মনে হয় যেন কালকের কথা। মহাকাল যে স্মৃতি মুছে ফেলতে পারলেন না। কী উদগ্র অতৃপ্তি, কী দুর্দমনীয় প্রেমের জোয়ারই সেদিন এসেছিল। সারা দিন রাত আমার চোখে ঘুম ছিল না ।


যাক আজ চলেছি জীবনের অস্তমান দিনের শেষে রশ্মি ধরে ভাটার স্রোতে, তোমার ক্ষমতা নেই সে পথ থেকে ফেরানোর। আর তার চেষ্টা করোনা। তোমাকে লিখা এই আমার প্রথম ও শেষ চিঠি হোক। যেখানেই থাকি বিশ্বাস করো আমার অক্ষয় আশির্বাদ কবচ তোমায় ঘিরে থাকবে। তুমি সুখি হও, শান্তি পাও, এই প্রার্থনা। আমায় যত মন্দ বলে বিশ্বাস করো, আমি তত মন্দ নই, এই আমার শেষ কৈফিয়ৎ।♥️


ইতি-

নিত্য শুভার্থী


পোস্টদাতা--( বিপাশা ইসলাম)

পেজ লিংক----👇👇👇👇👇

https://www.facebook.com/profile.php?id=100082696543842


ফেইসবুক থেকে নেওয়া 


গল্প-রিমুর জয়  পর্ব -১১ লেখক রিহান অরণ্য,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 গল্প-রিমুর জয় 

পর্ব -১১

লেখক রিহান অরণ্য 


দরজা খুলা রেখেই  আমি আমার জামাইর কাছে গেলাম,অনেক রাগ অভিমান জমা আছে আমার মনে কিন্তুু এখন যদি রাগ আর অভিমান দেখাতে যাই তাইলে হাইব্রিড মেয়েটা মনে করবে আমার জামাইর সাথে আমার মিল নাই,  তাই রাগ অভিমান ভুলে জামাইর বুকে শুয়ে গেলাম,হাইব্রিড মেয়েটা দরজার সামনে দিয়ে একবার যায় আর আসে, 


এই দিকে আমার জামাই আমাকে কাছে পয়ে মাতাল মতো অবস্থা, জরিয়ে ধরে পাগলের মতো চু'মু খেতে লাগলো, ওর পাগলামি দেখে আমি আর ঠিক থাকতে পারিনি ওঠে দরজা লাগিয়ে দিলাম,  যাতে শান্তি মতো আদর নিতে পারি,, এতোদিনের আদর হিসাব করে সুদেআসলে   পোষিয়ে নিয়েছি,   এক ঘন্টা পর দরজা খুলছি, বাহিরে তাকিয়ে দেখি  হাইব্রিড মেয়েটা  দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে কিছু বলে নি তারে দেখিয়ে তার সামনে প্লাজু ঠিক করতে লাগলাম, সে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,   কিছুই যেহেতু বলে না তাই আমি বললাম আমার জামাইর রুমে কিন্তুু যাবি না, জামাইটা আমার ঘুমাচ্ছে অনেক টা দুর্বল হয়ে গেছে, এতোদিনের খাবার একসাথে খাইছিতো তাই,, তার পরও হা'ইব্রিড মেয়েটা   কিছুই বলে না, 


আমি চলে আসলাম রুমে গোসল করবো এখন,  কিন্তুু ফোনটা খুঁজে পাচ্ছি না,  পরে মনে হলো ফোন তো আমার জামাই রুমে,তাই ফোন আনতে আবার জামাই ঘরে গেলাম, গিয়ে দেখি ওই মেয়ে আমার জামাইর রুমে বসে আছে খাটের কোনায়,  দেখেই আমার মাথা গরম হয়ে গেছে, আমি বললান তুই এনে কি করছ,দেহছ না বেচারা কান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছে, তুই আসলে কেন রুমে হা,,তর ও কি লাগবে নাকি এই বলে ওর হাত ধরে টান দিয়ে জামাইর কাছে নিয়ে গেলাম আর বললাম নে খা,  কি হলো দারিয়ে আছত কেন জ্বিবে পানি নিয়ে,   খা তুই,  কতো বড় সাহস এই সময় তুই রুমে ডুকলে,  এই সব বলতে বলতে জামাইর উপরে চাদর দিয়ে ওর  সবটা ডেকে দিছি,, আমার জামাইর একটা সবাব ঘুমালে ওটা হাতের মুঠোয় ধরে ঘুমিয়ে থাকে, হাইব্রিড মেয়েটা এতোক্ষণ খাটের কোনায় বসে বসে সব কিছু দেখছিলো,  তাই আবার বললাম খাবার জিনিস দেখলে জ্বিবে পানি চলে আসে  নাকি,, ওই আয় তরে চেক করমো আর কোন কোন জায়গায় পানি আসলো তর, এইবার আর দাঁড়িয়ে থাকেনি সোজা চলে গেছে ওর রুমে, আমি ফোনটা হাতে নিয়ে দরজা লাগিয়ে চলে গেলাম,, গোসল করে রুমে শুয়ে শুয়ে গান শুনতে ছিলাম আর আমি ও একটু একটু গাইতেছিলাম রোকসানা আন্টি এসে দেখে ফেলছে, আন্টি বলে কি রে রিমু তর মনে কি রং লাগছে নাকি,এতোদিন তো  অসুস্থ ছিলে, আমি বললাম আজকে ডক্টর মেডিসিন  দিছে তা ও ২ বার,  আন্টি বুঝতে পারেনি কি বলছি তাই বলে কখন গেলি ডক্টরের কাছে তুই না বলছোত তর জামাইর রুমে যাবি,, আর ডক্টরের কাছে যখন গেছোত আমাকে বলে যাইতে ২ টা গেস্টিকের বড়ি আনাতাম,  আমি বললাম,আবার গেলে আনমো নে,  এখন বলো কি রান্না করছো, আন্টি হাসি দিয়ে বললো আজকে চিংড়ি মাছ বোনা করছি তর যে প্রিয়ো এটা আমি জানি,,আমি বললাম আন্টি ভালো করছো শুধু আমার না আমার জামাইর ও প্রিয়ো,, 


দুপুর হয়ে গেলো জামাইটা এখনও ওঠলোনা,, বসে আছি জামাই রাইখা কমনে খাই,এই দিকে হিশাব নিকাশের সুদ তুলতে গিয়ে এখন খিদে ও পেয়েছে,   দূর আর ভালোলাগেনা  খাবার রুমে নিয়ে আগে খেয়ে নেই তার পর টেবিলে এসে বসে থাকমো জামাইর সামনে,  যখন বলবে কি হলো খাওনা কেন তখন বলবো খাবোনা, যদি জিজ্ঞেস করে কেন তখন বলবো তুমি খায়িয়ে দিলে খাবো, তখনতো হাইব্রিড মেয়েটার সামনে আমাকে ওর খায়িয়ে দিতে হবে, ওরে আল্লাহ হাইব্রিড মেয়েটা দেখতেছিনা গেলো কই আবার, 

আবার নি আমার সিন্ধুকে হাত দিতে গেলো এই বলে ওরে খুজতে লাগলাম কোথাও দেখিনা,   মনে মনে বলতে লাগলাম না আবার আমার সিন্ধুকে  তালা খোলার চেষ্টা করছে,  বেডা মানুষ ঘুমের মধ্যে  কাউকে পেলেই হয়,  নিজের বউ না অন্য মেয়ে সেটা তখন ওদের মাথায় আসে না, তাই দৌড়ে হেলাম আমার সিন্ধুকের ঘরে,  গিয়ে দেখি আমার জামাই তো ঘুমে, তাইলে হাইব্রিড গেলো কই তার রুমে ও তো নাই,,  


আন্টি, ওই আন্টি এই দিকে আসো, আন্টি বললো কি হইলো আমি বললাম আন্টি ওই মেয়েকে দেখতেছিনা যে, আন্টি বলে সে তো বাহিরে গেছে,   আমি বললাম বাহিরের কেন গেলো এই দূপুরে,, আন্টি বলে জানিনা আমি কিছু,  আমি বললাম জানতে হবে না এখন খাবার দাও আমার ঘরে, আন্টি বলে কেন টেবিলে খাবিনা আমি বললাম খিদে পেয়েছে আর ওই বেডা কখন ঘুম থেকে উঠে কে জানে, মনে মনে বলতে লাগলাম   ২ ম্যাচ খেলে এই অবস্থা, 😑


রুমে গিয়ে দূপুরের খাবার খেয়ে নিলাম,,  তার পর টেবিলে এসে চেয়ার উপরে পা রেখে বসে আছি, একটু পর মেয়েটা আসলো বাহির থেকে, হাতে কি জানি একটা আছে, 

ওর রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো, একটু পর আবার বের হলো, মনে হয় গোসল করছে, টেবলে এসে বসলো খাবার খাইতে, আমিই ওরে খাবার দিলাম সে খাইলো খাবার সময় একটা কথা ও বললো না,৷ খাবার শেষ করে আবার সে তার রুমে চলে গেলো,  মনে মনে ভাবলাম মেয়েটা যদি এই ভাবে থাকতো তাইলে ওর লগে আমার ঝগড়া করা লাগতোনা,,

আবার বসে রইলাম কিন্তুু ওনি আসলো না খেতে, 


দূর ওই বেডা আর কতো ঘুমায় না খেয়ে এটা বলতে বলতে আমার জামাই রুমে গেলাম, গিয়ে দেখি ওনি নাই রুমে, ওয়াশরুমের লাইট অন করা বুঝতে পারছি গোসল করতে গেছে,,    আমি ও রুম থেকে বের হয়ে খাবার রেডি করে দিলাম টেবিলে স্যার  আসলো খাবার খাইতে, আমি বসলাম অল্প একটু নিয়ে,না খেলে বেডায় নানান কথা জিজ্ঞেস করবে তার থেকে অল্প কয়ডা খাই,, 


খাবার শেষ করে  স্যারকে বললাম আমার টাকা লাগবে, অনেক কিছু কিনতে হবে স্যার বলে ঠিক আছে দিচ্ছি,এই বলে ওর রুমে গেলো, রুম থেকে বের হয়ে বলে এই নাও,


 আর রেডি হও একটু পর ডক্টর কাছে যাবো, 


আমি রেডি হয়ে আসলাম স্যার আমাকে নিয়ে ডক্টর কাছে গেলো,  স্যার চাইছিলো আল্টাসোনো করার জন্য, কিন্তুু ডক্টর বললো আরো ৪ সপ্তাহে পরে করেন তাইলে ভালো হবে,,তাই শুধু চেকাপ করে চলে আসলাম,,আসার সময় আমাকে মার্কেট নিয়ে গেছে এই প্রথম আমাকে সে শাড়ি কিনে দিছে আর মেক্সির কাপর,, 


 মার্কেট থেকে বাসায় চলে আসলাম,,   বাসায় এসে শাড়ি পরবো কিন্তুু ব্লাউজ নাই পেডি কোড নাই কিছু নাই কমনে পরি,  ইস ইচ্ছে ছিলো  শাড়ি পরে আজকে জমাইর লগে থাকবো তা আর মনে হয় হবে না,,    স্যার  আমাকে বাসায় দিয়ে আবার বাহিরে গেছিলো, এখনও ফিরে নাই,  এই দিকে আমরা রাতের রান্না ও রেডি করে ফেলছি,,  স্যার আসলো,  ফ্রেস হয়ে খাবার টেবিলে এসে খেতে বসলো সাথে ওই মেয়ে ও,, কোন কথা বলে না শুধু একবার বলছে  আমার জামাই কে আপনি চিটাগং কবে যাবেন, জামাই উত্তর দিলো ঠিক নাই,  তখন মেয়ে টা বললো যাবার সময় আমাকে নিয়ে যাবেন, 


খাবার শেষ করে ওরা যার যার রুমে চলে গেলো আমি খেয়ে  টেবিল পরিস্কার করে  রুমে গিয়ে আন্টিকে বললাম আন্টি তুমি ঘুমাও আমি জামাইর কাছে যাবো, আন্টি বলে ঠিক আছে তবে ওই ময়ে যেন টের না পায়,আমি বললাম ও  টের পেলেও সমস্যা নাই, আন্টি তো আর জানে না আজকের ঘটনা ওর লগে কি হইছে তাই বললো জেন হাইব্রিড টা টের না পায়, শাড়িটা হাতে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম, জামাই রুমে যাবো,  যাবার সময় ওই ময়ে দেখছে আমি যে স্যারের রুমে গেছি,, কিছু বলে নাই,, 


রুমে ডুকে পরনের কাপড় খুলে শাড়ি পরছি ব্লাউজ পেডি কোড ছাডাই,,  নতুন শাড়ি পরাতে জামাইর  আদর কতে একটু সমস্যা হচ্ছে তাই আর দেরি না  করে শাড়ি ও খুলে ফেলছি,,  এইবার কোন ঝামেলা নাই,,  আজকে কেন জানি আমার ও,,,,,৷ ৷৷৷৷,,,,,  তাই  আর দেরি না করে একবার শেষ করলাম তার পর ওর বুকে শুয়ে আমি জানতে চাইলাম কবে পাবো আমাদের অধিকার, স্যার  বলে আমাদের মানে আমি কি আরো বিয়ে করছি নাকি,, আমি বললাম আরে বেকুব আমাদের বলতে আমি আর আমার পেটের বাচ্চা, স্যার  বলে ও আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম,,  আমি বললাম ভয় কেন বিয়ে কি আরো করছো নাকি,স্যার বলে দূর কি যে বলো


আমার কথার উত্তর দাও কবে পাবো অধিকার, তখন স্যার বললো এই মূহুর্তে বিয়ের কথা বলা যাবে না কারণ আব্বু চিটাগং গেছে বড় ভাই কে ওই খানের জায়গা রেজিস্ট্রার করে দিতে, তার পর আমার পালা তার  মাঝে যদি ঝামেলা হয় তাইলে কিছুই পাবোনা,  তুমি আর কিছু দিন  অপেক্ষা করো,  আমি ওর বুকে শুয়ে কান্না করছি সে বলে , কি হলো কান্না করো কেন আমি তো আছি এই বলো শক্ত করে জরিয়ে ধরে আমাকে আদর দিতে লাগলো,, তার পর থেকে  

অনেক বার হইছে আমাদের,  আমার নারীত্বের প্রথম সুখ আজকেই পেলাম যে দিন বিয়ে হইছে সেই দিন থেকে টেনশনে ছিলাম স্যারের হলে ও আমার তেমন টা হয়নি কিন্তুু আজকে আমার মনের মতো করে  সব কিছু  নিছি,,


স্যারের রুমে গোসল করে সকাল সকাল বের হয়ে  গেছি রুম থেকে,   আন্টি রান্না করছে আমি গিয়ে ঘুমাইছি, রাতে তো ঘুমাতে পারিনি তাই নাস্তা না খেয়ে ঘুমাচ্ছি, 


 দূপুের আগে আগে আন্টি আমাকে ডেকে বলে তর জামাই লগে ওই মেয়ে কি নিয়ে জানি ঝগড়া করছে, এটা শুনে ওঠেই দৌড়ে গেলাম জামাই রুমে গিয়ে দেখি রুমের  কিছু জিনিস  মেজেতে পরে আছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে, স্যার  বলে কিছুনা, তুমি আসলে কেন ঘুম থেকে উঠে,  আমি বললাম কি হইছে জিজ্ঞেস করলাম  না বললে কিন্তুু খবর আছে, 


স্যার কোন কথা না বলে চলে গেলো বাহিরে,  পিছনে পিছনে ওই মেয়ে ও চলে যেতে লাগলো আমি হাত বাড়িয়ে ওর চুলে ধরলাম,  ওই তুই কই যাছ, কি হইছে জানতে চাইলাম বলছ না কেন,,  আমার হাতের টান ওর চুলে লাগতেই সে পরে গেল, আর ওর হাতের কাছে   Tv রিমুট ছিলো ওটা দিয়ে আমার পেট বরাবর ঢিল মারছে,,


চলব

একটি সাবস্টেশনের A to Z ডিজাইন করতে আসলে কি কি জানা দরকার?,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 একটি সাবস্টেশনের A to Z ডিজাইন করতে আসলে কি কি জানা দরকার?


ব্যাপারটা যতটা আমরা চ্যালেঞ্জিং ভাবি অতটাও নয়। অন্তত মঙ্গলগ্রহ জয় করার চেয়েও অনেক সহজ। আপনার মালিক আপনাকে প্রবল বিশ্বাস করে আপনার হাতে তুলে দিল সাবস্টেশন ডিজাইনের দায়িত্ব। উনি শুধু অর্থায়ন করবেন। এখন, আপনার সবচেয়ে বড় সফলতা হবে বিশ্বাসের মর্যাদা রেখে প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন।


আমাদের দেশে হয়কি ভিনদেশী কোম্পানিদের বা দেশীয় মানসম্মত কোম্পানিকে এই কাজটির টেন্ডার দেয়া হয়। থার্ড পার্টি এসে কাজ করে চলে যায় আর নিয়ে যায় মোটা অংকের ডলার। অথচ ইউরোপ, আমেরিকায় এই কাজগুলো নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়েই করানো হয়।


একটা তালিকা প্রস্তুত করে ফেলা যাকঃ


প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে সাবস্টেশনে কি কি দরকার?


💥প্রথমত ট্রান্সফরমার। এখন ট্রান্সফরমারের মধ্যেও ধরন আছে। যদি 11/132 kV সাবস্টেশন হয় তাহলে স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার, যদি 33/11 kV সাবস্টেশন হয় তাহলে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার। 


💥এরপর ভোল্টেজ বাড়ালে কমালেই শেষ নয়, হাই ভোল্ট মেজারের জন্য লাগবে পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার। কারেন্ট মেজারের জন্য লাগবে কারেন্ট ট্রান্সফরমার। 


আর রক্ষাকবচ ব্রেকার, আইসোলেটর, রিলে এগুলো ত আছেই।


সাবস্টেশনের ক্যাবল, বাসবার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রাধান্য পায় লোড।


আমরা একটি লোড ধরে নিলাম = 624.368 KW = 624.368/0.8 = 780.46 KVA সাব-স্টেশন ক্যালকুলেশন করতে ৪ টি ধাপ অনুসরন করতে হবে।


1.Transformer Selection

2. LT Switchgear Selection

3. HT Switchgear Selection

4. PFI Panel Selection


💥Transformer Selection এখানে আমাদের যত KVA লোড তার কাছাকাছি 3 Phase Transformer Selection করতে হবে।


এখানে আমাদের লোড = 780.46 KVA বাজারে সাধারনত নিম্ন মানের KVA Transformer পাওয়া যায়। 


100 kVA, 200 KVA, 250 KVA, 315 KVA,400 KVA, 500 KVA, 630 KVA,750 KVA,800 KVA,1000 KVA, 1250 KVA.


সুতরাং আমাদের 800 KVA Transformer লাগবে।


💥LT Switchgear Selection:


Transformer Capacity কে 1.6 (approx.) গুন দ্বারা করলে LT Switchgear এর capacity পাওয়া যায়।


সুতরাং 800 KVA Transformer এর জন্য LT Switchgear লাগবে = 800 x 1.6=1280 A


তাহলে 1250 A  MCCB or ACB নিতে হবে। 


💥HT Switchgear Selection :


HT Switchgear Capacity Selection বলতে এখানে মুলত Breaker Selection কে বুঝায় । Transformer 500 KVA এর নিচে হলে LBS আর Transformer 500 KVA বা তার বেশি হলে (VCB- Vacuum Circuit Breaker) ব্যবহার করতে হবে।

সুতরাং এখানে 800 KVA Transformer এর জন্য (VCB- Vacuum Circuit Breaker) ব্যবহার করতে হবে।


💥PFI Panel Selection :


Total Real load Capacity কে 0.6(sine thita) দ্বারা গুন করলে PFI Panel এর capacity পাওয়া যায়। সুতরাং 624 kW এর জন্য PFI Panel হবে = 624 x 0.6= 375 kVAR


এখন অনেকেই বলবেন, 0.6 কিভাবে এল? আমরা জানি, পি এফ আই প্যানেলের ক্যাপাসিটি টোটাল লোডের 60% বা 0.6


আমরা ক্যালকুলেশনে যত এক্সপার্ট হব, কর্মক্ষেত্রেও সবার কাছে তত স্মার্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করব। এর পাশাপাশি আমাদের পাওয়ার সিস্টেম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্যানেল ডিজাইন, অটোমেশন, ট্রান্সফরমার নিয়ে জানাটাও জরুরি।


তাই সবকিছুর যৌথ আস্বাদ পেতে আমার লিখা ইবুকগুলোর তালিকাঃ


📘Ebook1: ইলেকট্রিক্যাল যখন ABC এর মত সহজ


📘Ebook2: সাবস্টেশন এবং সুইচগিয়ারের ময়নাতদন্ত


📘Ebook3: ইন্ডাস্ট্রিয়াল জটিল টপিকের সরল আলোচনা


📘Ebook4: পাওয়ার সিস্টেম নিয়ে আড্ডা


📘Ebook5: চা এর আড্ডায় পি এল সি


📘Ebook6: ট্রান্সফরমার মহাশয়ের খুটিনাটি


📘Ebook7: DC circuit নিয়ে মজার বই


📘Ebook8: Electronics এত মধুর কেন?


কিছু সম্মানির বিনিময়ে ই-বুকগুলো (সফটকপি) ইনবক্সে নক দিন অথবা what's app +8801741994646


পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং রাজউক এপ্রোভাল শীট,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না।

পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং রাজউক এপ্রোভাল শীট

আমরা যখন কোনো বাড়ির প্ল্যান করি , এবং এপ্রোভাল করতে চাই তখন আমাদের অনুমোদন ড্রয়িং এর দরকার পরে , নতুন ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেক্ট যারা আছেন তাদের অনেকের ধারণা থাকে না কিভাবে এপ্রোভাল ড্রয়িং করবেন ! এবং কি কি ড্রয়িং দিতে হবে !  এপ্রোভাল  এর ধারণা গুলো  আপনারা পান  তাই একটা স্যাম্পল ড্রয়িং দিয়ে দিচ্ছি যা আপনাদের উপকারে আসতে পারে।

পৌরসভার আওতাধীন কোন ভবন নির্মান করতে চাইলেই আপনি নির্মান করতে পারবেন না, যত বড়ই ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ড্রইং করান না কেন কাজে আসবেনা যদি কর্তিপক্ষের অনুমুতি না নেন।

চলুন জেনে নেই কি কি লাগবে-

প্রথমে আবেদন ফরমে আবেদন করতে হবে এবং সাথে ৭ কপি ড্রইং জমা দিতে হবে, তবে কোন কোন পৌরসভায় এর কম দিলেও হয়। ড্রইংগুলো ৩০"x২০" সাইজের এমোনিয়া শীট বা ট্রেসিং পেপারে (ব্লু প্রিন্ট ট্রেসিং পেপার সহ) জমা দিতে হয়।

একটি ড্রইং শীটে কি কি ড্রইং থাকতে হবে আসুন জেনে নেই-

১. ফ্লোর প্ল্যান

২. অন্যান্য ফ্লোরের প্লান

৩.সম্মুক্ষ বা ফ্রন্ট এলিভেশন

৪.লে-আউট প্ল্যান

৫.কলাম, বীম, ফাউন্ডেশনের সেকশন

৬.মোট কভার এরিয়া

৭.মৌজা ম্যাপ

৮. ভবনের ক্রস সেকশন

৯.সেপটিক ট্যাংক এবং সোক ওয়েলের প্লান ও সেকশন

১০.সিড়ির প্লান ও ডিটেইল

১১. ছাদের বিস্তারিত ড্রইং

১২. ছাদের পানি নিষ্কাশনের প্ল্যান

১৩. কলাম পজিশন বা কলাম লে-আউট

১৪. গ্রেড বীম ও সেকশন

১৫. ইলেকট্রিক ড্রইং

১৬. সেনেটারী ড্রইং (বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে)

১৭. সেটব্যাক (অত্যন্ত জরুরী), নির্দিষ্ট পরিমানে ভবনের চারপাশের জমি ছেড়ে দেওয়াকে বুঝায়।

আনুষঙ্গিক কাগজ পত্র:

১. পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যভুক্ত প্রকৌশলীর স্বীকৃতপত্র।

২ প্রকৌশলী পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য নাম্বার ও সাক্ষর এবং সীলমোহর।

৩. মূল দলিলের ফটোকপি।

৪. দাগ নম্বর,খতিয়ান নম্বর ও মৌজার নাম।

৫. মালিকের সাক্ষর।

৬. মাটি পরিক্ষার রিপোর্ট (৩ তলার অধিক হলে)।

৭. জমির পরিমান ও তফসিল।

৮.নির্ধারিত ফি।


Building Design & Developments Ltd. 

Engr. Fazlul Islam (MIEB) 


01918-507438 


নোট : নিচের ছবিটি একটা রাজউক অনুমোদিত ড্রয়িং সিট।


শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সাতৈর মসজিদ বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর একটি অতি পুরানো মসজিদ।

 সাতৈর মসজিদ বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর একটি অতি পুরানো মসজিদ। এটি আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ বা শের শাহের আমলে তৈরি করা হয়েছে। মসজিদটি ১৫১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ ১৪৯৪-১৫১৯ ছিলেন একজন স্বাধীন বাংলার সুলতান। তখন এই সাতৈর গ্রামে বহু আওলিয়ার বসবাস ছিল। তাদের মধ্যে হযরত শাহ সুফী শায়েখ শাহ ছতুরী এর মুরিদ ছিলেন আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সেই সময়ে নির্মিত হয়। সাতৈর শাহী মসজিদের পাশ ঘেঁষেই গেছে ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোড বা শের শাহ সড়ক। কেউ কেউ মনে করেন সাতৈর শাহ মসজিদ শের শাহের (১৪৮৬ - ২২শে মে, ১৫৪৫) আমলের কীর্তি। ধারণা করা হয় যে, আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্‌ তার জনৈক পীরের সম্মানে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত হয়ে জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে আবিষ্কৃত হওয়ার পর মসজিদটির ব্যাপক সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। বর্গাকার এই মসজিদটি বাইরের দিক থেকে প্রতিপাশে ১৭.৮ মিটার এবং ভেতরের দিক থেকে ১৩.৮ মিটার। পূর্বে ভূমি থেকে মসজিদটির মেঝে প্রায় ০.৭৬ মিটার উঁচু ছিল, বর্তমানে এটি ০.৬ মিটার উঁচু। মোট নয়টি কন্দ আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির ভেতরে পাথরের তৈরি ৪ টি স্তম্ব, দেয়ালে এবং দেয়ালের গায়ে সংলগ্ন মোট ১২ টি পিলার রয়েছে। পশ্চিমে তিনটি মিহরাব আছে যার কেন্দ্রটি তুলনামুলকভাবে বড়।







মুসলমানদের স্মরণীয় ২৮ টি আবিস্কার,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "মুসলমানদের স্মরণীয় ২৮টি আবিষ্কার" না জানলে জেনে নিন, আমরা ও পারি "অন্য ধর্মের লোকেরা সবসময় বলে থাকেন জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিমদের কোনো অবদান নেই। আজকের এই পোস্টে সকল অবিশ্বাসীদের জন্য যারা ইসলাম ধর্মকে ছোট করে দেখে। আপনাদের জন্য "জ্ঞানবিজ্ঞানে মুসলিমদের কি কি অবদান আছে জানুন।

.

"মুসলমানদের স্মরণীয়  আবিষ্কার গুলিঃ-

১. রসায়নের জনক - (জাবির ইবনে হাইয়ান)

২. বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভূগোলবিদ - (আল-বেরুনি)

৩. আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক - (ইবনে সিনা)

৪. হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক - (ইবনুল নাফিস)

৫. বীজগর্ণিতের জনক - (আল-খাওয়ারিজমি)

৬. পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী - (আল-ফারাবি)

৭. আলোক বিজ্ঞানের জনক - (ইবনে আল-হাইছাম)

৮. এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক - (ওমর খৈয়াম)

৯. সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী - (আল-কিন্দি)

১০. গুটিবসন্ত আবিষ্কারক - (আল-রাজি)

১১. টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী - (আল-বাত্তানি)

১২. ত্রিকোণমিতির জনক - (আবুল ওয়াফা)

১৩. স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা - (ছাবেত ইবনে কোরা)

১৪. পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী - (বানু মুসা)

১৫. মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী - (নাসিরুদ্দিন তুসি)

১৬. এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী - (আবু কামিল)

১৭. ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক - (ইবনে বাজ্জাহ)

১৮. এরিস্টোটলের দর্শন উদ্ধারকারী - (ইবনে রুশদ)

১৯.ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক - (ইবনে ইউনূস)

২০. পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী - (আল-ফরগানি)

২১. পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী - (আল-ইদ্রিসী)

২২. বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক - (আল-জাজারি)

২৩. সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী - (আল-জারকালি)

২৪. মানবজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রণেতা - (আবুল ফিদা)

২৫. বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অগ্রদূত - (ইবনে আল-শাতির)

২৬. ভূগোলে বিশ্বকোষ প্রণেতা - (আল-বাকরি)

২৭. প্ল্যানেটারি কম্পিউটার আবিষ্কারক - (আল-কাশি)

২৮. বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক -(আল-কালাসাদি )

"হে আল্লাহ বিশ্বের সকল মোসলমানদের কে তুমি হেফাজত কর , তাহাদের সম্মান বৃদ্ধি করে দাও আমিন।


সংগৃহীতঃ Abdul Quddus এর ওয়াল থেকে।



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৯-০৩-২০২৪ ।,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৯-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


আট হাজার ৪২৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন। 


তৃনমূল পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা ছড়িয়ে দিতে স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তির প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান। 


গাজা হত্যাকাণ্ডে নিশ্চুপ নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনুস এক ইসরাইলীর দেওয়া পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন - অভিযোগ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। 


ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত, অতি দ্রুত তাদের ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে - আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।


ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আইপিইউ’র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী।


দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিমপোপো প্রদেশে একটি বাস সেতু থেকে নিচে পড়ে ৪৫ জন নিহত।


প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ -  ২৮-০৩-২০২৪,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ

তারিখ -  ২৮-০৩-২০২৪


আজকের সংবাদ শিরোনাম


২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৌশল প্রণয়নের তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় বিএনপি --- মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। 

 

গাজা হত্যাকাণ্ডে নিশ্চুপ নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনুস এক ইসরাইলীর দেয়া পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন --- অভিযোগ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।


ইন্টার্ণি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত, অতি দ্রুত তাদের ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে --- আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।


ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন আইপিইউ’র এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী।

 

চার দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে ভারত হয়ে ভুটানে ফিরে গেলেন রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।

 

যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে নিহত ৪, আহত ৫ ।

 

এবং প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ যে পাঁচটি ভুল করে থাকে।

 গরু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ যে পাঁচটি ভুল করে থাকে।

 

১. বেশি খাবার দিলেই বেশি খাবে এবং তাড়াতাড়ি মোটাতাজা হবে এটা ভেবে অতিরিক্ত খাবার দেয়, এটা ভুল।

এতে করে খাদ্যের অপচয় ও খাদ্যের খরচ বৃদ্ধি পায়।


২. কাঁচা ঘাস বা UMS না খাওয়ানো। এবং শুধু দানাদার খাদ্যের উপর নির্ভর করা।

কাঁচা ঘাস না থাকলেও সমস্যা নেই কিন্তু এর বিকল্প হিসেবে UMS তৈরি করে খাওয়াতে হবে।


৩. খাবারের পরিবেশ আরামদায়ক না হওয়া।

অনেকে গরুর জন্য ডাইনিং টেবিলের মত খাবার চারি তৈরি করে কিন্তু এতে খাবার গ্রহণ ক্ষমতা কমে যায়।


৪. বেশি খাবার খাবে এই আশায় রাতে খাবার দেয় অথচ রাতে কখনো খাবার দেওয়া উচিত নয়।

পশুকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে খাবার গ্রহণ ও সেই খাবার পরিপাক করার।


৫. ভাত, জাউ এগুলো খাদ্য তালিকায় একেবাইরে রাখা যাবে না।

তবে Rice polish বা DORB খাওয়ানো যেতে পারে এতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট থাকে যা খুদের ভাতের থেকে আপনাকে ভালো রেজাল্ট দিবে।

ভাত, জাউ এর কারণে বিষক্রিয়া/ফুড পয়জনিং হতে পারে।


পোস্টা সবাই সবার প্রোফাইলে শেয়ার করে রেখে দিন যাতে নিজেদের কাজে লাগে এবং অন্যরা উপকৃত হয়।

খামার বাড়ি



বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

পৃথিবীর শেষ রাস্তা,,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 "পৃথিবীর শেষ রাস্তা "


পৃথিবীতেই সেই রাস্তা রয়েছে, যা শেষ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা মিশে গিয়েছে অসীমে। ভূ-বিজ্ঞানীরা দিলেন সেই রাস্তার হদিশ। যেখানে স্বপ্ন এসে মিশে যায়। পৃথিবীর সেই শেষ রাস্তার ঠিকানা হল ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’। এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ অবস্থিত নরওয়ে-তে। ঠিকানা যখন রয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তার তখন অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী থাকতে নিশ্চয়ই একবার যেতে মন কাঁদবে অনেকেরই।নরওয়ের ওই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে পৃথিবীর শেষ রাস্তা দিয়ে অন্তত একবার হাঁটার শখ অনেকেরই। পৃথিবীর এই শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার ঠিক উপরের দিকে। রাস্তাটিকে কেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলা হয়, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। সেখানে কি কেউ যেতে পারেন, কীভাবে যাওয়া সম্ভব সেখানে, তাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে। এই রাস্তা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডাফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে। এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’র দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। পাঁচটি ট্যানেল পার হয়ে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে সবথেকে যে লম্বা ট্যানেলটি রয়েছে তা হল ‘নর্থ কেপ’। ওই ‘নর্থ কেপ’-এর ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ।এই ‘নর্থ কেপ’ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছয় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে। সেখানেই শেষ রাস্তা। ওই রাস্তায় যাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে না, নিয়ম না মানলে ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে রয়েছে ওই রাস্তার পরতে পরতে। তাই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে একা যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই। 


সেই রাস্তায় ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখানে ভয়ানক গতিতে বাতায় বইতে থাকে। আর তেমনই ঠান্ডা। এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আর শীতকালে এই রাস্তা তুষারে ঢাকা থাকে। বন্ধ থাকে রাস্তা। অতিরিক্ত তুষারপাত, বৃষ্টির সঙ্গে যখন তখন সেখানে ঝড় উঠে। আবহাওয়ার কোনও পূর্বাভাসই এখানে কাজ করে না। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য এখানে একা যাওয়া নিষিদ্ধ।

[বি.দ্র:যে রাস্তাটি উত্তর মেরুকে নরওয়ের সাথে যুক্ত করেছে সেটিই পৃথিবীর শেষ রাস্তা। এর বাইরে কিছুই নয়, এটাই পৃথিবীর শেষ রাস্তা। এর নাম ই-৬৯ এবং এটি প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ]

#সংগৃীত

(সোর্স:Zoombangla)



ঢেঁড়শকে ইংরেজিতে বলা হয় ওকরা (Okra)। আমেরিকার বাইরের ইংরেজিভাষী স্থানে এটি লেডিজ ফিঙ্গার (Lady's Fingers) নামেও পরিচিত,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ঢেঁড়শকে ইংরেজিতে বলা হয় ওকরা (Okra)। আমেরিকার বাইরের ইংরেজিভাষী স্থানে এটি লেডিজ ফিঙ্গার (Lady's Fingers) নামেও পরিচিত [৩],। কোনো কোনো স্থানে, যেমন আমেরিকার কিছু অংশ এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এটি গাম্বো (gumbo) নামেও খ্যাত, যা এসেছে এর পর্তুগিজ নাম "quingombo," থেকে, যার আদি উৎস হলো পূর্ব আফ্রিকীয় শব্দ "quillobo,"[৪]


ওকরা নামটি পশ্চিম আফ্রিকা থেকে এসেছে।[৫] আফ্রিকার বান্টু ভাষায় এটাকে বলা হয় কিঙ্গুম্বো। আরবি ভাষায় এর নাম বামিয়া । দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটিকে ভেন্ডি বা ভিন্ডি বলা হয়।


ঢেঁড়শ ফুলের মুকুল ও অপরিপক্ক বীজ শুঁটি

ঢেঁড়শের আদি নিবাস ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি এলাকায়। সেখান থেকে কীভাবে এটি অন্যত্র ছড়িয়ে যায়, তা জানা যায় না। মিশরীয় ও মূর জাতির বিভিন্ন রচনায় ১২শ ও ১৩শ শতকে আরবি ভাষায় ঢেঁড়শের কথা উল্লেখ রয়েছে। এতে ধারণা করা যায় যে, প্রাচ্য হতেই এটি সেখানে এসেছে। সম্ভবত ইথিওপিয়া হতে লোহিত সাগর বা আরব উপদ্বীপের নিকটবর্তী বাব-আল-মান্দিব প্রণালী পেরিয়ে এটি আরবে ও পরে ইউরোপে যায়। ১২১৬ সালে এক স্পেনীয় মূর জাতির ব্যক্তির লেখায় এর উল্লেখ রয়েছে। মিশর ভ্রমণকালে এই মূর তার রচনায় উল্লেখ করেন, স্থানীয় ব্যক্তিরা ঢেঁড়শের ফল আটার সাথে মিশিয়ে খেতো। [৪]


আরব থেকে ঢেঁড়শ ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোতে, ও পরে পূর্বদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতবর্ষের প্রাচীন ভাষাগুলোতে এই গাছটির নামের উল্লেখ নেই, তা থেকে ধারণা করা যায়, খ্রিস্টের জন্মের পরেই কেবল এই গাছটি ভারতবর্ষে আসে। আটলান্টিক মহাসাগরের দাস বাণিজ্যের অংশ হিসেবে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোর মাধ্যমে ঢেঁড়শ আমেরিকা মহাদেশে আসে। [৬]। ১৬৫৮ সাল নাগাদ ব্রাজিলে এর উপস্থিতির উল্লেখ পাওয়া গেছে। ১৬৮৬ সাল নাগাদ এটি সুরিনামে পৌছে যায়।


উত্তর আমেরিকাতে, বিশেষত দক্ষিণ-পূর্বাংশে ঢেঁড়শের আগমন ঘটে ১৮শ শতকের শুরুর দিকে। ১৭৪৮ সালে এটি উত্তরে ফিলাডেলফিয়া এলাকাতেও চাষ করা হতো। টমাস জেফারসনের রচনায় উল্লেখ রয়েছে, ১৭৮১ সালে ভার্জিনিয়াতে ব্যাপকভাবে ঢেঁড়শের চাষ করা হতো। 

--- উইকিপিডিয়া থেকে 


( জীবনে প্রথম ঢেঁরশ রান্না করলাম যদিও ভর্তার মতো হয়েছে অনেকটা।  আমার মতো গম্ভীর লোক শেষ পর্যন্ত ঢেঁরশ বা লেডিস ফিঙ্গার রান্না / ভাজি করল! ।



পেঁপে চাষাবাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা।,,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 পেঁপে চাষাবাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা।


১। পেঁপে চাষের জন্য বন্যামুক্ত  উচু জমি যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা আছে এমন রোদ্রউজ্জ্বল জমি নির্বাচন করতে হবে। 


২। পেঁপে বীজ অবশ্যই শোধন করে চারা করতে হবে। 


৩। জমিতে রোপণ করার পূর্বে  চারার বয়স  হতে হবে ৪৫/৬০ দিন তবে রাসায়নিক সার দিয়ে চারা করা জাবে না। 


৪। পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫X৪ ইঞ্চি . আকারের ব্যাগে সমান পরিমাণ বালি, মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ ভর্তি করে ব্যাগের তলায় ২-৩টি ছিদ্র করুন।


৫। প্রতি গাছে ১৫ কেজি জৈব সার, ৫৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ৫৫০ গ্রাম টিএসপি সার, ৫৫০ গ্রাম এমওপি সার, ২৫০ গ্রাম জিপসাম সার, ২৫ গ্রাম বোরাক্স সার এবং ২০ গ্রাম জিংক সালফেট সার একত্রে ভালভাবে প্রয়োগ করতে হয়।  ইউরিয়া ও এমওপি সার ছাড়া সব সার গর্ত তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর পর গাছে নতুন পাতা আসলে ইউরিয়া ও এমওপি সার ৫০ গ্রাম করে প্রতি ১ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয়। গাছে ফুল আসলে এ মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে। ফল তোলার ২ মাস আগে সার দেয়া বন্ধ করতে হবে।


৬। পেঁপের ড্যাম্পিং অফ রোগ দমনে অতিরিক্ত পানি বের করার ব্যবস্থা করুন। গোড়ায় ছাই ছিটিয়ে রাখতে পারেন।লাগানোর প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: এমকজিম অথবা ৪ গ্রাম ট্রাইকোডারমা ভিরিডি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধরে বীজ শোধন করে নিন।


৭। পেঁপে বাগানে পরিমাণ মতো সেচ ও পানি নিষ্কাশন  সাথে আগাছা দমন করতে হবে নাহলে উপরের কাজ গুলো সঠিক মতো করলেও কাংখিত ফলন পাওয়া যাবে না।



বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

কোলগেটে দাঁত না মাজলে যাদের দিন ই শুরু হয়না তাদের জন্য,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 কলগেটে দাঁত না মাজলে যাদের দিন‌ই শুরু হয় না তাঁদের জন্য।

কলগেট জিনিসটা আগে মাজন ছিল না, ছিল সাবান। কি ভাবছেন, ছিল সাবান, হয়ে গেল টুথপেস্ট? না না, একটা লোকের পদবি ছিল কলগেট। ইংল‍্যাণ্ডের লোক ছিলেন রবার্ট কলগেট ( ১৭৫৮ - ১৮২৬)। তাঁর বৌয়ের নাম ছিল সারা বাউলস। রবার্ট সাহেব ছিলেন কৃষিজীবী মানুষ। কিন্তু তাঁর দোষ ছিল তিনি পলিটিক্স নিয়ে ভাবতে ভালবাসতেন। তিনি ফরাসি বিপ্লবের গুণগ্রাহী ছিলেন আর আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সমর্থক। এই অপরাধের দরুণ ইংল্যান্ডের বুকে আর তাঁর থাকার সুবিধা হল না। দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হল। তাড়া খেয়ে চাটিবাটি গুটিয়ে রবার্ট সাহেব বৌ বাচ্চা সমেত পাড়ি দিলেন আমেরিকায়। সেখানে মেরিল্যান্ড প্রদেশের বাল্টিমোরে ঠাঁই নিলেন। সেটা ১৭৯৮ এর মার্চ মাস। ওখানে তিনি আরেকটি লোকের সঙ্গে পার্টনারশিপে সাবান আর মোমবাতি তৈরির কারখানা ফাঁদলেন। পরে চলে গেলেন নিউ ইয়র্কের ডেলাওয়ার কাউন্টিতে। পার্টনারশিপ কারবার দু বছরের বেশি টিঁকল না। তারপর তাঁর ছেলে উইলিয়াম কলগেট একটা সাবান তৈরির কারখানায় শিক্ষা নবিশিতে লাগলেন। সেটা ১৮০৪। এই উইলিয়াম কলগেট (২৫ জানুয়ারি, ১৭৮৩ - ২৫ মার্চ, ১৮৫৭) গোড়াপত্তন করলেন কলগেট পামোলিভ কোম্পানির। ১৯৫০ এর দিকে কপিরাইটার অ্যালিসিয়া টোবিন বিজ্ঞাপন করেছিলেন It Cleans Your Breath While It Cleans Your Teeth"। আর ক্রমেই দাঁতের মাজন হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল কলগেট। এমনকি অতি সাধারণ মানুষের কাছে কলগেট হয়ে গেল দাঁতের মাজনের প্রতিশব্দ।

এখন কলগেট পামোলিভ একটা বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ এ জানা গিয়েছে চৌত্রিশ হাজার কর্মচারী এই সংস্থায় বেতনভুক হিসেবে কাজ করে। এই কোম্পানির নেট আয় ২.৩০ বিলিয়ন ডলার, আর এদের সম্পত্তির মোট অর্থমূল‍্য হল ১৬.৪ বিলিয়ন ডলার। কলগেট পামোলিভ কোম্পানির হেড কোয়ার্টারের ঠিকানা হল ৩০০, পার্ক অ্যাভিনিউ, মিডল টাউন, ম‍্যানহাটান, নিউ ইয়র্ক, ১০০২২, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। 

আজ থেকে ২১৮ বছর আগে ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে উইলিয়াম কলগেট সাবান আর বাতি তৈরির   ব‍্যবসা ফাঁদেন। তার চৌদ্দ বছর পর তিনি সাবান তৈরির কারখানা খুললেন। গোড়ায় অবশ‍্য তিনি একটা সাবান তৈরির কারখানায় বয়লার ঘরে শিক্ষা নবিশ হিসাবে কাজ শিখেছিলেন। আজ থেকে ১৫১ বছর আগে ১৮৭৩ এ উইলিয়াম কলগেট মারা যাবার অনেকদিন পর কাচের জারে করে সুগন্ধি টুথপেস্ট বিক্রি শুরু করে কলগেট। ১৮৯৬ তে সেই টুথপেস্ট টিউবে ভরে বিক্রি করা শুরু হল। 

গোড়ায় পামোলিভ বলে কিছু ছিল না। ১৮৯৮ তে পাম তেল আর অলিভ তেল থেকে সাবান তৈরির ফরমূলা তৈরি করলেন বারডেট জে জনসন। তিনি উইসকনসিন প্রদেশের মিলাওয়াকিতে পামোলিভ নামে কারবার ফা়ঁদলেন। ১৯২৮ এর পহেলা জুলাই কলগেট আর পামোলিভ আর পীট একজোট হল। আর ১৯৫৩ তে কারবারের নাম হল কলগেট পামোলিভ।

কলগেটের গোড়াপত্তন করেছিলেন যিনি, সেই উইলিয়াম কলগেটের আজ মৃত্যুদিন।  ছবিটি কলগেটের মৃত্যুর অনেক পরে আঁকা।



সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৭-০৩-২০২৪ ।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৭-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


যথাযথ মর্যাদায় ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন - জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সফররত ভুটানের রাজার গভীর শ্রদ্ধা। 


ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন শেখ হাসিনা।


স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার যোগদান - আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ উদ্যোগের ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ।


ভুটানের রাজার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন - বাংলাদেশের আদলে সেদেশে অত্যাধুনিক বার্ন হাসপাতাল নির্মাণের আগ্রহ ।


অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত-স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের শুভেচ্ছা বার্তায় বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে. ব্লিনকেন।


জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাস সত্ত্বেও ইসরাইলি হামলা অব্যাহত।


আজ ঢাকায় তৃতীয় ও শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মোকাবেলা করবে  বাংলাদেশ নারী দল।

ফেইসবুক থেকে নেওয়া 

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৬-০৩-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৬-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস - নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছে জাতি। 


ভোরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে দেশের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। 


স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে দেশবাসীর সহযোগিতা চাইলেন শেখ হাসিনা।


জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।


শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক - বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।


গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস।


ঢাকায় বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিরতি ম্যাচে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলবে ফিলিস্তিন ।

সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৫-০৩-২০২৪ ।

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৫-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


আজ ভয়াল ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস - ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানী বাহিনী বাঙালি নিধনে শুরু করে “অপারেশন সার্চলাইট”। 


পাঁচ দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা - তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা।


গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক - ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব সৌজন্য সাক্ষাতে এলে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


ঈদ সামনে রেখে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হল ৭টি ফ্লাইওভার - বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে এখন যোগাযোগ আরো স্বস্তিদায়ক ও সহজ হবে - বললেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী।


জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাকে উত্তর গাজায় ত্রাণ সহায়তা দিতে বাধা ইসরায়েলের।


সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আজ চতুর্থ দিনে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।


সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪

লিচুর ফল ঝরে যাওয়া সমস্যা‌।

 লিচুর ফল ঝরে যাওয়া সমস্যা‌।


লক্ষণ:


* ফল ঝরা লিচুর সাধারণ সমস্যা, ফল ধরার পর থেকে শুরু করে ফল পরিপক্কতা হওয়া পর্যন্ত ফল ঝরা চলতে থাকে।


* ফল বাদামী থেকে কাল রং ধারণ করে।


* গুটি অবস্থায় ফল ঝরে পড়ে অর্থাৎ ফল ধরার ২-৪ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ফল ঝরে।


কারণ: 


ছত্রাক, খরা/দীর্ঘ সময় আবহাওয়া শুষ্ক হলে, শারীরবৃত্তীয় কারণে ও গাছে পুষ্টির ঘাটতি/হরমোনের অভাব থাকলে ফল ঝরে পড়তে পারে ।


সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা:


* শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।


* মাটিতে জৈব সার সহ সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে।


* ফল মটর দানা এবং মার্বেল আকার অবস্থায় প্রোটোজিম/প্লানোফিক্স/ফ্লোরা/মিরাকুলান/লিটোসেন/বাম্পার/বলবান এর যে কোন একটি অনুমোদিত মাত্রায় পানির সাথে মিশিয়ে  স্প্রে করতে হবে।


* গুটি বাধার পর জিংক সালফেট প্রতি লিটার পানিতে ১০ গ্রাম হারে মিশিয়ে পর পর ৩ সপ্তাহ গাছে স্প্রে করলে ফল ঝরা ও ফল ফাটা বন্ধ হয় এবং ফলের আকৃতিও বড় হয়। রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে।



রাস্তার ধারে 'মমি' এবং পিরামিড থেকে পাওয়া (বা চুরি করা) জিনিষ বিক্রয় করছেন এক স্থানীয় মিশরীয় বিক্রেতা। কায়রো, মিশর। ১৮৭৫ সালের ছবি।

 🔺রাস্তার ধারে 'মমি' এবং পিরামিড থেকে পাওয়া (বা চুরি করা) জিনিষ বিক্রয় করছেন এক স্থানীয় মিশরীয় বিক্রেতা। কায়রো, মিশর। ১৮৭৫ সালের ছব

(ছবি সৌজন্যে - ব্রিটিশ লাইব্রেরী, ইউনাইটেড কিংডোম।)


'মমি বিক্রি', এই শব্দবন্ধটি পড়ে অবাক লাগলেও, এটি একসময় মিশরে খুবই সাধারণ বিষয় ছিল। আর এই বিক্রিবাটা হত রাস্তার ধারে এবং খোলা বাজারে। খ্রিস্টীয় ১৯ শতকে ধনী ইউরোপীয়ান এবং আমেরিকান ভ্রমনার্থীদের নিকট "ভ্রমণ স্মারক" (tourist souvenirs) রূপে 'মমি' বিক্রি মিশরের প্রায় সর্বত্র হত এবং এটি খুবই সাধারণ বিষয় ছিল। নীচে ছবিতে যেমন দেখা যাচ্ছে, তেমন ভাবেই রাস্তার ধারে বা খোলা বাজারে এগুলো বিক্রি করা হত মিশর ভ্রমণকারীদের জন্য, যাতে তাঁরা এগুলো নিজেদের দেশে, নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন।


ভিক্টোরিয়ান যুগে, ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়নের মিশর বিজয়, ইউরোপ ও ইউরোপীয়ানদের কাছে মিশর এবং মিশরের ইতিহাসের বন্ধ থাকা দরজা খুলে দিয়েছিল। সেই সময়ে ইউরোপীয়ান এলিট সমাজে মমি কে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হত না। খ্রিস্টীয় ১৮ শতকে, মিশরের রাস্তার ধার ও বাজার থেকে কেনা মমিগুলোকে ইউরোপে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে 'মজার জিনিষ' বলে সকলের সামনে প্রদর্শন করা হত। এমনকি ইউরোপে এই সময়ে 'মমি উন্মোচন' পার্টির আয়োজন পর্যন্ত করা হত। এই ধরণের পার্টিতে অতিথি অভ্যাগতদের সামনে মমির থেকে ব্যান্ডেজ খুলে সেগুলো কে উন্মুক্ত করা হত, এবং সেই দৃশ্য পানীয় সহযোগে, হাততালি দিয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন পার্টিতে আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা।


ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে মিশর থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া মমির অন্য ব্যবহার হওয়াও শুরু হল। মিশর থেকে জাহাজ ভরে মানুষ ও পশুর মমি ব্রিটেন ও জার্মানি তে নিয়ে যাওয়া হত, সেখানে সেগুলি জমির সার রূপে ব্যবহার করা হত। মমির শরীর থেকে ব্যান্ডেজ খুলে, সেই ব্যান্ডেজ আমেরিকায় পাঠানো হত, সেখানে সেগুলি কাগজ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হত। বিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়াইন তাঁর মিশর ভ্রমণের ডাইরি তে লিখে গিয়েছেন যে, মিশরে মমি কে লোকমটিভের জ্বালানি রূপেও ব্যবহার করা হত।


খ্রিস্টীয় ১৯ শতক এগিয়ে আসার সাথে সাথে, মিশরের মমি কেবলমাত্র ধনী ইউরোপীয় এবং মার্কিন প্রাইভেট সংগ্রাহকদের সংগ্রহের বিষয় বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। তাঁরা মিশর ভ্রমণকালে উচ্চ মূল্যে এগুলো ক্রয় করে নিতেন "ভ্রমণ স্মারক" রূপে। যাঁরা আবার একটা আস্ত মমি কিনতে পারতেন না বা পেতেন না, তাঁরা চোরা বাজার থেকে মমির শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন মাথা বা পা বা হাত কিনে নিয়ে নিজের দেশে নিয়ে যেতেন।


মমির জন্য মিশরের ছোট বড় কোনও পিরামিডই ধনী ইউরোপীয় এবং মার্কিনদের লোভের হাত থেকে রক্ষা পায় নি। কেবলমাত্র যে পিরামিডগুলোর দরজা কোনও ভাবেই খোলা সম্ভব হয় নি বা যে পিরামিডগুলো তে অজানা মৃত্যু ফাঁদ ছিল, সেগুলোই লুঠের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। এটাও উল্লেখ্য যে মমির সাথে পিরামিডের ভিতরে থাকা বিপুল ঐশ্বর্য এবং জিনিসপত্রও যথেচ্ছ ভাবে লুঠ করে ইউরোপ ও মার্কিন মুলুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।


এই ব্যবসাতেও অবশ্য জালিয়াতি ছিল। ছিল জাল মমির উৎপাত। বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামির দেহ, বয়স্ক মানুষের মৃতদেহ, গরীব মানুষের দেহ এবং যারা কোনও জটিল রোগে মারা গিয়েছেন তাঁদের দেহ, ক্রয় করে, সেই দেহ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মরুভূমির তপ্ত বালি তে পুঁতে রেখে বা বিটুমিন দিয়ে স্টাফ করে, সেগুলো কে ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে তারপরে আবার চড়া রোদে শুকিয়ে প্রাচীন মমি বলে ধনী বিদেশিদের কাছে চড়া মূল্যে বিক্রয় করা হত।


(তথ্য সৌজন্যে - ব্রিটিশ লাইব্রেরী, ইউনাইটেড কিংডোম।)

কৃতজ্ঞতা Dr Nobiul Islam Sohel


Stay Curious SIS 

Siddiqui's International School



এখানে কিছু পড়লেই পাথর হয়ে যায় !!,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 এখানে কিছু পড়লেই পাথর হয়ে যায় !! 


ন্যাট্রন হ্রদ (যেখানে কোনো প্রাণী পড়লেই পাথর হয়ে যায়) 🥶🥶🥶

_________________________________________


তানজানিয়ার লেক ন্যাট্রন আফ্রিকার ফৈ নির্মল হ্রদগুলির মধ্যে একটি। এর জলের সংস্পর্শে আসলে যেকোনো প্রাণীর চামড়া পুড়ে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারে না। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে তাদের দেহ  সেখানে থাকার কারণে তা পাথরে পরিণত হয়। এর সৌন্দর্যের কারণে প্রতিবছর অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে দুর্ঘটনাবসত এদের অনেকেই মারা যায়। 

 

 Natron লেকের ক্ষারীয় জলের pH 10.5 এর মতো এবং এটি এতই ক্ষারীয় যে এটি প্রাণীদের ত্বক এবং চোখ পুড়িয়ে ফেলতে পারে। জলের ক্ষারত্ব আসে সোডিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য খনিজ থেকে যা পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে হ্রদে প্রবাহিত হয়। জলের সোডিয়াম কার্বনেট থাকার কারণে মৃতদেহগুলো পচে না। 


পূর্ব আফ্রিকার ওই এলাকার দুটি ক্ষারীয় হ্রদের মধ্যে একটি হ্রদ ন্যাট্রন;  অন্যটি হ্রদ বাহি।  উভয়  হ্রদ যা কোনো নদী বা সাগরে জল নিষ্কাশন করে না।


আফ্রিকার গভীর অরণ্য অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে এক ওল্ডোনিও লেঙ্গাই। হ্যাঁ, ‘চাঁদের পাহাড়’-এর সেই আগ্নেয়গিরি, যার কাছেই হিরের খনির সন্ধান পেয়েছিল শঙ্কর। কিন্তু এই আগ্নেয়গিরির কাছেই রয়েছে আরও এক বিস্ময়, যার সন্ধান শঙ্কর জানত না। শঙ্কর কেন, বাইরের পৃথিবীর কেউই তখনও এই হ্রদের কথা জানতেন না। তাঞ্জানিয়ার আরুশা অঞ্চলে পাহাড়ি উপত্যকায় বিরাট একটি হ্রদ লেক নেট্রন। যার জল যে কোনো জীবিত প্রাণীকে পাথরে পরিণত করতে পারে। না না, গ্রীক পুরাণের মেডুসা বা রামায়ণের অহল্যার মতো কোনো রূপকথার গল্প নয়। এ একেবারে জলজ্যান্ত বাস্তব। হ্রদের চারপাশে এমন অনেক পাখির দেহাবশেষ পড়ে রয়েছে আজও, যাদের দেখলে পাথরের মূর্তি ছাড়া অন্য কিছু মনে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।


খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০১৩ সাল। লেক নেট্রনের ধারে ছবি তুলতে হাজির হয়েছেন ব্রিটিশ ফটোগ্রাফার নিক ব্র্যান্ড। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে তাঁর চোখে পড়ে কয়েকটা পাথরের মূর্তি। ঠিক পাখির মতো। এবং অত্যন্ত নিখুঁত সেই মূর্তি। যেন বাস্তবের কোনো পাখিই প্রস্তরমূর্তি ধারণ করেছে। কাছে গিয়ে একটি মূর্তি তুলে নিলেন নিক। আর তারপরেই অবাক হলেন। মূর্তি নয়, আসলে পাখিরই মৃতদেহ। তার শরীরের ভিতরে রক্ত-মাংসের কিছু নমুনা তখনও অবশিষ্ট রয়েছে। শুধু বাইরের অংশটাই পাথরে বদলে গিয়েছে। একটি একটি করে পাখিকে তুলে নিয়ে গাছের ডালে বসিয়ে দিলেন নিক। তারপর ক্যামেরার শাটার সরিয়ে তাদের ছবি তুললেন। গোটা ইউরোপ জুড়ে প্রদর্শশালাগুলিতে ভিড় জমে গেল সেই ছবি দেখতে। নিক এই ছবিগুলির নাম রেখেছিলেন ‘অ্যালাইভ এগেইন ইন ডেথ’।


৫৭ কিলোমিটার লম্বা, ২২ কিলোমিটার চওড়া এবং প্রায় ১০ ফুট গভীর লেক নেট্রন। অথচ দীর্ঘদিন তার অস্তিত্বের কথা জানতেনই না কেউ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ এই হ্রদের কথা শুনেছিলেন, কিন্তু বাইরের পৃথিবীর কাছে তা ছিল একেবারে অপরিচিত। ১৯৫৪ সালে প্রথম এই হ্রদের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। তাও কেবলমাত্র ফ্লেমিংগো পাখির আশ্রয়স্থল হিসাবে। বছরের সবসময় এখানে ফ্লেমিংগো পাখির দল উড়ে বেড়ায়। হ্রদের জলে খেলা করে। আর হ্রদের জলও যেন ফ্লেমিংগো পাখির গায়ের সঙ্গে মিল রেখেই কখনও গোলাপি তো কখনও টকটকে লাল। এইসবই অবাক করে রেখেছিল পর্যটকদের। এর থেকে বড়ো কোনো রহস্যের সন্ধান তাঁরা পাননি।


প্রায় ২৫ লক্ষ ফ্লেমিংগো পাখির বাস এই হ্রদের আশেপাশে। লম্বা লম্বা পা ফেলে তারা ঘুরে বেড়ায়, আর জলজ ঝাঁঝি খায়। তবে হ্রদের জল অবাক করেছিল গবেষকদের। তাঁরা এই জলের নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, প্লিস্টোসিন যুগে তৈরি হওয়া এই হ্রদের তলদেশ লাভাগঠিত। আর তার মধ্যে রয়েছে ট্রনা ও নেট্রন নামের দুটি যৌগ। এই দুই যৌগের কারণেই জলের রং লাল। শুধু তাই নয়, জলে সোডিয়ামের পরিমাণও অত্যন্ত বেশি। পিএইচ মাত্রা সবসময় ১২ অঙ্কের বেশি থাকে। ১৯৯৮ সালে স্টুয়ার্ট অ্যান্ড স্টুয়ার্ট নামের একটি কোম্পানি এই হ্রদের ধারে সোডিয়াম নিষ্কাশনের জন্য কারখানা তৈরির চেষ্টাও করে। কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবেশকর্মীরা। কারণ, কারখানা তৈরি হলে হারিয়ে যাবে ফ্লেমিংগো-র বসতি।


তবে তখনও অবধি হ্রদের জলের খুনে চরিত্রের কথা কেউ জানতেন না। নিকের ছবিগুলির কথা জানাজানি হতেই তাই অবাক হয়েছিলেন সকলে। এমনটাও কি বাস্তবে সম্ভব? অসম্ভব যে নয় তা ছবিগুলিই প্রমাণ করে। কিন্তু এই জল ছুঁলেই জীবিত প্রাণীর শরীর পাথর হয়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয় বলেই মনে করছেন গবেষকরা। তাঁদের মতে, জলে সোডিয়ামের প্রভাবে ক্ষরতা এতটাই বেশি, যে কোনো জীবিত প্রাণীর চামড়া এতে পুড়ে যেতে বাধ্য। আর দীর্ঘক্ষণ জলের মধ্যে থাকলে ক্রমশ শরীরের সমস্ত কোষই মারা যেতে পারে। তখন সেইসমস্ত মৃত কোষকে পাথরের চেয়ে আলাদা কিছু মনে হবে না। নিক আসলে জলে পুড়ে যাওয়া সেইসব পাখিদেরই সন্ধান পেয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে ফ্লেমিংগো পাখিরা কীভাবে অবাধে ঘুরে বেড়ায়, সেও এক রহস্য।


রহস্যময় এই হ্রদের টানে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে যান। এখনও বসবাসের তেমন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। পাহাড়ের গায়ে তাঁবু খাটিয়েই থাকেন পর্যটকরা। চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন। রক্তাভ হ্রদের উপরে ফ্লেমিংগো পাখির দল আপনাকে মুগ্ধ করবেই। কিন্তু ভুল করেও সেই জলে পা ডুবিয়ে বসবেন না। তাহলে আপনার

 অবস্থাও হতে পারে নিক ব্র্যান্ডের ছবির পাখিগুলির মতোই।


Photo Credit : Photographer Nick Brandt (U.K.)



সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো সুমেরীয় তারকা মানচিত্র।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো সুমেরীয় তারকা মানচিত্র।


সুমেরীয় সভ্যতা মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণাংশের একটি প্রাচীন সভ্যতা। এর অবস্থান ছিল আধুনিক ইরাক এর দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে। সুমেরীয় সভ্যতার সময়কাল খ্রিষ্টপূর্ব ৫৫০০ হতে খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০০-এর মধ্যে। ব্যাবিলন সভ্যতার উত্থানের সাথে সাথে সুমেরীয় সভ্যতার পতন ঘটে।


১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজ্ঞানীরা সুমেরীয় সভ্যতার বিতর্কিত কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা কাদামাটির তৈরি একটি ট্যাবলেটের রহস্য সমাধানের চেষ্টা করেছে। ধারণা করা হয় যে প্রাচীনকালে এই ট্যাবলেটে তথাকথিত Köfel’s নামক এক ঘটনার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। বৃত্তাকার স্টোনকাস্ট ট্যাবলেটটি ১৯ শতকের শেষের দিকে ইরাকের নিনেভেতে অবস্থিত রাজা আশুরবানিপালের (খ্রি.পূ.৬৫০) ভূগর্ভস্থ লাইব্রেরি থেকে উদ্ধার করা হয়।


দীর্ঘকাল ধরে একে অ্যাসিরিয়ান ট্যাবলেট বলে মনে করা হয়েছিল। আধুনিক কম্পিউটার বিশ্লেষণ এটি ৩৩০০ খ্রি.পূ. এর মেসোপটেমিয়ার আকাশের সাথে মিলেছে। এছাড়া, এটি আরও প্রাচীন সুমেরীয় অরিজিন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ট্যাবলেটটি একটি "অ্যাস্ট্রোল্যাব", যা প্রাচীনতম জ্যোতির্বিদ্যার যন্ত্র। এটি খণ্ডিত ডিস্ক-আকৃতির তারকা চার্ট নিয়ে গঠিত। এর কোণ পরিমাপের একক রিমের উপরে খোদাই করা আছে। এটি একটি অনবদ্য আবিষ্কার।


সুমেরীয়রা গণিত ব্যবহার করে চাঁদ ও গ্রহের গতি গবেষণা শুরু করে। ফলে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্রের বিকাশ ঘটে। গ্রহ নক্ষত্রের গতির ছক এঁকে ক্যালেন্ডার তৈরিপূর্বক ঋতু নির্ণয় করে শস্যরোপনের সময় বের করতো। প্রথম দিকে পৃথিবীকে চাকতি ভাবলেও, পরে তাদের ধারণা হয় পৃথিবী গোলাকার। তারাই প্রথম পৃথিবীকে ৩৬০ ডিগ্রিতে ভাগ করে।




রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

পড়বেন হাদিসটি,,,,,,,

 পড়বেন হাদিসটি    ..."তোমরা কি জানো, মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?" রাসুল (সাঃ)

একদিন নবী করিম (সাঃ)এর একজন সাহাবী মারা গেলেন

রাসূল পাক (সাঃ) উনার জানাজা পড়ালেন I তারপর একদল সাহাবী মৃতদেহ কবর দেয়ার জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসলেন I সবার সাথে আমাদের নবী করিমও (সাঃ)হেঁটে হেঁটে আসলেন I

দুই জন সাহাবী কবর খুঁড়তে শুরু করলেন I

সবাই মৃত দেহকে ঘিরে বসে আছেন I

কবর খনন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন I

সবাই চুপচাপ, নীরব ও শান্ত একটি পরিস্থিতি I

নবীজি গভীর মনোযোগ দিয়ে কবর খোঁড়া দেখছিলেন একটু পর সবার দিকে তাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

"তোমরা কি জানো, মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?"

সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে নবীজি কে বললেন,

-ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমাদেরকে বলুন I

নবীজি একটু চুপ করে থাকলেন I সবাই উনার কাছে এসে ঘিরে বসলেন I মৃত্যুর পর আত্মার কি হয়, এই তথ্য তাঁদের জানা ছিল না I আজ সেটা নবীজির মুখে শুনবেন I কত বড় সৌভাগ্য I শুনার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে নবীজির কাছে এসে বসলেন I

তিনি একবার কবরের দিকে তাকিয়ে মাথাটা তুলে আকাশের দিকে তাকালেন

তারপর তিনি গল্পের মত করে বলতে শুরু করলেনI

"শুনো, যখন মানুষ একেবারেই মৃত্যু শয্যায়, তখন সে মৃত্যুর ফেরেস্তাকে দেখে ভয় পেয়ে যায় I কিন্তু যে বিশ্বাসী ও ভালো মানুষ তাকে মৃত্যুর ফেরেস্তা হাসি মুখে সালাম দেন I তাকে অভয় দেন এবং মাথার পাশে এসে ধীরে ও যত্ন করে বসেন I তারপর মৃত প্রায় মানুষটির দিকে তাকিয়ে বলেন,

-হে পবিত্র আত্মা ! তুমি তোমার পালনকর্তার ক্ষমা ও ভালোবাসা গ্রহণ করো এবং এই দেহ থেকে বের হয়ে আসোI

মুমিনের আত্মা যখন বের হয়ে আসে তখন সে কোন ধরণের ব্যথা ও বেদনা অনুভব করে না I

নবী আরো একটু ভালো করে উদাহরণ দিয়ে বললেন,

-মনে করো একটা পানির জগ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর উপর থেকে এক ফোঁটা পানি যেমন নিঃশব্দে উপর থেকে নিচে নেমে আসে ঠিক তেমনি নীরবে ও কষ্ট ছাড়াই আত্মাটি তার দেহ থেকে বের হয়ে আসেI

সেই সময় দুই জন অন্য ফেরেস্তা বেহেস্ত থেকে খুব সুগন্ধি মাখানো একটা নরম সুতার সাদা চাদর নিয়ে আসেন এবং তারা আত্মাটিকে সেই চাদরে আবৃত করে আকাশের দিকে নিয়ে যান I

তারা যখন আকাশে পৌঁছান তখন অন্য ফেরেস্তারা সেই আত্মাটিকে দেখার জন্য এগিয়ে আসেনI

কাছে এসে সবাই বলেন,

সুবহানাল্লাহ ! কত সুন্দর আত্মা, কি সুন্দর তার ঘ্রান !

তারপর সবাই জানতে চান,

-এই আত্মাটি কার ?

উত্তরে আত্মা বহন কারী ফেরেস্তারা বলেন,

-উনি হলেন, "ফুলান ইবনে ফুলান"

(নবী আরবিতে বলেছেন, বাংলায় হলো, "অমুকের সন্তান অমুক" )

বাকি ফেরেস্তা গন তখন আত্মাটিকে সালাম দেয়, তারপর আবার জিজ্ঞেস করে,

-উনি কি করেছেন ? উনার আত্মায় এতো সুঘ্রাণ কেন ?

আত্মা বহন কারী ফেরেস্তা গন তখন বলেন,

-আমরা শুনেছি মানুষজন নিচে বলা-বলি করছে, উনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, আল্লাহর ভালো বান্দা, অনেক দয়ালু, মানুষের অনেক উপকার করেছেন I

এতটুকু বলার পর নবী একটু থামলেন I

তারপর সবার দিকে ভালো করে দৃষ্টি দিয়ে, উনার কণ্ঠটা একটু বাড়িয়ে বললেন,

এই কারণেই বলছি, সাবধান ! তোমরা কিন্তু মানুষের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবে না I

তুমি মারা যাওয়ার পর মানুষ তোমার সম্পর্কে যা যা বলবে, এই আত্মা বহন কারী ফেরেস্তারাও আকাশে গিয়ে ঠিক একই কথা অন্যদেরকে বলবেI

এই কথা বলে তিনি আবার একটু চুপ করলেন, কবরটার দিকে দৃষ্টি দিলেন I

আবার বলতে শুরু করলেন I

এই সময় মানুষ যখন পৃথিবীতে মৃত দেহকে কবর দেয়ার জন্য গোসল দিয়ে প্রস্তুত করবে তখন আল্লাহ তা'আলা আত্মা বহন কারী ফেরেশতাদেরকে বলবেন, "যাও , এখন তোমরা আবার এই আত্মাকে তার শরীরে দিয়ে আসো, মানুষকে আমি মাটি থেকে বানিয়েছি, মাটির দেহেই তার আত্মাকে আবার রেখে আসো I সময় হলে তাকে আমি আবার পুনরায় জীবন দিবো I"

তারপর মৃতদেহকে কবরে রেখে যাওয়ার পর দুই জন ফেরেস্তা আসবেন I তাদের নাম মুনকার ও নাকির I

তারা মৃতের সৃষ্টিকর্তা, তার ধর্ম ও নবী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন I

মুনকার নাকির চলে যাওয়ার পর,

আত্মাটি আবার অন্ধকার কবরে একাকী হয়ে যাবে I

সে এক ধরণের অজানা আশংকায় অপেক্ষা করবে I কোথায় আছে ? কি করবে ? এক অনিশ্চয়তা এসে তাকে ঘিরে ধরবে I

এমন সময় সে দেখবে, খুব সুন্দর একজন তার কবরে তার সাথে দেখা করতে এসেছেন I

তাঁকে দেখার পর আত্মাটি ভীষণ মুগ্ধ হবে I এতো মায়াবী ও সুন্দর তার চেহারা, সে জীবনে কোন দিন দেখেনি I

আত্মাটি তাকে দেখে জিজ্ঞেস করবে,

-তুমি কে ?

সেই লোকটি বলবে,

-আমি তোমার জন্য অনেক বড় সু- সংবাদ নিয়ে এসেছি, তুমি দুনিয়ার পরীক্ষায় উর্তীর্ণ হয়েছো, তোমার জন্য আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের ব্যবস্থা করেছেন, তুমি কি সেটা একটু দেখতে চাও?

আত্মাটি ভীষণ খুশি হয়ে বলবে,

-অবশ্যই আমি দেখতে চাই, আমাকে একটু জান্নাত দেখাও I

লোকটি বলবে,

-তোমার ডান দিকে তাকাও I

আত্মাটি ডানে তাকিয়ে দেখবে কবরের দেয়ালটি সেখানে আর নেই I সেই দেয়ালের দরজা দিয়ে অনেক দূরে সুন্দর বেহেস্ত দেখা যাচ্ছে I

বেহেস্তের এই রূপ দেখে আত্মাটি অনেক মুগ্ধ হবে ও প্রশান্তি লাভ করবে I

এবং সেখানে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে লোকটিকে জিজ্ঞেস করবে,

-আমি সেখানে কখন যাবো ? কিভাবে যাবো ?

লোকটি মৃদু হেসে বলবেন,

- যখন সময় হবে, তখনই তুমি সেখানে যাবে ও থাকবেI আপাততঃ শেষ দিবস পর্যন্ত তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে I ভয় পেও নাI আমি তোমার সাথেই আছি I তোমাকে আমি সেই দিন পর্যন্ত সঙ্গ দিবো I

আত্মাটি তখন তাকে আবারো জিজ্ঞেস করবে,

-কিন্তু তুমি কে ?

তখন লোকটি বলবে,

-আমি তোমার এতদিনের আমল, পৃথিবীতে তোমার সব ভালো কাজের, তোমার সব পুণ্যের রূপ আমি, আজ তুমি আমাকে একজন সঙ্গীর মত করে দেখছো I আমাকে আল্লাহ তা'আলা তোমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্যই এখানে পাঠিয়েছেন I

এই কথা বলে, লোকটি আত্মাটির উপর যত্ন করে হাত বুলিয়ে দিবেন

এবং বলবেন,

-হে পবিত্র আত্মা ! এখন তুমি শান্তিতে ঘুমাও I নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নাও I

এই কথা বলার পর, আত্মাটি এক নজরে বেহেস্তের দিকে তাঁকিয়ে থাকবে এবং একসময় এই তাকানো অবস্থায় গভীর প্রশান্তিতে ঘুমিয়ে পড়বে I

নবীজি এতটুকু বলে আবার একটু থামলেনI

সাহাবীরা তখন গায়ের কাপড় দিয়ে ভেজা চোখ মুছলেন I

(বুখারী ও মুসনাদের দুইটি হাদিস অবলম্বনে)

আল্লাহ আমাদের পবিত্র আত্মা হওয়ার তাওফিক দান করুন..........…...আমীন।



জিবনে ১ বার হলেও যে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসূল (সাঃ)।,,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

    ⭕জিবনে ১ বার হলেও যে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসূল (সাঃ)।


⭕ফজিলত ৪ রাকাত নামাজের বিনিময়ে জীবনের সমস্ত গুনাহ্ মাফ করেন মহান রব্বুল আলামীন ইনশাআল্লাহ🤲🤲


⭕সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

সালাতুল তাসবিহ নামাজ দুই নিয়মে পড়া যায়। দুইটি নিয়মই হাদিসে এসেছে। তাই দুইটি নিয়মই আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।


⭕সালাতুত তাসবিহ নামাজের প্রথম নিয়ম:


১) প্রথমে ওজু করে পাক-পবিত্র হয়ে, পবিত্র স্থানে দাড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে মনে মনে এই নিয়ত করবেন যে, আমি কেবলামুখী হয়ে চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ এর নফল নামাজ আদায় করতেছি)


২) তারপর উভয় হাত কানের লতি বরাবর (মেয়েরা কাঁধ বরাবর হাত উঠাবেন) উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধবেন এবং বাম হাতের উপর ডান হাত রাখবেন।


৩)  এবার ছানা পড়তে হবে (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক। 


৪) তারপর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।


৫)  সূরা ফাতিহা শেষ করার পর যেকোন একটি সূরা পাঠ করতে হবে (চার রাকাতেই সূরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য একটি সূরা পড়তে হবে)।


৬) সূরা মিলানোর পর রুকূতে যাওয়ার আগে ১৫ বার (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ اللهُ اَكْبَرُ) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার' পড়তে হবে। 


৭) অতঃপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার' পড়তে হবে। 


৮)  রুকু হতে উঠার সময় পড়বেন “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্” এবং সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়বেন “রব্বানা লাকাল হামদান,,,,,,,,”। রুকূ হতে দাঁড়ানো অবস্থায় (হাত ছাড়া থাকবে) ১০ বার উক্ত তাসবিহটি পড়তে হবে। 


৯) তারপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় যাওয়ার পর সিজদার তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার তাসবিহটি পড়তে হবে।


১০) দুই সিজদার মাঝে বসে ১০ বার পড়তে হবে।


১১) আবার সিজদায় যাওয়ার পর সিজদার তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার তাসবিহটি পড়তে হবে।


১২)সিজদা শেষ করে আবার ১০ বার পঠে ২য় রাকাআত এর জন্য দাড়িয়ে যাবেন এই হলো সর্বমোট ৭৫ বার।


⭕এভাবে প্রতি রাকাতে মোট ৭৫ বার হবে। এনমভাবে প্রতি রাকাতে ৭৫ বার করে পড়তে হয়। চার রাকাতে সর্বমোট ৩০০ বার হবে।


রাসূল (সাঃ) তার চাচাকে বলেন হে চাচা তুমি পারলে দিনে ০১ বার আমলটি করবা সম্ভব না হলে প্রতি জুম্মায় ১ বার তাও সম্ভব না হলে মাসে একবার এবং এটিও সম্ভব নাহলে বছরে ০১ বার অতঃপর যদি তাও সম্ভব না হয় সারাজীবনে ১ বার হলেও আমল করবা,,,সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন। 


খুব আফসোস এর সাথে বলতে যারা না জেনে বলেন এই নামাজের কোনো অস্তিত্ব নেই কিনবা বিদাত আরো অনেক কিছু তাদের জন্য আমি বলি রাসূলে পাক (সাঃ) সিহাহ্ সিত্তার অন্যতম হাদিস অস্বীকার করে গুনাহ্গার হইয়েননা,,ভুল/বাদ/বাতিল এসব বলার আগে নিচের রেফারেন্স ২টা মিলিয়ে নিবেন ইনশাআল্লাহ এবং আরো রেফারেন্স লাগলে ইনবক্সে নক দিবেন।


(আবু দাউদ ১২৯৭,

সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৭ নং হাদিস)


শিরোনামঃ মানব যৌনতার ইতিহাস অধ্যয়ন।,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 শিরোনামঃ মানব যৌনতার ইতিহাস অধ্যয়ন।


প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে যৌন আচরণের সামাজিক গঠনবাদ এর নিষেধাজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক গভীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সুইস বিচারপতি জোহান বাচোফেনের কাজ যৌনতার ইতিহাসের গবেষণায় একটি বড় প্রভাব ফেলেছিল। অনেক লেখক, উল্লেখযোগ্যভাবে লুইস হেনরি মরগান এবং ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস, বাচোফেন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং এই বিষয়ে বাচোফেনের ধারণাগুলির সমালোচনা করেছিলেন, যা প্রায় পুরোপুরি প্রাচীন পুরাণে ঘনিষ্ঠ পাঠ থেকে আঁকা ছিল। ১৮৬১ সালে তাঁর বই মাদার রাইট: অ্যান ইনভেস্টিগেশন অফ দি রিলিজিয়াস অ্যান্ড জুরিডিকাল ক্যারেক্টার অফ ম্যাট্রিয়ার্কি ইন দ্য এনসাইন্ট ওয়ার্ল্ড -এ বাচোফেন লিখেছেন যে, শুরুতে মানুষের যৌনতা ছিল বিশৃঙ্খল ও এলোমেলো। এই অনুষঙ্গ আরো কিছু তথ্য উল্লেখ করা হলো।


ভারত:

যৌনতার ইতিহাসে ভারত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল। যৌন সম্পর্কের প্রথম যে সাহিত্যে যৌন মিলনের বিষয়টিকে বিজ্ঞান হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, তার লিখন থেকে শুরু করে আধুনিক সময়ের যৌন সম্পর্কের নতুন যুগের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির শুরুটা ভারতেই হয়েছিল। এটা বলা যায় যে ভারত প্রথম যৌনশিক্ষার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, যৌনতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম প্রমাণ হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম এবং জৈন ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থগুলি থেকে আসে এই প্রাচীনতম গ্রন্থগুলির মধ্যে বেদ, যৌনতা, বিবাহ এবং উর্বর প্রার্থনার বিষয়ে নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। বেশ কয়েকটি বৈদিক রীতিতে যৌন যাদু বৈশিষ্ট্যযুক্ত, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আচার অশ্বমেধ যজ্ঞ, যে যজ্ঞ প্রধান রানীর যৌন অনুকরণে মৃত ঘোড়ার সাথে শুয়ে থাকার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। স্পষ্টতই এটি উর্বরতার অনুষ্ঠান যা রাজ্যের উৎপাদনশীলতা, সামরিক শক্তি রক্ষা এবং বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে। এমনকি শাসক শ্রেণীর পক্ষে বংশীয় উত্তরসূরি রক্ষার উপায় হিসাবে বহুবিবাহ অনুশীলন করা অনেক সংস্কৃতিতে সাধারণ ছিল। 


চীন:

চীনের যৌনতাবাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, কনফুসিয়াসের মতো নৈতিক নেতারাও নারীর সহজাত বৈশিষ্ট্যের চূড়ান্ত বিবরণ দিয়েছেন। প্রথম থেকেই, মহিলাদের কুমারীত্ব কঠোরভাবে পরিবার ও সম্প্রদায় দ্বারা প্রয়োগ করা হতো এবং পণ্য হিসাবে তাদের আর্থিক মূল্য সংযুক্ত হত। প্রথাগত সমাজে যে কোনও ধরনের সামাজিক মর্যাদার অধিকারী একজন ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী অবশ্যই তাঁর পিতা বা দাদা তাঁর জন্য বাছাই করতো, পরে ঐ ব্যক্তি তার উপপত্নীর আকারে আরও কাঙ্ক্ষিত যৌন অংশীদার গ্রহণ করতে পারতো। তদুপরি, তার দখলে থাকা দাসীরাও তার কাছে যৌন উপলব্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই, সমস্ত পুরুষের এত কিছু করার আর্থিক সংস্থান ছিল না।


জাপান :

প্রায়শই বিশ্বের প্রথম উপন্যাস বলা হয়, গেঞ্জি মনোগাতারি  কে, যা খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে লেখা, যুবরাজ গেঞ্জির যৌন মিথস্ক্রিয়াকে বিস্তারিতভাবে এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। 

জাপানি যৌনতা সম্পর্কে ভুল ধারণার আবাস হ'ল জাপানী বাইজি প্রতিষ্ঠান। বেশ্যা হওয়ার পরিবর্তে এই মহিলারা সংগীত এবং সংস্কৃত কথোপকথনের মতো শিল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন এবং ডারা তার পুরুষ গ্রাহকের সাথে অ-যৌন মিথষ্ক্রিয়ার জন্য উপলব্ধ ছিলেন। এই মহিলারা স্ত্রীদের থেকে পৃথক ছিলেন, কারন বাইজি ব্যতীত অন্যান্য মহিলাদের সাধারণত গৃহকর্ম সম্পাদন করা ছাড়া অন্য কোনও কিছু করতে হতো না। বাইজিরা অ-যৌন সামাজিক ভূমিকা পালিত করতো যা সাধারণ মহিলারা বা স্ত্রীরা পূরণ করতে পারতো না, এই পরিষেবার জন্য তাদের ভাল পারিশ্রমিক দেওয়া হতো। তাই বলে বাইজিরা যৌনতা প্রকাশ করার সুযোগ পেতো না, তা নয়। প্রত্যেক বাইজির এমন কোনও পৃষ্ঠপোষক থাকতো যার সাথে সে যৌন ঘনিষ্ঠতা উপভোগ করতো, তবে এই যৌন ভূমিকা তার পেশাদারী দায়িত্বের অংশ ছিল না।


রোমান প্রজান্ত্রে:

নাগরিকদের নিজের দেহকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পুরুষ যৌন ধারণার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। [৩] বিবাহ পরবর্তী নারী যৌনতা উৎসাহিত করা হতো। রোমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন "সত্যিকারের মানুষ" নিজেকে এবং অন্যকে উভয়কেই ভালভাবে পরিচালিত করার কথা বলে এবং অন্যের ব্যবহার বা সন্তুষ্টির বশীভূত হওয়া উচিত নয়। 


ইহুদিবাদ:

ইহুদি আইন অনুসারে, বিবাহের সময় লিঙ্গকে অভ্যন্তরীণভাবে পাপপূর্ণ বা লজ্জাজনক হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, বা জন্মগ্রহণের উদ্দেশ্যে এটি কোনও প্রয়োজনীয় মন্দ নয়। যৌনতা স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে একটি ব্যক্তিগত এবং পবিত্র কাজ হিসাবে বিবেচিত। কিছু নির্দিষ্ট বিকৃত যৌন চর্চা মারাত্মক অনৈতিক হিসাবে বিবেচনা করা হত কখনও কখনও মৃত্যুর দ্বারা শাস্তিযোগ্য। 


খ্রিস্টান:

খ্রিস্টধর্ম যৌনতার বিষয়ে দুটি নতুন ধারণা নিয়ে ইহুদিদের মনোভাবকে পুনরায় জোর দিয়েছে। প্রথমত, পুনরাবৃত্তিযুক্ত ধারণা ছিল যে বিবাহ একেবারে একচেটিয়া এবং অবিচ্ছেদ্য, বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে আরও দিকনির্দেশনা রেখেছিল এবং এই আইনের পিছনে কারণ এবং নীতিগুলি প্রসারিত করেছিল। দ্বিতীয়ত, ওল্ড টেস্টামেন্টের সময়ে বিবাহ প্রায় সর্বজনীন ছিল, ইডেনের মোট বিবাহের ধারাবাহিকতায়, তবে নতুন নিয়মে, গতিপথটি নতুন আকাশে ও নতুন পৃথিবীতে বিবাহ না করার লক্ষ্যে এগিয়ে গেছে। 


হিন্দু ধর্ম:

হিন্দু ধর্ম একটি শিল্প, বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন হিসাবে যৌনতার প্রতি একটি উদার মনোভাব গ্রহণ করেছিল। যৌন সম্পর্কিত ভারতীয় সাহিত্যের সর্বাধিক বিখ্যাত গ্রন্থ হ'ল কামসূত্র আধ্যাত্মিক এবং ব্যবহারিক উভয় সুস্পষ্ট যৌন লেখার এই সংগ্রহটি মানব বিবাহ ও যৌন মিলনের বেশিরভাগ দিককে অন্তর্ভুক্ত করে। একে এই আকারে রুপ দিয়েছিলেন ঋষি বাৎস্যায়ন। 


ইসলাম ধর্ম:

ইসলামে কেবল বিবাহের পরে যৌন মিলনের অনুমতি দেওয়া হয় এবং বিবাহ পরবর্তী সময়ে যৌনমিলন আর পাপ বা লজ্জাজনক হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। আসলে এটি স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে একটি ব্যক্তিগত এবং পবিত্র কাজ হিসাবে বিবেচিত হয়। কিছু নির্দিষ্ট বিকৃত যৌন চর্চাকে মারাত্মক অনৈতিক হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং কখনও কখনও মৃত্যুর দ্বারা শাস্তিযোগ্য। 


পশুকামিতা:

পশুকামিতা হলো মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে যৌন ক্রিয়াকলাপ - সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে আসে। যৌন প্রসঙ্গে মানুষ ও প্রাণীর চিত্র কদাচিৎ চিত্রিত হয় ইউরোপে পাথুরে শিল্পকর্মে, নব্যপ্রস্তরযুগে যার সূচনা হয় প্রাণীদের গৃহপালনের শুরু থেকেই।


পতিতাবৃত্তি:

বেশ্যাবৃত্তি হ'ল যৌন পরিষেবা বিক্রয়, যেমন ওরাল সেক্স বা যৌন মিলন। পতিতাবৃত্তিটিকে "বিশ্বের প্রাচীনতম পেশা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়। গনোরিয়া কমপক্ষে ৭০০ বছর আগে রেকর্ড করা হয়েছে এবং প্যারিসের একটি জেলা এর সাথে জড়িত যা "লে ক্লাপিয়ার্স" পূর্ব নামে পরিচিত। যেখানে ঐ সময়ে পতিতাদের খুঁজে পাওয়া যায়। 


বিংশ শতাব্দী: যৌন বিপ্লব

দ্বিতীয় যৌন বিপ্লব ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে পশ্চিম জুড়ে যৌন নৈতিকতা এবং যৌন আচরণে যথেষ্ট পরিবর্তন এনেছিল। যৌন ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কিত পরিবর্তনের একটি কারণ হ'ল গর্ভাবস্থায় যাওয়ার ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন। তাদের মধ্যে প্রধান ছিল, সেই সময়কার, প্রথম জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল। একই সাথে অনেক দেশে গর্ভপাত সম্পর্কিত উদারনীতি যেন মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক বিপদ না ডেকে আনে তার জন্য নিরাপদে এবং আইনিভাবে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা বন্ধ করা সম্ভব করে তোলে।


বিঃদ্রঃ গুগল এবং উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে প্রবন্ধটি সাজানো।


সকাল ০৭ টার সংবাদ  তারিখ : ২৪-০৩-২০২৪ ।,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 সকাল ০৭ টার সংবাদ 

তারিখ : ২৪-০৩-২০২৪ ।


আজকের শিরোনাম:


ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ।


জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দল আওয়ামী লীগ অন্যদিকে ক্ষমতার দল বিএনপি -মন্তব্য ওবায়দুল কাদেরের।


সাইবার অপরাধ দমনে দক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার - জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


সোমালি জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশী জাহাজ ও নাবিকদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার - বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী - তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সোমালি জলদস্যুদের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ।


মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ জনে - এ ঘটনার নেপথ্যের কুশিলবদের শাস্তি দিতে ভ্লাদিমির পুতিনের অঙ্গীকার।


সিলেটে প্রথম টেষ্টের তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে গতকালের ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে আজ আবার ব্যাটিং শুরু করবে শ্রীলংকা।


বয়স বাড়ার সাথে সাথে তিনটি জিনিস নিয়মিত চেক করবেন,,,,,

 বয়স বাড়ার সাথে সাথে তিনটি জিনিস নিয়মিত চেক করবেন।

১) ব্লাড প্রেসার।

২) ব্লাড সুগার।

৩) লিপিড প্রোফাইল।


🔸চারটি জিনিস একেবারেই ভুলে যান৷

১) বয়স বাড়ছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা,

২) অতীত নিয়ে সর্বদা অনুশোচনা করা,

৩) সবসময় দুঃখে কাতর হয়ে থাকা,

৪) মানসিক উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ।


🔸পাঁচটি জিনিস খাবার থেকে যত পারুন এড়িয়ে চলুন।

১) লবন,

২) চিনি,

৩) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার ।

৪) অতিরিক্ত ভাজা ভূজি খাবার

৫) বাইরের কেনা খাবার বা প্রসেসেড ফুড।


🔸পাঁচটি জিনিস খাবারে যত পারুন বাড়িয়ে নিন।

১) সব রকমের সবুজ শাক

২) সব রকম সবুজ সব্জি, সীম বা মটরশুটি ইত্যাদি

৩) ফলমূল,

৪) বাদাম,

৫) প্রোটিন জাতীয় খাবার।


🔸মানসিক শান্তি বা সুখী হতে  সাতটি জিনিস সবসময় সাথে রাখার চেষ্টা করুন।

১) একজন প্রকৃত ভালো বন্ধু,

২) নিজের সমগ্ৰ পরিবার,

৩) সবসময় সুচিন্তা,

৪) একটি নিরাপদ ঘর কিংবা আশ্রয়,

৫) অল্পেতে খুশি হওয়ার চেষ্টা,

৬) অতিরিক্ত অর্থ চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা,

৭) কিছু সময় আধ্যাত্মিক চর্চায় বা সৎসঙ্গ দেওয়া।


🔸ছয়টি জিনিষের চর্চা রাখুন।

১) অহংকার না করা,

২) সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা,

৩) মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা,

৪) নিয়মিত শরীর চর্চা করা ।কিছুক্ষণ হাঁটা নিয়মিত ।

৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

৬) সরল ও সৎ জীবন যাপন


🔸সাতটি জিনিস এড়িয়ে চলুন।

১) কর্য,

২) লোভ,

৩) আলস্য,

৪) ঘৃণা,

৫) সময়ের অপচয়,

৬) পরচর্চা,পরনিন্দা 

৭) কোনো রূপ নেশা বা আসক্তি


🔸পাঁচটি জিনিষ কখনোই করবেন না।

১) অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে যাওয়া,

২) অতিরিক্ত পিপাসায় কাতর হয়ে জল পান করা,

৩) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে ঘুমোতে যাওয়া,

৪) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে বিশ্রাম নেওয়া,

৫) একেবারে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া,


সব সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হোন।

“সুস্থ্য থাকুন - ভাল থাকুন - ভাল রাখুন”

সংগৃহীত তথ্য❤️


শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪

পরমাণুর নিষিদ্ধ যুগ,,,,ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 # ***পরমাণুর নিষিদ্ধ যুগ***


স্বর্ণযুগে একজন দার্শনিক ছিলেন গ্রিসে। তার নাম লিউসিপ্পাস। তিনি খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেন, কোনো বস্তুকে ইচ্ছামতো একের পর এক ভাঙা যাবে না। ভাঙতে ভাঙতে এমন একটা অবস্থায় পৌঁছবে, তখন আর বস্তুটিকে শত চেষ্টা করলেও সম্ভব নয় ভাঙা।


বস্তুটি পৌঁছবে একটা ক্ষুদ্রতম আকারে। কিন্তু সেই ক্ষুদ্রতম আকারের নাম-ধাম, বৈশিষ্ট্য কেমন হবে এ কথা বলে যাননি লিউসিপ্পাস। পরমাণুতত্ত্বের সবচেয়ে আলোচিত প্রবক্তা ডেমোক্রিটাস। লিউসিপ্পাসের ছাত্র।


ডেমোক্রিটাস বস্তুর ক্ষুদ্রতম অবস্থার নাম দিলেন, ‘অ্যাটোম’। অ্যাটোম শব্দের অর্থ অবিভাজ্য। বাংলায় আমরা যাকে বলি ‘পরমাণু’। লিউসিপ্পাসের মতো ডেমোক্রিটাসের পরমাণুকেও আধুনিক পরমাণুর সাথে মেলানো যাবে না।


কিন্তু ডেমোক্রিটাসের সাফল্যটা অন্য জায়গায়। তিনি বস্তুর ক্ষুদ্রতম কণার যে নামটা দিয়েছিলেন। আড়াই হাজার বছর পরেও সেই ‘অ্যাটোম’ নামটা বহাল তবিয়তে রয়েছে বিজ্ঞানের রাজ্যে।


ডেমোক্রিটাসের জীবদ্দশায়ই জন্ম সর্বকালের অন্যতম সেরা দার্শনিক অ্যারিস্টোটলের। সব কিছুতেই তিনি পাণ্ডিত্যের বহর দেখিয়েছেন।


সমাজে ব্যাপক প্রভাব ছিল তাঁর। তাঁর কথাকে অমর বাণী মনে করত গ্রিকবাসী। পরবর্তীকালে অনেক ধর্মগ্রন্থেই অ্যারিস্টোটলের মতের প্রতিফলন দেখা গেছে। দার্শনিক হিসেবে যত দূরদর্শীই হোন অ্যারিস্টোটল, বিজ্ঞানবক্তা হিসেবে তাঁর ব্যর্থতা অনেক। ডেমোক্রিটাসের পরমাণুতত্ত্ব মানতে পারেননি অ্যারিস্টোটল। তিনি ভাবতেন, বস্তুকে ইচ্ছামতো একের পর এক ভাঙা যায়। সেই মত তিনি প্রকাশ্যে প্রচারও করেন। তাঁর কথা ধর্মের বাণীর মতো। তাই সবাই গ্রহণ করল অ্যারিস্টোটলের মত। পরবর্তী সময়ে খ্রিস্টধর্মেও সেই মতের প্রতিফলন দেখা যায়।


তবে ডেমোক্রিটাসকে সবাই কিন্তু উড়িয়ে দেননি। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকের দার্শনিক ছিলেন এপিকারুস। ছিলেন তিনি শিক্ষকও। এপিকারুস পরমাণুবাদকে গ্রহণ করেছিলেন পরম মমতায়। তাঁর পড়ানোর বিষয়গুলোতে যুক্ত করেন পরমাণুবাদ। পরমাণুবাদের ওপর ভিত্তি করে তিনি বেশ কিছু পাঠ্য বইও লেখেন।  খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে আবির্ভাব ঘটে লুক্রেটিয়াস নামে আরেক কবি ও দার্শনিকের। রোমান ছিলেন তিনি। তিনি এপিকারুস দর্শনে অনুপ্রাণিত হন। একটি দীর্ঘ কবিতায় এপিকারুসের পরমাণুবাদ তুলে ধরেন তিনি।


এরপর আবার পরমাণুবাদের অন্ধকার যুগের শুরু। খ্রিস্টধর্মের প্রভাব দিন দিন বাড়তে থাকে। সমাজে শক্তিশালী জায়গা করে নেয় অ্যারিস্টোটলের দর্শন। মধ্যযুগ। পোপ ও পাদ্রিদের ব্যাপক দাপট তখন। সেই দাপটের কাছে তুচ্ছ ইউরোপীয় সম্রাটরাও। তাইতো পোপ আর তার চ্যালারা বিজ্ঞান চর্চার বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে পেরেছিল। মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল হাইপেশিয়া, ব্রুনোকে। গ্যালিলিওকে দেওয়া হয়েছিল কঠিন সাজা।


অ্যারিস্টোটল পরমাণু ধারণা মানতে পারেননি। ধর্মও সেটা মানবে কেন? খ্রিস্ট ধর্মে তাই পরমাণুর কথাও বলা পাপ। তখন লুক্রেটিয়াসের লেখা বইটিকে নাস্তিকতার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়। ধ্বংস করা হয় তাঁর বইয়ের সব কপি। একটা কপিই কেবল টিকে ছিল। ১৪১৭ সালে সেটা উদ্ধার করেন বিজ্ঞানীরা। তৈরি করা হয় সেটার প্রতিলিপিও।


সূত্র : ব্রিটানিকা



সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...