⭕জিবনে ১ বার হলেও যে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসূল (সাঃ)।
⭕ফজিলত ৪ রাকাত নামাজের বিনিময়ে জীবনের সমস্ত গুনাহ্ মাফ করেন মহান রব্বুল আলামীন ইনশাআল্লাহ🤲🤲
⭕সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম
সালাতুল তাসবিহ নামাজ দুই নিয়মে পড়া যায়। দুইটি নিয়মই হাদিসে এসেছে। তাই দুইটি নিয়মই আমরা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
⭕সালাতুত তাসবিহ নামাজের প্রথম নিয়ম:
১) প্রথমে ওজু করে পাক-পবিত্র হয়ে, পবিত্র স্থানে দাড়িয়ে কেবলামুখী হয়ে মনে মনে এই নিয়ত করবেন যে, আমি কেবলামুখী হয়ে চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ এর নফল নামাজ আদায় করতেছি)
২) তারপর উভয় হাত কানের লতি বরাবর (মেয়েরা কাঁধ বরাবর হাত উঠাবেন) উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধবেন এবং বাম হাতের উপর ডান হাত রাখবেন।
৩) এবার ছানা পড়তে হবে (সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক।
৪) তারপর আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
৫) সূরা ফাতিহা শেষ করার পর যেকোন একটি সূরা পাঠ করতে হবে (চার রাকাতেই সূরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য একটি সূরা পড়তে হবে)।
৬) সূরা মিলানোর পর রুকূতে যাওয়ার আগে ১৫ বার (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ اللهُ اَكْبَرُ) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার' পড়তে হবে।
৭) অতঃপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার' পড়তে হবে।
৮) রুকু হতে উঠার সময় পড়বেন “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্” এবং সোজা হয়ে দাড়িয়ে পড়বেন “রব্বানা লাকাল হামদান,,,,,,,,”। রুকূ হতে দাঁড়ানো অবস্থায় (হাত ছাড়া থাকবে) ১০ বার উক্ত তাসবিহটি পড়তে হবে।
৯) তারপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় যাওয়ার পর সিজদার তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার তাসবিহটি পড়তে হবে।
১০) দুই সিজদার মাঝে বসে ১০ বার পড়তে হবে।
১১) আবার সিজদায় যাওয়ার পর সিজদার তাসবিহ পড়তে হবে এবং ১০ বার তাসবিহটি পড়তে হবে।
১২)সিজদা শেষ করে আবার ১০ বার পঠে ২য় রাকাআত এর জন্য দাড়িয়ে যাবেন এই হলো সর্বমোট ৭৫ বার।
⭕এভাবে প্রতি রাকাতে মোট ৭৫ বার হবে। এনমভাবে প্রতি রাকাতে ৭৫ বার করে পড়তে হয়। চার রাকাতে সর্বমোট ৩০০ বার হবে।
রাসূল (সাঃ) তার চাচাকে বলেন হে চাচা তুমি পারলে দিনে ০১ বার আমলটি করবা সম্ভব না হলে প্রতি জুম্মায় ১ বার তাও সম্ভব না হলে মাসে একবার এবং এটিও সম্ভব নাহলে বছরে ০১ বার অতঃপর যদি তাও সম্ভব না হয় সারাজীবনে ১ বার হলেও আমল করবা,,,সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
খুব আফসোস এর সাথে বলতে যারা না জেনে বলেন এই নামাজের কোনো অস্তিত্ব নেই কিনবা বিদাত আরো অনেক কিছু তাদের জন্য আমি বলি রাসূলে পাক (সাঃ) সিহাহ্ সিত্তার অন্যতম হাদিস অস্বীকার করে গুনাহ্গার হইয়েননা,,ভুল/বাদ/বাতিল এসব বলার আগে নিচের রেফারেন্স ২টা মিলিয়ে নিবেন ইনশাআল্লাহ এবং আরো রেফারেন্স লাগলে ইনবক্সে নক দিবেন।
(আবু দাউদ ১২৯৭,
সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৭ নং হাদিস)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন