যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়: শেষ পর্ব
১২.রোযা অবস্থায় পান তামাক চাবানো ও গুল ব্যবহার করা যাবে না, এর দ্বারা রোযা ভেঙ্গে যাবে। কেননা পান চাবানোর পর তার কিছু অংশ এবং থুথুর সাথে তার রস গলায় চলে যাওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে এবং সেই উদ্দেশ্যেই পান তামাক চাবানো ও গুল ব্যবহার করা হয়। সুতারাং পান-তামাক ও গুল ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
১৩.কুলি করার সময় বা নাকে পানি দেওয়ার সময় যদি আকস্মাৎ গলায় পানি চলে যায় আর রোযার কথা স্মরণ থাকে তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং শুধু কাযা ওয়াজিব হবে।
১৪.রোযা অবস্থায় পাথরের টুকরা,মাটি ইত্যাদি অখাদ্য বস্তু খেয়ে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং শুধু কাযা ওয়াজিব হবে, কাফ্ফারা নয়।
১৫.স্বামী -স্ত্রী উভয়ের ইচ্ছায় রোযা অবস্থায় যদি সহবাস করে তাহলে উভয় জনের রোযা ভেঙ্গে যাবে। এবং উভয়ের উপর কাযা ও কাফ্ফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে। আর যদি স্ত্রীর অনিচ্ছায় স্বামী জোর পূর্বক সঙ্গম করে তাহলে স্বামীর উপর কাযা কাফফারা উভয়টি আবশ্যক হবে। আর স্ত্রীর উপর শুধু কাযা ও ওয়াজিব হবে, কাফ্ফারা নয়। আর যদি স্বামীর অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী পক্ষ থেকে বাধ্য হয়ে সঙ্গম করে তাহলে স্ত্রীর উপর কাযা ও কাফ্ফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে আর স্বামীর উপর শুধু কাযা ওয়াজিব হবে।
১৬.রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা, আলিঙ্গন করা, আদর সোহাগ করা বা একের যৌনাঙ্গ অপরের যৌনাঙ্গকে সম্পর্শ করার ফলে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। তবে এর দ্বারা কাফফারা ওয়াজিব হবে না, শুধু কাযা ওয়াজিব হবে।
১৭.ইনহিলার এর মাধ্যমে পেটে ঔষধ পৌছানো হয় তার পরিমান একে বারে অল্প হওয়া সত্বেও ইচ্ছাকৃত ভাবে তা ব্যবহারের কারণে রোযা ভেঙ্গে যাবে, এটাই সাভাবিক মাসয়ালা। কিন্তু এই ঔষধ ভেতরে গিয়ে গ্যাসে পরিনত হয় না খাওয়ার আগে গ্যাসে পরিণত হয় এব্যাপারে ডাক্তারদের দ্বিমত রয়েছে। বিধায় সর্তকতা ও উত্তম হলো এমন রোগী রোযা রাখবে এবং নিজ সামর্থ হিসাবে প্রত্যেক রোযার ফিদিয়াও দিয়ে দিবে, যাতে রোযা না হলে ফেদিয়া দ্বারা তার দ্বায়িত্ব আদায় হয়ে যায়। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে দিনের বেলায় তা ব্যবহার না করে শুধু রাতে ব্যবহার করা আরো ভাল।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৩য় খণ্ড, ৩৭৬ পৃষ্টা)
যেসব কারনে রোজা ভেঙে যায় শেষ পর্ব,,, থেকে নেওয়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন