ক. পাইল কি?
খ. পাইল কত প্রকার কী কী?
গ.পাইল কেন করা হয়?
ঘ. কাস্ট-ইন-সিটু ও প্রি-কাস্ট পাইলের
মধ্যে পার্থক্য কী কী?
ঙ. পাইল ক্যাপ কাকে বলে?
চ. পাইল ক্যাপ কেন দেয়া হয়?
ছ. পাইল করার সময় যে বিষয়ে খেয়াল
করবেন।
জ. অতি সংক্ষিপ্ত ১-১৮ পর্যন্ত।
# # পাইল নিয়ে আরোও তথ্য জানা
থাকলে কমেন্টসে জানাবেন।
ক. পাইল
উত্তরঃ - পাইল হলো একটি গভীর
ভিত্তি।যার মাধ্যমে কাঠামোর
লোডকে স্থানান্তর করা হয়।যেখানে
মাটির ভারবহন ক্ষমতা খুবই কম সেখানে
পাইল করা হয়ে থাকে। পাইলের
মাধ্যমে কাঠামোর লোডকে ছড়িয়ে
দেওয়া হয়।সয়েল টেস্টের রিপোর্টের
ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়
ভিত্তি গভীর হবে না অগভীর হবে।
সয়েল টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী
পাইলিংয়ের ডিজাইন করা হয়ে
থাকে।
খ. ব্যবহার অনুযায়ী পাইল সাত প্রকার।
যথা :-
১ ।বিয়ারিং পাইল
২ ।ফ্রিকশন পাইল
৩।শীট পাইল
৪ ।অ্যাংকর পাইল
৫।ব্যাটার পাইল
৬।ফেন্ডার পাইল
৭।কম্প্যাকশন পাইল
নির্মাণ সামগ্রী অনুসারে পাইল পাঁচ
প্রকার ।
যথা :-
১ ।স্যান্ড পাইল
২।টিম্বার পাইল
৩।কম্পোজিট পাইল
৪।কংক্রিট পাইল
৫।স্টিল পাইল
আমাদের দেশে প্রধানত দুই ধরণের
পাইলের কাজ করা হয়ে থাকে।
১। প্রি-কাস্ট পাইল।
২। কাস্ট ইন সিটু পাইল।
১। প্রি-কাস্ট পাইল
উত্তরঃ –এই পাইল সাধারণত কার্যস্থল
থেকে দূরে কোথাও সুবিধা মতো
স্থানে তৈরি করা হয়ে থাকে।
পাইলের ডিজাইন মেনে পূর্বেই
ঢালাই করা হয়ে থাকে।পরবর্তীতে
লে-আউট অনুযায়ী পাইলের উপর বল
প্রয়াগ করে নির্দিষ্ট স্হানে স্থাপন
করা হয়।পাইলের আকার গোলাকার
অথবা বর্গাকার হয়ে থাকে। এর পার্শ্ব
কভারিং ৫০-৭৫ মিমি।
২। কাস্ট ইন সিটু পাইল
উত্তরঃ –এই পাইলের ডিজাইন অনুযায়ী
নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত গর্ত খনন করে
স্বস্থানে তৈরি করা হয়।প্রথমে
বোরিং করে পরে লোহার খাঁচা
ঢুকিয়ে এই পাইল ঢালাই করা হয়। এর
আকার সব সময় গোলাকার হয়ে থাকে।
এর পার্শ্ব কভারিং ৭৫ মিমি।
আমাদের দেশে কাস্ট ইন সিটু পাইলের
চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ এর
নির্মাণ কাজ সহজ এবং যেখানে
সেখানে নির্মাণ করা যায়।
গ.পাইল করার কারণ :-
১। সুপার স্ট্রাকচারের ওজন যখন অত্যধিক
হয় এবং ভর অসমভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার
প্রয়োজন হয়।
২। মাটির উপরের স্তরের ভারবহন ক্ষমতা
কম হলে।
৩।যখন সাব সয়েলের পানির লেভেল
নিয়ত পরিবর্তনশীল হলে।
৪।খাল/গভীর ড্রেনেজ লাইন ভিত্তির
পাশে অবস্থিত থাকলে।
৫।নদী বা সমুদ্র উপকূলীয়ে এলাকায়
ভিত্তিতে পানির স্কোউরিং
ক্রিয়ার সম্ভবনা থাকলে।
৬।পার্শ্বস্হ চাপ প্রতিরোধের প্রয়োজন
হলে।
৭।মাটির উপরের স্তর প্রসারণ প্রকৃতির
হলে।
৮।মাটির ক্ষয় প্রতিরোধ করতে।
ঘ. কাস্ট-ইন-সিটু ও প্রি-কাস্ট পাইলের
মধ্যে পার্থক্য হলো:-
কাস্ট - ইন-সিটু পাইল:-
১ ।নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত গর্ত খনন
করে স্বস্হানে ঢালাই করে যে পাইল
তৈরি করা হয় তাকে কাস্ট-ইন-সিটু
পাইল বলে।
২। লোহার কেসিং পাইপকে আঘাত
করে মাটিতে বসিয়ে তারপর কংক্রিট
ঢালাই করা হয়।
৩। পানির নিচে ব্যবহার করা যায় না।
প্রি-কাস্ট পাইল :-
১। কার্যস্হল থেকে দূরে সুবিধামতো
স্হানে ঢালাই করে যে পাইল তৈরি
করা হয় তাকে প্রি-কাস্ট পাইল বলে।
২। পাইলকে সরাসরি আঘাত করে
মাটিতে বসানো হয়।
৩।পানির নিচে বসানো যায়।
ঙ. পাইল ক্যাপ বলতে :-
উত্তরঃ - পাইলের মাথা মূলভিত্তির
মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন ।
কারণ পাইলের উপর যদি মূল বুনিয়াদ
তৈরি করা হয়, তবে যে কোন মুভমেন্টে
বুনিয়াদ স্হানান্তরিত হয়ে যেতে
পারে। ফলে বুনিয়াদের পার্শ্বসরণ তথা
অসম বসন হতে পারে। এ জন্য পাইলের
মাথা গুলো একই লেভেল করে
বুনিয়াদের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে
কংক্রিট দ্বারা ঢেকে দিতে হয়।
পাইল ও মূল বুনিয়াদের সংযোগ স্হলে
যে কাঠামো তৈরি করা হয়, তাকে
পাইল ক্যাপ বলে।
চ. পাইল ক্যাপ দেয়ার কারণ :-
উত্তরঃ - পাইলের মাথা মূলভিত্তির
মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন
অন্যথায় ভিত্তির সরণ তথা অসম বসন হতে
পারে। তাই পাইল ক্যাপ দেয়া হয়।
ছ.পাইলিং করার সময় যে বিষয়গুলো
খেয়াল রাখতে হবে
১।স্ট্রাকচারাল ডিজাইন অনুযায়ী
কাজ হচ্ছে কিনা।
২।প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং
মালামাল সাইটে ঠিকঠাক আছে
কিনা।
৩। যতক্ষণ পানিতে কাদা আসে ততক্ষণ
ওয়াস বোরিং করছে কিনা।
৪।একটি পাইল হতে আরেকটি পাইলের
নূন্যতম দূরত্ব ৬ ফুট আছে কিনা।
১।পাইলকে সাধারণত ৪ পদ্ধতিতে
বসানো যায়,
যথা:-
ক। ড্রপ হ্যামার দ্বারা
খ। স্টিম হ্যামার দ্বারা
গ। ওয়াটার জেট দ্বারা
ঘ। ওয়াস বোরিং দ্বারা
২। পাইলের কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি যন্ত্র
হলো
ক।রিক বা ত্রিপায়া
খ। চিজেল
গ।ট্রিমি পাইপ
ঘ।নজেল
ঙ।ক্যাসিং
চ।ড্রিলিং পাইপ
ছ।বাকেট
জ।হ্যামার
৩।পাইলের ডায়া ২০" হলে চিজেল বা
কাটার হবে ১৮"
অর্থাৎ ২" কম হবে।
৪।স্পাইরালএর সূত্র
Nπ(D+d)+8d
৫।পাইলের আয়তনের সূত্র ΠD²/4×H.
৬।পাইলের ক্লিয়ার কভার সাধারণত ৩"
হয়ে থাকে।
৮।স্যান্ড পাইলের ধারণাটি নতুন হলেও
ক্ষেত্রবিশেষে এটা বেশ কার্যকর।
সাধারণত ৪-৫ তলা বিশিষ্ট স্থাপনা
যেখানে মাটির ভারবহন ক্ষমতা কম
সেখানে স্যান্ড পাইল ব্যবহার করা হয়।
৯। পাইল ক্যাপ বিল্ডিং এর সকল লোড
পাইলে স্থানান্তর করে।
১০। দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমান হলে তাকে
বর্গাকার পাইল ক্যাপ বলে।
১১।দৈর্ঘ্য প্রস্থের চেয়ে বড় হলে
তাকে আয়তাকার পাইল ক্যাপ বলা হয়।
১২। পাইল ক্যাপের পুরুত্ব মাটির
বিয়ারিং ক্যাপাসিটি এবং
বিল্ডিংয়ের লোডের উপর নির্ভর
করে।
১৩। পাইল ক্যাপ এর রড সাধারণত
সিঙ্গেল জালী হয়, তবে অনেক
ক্ষেত্রে ডাবল জালীও হতে পারে।
১৪।বিয়ারিং পাইল মাটির অভ্যন্তরের
শক্ত স্তর পর্যন্ত পৌঁছায়।
১৫।ফ্রিকশন পাইল মাটির অভ্যন্তরের শক্ত
স্তর পর্যন্ত পৌঁছায় না।
১৬।শীট পাইল রিটেনিং ওয়াল
হিসেবে কাজ করে।
১৭।অনুভূমিক টানা বল প্রতিরোধের জন্য
অ্যাংকর পাইল ব্যবহার করা হয়।
১৮।তীর্যক ভাবে যে পাইল ড্রাইভ করা
হয় তাকে ব্যাটার পাইল বলে।
#শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন।
#নবীন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হলে টাইমলাইন শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন।
এরকম শিক্ষনীয় পোস্ট পেতে পেইজে #ফলো দিয়ে পাশে থাকুন ❤️❤️
Engr sharif khan joy
শরীফ খান জয়

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন