বিশ্বে সবচেয়ে ধনী দেশের মধ্যে আমেরিকার পরের অবস্থানে রয়েছে, আমাদের বিখ্যাত জেলা "ফেনী"। আঞ্চলিক নাম : "হেণী" , যার অপর নাম "ফেনিয়া" আর "ফেনহাই"! ধারণা করা হয় - "কেনিয়া" দেশটি আর চিনের "সাংহাই" শহরের গোড়াপত্তন হয়েছিল ফেনীর লোকদেরই হাত ধরে। এই জন্য ফেনীকে "ফেনীয়া" ও "ফেনহাই" বলে ডাকা হয় ।
#সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : ১৮৭২ থেকে ১৮৭৪ সালের মধ্যে মোগল আমলের আমীরগাঁও থানা - নদী ভাঙ্গনের ফলে ফেনী নদীর ঘাটের কাছাকাছি খাইয়ারাতে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে এটি ফেনী থানা নামে পরিচিত হয়। অতঃপর ১৮৭৬ সালে নতুন মহকুমায় পতিত হলে খাইয়ারা থেকে থানা দপ্তরটি মহকুমা সদরে স্থানান্তরিত হয় ও নতুন মহকুমাটি ফেনী নামে পরিচিত হয়। দূর অতীতে এ অঞ্চল ছিল সাগরের অংশ, তবে উত্তর পূর্ব দিক ছিল পাহাড়িয়া অঞ্চলের পাদদেশ। ফেনীর পূর্ব দিকের রঘুনন্দন পাহাড় থেকে কাজিরবাগের পোড়ামাটি অঞ্চলে হয়ত আদিকালে শিকারী মানুষের প্রথম পদচিহ্ন পড়েছিল। এখানকার ছাগলনাইয়া গ্রামে ১৯৬৩ সালে একটা পুকুর খননকালে নব্য প্রস্তর যুগের মানুষের ব্যবহৃত একটা হাতিয়ার বা হাতকুড়াল পাওয়া গেছে। পণ্ডিতদের মতে ঐ হাতকুড়াল প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরাতন।
#ফেনীর মুদ্রার নাম : টেঁয়া
#প্রধান পেশা: প্রবাসী আয়, ব্যাবসা - বানিজ্য, কৃষি আর রাজনীতি ।
#জাতীয় সংগীত :
"আরে বাইচা হুনি যান,,,,
আমনেরে আইঁ চিনি,
আমারতান লাগে আমনের বাড়ি
মাইজদী নাইলে হেনি,,,"
#বিশেষ ঐতিহাসিক ঘটনা ঃ ১৯৪৭ এর ১৫ই আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই গান্ধীজি ছাগলনাইয়া হয়ে নোয়াখালী চলে এসেছিলেন। নেহেরু আর জিন্নাহ যখন হালুয়া রুটি ভাগাভাগি করছিলেন তখন গান্ধীজি নোয়াখালীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিল আসেন। তিনি কোন এক কারনে তখন মিয়ার ফৌজের কাছে ছাগল হারিয়েছেন। যিনি নিজের ছাগল রক্ষা করতে পারেননি তেনাকেই ফেনীর জাতির পিতা করা উচিৎ ছিল বলে ঐতিহাসিক গো-বর্ধন বাবু মনে করেন।
#অবস্থান ঃ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২২°৪৪´ থেকে ২৩°১৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৫´ থেকে ৯১°৩৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে ফেনী জেলার অবস্থান।[২] রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ১৫১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে নোয়াখালী জেলা ও চট্টগ্রাম জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা। উপরে : ভাইছাতো আছেনই ।
#দর্শনীয় স্থান ঃ সমশের গাজীর দিঘি, সেন বংশের রাজা বিজয় সেনের দিঘি, পাল বংশের রাজার রাজধানী "মহিপাল", মহাত্মাগান্ধীর আশ্রম, ছাগল নাইয়া, মুহুরী প্রজেক্ট, ফেনীয়া রিভার ব্রিজ, পাগলা মিয়ার মাজার, শিলুয়া, সোনাগাজী সি-বিচ, মহাজন দিঘি ইত্যাদি।
#বিখ্যাত ব্যাক্তি ঃ কবি নবীন চন্দ্র সেন, কবি হাবিবুলাহ বাহার চৌধুরী, ভাষা সৈনিক আব্দুস সালাম, ভাষা সৈনিক গাজীউল হক, শহীদ বুদ্বিজীবি ও সাহিত্যিক শহীদুলাহ কায়সার, শহীদ বুদ্বিজীবি, সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, শহীদ বুদ্বিজীবি ও সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, কবি সামছুন্নাহার মাহমুদ, স্যার এ,এফ রহমান, নাট্যকার ও গবেষক সেলিম আল দীন, বেগম খালেদা জিয়া, শমি কায়সার প্রমুখ । (মোদ্দা কথা আমি ছাড়া ৯৯% লোকই কোন-না কোন কারনে বিখ্যাত, আর ১% লোক আছে কুখ্যাত) ।
ফেনীর অফিসিয়াল নাম: ইউনাইটেড স্টেট অফ ফেনী (USF)।
#ইংরেজি নাম : ফেনহাই
#শীতকালীন রাজধানী : মহিপাল।
#গরমকালীন রাজধানী ঃ ছাগলনাইয়া।
#বানিজ্যিক রাজধানী : দাগনভূঞা
#বন্দর নগরী: সোনাগাজী ।
#আয়তন : ৯২৮.৩৪ বর্গ কি.মি
#ভাষা : ফেনহাই আর নিউক্যালি।
#জনসংখ্যা : ১৪৯৬০০০ (২০১১ সালের জন গণনা অনুযায়ী)
#শিক্ষিতের হার ঃ ৯৯.৯৯%
#জাতীয় নেতা ঃ জয়নাল হাজারী, নিজাম হাজারী।
#জাতীয় খাবার ঃ খোলা-জাঁ হিড়া ,
#জাতীয় পানীয় : মুলার জুস ,
#জাতীয় পাখি : কইতর
#জাতীয় পশু: বিলাই
#জাতীয় খেলা : কুতকুত
#জাতীয় মাছ : কাতলা
#জাতীয় ফুল : হাঁপলা
#জাতীয় ফল : নাইয়ল
#জাতীয় সব্জি ঃ মুলা
#জাতীয় মিষ্টি : খণ্ডলের মিষ্টি ও হাজীর মিষ্টি ।
#জাতীয় ডায়লগ :
১) আইঁ কিচ্ছি,
২) হেনী কলেজের তেঁয়া লই,
চুদুর বুদুর চৈলতো না,
#জাতীয় উপাধি : জাপানি
#বিখ্যাত বাজার ঃ সিলোনীয়া বাজার।
#বিখ্যাত ফল ঃ ডেউয়া আর কাঊ ফল।
#প্রধান নদ নদী ঃ ছোট ফেনী নদী, বড় ফেনী নদী, মুহুরী নদী, কাটা খালি রিভার (কাডালি গাং)।
** এটা কিছুটা ফানি পোষ্ট ধরনের, মজার কোন বিষয়কে সিরিয়াসলি না নেয়ার অনুরোধ রইলো।
ফেইসবুক থেকে নেওয়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন