উপরের হাদীসটা কেন পোস্ট করলাম, তা হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেন নি।
আসলে একটা বিষয় আমাকে নাড়া দিয়েছে। তা থেকে এই হাদিসটি মনে পড়ল।
বড় উস্তাদজী রহ. এর ঔরসে জন্ম নেওয়া বা তার বংশের প্রতিটি প্রদীপ স্বচ্ছ আলো দানকারী।
তাদের প্রত্যেকের মাঝে রয়েছে কিছু পবিত্র প্রতিভা। (ইল্লা আনা) কারোরটা প্রকাশিত হয়। সে হয় প্রসিদ্ধ। আবার কারোরটা থাকে সুপ্ত নিভৃত। ফলে বাহ্যত মনে হয় সে দূর্বল প্রতিভার অধিকারী।
যদিও বাস্তবতা তার বিপরীত।
তেমনই নিভৃতচারী ও সূপ্ত প্রতিভা এবং হাজারো সদগুণের অধীকারী হলেন, বড় উস্তাদজীর রহ.এর বড় সাহেবজাদা মাও. রুহুল আমীন দা. বা.
আমার কাছে মনে হয়কি জানেন? বড় ভাইয়েরা বাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ছোটদের জন্য সব কুরবানী করেন। শত দুঃখ ব্যথা নিরবে সয়ে নেন।
সব প্রসিদ্ধি আর সুখ্যাতি ছোটদের জন্য বরাদ্দ করে দেন।
তা না হলে এত এত গুণধর ব্যক্তি কীভাবে সবার মাঝে থাকেন অতি সাদাসিধে হয়ে?
ভাবতেই আমার অবাক লাগে!
আমি মনে করি আল্লাহর মুকাররব বান্দাদের দ্বারাই এসব সম্ভব!
আজ আমাকে ফোন দিয়ে তার প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণীর জীবনীর স্মারকের খবর দেওয়ার সময় সময় তার কন্ঠে যেই মায়া আর স্মৃতি বিজড়িত করুণ সূর মিশ্রিত ধ্বণি ইতিপূর্বে আমি অনুভব করিনি।
অনেক আগ্রহে আমার ইমেইল নিয়ে আমার কাছে পান্ডুলিপি পাঠালেন। আমি ক্লাসে ছিলাম। তাৎক্ষণাৎ দেখতে পারিনি।
রুমে এসে পান্ডুলিপিটি খুলে চোখ বুলালাম।
আমার হৃদয়ে নতুন করে সৃষ্টি হলো শোকের উত্তাল তরঙ্গ। একেএকে ভেসে উঠল নিষ্ঠুর নিদারুণ স্মৃতিগুলো।
আপনজন হারানোর বেদনা পুনঃ জেগে উঠলো হৃদয়ে মাঝে। হারিয়ে গেলাম দূর অতীতে!
তবে একটা জিনিসে খুব অবাক হলাম! সাদাসিধে এই বড়ভাই এত বড় প্রেমিক! এতো রোমান্টিক? তাদের মাঝের ভালবাসার পরিমান অতল সমুদ্দুর বা অসীম আকাশ সম!
কি স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন তাদের ভালবাসা। একে অপরের প্রতি কতটা কুরবান ছিলেন!
যার সামান্য নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি।
প্রিয় প্রেমাষ্পদের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে লিখে ফেললেন স্মারকগ্রন্থ!!
বাহরে বাহ! কী চমৎকার নমুনা!
আর স্মৃতিচারণগুলোও সেই মানের!
ধন্যবাদ হে গুণবান আবু বকরের সন্তান! ধন্যবাদ.....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন