এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

গোসলের পদ্ধতি ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ⭕ রোজারত অবস্থায় কিংবা রোজাবিহীন অবস্থায় হায়েজ [ঋতুস্রাব], নেফাজ [সন্তান জন্মদানের পর ৪০ দিন পর্যন্ত প্রবাহিত রক্ত], স্বপ্নদোষ এবং স্ত্রী সহবাস জনিত কারনে গোসল ফরজ হয়ে থাকলে কিভাবে ফরজ গোসল আদায় করতে হবে আসুন সেই বিষয়ে জেনে নেইঃ-


🔲 গোসলের ফরজ হচ্ছে ৩ টি। আর এই ৩ টি ফরজের মধ্যে যেকোনো ১ টি ফরজ বাদ পড়লে ফরজ গোসল আদায় হবে না। আর ফরজ গোসল আদায় না হলে নামাজ, আমল, ইবাদত কোনো কিছুই কবুল হবে না।


🔸 গোসলের ফরজ সমূহঃ-


১) একবার কুলি করা, 


২) একবার নাকে পানি দেওয়া,


৩) একবার সম্পূর্ণ শরীরে পানি পৌছে দেওয়া।


🔹 ফরজ গোসলের সুন্নত সমূহঃ-


১) তিনবার গড়গড়ার সাথে কুলি করা,


২) তিনবার নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌছানো,


৩) সম্পূর্ণ শরীরে ভালোভাবে পানি পৌছে দিয়ে গোসল সম্পন্ন করা।


🔸 ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়ার সহিত কুলি করা এবং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌছানো ফরজ নয় বরং সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। তাই উপরোক্ত নিয়মে গোসলের ফরজ এবং সুন্নত সমূহ আদায় করে গোসল করা হলে ফরজ গোসল আদায় হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।


🔹 তবে রোজারত অবস্থায় ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়ার সহিত কুলি করা এবং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবে না। এতে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে তিনবার কুলি করতে হবে, তিনবার (হালকাভাবে) নাকে পানি দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ শরীরে পানি পৌছে দিতে হবে। -[রুদ্দুল মুখতার- ১/২৮৪, বাদায়েউস সানায়া- ১/১১২]


⭕ ফরজ গোসল করার নিয়ম ও পদ্ধতিঃ-


🔸 সর্বপ্রথম উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেওয়া, অতঃপর লজ্জাস্থান ও লজ্জাস্থানে যা লেগে আছে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা। এরপর পরিপূর্ণভাবে অজু করা। তারপর মাথার উপর তিনবার পানি ঢালা এবং শরীরের বাকি অংশে পানি পৌছে দেওয়া। গোসল শেষে উভয় পা ধুয়ে নেওয়া। এটিই হচ্ছে পরিপূর্ণভাবে গোসল করার সুন্নত পদ্ধতি। -[ফাতাওয়ায়ে আরকানুল ইসলাম- ২৪৮]


🔹 ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য মাথার চুল এবং পুরুষদের জন্য দাড়ি ও মাথার চুল ভালোভাবে ভিজাতে হবে।


🔸 উপরোক্ত নিয়মে গোসল করা হলে যদি অজু ভঙ্গ হয়ে না থাকে, তাহলে আর নতুন করে অজু করার প্রয়োজন হবে না। এই অজু দিয়েই নামাজ আদায় করা যাবে।


⭕ রাসূল ﷺ বলেছেন, পবিত্রতা ঈমানের অংশ, পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ, পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। আর তাই নামাজ, রোজা, আমল, ইবাদত, দোয়া ও মোনাজাত কবুল হওয়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন করা জরুরী।


🔲 তাই এখন থেকে আপনারা সবাই উপরোক্ত নিয়মে ফরজ গোসল আদায় করে নামাজ, রোজা, আমল, ইবাদত, দোয়া ও মোনাজাত করবেন ইন শা আল্লাহ 💞✅



কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...