এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ১১ মে, ২০২৪

ছাত্র ই বা কম কি সে???

 “ ছাত্র ই বা কম কি সে????”😃🙏


ছাত্র আর মাস্টারমশাই দু'জনেই অনেক স্মার্ট...


সুজয় পড়ে গেছিল কুমিরের রচনা আর পরীক্ষায় লিখতে দিয়েছিল গরুর রচনা । সুজয় লিখেছিল - "গরু একটি গৃহপালিত জন্তু । গরুর দুটি শিং একটি ল্যাজ চারটে পা । গরু দুধ দেয় । সেই দুধ থেকে ছানা দই মিষ্টি ইত্যাদি হয় । গরু তৃণভোজী প্রাণী । গরু ঘাস খায় । ঘাস খাওয়ার জন্য রাখালরা গরুকে মাঠে চরতে নিয়ে যায় । কিন্তু গরুকে কোন নদীর পাশের মাঠে চরতে নিয়ে যাওয়া উচিৎ না । কারন গরু চরতে চরতে নদীর ধারে চলে যেতে পারে, আর নদীতে কুমীর থাকে । কুমীর একটি হিংস্র জন্তু । গরুকে খেয়ে নিতে পারে । কুমীরের চোয়াল খুব শক্ত হয় । দাঁত খুব ধারালো । কুমীরের চারটে পা, দুটো চোখ, আর একটা লেজ কাটা কাটা কাটা কাটা ...... " -ব্যস , সুজয় ঢুকে গেল কুমীরে ।

স্মার্ট মাস্টারমশাই খাতা দেখে ভাবলেন, "বাঃ ! এতো ভারী মজা ? ব্যাটা সেই পুরনো কাসুন্দী ঘেঁটে তুলে মাস্টারকে বোকা বানাচ্ছে ? নিজেকে খুব চালাক ভাবছে না ? আচ্ছা ! আমিও দেখছি । তোকে ব্যাটা আমি শূন্য দেব না । দশের মধ্যে চার দেব । আর পরের টার্মে এমন রচনা দেব যে তোর না পড়ে পরীক্ষা দিতে আসা বেরিয়ে যাবে । রচনার বিষয়বস্তু একটা উদ্ভট দেব, দেখি ব্যাটা তুই সেখানে কুমীর ঢোকাস কি করে ? "

পরের টার্মে রচনা এল "দূর্গাপুজা" । পরীক্ষা হলে মাস্টারমশাই সুজয়কে দেখে মিটিমিটি হাসছেন । মনে মনে ভাবছেন যে "নে এবার, কি করে কুমীর আনবি আন । সিংহ আনতে পারিস, কিন্তু কুমীর এনে দেখা একবার" । কিন্তু সুজয়ও এত সহজে ছেড়ে দেবার পাত্র নয় । কুমীর সে আনবেই । সে লিখল - দূর্গাপুজা বাঙ্গালীর সবচেয়ে বড় পুজা । চারদিন ধরে পূজো চলে । সবাই নতুন জামা কাপড় পরে । সবাই খুব আনন্দ করে । গোটা বাংলাদেশ এই পূজোয় মেতে ওঠে । পূজোর চার দিন সপ্তমী অষ্টমী নবমী আর দশমী । দশমীর দিন বাঙ্গালীর খুব দুঃখ হয় কারন দশমীতে ঠাকুর ভাসান হয়ে যায় । লোকে ঠাকুর ভাসান করতে নদীতে যায় । কিন্তু ঠাকুর ভাসান সন্ধের পর করা উচিৎ নয়, কারণ নদীতে কুমীর থাকে । কুমীর একটি হিংস্র জন্তু । মানুষকে খেয়ে নিতে পারে । কুমীরের চোয়াল খুব শক্ত হয় । দাঁত খুব ধারালো । কুমীরের চারটে পা, দুটো চোখ, আর একটা লেজ কাটা কাটা কাটা কাটা ...... " -ব্যস , সুজয় আবার ঢুকে গেল কুমীরে ।

মাস্টারমশাই রেগে টং । নিজের পরাজয় এভাবে মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর । এদিকে শূন্যও দিতে পারছেন না । আগের টার্মেই একইরকম লেখায় নাম্বার দিয়েছেন । পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন, সুতরাং কাউকে কিছু বলাও যাবে না । রেগেমেগে ভাবলেন পরের টার্মে এমন বিষয় দেব যে পরীক্ষা হলে বসে তোর পেটে কুমীর কামড়াবে । দেখি কি করে কুমীর ঢোকাস ।

পরের পরীক্ষায় রচনা সত্যি কঠিন এল । অন্তত সুজয়ের বিচারে তো বেশ কঠিন । মাস্টারমশাই রচনা দিয়েছেন, "পলাশীর যুদ্ধ" । পরীক্ষা হলে মাস্টারমশাই বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন । ভাবছেন এইবার বড় জব্দ করা গেছে ব্যাটাকে । এবার আর কিছুতেই কুমীর ঢোকাতে পারবে না । সুজয় কিন্তু নির্বিকার মনে মাথা গুঁজে লিখে চলেছে । কোন হেলদোল নেই । পরীক্ষা শেষে ছাত্ররা খাতা জমা দিয়ে চলে যেতেই মাস্টারমশাই তড়িঘড়ি সুজয়ের খাতাটা টেনে নিয়ে রচনাটা পড়তে লাগলেন । খাতা দেখে মাস্টারমশায়ের চক্ষু চড়কগাছ । সুজয় লিখেছে - "পলাশীর যুদ্ধ বাংলার শেষ স্বাধীন যুদ্ধ । প্রচন্ড রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল পলাশীর প্রান্তরে । যুদ্ধ হয়েছিল নবাব সিরাজদৌল্লা আর ইংরেজের মধ্যে । সেই যুদ্ধে ইংরেজরা জিতে গিয়েছিল ফলে বাংলা তার স্বাধীনতা হারিয়েছিল । নবাব সিরাজদৌল্লাই ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব । তিনি খুব বীর ছিলেন । প্রচন্ড বীরত্বের সাথে ইংরেজের সাথে লড়েছিলেন । কিন্তু তিনি একটি ভুল করেছিলেন, মীরজাফরকে সেনাপতি করে তিনি খাল কেটে কুমীর এনেছিলেন ।কুমীর একটি হিংস্র জন্তু । কুমীরের চোয়াল খুব শক্ত হয় । দাঁত খুব ধারালো । কুমীরের চারটে পা, দুটো চোখ, আর একটা লেজ কাটা কাটা কাটা কাটা ......


মাস্টারমশাই অজ্ঞান !!!


collected

কোন মন্তব্য নেই:

সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতাকবিরাজ সঞ্জয় দত্ত  আয়ুর্বেদিক এন্ড হারবাল চিকিৎসক

 🥬সোনা পাতার গুণ/ সোনা পাতার উপকারিতা 🌴 🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲🌲 হাদিসে সোনাপাতা সম্পর্কে বলা হয়েছে আসমা বিনেত উমাইস (রা.) থেকে বর্ণিত।...