এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

মটরশুটি থেকে বড় আবিষ্কার করেছিলেন জোহান মেনডেল

 মটরশুটি থেকে বড় আবিষ্কার করেছিলেন জোহান মেনডেল

জোহান গ্রেগর মেন্ডেল-এর জন্ম ১৮২২ সালের ২২ জুলাই, তদানীন্তন হ্যাবসবার্গ সাম্রাজ্যে। পৈতৃক নাম ইয়োহান, বংশীয় নাম মেন্ডেল। ‘গ্রেগর’ শব্দটা যুক্ত হয়েছে অগাস্টিনীয় আশ্রমে যোগদান করার পর। বাবা অ্যান্টন মেন্ডেল ছিলেন কৃষক; ভূস্বামীর অধীনে কাজ করতেন।

তবে নিজস্ব জমিজমা এবং সম্পত্তির বিচারে তিনি হতদরিদ্র ছিলেন বলা যাবে না। মেন্ডেল পরিবার যেখানে থাকত সেখানে কাজের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ছিল। ফলে ছেলে একটু পরিণত হয়ে পৈতৃক কাজ-কর্মে লেগে যাবে—এমনটাই ইচ্ছা ছিল জোহানের বাবা-মায়ের। কিন্তু প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে তিনি সকল বাধা পাশ কাটিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি হয়ে যান।

স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর পরই তাঁর বোধভাষ্যি শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরূপ ধীসম্পন্ন একটা ছেলে গ্রামের সাদামাটা এক স্কুলে পড়ে মেধার অপচয় করবে—এমনটা চিন্তা করে শিক্ষকেরা তাঁকে ভালো একটি স্কুলে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে পরের বছর উচ্চবিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন তিনি।

ছেলেকে দিয়ে যে খামার দেখাশোনার কাজ হবে না সেটা বুঝতে পেরে বাবা-মাও ছেলেকে পড়ালেখা চালিয়ে যাবার জন্য আর্থিক ও মানসিক—উভয় প্রকার সহায়তা দিয়ে গেছেন।

কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফসল ফলাতে ব্যর্থ হওয়ায় একটা সময় তাঁর বাবার পক্ষ থেকে আসা অর্থ সহযোগিতাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে মেন্ডেলকে শিক্ষকতার পেশা বেছে নিতে হয়। পড়াশোনা এবং গৃহশিক্ষকের কাজ করে নিজের পড়ার খরচ জোগানো—এভাবেই চলছিল মেন্ডেলের জীবন। ১৮৪০ সালে তিনি যখন বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পন্ন করেন তখন তাঁর বয়স আঠারো বছর। বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হত।

তবে সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য অতিরিক্ত দুই বছর দর্শন পাঠ বাধ্যতামূলক ছিল। দর্শনশাস্ত্র পড়ানোর জন্য ছিল আলাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি দর্শনশাস্ত্রের অধ্যয়ন সম্পন্ন করেন। তবে এর মধ্যবর্তী সময়টা মেন্ডেল-এর জন্য খুব একটা স্বস্তিদায়ক ছিল না।

একেতো আর্থিক সমস্যা, অপরদিকে মানসিক অসুস্থতা। মেন্ডেলের একটা বড় সমস্যা ছিল যে তিনি মানসিক চাপ একদমই নিতে পারতেন না। ফলে আর্থিক বা অন্য কোনো চাপা উত্তেজনা তাঁর স্নায়ুর ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলত। এই মানসিক অস্থিরতা তাঁকে আমৃত্যু পীড়া দিয়ে গেছে। তাঁর জীবনচরিত পাঠ করলে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি বোনদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। মেন্ডেল স্ব-ইচ্ছায় খামারবাড়ির কর্তৃত্ব ছেড়ে দেয়ায় সেটার দায়িত্বভার গিয়ে পড়ে তাঁর বড় বোনের স্বামীর ওপর। মেন্ডেল-এর আর্থিক সমস্যা তখন তুঙ্গে। এমতাবস্থায় ছোট বোন তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ভগিনীর এই সাহায্যের কথা তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেছেন এবং মঠাধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর ভাগিনেয়দের লেখাপড়ার সকল খরচ নিজে একা বহন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পদার্থবিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র, নীতিশাস্ত্র ও গণিত বিষয়ে অধ্যয়ন করেন, যদিও আর্থিক ও মানসিক অস্থিতিশীলতার কারণে শেষ অব্দি তা সুসম্পন্ন করতে পারেননি। ১৮৪৩ সালে তিনি ব্রুনোর সেইন্ট টমাস আশ্রমে চাকরির জন্য আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হিতাকাঙ্ক্ষী শিক্ষকের সহায়তায় খুব সহজেই তিনি আশ্রমের চাকরিটা পেয়েও যান। অনিন্দ্য কিছু গুণাবলির জন্য তিনি সকলের প্রিয়পাত্র ছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্তিতে তাঁর এই গুণগুলো বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করত। উদাহরণস্বরূপ সেইন্ট টমাস আশ্রমের সেই চাকরির প্রসঙ্গটাই তুলে ধরা যায়। ব্রুনোর সেইন্ট টমাস ছিল তৎকালে বিখ্যাত একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বহু প্রতিযোগীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সেখানে সুযোগ করে নেয়াটা কঠিন এক কাজ ছিল। তাছাড়া আশ্রমের আনুষ্ঠানিক কর্তৃত্বপ্রসূত ভাষা ছিল চেক। এদিকে মেন্ডেল অভ্যস্ত ছিলেন জার্মান ভাষায়। এই সকল অভাব থাকা সত্ত্বেও মেন্ডেলকে বাছাই করা হয়েছিল শুধুমাত্র তাঁর পরিপাটি চিন্তাভাবনা, পরিশীলিত আচার-আচরণ ও মেধার কারণে। আশ্রমে গিয়ে মেন্ডেল তার কাঙ্ক্ষিত পরিবেশটাই পেয়েছিলেন। সহকর্মীরা সকলেই ছিলেন আন্তরিক, মঠাধ্যক্ষ ছিলেন একজন বিনয়ী মানষ।

ব্রুনোর অগাস্টিনীয় আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ ছিলেন এফসি ন্যাপ। এই লোকটি মেন্ডেলের মাঝে এক অবিদিত প্রতিভা দেখতে পেয়েছিলেন। মেন্ডেলকে তিনি 'ন্যাচারাল সায়েন্স' পড়তে উৎসাহ দিতেন। আশ্রমে কর্মরত সকলেই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। সেখানে গ্রন্থাগার ছিল, ছিল পাঠোপযোগী পরিবেশ। তাছাড়া আশ্রমের অনেকেই ব্রুনোর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতেন। ন্যাপ নিজেও শিক্ষক ছিলেন। ফলে আশ্রমটি ছিল মেন্ডেলের জন্য এক উপযুক্ত স্থান। সেখানে মেন্ডেলের প্রথম কাজ ছিল হাসপাতালে গিয়ে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীদের ধর্মীয় সান্ত্বনাবাণী পড়ে শোনানো এবং পাপস্বীকার শ্রবণ করা। শিগগিরই এই কাজের প্রতি মেন্ডেলের বিতৃষ্ণা চলে আসে। ন্যাপ-এর কাছে গিয়ে তিনি উক্ত কাজ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিতে অনুরোধ জানান। তাঁর মনোবাসনা ছিল শিক্ষকতা করার। তিনি নিজেই বলতেন—‘প্রাকৃতিক জ্ঞানের সমুদ্রে ডুবে থাকাই আমার সবচেয়ে পছন্দের কাজ।’ ন্যাপ সেটা ভালো করেই জানতেন।

স্থানীয় একটি স্কুলে ন্যাপ, মেন্ডেলের জন্য সুপারিশ করেন। তখন ইউরোপে মঠাধ্যক্ষদের ক্ষমতা ছিল রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের। তাঁরা রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ভালো প্রভাব রাখতে পারতেন। মেন্ডেলের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে যোগদানে প্রধান বাধা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমাপ্ত পাঠ। কিন্তু ন্যাপের সুপারিশে মেন্ডেলের একটা গতি হয়, যদিও বেতন অন্যদের অর্ধেক। পূর্ণ বেতনভুক্তির সুবিধা পেতে কয়েক স্তরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণ হয়ে তবেই শিক্ষকদের খাতায় নাম লেখাতে হত। মেন্ডেল সেই রকম একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ন্যাপ তাঁকে ‘ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনাতে প্রাকৃতিক ইতিহাসের ওপর পাঠ সম্পন্ন করে আসতে বললেন। যথারীতি ন্যাপের সুপারিশ এবং মেন্ডেলের ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ। মেন্ডেল সেখানে দুই বছর অধ্যয়ন করেছেন। তাঁর পরবর্তী বৈজ্ঞানিক জীবনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। এখানেই মেন্ডেল পরিচিত হয়েছেন তৎকালীন সেরা সব জীববিজ্ঞানী, পদার্থবিজ্ঞানীদের সাথে। এসব পরিচিতিই মূলত মেন্ডেলকে তাঁর জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করেছিল।

পদার্থবিজ্ঞানের বিখ্যাত ‘ডপলার ক্রিয়ার’ আবিষ্কর্তা ক্রিশ্চিয়ান ডপলার-এর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল এখানে। পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত তাঁর পাঠ্যবিষয় ছিল। এখানে শেখা বা জানা বিষয়গুলোর একটা প্রভাব দেখা যায় তাঁর পরবর্তী বৈজ্ঞানিক গবেষণায়। প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যায় গণিতের প্রয়োজনীয়তা ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারেন পদার্থবিজ্ঞানীদের কাছ থেকে। বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী ফ্রাঞ্চ আংগার ছিলেন তাঁর শিক্ষক। উদ্ভিদের ক্রমবিকাশ, সংকরায়ণ ইত্যাদি ছিল আংগারের গবেষণার বিষয়। তখন মনে করা হতো যে একই প্রজাতির দুটি ভিন্নধর্মী উদ্ভিদের মধ্যে ক্রস ঘটানো হলে প্রথম প্রজন্মে সব সমধর্মী বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়। প্রথম প্রজন্মের উদ্ভিদগুলো নিয়ে পুনরায় ক্রস ঘটানো হলে দ্বিতীয় প্রজন্মে এসে মূল উদ্ভিদ প্রজাতির কিছু বৈশিষ্ট্য পুনর্ব্যক্ত হয়। এসব বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য কোনো গাণিতিক সংখ্যামান ব্যবহার করা হতো না। অপরদিকে মেন্ডেলের বংশগতিবিদ্যায় এই গাণিতিক সংখ্যায়ন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এরই মাঝে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এল এল লিট্রোর প্রকৃতির জ্ঞান অন্বেষণে ‘সম্ভাব্যতার নীতি’র প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। মেন্ডেল নিয়মিত এসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখতেন এবং গুরুত্ব উপলব্ধি করার চেষ্টা করতেন।

১৮৫৩ সালে মেন্ডেল তাঁর নিজ কর্মস্থল ব্রুনোতে ফিরে আসেন। তবে এবারের মেন্ডেল চিন্তাভাবনা ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ অন্য এক মেন্ডেল। ব্রুনোতে ফিরে তিনি পুনরায় আশ্রমের কাজে নিয়োজিত হন এবং একটি উচ্চবিদ্যালয়ে প্রাকৃতিক ইতিহাস ও পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পাশাপাশি শুরু করেন মটরশুঁটি নিয়ে তাঁর সেই ভুবনবিখ্যাত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা- বংশগতি কী এবং প্রজন্মান্তরে কীভাবে তার প্রকাশ ঘটে। উত্তর অনুসন্ধান করতে গিয়ে আবিষ্কার করে বসেন শতাব্দীর অন্যতম চাঞ্চল্যকর ঘটনা—বংশপরম্পরায় মিল-অমিলের পরিসংখ্যান। এই বিষয়টিকেই আমরা এখন জেনেটিকস বলে জানি। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বললেও তাঁর আয়ুষ্কালে আবিষ্কারটি কোনো প্রকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করতে পারেনি। ডারউইনের সমসাময়িক হলেও ডারউইনের মতো তিনি গণমাধ্যম ও জনসাধারণের ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হন। অনেকটা নীরবেই তাঁর কাজগুলো ধামাচাপা পড়ে যায় বিখ্যাতদের কাজের আড়ালে।

বংশগতি ছাড়াও মেন্ডেল বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আবহবিদ্যা সে রকমই একটি শাখা। মৌমাছির কৃত্রিম প্রজননেও তিনি সফলতা অর্জন করেন। ১৮৬৮ সালে ন্যাপের মৃত্যুর পর আশ্রমের গুরুদায়িত্ব গিয়ে পড়ে মেন্ডেলের ওপর। মেন্ডেল আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। বলা হয় মঠাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট উদ্ভিদবিজ্ঞানী কার্ল ফন নেগেলির উপদেশে তিনি ভিন্ন একটি উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে সফল হতে পারেননি। উদ্ভিদের হায়েরিশিয়াম প্রজাতি নিয়ে কাজ করছিলেন নেগেলি। কিন্তু ফুলটির কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের কারণে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না তিনি। এরকমই একটা সময়ে মেন্ডেল তাঁর গবেষণাপত্রটি নেগেলির কাছে পাঠান। নেগেলি গবেষণাপত্রটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে না পারলেও মেন্ডেলের মেধা সম্পর্কে একটি ধারণা তিনি পেয়েছিলেন। নেগেলির পরামর্শটি মেন্ডেলের জন্য হিতে বিপরীত হয়। নতুন এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বিভ্রান্তিকর সব ফলাফল আসছিল, যা মেন্ডেলকে তাঁর প্রাক্তন গবেষণাফল সম্পর্কে কিছুটা সন্দিহান করে তোলে। একটা সময় পর মেন্ডেল গবেষণার প্রতি অনেকটাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন।

এরূপ এক পরিস্থিতির মধ্যেই তিনি মঠাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন এবং উক্ত কাজে তৎপর হয়ে ওঠেন। মঠাধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি গবেষণায় কতটা মনোনিবেশ করতে পেরেছিলেন সে বিষয়ে মতভেদ আছে। গবেষণাকার্যে নিয়োজিত থাকলেও তিনি যে আশ্রমের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ ছিলেন সে বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। ধর্মীয় নীতি সাপেক্ষে তিনি ছিলেন একজন সফল ধর্মযাজক, এবং বিজ্ঞানী হিসেবে ছিলেন একজন সফল জীববিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৮৮৪ সালের ৪ জানুয়ারি সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ফ্রাঞ্চ বারিনা নামে মেন্ডেলের এক সহকর্মী মেন্ডেলর মৃত্যু সময়কালীন কিছু কথা লিখে গিয়েছেন— ‘যদিও জীবনে আমাকে অনেক কষ্টকর মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তবুও যেসব সুন্দর ও ভালো বিষয়গুলো আমার সাথে হয়েছে সেগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই হবে। আমার বৈজ্ঞানিক কাজগুলো আমাকে অনেক বেশি সন্তুষ্টি এনে দিয়েছে এবং আমি মনে করি যে বিশ্ব একদিন ঠিকই আমার কাজের স্বীকৃতি দেবে।’

লেখক: চিকিৎসক ও বিজ্ঞান লেখক

Source: কালের কণ্ঠ

কোন মন্তব্য নেই:

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...