এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪

নন্দিত নাট্যজন অধ্যাপক মমতাজউদদীন এর প্রতিটি উচ্চারণ বড় বেশী মনে পড়ে আজ।

 ❝বাংলাদেশের প্রতিটি ধুলিকণা আমার। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মঠ- সব আমার। পৃথিবীর সেরা দেশ আমার দেশ।❞ - অধ্যাপক মমতাজউদদীন।  


নন্দিত নাট্যজন অধ্যাপক মমতাজউদদীন এর প্রতিটি উচ্চারণ বড় বেশী মনে পড়ে আজ। বহুমাত্রিক গুণীমানুষটি যা চেয়েছেন, নিজের অদম্য চেষ্টায় তাই পেয়েছেন। বলা যায় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে তুখোড় অভিনেতা, লেখক ও শিক্ষাবিদ। বৃত্তের বাইরে তিনি ছিলেন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সবার প্রিয় শিক্ষক। বাঙালির চেতনায় ঋদ্ধ মানুষটি বাংলা ভাষা আন্দোলন, এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। শিক্ষক ও লেখক হিসেবে পরিচিতি পেলেও থিয়েটারের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। তিনি যেমন ছিলেন মঞ্চের মানুষ, তেমনি ছিলেন একজন সফল নাট্যকার এবং আমাদের শ্রদ্ধাভাজন প্রিয়জন। 


মমতাজ স্যারের জন্ম বাংলার অবিভক্ত ভারতের মালদহে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৮ জানুয়ারি ১৯৩৫ সালের পৌষ মাসে এক রোববারে। মা সখিনা খাতুন, বাবা কলিমুদ্দিন আহমদ। ৬ বোন ও ৬ ভাইয়ের মধ্যে তিনি বাবা মায়ের তৃতীয় সন্তান। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৩ সালে কামরুন্নেসা মমতাজকে তাঁর জীবন সঙ্গী করে নিয়েছিলেন। তাঁদের দু'ছেলে, দু'মেয়ে সবাই প্রবাসী।   


জীবনে সূর্যের মতই তিনি জ্বলে উঠেছিলেন। মালদহের আইহো স্কুলে লেখাপড়া শুরু, চতুর্থ শ্রেণীর পর ভর্তি হন সে সময়ের সেরা মালদহ জেলা স্কুলে। গ্রাম থেকে ৫ মাইল দুরের জেলা শহর, সে সময়ে মালদহ জেলা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীর স্কুল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সবাইকে চমকে দেন। তখন প্রতিবছর দুটি নাটক হতো, প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি অভিনয় করতেন সে সব নাটকে। শরৎচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন শিক্ষক। ভালোদের জন্য তিনি সুযোগ দিতেন অভিনয়ের। মমতাজ স্যারের প্রতিভার স্ফুরণ হয় সে সময় থেকে। 

 

দেশভাগ তাঁকে দুঃখ দিয়েছে। তিনি দেশভাগের দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, দেশভাগ আমার মানুষ পরিচয় মুছে মুসলমান পরিচয় দিয়েছে, তাঁর জন্য এ ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক, কষ্টের। দেশ ভাগের ফলে সেই মালদহ স্কুল থেকে পূর্ববঙ্গের ছাত্রদের বিতাড়িত করেছিল। ধর্ম দিয়ে মানুষকে চিহ্নিত করা, বোধ শক্তির পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাঁর কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য ছিল না। 


১৯৪৭ এর দেশভাগের পর স্থায়ী আবাস গড়েন চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ১৯৫১ ভোলাহাট রামেশ্বর পাইলট থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তখন তিনি মার্ক্সবাদ আর ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতি করেন। তিনি মানুষকে মানুষের পরিচয়ে দেখতে চেয়েছেন। পুরো পৃথিবীর বন্ধুত্ব আর সখ্যতা চেয়েছেন। চেয়েছেন মানুষের সামাজিক আর অর্থনৈতিক সমতা।  ১৯৫২ সালে তিনি আন্দোলন, ভাষায় দাবী আদায়ে সোচ্চার হয়েছেন, ১৯৫৩ সালে কারাবরন করেছেন। 


সে এক বৈরী সময় এসেছিল তাঁর জীবনে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন চলছে, তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন, অর্ধেক পরীক্ষার পর ছুটেছেন কেন্দ্রে নির্বাচনকে সামনে রেখে। চলছে রাজনীতি, পেয়েছেন বাঙালি জাতির প্রতি উদাত্ত কণ্ঠ বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা। ১৯৫৪ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে সেদিনের সেরা ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন গ্রেস নিয়ে। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ বাংলায় বি.এ অনার্স। এর পর চলে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময়ে ক্লাসে পেয়েছিলেন জহির রায়হান, আবদুল গাফফার চৌধুরীর মত বন্ধুদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ১৯৫৮ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন। 


সে সময়ে তিনি গল্প আর প্রবন্ধ লিখতেন সমকালে। সিকান্দার আবুজাফর, হাসান হাফিজুর রহমান সহ বরেণ্য সাংবাদিক ও লেখকদের সহচর্যে ধন্য হয়েছেন। মালদহ জেলা স্কুল, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলে চলেছে অভিনয়, পেয়েছেন প্রথম পুরস্কার। আর এভাবে ভাষা আন্দোলন, বাম ছাত্র রাজনীতি করেও নাটকে যুক্ত থেকেছেন আজীবন। 


সময়টা ১৯৫৮, আইয়ুব খানের মার্শাল'ল। তিনি চাকুরী খুঁজছেন, এ সময়ে এগিয়ে আসেন অনেকেই। শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন বাংলার অধ্যাপক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৬ বছর ছিলেন সে জীবনে। ১৯৬০ এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রাদুর্ভাবের পর অর্থ সংগ্রহের জন্য লেখেন একটি নাটক, 'তবুও আমরা বাঁচবো' এ শিক্ষকতা আর নাটকই তাঁর জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসে। বোধ করি সেই শক্তিতেই মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তিনি মুক্তির সংগ্রামকে উদ্দীপ্ত করতে নাটক লিখেছিলেন, 'এবারের সংগ্রাম' যা পরে নামকরণ হয় 'স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা'। স্যার বলেছিলেন ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ সে নাটকের দর্শক ছিল প্রায় দেড় লক্ষ। সেদিনের প্লাবনের পর আর একাত্তরের স্বাধীনতার আহ্বানের পক্ষে কাজ করাই ছিল তাঁর সে শক্তির উৎস। 


পেছনে ফিরে তাকালে দেখি স্যার বলছেন; মামা, চাচা, বড় বোন সহ পরিবারের প্রায় অনেকেই অভিনয় করতেন বা দর্শক সারিতে থাকতেন। রামচন্দ্র, সীতা পালা নিয়ে অভিনয়, তিনি শিখতেন তাঁদের কাছে। ছোট বেলায় বেশ বুদ্ধিমত্তার ছিলেন 'মমতাজ', তাঁর ভাষায় অত্যন্ত চালাক ও চতুর। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পয়সা দরকার হলে বাবা বা মায়ের পয়সা চুরিও করেছেন। বাল্যকাল কেটেছে দাদীর অপরিসীম স্নেহ, ভালোবাসায়। ছোট বেলায় জন্মে দাদীর উপহার হিসেবে পাওয়া কোমরের সোনার বিছা বা চেন হারিয়ে ফেলেছিলেন মঞ্চে, পরে মা বলেছিলেন 'তুই নাটকে নাটক করছিস, নাটকে সোনার বিছা পাবি না।'। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে তিনি শিক্ষানুরাগী মা সখিনা খাতুনের সে কথা ভুল প্রমাণ করেছিলেন। বরং নাটকের পাগলামিকে তিনি আশীর্বাদ হিসেবে নিয়েছিলেন। খুব ভালো খেলতেন না বটে, তবুও ছোট বেলা থেকেই ফুটবল, ভলিবল, হকি খেলাধুলা সহ নাটকে অংশ নিতেন। আর চলতো নাটকে অভিনয়।


বাবা কলিমউদদীন চান নি তিনি নাটকে চাকরের অভিনয় করেন, চাইতেন তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। কিন্তু নাটক পাগল মমতাজউদদীন দুর্দান্ত অভিনয়ে সীমানা ভেঙ্গেছিলেন, কোন চরিত্রই তাঁর কাছে ছোট মনে হয় নি। খুব ছোট চরিত্র করেও তিনি অনন্য হয়েছেন। বাংলা নাটকে মঞ্চে তিনি যেমন ছিলেন দক্ষ অভিনেতা, তেমনি সফল নাট্যকার, এবং নির্দেশক। ছোট বেলায় শখের থিয়েটারে কাজ শুরু করে জীবনে কখনো নাটককে ছেড়ে থাকেন নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা কালে থিয়েটার ৭৩ এর সাথে কাজ শুরু। পরে ঢাকা এসে যুক্ত হন নাট্যদল 'থিয়েটার' এর সাথে। শুরু হয় গ্রুপ থিয়েটারে কাজ।         


তাঁর লেখা নাটক ‘কি চাহ শঙ্খ চিল’ এবং ‘রাজা অনুস্বরের পালা’ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিচিত্র ও বহুমাত্রিক। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকসমূহে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তাঁর বেশ কিছু নাটক, বাংলাদেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাঁর লেখায়, নাটকে হাসি, আনন্দ, দুঃখ বেদনা, সাম্প্রদায়িকতা, ক্ষয়িষ্ণু জীবন বা জীবনের দুর্নিবার আকর্ষণ, সমসাময়িক রাজনীতি, বিচ্ছেদ, লোভ, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্ষমতায়ন সহ জীবনের নানা উপাখ্যান উঠে এসেছে। এবং তা সহনীয় হাস্যরস, কৌতুক, প্রহসনের মত নিজ নিজ জায়গায় পাঠকের এবং দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বলা যায় ধন্য হয়েছে সে সব নির্মাণ। নাটকের বাইরে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে তাঁর ছিল প্রবল আগ্রহ।         


৩২ বছরের বেশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ইউরোপীয় নাট্যকলায় শিক্ষাদান করেছেন। ১৯৬৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা শুরু করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৭৬-৭৮ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে নিউ ইয়র্কে জাতি সংঘের বাংলাদেশ মিশনে সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বাংলা ভাষা, এবং বাঙালি জাতির প্রতিনিধিত্ব করেছেন, পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বহির্বিশ্বে। ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কখনোই মিথ্যায় জীবন যাপন করেন নি। শেষ জীবনেও তিনি সাম্প্রদায়িকতা, এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠ ধারণ করেছেন, লেখায় অকপট সত্য তুলে ধরেছেন। 


তাঁর সৃজনশীলতা আর বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার,  বাংলা নাটকে অবদানের জন্য ১৯৯৭ সালে একুশে পদক, ২০০৮ সালে নাট্যকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। 


এ পৃথিবীর সর্বত্র যখন শিক্ষা, সংস্কৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যখন ঊর্ধ্বমুখী, অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে তখনো বাংলা উইকিপিডিয়ায় মমতাজউদদীন স্যার সহ অনেকের প্রোফাইলে মনগড়া কথা লেখা হচ্ছে, আজও বিভ্রান্ত হচ্ছে বাংলার জনগণ। বাংলার আর এক দার্শনিক ড. মমতাজউদ্দিন আহমেদ, ২৪ ডিসেম্বর ১৯০৩ – ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, তাঁর প্রোফাইলে বলা হয়েছে তিনি ১৯৩৯ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ঢাকা কলেজের প্রথম মুসলিম অধ্যক্ষ হন। একজন শিক্ষাবিদকে মুসলিম অধ্যক্ষ বলার কারণ কি, যদি তাঁর আগে পরের অন্য ধর্মের অধ্যক্ষদের ধর্মীয় দৃষ্টিতে দেখা না হয়। প্রত্যাশা করি এসব ভুলগুলো সংশোধনে তৎপর হবেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতিনির্ধারক ও আইন প্রণেতারা। সকল বাঙালি আইন প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি; মমতাজউদদীন স্যার ছিলেন ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক, কোন বিশিষ্ট বাঙালিকে তো নয়ই, তাঁর মত শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে আমরা উইকিপিডিয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে ধর্মান্ধর চোখে দেখতে চাই না। চাই মানুষ হিসেবে বিষয়গুলো বুঝে নিতে, সেভাবে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে জানাতে। কারণ তাঁরা যুগ যুগ ধরে যেমন আমাদের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, আমাদের প্রেরণা দিয়েছেন, তেমনি বর্তমানে; এবং আগামীতে আমাদের প্রেরণা দেবেন আগামীর কোন 'মমতাজউদদীন' স্যার, যিনি সবে মাত্র ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, বা এখনো তাঁর জন্মই হয় নি।


বলছিলাম মমতাজ স্যারের কথা। স্যারের নাটক দেখার জন্য আমরা যেমন মঞ্চে ভিড় জমাতাম, তেমনি টেলিভিশনের সামনে অপেক্ষা করতাম, যখন তিনি ছিলেন টেলিভিশনের নিয়মিত অভিনেতা। 'মমতাজউদদীন' স্যার নাটকে আছেন মানেই ধরে নিতাম সে নাটক সুপার হিট হবে। হতোও তাই। নাটক শেষে স্যারের মুখে সংলাপ হয়ে যেতো আমাদের সংলাপ। সুনিপুণ অভিনয় শৈলী, নির্মল আনন্দ হাসি, আড্ডার মাঝেই আমরা শিখেছি তাঁর কাছে। স্যার যেমন ক্যামেরার সামনে আমাদের শেখাতেন, তেমনি ক্লাসে, নেপথ্যে, লেখায়, সৃষ্টিতে, নির্মাণে। স্যার ছিলেন সকল শিক্ষার্থীর প্রিয় শিক্ষক। এতো কিছুর পরও তিনি না পারার যন্ত্রণায় বিদ্ধ হয়েছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও তিনি অব্যক্ত ব্যথায় বলেছিলেন; ❝শিশুর মতো হয়ে গেছি আমি। আমার বাঁচার কোনও যোগ্যতা নেই, আমি আবর্জনা মাত্র।❞ তাঁর মতো মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে, সত্য উচ্চারণ করতে, খুব কম বাঙালিকেই দেখেছি। তাঁর মতো মানুষকে ভালো না বেসে থাকা যায় না। 


চিত্রসূত্র: আন্ত:র্যোগ !


কোন মন্তব্য নেই:

রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫

 রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সংবাদ তারিখ ২৫-০৬-২০২৫ আজকের সংবাদ শিরোনাম বিশ্ব পরিবেশ দিবসের উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা --- পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টি...