"ইয়েমেন ও তার আগ্নেয়ক্ষেত্র"
----------------------------
ফাপা নলের মতো দেখতে স্থাপনাটি মুলত একটি আগ্নেয়ক্ষেত্র যা অগ্নুৎ্পাতের ফলে গঠিত হয়েছে৷ অপুর্ব সুন্দর এই আগ্নেয়ক্ষেত্রটি ইয়মেনের ধামার শহরের পূর্বেদিকে ৮০ কিলোমিটার অবধি বিস্তৃত। আগ্নেয়ক্ষেত্রটিতে অসংখ্য স্ট্রাটোভোলকানো, লাভা প্রবাহ বিদ্যমান। ব্যাসাল্টিক লাভা প্রবাহ পুরোনো রাইওলিটিক প্রবাহর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে । আগ্নেয়গিরিটি আরবউপদ্বীপের ১৯৩৭ সালে ঘটিত অগ্ন্যুৎপাতের জন্য দায়ী করা হয়। আগ্নেয়ক্ষেত্রের বিস্তৃত মাঠটি ইয়েমেনের রাজধানী শহর সানা থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। ইয়েমেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ। এটি আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। সুউচ্চ পর্বতমালা ইয়েমেনের উপকূলীয় সমভূমিকে অভ্যন্তরের জনবিরল মরুভূমি থেকে পৃথক করেছে। ইয়েমেনের জনসংখ্যা অল্প। দেশের অর্ধেকের বেশি অংশ বসবাসের অযোগ্য। এখানকার আরবেরা বেশির ভাগই গ্রামীণ। প্রাচীনকালে এখানে অনেকগুলি সমৃদ্ধ সভ্যতার অবস্থান ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এলাকাটির গুরুত্ব হ্রাস পায় এবং এক হাজার বছরেরও বেশি সময় এটি একটি দরিদ্র ও অবহেলিত দেশ হিসেবে বিরাজ করছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষে এসে এখানে খনিজ তেল আবিষ্কার হলে ইয়েমেনের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ১৯৯০ সালে ইয়েমেন আরব প্রজাতন্ত্র যেটি মুলত উত্তর ইয়েমেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী ইয়েমেন, যেটি মুলত দক্ষিণ ইয়েমেন দেশ দুইটিকে একত্রিত করে ইয়েমেন প্রজাতন্ত্র গঠন করা হয়। সানা’আ ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ইয়েমেনের পশ্চিমে লোহিত সাগর এবং দক্ষিণে এডেন উপসাগর। এটি আফ্রিকা মহাদেশ থেকে বাব এল মান্দেব প্রণালীর মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন। দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বে সৌদি আরব এবং পূর্বে ওমান অবস্থিত। সৌদি আরব ও ওমান ইয়েমেনের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ইয়েমেনের আয়তন ৫,২৭,৯৭০ বর্গকিমি। তবে আরব বসন্তের পর দেশটি গরিব হয়। ২০১৭সালে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ হয়।
অনুবাদ:জুলফিকার, উইকিপিডিয়া থেকে
![]() |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন