জবাব দুই-
কে জালেম আর কে মজলুম? আমাদের পিতা আমাদের নয় ভাইয়ের নামে দুই বিগা (৯২ শতক) করে জমি লিখে দিয়েছিলেন জীবিত থাকা কালে। তবে কয়েকজনের নামে আরো কিছু বেশি লিখে দিয়েছেন। তিন জনের নামে বেশি জমি লিখে দেন নাই। যাদের নামে ৯২ শতকের চেয়ে বেশি জমি দিয়েছেন তারা হলেন বড় ভাই মাওলানা: রুহুল আমিন, মেজো ভাই মুফতী নুরুল আমিন, আমি ফজলুল করিম, মাওলানা: আহমদ করিম সিদ্দিক এ ছাড়া সম্ভবত হাঃ মাও: মেসবাহ উদ্দীন অর্থাৎ এই ছয় জনের নামে কিছু জমি বেশি লিখে দিয়েছেন মমতাজুল করিম মেজো ভাই আর মেসবাহের নামে কত শতক বেশি দিয়েছেন তা আমার জানা নেই। হ্যা! আমার আর আহমদ করিমের নামে এক দলিলে ৩৪ শতক জমি ৯২ শতকের চেয়ে বেশি লিখে দিয়েছেন। আর বড় ভাইয়ের নামে সম্ভবত ২৩ শতক জমি বেশি লিখে দিয়েছেন। তবে বড় ভাইয়ের নামে বেশি দেওয়া জমি আব্বা নিজেই বিক্রি করে খুলনায় নয় ভাইয়ের নামে নয় কাঠা জমি ক্রয়ের জন্য মেজো ভাই ও মমতাজুল করিম কে টাকা দেন। আর বড় ভাইকে জমি লিখে দিতে বললে তিনি লিখে দেন। সেই টাকা আব্বা আহমদ করিমের মাধ্যমে খুলনায় পাঠান। তখন বড় ভাই বলেছিলেন আমার নামের জমি বিক্রি করে খুলনায় টাকা দিচ্ছেন কেন? উত্তরে আব্বা বলেছিলেন তোমাদের সবার জন্য খুলনায় জমি ক্রয় করা হচ্ছে সেই জন্য এই টাকা দিচ্ছি। এটা হলো বড় ভাইয়ের কথা যাইহোক, দেখা গেলো খুলনার জমি তারা তিনজনের নামে রেজিস্ট্রি করে নেয় অর্থাৎ মেজো ভাই, মমতাজুল করিম ও আহমদ করিম এই তিন জনের নামে। আর আহমদ করিম ও আমার নামে থাকা বেশি জমি আমরা অনেক আগেই বিক্রি করে দেই এ ছাড়া মেজো ভাই মমতাজুল করিম ও মেসবার নামে থাকা বেশি জমি এখনো তাদের দখলে আছে। এই হলো মূল ঘটনা। তবে আমি বলেছিলাম যাদের নামে জমি বেশি আছে তারা যাদের নামে জমি কম আছে তাদের কে আনুপাতিক হারে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু আমার প্রস্তাব গ্রহণ যোগ্য হয়নি। আমি এখনো বলছি বাড়তি জমির অংশ তারা যদি দেয় তাহলে আমিও দিবো। তারা যদি না দেয় তাহলে আমি একা কেন দিতে যাব? আর বড় ভাইয়ের নামের বাড়তি জমি বিক্রি করে যেহুতু খুলনায় জমি কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিলো। তারও সমাধান হওয়া দরকার। বাড়তি জমির কারণে যদি জালেম হতে হয় তাহলে ছয় জনকেই জালেম বলতে হবে। সেই হিসেবে মেসবাহ উদ্দিনও জালেম হিসাবে অবশ্যই গণ্য হবে
ইতি
ফজলুল করীম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন