এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

পুরুষালী ফেইসবুক গল্প পিউ ভট্টাচার্য

 রাত তখন সাড়ে বারোটা, ঘন ঘন হাতের ঘড়িটার দিকে দেখতে দেখতে খুব তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে হেঁটে আসছিলো পেশায় 'বার ডান্সার' শালিনী। এক্ষুণি বাড়ি গিয়ে মেসোকে খেতে দিতে হবে। পঙ্গু মেসো, বাপ মা মরা মেয়েটার ওই মেসোই একমাত্র পরিবার। আজ বড্ড রাত হয়ে গেছে, তাই বড় রাস্তার মোড়ে এসে সাত পাঁচ না ভেবে পাশের অন্ধকার একটা শর্টকাট গলি ধরলো ও ...


গলিটার ঠিক মুখেই তখন বসে স্মার্টফোন ঘাঁটছে কুশল।  রাত বারোটায় ইন্টারন্যাশনাল মেন'স ডে শুরু হয়েছে, তাই টপাক করে একটা পোস্টে লাভ রিয়্যাক্ট দিয়েই, "Mens are the symobol of responsibility"  কমেন্ট করে মুখটা তুলতেই চোখে পড়লো সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া মেয়েটার দিকে। আর দেখা মাত্রই সেইদিকেই চোখ আটকে গেলো ওর! ছিপছিপে চেহারা, শর্ট স্কার্ট, স্ট্রেট চুল, স্লিভলেস টপ, টকটকে লাল লিপস্টিক, উফফ্ !! 


দেরি করলোনা কুশল আর এক মুহুর্তও, ঝটপট উঠে দাঁড়িয়ে ফোনটা পকেটে ঢুকিয়েই হাঁটা দিলো মেয়েটার পিছনে পিছনে। একটু তফাৎ রেখে হাঁটতে হাঁটতে অন্ধকারে চোখ সয়ে আসতেই চোখ দিয়েই ভালো করে চেখে নিচ্ছিলো মেয়েটার সুডোল চেহারাটা, ঠোঁট কামড়ে কামড়ে দেখছিলো ওর তাড়াহুড়োয় এগিয়ে চলা চঞ্চল নিতম্বটা, লোমহীন মোলায়েম পা গুলো!


এইভাবে যেতে যেতে মেয়েটা যখন গিয়ে পৌঁছয় এই কালো নিকষ গলিটার একদম মাঝখানে, ঠিক তখনই মেয়েটার ব্যাগের মধ্যে থেকে হঠাৎ ওর ফোনটা বেজে ওঠে! আর সঙ্গে সঙ্গে ও দাঁড়িয়ে গিয়ে ব্যাগ থেকে ফোনটা বার করতে যায়...


ব্যাস্, এই সুযোগ! এই সুযোগটা আর হাতছাড়া করেনি কুশল! শালিনী ফোনটা বের করে কানে দিয়ে শুধু বলেছে "হ্যালো মেসো?", আর তক্ষুনি পিছন থেকে দৌড়ে এসে বাঘের মতো শালিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, ওকে গায়ের জোরে জাপটে ধরতেই, হঠাৎ কোত্থেকে একটা আধলা ইঁট এসে ভীষণ জোরে আঁছড়ে পড়লো কুশলের মাথায়! আর সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ একটা গোঙানির শব্দ করে কুশল শালিনীকে ছেড়ে দিয়ে ধপাস করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েই জ্ঞান হারালো!


-----


এক মুহুর্ত সব চুপ! শালিনী এখন হাঁপাচ্ছে। বিস্ফারিত চোখে ও প্রথমে অবাক হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা খয়েড়ি-সাদা চুলের ছেলেটাকে দেখে, তারপর মুখ তুলে তাকালো সামনের দিকে। দেখলো, একটু দূরে অন্ধকার পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছেঁড়া জামা পরা, উসকো খুশকো চুলের বদ্ধ পাগল! সে তখনও দাঁত মুখ খিঁচিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা কুশলকে দেখছে আর রাগে ফুঁসছে! নোংরা কালো হাতটা তখনো থরথর করে কাঁপছে পাগলটার। অন্ধকার বলেই বোধহয় কুশল দেখতে পায়নি, যে একজন দূর থেকে ওর এই অসভ্যতামিটা লক্ষ্য করছিলো ... 


হাত থেকে ফোনটা পড়ে গিয়েছে শালিনীর, চোখদুটো বিস্ফারিত নেই আর, স্তিমিত হয়ে এসেছে অল্প জলে। নিজের অজান্তেই কীভাবে যেন হাত দুটো জোর করে শালিনী নমস্কারের ভঙ্গিতে তুলে ধরেছে পাগলটার দিকে। ঠোঁট দুটো তিরতির করে কাঁপছে ওর! আর,


পাগলটার নোংরা লাল দাঁতে, তখন শান্তির হাসি, দায়িত্ব পালনের হাসি !


-- পিউ --

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...