অনেক পুরোনো দিনের কথা | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বি এ পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এক যুবক | পড়াশোনার পাশাপাশি কবিতা লেখার হাতটিও চমৎকার | কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে উঠলেন ডঃ দীনেশচন্দ্র সেনের প্রিয়পাত্র | কয়েক মাসের মধ্যেই ওই যুবকের একটি কবিতা প্রকাশিত হল | কবিতাটি পড়লেন দীনেশচন্দ্র সেন | মুগ্ধ হলেন তিনি | ডেকে পাঠালেন সেই ছাত্রকে | যুবকটিকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “তোমার কবিতাটি পড়ে আমি কেঁদেছি।” ডঃ দীনেশচন্দ্র সেন ঠিক করলেন এই কবিতাটিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবেন | তাই হল | সেই বছরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হল সেই কবিতা | ছাত্রাবস্থাতেই একজনের লেখা কবিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে স্থান পাচ্ছে, এই ঘটনা সত্যিই বিরল |
কি সেই কবিতা ? আর কে সেই কবি ?
বাংলা কবিতার জগতে এ এক চির অনবদ্য কবিতা। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চির অম্লান হয়ে আছে এই কবিতার প্রত্যেকটা লাইন প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে।
".......ঐখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে
তিরিশ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতোটুকু তারে ঘরে এনেছিনু, সোনার মতন মুখ
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেলে পরে কেঁদে ভাসাইতো বুক........."
কবিতাটির নাম কবর | আর লেখক গ্রামবাংলার প্রাণের পল্লীকবি জসীমউদ্দীন |
গতকাল ছিল জন্মদিন | শ্রদ্ধার্ঘ্য |
তথ্য : রোর বাংলা
বাংলার ইতিহাস জানতে চান ? যদি প্রকৃত ইতিহাস জানতে চান তাহলে অবশ্যই পড়ুন ইতিহাসবিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই "বাঙ্গালার ইতিহাস" । বাংলার ইতিহাস নিয়ে এইরকম গবেষণামূলক বই একটিও নেই ।
©অহর্নিশ - Ahornish
আমাজন লিংক : https://amzn.to/3MP7d4v
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন