আমারে নিবা মাঝি লগে?
ক্যান মাঝি গোস্বা করো ক্যান!
১৯৯৩ সাল ভারতের প্রখ্যাত নির্মাতা গৌতম ঘোষ পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা 'পদ্মা নদীর মাঝি'। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমা বাংলাদেশের অন্যতম কালজয়ী সিনেমা। ছবিটি ভারতেও একাধিক শাখায় জাতীয় পুরস্কার পায়,বাংলাদেশে পায় মোট ৫টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কুবের মাঝি চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদের অনবদ্য অভিনয় উনাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়,কপিলা চরিত্রে রুপা গাঙ্গুলীও দারুণ অভিনয় করেছেন,প্রথমে এই চরিত্রে অভিনয়ের অফার পান সুবর্ণা মুস্তাফা। তবে সবাইকে চমকে দেন মালা রুপী চম্পা। তার দক্ষ অভিনয়ে সবাইকে চমকে দেন। যদিও এই চরিত্রে প্রথমে অভিনয়ের কথা ছিল মমতা শংকরের। আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি অভিনয় করেন গোপী চরিত্রে,হোসেন মাঝি হয়ে রুপালী পর্দায় আসেন ভারতের প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা উৎপল দত্ত।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার:
১.সেরা চলচ্চিত্র(আশীর্বাদ চলচ্চিত্র)
২.সেরা অভিনেতা(রাইসুল ইসলাম আসাদ)
২.সেরা অভিনেত্রী(চম্পা)
৩.সেরা শিল্প নির্দেশক(মহিউদ্দিন ফারুক)
৪.সেরা রুপসজ্জাকর(আলাউদ্দিন)
১৯৯৩ সালের ১২ ই ফেব্রুয়ারী মুক্তি পায়।
ছবিতে 'পদ্মা নদীর মাঝি' সিনেমার দৃশ্যে রুপা গাঙ্গুলী,রাইসুল ইসলাম আসাদ ও চম্পা। (লেখাঃ
হৃদয় সাহা)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন