-‘ অ্যাহ, লাগছে আমার . .
হঠাৎ কানে কারো শক্ত হাতের টান অনুভব করলো নৌমিতা। কানের দুল যেন কানের লতি ছিড়ে বেরিয়ে আসবে। ব্যাথা অনুভূত হওয়ায় মৃদু চিৎকার করল। অজান্তেই তার হাতটা চলে গেছে সেই শক্ত হাতের উপর। চেষ্টা করছে কানের উপরে থাকা হাতটা সরাতে। ব্যাথাতুর চোখ দুটো যখন আগ্রহ নিয়ে পেছন ফিরল তখনি অগ্নিমূর্তির ন্যায় লাল টকটকে ক্ষিপ্র দৃষ্টির পুরুষটাকে দেখে হিম হয়ে গেলো।
ধরফর করে উঠলো নৌমিতকার বুক। হঠাৎ ব্যাথাতুর ভাব টা চট করে বাতাসে মিলিয়ে গেল। চমকে উঠে ছিটকে সরে দুই কদম দূরত্ব রেখে দাঁড়ালো। চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেছে। গোলাপি বর্ণের চিকন ঠোঁট দুটো কিঞ্চিৎ ফাঁক হয়ে গেল। সে ভেবেছিলো তার বান্ধবী হবে হয়তো! লোকটার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তাকে থামিয়ে দিল। ওই শক্ত হাতে কনুই চেপে ধরে টানতে টানতে পার্কের গেইট ক্রস করে গাড়ির দরজা খুলে সামনে দাঁড় করালো । লোকটি গমগমে স্বরে বললো -
—“ জলদি উঠে বস। ”
চোখ মুখ কুঁচকে ব্যাথা সহ্য করছে নৌমিতা তরফদার নিমু । কিয়ৎক্ষন পর বাঁধন থেকে মুক্ত হলে রাগ দেখিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে ,
—“ এসব কী কুশান ভাই? পাবলিক প্লেসে এমন বিহেভ করছো কেন?”
চলতি পা দুটো থেমে গেল। উল্টো ঘুরে বড় কদমে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অপ্রকৃতিস্থ মেজাজে বলল-
—“ পাবলিক প্লেসে সিনক্রিয়েট করে জোঁকার সাজতে চাচ্ছি না। গাড়িতে বোস, কুইক.”
ভড়কে গেল নৌমিতা। অস্বাভাবিক মেজাজ দেখে তর্ক করার মতো দুঃসাহস আর দেখালো না নৌমিতা। এদিক সেদিক তাকিয়ে একটা শুকনো ঢোক গিলে বসে পড়ল গাড়িতে। বসার সাথে সাথে কুশান কর্কশ কণ্ঠে বললো -
--“ শাড়ি পড়ে পার্কে কেন এসেছিস? পেট দেখিয়ে ছেলেদের মাথা নষ্ট করার জন্য? এসব করার জন্য অজুহাত দেখিয়ে ঢাকায় এসেছিস। আমারই বাসায় থেকে এসব নোংরামি করবি, আর আমি সেগুলো টলারেট করবো ভাবলি কি করে? স্টুপিড। কালকের মধ্যে গ্রামে পাঠাবো তোকে। যদি নিজের ভালো চাস তো তাহলে আর একটা প্রশ্নও করবি না।”
ঘাবড়ে গেল নৌমিতা। ভয়টা গ্রামে পাঠাবে এই জায়গায় নয়, ভয়টা হচ্ছে অন্য জায়গায় । চুপচাপ বসে রইলো সে। কুশান আর এক সেকেন্ডও দেরি করলো না। রিভার্স গিয়ারে হাত রেখেই স্টার্ট দিল গাড়িটা।
নৌমিতা এখনো আতঙ্কে রয়েছে। কখন যে শাড়িটা সরে গেছিলো বুঝতেই পারেনি ও। সে তো পার্কের এক কিনারাই দাঁড়িয়ে ছিল কে আর দেখবে তাকে? ভুল হয়েছে একটা মাস্ক সাথে আনার দরকার ছিল তার।
বিশ মিনিটের রাস্তা যেন হাওয়ার বেগে দশ মিনিটেই অতিক্রম করে ফেলেছে কুশান। নৌমিতা দুরুদুরু বুকে গাড়ি থেকে নামলো। মনে মনে আওড়ালো -“ শুকরিয়া শুকরিয়া। গাড়িসহ আমি যে সহিসালামতে বেঁচে ফিরেছি এই অনেক!”
ভীতু ভীতু মুখাবয়বে চোরা চোখে কুশানের পেছন পেছন যাচ্ছে। লিফটে উঠে পড়লো কুশান। মুখে হাসির ছিটেফোঁটাও নেই। নৌমিতা যেই না পা বাড়াবে অমনি আদেশের সুরে কঠিন গলায় কুশান বলে উঠে -
--“ ওখানেই দাঁড়া। তোর সঙ্গে একই লিফটে ওঠার কোন রুচি নেই আমার।”
নৌমিতা হতবাক, হতবুদ্ধি! পা টা সরিয়ে আনলো। লিফটের দরজা তখনোই বন্ধ হয়ে গেলো। তাকে রেখেই চলে গেছে কুশান। কোমড়ে হাত দিয়ে কলাপাতা রঙের শাড়িটা উঁচু করে ধরে বোকা বোকা গলায় বলে -
--“ তাহলে আমি কি দিয়ে যাবো? সিঁড়ি দিয়ে এই শাড়ি পড়ে আদৌও পাঁচতলায় পৌঁছানো সম্ভব? এই কুশান তরফদার এতো ভাব দেখায় কেমন করে? অসভ্য, ইতর, জাঁদরেল মার্কা লোক । আমার সঙ্গে এক লিফটে যেতে পারবি না তাহলে এক গাড়িতে আসলি কেন? নিয়ে আসারই বা কি দরকার ছিল! ঢং দেখে বাঁচি না যত্তসব। ”
আট তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এ পাঁচতলার ফ্ল্যাটে থাকে নৌমিতার চাচা হানিফ তরফদার। গ্রাম থেকে থেকে বেড়াতে এসেছে নৌমিতা তরফদার। চাচা চাকরির সূত্রে এখানে সপরিবারে থাকেন। উপলক্ষ ছাড়া গ্রামে তেমন যাতায়াত নেই তাদের৷ জেদ চেপে দুই তলা অবধি বিনা ঝা'মেলায় উঠতে সক্ষম হলো নৌমিতা। শাড়ি এখনো এলোমেলো হয়ে যায় নি। সেটা দেখে মনে মনে এক রাশ আনন্দ প্রকাশ করলো।
আনমনে হাঁটার ধরুণ হঠাৎই হুমড়ি খেয়ে পড়লো ফ্লোরে! আকস্মিক শাড়িতে পা আঁটকে পড়ে যাওয়ায় ব্যাথা পেয়েছে ভীষণ। নাক মুখ কুঁচকে শাড়ি সামলিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। অমনি দু'তলার এক ভাড়াটিয়া ফিক করে হেঁসে দিল। মুখ তুলে তাকালো নৌমিতা। মেয়েটা সম্ভবত তার বড় হবে। মেয়েটা আবার হাঁসতে হাঁসতে ফ্লোরে গড়াগড়ি খাওয়ার উপক্রম। রাগে, লজ্জায় দৃষ্টি নিচের দিকে রেখে উঠে দাঁড়ালো নৌমিতা। গ্রাম হলে নিশ্চিত ঝগড়া বাঁধিয়ে কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দিত কিন্তু এখানে এমন টা করলে তার চাচার ইমেজ নষ্ট হবে। তাই ঠোঁট ফুলিয়ে দ্রুত লিফটে উঠে পড়ল। চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে তার আব্বাজানের কাছে যেতে ইচ্ছে করছে। সব হয়েছে ওই লোকটার জন্য! তাদের বাসায় এসেছে বলে এতো অপমান! এর জবাব একদিন সে ঠিক দিয়ে দিবে। আজ না জানি এই হরিদাস পালের জন্য আর কি কি ঘটবে তার কপালে!
.
কলিংবেলের ভারিক্কি আওয়াজ সহ্য করতে না পেরে দ্রুত দরজা খুলে দিল কাইফা। দরজার সামনে দাঁড়ানো নৌমিতার ভয়াল দুর্দশা জনিত অবস্থা দেখে হা হয়ে গেল কাইফার মুখ৷ দরজাটা খুলতেই নৌমিতা ঝটপট ঢুকে পড়লো ঘরে। কেঁদে কেটে চোখের কাজল লেপ্টে একাকার! কাইফা চশমাটা ঠেলেঠুলে বিস্ময়ে বললো—
--“ নিমু আপু তোমার এই অবস্থা কি করে হলো? শাড়ি ওমন খোলা খোলা কেন...
ঠোঁট কামড়ে কান্না চেপে রেখেছে ষোড়শী কিশোরী। যেতে যেতে চোখে পড়ল কুশান রুম থেকে বেরিয়ে তাকেই দেখছে আর মিটিমিটি হাঁসছে। পা দুটো অল্প সময়ের জন্য থামিয়ে কাইফার উদ্দেশ্যে বলল,
--“ রাস্তায় পাগলা কুকুরের দাওয়া খেয়েছি তো তাই এমন হয়েছে।”
কথা শেষে এক দন্ডও দাঁড়ালো না। কারণ দাঁড়ালে হয়তো ওই তীক্ষ্ণ, ধারালো চোখের চাহনীতে ভস্ম হয়ে যেত। ধারালো চোয়াল মুঠো করে দাঁত কটমটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কুশান। চেঁচিয়ে বলে উঠে -
--“ আম্মু . . খিদে পেয়েছে ভাত দাও। ”
রুমে ঢুকেই দরজা আঁটকে ফ্রেশ হয়ে নিল নৌমিতা । একটা কালো রঙের থ্রিপিস পড়েছে। দরজাটা খোলার সাথে সাথে দুই বাটি নুডুলস নিয়ে হাজির হলো কাইফা। শ্যামবর্ণের মেয়ে কাইফা। এবার ক্লাসে এইট এ পড়ে। চশমাটা খোলে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখলো। নৌমিতার মুখ এখনো গুমোট অন্ধকারে ছেয়ে আছে। কাইফা আঁটসাঁট বেঁধে বিছানায় বসে কৌতুহলপূর্ণ গলায় জিজ্ঞেস করলো -
--“ আপু তোমার বয়ফ্রেন্ড কখন এসেছিলো? কি কি কথা বললে? কেমন দেখতে তোমার . .।”
কথার মাঝখানে দাঁড়ি বসিয়ে দিল নৌমিতা -
--“ আরে থাম তো তুই। জ্বালাস না। চুপ করে বসে থাক।”
মন খারাপ হয়ে গেল কাইফার। কিন্তু এতোটুকু আন্দাজ করতে পারলো - কোন না কোন গোলমাল নিশ্চিয়ই আছে। তাই আবারো কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,
--“ আপু তোমাদের কি দেখা হয় নি?”
এবার আর মুখ গুমরা করে থাকতে পারলো না নৌমিতা। বোন কে এসে জড়িয়ে ধরে একটু কাঁদলো। কাঁদতে কাঁদতে বলল,
--“ আমায় এখন কোন প্রশ্ন করিস না। একটু কাঁদতে দে। আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারছি না রে বোন।”
নৌমিতা তার রাগ কে কখনো কন্ট্রোল করতে পারে না। আর সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ হয়তো কখনো ভাংচুর করে মিটে নয়তো কেঁদে! কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে বলল,
--“ দেখা হয়নি রে বোন। কি করে হবে? সানিয়ার সাথে কথা বলে তাকে বিদায় দিয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ও এখনো আসছে না দেখে কল দিতে যাবো অমনি তোর বিটকেল ভাইটা এসে হাজির।”
এতোটুকু বলে থামল ও । অপমানের কথাটা মনে হতেই বেলুনের মতো চুপসে গেল । ফোনটা হাতে নিল সে। ডাটা কানেক্ট করে অনলাইনে ঢুকতে ঢুকতে কাইফার আবারো প্রশ্ন -
--“ তুমি আমার ভাইকে বিটকেল বলো কেন আপু ?”
একহাতে ফোন ঘাঁটছে, অন্য হাতে নুডুলস'টুকু খালি পেটে চালান করছে নৌমিতা।
--“ বিটকেল কে বিটকেল বলবো না তো কি কুমার বলবো? ওর একটা কটকটি মার্কা গার্লফ্রেন্ড আছে । তোর ভাই মাঝেমাঝে গ্রুপ ফটো আপলোড দেয় আর সব ছবিতে ওই কটকটি বিদ্যমান। কিরণমালা দেখিস নি? ওই নাটকের কটকটির যে বয়ফ্রেন্ড ছিল বিটকেল, তোর ভাই ওইটাই। ”
ফিক করে হেঁসে দিল কাইফা। হাসি থামিয়ে আবারো জিজ্ঞেস করল -
--“ ভাইয়া তোমাকে সাথে করে নিয়ে এলো?”
--“ হুম ”
নুডুলসের বাটি থেকে অল্প একটু নুডুলস মুখে দিয়ে বোকাসোকা কণ্ঠে কাইফা আবারো বলল -
--“ ভাইয়ার সাথে গাড়ি দিয়ে এসেছো তাহলে কুকুরের দৌড়ানি কখন খেলে?”
--“ তোর বিটকেল ভাইয়ের সাথে থাকলে কি আমার কোন শান্তি আছে? ও নিজেই তো একটা কু. . .
--“ কাইফা . . কইফা . . এক গ্লাস জুস দিয়ে যা।”
জোড় গলায় চেঁচিয়ে কুশান ডাকলো কাইফাকে। এতো জোড়ে চেচালো যে অন্যান্য ফ্ল্যাটে এই আওয়াজ অনায়সে পৌঁছে গেছে। কাইফা দ্রুত চলে গেল জোস বানাতে।
বিরক্তিতে ভাঁজ পড়লো কপালে। নৌমিতা অনলাইনে ঢুকে অপেক্ষা করছে কখন তার প্রাণ প্রিয় পুরুষ টি তার মেসেজ সিন করবে। নিশ্চিয়ই অভিমান করেছে ও। দেখা টা হয়েও হলো না। সরি লিখে বিস্তারিত কারণসহ ব্যাখ্যা করে ছোটখাটো একটা অনুচ্ছেদ রচনা সেন্ট করলো। সাথে সাথেই সিন করলো ছেলেটা। তিন মাসের সম্পর্ক তাদের। ছেলেটার আচার-আচরণ, কথাবার্তার শালীনতা মুগ্ধ করে নৌমিতাকে। তাই তো অনলাইনে প্রেম করার মতো সাহস জুগিয়েছে মনে। বাড়ি থেকে বই মেলায় যাওয়ার বাহানা দিয়ে ওর সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। বইমেলায় গিয়ে পছন্দের লেখিকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাটাও ওর বহু দিনের ইচ্ছে। বলতে গেলে দুটো কারণেই তার এই ব্যস্ত নগরীতে পা রাখা।
ওপাশ থেকে রিপ্লাই এলো —“ মাস্ক লাগিয়ে আসতে পারতে। আমি এসেছিলাম ঠিকই কিন্তু তখন তোমাকে ওই ছেলেটা হাত ধরে টেনে টেনে নিয়ে আসছিলো। তাই আর সামনের পথ বা'রাইনি। কাজিন সবারই থাকে তাই বলে সবার সামনে হাত ধরে টেনে নিয়ে আসাটা মোটেও স্বাভাবিক ঠেকছে না।”
চোখে জল চলে এলো নৌমিতার। নিশ্চিত ভুল বুঝেছে তাকে। বুঝবে নাই বা কেন? এমন হলে তো ভুল বুঝারই কথা। মনে মনে অসংখ্য কটু শব্দে রাগ ঝারলো কুশানের উপর। তারপর ছয়টা কান্নার ইমোজি সেন্ট করে আবারো ক্ষমা চাইলো। গললো বোধ হয় ছেলেটার মন।
কয়েক কথা কাটাকাটি হবার পর ছেলেটার তরফ থেকে রিপ্লাই এলো --“ কাল বইমেলায় অন্যধারা প্যাভিলিয়নের সামনে দাঁড়িয়ে থেকো। আমি আসবো নিমাই। তোমাকে দূর থেকে হলেও এক নজর দেখতে আসবো! আজকের মতো অফলাইন হচ্ছি। কাল পরীক্ষা আছে। পড়তে বসবো। ভালোবাসা নিমাই।”
দুটো লাভ ইমোজি যুক্ত করে চলে গেল। সে ভালোবেসে নৌমিতা কে নিমাই বলে ডাকে। এতোক্ষণে যখন বুকের উপর থেকে বোঝাটা নেমেছে তার। নৌমিতা এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে। আর তার ভালোবাসার মানুষ টি সে পড়ে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নৌমিতা। ফাঁকা ঘরেই একা একাই গান গাইতে আরম্ভ করলো। হুশ জ্ঞান যেন সব হারিয়ে ফেলেছে। তার গান গাওয়ার ভেতর হঠাৎ কেউ বলে উঠলো -
--“ মশার কণ্ঠও এর চেয়ে সুরেলা, মধুর! গলা তো নয় যেন ফাঁটা বাঁশ - আকামের কথা বের হয় ঠাস ঠাস।”
আওয়াজের উৎস খুঁজতে গিয়ে কুশান কে দেখেই সাপের ন্যায় ফুঁসে উঠলো নৌমিতা। আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে খুব স্বাভাবিক শান্ত ভঙ্গিতে কানে ব্লুটুথ গুঁজতে গুঁজতে বেরিয়ে গেল কুশান। ভাবটা এমন যে এখানে কিছুই ঘটেনি! ব্লাশ করা চুলগুলো তে আবারো হাত বুলালো। এদিকে ষোড়শীর হৃদয়ে অপমানে দাউ দাউ করে জ্বলছে।
To be continue... 🦋
#একটি_তুমিময়_বসন্ত_চাই
#আরাধ্যা_আহনাফ_সূচি
#সূচনা_পর্ব
[ আসসালামু আলাইকুম। নতুন গল্প শুরু করেছি আবারো। এই গল্পটা খুব বেশি বড় হবে না। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের। 🍁]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন