এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

প্রেমাঙ্গন লেখিকা:#রুবাইয়াত_রাহা  (ছদ্মনাম)  সূচনা পর্ব,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 (১৮+ এলার্ট)


একটানে ব্লাউজের পিছনের ফিতেটা খুল ফেললো এক যুবক।সাদা ধবধবে পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরলো পুরুষটি। মেয়েটি কেঁপে উঠলো। বেনারসী শাড়িটি ছুড়ে ফেললো মাটিতে।মেয়েটি শিররনে জড়িয়ে ধরলো সামনে থাকা পুরুষটিকে।দুজন মানব মানবী একে অপরকে ঝাপটে জড়িয়ে আছে। পুরুষটির ঠোঁট মেয়েটির ঠোঁটের মাঝে সে যেন মধুসুধা পান করতে ব্যস্ত। মেয়েটি দম বন্ধ হয়ে আসছে ছাড়াতে চেয়েও পারছে না। শেষে বাঁধ্য হয়ে সেও রেসপন্স করতে শুরু করে।পুরুষটি পর পর শরীর থেকে সমস্ত বস্তু খুলে ফেলে দেয়। আদরের চাদরে মুড়িয়ে দেয় মেয়েটিকে।রাত যত গভীর হচ্ছে ভালোবাসা তত বেশি মধুর হয়


বন্ধ দরজার ভিতরে সদ্য বিবাহিত জুটি। ইরফান শেখ ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ইশারা শেখ। আজ তাদের বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবে। ইরফান শেখ হলো এই বিশাল শেখ বাড়ির একমাত্র উওরাধিকারি।বাবা অদিত শেখ মা শাহিদা শেখ আর এ বাড়ির বড় কর্তা মানে ইরফানের দাদু আজান শেখ । তিনি নিজে পছন্দ করে নাতবউ এনেছেন। তার মতে মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সুশীল মেয়ে এই শেখ বাড়ির বউ হওয়ার যোগ্যতা রাখে এজন্য তিনি খোঁজ খবর নিয়ে নাতীর জন্য মেয়ে এনেছেন যদি সে বড় ঘরের মেয়ে কিন্তু তার মধ্যে সুশীলতা আছে। ইরফান অত্যন্ত বাঁধ্য এবং অবাঁধ্য দুটোই তার মধ্যে বিরাজ করে।পজিশন অনুযায়ী সে বাঁধ্য অবাঁধ্যতা প্রকাশ করে।সে যদি বলে কোনো কাজ করবে না তবে তাকে দিয়ে কেউ করাতে পারবে না। ইরফান দাদুর কথা সবসময় মানে বলতে গেলে তার বাবার থেকেও বেশি এজন্য তো না দেখে দাদুর পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনলো কোনো কথা ছাড়াই।ইরফানের একটি বাজে অভ্যাস আছে তা হলো বারে গিয়ে মাঝে মধ্যে মেয়ে নিয়ে পার্টি করে নেশা করে বুদ হয়ে থাকে।এলকোহলের নেশার সাথে মেয়ের নেশাও ধরে তাকে এজন্যই তো কত মেয়ের সাথে সম্পর্ক তার ঠিক নেই। বাড়ি ফিরে মাতাল হয়ে এই খবর বাহিরের কেউ জানেনা একমাত্র শেখ বাড়ির কয়েকজনই জানে। এজন্য একপ্রকার বাঁধ্য হয়ে আজান শেখ নাতীর বিয়ে দেন। ঘরে বউ এনে যদি নাতী সেসব নেশা ছেড়ে দেন এই আশায়।  


ভোরের আলো ফুঁটতে চোখ মেললো ইরফান। চোখ মেলে প্রথম নজরে আসে তারই বুকের উপর ঘুমিয়ে থাকা এক পরীর উপর।কি অপরুপ সৌন্দর্য তার কাজল কালো আঁখি,যেন শরতের আকাশে একমুঠো কালো মেঘ।

ইরফানের নেশা ধরলো মেয়েটার চোখে দিকে তাকিয়ে থাকলে অবাঁধ্য মন অন্য কিছু চাইলো।ইরফান আর নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে ঘুমন্ত অবস্থায় ইশারাকে পাশে শুয়ে দিয়ে ঠোঁট আঁকড়ে ধরলো। ঠোঁট আঁকড়ে ধরায় ইশারা ধপ করে ঘুম পালিয়ে গেলো বুঝতে পারছে তার সাথে কি হচ্ছে। এমনি শরীরে ব্যথার তার মধ্যে স্বামীর ভালোবাসায় যেমন পাগল হলো তেমনি চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো কয়েক ফোঁটা সুখের জল।


সকাল ছয়টা ইশারা বিছানার একপাশে নগ্ন শরীর টাকে চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছে। ইরফান সবে গোসল করে বেরেলো। সাদা ধবধবে শরীরে দর্শমান চুল গুলো ভেজা। দুই হাত দিয়ে ঝাঁকাচ্ছে। ইশারাকে বিছানার কোনে বসে থাকতে দেখে তার সামনে আসে।


__গোসলে যাবে নাকি আমি নিয়ে যাবো?আমি গেলে কিন্তু গোসলের সাথে আরো অনেক কিছু করবো।

ইরফানের চোখে নেশা মুখে দুষ্টু হাঁসি।ইশারা ইরফানের কথার মানে বুঝতে পারলো।ও যেন লজ্জায় কুঁকড়ে গেলো।সদ্য কালকে বিয়ে হওয়া স্বামী এমন এমন কথা বলবে আগে জানা ছিলো না। সে তো বিয়ের আগে মানুষটাকে দেখেওনি বাবার আর্দেশ মতো বিয়ে করেছে। 

সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সুদর্শন পুরুষ তার স্বামী হলেও এসব কথা যেন তাকে লজ্জায় ফেলছে।


__মধুর রাত কেঁটে গেলো তবুও লজ্জা শেষ হয়নি?বাহ! আমি তো লজ্জা থাকার মতো কিছু রাখিনি তার পর এতো লজ্জা।


ইশারা বিছানা থেকে নামলো পা বাড়াতেই অনুভব করলো পুরো শরীর ব্যথায় জর্জরিত পা থেলে গেলো।ইরফান ভ্রু কুচকে তাকালো বুঝতে পারলো সমস্যা কি।

ইরফান ইশারার কাছে এগিয়ে এলো। হুট করে ইশারাকে কোলে তুলে নিলো। ইশারার মুখে এবার বুলি ফুঁটলো।


__ক কি করছেন নামান প্লিজ। 


ইরফানের মুখে হাঁসি। 


___ভয় নেই আজকের জন্য সমাপ্ত। তুমি তো বেশি সহ্য করতে পারছো না। শুধু গোসলে যাওয়ার জন্য এগিয়ে দিয়ে আসবো।ইশারা ইরফানের গলা জড়িয়ে আছে ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে আছে। ইরফান নিঃশব্দে হাঁসলো।


__মেয়ে আমি আমার অধিকার বুঝে নিতে জানি। তাই আমার ইচ্ছে হলে লুকিয়ে থেকেও লাভ হবে না। 

ইশারাকে আস্তে ওয়াশরুমের ভিতর নামিয়ে দেয়। 


__গোসল শেষে যেতে না পারলে ডাক দিও আমি নিয়ে যাবো।


__আমি যেতে পারবো। 


ইশারায় উওরে ইরফান কিছু বললো না শুধু তাকিয়ে রইলো মেয়েটার গোলাপি ঠোঁট আর কাজল কালো চোখের পানে।দরজায় কষাঘাতের জন্য ইরফানের নজর সরে যায় ইশারা ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। ইরফান রুমের দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলতে দেখা মিলে চাঁদনীর সম্পর্কে যে ইরফানের ভাবী হন ফুফাতো ভাইয়ের বউ।


____কি দেবরজী দরজা খুলছো না কি ব্যপ্যার বউ পেয়ে দিন দুনিয়া ভুলে গেলে।

কথাটা বলে চাঁদনী শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে হাঁসতে থাকে।


__দিন দুনিয়া ভুললে তো আর দরজা খুলতাম না যদিও ইচ্ছে ছিলো না কিন্তু বাচ্চা বউয়ের ব্যপার বুঝোই তো।


তুমি এখানে কি করছো নাতবউ? 


আজান শেখ এর কথায় দুজনে তার পানে চায়।চাঁদনী আমতা আমতা করে উত্তর খুঁজে কিন্তু পায় না। 


__কি হলো উত্তর দেও?


চাঁদনী উত্তর দেওয়ার আগে ইরফান বলে উঠলো,


___দেখতে এসছিলো কি করছি তাই না ভাবিজি? 


চাঁদনী হ্যাঁ মিলালো,


__হ্যাঁ দাদু ডাকতে আসছিলাম মামিমা ডাকতে পাঠিয়েছিলো।


__তুমি এখান থেকে যাও তোমাকে না বলেছি ইরফানের আশে পাশে আসবে না। ওদিকে সাগর আছে ওকে দেখো ওর খাতির যত্ন করো। 


আজান শেখ এর গম্ভীর কন্ঠে চাঁদনী একটু ভয় পায়। তাই সে আড়ালে মুক বাঁকিয়ে চলে গেলো।


আজান শেখ চাঁদনীকে একটু না অনেকটা অপছন্দ করেন তার কারণ অবশ্য আছে।চাঁদনী তার মেয়ে আফিফার বড় ছেলের বউ।উনার দুই ছেলে সাগর আর স্বাধীন।স্বাধীননের বউ দিতি যাকে আজান শেখ অনেক ভালোবাসেন তার কারণ তার আচার আচরণ আর ভালো ব্যবহারের কারণে। দিতি খুব মিষ্টি মেয়ে। আর এক নাতনী আছেন নাম রুবাইয়া তাকে বেশ স্নেহ করেন।আফিফার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলে মেয়ে নিয়ে এই বাড়িতে উঠলে আজান শেখ আর যেতে দেয়নি।অকালে জামাই চলে যাওয়া মেয়ে আর নাতী নাতনিদের তিনি দেখে শুনে রেখেছেন। এখন তারা বড় হয়েছে সাগর আর  স্বাধীন কে নিজেদের অফিসে বসিয়ে দিয়েছেন অদিত শেখ এর সাথে অফিসের কাজ করে। আজান শেখ সব পারলেও ইরফান কে কাজে বসাতে পারলেন না। উনার কথা শুনলেও সব কথা শুনেন না। কিছু কথা শুনেন তার মধ্যে বিয়ে করেছে এটাই অনেক সে কথা শুনাতে আজান শেখ অনেক খুশি। ইশারা কে সব বুঝিয়ে দিতে হবে মেয়ে একটু নরম মনের আর অবুঝ বটে কিন্তু আমাকেই তাকে শক্ত করে গড়িয়ে তুলতে হবে। 


ইরফান রুমে নেই। ইশারা গোসল সেরে চুলের পানি মুচছে তখন আগমন ঘটে দিতির। ইশারা শুনেছে তিনি সম্পর্কে জা হন তাই এগিয়ে গেলো হাঁসি মুখ করে রাখলো। দিতি এসে চুলগুলো আঁচড়ে দিলো অনেক লম্বা চুল আঁচড়াতে তার ভীষণ মুসকিল হয় 

বাসায় হলে মা দিতো কিন্তু উনি কিভাবে যেন বুঝে গেলো আর কত সুন্দর না বলতেও আমার কাজ সহজ করে দিলো।এই বাড়ির মানুষ গুলো ভালো ভেবে ইশারার শান্তি অনুভব হলো।দিতি চুল আঁচড়ে দিতে দিতে বললো,

__শোনো মেয়ে আমি তোমার বড় বোনের মতো তাই একটা কথা বলছি আশে পাশে মানুষ তোমার ভালো চাওয়ার নাটক করবে তাই বলে গলে যেও না।মানুষ চিনতে জানো তো?


দিতির কথার আগা মাথা কিছু বুঝলো না সে মাথা নাড়ালো জানে না।


__তবে শিখে নেও আগে থেকে।কিছু মানুষ আপন সেজেও ছুরি চালাতে দ্বিধা করে না। কখনো কখনো আবার আপন মানুষ ও অভিনয় করে। 


দিতি চুল আঁচড়িয়ে দিয়ে ওর হাত ধরে বাহির হয়ে আসছে।

__বাহিরে অনেক মানুষ এসেছে নতুন বউ দেখতে তারা ইরফানের বউ দেখবে বলে অপেক্ষা করছে চলো।


ইশারা দিতির সাথে যাচ্ছে আর ওর একটু আগে বলা কথা গুলো বুঝার চেষ্টা করছে কিন্তু তার ওই সহজ সরল মাথায় ঢুকছে না আসলে আগে কখনো এতো কঠিন কথা শুনেনি। বাবা মা'র ছায়া তলে বড় হয়েছে সে আর এক ছোট বোন আছে তাদের সুখী পরিবার কখনো হিংসা, বিবাদ এসবের মধ্যে জড়ায়নি তাই বুঝেওনা এই আপন পর খেলা কি।


চলবে...............................?


#প্রেমাঙ্গন

লেখিকা:#রুবাইয়াত_রাহা  (ছদ্মনাম) 

সূচনা পর্ব


[এটা আমার লেখা প্রথম গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন। আর যাদের এধরণের গল্প পছন্দ না তারা ইগনোর করবেন প্লিজ।

কোন মন্তব্য নেই:

সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে।

 সৌন্দর্যের দেবী ক্লিওপেট্রাআত্মহনন করেন, একটি বিষাক্ত সাপ তুলে নিয়েছিলেন হাতে, আর সেই মুহূর্তে সাপ ছোবল মারে তাঁর বুকে। ক্লিওপেট্রা ....মিশ...