এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

জৈব বালাই ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা সমূহ।

 

জৈব বালাই ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা সমূহ।

ফসলের সুরক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বালাইনাশক (pesticide) ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। সাধারণত, এগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়: জৈব বালাইনাশক (biopesticides) এবং রাসায়নিক কীটনাশক (chemical pesticides)। এদের মধ্যে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

জৈব বালাইনাশকের সংজ্ঞা ও ধরন:

জৈব বালাইনাশক হলো প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রস্তুত কীটনাশক, যা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস, উদ্ভিদ নির্যাস এবং অন্যান্য জীবিত বা জৈব উপাদান থেকে তৈরি হয়ে থাকে।

জৈব বালাইনাশকের প্রধান ধরন তিনটি:

১. মাইক্রোবিয়াল বালাইনাশক – ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা অন্যান্য জীবাণু থেকে তৈরি।


যেমন: Bacillus thuringiensis (Bt) ব্যাকটেরিয়া, যা শুঁয়োপোকা দমনে ব্যবহৃত হয়।

২. বোটানিকাল বালাইনাশক – উদ্ভিদের নির্যাস থেকে তৈরি।


যেমন: নিম পাতা /তেল, তামাক পাতা, পেঁয়াজ-রসুনের নির্যাস, ছাই, মরিচের গুঁড়ো, পেপারমিন্ট তেল ইত্যাদি।

৩. বায়োকন্ট্রোল এজেন্টস – শত্রু পোকা দমনকারী উপকারী পোকা বা জীবাণু।


যেমন: Trichogramma পরজীবী বোলতা, যা ক্ষতিকর পোকার ডিম ধ্বংস করে।

* এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ: বালাইনাশক সরাসরি গাছে প্রয়োগ না করে বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ স্থাপন করে শত্রু পোকা দমন করা।


যেমন: ফেরমন ফাঁদ, বিষ টোপ, হলুদ আঠা।

* এ ছাড়া ফ্রুট ব্যাগিং করে ফলের মাছি পোকা দমন অত্যান্ত কার্যকারী একটি পদ্ধতি।

জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে সুবিধা:

* এটা পরিবেশ বান্ধব: জৈব বালাইনাশক সাধারণত প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি হয়, তাই এগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।

* জৈব বালাইনাশক মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য নিরাপদ: জৈব বালাইনাশক রাসায়নিক কীটনাশকের তুলনায় মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জৈব বালাইনাশকের বিকল্প নেই।

* মাটির উর্বরতা রক্ষা করে: জৈব বালাইনাশক মাটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে এবং উর্বরতা বৃদ্ধি করে।

* উপকারী পোকামাকড়ের ক্ষতি করে না: জৈব বালাইনাশক সাধারণত নির্দিষ্ট কীটপতঙ্গকে লক্ষ্য করে, তাই উপকারী পোকামাকড়ের ক্ষতি করে না।

* দীর্ঘমেয়াদী উপকার: জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে কীটপতঙ্গের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সীমাবদ্ধতা সমূহ:

* ধীর কার্যকারিতা: জৈব বালাইনাশক রাসায়নিক কীটনাশকের তুলনায় ধীরে কাজ করে।

* সংরক্ষণ ও ব্যবহার জটিল: জৈব বালাইনাশক সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা কিছুটা জটিল হতে পারে।

* খরচ বেশি: কিছু জৈব বালাইনাশকের দাম রাসায়নিক কীটনাশকের তুলনায় বেশি হতে পারে।

* কার্যকরিতা কম: কিছু ক্ষেত্রে জৈব বালাইনাশক রাসায়নিক কীটনাশকের মতো কার্যকর নাও হতে পারে।

পরিশেষে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জৈব বালাইনাশকের বিকল্প নেই। তাই এই দিকে আমাদের মনোযোগী হতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসুবিধা) উল্লেখ করা হয়েছে...

  নিচে ১০০টি হোমিওপ্যাথি ঔষধের তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে প্রতিটি ঔষধের প্রিয়তা (কোন ধরনের খাবার পছন্দ) এবং কাতরতা (কোন পরিবেশে স্বস্তি বা অসু...