এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

 ১৫ টি কারণে রোজা ভাঙে না (অথচ অনেকে মনে করে, এসব কারণে রোজা ভেঙে যায়)

 🔺 ১৫ টি কারণে রোজা ভাঙে না (অথচ অনেকে মনে করে, এসব কারণে রোজা ভেঙে যায়)


১) অনিচ্ছাকৃত বমি (মুখ ভরে হলেও) রোজা ভাঙবে না। তেমনি, বমি কণ্ঠনালীতে এসে নিজে নিজে ভেতরে ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে না। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তির বমি এসে গেছে তার উপর কাজা নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেছে, তাকে কাজা আদায় করতে হবে।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৭২০; হাদিসটি সহিহ]


২) শরীর থেকে রক্ত বের হলে, শিঙ্গা লাগালে বা কাউকে রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। 


রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমতাবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন (হিজামা করিয়েছেন), যখন তিনি রোজাদার। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৩৯]


আনাস (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, রোজা অবস্থায় হিজামা তথা শিঙ্গা লাগানোকে কি আপনারা মাকরুহ মনে করতেন? তিনি বলেন, ‘না। তবে এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়লে তা মাকরুহ হবে।’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৪০] 


সুতরাং, রোজা অবস্থায় রক্ত দিতেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ দুটোই সেইম। এমনটিই বলেছেন বিশিষ্ট আলিমগণ।


৩) সুরমা, কাজল, সুগন্ধি ইত্যাদির দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হয় না। আনাস ইবনু মালিক (রা.) রোজাদার অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। [ইমাম আবু দাউদের সুনান সূত্রে ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার: ১৩০৫; সনদ হাসান; ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ, হাকিকাতুস সিয়াম, পৃষ্ঠা: ৪০-৪১]


ইমাম যুহরি (রাহ.) বলেন, রোজা অবস্থায় সুরমা লাগানোতে কোনো সমস্যা নেই। [ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল-মুসান্নাফ: ৯২৭৫; বর্ণনাটি সহিহ]


তেমনি, শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলেও রোজা ভাঙবে না। [ইমাম আবদুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ: ৪/৩১৩]


৪) মশা, মাছি, ধুলাবালি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃতভাবে গলা বা পেটে ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না। ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, ‘‘কারো গলায় মাছি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে না।’’ [ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল মুসান্নাফ: ৬/৩৪৯; শায়খ ইবনু উসাইমিন, রমযান মাসের ৩০ আসর, পৃষ্ঠা: ১৫৩]


৫) ভুলে কিছু পানাহার করলে রোজা ভাঙবে না। হাদিসে এসেছে, ‘‘যে রোজাদার ভুলে খেয়ে ফেললো বা পান করে ফেললো, সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে; কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৩৩]


৬) স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙে না।

কারণ স্বপ্নদোষ হওয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আল্লাহ কারও উপর তার সাধ্যের বাইরে কিছু চাপিয়ে দেন না।’’ [সুরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬]


৭) রোজা অবস্থায় অজ্ঞান, বেহুঁশ বা অচেতন হলে রোজা ভাঙবে না। তাবিয়ি নাফে’ (রাহ.) বলেন, ‘(সাহাবি) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা.) একবার নফল রোজা অবস্থায় বেহুঁশ হয়ে যান। কিন্তু এ কারণে তিনি রোজা ভঙ্গ করেননি।’ [ইমাম বাইহাকি, আস-সুনানুল কুবরা: ৪/২৩৫]


৮) ইবনু উমার (রা.) বলেন, ‘‘রোজা অবস্থায় মিসওয়াক—কাঁচা বা পাকা ডাল দিয়ে—করলে রোজার কোনো সমস্যা হবে না।’’ এমনকি ইফতারের পূর্বে মিসওয়াক করলেও অসুবিধা নেই। [ইমাম ইবনু আবি শাইবাহ, আল মুসান্নাফ: ৯১৭৩; বর্ণনাটির সনদ সহিহ]


[রামাদানে দিনের বেলায় টুথপেস্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এর কিছু স্বাদ মুখে পাওয়া যায়, ফলে এটি মাকরুহ। তবে, কেউ গিলে না ফেললে রোজা ভাঙবে না]


৯) নাইট্রোগ্লিসারিন-জাতীয় ইনহেলারে রোজা ভাঙবে না, তবে ভেনটোলিন ইনহেলারে রোজা ভেঙে যাবে। কারণ এর কিছু অংশ খাদ্যনালীতে প্রবেশ করে। [মাসিক আল কাউসার সূত্রে ‘রমযান মাসের উপহার’, মাওলানা হাবীবুর রহমান]


১০) নাকে ড্রপ, স্প্রে ব্যবহারের পর তা যদি গলার ভেতরে চলে যায়, তবে রোজা ভেঙে যাবে। অবশ্য গলায় না গেলে বা স্বাদ অনুভূত না হলে রোজা ভাঙবে না। [মাজাল্লাতু মাজমা‘ইল ফিকহিল ইসলামি: ২/৪৫৪; মাসিক আলকাউসার সূত্রে ‘রমযান মাসের উপহার’] 


১১) খাবার ঠিকঠাক আছে কীনা তা বোঝার জন্য ঘ্রাণ নিলে রোজা ভাঙবে না। ইবনু উসাইমিন (রাহ.) বলেন, ‘খাবারের স্বাদ গ্রহণ করলে রোজা ভাঙবে না, যদি গিলে ফেলা না হয়।’ [রমযান মাসের ৩০ আসর, পৃষ্ঠা: ১৫৫]


তবে, বাধ্য না হলে এমনটি করা মাকরুহ। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহ.) বলেন, ‘প্রয়োজন ছাড়া খাবার চেখে দেখা মাকরুহ; তবে এতে রোজা ভঙ্গ হবে না।’ [ফাতাওয়া কুবরা: ৪/৪৭৪]


১২) রোজা অবস্থায় নখ বা চুল কাটতে কোনো সমস্যা নেই। মেয়েরা হাতে-পায়ে মেহেদী দিলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। [শায়খ আহমাদ মুসা জিবরিলের রিসালাহ]


১৩) সহবাস ছাড়া স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ হলে রোজা ভাঙবে না। তবে বীর্যপাত হওয়া যাবে না। 


আয়িশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজাদার অবস্থায় (স্ত্রীকে) চুমু খেতেন এবং তাদের সাথে (ঘনিষ্ঠ) মেলামেশা করতেন। তবে, নিজ আবেগ-উত্তেজনার উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিলো তোমাদের সবার চেয়ে বেশি।’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১৯২৭]

কোন মন্তব্য নেই:

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...