এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

গাছের কান্না,,,, ফেইসবুক থেকে নেওয়া

 ⛔গাছ কাটা বাড়ন⛔


সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম মেঘা। সবুজ মাঠ, সরু মেঠোপথ আর মেঘনার শাখা নদীর মৃদু ঢেউ এই গ্রামটিকে সাজিয়ে রেখেছে। এখানকার মানুষের জীবন নির্ভর করে কৃষিকাজ আর নদীর মাছের উপর। তবে গ্রামের এক স্থানে পা ফেলতে আজও মানুষ ভয় পায়। দিনের আলো থাকলে সবাই নির্ভয়ে চলাফেরা করে, কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। আর রাত গভীর হলে ভেসে আসে এক অদ্ভুত কান্নার শব্দ।


গ্রামের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল প্রাচীন বটগাছ। বটগাছটি যে কত পুরনো, তা কেউ জানে না। কারও কারও মতে, এটি দুই শতাব্দীরও বেশি পুরনো। তার বিশাল শাখাপ্রশাখা আকাশ ছুঁতে চায়, শেকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে যেন ভূগর্ভের রহস্য খুঁজে বেড়ায়। দিনের বেলায় গাছটির নিচে মানুষজন বসে বিশ্রাম নেয়, ছোটরা খেলা করে, কিন্তু রাত হলেই গাছটি যেন তার আসল রূপ ধারণ করে। গ্রামের মানুষ বলে, রাতে গাছের নিচে গেলে আর ফিরে আসা যায় না!


প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটি মানুষের কল্পনা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এমন ঘটনা ঘটতে থাকল, যা পুরো গ্রামের রাতের ঘুম কেড়ে নিল। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ কান্নার আওয়াজ শোনা যেত—কখনো ফুঁপিয়ে কাঁদার মতো, কখনো করুণ আর্তনাদের মতো। যারা সাহস করে এগিয়ে যেত, তারা আর ফিরে আসত না, কিংবা ফিরে এলেও তাদের চোখের দৃষ্টি শূন্য হয়ে যেত।


একসময় গ্রামের ধনী ব্যক্তি হাজী সাহেব ঘোষণা দিলেন, "এটা নিছকই অলৌকিক গল্প। অযথা ভয় পাওয়ার কিছু নেই! গাছের শেকড় আশেপাশের ফসল নষ্ট করছে, এটা কেটে ফেলতে হবে।"


সকালবেলা পাঁচজন কাঠুরে এল কুড়াল হাতে। কিন্তু প্রথম কোপ দিতেই তারা চমকে উঠল—গাছের গা বেয়ে বেরিয়ে এল গাঢ় লাল রঙের তরল, দেখতে একদম মানুষের রক্তের মতো! কাঠুরেরা আতঙ্কে পিছু হটে গেল। কিন্তু হাজী সাহেব হেসে বললেন, "তোমরা এত ভয় পাচ্ছ কেন? এটা স্রেফ গাছের রস!"


তবে ঘটনাগুলো ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক হতে লাগল। কাঠুরেদের একজন রাতে প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হলো। পরদিন আরেকজনের হাত কেটে গেল, যদিও সে খুব সাবধানে কাজ করছিল। তৃতীয় দিনে তারা যা দেখল, তাতে তাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল—গাছের কাটা অংশ রাতারাতি আবার আগের মতো জোড়া লেগে গেছে! যেন গাছটি নিজেই নিজের ক্ষত সারিয়ে তুলেছে!


সেই রাতেই কাঠুরে আব্দুল করিম একা গাছ কাটতে গেল। কিন্তু সকালে আর তার খোঁজ পাওয়া গেল না! সারাদিন খোঁজার পর বিকেলে তার নিথর দেহ পাওয়া গেল গাছের গোড়ায়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না, কিন্তু তার চোখ দুটি বিস্ফারিত, মুখ হা করা, যেন সে মৃত্যুর মুহূর্তে এমন কিছু দেখেছে যা তাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে!


গাছের কান্নার আওয়াজ এবার আরও তীব্র হয়ে উঠল।


গ্রামের যুবক রাশেদ সাহস করে বলল, "আমি গিয়ে দেখে আসব!"


সেই রাতেই সে হাতে লণ্ঠন নিয়ে গাছের দিকে এগোল। কয়েকজন দূর থেকে তাকিয়ে ছিল, কিন্তু কেউ সঙ্গে যেতে সাহস পেল না।


রাশেদ গাছের নিচে গিয়ে চিৎকার করে বলল,

"কে আছিস? বের হ!"


কোনো সাড়া নেই।


কিন্তু হঠাৎ ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা এলো, গাছের পাতাগুলো কাঁপতে লাগল, অথচ আশেপাশের কোনো গাছ নড়ছিল না! মাটির নিচে যেন কিছু একটা নড়ছে! এক মুহূর্তের জন্য মনে হলো, কারো হাত বেরিয়ে আসছে গাছের শেকড়ের নিচ থেকে!


পরদিন সকালে রাশেদকে পাওয়া গেল গাছের কাছেই পড়ে থাকতে। তার শরীর ঠান্ডা, ঠোঁট শুকিয়ে গেছে। সে শুধু ফিসফিস করে বলল,

"ওরা... আমাকে নিয়ে যেতে চায়!"


এরপর থেকে সে আর স্বাভাবিক হয়নি। এক সপ্তাহ পর, রাতে ঘুমের মধ্যেই মারা গেল!


গ্রামের প্রবীণ ফকির সাহেব বললেন,

"এই গাছ শুধু গাছ নয়, এটি এক ভয়ংকর ইতিহাস বহন করে। বহু বছর আগে এখানে কিছু ঘটেছিল, যার প্রতিধ্বনি আজও শোনা যায়!"


সেই রাতে কয়েকজন যুবক ও ফকির মিলে গাছের নিচে গেল। ফকির কিছু একটা খুঁজতে থাকলেন। হঠাৎ প্রবল বাতাস বইতে লাগল, গাছের চারপাশে এক অদ্ভুত পরিবেশ সৃষ্টি হলো!


তারা দেখতে পেল, গাছের গায়ে কালো দাগ রয়েছে, যা দূর থেকে দেখতে মানুষের হাতের ছাপের মতো!


ফকির কাঁপা গলায় বললেন,

"এই জায়গায় কিছু একটার অস্তিত্ব রয়ে গেছে। এটি কিছু বলতে চায়! কিন্তু কেউ তা শুনতে প্রস্তুত নয়!"


সেই রাতের পর থেকে গ্রামবাসীরা গাছের নিচে যাওয়া বন্ধ করে দিল।


আজও বটগাছটি দাঁড়িয়ে আছে, তার চারপাশে রহস্যময় বাতাস বইছে।


রাত যত গভীর হয়, বাতাসের গতি ততই থমথমে হয়ে আসে। মেঘা গ্রামের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা সেই প্রাচীন বটগাছ যেন অন্ধকারের গভীরে আরও রহস্যময় হয়ে ওঠে। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু মাঝে মাঝে শিয়ালের কর্কশ ডাক আর ঝিঁঝি পোকার একঘেয়ে শব্দ শোনা যায়। কিন্তু রাত গভীর হলেই, সেই এক ভয়ংকর শব্দ ভেসে আসে—একটা চাপা কান্না, যা শুনলে শরীর অবশ হয়ে আসে।


প্রথমে মনে হয়, যেন কোনো শিশু ফুঁপিয়ে কাঁদছে। সেই কান্না করুণ, যেন কেউ হারিয়ে গেছে, সাহায্য চাইছে। কিন্তু সময় যতই বাড়তে থাকে, সেই কান্নার আওয়াজ বদলে যেতে থাকে। ফিসফিসানি, গভীর শ্বাসের শব্দ, অদ্ভুত গোঙানি—সব মিলিয়ে এমন এক পরিবেশ তৈরি হয়, যা সহজে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। অনেকেই কৌতূহলবশত গাছের কাছাকাছি গিয়ে সেই কান্নার উৎস খোঁজার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা যা দেখেছে, তা আর কাউকে বলতে পারেনি।


একবার গ্রামের রুহুল নামে এক সাহসী যুবক শপথ করেছিল, "আমি নিজে গিয়ে দেখব, এটা আসলে কী!"


সেই রাতেই সে হাতে লণ্ঠন নিয়ে গাছের দিকে এগোল। কয়েকজন দূর থেকে তাকিয়ে ছিল, কিন্তু কেউ সঙ্গে যেতে সাহস পেল না।


গাছের নিচে পৌঁছে রুহুল কান পেতে শুনল—শুধু বাতাসের শব্দ। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর, সে জোরে বলে উঠল,

"কে আছিস? বের হ!"


কোনো সাড়া নেই।


কিন্তু হঠাৎ গাছের ডালপালাগুলো কেঁপে উঠল। আশেপাশের কোনো গাছ নড়ছিল না, কিন্তু সেই বটগাছের পাতা প্রচণ্ড শব্দে দুলছিল। গাছের গোড়া থেকে যেন মাটি ফুঁড়ে কী যেন বেরিয়ে আসছে!


লণ্ঠনের আলোয় রুহুল দেখতে পেল—মাটির নিচ থেকে উঠে আসছে কিছু শুকনো, কালচে আঙুলের মতো শেকড়!


সে দৌড়াতে গিয়েও থমকে গেল—তার পায়ের নিচের মাটি যেন শক্ত হয়ে গেছে, যেন কিছু একটা তাকে ধরে ফেলেছে!


তারপর...


পরদিন সকালে রুহুলকে পাওয়া গেল গাছের গোড়ায় পড়ে থাকতে। তার শরীর ঠান্ডা, ঠোঁট শুকিয়ে গেছে, চোখ দুটো বিস্ফারিত, আর মুখ হা করা। যেন সে মৃত্যুর মুহূর্তে এমন কিছু দেখেছে, যা তাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে!


সেই রাত থেকেই কান্নার আওয়াজ আরও বেড়ে গেল।


গ্রামের প্রবীণ ফকির বললেন,

"এই গাছ শুধু গাছ নয়। এটা একটা ইতিহাস বহন করে। বহু বছর আগে এখানে কিছু এমন ঘটেছিল, যার প্রতিধ্বনি আজও শোনা যায়!"


কিন্তু কী সেই ইতিহাস?


এক বৃদ্ধা একদিন ফিসফিস করে বলেছিলেন,

"অনেক, অনেক বছর আগে এই জায়গায় এক পাষণ্ড জমিদার বহু মানুষকে হত্যা করেছিল। তারা মুক্তির প্রার্থনা করেছিল, কিন্তু কেউ তাদের সাহায্য করেনি। সেই আর্তনাদ আজও বাতাসে ভেসে বেড়ায়।"


সত্যি কি তাই? নাকি এই গাছের শেকড়ের নিচে লুকিয়ে আছে আরও ভয়ংকর কিছু?


কেউ জানে না।


কিন্তু সবাই জানে, রাতের গভীরে কেউ যদি একবার গাছের ছায়ায় ঢোকে, তাহলে সে আর আগের মতো থাকে না।


আজও গাছটি দাঁড়িয়ে আছে, তার চারপাশে রহস্যময় বাতাস বইছে। রাতের অন্ধকারে, কেউ কেউ বলে, তারা গাছের নিচে অদৃশ্য কারো ছায়া দেখেছে।


কেউ বলে, তারা শুনেছে নিঃশ্বাসের শব্দ।


আর কেউ কেউ বলে... তারা অনুভব করেছে, গাছের নিচে কেউ বসে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে!


কিন্তু সাহস করে এগিয়ে যাওয়ার মতো মানুষ আর কেউ নেই।


কেউ আর জানতেও চায় না, গাছটি কেন কাঁদে।

কোন মন্তব্য নেই:

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...