ডা.হুমায়ূন বিশ্বাস স্যারের লেখা থেকে সংগ্রহ
ডিএইচএমএস পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হিসেবে
মেটেরিয়া মেডিকা ১ম বর্ষ
সিনাঃ Cina Maritime(Cina)
🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐
🖌️প্রুভারের নামঃ
ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান
🖌️উৎসঃ
ইহা একটি বৃক্ষ যার ফুল সবুজ হলুদ, এই গাছের বীজ হতে মূল আরক তৈরী হয়।
🖌️প্রাপ্তিস্থানঃ
রাশিয়া, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, ভারতের কাশশ্মীরে পাওয়া যায়।
🖌️সমনামঃ
ওয়ার্মসীড (Worm seed), আর্টিমিসিয়া কন্ট্রা, কির্মালা, সোমরাজ বীজ।
🖌️উপশমঃ
শিশুকে কোলে নিয়া বেড়াইলে, নড়াচড়ায়, পেট চাপিয়া শয়নে, মাথা নাড়িলে, দুলাইলে, চোখ রগড়াইলে।
🖌️বৃদ্ধিঃ
রাতে, নিদ্রাকালে, মধ্যরাতের পূর্বে, অপরিচিত লোক দেখিলে, খোলা বাতাসে, ঠান্ডা বাতাসে, ঠান্ডা পানি নাড়লে, হাই তুলিলে, টিকা দিলে, পূর্ণিমাতে, মিষ্টি জিনিস খেলে, রাগের পর, বেশী খেলে, কোন কিছুর দিকে এক দৃষ্টে তাকালে, ক্রিমি বাড়লে, সূর্যের তাপে, গরমকালে, স্পর্শে।
🖌️ক্রিয়াস্থলঃ
অন্ত্র, মস্তিষ্ক, মেরুদন্ড পাকস্থলী, মুত্রথলি, চোখ, বামদিকে ও শিশুদের পীড়ায়।
🖌️ধাতুগত লক্ষণঃ
চোখের চারদিকে কালিমা, একটি গাল লাল, অপরটি ফ্যাকাশে, বদমেজাজী, সোরা ধাতু।
🖌️রোগের কারণঃ
ক্রিমি বিশেষতঃ গোল কৃমি (Round Worm), মিষ্টি খেলে, অতিরিক্ত আহার, সহজপ্রাচ্য নয় এমন খাবার খেলে যেমন কয়লা, চারকল, চক, পাথরের টুকরা ইত্যাদি।
🖌️অনুপূরকঃ
এন্টিম-টার্ট, ক্যাল-কার্ব, ড্রসেরা,র্যাটেনহিয়া।
🖌️ক্রিয়ানাশকঃ
ক্যাস্ফর, ক্যাপসিকাম, চায়না ইপিকাক।
✒️চরিত্রগত লক্ষণঃ
📌১. সিনা প্রধানতঃ শিশুদের কৃমি বা কৃমিজনিত উপসর্গ
নিবারনের ব্যবহৃত হয়।
📌২.কোন লক্ষণের সহগামী লক্ষণ হিসাবে হাই উঠে বা কেহ হাই তুলিলো রোগীরও হাই উঠে।
📌৩.চোখের চারদিকে কালিমা পড়ে, একগাল লাল অন্যগাল ফ্যাকাশে।
📌৪.নিদ্রাবস্থায় দাঁত কড়মড় (দাঁতে দাঁত ঘষা) করে এবং জাগ্রত অবস্থা ১ নাকের মধ্যে সড় সড়, করিতে থাকে বলিয়া অনবরত নাক খোঁটে ঘুমের মধ্যে কাঁদে ও কথা বলে।
📌৫.শিশু এক পাশ থেকে আর এক পাশে হাত ছুঁড়তে থাকে।
📌৬.শিশু হঠাৎ নিদ্রা থেকে জেগে উঠে কোন দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই চিৎকার করে কাঁদিতে থাকে।
📌৭.শিশুদের গায়ের গন্ধ টক টক।
📌৮.মাথায় অত্যন্ত স্পর্শকাতর তার জন্য শিরঃপীড়া সময় মহিলারা চুল ঝুলাইয়া রাখে, বাধতে পারে না, শিশুরা মাথা আচড়াইতে দেয় না পর্যায়ক্রমে মাথা ও তলপেটে ব্যথা মাথা সামনের দিকে নোয়াইলে (Stooping) উপশম।
📌৯.মিষ্টি খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা এবং বিভিন্ন অপাচ্য খাদ্য (চক, চারকল কয়লা, মাটি, পাথরের টুকরা) খাওয়ার ইচ্ছা।
📌১০.রোগী হামাগুড়ি (Knee Elbow Pasition) হইয়া পাছা উচু করিয়া ঘুমায়, উপুড় হইয়া ঘুমায়।
📌১১.দোল দিতে থাকিলে শিশু শান্ত হইয়া ঘুমাইয়া যায়।
📌১২.জিহবা পরিষ্কার।
📌১৩.জ্বরে মুখমন্ডল ঠান্ডা কিন্তু হাত দুটি গরম।
📌১৪.রাক্ষুসে ক্ষুধা ও পিপাসাহীনতা, যত পায় তত খায়। খাইয়া তাহার আশ মিটে না, আরো চাহিতে থাকে, খাইতে না পারলে চিবাইয়া চিবাইয়া ফেলিয়া দিতে থাকে। খাবার দেখিলে নড়িতে চায় না, খাবার লইয়া বসিয়া থাকে। খাইতে না দিলে ক্রমাগত ঘ্যান ঘ্যান করিয়া বাড়ী শুদ্ধ লোককে অতিষ্ট করিয়া তোলে।
📌১৫.রাক্ষুসে ক্ষুধার সহিত কোন কোন সময় ক্ষুধা হীনতা ও থাকে।
📌১৬.মাতৃ দুধে অনিচ্ছা।
📌১৭.মৃগী রোগের আক্রমনের পূর্বে ও পরে মাথা ব্যথা করে।
📌১৮. শিশুরা পড়তে বসলে মাথা ব্যথা করে, সেলাই করলে মাথা ও চোখে যন্ত্রনা হয়।
📌১৯. শিশুরা রাতের নিদ্রায় বিছানায় প্রস্রাব করে (Nocturnal Enuresis) পূর্ণিমা রাতে উহা বৃদ্ধি পায়।
📌২০. প্রস্রাব ঘোলা, কিছুক্ষণ পর সাদা হইয়া যায়।
📌২১. মুখে পানি জমে।
📌২২. ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র এবং পরিমাণে বেশী।
📌২৩. অত্যন্ত ক্রুদ্ধ স্বভাব, জেদী, একগুঁয়ে।
📌২৪. কোলে থাকিতে চায়।
📌২৫. অপরিচিত ব্যক্তির সহিত কথা বলিতে চায় না, কেহ তাহার মুখের দিকে তাকাইলে বিরক্ত হইয়া ক্রুদ্ধ হইয়া পড়ে।
📌২৬. শিশু ক্রমাগত লিঙ্গ ঘাটে।
📌২৭. নানা রকম জিনিসের বায়না ধরে, দিলে গ্রহণ করে না।
📌২৮. অদ্ভুত ধারণা মনে করে যেন সে কোন অন্যায় কাজ করেছে।
📌২৯. ভাল ব্যবহারের শিশুরাও অসুস্থ হয়ে খিটখিটে হয়ে পড়ে।
সিনার মানসিক লক্ষণঃ
================
চরিত্রগত লক্ষণের ২৩-২৯ পর্যন্ত
কৃমিতে সিনার ব্যবহারঃ
================
সিনা প্রধানতঃ শিশুদের কৃমি (গোলকৃমি) বা কৃমিজনিত উপসর্গে ব্যবহৃত হয়। শিশু নিদ্রাবস্থায় দাঁত কড়মড় করে। জাগ্রত অবস্থায় নাক চুলকায়, গায়ে টক গন্ধ, মুখে পানি জমে। ঘুমের মধ্যে কাঁদে ও কথা বলে। কৃমির সহিত রাক্ষুসে ক্ষুধা, গুহ্যদ্বারে চুলকানি।
সিনার শিশু- শিশু অত্যন্ত বদরাগী, একগুয়ে, ঘ্যানঘ্যানে প্রকৃতির, রাত্রে ছটফট করে, নিদ্রাবস্থায় খুব জোরে চীৎকার করিয়া উঠে, দাঁত কড়মড় করে, প্রস্রাব অত্যন্ত ঘোলা, নাকে চুলকানির ফলে নাক খোটে বা ডলে। সর্বদা দোল খেতে চায়। স্পর্শ, আদর বা কোলে উঠতে চায় না। অনেক কিছু চায় কিন্তু দিলে সব কিছু ছুড়ে ফেলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন