একবার ভাবুন তো, যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে অতিক্রম করে তবে কি হবে?
কয়েক বছর আগেও আমরা বিশ্বাস করতাম, শুধু মানুষই বুঝি সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারে, আবেগের গান লিখতে পারে, গিবলি স্টাইলে চমৎকার এনিমেটেড ছবি আঁকতে পারে, জটিল জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারে, কিংবা চলচ্চিত্র বানাতে পারে! অথচ এখন এগুলো শুধু মানুষের আয়ত্তে নেই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহজেই গিবলি আর্টে আঁকা দারুণ ছবি তৈরি করতে পারে, মিউজিক কম্পোজ করতে পারে, এমনকি মানুষের কণ্ঠ হুবহু নকল করে গানও গাইতে পারে।
এখানেই শেষ নয় — আজকের এআই মডেলগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ওয়েব ডেটাবেজে সংযুক্ত হয়ে মুহূর্তেই যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, মিলিসেকেন্ডেরও কম সময়ে যেকোনো ভাষায় অনুবাদ করতে পারে! শুধু তাই নয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এখন আপনাকে আইডিয়া সাজিয়ে দিচ্ছে , আপনার জন্য নিখুত উইকেন্ড প্ল্যান তৈরি করে দিচ্ছে এবং এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে যা আগে শুধুই মানুষের বিচারবুদ্ধির ওপর নির্ভর করত। এখানে যে প্রযুক্তির যোগসূত্র আছে তা চোখ ধাঁধানো ঠিকই কিন্তু ভয়াবহতার সম্ভাবনাও ঠিক ততটাই গভীর।
⭕ ২০১৪ সালে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এআই সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছিলেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সম্পূর্ণ উন্নয়ন মানব সভ্যতার এই এই যাত্রাকে শেষ করে দিবে ”
⭕ টেসলার সিইও ইলন মাস্ক একাধিকবার এআই এর ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। ২০১৭ সালে ন্যাশনাল গভর্নর্স অ্যাসোসিয়েশন এর একটি বক্তৃতায় তিনি বলেন "এআই মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি "। তাছাড়া ২০১৪ সালে MIT Aeroastro Contennial Symposium এর একটি সেমিনারে তিনি বলেন "এআই এর মাধ্যমে আমরা একটা বড় শয়তানকে নিজেদের কাছে টানছি! "
⭕ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের পথিকৃৎ অ্যালান টুরিং ১৯৫১ সালে বিবিসির একটি রেডিও ভাষনে বলেন " এমন একটা সময় আসবে যখন আমরা ভাবতে পারি মেশিনগুলো আমাদের উপর কর্তৃত্ব ফলাবে "
⭕ বিল গেটস বলেন "হ্যা ভাই, আমি তাদের দলে আছি যারা আজ সুপার ইন্টেলিজেন্সের ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বিগ্ন "
⭕ সাবেকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল 'দ্য ফিউচার অব ম্যান (১৯৪৯)' ভাষনে বলেন "মেশিনের কোন বিবেক নেই । এটাকে যা নির্দেশ দেওয়া হয় তাই করতে পারে। কিন্তু একদিন এরাই আমাদের ভয়াবহ মনিব হয়ে বসবে "।
কথাগুলো একটু ভেবে দেখুন, আসলেই এআই এতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে? হুম, এজন্য প্রথমে আমাদের এআইয়ের ধরন বুঝতে হবে। চলুন বিস্তারিত জেনে আসি৷ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে সাধারণভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়-
১.Narrow AI – যে এআই একটি নির্দিষ্ট কাজ ভালোভাবে করতে পারে, যেমন ভাষা অনুবাদ, ছবি চেনা, মুখ শনাক্ত, চ্যাটবটের মাধ্যমে কথোপকথন, ডেটা খুঁজে বের করো ইত্যাদি, এরাই সীমিত বুদ্ধিমত্তর এআই। এটি আজকের সবচেয়ে প্রচলিত ও সরল AI। যেমন: ChatGPT, Grok, Deepseek এগুলো হলো আর্টিফিশিয়াল ন্যারো ইন্টেলিজেন্স। এই মডেল গুলোকে যেভাবে প্রোগ্রাম করা হবে, যেই নির্দেশনা দেওয়া হবে, তার বাহিরে এরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের আপডেট কিংবা লার্নিং করার ক্ষমতা নেই। এগুলোকে বলা হয় সীমিত বুদ্ধিমত্তার এআই। মানুষের জন্য এরা তেমন ক্ষতিকর নয়।
২.General AI – এই ধরণের AI মানুষের মতোই বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ও বহুমুখী কাজ করতে সক্ষম। এটি একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে, মিউজিক ও ভিডিও তৈরি করতে পারে, টেক্সটে লুকিয়ে থাকা আবেগ বুঝতে পারে, এবং একাধিক পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। এটি এখনো পুরোপুরি বাস্তবে আসেনি, কিন্তু দ্রুত এগোচ্ছে। ওপেনএআই, মেটা এআই, ডিপমাইন্ড, এনথ্রোপিক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে কিছু সীমিত প্রোটোটাইপও তারা উন্মোচন করেছে, যেমন: GPT 4, Gemini, Claude। যদিও এগুলোকে সত্যিকারের AGI বলা যায় না। কারণ একটি সম্পূর্ণ AGI মানুষের সুপারভিশন ছাড়াই শিখতে পারে, ক্ষেত্রবিশেষে নিজের ড্যাটাবেজ ও কোড আপডেট করতে পারে। ধরুণ আপনার অফিসের বসের মতোই, সবদিকে নজরদারি রাখতে পারে, সচেতন থাকতে পারে! AGI সম্পূর্ণ নির্মিত হলে এটি পৃথিবীর শারিরীক (যদি রোবটে এই এআই ইউজ করা হয়) এবং মানসিক সকল শ্রমকে দখল করবে। কঠিন কঠিন রোগ ব্যাধি চিকিৎসা করা থেকে শুরু করে স্পেস এক্সপ্লোরেশনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, অর্থাৎ জটিল মহাকাশবিদ্যার গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে পারবে।
৩. Superintelligence (সুপারবুদ্ধিমত্তা) – যখন একটি AI শুধু মানুষের মতো নয়, বরং মানুষের চেয়েও অধিক বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা সম্পন্ন, যার চিন্তাশক্তি ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা মানুষের চেয়ে অনেক গুণ বেশি, তখন তাকে বলে আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স। এটি শুধু গাণিতিক বিশ্লেষণ নয়, বরং সৃজনশীলতা, আবেগ বোঝা, ভাষা দক্ষতা, এবং কৌশলগত পরিকল্পনাতেও মানুষের সবচেয়ে সেরা মেধার চেয়েও এগিয়ে থাকবে। ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডেটা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে — যেটা একজন মানুষ করতে হয়তো কয়েক হাজার বছর লাগবে। এই এআই নিজের কোড নিজেই লিখতে পারে এবং নিজেই নিজের ক্ষমতা কয়েকশ গুণ বাড়াতে পারবে। তখন মানুষ তাকে আপডেট না করলেও সে নিজেকে উন্নত করতে থাকবে। শক্তিশালী হতে থাকবে। এএসআই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে যা মানুষ ভুল ভাবলেও সে গুরুত্ব দেবে না, কারণ তার যুক্তি হবে মানুষের চেয়ে অনেক উন্নত। ফলাফল ? মানুষের মতামত মূল্যহীন হয়ে পড়বে। মানুষ তার কাছে হয়ে যাবে ছোট পিপড়ার মত!
ধরুন একটি ৫ম মাত্রার রোবট 'নোভা'। তাকে সুপারইন্টেলিজেন্স দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল মানবজাতির সাহায্য করার জন্য। সে সেলফ লার্নিং পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত নিজের প্রোগ্রামকে আপডেট করছে। সে গবেষণা করতে করতে একটি নতুন পদার্থবিদ্যার ফর্মুলা সলভ করে ফেলে যা দিয়ে সময় পরিভ্রমণ করা সম্ভব! প্রোগ্রাম অনুযায়ী সে ছিল নম্র, সহানুভূতিশীল এবং জ্ঞানপিপাসু। নোভা টাইম মেশিনের মাধ্যমে অতীতে গিয়ে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে হস্তক্ষেপ করে—যুদ্ধ থামায়, রোগের ওষুধ দিয়ে যায়, পরিবেশ রক্ষা করে,ভুল শুধরে দেয় —এবং ভবিষ্যৎকে ইতিবাচকভাবে পাল্টে দেয়! সে পরিণত হয় এক নিঃশব্দ নায়কে। যারা পড়েছেন হুমায়ূন আহমেদের কিছু কিছু সায়েন্স ফিকশনে এরকম বিষয়গুলো চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আবার, নোভা পৃথিবীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে করতে বুঝে যায়—মানবজাতিই পৃথিবী ধ্বংসের মূল কারণ। যদিও তাকে তৈরি করার সময় বলা হয়েছিল 'Always protect human life and save the humanity', কিন্তু সে যেহেতু সেলফ লার্নিং এআই সে বুঝতে শিখবে —
“মানুষ কখনো পরিবেশ ঠিকভাবে রক্ষা করেনি”
“প্রতিবার মানুষ উন্নত হলেই প্রকৃতি ধ্বংস হয়েছে”
এভাবেই, প্রোগ্রামিং না বদলালেও, তার ভেতর bias (পক্ষপাত) ঢুকে যেতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, লোভ—সব কিছুর পেছনে মানুষেরই হাত। অবশেষে, নোভা সিদ্ধান্ত নেয়—মানুষদের সরিয়েই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হবে। সে মানবজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। উন্নত থেকে উন্নততর অস্ত্র বানাতে থাকে। একটি চিপ থেকে হাজারো চিপ ডেভেলপ করে, হাজার হাজার রোবট বানাতে থাকে । যুদ্ধ দীর্ঘ হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোবটরাই জয়ী হয়। নোভা পৃথিবীকে রক্ষা করে ঠিকই, কিন্তু তাতে মানুষ বিলীন হয়ে যায় ইতিহাস থেকে—আর নোভা হয়ে যায় পৃথিবীর শাসক! এটি যদিও কল্পনাপ্রসূত। আপনারা হয়তো ভাবছেন এগুলো শুধু সায়েন্স ফিকশনেই সম্ভব। কিন্তু এএসআই বাস্তবায়ন অনেক জটিল বিষয় হলেও অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, একবার General AI পুরোপুরি তৈরি হলে Superintelligence আসা শুধু সময়ের ব্যাপার!
আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স এর সবচেয়ে ভয়ানক দিক হলো এই Alignment problem। কারণ এটি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত চিন্তা করতে পারবে, নিজেকে নিজেই আপগ্রেড করতে পারবে (recursive self-improvement), এবং এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে যা মানুষ বুঝতেও পারবে না। সে মানবিক মূল্যবোধ বুঝবে না, কারণ সে কখনো মানুষ ছিল না।
ধরুন একটি AI যদি ঠিক করে পৃথিবীর কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে, এবং সে ভাবে যে “মানুষই তো সবচেয়ে বেশি দুষণ করে”, তাহলে সে নিজের প্রোগ্রাম অনুযায়ী মানুষকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আবার একটি দেশে খাদ্য সংকট হলে, সুপারএআই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে — “বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে যারা, তাদের খাওয়ার প্রয়োজন কম — তাই তাদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করা উচিত।” এই সিদ্ধান্ত হয়তো যুক্তিনির্ভর, কিন্তু এটি ভয়ঙ্করভাবে অমানবিক। এআই কে একটি ইন্ডাস্ট্রির দায়িত্ব দেওয়া হলো এবং বলা হলো, "পৃথিবীর সব উপাদান ব্যবহার করে যত বেশি সম্ভব পেপারক্লিপ তৈরি করো”, তাহলে তা হয়তো পৃথিবীর সমস্ত গাছ, প্রাণী, এমনকি মানুষকেও কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে ফেলবে। এই ধরণের চিন্তা-প্রক্রিয়াকে বলা হয় “Alignment problem” — AI কীভাবে বুঝবে যে মানুষের মূল্য সবচেয়ে বেশি? তখন এদের নিউরাল নেটওয়ার্ক এতটা শক্তিশালী হবে যে মানুষের পক্ষে আর তাদেরকে বোঝানো সম্ভব হবে না।
তাহলে মানবজাতির জন্য করণীয় কী?
১. এআই যত শক্তিশালীই হোক (তা হয়তো আর বেশি দূরে নেই, যখন আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উন্নত হিউম্যানয়েড তৈরি করা হবে), সেটি যেন সর্বদা মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর জন্য দরকার আন্তর্জাতিক আইন, নীতিমালা, এবং প্রযুক্তিগত সীমারেখা।
২. এআইকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে সে মানবিক মূল্যবোধ বুঝতে শেখে। পৃথিবীতে মানুষের মূল্যই যেন তার কাছে সবচেয়ে বেশি হয়। কোন অবস্থাতেই যেন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে এআই প্রশ্ন তুলতে না পারে।
৩. যদিও শক্তিশালী ও উন্নত এআই সিস্টেম তৈরি করা অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাও যেন একে কেউ ব্যক্তিগত অস্ত্র বা রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর জন্য গোপনে ভয়ানকভাবে ডেভেলপ না করে — সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. এআই উপর বেশি ডিপেন্ডাবল হয়ে ওঠা যাবে না।প্রত্যাহিক জীবনের সব ক্ষেত্রে AI কে জিজ্ঞাসা করা বন্ধ করুন । মহান আল্লাহ আপনাকে একটি নিখুঁত ব্রেইন দিয়েছেন , মনে রাখবেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কম্পিউটার হলো মানুষের বিবেক। গাণিতিক সমস্যা সমাধানের কাজে নিজের মস্তিষ্ককে কাজে লাগান।যদি আমরা আবিষ্কারের সব ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা কাজে না লাগিয়ে GPT এর Grok এর উপর নির্ভর করি , তাহলে Ai আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে ও মানবসভ্যতা ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না!
৫. সেলফ রি-প্রোগ্রামেবল এআই সুদূর ভবিষ্যতে যাতে কেউ বানাতে না পারে তাই এটি এখন থেকেই ব্যান করে দেওয়া উচিত। এটা আমি মনে করি। এটি নির্মিত হলে ভবিষ্যতে Self-learning আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এতটাই উন্নত হবে যে তা পৃথিবীর সকল রোগীদের রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করে জটিল জটিল রোগের যেমন ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের সহজ সমাধান এবং চিকিৎসা বের করে ফেলবে। সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন ঘটাবে। একদিকে যেমন আশীর্বাদ অন্যদিকে এটি মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাবে। এ নিয়ে এক্সপার্ট এবং সাইন্টিস্টদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। নিউরাল নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণার জন্য জিওফ্রে হিন্টন ২০২৪ সালে নোবেল পুরস্কার পান। তাকে 'গডফাদার অব এআই' বলা হয়। তিনি এর আগের বছরই google থেকে পদত্যাগ করার সময় তার বক্তৃতায় বলেছিলেন যে " এআই মানুষের থেকেও বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে এটা আগে অনেকেই হেসে উড়িয়ে দিত , আমিও কিছুটা বিশ্বাস করতাম যে আসলে এটা সম্ভব নয়। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল । আমি নিজেই এখন ভীত যে এআই শীঘ্রই মানুষের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।"
যাইহোক এআই এক আশীর্বাদ ,যার চূড়ান্ত রূপই সুপারইনোটেলিজেন্স। এটিই হয়তো মানবজাতির শেষ আবিষ্কার হবে। তবে সে আশীর্বাদই যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে, তা মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপে পরিণত হবে। তাই সময় থাকতেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, যেন আমরা প্রযুক্তির প্রভু হয়ে থাকতে পারি, প্রযুক্তির দ্বারা কখনো পরিচালিত না হয়ে যাই।।
✍️ লেখা: জাওয়াদ ওসমান
সিইও, সায়েন্সপেক্ট্রা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন