পটুয়াখালীতে সাংবাদিকতার আড়ালে সাংবাদিকতার নামে চলছে চাঁদাবাজ ক্লাবের সদস্যদের সুকৌশলে চাঁদাবাজি।
জেলা শহরে ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জমি দখল, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এবং পক্ষে বিপক্ষে
"সংবাদ হবে"
আবার
"সংবাদ করা হবে না"
টাকার বিনিময়ে এই চুক্তিতে দলবদ্ধ হয়ে মোবাইল ক্যামেরা একশন চালিয়ে যাচ্ছে খবর পটুয়াখালী নামের একটি ফেসবুক পেজ।
তাদের খোলামেলা চান্দাবাজির তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায় এদের সাথে জড়িত সাবেক ও বর্তমান রাজনৈতিক নেতা এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এই চক্রের প্রধান ভুয়া সংবাদিক আব্দুস সালাম আরিফ ও গোপাল হাওলাদার, রায়হানরা চাঁদাবাজি ব্লাকমেইল ও পক্ষ বিপক্ষে সংবাদ করে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ।
টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় যায় এই সকল সাংবাদিক পরিচয়ধারীরা,
টাকার সাথে সাথে তাদের দিতে হয় বিলাস বহুল আবাসিক হোটেলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও খরচ, নদী পারাপারের জন্য স্পিডবোট সহ নানা রকমের সুযোগ সুবিধা।
এরা সাংবাদিকতার আড়ালে প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে অসহায় মানুষদের জিম্মি করে তদবির বানিজ্য, ধান্দাবাজি চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন দপ্তরে চলে তাদের বিভিন্ন তদবির বানিজ্য,
মুলত চাকরির সুপারিশ ও ঠিকাদারী কাজের ঘুষ বাণিজ্যের লেনদেনের মধ্যস্থতা করে থাকে অর্থের বিনিময়ে।
এদের ভাবসাব দেখে আপনার মনে হবে পটুয়াখালীর আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব ভার এদের হাতেই।
তবে বিনিময়ে দিতে হবে তাদেরকে নগদ অর্থ।
এদের নাম সর্বস্ব পত্রিকায় বেতন ভাতা অতি সামান্য হলেও হঠাৎ করেই আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে এরা।
চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজির টাকায় দামি হোন্ডা ফ্ল্যাট বাড়ি সহ বিলাস বহুল জীবন যাপন তাদের।
তবে এই টাকার উৎস হচ্ছে একমাত্র চাঁদাবাজি ও ধন্দাবাজি।
এরা পটুয়াখালী প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাদের রয়েছে গোপন আঁতাত। এরা গেলেই তদবিরে কাজ হয়ে যায় বিনিময়ে দিতে হয় তাদের নগদ টাকা।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন কাছের লোক হিসেবে বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রাইলের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে আসছে বিগত দিনগুলোতে এরাই । নানাবিধ অপকর্মের কারনে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত অপকর্মের মূল হোতা আব্দুস সালাম আরিফ, তাদের সাথে আরো রয়েছে গোপাল হাওলাদার, ছোট ও বড় রায়হান সহ
আরো বেশ কয়েকজন চান্দাবাজ ও ধান্দাবাজরা।
বিভিন্ন সময়ে এরা বিভিন্ন অপকর্ম, অর্থ আদায় এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বহিষ্কার হয় প্রেসক্লাব থেকে।
পটুয়াখালীর প্রতিটি উপজেলায় তাদের রয়েছে চাঁদাবাজির নেটওয়ার্ক।
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এরা একাধিকবার হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছে এবং প্রেসক্লাব থেকে মুচলেকা দিয়ে বহিষ্কার করেও এদেরকে দমানো সম্ভব হয়নি।
তারা দমে না গিয়ে বরং নাম সর্বস্ব সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে নিজেরাই চাঁদাবাজ ক্লাবের আত্মপ্রকাশ করে সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে জনসমক্ষে।
এদের জ্বালায় অতিষ্ঠ পটুয়াখালী জেলার অধিকাংশ মানুষ।
কেউ এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মিথ্যা নিউজ করে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে, নাজেহাল করে বিভিন্ন ভাবে এবং তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে মিথ্যা নিউজ পরিবেশন করে। এরা সংঘবদ্ধ ভাবে হামলা চালায় একাধিকবার যারা তাদের ধান্দাবাজি ও চাঁদাবাজিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের উপর।
আমাদের পটুয়াখালীর ভয়ংকর প্রতারক ও চাঁদাবাজদের
বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
#পটুয়াখালীবাসী
#পটুয়াখালী জেলা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন