ছাদের টবে বোরন সার প্রয়োগের মাত্রা বা পরিমাণ।
🍂বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ:
বোরন সারের অভাবে পাতা খর্বকায় ও কোঁকড়ানো হয় এবং নেতিয়ে পড়ে। কান্ড ও পাতার বোঁটা এবং ফল ফেটে যায়। শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কান্ডের তগ্রকোস বা কচি কান্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরাগায়ন, ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ফুল, ফল ঝরে পড়ে ও ফল বিকৃত হয়। আলু ও বিভিন্ন ফলের উপর বিবর্ণ দাগ পড়ে। উদ্ভিদ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। বীজের সংখ্যা খুব কমে যায়। ফল ফেটে যায়।
এছাড়া বোরন সার ডাল ও তেল জাতীয় দানাদার ফলের দানার গঠনে এবং ফলন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আলুকে দাঁদ রোগ থেকে রক্ষা করে এবং ধানে চিটা হওয়া ও দাগ পড়া কমে যায়।
🌱🍃প্রয়োগ পদ্ধিতি: মাটিতে এবং পাতায় স্প্রে দুইভাবেই প্রয়োগ করা যায়। সার/বালু/ছাই/মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষে প্রয়োগ করতে হবে। ফসলে বোরনের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করা যেতে পারে।
🍃🌱মাটিতে প্রয়োগের ক্ষেত্রে:
সাধারণত ফলগাছে ফুল আসার পূর্বে বোরন সার প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যাবে। ছাদবগানের জন্য ছোট টবে ১/২ চা চামচ, বড় টবে ১ চা চামচ এবং হাফড্রামে ১ টেবিল চামচ দিতে হবে। এক্ষেত্রে টবের উপরের মাটি এক/দেড় ইঞ্চি তুলে টবের ভিতরের মাটির সাথে সার ভালো করে মিশানোর পরে ঐ তুলে রাখা মাটিগুলো ঝুরঝুরে করে ভালোভাবে টবে ঢেকে দিতে হবে।
💧স্প্রে প্রয়োগ মাত্রা:
গাছ রোপণের ২০-২২ দিন পর প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ গ্রাম বোরন মিশিয়ে স্প্রে করুন। ১৫ দিন অন্তর অন্তর দুই বার প্রয়োজনে ৩য় বার স্প্রে করলে ফুল ও কচি ফল ঝরে পড়া সমস্যা কমে যায়।
🍃🌱ফল বৃদ্ধির সময় লিবরেল জিংক বা বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য জিংক ১ গ্রাম/লিটার এবং বোরন বা সলুবোর বোরন (বোরাক্স/ বরিক এসিড) অথবা বাজারে প্রাপ্ত অন্যান্য বোরন সার ১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে ২০-২২ দিন পর প্রথমবার এবং ৪০-৪৫ দিন পর ২য় বার স্প্রে করলে ফল ঝরে পড়া ও ফাটা উভয় সমস্যা কমে যায়।
যেসব গাছে ১২ মাস ফল থাকে সেসব গাছে ২ মাস পর পর বোরন সার স্প্রে করতে হবে। সেসব গাছ বছরে একবার ফল দেয় ঐ গাছে ফুল আসার এক মাস আগে বোরন প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।
🛑পন্যটি আমাদের কাছে পাবেন।
#ছাদবাগান #garden #ছাদকৃষি #roofgarden #foryouシ #gardening #সার
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন