কুং ফুর পাঁচটি প্রথাগত পশুর ধরনকে উপস্থাপন করে, যার প্রতিটি একটি আলাদা যুদ্ধকৌশল ও দার্শনিক চিন্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই শৈলীগুলো মূলত দক্ষিণ শাওলিন মার্শাল আর্ট থেকে এসেছে, বিশেষ করে ‘ফাইভ অ্যানিমেলস স্টাইল’ (পাঁচ পশুর শৈলী) থেকে। নিচে প্রতিটির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:
১. ড্রাগন স্টাইল (উপরে বামে)
প্রাণী: ড্রাগন (ড্রাগন)
কেন্দ্রবিন্দু: আত্মিক শক্তি, তরল গতিবিধি, অভ্যন্তরীণ শক্তি (চি)
প্রযুক্তি: কঠিন ও নরম গতির সংমিশ্রণ, বৃত্তাকার গতি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণের উপর জোর। ড্রাগন স্টাইলে শরীর মোচড়ানোর গতি, শক্তিশালী ভঙ্গি এবং নিঃশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ ব্যবহৃত হয়।
প্রতীক: প্রজ্ঞা, অন্তর্নিহিত শক্তি এবং অভিযোজন ক্ষমতা।
২. স্নেক স্টাইল (উপরে ডানে)
প্রাণী: সাপ
কেন্দ্রবিন্দু: গতি, নিখুঁততা ও নমনীয়তা
প্রযুক্তি: চাপ পয়েন্টে দ্রুত, কুণ্ডল strike দেয়। আঙ্গুলগুলোকে বিষদাঁতের মতো ব্যবহার করা হয়, আর চলাফেরা হয় মসৃণ ও অপ্রত্যাশিত।
প্রতীক: নিখুঁততা, তরল গতি এবং অভ্যন্তরীণ শক্তি।
৩. ক্রেন স্টাইল (মাঝখানে)
প্রাণী: সারস (ক্রেন)
কেন্দ্রবিন্দু: ভারসাম্য, দৃষ্টতা ও সৌন্দর্য
প্রযুক্তি: প্রতিরক্ষামূলক পদচারণা, এক পায়ে দাঁড়ানো ভঙ্গি এবং আঙ্গুল দিয়ে ঠোকর দেওয়ার কৌশল। চলাফেরা হয় হালকা ও চটপটে।
প্রতীক: শান্তি, নিয়ন্ত্রণ এবং নিখুঁততা।
৪. প্যান্থার স্টাইল (নিচে বামে)
প্রাণী: প্যান্থার (বা ফাইভ অ্যানিমেলসে লেপার্ড)
কেন্দ্রবিন্দু: গতি, আক্রমণাত্মকতা ও শক্তি
প্রযুক্তি: দ্রুত, শক্তিশালী আঘাত – নখের মতো আঙ্গুল দিয়ে। প্যান্থার brute force নয়, বরং গতিকে কাজে লাগিয়ে দুর্বল স্থানগুলোতে আঘাত করে।
প্রতীক: বিস্ফোরকতা, গোপনতা ও নিখুঁততা।
৫. টাইগার স্টাইল (নিচে ডানে)
প্রাণী: বাঘ
কেন্দ্রবিন্দু: শক্তি, দৃঢ়তা ও আধিপত্য
প্রযুক্তি: শক্তিশালী, সরাসরি আঘাত এবং নখ দিয়ে খোঁচানোর কৌশল। টাইগার স্টাইলে শারীরিক শক্তি, নিচু ভঙ্গি এবং জোরালো আক্রমণ গুরুত্ব পায়।
প্রতীক: হিংস্রতা, সাহস ও brute force।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন