“আঙুল ফুলে কলাগাছ হালিম বিশ্বাস”
……………………………
ঐতিহ্যবাহী পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা আইনজীবী কে এই হালিম বিশ্বাস ? অনুসন্ধানে জানা যায় আব্দুল হালিম বিশ্বাস জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য হলেও তিনি কখনোই আদালতে নিয়মিত মামলা পরিচালনা করতেন না বরং তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল.এ শাখায় বিভিন্ন তদবির এবং কমিশন বাণিজ্যের দুর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছেন।পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত কলাপাড়া উপজেলার একাধিক সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাৎ করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংগ্রহ করে দ্রুত ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দেওয়ার নামে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায় এল.এ শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে হালিম বিশ্বাস গং একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন এবং এই সিন্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন ক্ষতিপুরণ এর টাকা তুলতে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন এই চক্রটি আর যারা এই অবৈধ অর্থ বাণিজ্যের সঙ্গে আপোষ করতে রাজি হতেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিতেন এই হালিম বিশ্বাস যাতে টাকা পেতে দীর্ঘদিন যাবত ভুক্তভোগীদের অপেক্ষা করতে হয়।
এভাবেই বিগত সরকারের আমলের ১৭ বছরে এই চক্রটি শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন এবং যার নেতৃত্বে রয়েছেন এই হালিম বিশ্বাস। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বলতে গেলে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল তার আর এখন তিনি একাধিক ফ্লাট, ভবন, প্লট, মাছের খামার, খামার বাড়ি সহ নানা সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
একসময়ে বিভিন্ন গ্রামে হাট বাজারে ঘুরে যাত্রা পালে অভিনয় করা এই হালিম বিশ্বাস এভাবেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন,
বিগত সরকারের আমলে জেলা জজ আদালতে এপিপি নিয়োগ পাওয়া এই ব্যক্তি সব সময় থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, সরকারি অফিস আদালতে নিজের পদের অপব্যবহার করে করেছেন সম্পাদের পাহাড়।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে পটুয়াখালী পৌরসভার অন্তর্গত পশ্চিম আরামবাগ এলাকায় তার রয়েছে একটি বিলাসবহুল ছয়তলা এবং একটি চারতলা বাড়ি যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা, শহরের পিটিআই সড়কে রজনীগন্ধা টাওয়ারে রয়েছে তার একাধিক ফ্লাট, পাশেই নির্মাণাধীন আরো একটি দশতলা ভবনেও রয়েছে তার মালিকানা, এছাড়াও দশ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর এলাকায় রয়েছে তার একাধিক মাছের খামার এবং খামার বাড়ি, ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে একাধিক প্লট এবং দোকান, কুয়াকাটায় আবাসন প্রকল্প এবং ঢাকার কচুক্ষেত এবং মিরপুর এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা যায়।
আইন আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে হালিম বিশ্বাস কিভাবে এই অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তা সকলের কাছেই বিস্ময়।
এমনকি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের নেই কোনো পদক্ষেপ যা অবাক করেছে সবাইকে।
জানা গেছে তার নিজের অপকর্মের প্রমাণ মুছে ফেলতে তিনি কয়েক বছর আগে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়িয়ে ফেলেছিলেন যদিও তৎকালীন সময়ে মানুষ জানতেন আগুন লেগেছে নিছক দুর্ঘটনার বশেই।
এছাড়াও আপন ভাই এবং মা এর বাবার বাড়ির সম্পত্তি আত্মসাৎ করা সহ তার গ্রামের একাধিক সহজ সরল মানুষের জমি দখল এবং আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে এই হালিম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য বিগত ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন হালিম বিশ্বাস পরবর্তীতে নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মহামান্য চেম্বার আদালতের আদেশে স্থগিত হওয়া নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয়লাভ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন