এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

একটা ছেলে ৪টা বিয়ে করতে পারলে একটা মেয়ে কেন পারবেনা? 

 একটা ছেলে ৪টা বিয়ে করতে পারলে একটা মেয়ে কেন পারবেনা? 


এই প্রশ্নটা অনেক সময় উঠেই আসে, শুধু শাহবাগী না বরং একটা সাধারণ মেয়ের মনেও এরকম প্রশ্ন আসতে পারে? “যদি একজন পুরুষ চারটা বিয়ে করতে পারে, একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে, তাহলে একজন নারী কেন পারবেনা?”


প্রথমে নিজের সম্পর্কে বলি আমি বাংলাদেশের একজন অশ্রিকৃতিপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী, নাম: 'Jahid Hasan Scientist', তো এবার আমার সাথে আপনারাও আসুন এই বিষয়টাকে বিশ্লেষণ করা যাক। প্রথমে যুক্তিতে আসি তারপর নাহয় বাকি বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা যাবে। 


ধরুন, আপনি একজন ছেলে আপনি ৪টা বিয়ে করেছেন আপনার চারজন স্ত্রী আছে, আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাচ্ছেন অফিস থেকে এসে যেকোনো একদিন যেকোনো একজন স্ত্রীর সাথে থাকছেন। সেই চারজন স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর যদি ৪টা বাচ্চা হয় তাহলে "পিতৃত্বের পরিচয় হিসেবে" সেই চারজন সন্তান আপনাকেই বাবা ডাকবে। 


এবার ধরুন আপনি একজন মেয়ে, আপনি চারজনকে বিয়ে করলেন আপনার ৪টা স্বামী আছে, আপনি একে একে আপনার চারজন স্বামীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলেন। তারপর আপনি গর্ভধারন করলেন আপনার বাচ্ছা হলো, এখন প্রশ্ন হচ্ছে! সেই বাচ্ছাটাকে পিতৃত্বের পরিচয় কিভাবে দিবেন? অর্থাৎ বাচ্ছাটা আপনার চার স্বামীর মধ্যে কাকে বাবা বলে ডাকবে?? তারপর আপনার ৪টা শশুড়বাড়ী মধ্যে কোন বাড়ির থালাবাসন আগে মাজবেন? 


সুতরাং আবেগে অনেক কিছুই বলা যায় বইন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে! এবার আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করি। 


১। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী।

ইসলাম একজন পুরুষকে নির্দিষ্ট কিছু শর্তে চারটা স্ত্রী গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। তবে এই অনুমতি একতরফা ছাড় নয়, বরং দায়িত্ববোধের পরীক্ষাও বটে। তবে কেন নারীর ক্ষেত্রে এটা অনুমোদিত নয়?


প্রথমত পিতৃত্বের নিশ্চয়তা।

ইসলামের দৃষ্টিতে পরিবার কাঠামো ও উত্তরাধিকার নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন নারীর যদি একাধিক স্বামী থাকে এবং সন্তান হয়, তাহলে সন্তানের পিতৃত্ব নির্ধারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। অথচ একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকলেও, প্রতিটি সন্তানের মা নির্দিষ্ট থাকায় পরিচয় সুস্পষ্ট থাকে।


উত্তরাধিকার ও দায়িত্ববোধ।

পুরুষকে স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হয়। একাধিক স্ত্রী গ্রহণ মানেই একাধিক পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব। নারী যদি একাধিক স্বামী গ্রহণ করেন, তাহলে কার ওপর দায়িত্ব পড়বে কার বাড়িতে থাকবে? কোন স্বামীকে আগে সন্তুষ্ট করবে? যেকারণে এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।


২। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি।

নারীর মানসিক গঠন তুলনামূলকভাবে গভীর সংবেদনশীলতায় গড়া। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা শারীরিক সম্পর্কে মানসিক সংযুক্তির প্রবণতা বেশি রাখে (Oxytocin hormone)। এর ফলে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক নারীর মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে, সৃষ্টি হতে পারে আত্মপরিচয় সংকট, দ্ব'ন্দ্ব ও বিষণ্ণতা। ( আপনার বোঝার সুবিধার্থে আরও সহজ করে বলছি, সংসারে অশান্তি লাগার পর, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা বলে থাকে আমি জন্য তোমার সংসার করে গেলাম, এমনকি তারা দ্বিতীয়বার আর কখনোই বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করে না। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে এটা উল্টো, সংসারে যতই অশান্তি হোক না কেন, কোনো পুরুষকে যদি বলা হয় তুমি কি আরও বিয়ে করবে? দেখবেন পুরুষের মনে লাড্ডু ফুটবে। ) 


এছাড়াও পুরুষদের মধ্যে অধিকতর যৌ'ন বৈচিত্র্য অনুসন্ধানের প্রবণতা দেখা যায়, এটাই তাদের বিবর্তনমূলক প্রবৃত্তির অংশ। অন্যদিকে, নারীরা নিরাপত্তা ও সংবেদনশীল সংযুক্তির দিকেই ঝুঁকে থাকে, যেটা তাদের মাতৃত্বের ভূমিকার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।


৩। বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি।

জিনগত দায়িত্ববোধ এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ,

বিজ্ঞানীরা বলেন, একজন পুরুষ দিনে শতাধিক নারীকে গর্ভধারণ করাতে পারে, কিন্তু একজন নারী বছরে একবারের বেশি সন্তান ধারণ করতে পারে না। এই জৈবিক কাঠামো আমাদের বলে দেয়, সমাজে জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় ও দায়িত্ববোধ নির্ধারণে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা আছে।


আজ বিজ্ঞানের যুগে যদিও DNA টেস্ট আছে, তবে প্রাচীন সমাজে এসব ছিল না। সন্তান কার, এই প্রশ্ন তখন পরিবার ও সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতো। ইসলামী বিধান এসব ঝুঁকি থেকে সমাজকে রক্ষা করে।


৪। সমানতা নয়, ন্যায়বিচার।

ইসলাম পুরুষ ও নারীকে সমান বলেছে না, বরং ন্যায়সঙ্গত বলেছে। সমান মানেই সব বিষয়ে এক, এমন না। বরং যার যেটা দায়িত্ব, তার উপযুক্ত সেই ব্যবস্থাই ন্যায়বিচার।


উপসংহার।

এই প্রশ্নটা খুবই যৌক্তিক মনে হলেও উত্তরটা আবেগের নয়, বরং বাস্তবতা নির্ভর। কারণ নারী ও পুরুষ আলাদা কাঠামোর সৃষ্টি, তাদের ভূমিকা আলাদা। তাই যে নিয়ম একজনের জন্য উপকারী, তা অন্যজনের জন্য ক্ষ'তিকর ও হতে পারে।


তাই আবেগ দিয়ে নয়, বরং বিবেক দিয়ে ভাবুন। ধর্ম শুধু নিষেধ করে না, ব্যাখ্যাও করে। আর বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্ম যখন হাত মেলায়, তখনই মানুষ বুঝতে শেখে সৃষ্টির প্রতিটা বিধানই রহস্যে মোড়া এক চমৎকার ব্যালান্স।


©

কোন মন্তব্য নেই:

বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। ---

 🎋বাত ব্যথা হলেই হোমিও ঔষধের  আবশ্যকতা হয়ে পরে,— গেঁটে বাত (Gout)। --- 🔖 Ledum Palustre 30 🌹 প্রধান লক্ষণ: ▪ গেঁটে বাতের ব্যথা, যা নিচ থে...