এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫

শুভ জন্মদিন লিভিং লিজেন্ড,,,,,,কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। 

 🙏 শুভ জন্মদিন লিভিং লিজেন্ড 🙏


নয়াদিল্লির এক তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৯৫৮ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্মেছিলেন যিনি, তিনি আজ ভারতীয় সঙ্গীতজগতের এক অবিস্মরণীয় নাম—কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। 


জন্মের পরে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল সারদা। বাবা টি. এস. কৃষ্ণমূর্তি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রকের কর্মী, আর মা ছিলেন একজন সংস্কৃতিপ্রেমী। ছোটবেলা থেকেই দু’টি ভিন্ন সংস্কৃতির ছোঁয়া লেগেছিল তাঁর জীবনে। জন্মদাত্রী মা তাঁকে পরিচিত করিয়েছিলেন তামিল কালচারের সঙ্গে, আর পালিকা মায়ের অনুপ্রেরণায় তাঁর জীবনে জায়গা করে নেয় রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং বাঙালি সংস্কৃতির নানা রঙ।


শৈশব থেকেই কবিতা কৃষ্ণমূর্তির মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি এক গভীর টান ছিল। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক অর্জন করেন। তাঁর তালিম শুরু হয়েছিল ধ্রুপদী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে, এবং সেইসঙ্গে তিনি হাতে খড়ি নেন রবীন্দ্রসঙ্গীতেও। এর ফলে সঙ্গীতের প্রতি তাঁর একটি বহুমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে তাঁর কণ্ঠে বহুবিধ ঘরানার সুর মেলাতে সাহায্য করেছিল।


কলেজ জীবনের সময় মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত অংশ নিতেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হন সঙ্গীতশিল্পী রাণু মুখোপাধ্যায়। রাণু তাঁকে নিয়ে যান তাঁর বাবা, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তাঁর কণ্ঠ শুনে এতটাই মুগ্ধ হন যে, তাঁকে নিজের অনুষ্ঠানে গাইবার সুযোগ দেন। সেই সুযোগই কবিতার সঙ্গীতজীবনের প্রথম সোপান হয়ে ওঠে।


এরপর মান্না দে-র সান্নিধ্যে আসেন কবিতা। মান্না দে তাঁর প্রতিভা দেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতে সুযোগ করে দেন। হিন্দি ছবিতে তাঁর প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ আসে ১৯৭৮ সালে, গিরিশ কারনাডের কন্নড় ছবি ‘ওন্দানন্দু কালাদাল্লি’-তে। এরপর লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলালের সুরে বলিউডে একাধিক সুপারহিট গানের মধ্যে দিয়ে তিনি পা রাখেন মুম্বইয়ের প্লেব্যাক জগতে।


১৯৮৫ সালে ‘পেয়ার ঝুকতা নহি’ ছবিতে তাঁর গাওয়া গান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর একে একে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’, ‘ইয়ারানা’, ‘অগ্নিসাক্ষী’, এবং ‘খামোশি’-র মতো ছবিতে তাঁর গান শ্রোতাদের মন জয় করে। ‘হাওয়া হাওয়াই’, ‘ডোলা রে ডোলা’, ‘আজ ম্যায় উপার’, ‘মেরা পিয়া ঘর আয়া’, ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর মতো গানে তাঁর কণ্ঠ যেন জাদুর মতো শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিল।


কবিতা শুধু হিন্দি নয়, বাংলা, তামিল, তেলুগু, মরাঠি, উর্দু, কন্নড়, গুজরাটি এবং মালয়ালম ভাষাতেও গান গেয়েছেন। তাঁর গানে ধ্রুপদী সঙ্গীত থেকে শুরু করে আধুনিকতার মিশেল ছিল স্পষ্ট। এমনকি দূরদর্শনের ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’, এবং ‘আলিফ লায়লা’ সিরিজেও তিনি গান গেয়েছেন।


তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও সঙ্গীতের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। প্রখ্যাত বেহালা শিল্পী ড. এল সুব্রহ্মণ্যমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কবিতা। তাঁর স্বামী ও পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে একটি সুখী ও সুরময় জীবন যাপন করছেন তিনি।


আজ কবিতা কৃষ্ণমূর্তির জন্মদিনে আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। তিনি যে কেবলমাত্র একজন গায়িকা নন, তিনি ভারতীয় সঙ্গীতের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর কণ্ঠ আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, আমাদের স্মৃতির গভীরে জায়গা করে নেয়।


“কিছু কথা ॥ কিছু সুর” পরিবারের পক্ষ থেকে কবিতা কৃষ্ণমূর্তিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। সুরের জগতে তিনি আরও অনেক বছর এইভাবে আলো ছড়িয়ে যান—এটাই আমাদের কামনা। 🎶✨

____________________________

©️ কিছু কথা ॥ কিছু সুর

কোন মন্তব্য নেই:

জানা প্রয়োজন গায়রত কী? *******************

 ★জানা প্রয়োজন গায়রত কী? ************************** প্রিয় নবীজীর সাহাবীরা তাদের স্ত্রী'র নাম পর্যন্ত পরপুরুষকে বলতো না। এটাই গায়রত।তথা-(...